"এ্যাঁলো--আজিজ সা'ব আছোইন নি?"
বশর চাচা আমাদের বাসায় ফোন করে সব সময়ে এই কথাটা বলতেন।
ফেব্রুয়ারির পাঁচ থেকে উত্তাল স্বদেশ আমার।
খুব অন্যরকম সময় এটা।
শাহবাগের সাথে একাত্মতায় এল রাজাকার বধাবলীর দ্বিতীয় পর্ব। এইখানে আছে সচলায়তনে প্রকাশিত নানান রাজাকার বিরোধী ছড়ার একটা সংকলন। আমি আলাদা করে তাদের নাম আর উল্লেখ করছি না।
তাঁদের সকলের কাছে আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা তাদের রচনা আমাকে ব্যবহার করতে দেবার জন্যে।
জয় বাংলা!!!
ছড়া আবৃত্তিঃ অনিকেত
রচনাঃ সচলায়তনের নানান ছড়াকার
যন্ত্রানুষঙ্গ আয়োজন, পরিচালনাঃ অনিকেত
জনতার সংগ্রাম চলবে--
রাজাকারের দিন এইবার শেষ
শাহবাগের সাথে একাত্মতা ঘোষনা করেছে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা আপামর বাঙালী ভাই-বোন।
সেই একাত্মতার সাথে আমার নিজের সামান্য কিছু যোগ দিতে নিয়ে এলাম
আমাদের আকতার ভাই আর মৃদুল ভাইয়ের কিছু অগ্নিঝরা ছড়া আবৃত্তির চেষ্টা করেছি এইখানে।
আপনাদের ভাল লাগলে এইগুলো ছড়িয়ে দিন সকলের কাছে, সকলের মাঝে
ভোরের আর বেশি দেরী নেই---
জয় বাংলা
সে এক ভীষন দুঃসময় এসেছিল আমাদের মাঝে
সে এক ভীষন সুসময় এসেছিল আমাদের মাঝে---
দুঃসময় এইজন্যে --আমরা হারিয়েছি আমাদের লক্ষ লক্ষ আপনজন। এই ছাপান্ন হাজার বর্গমাইলের ভেতরে একটি পরিবারও খুঁজে পাওয়া যাবে না যারা শহিদের রক্তে স্নাত হয় নি। রক্তের দামে নাকি কিনে আনতে হয় স্বাধীনতা! মাত্র ন'মাসের পরিব্যপ্তীতে আমরা আমাদের পাঁজর খুলে বইয়ে দিয়েছিলাম রক্তের নহর।
আমাদের সকলের প্রিয় সচল মৃদুল ভাইয়ের রাজাকার বিষয়ক একটা ছড়ার আবৃত্তি নিয়ে এলাম আজকে।
ডিসেম্বরের এই মাসে রাজাকারদের আস্ফালন আর উল্লম্ফন দেখে কেবল একটা কথাই মনে আসছে--তবে কী তারা বুঝতে পেরেছে যে তাদের সময় ঘনিয়ে এসেছে??!! তারা কী বাতাসের মাঝে টের পাচ্ছে যে তাদের জন্যে রাখা অক্সিজেনে টান পড়ছে?!! তারা কী শুনতে পারছে মানুষ জাগছে??!! ধর্মের লেবাস পরিয়ে আর তাদের চামড়া ঢাকা যাবে না----
রাজাকার....
কাজী নজরুল ইসলামের লেখা এই গানটার তেমন কোন ঠিকুজি কুলজী খুঁজে পেলাম না নেটে।
আমি মাঝেই মাঝেই একটা স্বপ্ন ঘুরে ফিরে দেখি।
স্বপ্নের দৃশ্যপটে হয়ত সামান্য অদল-বদল হয়। কিন্তু মোটের উপর স্বপ্নটা প্রায় একই রকম থাকে।
স্বপ্নটা দেখতে শুরু করলেই চেনা মানুষকে ভীড়ের মাঝে খুঁজে পাবার মতন আনন্দ হয়। কিন্তু একই সাথে কোথাও যেন একটু দুঃখ ফুলের পাপড়ির ওপর জমে থাকা শিশিরের মত টলমল করতে থাকে।
আমার পৌনঃপুনিক স্বপ্নটা খুব সাদামাটা।
নানা কারণে কম্পিউটারকে আমার হিংসা হয়।
প্রথমেই যেটা ঈর্ষনীয় লাগে (অন্তত আমার কাছে) সেটা হল তার স্মৃতিশক্তি! কী বিশ্রী রকমের ভাল স্মৃতিশক্তি তার। কিছুই ভোলে না!
কিছু দিন আগে (গত ১০ অক্টোবর) ছিল জগজিত সিং-এর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী।
দেখতে দেখতে এক বছর হয়ে গেল তাঁর চলে যাবার।
মানুষের সবচেয়ে বড় শক্তি খুব সম্ভবত তার শোক সামলে ওঠার ক্ষমতাটা।
যত বড় শোক আসুক না কেন--- কালে কালে আমরা ঠিকই সেরে উঠি। আমাদের মাঝে যারা ভাগ্যবান তারা হয়ত ভুলেও যাই।
আমি খুব ভাগ্যবান কেউ নই। কিছু কিছু জিনিস আমার কিছুতেই ভোলা হয় না। কিছু কিছু ক্ষত আমার কিছুতেই সারে না।