পীর আউলিয়া আর রক্ষণশীল মানুষের শহর হওয়ার কারণে সিলেটে ধর্মের দোহাই দিয়ে রাজনীতি শুরু করতে শিবিরকে খুব একটা বেগ পেতে হয় না। কিন্তু সিলেটের রাজনীতির মাঠে তাদেরকে অনাহুত হিসেবেই দেখতে শুরু করে অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলো। আশির দশকের শুরুতে রাজনীতি শুরু করার সুবাদে শিবির সিলেটের রাজনীতির মাঠে অনেকটা সুবিধা পেয়ে যায়। আওয়ামী ছাত্রলীগের অবস্থা তখন খুব একটা শক্তিশালী নয়, সেই সময়ে সিলেট শহরে ছাত্রদল ছিলো না বললেই চলে, মাঠ মোটামুটি ফাঁকাই ছিলো। কিন্তু জাসদ ছাত্রলীগ তাদের জন্য বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। জাসদ ছাত্রলীগ শুরু থেকেই সিলেটে শিবির প্রতিরোধে নামে, শিবিরের প্রকাশ্য তৎপরতার বিরুদ্ধে তারা রুখে দাঁড়ায়। তখন সিলেট শহরের খুব কম ছেলেই শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলো বলে তারা খুব একটা সুবিধাও করতে পারে না। তখন তারা সিলেটে শিবিরকে শক্তিশালী করতে বিকল্প পন্থা অবলম্বন করে। বিভিন্ন জায়গা থেকে তারা জামাত ও শিবিরের নেতাকর্মীদের সিলেটে পাঠাতে শুরু করে। এই তালিকায় দরিদ্র ঘরের সন্তান যেমন আছে, তেমনি পয়সাওয়ালা বাপের ( অবশ্যই সেই বাপ জামাতি অথবা রাজাকার ) ছেলেরাও নানা ধরণের ব্যবসা করতে সিলেটে আসে, জামাতি কেউ আসে সিলেট মেডিকেলে চাকরি করতে, কেউ আসে কলেজে চাকরি নিয়ে, আবার কেউ সিলেটে পড়তে আসে। সিলেটে শিবিরের রাজনীতিতে প্রথমদিকে তাই সিলেটিরা ছিলো না, কিন্তু সিলেটে মুক্তিযুদ্ধের পর থেকেই গোলাম আযম পন্থী অনেক জামাতি যুদ্ধাপরাধী পাকিস্থান প্রেমী সিলেটি ছিলো। জিয়ার ক্ষমতারোহণের পরপরই এরা প্রকাশ্যে বের হয়ে আসে। এমনকি বাংলাদেশে যখন গোলাম আযমের নাগরিকত্ব ছিলো না, সেই ১৯৭৫ সালে গোলাম আযমের ছেলে সাবেক সেনা কর্মকর্তা আযমী সিলেটের এক জামাত নেতার বাসায় থেকে মেয়েদের একটা স্কুল থেকে মেট্রিক পাশ করে। ঐ স্কুলের নাম সিলেট অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, অথচ আযমীর সার্টিফিকেটে লেখা ছিলো সিলেট অগ্রগামী উচ্চ বিদ্যালয় ( এই বিষয়ে ভবিষ্যতে বিস্তারিত একটা পোস্ট দেবো )। কথিত আছে আযমী তখন সিলেটে তার এক চাচার বাসায় থেকে লেখাপড়া করেছে। কিন্তু সিলেটে তখন গোলাম আযমের কোনো ভাই থাকতেন না। আযমী এক জামাত নেতার বাসায় থেকেই সিলেটে লেখাপড়া করেছে। এই বিষয়টি থেকে খুব সহজেই বোঝা যায়, সিলেটে আশির দশকের শুরুতে শিবিরের কোনো অবস্থান না থাকলে প্রচুর জামাতি ছিলেন। এই জামাতিরা পরবর্তী সময়ে এরশাদের শাসনামলে সিলেটে শিবিরকে ছড়িয়ে দেয়। মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীগুলোর মতো তাদের পরিকল্পনা ছিলো দীর্ঘমেয়াদি। এই দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার কারণেই তারা একসময় রাজনৈতিকভাবে সিলেটে অবস্থান নিয়ে ফেলে।
কি ছিলো দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় ?
________________________________________
শিবিরের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার মধ্যে ছিলো নগরীতে স্কুল কলেজ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে মওদুদীবাদী নিজেদের মতাদর্শে প্রচারণা চালানো। যেহেতু তারা সিলেটে তখন খুব একটা ভালো অবস্থানে ছিলো না, তাই তারা বর্তমানের কথা না ভেবে ভবিষ্যতের কথা ভাবতে শুরু করে। এই কারণে তারা টার্গেট করে স্কুলগামী ছাত্রদেরকে। পুরোপুরি প্রকাশ্যে না হলেও তখন তারা একটু একটু করে সিলেটের বিভিন্ন কলেজে নিজেদের কার্যক্রম শুরু করে। ফুলকুঁড়ি আসরের নামে তারা ছোট ছোট স্কুলের বাচ্চাদের নিয়ে নানা ধরণের কার্যক্রম হাতে নেয়। নিজেদের শক্তি বাড়াতে তারা দরিদ্র ঘরের ছেলেদের নানা ধরণের চাকরি ও ব্যবসার নিশ্চয়তা দিয়ে শিবিরে টানতে থাকে। এছাড়া সিলেটের বাইরে থেকে যে ছেলেরা সিলেটের এমসি কলেজ, মদনমোহন কলেজ, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও আলিয়া মাদ্রাসাতে পড়তে আসতো তাদেরকে সিলেটে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়ার পাশাপাশি নানা ধরণের আর্থিক সুবিধাও দেয়া শুরু করে। যারা শিবিরের বিভিন্ন ইউনিটের দায়িত্বশীল পদে ছিলো তাদেরকে মাসে নির্দিস্ট অংকের একটা ভাতা ( মাসিক বেতন ) প্রদান করতে শুর করলো। এই টাকার যোগান শিবিরের নিজেদের চাঁদা বায়তুল মাল থেকেই দেয়া হতো। এছাড়া প্রবাসী অনেক জামাতি নিজেদের মেয়েদের সাথে সিলেটের স্থানীয় শিবির কর্মীদের বিয়ে দেওয়ার ফলে অনেকের ভিতরে এই ধারণা ঢুকে যায়, শিবির করলে জামাতের এসব সমর্থকের মেয়ে বিয়ে করে বিদেশে যাওয়া যাবে। এই রীতিটা এখনো চালু আছে।
ভবিষ্যতে শিবিরের শক্তি বাড়াতে আশির দশকের শুরতে জামাত সিলেটে প্রতিষ্টা করে শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া মিরাবাজার নামের একটি স্কুল। এই স্কুল প্রতিষ্টা করে একাত্তরে সিলেটের আলবদর বাহিনীর প্রধান মাওলানা ফরিদউদ্দিন। মুক্তিযুদ্ধের পরপর ফরিদউদ্দিন আত্মগোপনে চলে যায় এবং জিয়ার শাসনামলে সে দক্ষিণ সুরমার গহরপুরে একটি মাদ্রাসায় মোয়াজ্জিন হিসেবে কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে প্রবাসী জামাতিদের সাহায্য নিয়ে সে এই স্কুল প্রতিষ্টা করে নিজেই এই স্কুলের অধ্যক্ষ হয়ে নিজের নামের সাথে অধ্যক্ষ পদবী জুড়ে দেয়। এই ফরিদউদ্দিন ২০০১ সালে চারদলের হয়ে নির্বাচন করে সংসদ সদস্যও মনোনীত হয়।
শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়াকে শিবির নিজেদের কর্মী তৈরির কারখানা হিসেবে পেয়ে যায়। এই স্কুলে তারা প্রকাশ্যে শিবিরে যোগ দেওয়ার জন্য ছেলেদেরকে আহবান জানায়। এছাড়া স্কুলের সব শিক্ষক জামাতপন্থী হওয়ার কারণে ক্লাসেও তারা শিবিরের গুণগাণ গাইতে থাকেন। এর ফলে অনেক নিষ্পাপ শিশু কিশোর শিবির কি জিনিষ এটা বোঝার আগেই শিবিরের ফরম পূরণ করে শিবিরের সদস্য হয়ে যায়। এই স্কুলে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয় না এবং ছাত্রদেরকে বাধ্যতামূলক মাথায় টুপি পড়ে স্কুলে যাওয়ার নিয়ম করা হয়। এই স্কুল থেকেই পরবর্তীতে সিলেটে শিবিরের নেতা ও কর্মী বের হয়ে আসে।
এই স্কুল ছাড়াও জামাত শিবির পরবর্তী সময়ে সিলেটে প্রতিষ্টা করে পাঠানটুলা জামেয়া, আল আমিন জামেয়া নামের দুটি স্কুল। বর্তমানে তারা সিলেট সায়েন্স কলেজ ও জালালাবাদ ইউনিভার্সিটি কলেজ নামের দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ নামের একটি মহিলা মেডিকেল কলেজও জামাতিরা প্রতিষ্টা করেছে।
শাহজালাল জামেয়া প্রতিষ্টার পাশাপাশি শিবির সিলেটকে চারটি এলাকায় ভাগ করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকে। এছাড়া তারা সিলেটের মদনমোহন কলেজ ও আলিয়া মাদ্রাসায় নিজেদে অবস্থান তৈরি করে ফেলে। আলিয়া মাদ্রাসাতে অবস্থান নিতে গিয়ে শিবির আলিয়া মাদ্রাসার অন্যান্য ইসলামি দলগুলোর সমর্থকদের হাত পায়ের রগ ও জিহবা কাটতে শুরু করে। সমগ্র সিলেট জুড়ে জামাত শিবির পরিচালিত প্রায় ৫০ টির মতো মাদ্রাসা আছে। এসব মাদ্রাসায় শিবিরের সাথী ও সদস্যরা নিয়মিত গিয়ে মাদ্রাসার ছাত্রদের বিভিন্ন ধরণের নাশকতামূলক কাজ ও অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে সিলেট শহরকে কেন্দ্রে রেখে তারা বৃত্তাকারে চারপাশে শিবিরকে ছড়িয়ে দেওয়া শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট দখল করতে গিয়ে তারা বরইকান্দি এলাকাকে নিজেদের একটা শক্ত ঘাঁটি হিসেবে প্রতিষ্টা করে ফেলে। এছাড়া শহরের দরগা মহল্লার পায়রা আবাসিক এলাকাকে নিজেদের একটা শক্তিশালী দুর্গ হিসেবে গড়ে তুলে। সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় তারা ওয়াজ মাহফিল ও ইসলামি সভা সমাবেশ করে রক্ষণশীল পরিবারের ছেলে ছাড়াও সাধারণ ছেলেদেরকে শিবিরের রাজনীতিতে ভিড়িয়ে নেয়। তারা সিলেটে সাঈদীকে নিজেদের প্রচারণার কাজে ইসলামের মহান দূত হিসেবে প্রতন্ত এলাকায় বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে নিয়ে এসে জামাত শিবিরের গুণগান গাওয়াতে শুরু করে। সাইদীর ওয়াজ নিয়ে সম্প্রতি একজন ব্লগার সাঈদীর ভন্ডামির কথা লিখেছেন। [১]
সিলেট শহরে নিজেদের প্রতিষ্টা পেতে গিয়ে শিবিরকে বারবার জাসদ ছাত্রলীগের বাঁধার মুখে পড়তে হয়। জাসদ ছাত্রলীগ যেনো তখন পণ করে বসেছিলো শিবিরকে তারা সিলেটে অবস্থান নিতে দিবে না। অন্যদিকে শিবির শহরে নিজেদের অবস্থান করে নেওয়ার জন্য বেছে নেয় সহিংস হত্যার রাজনীতি।
সিলেটে শিবিরের খুনের রাজনীতি
________________________________________
কোনঠাসা শিবির সিলেটে নিজেদের অবস্থান তৈরি করার জন্য খুনের রাজনীতিতে নেমে পড়ে। আর সিলেটে প্রথম খুনের রাজনীতিরও সুচনা করে ইসলামি ছাত্রশিবির। একেবারে কোনঠাসা জামাত শিবির সিলেটে নিজেদের অবস্থান করে নিতে ১৯৮৮ সালের একই দিনে খুন করে জাসদ ছাত্রলীগের তিন অকুতোভয় সৈনিক মুনির তপন ও জুয়েলকে। এই তিনজনের অপরাধ ছিলো, তারা সিলেটে জামাত শিবিরের অবস্থানের বিপক্ষে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। তখন জাসদ ছাত্রলীগ সিলেট শহর থেকে শিবির উৎখাত করার পরিকল্পনা নেয়। কিন্তু শিবিরের নারকীয় তাণ্ডবলীলার কাছে তারা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। জাসদ ছাত্রলীগের দুর্গে চরম আঘাত করে সিলেটে খুনের রাজনীতির শুরু ও নিজেদের অবস্থান করে নেয় জামাত শিবির ১৯৮৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। একদিনেই জাসদ ছাত্রলীগের নিবেদিতপ্রাণ মুনির, তপন ও জুয়েল এই তিন কর্মীকে নির্মমভাবে হত্যা পিশাচরা। সেই সময়ে শিবিরের তান্ডবে সিলেট নগরীতে আহত হয় অনেকেই।
১৯৯৮ সালের ২৪ মে শিবির হত্যা করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের চতুর্থ বর্ষের মেধাবী ছাত্র ও ছাত্রলীগ নেতা সৌমিত্র বিশ্বাসকে । শামসুদ্দিন ছাত্রাবাসে ক্রিকেট খেলা দেখা নিয়ে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হলে শিবির ক্যাডাররা নগরীর ব্লু বার্ড স্কুলের সামনে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে সৌমিত্রকে।
হামিদ আহমদ খান দোয়েল নামের এক ছাত্রদল কর্মীকে ২০০২ সালে ৯ সেপ্টেম্বর সিলেটের মদনমোহন কলেজের ক্যাম্পাসে কুপিয়ে হত্যা করে শিবিরের ঘাতকরা। দোয়েল হত্যারকান্ডের মতো কোনো নৃশংস এবং বর্বরোচিত খুন এর আগে সিলেটে কখনো হয়নি।
সিলেট ভেটেরিনারী কলেজের মেধাবী ছাত্র রফিকুল হাসান সোহাগকে ২০০৪ সালের ৩১ আগস্ট নৃশংসভাবে খুন করে শিবির ক্যাডাররা। সোহাগ কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন এবং কলেজ ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
এই ছয় খুনের জন্য শিবিরের অনেক নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়ে জেলে গেলেও কারো কোনো সাজা হয়নি। এছাড়া খুনীরা আজ ব্যবসা করে সিলেটে প্রতিষ্ঠিত। এই হত্যাকান্ডগুলোর বিচার না হওয়ার কারণে শিবির সিলেটে বেপরোয়া ভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। [২]
সিলেটে শিবিরের ঘাঁটি যেসব জায়গায়
________________________________________
সিলেটে শহরে শিবিরের প্রধান ঘাঁটি হচ্ছে নগরীর পায়রা আবাসিক এলাকা ও আলিয়া মাদ্রাসা। পায়রা আবাসিক এলাকায় অনেক জামাত শিবিরের নেতা বাস করেন। এখান থেকেই মারামারি করার জন্য শিবিরের অস্ত্র বিভিন্ন জায়গায় পৌছে দেওয়া হয়। পায়রা আবাসিক এলাকার বেশ কয়েকটি বাসাকে মেস হিসেবে ব্যবহার করে শিবির তাদের ক্যাডারদেরকে এসব মেসে স্থায়ীভাবে বসবাস করার সুযোগ করে দিচ্ছে। এছাড়া হত্যা বা অন্য কোনো বড় ধরণের হামলা হাঙ্গামার সাথে জড়িত শিবির ক্যাডাররা পায়রা আবাসকি এলাকায় এসে জামাত নেতাদের বাসায় আত্মগোপন করে থাকে। শাবির নামকরণ আন্দোলনে শিবিরের ক্যাডারদের হাতে প্রকাশ্যে পায়রা আবাসিক এলাকা থেকে
অস্ত্র পৌছে দেওয়া হয়। এককালে চট্টগ্রামের শিবির ক্যাডার সাজ্জাদ ও নাসির বিভিন্ন অপরাধ করেই সিলেটে পায়রা আবাসিক এলাকার জামাত শিবিরের বাসাগুলোতে এসে অবস্থান নিতো। গোলাম আযমের ছেলে আযমীও পায়রা আবাসিক এলাকায় একটি বাসায় ছিলেন বলে ধারণা করা হয়। পরবর্তীতে আযমী যখন সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্তা হিসেবে জালালাবাদ সেনানিবাসে আসেন তখন তিনি প্রায়ই পায়রা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় যেতেন। এছাড়া পায়রা আবাসিক এলাকার কুখ্যাত আরেক স্বাধীনতা বিরোধীর বাসায় আযমী প্রায়ই দেখা যেতো। সিলেটে শিবিরের যত ক্যাডার আছে তার অর্ধেক বাস করে এই পায়রা আবাসিক এলাকায়। এরা শিবিরের বিভিন্ন ইউনিটের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিপক্ষ ছাত্র সংগঠন ও সাধারণ ছাত্রদের উপরে শিবির যেসব হামলা চালায় সেগুলো পরিচালনা করে থাকে।
আলিয়া মাদ্রাসা হচ্ছে শিবিরের মিনি ক্যান্টনমেন্ট। এখানে শিবির সদস্যদের মারামারি ও অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সিলেট আলিয়া মাদ্রাসায় শিবির পরিচালিত এসব কর্মকান্ডের প্রকিবাদ করায় শাহজালাল দরগাহ মাদ্রাসার বেশ কিছু ছাত্রের জিহ্বা কেটে ফেলে শিবির সন্ত্রাসীরা। এছাড়া আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে শিবির প্রায়ই নানা ধরণের মাহফিল ওয়াজ ও সভা সমাবেশের আয়োজন করে। ঈদের দিন আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে যে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়, তার উদ্যোক্তাও শিবির। সিলেটে জামাত শিবির পরিবার আলিয়ার মাঠে একসাথেই সবাই নামাজ আদায় করে।
নগরীর মদিনা মার্কেটের ধানসিঁড়ি, পল্লবী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) পূর্ব পাশে ধামালিপাড়ায় শিবিরের বড় তিনটি আস্তানা আছে, বিডিআর সেক্টর হেড কোয়ার্টারের দ্বিতীয় গেটের বিপরীতে একটি কটেজ, শাবি গেটের বিপরীতে একটি বাসা, আখালিয়া নয়াবাজারের দুটি বাসা, শাবি দ্বিতীয় হল সংলগ্ন একটি বাসা, আখালিয়া সুরমা আবাসিক এলাকা, সুবিদবাজার পল্লবী আবাসিক এলাকার একটি টাওয়ার, আখালিয়াস্থ যুগীপাড়া, শাবির পেছনে দুটি মেসে শিবির নিজেদের আস্তানা গড়ে তুলেছে। এই আস্তানাগুলো মূলত শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হয়েছে। এক গোয়েন্দা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, শিবিরে সিলেটে ৭৫০ সাথী ও প্রায় ২০০ কিলার রয়েছে। এরা যে কোনো সময় সংগঠনের জন্য প্রাণ দিতে প্রস্তুত থাকে। এদের বেশিরভাগই জামাত শিবির পরিচালিত বিভিন্ন মাদ্রাসার ছাত্র। [৩]
সাধারণ পরিবারের ছেলেরা শিবির কেন করছে
________________________________________
শিবির তাদের কর্মী সমর্থকদের আলাদা আলাদা চারটি ভাগে বিভক্ত করে রেখেছে। কেউ শিবির করতে চাইলে প্রথমে তাকে শিবিরের সমর্থক হতে হয়, তার পরের ধাপ কর্মী, এরপর পরীক্ষিত কর্মীদের বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে সাথী করা হয়, এবং সর্বশেষ ধাপ হচ্ছে সদস্য। সাথী বা সদস্য হতে হলে কেন্দ্রীয় অনুমোদন লাগে। মূলত সাথী ও সদস্য হওয়ার পরই একজন সদস্যকে শিবির তাদের বিভিন্ন জঙ্গিবাদি প্রশিক্ষণে নিয়ে যায়, এদেরকে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, এদের মাধ্যমে বিভিন্ন হত্যাকান্ড পরিচালনা করা হয়, অস্ত্র এবং সংগঠনের গোপন দলিল, হিসেবপত্র, কর্ম পরিকল্পনা সহ সংগঠনের গোপনীয় কার্যাদির সব কিছু সাথী ও সদস্যরা করে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, সাধারণ দরিদ্র পরিবারের ছেলেরাই শিবিরের কর্মকান্ডে বেশি জড়ায়। শিবির যেহেতু একটি ক্যাডার ভিত্তিক সংগঠন এবং শ্রম দিয়ে যে কারো নেতৃত্বে আসার সুযোগ আছে, তাই নিজেদের প্রতিষ্টা করতে গ্রাম থেকে শহরে আসা দরিদ্র পরিবারের ছেলেরা খুব সহজেই শিবিরের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে পড়ে, অন্যভাবে বললে বলতে হয়, শিবিরের পাতা ফাঁদে পা দেয়। জামায়াত তাদের রাজনৈতিক গুরু হিসেবে মওদুদীকে উপস্থাপন করলেও তারা মিসরের হাসান আল বান্নাকেও অনেক ক্ষেত্রে অনুসরণ করে থাকে। হাসান আল বান্না মিশরের 'ইখওয়ান আল মুসলিমীন' দলের প্রতিষ্ঠাতা। হাসান আল বান্নার জীবন অনেক বৈচিত্র্যময় ও ঘটনাবহুল। খুবই সাধারণ ও দরিদ্র ঘরের সন্তান হয়েও হাসান আল বান্না পরে একটি ধর্মীয় রাজনৈতিক সংগঠনের (ইখওয়ান) প্রধান হয়ে যান। হাসান আল বান্নার শ্লোগানের সাথে জামাত শিবিরের শ্লোগানের অনেক মিল আছে। হাসান আল বান্না ধর্মীয় সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার বিচ্যুতি মুসলমানদের পতনের কারণ হিসেবে দেখান। এজন্য তিনি প্রথমে 'পাপ প্রতিরোধ সমিতি' গঠন করেন। তাঁর আহ্বানে নিম্নবিত্ত, ভূমিহীন কৃষক ও ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠী বেশি সাড়া দেয়। সাধারণত সমাজের হতাশাগ্রস্ত মানুষই 'আল্লাহর নামে' পরিচালিত হাসান আল বান্নার ইখওয়ানের অনুসারী হয়ে ওঠে। ঠিক একই ভাবে বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীও আল্লাহর নামের আড়ালে তাদের সকল অপকর্মকে ঢেকে দিতে চায়, এবং তারা আল্লাহ রাসূলের কথা বলেই মানুষের কাছে পৌছাতে চায়। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই গরিব ঘরের সন্তান, স্কুল পালানো বখে যাওয়া বালক অথবা মা-বাবার মানতের কারণে অনেককে স্কুলে না পাঠিয়ে মাদ্রাসায় পাঠানো হয়। বাংলাদেশের অধিকাংশ মাদ্রাসা আর্থিক দীনতার মধ্য দিয়ে চলে। এখানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরাও সমাজের সচ্ছল ব্যক্তিদের সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। দৈনন্দিন পরনির্ভরতা ও এক ধরনের কঠোর জীবন-যাপনের মধ্যে থেকে ক্রমপরিবর্তনশীল সমাজ ও জ্ঞানার্জনের ক্ষেত্রে তারা পিছনে পড়ে যায়। এসব ছাত্র এক সময় ধর্মীয় শ্লোগানে মগ্ন হয়ে ছাত্রশিবিরের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধাদি ছাড়াও অন্যান্য সুবিধা পেয়ে তাদের অনুসারী কর্মী সমর্থক ও সাথী হয়ে যায়।
হাসান আল বান্নার ইখওয়ান দলের সাংগঠনিক কাঠামো ও জামায়াত-শিবিরের সাংগঠনিক কাঠামো একই ধরনের। দলের নিয়ম-কানুন অনেকটা ফ্যাসিস্ট। দলটি কয়েকটি অংশে বিভক্ত। প্রত্যেকটি অংশের আবার অনেক সেল রয়েছে। প্রত্যেক সেলের একজন নেতা থাকে এবং যে কোনো বিষয়ে নেতার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত থাকে। নেতার নির্দেশ অমান্য করলে অনেক বড় শাস্তি পেতে হয়। এছাড়া নেতার প্রতি প্রত্যেক সদস্যেকে শর্তহীন আনুগত্য মেনে চলতে হয়। এক্ষেত্রে নেতার মতের উপরে সদস্যদের নিজস্ব মতপ্রকাশের কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশে জামায়াত-শিবিরও একই নিয়মে পরিচালিত। তাদের সংগঠনের প্রতিটি ইউনিটের সাপ্তাহিক সভা হয়। সংশ্লিষ্ট ইউনিটের প্রত্যেক সদস্য তার কাজকর্মের সাপ্তাহিক রিপোর্ট প্রদান করে। শিবিরের দলীয় কিছু গোপনীয় কাগজপত্রে দেখা যায় যে, দলীয় সদস্যবৃন্দের বাইরে তাদের অমুসলিম 'বন্ধু' ও 'সমর্থক' রয়েছে। সঙ্কটকালে তারা বিভিন্ন সুবিধার বিনিময়ে এদেরকে গোয়েন্দা হিসেবে ব্যবহার করে । প্রত্যেক সেলের নেতা তার সদস্যদের ভাল-মন্দ খোঁজখবর নেয় এবং বিপদে এগিয়ে যায়। এভাবে নিজেদের মধ্যে সহমর্মিতা ও এক ধরনের চেইন অব কমান্ড গড়ে ওঠে। দলে সদস্যভুক্তির পর নেতৃত্বের শীর্ষে উঠতে বিভিন্ন পর্যায়ে এক ধরনের পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে তাদের। এতে উত্তীর্ণ হলে পরবর্তী ধাপে যাবার সুযোগ সৃষ্টি হয়। প্রত্যেক স্তরের সদস্যদের কিছু আর্থিক সুবিধা আছে। শিবিরের কর্মীদেরকে মাঠ পর্যায়ে কাজ করার জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল প্রদান করা হয়। এ ছাড়া পদের গুরুত্ব অনুযায়ী কিছু বেতনেরও ব্যবস্থা আছে। [৪]
অন্য সংগঠনের অভ্যন্তরে শিবির
________________________________________
এছাড়া শিবির নিজেদের স্বার্থে অন্য ছাত্র সংগঠনগুলোর ভিতরে নিজেদের সাথী ও কর্মীদেরকে ঢুকিয়ে দেয়। এদের মাধ্যমে তারা খুব সহজেই অন্য সংগঠনগুলোর পরিকল্পনা ও কার্যক্রম সম্পর্কে আগে থেকেই সবকিছু জেনে যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বকর নিহত হওয়ার পর তাই জানা যায়, বকরের হত্যার সাথে জড়িত ছাত্রলীগ নেতা ফারুক একসময় শিবির করতো। এছাড়া দেশে এখন এই কথাটা প্রায়ই শোনা যাচ্ছে, ছাত্রলীগ এবং অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের ভিতরে শিবির ঢুকে গেছে। এই বিষয়ে সরাসরি কোনো প্রমাণ না থাকলেও শিবিরের সংগঠন পরিকল্পনার স্বার্থে অন্য ছাত্র সংগঠনে তাদের কর্মী ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া তাদের বেশ কিছু বিধর্মী বন্ধুও থাকে, অন্যান্য ধর্মের এসব ছাত্রদেরকে নিয়ে শিবির প্রায়ই চায়নিজ রেস্তোরায় খানাপিনার আয়োজন করে। এছাড়া এদেরকে বিভিন্ন ধরণের সুযোগ সুবিধা দিয়ে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে। যখন কোনো ক্যাম্পাসে বড় ধরণের সংঘাতে অথবা সংকটময় অবস্থায় পড়ে যায় তখন শিবির তাদের অন্য ধর্মাবলম্বী এসব বন্ধুদের কাজে লাগায়।
শিবিরের খুনী ও সন্ত্রাসীরা পার পেয়ে যায় যেসব কারণে
________________________________________
শিবিরের তৃণমূল পর্যায়েও কিছু করতে হলে কেন্দ্রের অনুমোদন নিতে হয়। এছাড়া কোন সাথী কোন এলাকায় থাকবে, কোন সদস্য কোন এলাকায় দায়িত্ব পালন করবে, কর্মীদের কি কি কাজ করতে হবে, সমর্থকদের কিভাবে দলে পুরোপুরি জড়িয়ে ফেলতে হবে এসব নির্দেশনা কেন্দ্র থেকেই দেওয়া হয়। শিবিরের দায়িত্ব দিয়ে কোন কলেজে কাকে পাঠানো হবে, শিবিরের সাথী ও সমর্থকদের এইচএসসি পাশ করে কোন বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে ভর্তি হতে হবে এটাও কেন্দ্র থেকে ঠিক করে দেওয়া হয়। এছাড়া কোনো একটা হত্যাকান্ড ঘটানোর পর যারা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকে তাদেরকে আত্মগোপনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ খুনের সাথে জড়িত থাকলে তাকে সিলেটে পাঠিয়ে দেওয়া হয় এবং তার খাওয়া দাওয়া আবাসন সহ সবকিছুর ব্যবস্থা সংগঠন থেকে করা হয়। এরপর হত্যা মামলা শেষ হয়ে গেলে অথবা আইনী ভাবে দুর্বল হয়ে পড়লে ঐ ঘটনার সাথে জড়িতরা প্রকাশ্যে বের হয়ে আসে। তখন তাদেরকে যে এলাকায় তারা ঘটনা ঘটিয়েছে ঐ এলাকা থেকে সরিয়ে অন্য এলাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর ফলে একজন খুনী খুব সহজেই নিজেকে সাধারণের সাথে মিশিয়ে স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা করতে পারে। এছাড়া একজন সদস্য জেলে থাকাকালীন সময়ে তার সব আইনী খরচ বহন করা করা ছাড়াও পরিবারের ভরণ পোষণও শিবির বহন করে থাকে। অনেক সময় দেখা যায়, আলোচিত কোনো হত্যাকান্ড ঘটানোর পর যখন দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয় ( যেমন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারুক হত্যাকান্ড ) তখন হত্যার সাথে জড়িতদের বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এজন্য শিবিরের সাথী হওয়ার সাথে সাথেই একজন কর্মীকে সংগঠন থেকে পাসপোর্ট করে দেওয়া হয়। যারা বিদেশে চলে যায়, তারা ওখানে গিয়ে বিভিন্ন সংগঠনের নামে শিবিরের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে এবং প্রতিমাসে বিপুল পরিমান টাকা শিবিরের ফান্ডে অনুদান হিসেবে পাঠায়।
পৃথিবীর নানা প্রান্তে নানা নামে শিবির
________________________________________
দেশের বাইরেও ভিন্ন ভিন্ন নামে ছাত্রশিবিরের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এই নাম পরিবর্তনের কারণ হিসেবে জানা যায়, সাধারণত সংশ্লিষ্ট দেশের ভাষা ও জাতীয়তাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নামে শিবিরের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। যাতে সে দেশের নাগরিকদের মধ্যে একে বিদেশী সংগঠন বলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি না হয়। এছাড়া সংগঠনে যাতে অন্যান্য মতাদর্শের মানুষকে সহজে জড়ানো যায় এই কারণেও শিবির নাম না দিয়ে ভিন্ন নামে সংগঠন পরিচালনা করা হয়। এছাড়া আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থার চোখ এড়াতে এবং বিশ্বব্যাপী শিবিরের নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি লুকাতে একেক দেশে একেক নাম দেয়া হয়েছে এ সংগঠনের। আরো মজার তথ্য হচ্ছে, একই কারণে বিদেশে এসব সংগঠন কাগজে-কলমে পরিচালনা করে সে দেশের নাগরিকরাই।
সাধারণত শিবিরের উদ্যোগেই দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ পর্যায়ের নেতাদের স্টুডেন্ট বা অন্য কোনো ভিসায় এসব দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া যারা হত্যা বা মামলা সংক্রান্ত ঝামেলায় জড়িয়ে যায় তাদেরকেও বিদেশে পাঠিয়ে এসব সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। মাঝে মাঝে বাংলাদেশ থেকে শিবির ও জামাতের কোনো কোনো নেতা গিয়ে বাইরের দেশের নেতাদের দিকনির্দেশনা দিয়ে আসে। সেখানে বসবাস করা নেতারা সে দেশের নাগরিকদের সঙ্গে মিশে সাংগঠনিক এসব নির্দেশনা সুকৌশলে বাস্তবায়ন করে।
কোন দেশে কী নামে শিবির
________________________________________
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির নাম পরিবর্তন করে ভারতে হয়েছে 'স্টুডেন্ট ইসলামিক অরগানাইজেশন অব ইন্ডিয়া'। একইভাবে এ সংগঠন 'শ্রীলংকা ইসলামিক মুভমেন্ট' নামে শ্রীলংকায়, পাকিস্তানে 'ইসলামী জামায়াতই তালাবা', সিঙ্গাপুরে 'দ্য মুসলিম কনভার্টস অ্যাসোসিয়েশন', মিয়ানমারে 'ইত্তিহাদ আল-তুল্লাব আল মুসলিমিন', ইন্দোনেশিয়ায় 'এল-ইসলামী লিল-তুল্লাব', তাইওয়ানে 'ইসলামিক কালচার ইনস্টিটিউট', মালয়েশিয়ায় 'মুসলিম ইউথ মুভমেন্ট অব মালয়েশিয়া', ফিজিতে 'ফিজি মুসলিম ইউথ মুভমেন্ট', নেপালে 'ইসলামী ইউয়া সান', কোরিয়ায় 'কোরিয়া মুসলিম ফেডারেশন', জাপানে 'মুসাতো সি', থাইল্যান্ডে 'দ্যা মুসলিম স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন', কাজাখস্তানে 'ডিরেক্টর অব ইফসো ইন সেন্ট্রাল এশিয়া', ঘানায় 'ইত্তিহাদ ইল-তালিবি ইল-মুসলিমিন', আলজেরিয়ায় 'ন্যাশনাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন', জর্দানে 'জর্দানিয়ান স্টুডেন্ট ইউনিয়ন', তুনুসে 'ই-ইত্তিহাদ ই এম লিল-তালিবি', সুদানে 'ইন্টারন্যাশনাল অরগানাইজেশন ফর মুসলিম ওমেন' ও 'ইল-ইত্তিহাদ লিল তুল্লাব', মৌরিতানিয়ায় 'ক্লাব ফর ইয়থ মৌরিতানিয়া', আইভরি কোস্টে 'অ্যাসোসিয়েশন দেস ইলেভেস', মরিশাসে 'মুসলিম স্টুডেন্ট মুভমেন্ট', কেনিয়ায় 'ইয়ং মুসলিম অ্যাসোসিয়েশন', দক্ষিণ আফ্রিকায় 'মুসলিম ইয়থ মুভমেন্ট' ও 'ইসলামিক দাওয়াহ মুভমেন্ট', তাঞ্জানিয়ায় 'মুসলিম স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন', নাইজেরিয়ায় 'এমএসএস ইসলামিক সেন্টার', উগান্ডায় 'মুসলিম স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন', বেলজিয়ামে 'ইউনিয়ন ইসলামিক', ফ্রান্সে 'অ্যাসোসিয়েশন দ্য মুসলমাঁ', জার্মানিতে 'মুসলিম স্টুডেন্ট ইউনিয়ন', ইউরোপে 'ইয়থ মুসলিম অ্যাসোসিয়েশন', ইতালিতে 'হোল্লাদ সেনত্রো ইসলামিকো দ্য মিলানো', স্পেনে 'অ্যাসোসিয়েশন ইসলামিকা আল-আন্দালুস', সুইজারল্যান্ডে 'অ্যাসোসিয়েশঁ কালচারেলোই ডেস', সাইপ্রাসে 'ইয়থ ফাউন্ডেশন', আলবেনিয়ায় 'ইত্তিহাদ ইল-তালিবি দ্য মুসলিমিন', পোল্যান্ডে 'মুসলিম স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন', হাঙ্গেরিতে 'মুসলিম স্টুডেন্ট ইউনিয়ন', সুইডেনে 'ফেডারেশন অব ইসলামিক স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন', যুক্তরাষ্ট্রে 'ফেডারেশন অব অস্ট্রেলিয়ান মুসলিম স্টুডেন্ট অ্যান্ড ইয়থ', ইংল্যান্ডে 'এফওএসআইএস' এবং ইউক্রেনে 'স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ সেন্টার'। [৫]
দেশের মতো শিবিরের বিদেশের এসব শাখাও নিয়ন্ত্রণ করছে জামাত। সংগঠনের কর্মপদ্ধতি ও পরিবেশ অনুযায়ী কখন কী ধরনের কার্যক্রম হাতে নিতে হবে সে বিষয়ে জামাতের পরামর্শে কর্মপদ্ধতি ঠিক করা হয় বলে জানা গেছে। বিদেশের এসব সংগঠন জামাত-শিবিরের দেশের বাইরের নিরাপদ আস্তানা। দেশে বড় ধরনের অরাজকতা এবং হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে এসব সংগঠনের ছত্রছায়ায়ই বিদেশে আশ্রয় নেয় শিবিরের খুনী
সন্ত্রাসীরা । এছাড়া এসব সংগঠন থেকে প্রতিমাসে শিবিরের ফান্ডে লাখ লাখ টাকা পাঠানো হয়।
______________________________________________________
বাংলাদেশে যেভাবে শিবিরের উত্থান- ০১
বাংলাদেশে যেভাবে শিবিরের উত্থান- ০২
বাংলাদেশে যেভাবে শিবিরের উত্থান- ০৩
মন্তব্য
জামায়াতি শিক্ষা, প্রকাশনা ও বিশেষ করে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক গুলোর নামের তালিকা ও
তাদের কু-কাজের বিবরন দরকার।
ওদেরকে বয়কট করতে পারলে জামাত ও শিবির কিছুটা হলেও দুর্বল হয়ে পরবে।
জাকির ভাইকে ধন্যবাদ চমৎকার এই লেখাটির জন্য।
কাজির বাজার মাদ্রাসা বাদ পড়ে গেছে, এটা নিয়ে কিছু লেখা দরকার ছিল।
বর্তমানে লামাবাজারের মিডটাউন কমপ্লেক্স শিবিরের একটি শক্ত ঘাটি। মদনমোহন কলেজের হোস্টেল লামাবাজার থেকে সরানোর পর থেকে এই মিডটাউন কমপ্লেক্স ঘিরে গড়ে উঠছে শিবিরের কর্মকান্ড।
শাহাজালাল ইউনিভার্সিটি নিয়ে আলাদা একটি পোস্ট চাই। (নামকরন আন্দোলন ও জামাতপন্থী শিক্ষকদের নিয়ে)
সিলেটের সবাই জানে মিডটাউন কমপ্লেক্স শিবিরের একটা অস্ত্র গুদাম, অথচ রাব পুলিশকে মিডটাউনে অভিযান চালাতে শুনিনি।
কাজিরবাজার মাদ্রাসা কিন্তু জামাত পন্থী না, ওরা কওমি আন্দোলনে জড়িত। আরো মজার তথ্য হচ্ছে, কাজিরবাজার মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল বুলবুলি ২০০৭ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়েছিল !
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় আর নামকরণ আন্দোলন নিয়ে আলাদা পোস্ট লেখার ভাবনা আছে।
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
'৮৮ র প্রতিরোধে কাজীর বাজার মাদ্রাসা এবং ফুলতলী জামাতের বিরুদ্ধে ছিলো যদিও শেষপর্যন্ত এ দুটো ও রাজাকার এবং প্রগতির ভয়ংকরা শত্রু।
ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর নিজেদের আভ্যন্তরীন সমস্যা আছে অনেক তবে এটাকে কাজে লাগিয়ে কাটা দিয়ে কাটা তোলার কার্যকরী উদাহরন বিরল বরং এর উল্টোটাই সহজলভ্য।
আসল সময়ে সব হারামজাদারাই এক।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
কাজিরবাজার মাদ্রাসা বরাবরই প্রগতির শত্রু। তবে সিলেটে জামাত শিবিরের সবচেয়ে বড় প্রতিরোধের নাম কিন্তু কাজিরবাজার মাদ্রাসা ! কারণ, জামাত শিবিরকে কওমিরা সবসময় ভন্ড বলে, এবং তারা চায় না ভন্ডামি করে জামাত শিবির ইসলামের নামে রাজনীতি করুক। ফুলতলীর দল তালামীজের বেলায়ও একথা খাটে। জনবল থাকলেও সাংগঠনিক ভাবে এই দুটো দল জামাত শিবিরের ধারে কাছেও যেতে পারে না। এর প্রধান কারণ হচ্ছে, জামাত শিবির তার নিজস্ব নীতিমালা মেনে একক সিদ্ধান্তে পরিচালিত হয়, তাদের নিজেদের সংগঠনের স্বার্থে তারা নিজেরাই অর্থনৈতিকভাবে আলাদা একটা অবস্থানে চলে গেছে। অন্যদিকে কাজিরবাজার মাদ্রাসা বা ফুলতরী অনুসারীদের একক কোনো নেতা নেই, সংগঠনের তেমন কোনো নীতিমালা নেই এবং তাদেরকে চলতে হয় মানুষের দেওয়া অনুদান, লিল্লাহ ও যাকাতের টাকায় ।
২০০৬ সালে ইয়াজউদ্দিন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই সারাদেশের মতো সিলেটে যে তান্ডব শুরু হয়, আওয়ামীলীগকে রুখতে জামাত শিবির তাদের স্টাইলে রাস্তায় নেমে এসেছিলো, সেদিন কোনো আওয়ামী বা ছাত্রলীগ কর্মী জামাত শিবিরকে রুখতে পারেননি, কাজিরবাজার মাদ্রাসার ছাত্ররাই সিলেটে তখন জামাত শিবিরের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলো। এরা না থাকলে জামাত শিবির এতদিনে সিলেটকে নিজেদের পৈতৃক সম্পত্তি বানিয়ে ফেলতো !
খারাপের মাঝেও হয়তো কিছু ভালো আছে !
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
তথ্য বহুল লেখা। গোগ্রাসে পড়লাম লেখাটা।
মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....
চমৎকার গোছানো এবং তথ্যবহুল লেখা।
বাংলাদেশের সব অঞ্চলের শিবিরের উত্থান ও নৃশংসতার আর্কাইভ হওয়া দরকার।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
গ্রামের স্কুল থেকে সেভেন পাস করার পর শহরে এসে ভালো স্কুলে ভর্তি হবার সময় পেরিয়ে গেলে আমার পরিবার আমাকে শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া স্কুল এন্ড কলেজ নামক এক নরকে -ক্লাস এইটে ভর্তি করে দেন । আমি ৩ বছরের জন্য জগন্য এক পরিবেশে প্রবেশ করি । জামেয়ায় আমার কোন বন্ধু ছিলো না, ২/১ জনের সাথে একটু ঘনিষ্টতা ছিলো এই যা, এখনো আমার স্কুলমেটদের সাথে রাস্তাঘাটে দেখা হলে কেমন জানি অস্বস্তি লাগে ।
আমার গ্রামের স্কুলে এসেম্বলিতে আমি মাঝে মাঝে অন্যদের সাথে জাতীয় সংগীত গাওয়ার জন্য মাইক্রোফনের পাশে যেতাম , ২১শে ফেব্রুয়ারিতে আমরা প্রভাতফেরি করতাম , আমাদের গ্রামের স্কুলে একটি খুব সুন্দর শহীদ মিনার ছিলো (এখনও বেশ ভালোভাবেই আছে)। তো সেইরকম একটা পরিবেশ থেকে এসে আমি জামেয়ায় প্রথমে যেটা আবিষ্কার করলাম তা হলো , এই স্কুলেও এসেম্বলি হয় কিন্তু সেখানে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয় না (বর্তমানে হয় কিনা জানিনা); এমনকি প্রতিটি জাতীয় দিবসের ছুটি ঘোষনার সময় প্রায় প্রত্যেক শিক্ষক একধরনের ব্যঙ্গ করত- বুঝাতে চেষ্টা করতো এই সময় দিবস ফাউ, অপ্রয়োজনীয় - ফুল দেয়া হিন্দুয়ানী ইত্যাদি (বর্তমান সরকার বাধ্যতামূলকভাবে জাতীয় দিবস উদযাপনের নির্দেশ দিয়েছেন- জানিনা জামেয়ায় সেটা কীভাবে পালিত হয়! )।
এসেম্বলিতে পাঠ করানো হতো জামেয়ার শপথ; তাই এসেম্বিলতে যাওয়া থেকে সবসময় পালাতে চাইতাম- পালাতে পারলেও ক্লাসে এসে নানা শাস্তি পেতে হতো । এছাড়াও ক্লাস এইট পর্যন্ত আরবী নামের একটি বিষয় ছিলো - ক্লাস এইটেই গিয়ে ওখানে ভর্তি হওয়ায় আমাকে ওই বিষয় মাত্র একবছর পড়তে হয়েছিলো।(যদিও কিছুই বুঝতাম না , ৩টার্ম মিলে কোন মতে পাস করেছিলাম) ।
ওই স্কুলে শিবিরের লোকজন প্রতিদিন আসত মিটিং করতে এবং আমাদের মতো স্কুল পড়ুয়াদের সমর্থক ফরম পূরন করাতে , কিশোর কন্ঠ দিতে ; অনেক কষ্ট করে এদেরকে এড়িয়েছি , সমর্থক ফর্ম পূরন করা এড়ানো গেলেও কিশোর কন্ঠ কিনতে হয়েছিলো অনেকটা বাধ্য হয়েই । শিবিরের বেশিরভাগ মিটিং হতো টিফিন টাইমে ,জামেয়ার জন্য যেটা আবার বাধ্যতামূলকভাবে জোহরের নামাজের জন্য বরাদ্দ ছিলো । নামাজ না পড়তে গেলে আব্দুস শাকুর (তখনকার ভাইস প্রিন্সিপাল) তার পায়ের জুতাও ছুড়ে মেরেছে অনেকদিন। স্কুলের মসজিদে শিবির "ইসলামিক আলোচনা"র নামে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়েছে (এখনও হয়ত চালাচ্ছে)।
ভীষন রকম মনোপীড়ায় আমি ভুগেছি জামায়ায় পড়ার সময়টায়; জনি নামক সহপাঠি'র সাথে অনেক মারামারি হয়েছে (এই জনি এসএসসির সময়ই শিবির সাথী হয়েছিলো- জনিকে আমি সর্বশেষ বছর দেড়/দুই আগে আবিষ্কার করি সিলেটের উঠতি নাট্যদল নগরনাটের নাটক - "হর ধনু ভঙ্গ" দেখতে দিয়ে ; নগরনাটের অসিমের সাথে এই নিয়ে আলাপ করলে তিনি জানান সে আর শিবিরের সাথে যুক্ত নয়- খুব সম্ভবত জনি এখন লন্ডনে আছে) ; বলা ভালো জনিদের সাথে মারামারি করতে যেয়ে মার খেয়েছি , ওরা অনেকজনের গ্রুপ ছিলো, তার বিপরীতে আমি ছিলাম একা- নিসঙ্গ!
এসএসসি পাস করার আমি মুক্তি পাই, আর এইচএসসির পরে বন্ধুসভায় গিয়ে অনেক বন্ধু পেয়ে জীবনে অনেক প্রান আসে ।
আমার এক চাচার বাসা ছিলো মিরাবাজার জামেয়ার পাশে। চাচাতো ভাইয়েরা জামেয়াতে পড়তো। কৈশোরে যখন আমি মাসুদ রানা আর তিন গোয়েন্দা পড়তাম, তখন ওরা পড়তো কিশোর কন্ঠ। ওদের কাছে নানা রঙ বেরঙের স্টিকার দেখতাম, সবগুলোতে থাকতো রাজাকার সম্রাট গোলাম আযমের বাণী, আমি তখন গোলাম আযম রাজাকার এটা জানতাম, এবং এই কথাটা চাচাতো ভাইদের বলেছি, ওরা আমাকে এসব ভুল কথা বলে ধমক দিছে, তারপর একদিন চাচা ওদের কাছে এসব স্টিকার পেয়ে যান। তারপর জামেয়া থেকে ওদেরকে আমাদের স্কুলে ভর্তি করে দেন। এই চাচাতো ভাইয়েরা আমার স্কুলে আসার
বুঝতে পারে, হাজার হাজার ছেলে গোলাম আযমকে কিভাবে ঘৃণা করে, তখন তাদের চোখ খুলে যায়।
সেদিন জামেয়ার পিচ্চি এক ছেলেকে জিজ্ঞেস করলাম, নিজামী মোজাহিদকে গ্রেফতার করা নিয়ে তোমাদের ক্লাসে কি বলে ? ছেলেটা আমাকে বললো, স্যাররা বলেন, দেশটা আওয়ামীলীগ ইন্ডিয়ার কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে, আর কেউ যাতে কথা বলতে না পারে এজন্য নিজামী সাঈদী মোজাহিদের মতো আলেম মানুষদের গ্রেফতার করছে।
একটা স্কুলের ছোট ছোট ছেলেদের কাছে এরা কিভাবে একজন যুদ্ধাপরাধীকে মহান করে তুলে এটা জামেয়ার ছাত্র না হলে কেউ বুঝতে পারবে না।
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
জনি "হর ধনু ভঙ্গ" নাটকে সম্ভবত রাবনের পাঠ নিয়েছিলো
রাবণের পাঠ করে শিবিরের সাথী !
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
লেখক কে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন কষ্ট করে লেখাগুলো ব্লগে দেবার জন্য।
আচ্ছা একটা বিষয় কি ভেবে দেখেছেন, যদি চারদল আবার ভবিষ্যতে ক্ষমতায় আসলে কি কান্ডটা করবে? এত ঝামেলার পরেও কিন্তু বিএনপির তার কাঁধ থেকে জামাত কে ঝেড়ে ফেলল না। এরপর জামাতের রাজনীতি বন্ধ না করা গেলে দেশে মুক্ত চিন্তা করা মানুষদের খবর আছে। প্রতিহিংসা কাকে বলে, সেটা তখন হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যাবে।
বিষয়টা ভাবতেই শিউরে উঠতে হয়।
এখানে আওয়ামীলীগেরও অনেক দোষ আছে। তারা ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধের ব্যাপারে জোরেশোরে কোনো কথা বলছে না। কারণ, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ হয়ে গেলে জামাত আর অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর ভোট বিএনপি পেয়ে যাবে, তাদের মাথায় এখন এই ভোট চেপেছে !
কপালকে মেনে নেওয়াটা এই দেশের মানুষের নিয়তি হয়ে গেছে সেই কবে !
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
আওয়ামী লীগের দোষ তো অবশ্যই আছে। পুরাতন দল হিসেবে তারই দায়িত্ব ছিল বিএনপির মন থেকে অবিশ্বাস দূর করে তার ঘাড় থেকে জামাতকে নামানো। তা তো হয়নি বরং জামাত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরোধীতার ক্ষেত্রেও বিএনপির মৌন সম্মতি পেয়েছে। আমার তো মনে হয় পরবর্তিতে চারদল ক্ষমতায় এলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কে "ভ্রান্ত বিচার" বলে প্রমান করার চেষ্টা করবে। তারা তখন সব গণমাধ্যম কে কাজে লাগিয়ে এমন প্রচারনা চালাবে যেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া ছিল জামাত-বিএনপি কে বিপদে ফেলার জন্য, প্রকৃত পক্ষে দেশে যুদ্ধাপরাধী বলে কিছু ছিল না।
তবে বিএনপি বারবার এই জামাত-শিবির দ্বারা ব্যবহৃত হবে, সেজন্য এর নেতাদের ব্যর্থতা কোন ভাবেই অস্বীকার করা যাবে না। হয়তো কিছুদিন পরে হয়তো দেখা যাবে জামাত নামে কোন দলই থাকবে না। কারন বিএনপি পুরোটাই জামাত দখল করে নেবে। বিএনপির সাম্প্রদায়ীক গোঁয়ার্তুমি-ই হবে এর পেছনে মূল কারন।
বাংলাদেশে যখন একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীরা মুজিব আমলে কোনঠাসা ছিলো, এরাই পচাত্তর পরবর্তী সময়ে বিএনপির নানা পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়ে। শোনা যায়, জামাতের অনেক রোকন নাকি সেসময় বিএনপিতে ঢুকে যায়। আর এদের কারণেই নাকি খালেদা এখন জামাত বলয় থেকে বের হয়ে আসছে না। বিএনপির বর্তমান এক যুগ্ম মহাসচিব হিণ্হিত যুদ্ধাপরাধীর ছেলে। এখন এরা যদি দলের হাল ধরে থাকে তাহলে বেশি দিন লাগবে না জামাত বিএনপি এক দল হয়ে যেতে !
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
বুঝলাম না। ৩০ বছরের রাজনৈতিক দল, বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘসময় ক্ষমতা থাকাদলটি কি ফিডিং বেবী নাকি যে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানেনা? জানেনা কারা যুদ্ধাপরাধী?
বিনপি জামাতকে কাঁধে তুলে নিয়েছে এটা ও কি আওয়ামী লীগের দোষ নাকি?
আওয়ামী লীগ ঠিক কি কি করলে বিএনপির মন থেকে আপনার কথিত অবিশ্বাস দূর করে জামাতকে তার ঘাড় থেকে নামাতো বলে আপনার মনে হয়?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
@হাসান ভাই,
বেশ কিছু জায়গায় বিএনপির নেতারা বলার চেষ্টা করেছে যে তারা যদি জামাত কে ছেড়ে দেয়, তবে নিশ্চিৎ আলীগ জামাত কে নিজের দলে ভেড়াবে। এই কথা বলে তারা অনেক সময়ই তৃণমূল পর্যায়ের নেতা কর্মীদের বুঝ দিয়েছে। আমি জানি যারা এই কথা বলে, তারা হল বিএনপিতে মিশে থাকা জামাতি। তারা সব সময় জামাতিদের স্বার্থই দেখবে। তবে এই ছদ্মবেশীদের কথা বলার সুযোগ কি আলীগ করে দেয়নি? যে স্বৈরসাশক এরশাদকে দেশের সবগুলো দল মিলে ক্ষমতাচ্যূত করেছে, আজ সেই পতিতা দলের সাথে আলীগ আঁতাত করছে। জামাতিদের সাথে অতীতে আলীগ গা ঘষাঘষি করেছে।
আমি ভাল ভাবেই জানি বিএনপি মূলত দলছুট, ধান্দাবাজ, ঊর্দিধারীদের নিয়ে গড়া বারোয়ারী সংগঠন। নীতিবোধ বিচারে তাকে আমি আলীগের চেয়ে খাট করেই দেখি। বলে রাখা ভাল, আমি আবার আলীগের সব নেতাকে গণহারে সার্টিফিকেট দিচ্ছি না। সেখানেও প্রচূর ধান্দাবাজ লোক আছে। তবুও সেখানে অভিজ্ঞ অনেক নেতা আছেন। তাঁরা কেন এমন পরজীবিকে (এরশাদ) নিজের দলে ভেড়ানোর চিন্তা মেনে নেন? কেন তা বিরোধী দলের নেতারা সাধারন কর্মীদের মনে ভয় ঢোকানোর সুযোগ পায় যে আলীগ জামাতিদের দলে ভেড়াতে মুখিয়ে আছে? এটা কি এই দলটার ব্যর্থতা নয়। বিএনপি-আলীগ সমঝোতা আলোচনা কোনটি কি সাফল্যের মুখ দেখেছে? সব সময় তৃতীয় পক্ষের প্রয়োজন হয়েছে। এরা নিজেরা কিছুই সমাধান করার ক্ষমতা রাখে না। আর এই সুযোগগুলো নেয় জামাতের মত পরগাছাগুলো। বিএনপির তো ফিডার খাবার প্রশ্নই আসে না। তিরিশ বছরে তারাও যথেষ্ট অভিজ্ঞ। তবুও আমার কেন যেন মনে হয় আলীগের দায়িত্ব একটু বেশি।
আমি ভয় দূর করার কথা দিয়ে এসবই বোঝাতে চেয়েছি।
আর বিএনপির কাঁধ থেকে জামাত কে নামাতে হলে যা যা করা দরকার তা বলতে গেলে অনেক বলতে হবে। তবু আমি কয়েকটা বিষয় পয়েন্ট আউট করি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পরেই তাদেরকে ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি বিরোধী আন্দোলনে আসতে হবে। আর বিএনপি যতই চোর চামার দিয়ে গড়া দল হোক না কেন, তার সাথে “মুখ দেখাদেখি বন্ধ” টাইপ বিভেদ কমিয়ে আনতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই।
ধন্যবাদ।
=================
সাদাচোখ
বিএনপির অনেক তরুণ নেতা আছেন, ব্যক্তিগতভাবে অনেকের সাথে যুদ্ধাপরাধী ইস্যূতে কথা বলতে গেলে তারা লজ্জিত বোধ করেন। আপনার আমার মতো সাধারণ মানুষ যেমন বিএনপির যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষের অবস্থানকে মেনে নিতে পারি না, ঠিক তেমনি বিএনপির এই তরুণ নেতৃত্ত্বও এই বিষযটা মেনে নিতে পারেন না, কিন্তু বিএনপির কট্টরপন্থি আর জামাতপন্থিদের কারণে তারা দলে কোণঠাসা। সেদিন যেমন বিএনপির এক নেতা খালেদা জিয়াকে ১৫ আগস্ট জনমদিন পালন করা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন, ঠিক তেমনি দেখবেন, বিএনপির একটা তরুণ অংশ জামাতবিরোধী অবস্থানে সরাসরি চলে গেছে। আর যদি এমন না হয় তাহলে তো আওয়ামীলীগের জন্যই ভালো, তরুণ ভোটাররাই আগামীতে সরকার গঠনে বড় ভূমিকা রাখবে, এখন তরুণরা যে যুদ্ধাপরাধীর বিচার চায়, গোলাম আযম নিজামীর বিচার চায়, এটা দেশের সব মানুষের মতো আওয়ামীলীগও ভালো করে জানে। আর এজন্যই ভোট ব্যাংক শক্তিশালী করতে তারা কি বিএনপির মতো ভুল করবে বলে মনে করেন, বিএনপি যদি জামাতকে ছেড়ে দেয়, তাহলে তো তরুণদের ভোটগুলোও বিএনপির ঘরে চলে যাওয়ার সম্ভবনা থেকেই যায় !
আওয়ামীলীগের জামাতকে দলে ভেড়ানোর কোনো সুযোগ নেই, আওয়ামীলীগ জামাতকে দলে ভিড়িয়ে ফেলবে, এই কথাটা হাস্যকর।
এরশাদ একটা পরগাছা, পরগাছা থাকতে থাকতেই ও একদিন এমনি এমনিই ঝরে পরে যাবে !
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
আসলেই একটা ভাল পোষ্ট ।ধন্যবাদ জাকির ।আমি যতটুকু জানতাম তার সবটুকুই পোষ্টে এবং উপরের আলোচনায় এসেছে ।বরং নতুন কিছু তথ্য পেলাম যা আগে জানতাম না ।যেমন- গার্লস স্কুলের কথা ।সত্যিই হাস্যকর ।
আমি স্কুল জীবন থেকেই শিবিরকে গালি দিয়ে আসছি ।এখনো এর ব্যতিক্রম নই ।আমার কপাল ভাল আমি জামেয়াতে পড়ি নি ।এইডেড স্কুলে পড়ার সময় ক্লাস ৮ থেকেই শিবিরের কর্মীদের নজরে পরে যাই ।অনেক কষ্টে ওদের নজর এড়িয়ে কিছুদিন চলি ।কিন্তু বেশিদিন পারিনি ।ক্লাস ৯ এর শেষের দিকে একদিন অতিষ্ট হয়ে এক শিবির কর্মীকে মারতে উদ্যত হই ।আমরা একসাথে ৫-৬ জন থাকায় ওরা দু'জন পালিয়ে যায় ।তার কয়েকদিন পরে লতিফ সেন্টারের পেছনের গেইটে আমাকে একা পেয়ে আমার কলার চেপে ধরে আমাকে নানা ধরনের হুমকি দেয় ।ঐ শিবির কর্মীর নাম ছিল সম্ভবত সাঈদ ।এর পরে ওদের স্কুলের আসেপাশে যত দিনই দেখেছি ততদিনই তাড়িয়ে দিয়েছি ।কিন্তু কলেজে আসার পর আর তা পারিনি ।কারণ,মদন মোহন কলেজে শিবির সবসময়ই শক্ত অবস্থানে ছিল ।আর আমার একার পক্ষে ওদের বিপক্ষে কথা বলা সম্ভব ছিল না ।আর কোন রাজনৈতিক দলে যোগ দেয়াও আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না ।
তবে সবচেয়ে আশার কথা হচ্ছে ইদানিং কিছু কিছু শিবির কর্মী শিবির থেকে বেরিয়ে আসছে ।আমি আমার কয়েকজন বন্ধুকে দেখেছি যারা কলেজে থাকতে খুব শিবির শিবির করত ।তারাই এখন শিবিরের কান্ডকারখানা দেখে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে ।কয়েকদিন আগে 'বকলম'-এ অনিমেষ হৃদয়-এর ব্লগ 'যুদ্ধাপরাধী...???' পড়ে বুঝলাম শুধু সিলেটে না,আরো অনেক জায়গায় এটা চলছে ।
তোদের স্কুলের ছেলেরা বরাবরই রাফ এন্ড টাফ ছিলো, তাছাড়া মানস বাবু থাকার সময় শিবির স্কুলের আশেপাশে ঘেষতে পারতো না, এটা জানি, তোদের স্কুলের ছেলেদের স্কুলবেলার গুন্ডামিকে ওদের প্রয়োজন ছিলো। কিন্তু এইডেড স্কুলের খুব কম ছেলেকেই আমি শিবির করতে দেখছি। ওদের টার্গেট ছিলো মূলত জামেয়া আর আমাদের স্কুল। আমাদের স্কুলেও তোদের মতো খুব একটা পাত্তা পেতো না, একবার চমক ( ক্রসফায়ারে নিহত ছাত্রদল ক্যাডার ) স্কুলে থাকাকালীন সময়ে শিবিরের কর্মীরা তার এক বন্ধুকে শিবির করার জন্য ভয়ভীতি দেখিয়েছিলো, তারপরের ঘটনা আরো মজার, স্কুল ছুটির পর একদিন দেখি, শিবিরের দুই কর্মী নদীর পাড়ে রক্তাক্ত অবস্থায় গড়াগড়ি খাইতেছে, ঘটনা জানতে গিয়ে জানলাম, চমক নাকি এদের দুজনকে স্টেপ করেছে। এরপর স্কুল পরিচালনা কমিটি ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির দৃষ্টিগোচর হয়, তারপর থেকে শিবিরকে স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে প্রশাসন ও স্কুলের পক্ষ থেকে নিষেধ করা হয়। সেই নিষেধাজ্ঞা তাদের কানে কোনোকালে ঢুকেনি, তারা এখনো দাঁড়িয়ে থাকে।
সিলেটে ওদের সবচেয়ে বড় কর্মী তৈরির কারখানা হচ্ছে মদনমোহন কলেজ ও আলিয়া মাদ্রাসা, এই দুটো প্রতিষ্টানে ওদের কোমর ভেঙ্গে দিতে পারলে ওরা সিলেটে অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়বে।
গোলাম আযমের ছেলের ব্যাপারটা শুনে আমিও তাজ্জব হয়ে গিয়েছিলাম। তারপর সিলেট এসে যখন একটু নাড়াচাড়া শুরু করলাম, তখন শুনি ঘটনা সত্য। ভাবতেই কষ্ট লাগে, এক রাজাকারের ছেলে মেয়েদের স্কুল থেকে মেট্রিক পাশ করে সেনাবাহিনীর ব্রিগ্রেডিয়ার হয়ে গেছে !
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
খুবই গোছানো একটা সিরিজ
দুর্দান্ত
ধন্যবাদ লীলেন ভাই।
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
দরকারী লেখা
আমরা এতো খারাপ ছিলাম নারে ভাই ।তবে এখন স্কুলের অবস্থা খুবই খারাপ ।রাজনৈতিক দলগুলোর প্রায় দখলেই বলা যায় স্কুল ।
দোয়েল হত্যাকান্ডের পরে মদন মোহন কলেজে শিবির ছিল না বললেই চলে ।তখন অন্য দলগুলো যদি শক্ত অবস্থান নিত তাহলে শিবিরকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে খুব বেগ পেতে হত । কিন্তু ওরা নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত ছিল বলে শিবির আবার জেঁকে বসেছে ।তবে ছাত্রাবাস ভেঙ্গে দেয়ায় ওরা এখন কিছুটা দুর্বল অবস্থানে আছে ।কলেজে এখন যাই না বলে ওদের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে কোন তথ্য দিতে পারলাম না ।
কথাটা অন্যভাবে না নিলেই ভালো হবে। আমি বলতে চেয়েছি, এইডেড স্কুলের ছেলেরা বরাবরই একটু সাহসী। এই সাহসী ছেলেদেরকে শিবিরের পরবর্তী সময়ে প্রয়োজন ছিলো, আর জানিস তো, পড়ালেখা করতে করতে সাহস কি জিনিষ, জামেয়া আর আমাদের স্কুলে ছেলেরা এটা জানতো না। তোদের পড়ালেখার চাপ কম ছিলো, তাই একটু মারামারি, জিন্দাবাজরে সিগারেট ফুঁকা, তারপর তাঁতীপাড়ার গলির মুখে মাস্তানি...এগুলোর কথাই বলছিলাম।
তবে এইডেড স্কুলের ছেলেদের সবচেয়ে ভালো গুণ হয়তো এটাই ছিলো, স্কুল জীবনে ওরা কখনো শিবিরকে পাত্তা দেয়নি।
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
দুর্দান্ত পোস্ট
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
একটা গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ হচ্ছে। খুবই প্রয়োজনীয়।
ধন্যবাদ আরিফ ভাই ।
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
খবর নিয়ে জানলাম,আজকাল শিবিরের ছেলেরা নাকি মদন মোহন কলেজে বেশি ঢুকে না । মামলার কারণে বেশির ভাগ কর্মী নাকি আত্মগোপন করে আছে । আবার ওদের কর্মীদের মধ্যে যারা নতুন, পড়ালেখা করে তারা কলেজে সবসময় আসে এবং দলের হয়ে কাজ চালায় । গ্রাম থেকে উঠে আসা গরিব কিন্তু সাহসী এমন ছেলেদের তারা কলেজের বাইরে ফাইটার হিসেবে তৈরি করছে । থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা দল থেকে করে দেয়ায় ঐ সহজ সরল ছেলেরা দলের নামে চোখ বুজে কাজ করছে ।
সিনিয়র যাদের আসামীর তালিকায় নাম নেই, তারা মসজিদের সামনে বসে থাকে আর অবুঝ ছাত্রদের মসজিদের ভেতরে নিয়ে গিয়ে ব্রেইন ওয়াস দেয় । এমনকি মাদ্রাসার ছাত্রদেরও নাকি সার্ট পেন্ট পরিয়ে ভদ্র সাজিয়ে কলেজে পাঠায় । যেন কেউ সন্দেহ করতে না পারে ।এতো কিছুর পরও ওদের এই জালিয়াতি কেউ ধরতে পারছে না কেন বুঝলাম না ।
নতুন মন্তব্য করুন