গো এহেড ইয়াসমিন হক, জাহানারা ইমাম আমাদের মা

জাহামজেদ এর ছবি
লিখেছেন জাহামজেদ [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ০৭/০৯/২০১০ - ৮:০৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নষ্ট বীজ থেকে কখনো ভালো ফসল হয় না ! স্কুলে যখন পড়তাম তখন আমাদের প্রিয় এক শিক্ষক সবসময় এই কথাটি বলতেন। স্যারের ভাষায়, নষ্ট বীজ গোলাম আযম, স্কুলে পড়ার সময় আমরা যারে গু আযম কইতাম, আর স্যার বলতেন নষ্ট বীজ, আর নষ্ট বীজের ফসল ছিলো তার পরবর্তী প্রজন্ম, জামাত শিবির মৌলবাদী চক্র !

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. ইয়াসমিন হককে আমরা অনেকেই চিনি, খুবই আন্তরিক একজন মানুষ, সদা হাস্যময়, বিশ্ববিদ্যালয়ের জনপ্রিয় শিক্ষক, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান, এটা ছাড়াও তার আরো একটি পরিচয় হলো, তিনি ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের স্ত্রী। লেখায় ইয়াসমিন হকের কথা কেন আসছে, কারণ আছে, আর কারণ আছে বলেই ইয়াসমিন হক আজ টানছেন ইতিহাসের পাতা। শৈশব থেকে জানি, ইতিহাসের পাতা উল্টিয়ে জানি, একাত্তরের দিনগুলি পড়ে জানি, শহীদ জননী জাহানারা ইমাম সবুজ প্রান্তরের বাংলাদেশে আমাদের জননী, শহীদ রুমির মা, যুদ্ধাপরাধীর বিচার চাই- দেশের আনাচে কানাচে এই স্লোগান ছড়িয়ে দেয়া, তারুন্যের হাতে তুলে দেয়া ব্যাটন, তিনিই আমাদের মা. এই দেশের সব সন্তানের প্রাণপ্রিয় মাতা।

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষক এবার লেগেছেন ইয়াসমিন হকের পেছনে, শিক্ষক, নাকি নষ্ট বীজের ফসল ? নষ্ট বীজ মিলেনিয়ামের শুরুতে বেশ কিছু চারা লাগায় শাবি ক্যাম্পাসে, মেঘ রোদ বৃষ্টিতে সেই বীজ চারাগাছ হয়ে আজ বৃক্ষ ! নষ্ট বীজের ফসল আজ মাথা তুলে দাঁড়াতে চায়, ইয়াসমিন হকের বিরুদ্ধে তারা অভিযোগের ফর্দ বানায়, ভিসির দরবারে গিয়ে পেশ করে আসে অভিযোগ নামা।

গত একুশে ফেব্রুয়ারি ও স্বাধীনতা দিবসে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা জাহানারা ইমাম ছাত্রী হল লেখে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। ঘটনার শুরু এখান থেকেই। এটা দেখার পর আবার নড়ে চড়ে বসে নষ্ট বীজের সব ফসল। তাদের কথা হচ্ছে, শাবির মেয়েদের হলের নাম প্রথম ছাত্রী হল, আর মেয়েরা ফুল দিচ্ছে জাহানারা ইমাম হলের নামে। এটা নাকি বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্তিতিশীল করে তুলতে ইয়াসমিন হকের ষড়যন্ত্র!

১৯৯৯ সালের ৩০ আগস্ট শাবির ৮৭ তম সিন্ডিকেট সভায় বেশ কজন খ্যাত ব্যক্তির নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি হল এবং ৬টি ভবনের নামকরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেই নামকরণ প্রস্তাবে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নামও ছিলো। আর এটাকে পুঁজি করে জামাত শিবির চক্র শুরু করে আন্দোলন, তাদের সাথে এসে যোগ দেয় বিএনপিও। নামকরণ বিরোধী আন্দোলন নামে সিলেটে তারা হরতাল ঘেরাও জ্বালাও পোড়াও নীতির পথ বেছে নেয়। জাহানারা ইমামের শরীরে বারবার সেঁটে দেওয়া হয়, বিতর্কিত একজন মানুষ এই উপাধি, শাহজালালের নামের পাশে তার নাম থাকলে নাকি শাহজালাল অপবিত্র হয়ে যাবেন, অথচ আন্দোলনকারী জামাত শিবির চক্র শাহজালালের মাজারকে বলে ভন্ডামির কারখানা ! তাই সহজে বোঝা যায়, শাহজালালের নামের পাশে কারা নাম এলো গেলো এটাতে তাদের কোনো সমস্যা ছিলো না, তাদের সমস্যা ছিলো, জাহানারা ইমামের নাম নিয়ে, যিনি তাদের বাপ গোলাম আযমের গলায় ফাঁসির দড়ি ঝুলিয়েছেন।

জামাত শিবিরের জ্বালাও পোড়াও আর বিশ্ববিদ্যালয় ৮ মাস বন্ধ থাকার ফলে হুমকির মুখে পড়ে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা। অবশেষে ২০০০ সালের ৬ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্কালীন চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ এই নামকরণের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন।

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধ শতাধিক শিক্ষকরা ইয়াসমিন হকের নামে ভিসির কাছে অভিযোগ করে বলেছেন, ইয়াসমিন হক বিতর্কিত মানুষের নামে আবার নামকরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। এই কারণে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় কোনো সন্কটে পড়লে এর দায়দায়িত্ব ইয়াসমিন হককে নিতে হবে।

এখন যে শিক্ষকরা জাহানারা ইমামকে বিতর্কিত বলছেন, তারা যে নষ্ট বীজের ফসল এটা বুঝতে খুব একটা সমস্যা হয় না। তাই এই নষ্ট বীজের ফসলদের মুখের উপরে ইয়াসমিন হক বলে উঠেন, আমি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি, আমি ‘শহীদ জননী জাহানারা ইমাম হলে’র প্রভোস্ট, ‘প্রথম ছাত্রী হলে’র নই। এই প্রসঙ্গে তার যুক্তি হচ্ছে, ২০০০ সালে তৎকালীন সময়ে রাষ্ট্রপতির মৌখিক সিদ্ধান্তে এ নামকরণ স্থগিত করা হয়। এটার কোনো লিখিত দলিল নেই। তখন বলা হয়েছিল, নামকরণ স্থগিত সংক্রান্ত রাষ্ট্রপতির আদেশ চিঠি আকারে শাবি সিন্ডিকেটের কাছে পাঠানো হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত এ ধরনের কোনো চিঠি শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেনি। ফলে শহীদ জননী জাহানারা ইমামসহ অন্যান্যের নামে হল ও ভবনের নামকরণ কার্যকর করতে কোনো বাধা নেই বলে আমি মনে করি।

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে গত চারদলীয জোট সরকার আমলে জামাত শিবির যে বীজ পুঁতে দিয়েছিলো, আজ সেগুলো হয়ে গেছে ফসল, তাই জামাত শিবির যখন লাল কার্ড পেয়ে ডাগ আউটে, তখন এরাই শিক্ষক সমিতির ব্যানারে বলে উঠে, জাহানারা ইমাম বিতর্কিত ব্যক্তি, তার নামে কোনো হলের নামকরণ চলবে না।

নষ্ট বীজের ফসলদের কাছে জাহানারা ইমাম সবসময় বিতর্কিত হয়েই থাকবেন, নিজের বাপরে কেউ ফাঁসির দড়িতে ঝুলালে সেটা সন্তানের ভালো লাগার কথা না, জামাত শিবিরের পুঁতে আসা নষ্ট বীজদের তাই সহ্য হয় না শাবির হল জাহানারা ইমামের নামে হোক। কিন্তু যারা তাকে বিতর্কিত বলছে সেই সব নষ্ট বীজের ফসল শিক্ষকদের বলছি, জাহানারা ইমামকে বিতর্কিত বলার কারণে ইতিহাস একদিন তোমাদের জুতাপেটা করবে। গো এহেড ইয়াসমিন হক, জাহানারা ইমাম আমাদের মা, আমরা বরাবরের মতো এই ইস্যূতে আপনার সাথে আছি...


মন্তব্য

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

সংহতি।
_________________________________
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

হাসান মোরশেদ এর ছবি

সংহতি
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

দ্রোহী এর ছবি
শান্ত [অতিথি] এর ছবি

৯৯তেও ছিলাম। কিন্তু তখন ছোট ছিলাম। তাও ছিলাম। এখনও আছি। সবসময়ই থাকবো।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

যে বরাহদল ইয়াসমিন হকের বিরুদ্ধে ফতোয়া দিচ্ছে ভিসি মহোদয়ের চেম্বারে গিয়ে, এইগুলোর রিটেন টেস্ট নিলে প্রাইমারী স্কুলে নিয়োগের অযোগ্য বিবেচিত হবে। বাংলাদেশ সাধীন না হলে এরা লাহোরের লালবাতিপল্লী হিরামান্ডী ছাড়া কোথাও কাজ পেত না। জামায়াতের মনীষীদের বাজার করে ফার্স্ট ক্লাস জোগাড় করে আর বিএনপির শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পিএইচডি স্কলারশীপ জোগাড় করে বস্তাপচা থিসিস জমা দিয়ে নাটকুরা সব ভদ্রলোক সেজে বসে আছে। এই পিম্পদের অলসজীবন। অলস মস্তিষ্ক,গোচানার কারখানা। আশা করছি শাবির আধুনিক ও সেক্যুলার ছাত্র শিক্ষকেরা এই মলকীটদের ব্যবসায়িক ইসলামীমৌলবাদ চর্চা প্রতিহত করবেন। শাবি পড়াশোনার জায়গা,যুদ্ধাপরাধীদের গোচানা ছড়ানোর জায়গা নয়।

জাহানারা ইমাম যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সবচেয়ে প্রতিকূল সময় পথে নেমেছিলেন। আজ তাঁর আকাংক্ষা পূরণ হতে চলেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের এই উত্তুঙ্গ মুহূর্তে শাবির হলের নাম জাহানারা ইমাম না রাখা গেলে পরে বিন লাদেনের স্ত্রীদের নামে নাম রাখতে বাধ্য হবে শাবি। তাই সেক্যুলার দেশ প্রেমিক ছাত্র-শিক্ষকদের ঋজুতা দেখতে চাই এই ইস্যুতে। ইয়াসমিন হককে শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

জামায়াতের ভন্ডামির একটা উদাহরণ দিই।
হুমায়ুন আজাদ স্যার যখন 'শুভব্রত, তার সম্পর্কিত সুসমাচার' লিখেছিলেন তখন তাদের এতো গাত্রদাহ হয়নি, যতটা হয়েছে 'পাক সার জমিন সাদ বাদ' লেখার পর। কেননা 'পাক সার' এ জামায়াতোদের ভন্ডামির মুখোশ সরাসরি উন্মোচন করা হয়েছে যেখানে 'শুভব্রত' এ মহানবী (স) কে খুব সূক্ষ্মভাবে বিদ্রূপ করা হয়েছে। মহানবীকে বিদ্রূপ করলে তাদেরঙ্খুব একটা গায়ে লাগে না, নিজেদের উপর যখন এসে পড়ে তখনই তারা পাগলা কুত্তা হয়ে যান

shamim এর ছবি

'মহানবী (স) কে খুব সূক্ষ্মভাবে বিদ্রূপ করা হয়েছে'- এইটা নিজ মুখে বলতেছেন। তাও 'হুমায়ুন আজাদ "স্যার"' বলে কত ভক্তি করতাছেন!! হুমায়ুন আজাদ এর ব্যাক্তিত্ব তাইলে মহানবীর চেয়েও মহৎ!!

নীল রোদ্দুর এর ছবি

কারোর অবিশ্বাস যদি যৌক্তিক হয়, তাহলে তা অযৌক্তিক বিশ্বাসের চেয়ে শ্রেয়। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে সে কিছুতেই অশ্রদ্ধার পাত্র হয়ে যেতে পারেনা। হুমায়ুন আজাদ স্যারকে "স্যার" সম্বোধন করাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।

আপনি মনে হয় ভুল করছেন, এইখানে কারোর সাথে কাউকে তুলনা করে মহৎ বা ক্ষুদ্র বলা হয়নি। .
--------------------------------------------------------
দেখা হবে সত্য, সুন্দর আর মুক্তচিন্তার আলোকে;
যদি লক্ষ্য থাকে অটুট, দেখা হবে বিজয়ে।

-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়

নাদির জুনাইদ এর ছবি

সংহতি।

শান্ত [অতিথি] এর ছবি

শাবিতে মৌলবাদী শিক্ষকদের একটি তালিকা করতে পারলে ভালো হতো।

এখানে ২/৩জন আছেন যারা শাবিতে চাকরী করেন, তারা হয়তো এ ব্যাপারে সাহায্য করতে পারেন।

জাহামজেদ এর ছবি

শাবিতে মৌলবাদী শিক্ষকদের একটি তালিকা করতে পারলে ভালো হতো

তালিকা তো সরকারের কাছেই আছে। নতুন তালিকা করে আবার কি হবে ?

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

রাজিব মোস্তাফিজ [অতিথি] এর ছবি

শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে যারা বিতর্কিত বলে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের সেইসব তথাকথিত শিক্ষকদের মুখে থুতু ।

হিমু এর ছবি
সাবিহ ওমর এর ছবি

সংহতি।

শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে যারা বিতর্কিত বলে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের সেইসব তথাকথিত শিক্ষকদের মুখে থুতু ।

সেসব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি...

অতিথি লেখক এর ছবি

সংহতি জানাই।

তাসনীম এর ছবি

সংহতি।

ছাত্রীদের হলটা সাধারণ ছাত্রছাত্রীর কাছে কী নামে পরিচিত?

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

জাহামজেদ এর ছবি

বিএনপি আমলে হলটাকে মেয়েদের হল নামে ডাকা হতো। কিন্তু মেয়েরা এখন এটাকে জাহানারা ইমাম ছাত্রী হল নামেই ডাকে।

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

যে মেয়েরা শাবি জাহানারা ইমাম হলে থাকে তারা আমাদের শহীদ জননীর মানস কন্যা। শাবি জাহানারা ইমাম হলে শত শত জাহানারা ইমাম তৈরী হচ্ছে। তারা মনের মধ্যে যুদ্ধাপরাধীদের দোসর ধর্মব্যবসায়ী থার্ড গ্রেড টিচারদের প্রতিদিন ঘৃণা করছে। হয়তো এই নবীনা জাহানারা ইমামেরা ঈদের ছুটি থেকে ফিরে ঈদির পয়সা জড়ো করে হলের প্রধান ফটকে একটি শহীদ জননীর ছবিসহ সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেবে,তখন ভিসি মহোদয় ইয়াসমীন হক এবং অগ্রসর অধ্যাপিকাদের নিয়ে জাহানারা ইমাম হলের শহীদজননী তনয়াদের শুভেচ্ছা জানিয়ে এলে বিষয়টা সভ্য হয়।

আর ভিসি সাহেব যদি আমলাতান্ত্রিক মন্থরতার ছাত্র হন তাহলে তাঁকে পদত্যাগ করতে সবিনয় অনুরোধ জানাবে আমজনতা। উনি শিক্ষামন্ত্রীকে একটা ফোন করে মিনিট দশেকে এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন।আমরা চাই ভিসি স্যার শাবিতেই থাকুন একজন বাতিঘর হিসেবে।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

তিথীডোর এর ছবি

গো এহেড ইয়াসমিন হক...

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

রাসেল [অতিথি] এর ছবি

জাহানারা ইমামকে ভালবাসি, ইয়াসমিন হককে না। ইয়াসমিন হক স্বজনপ্রীতির কারনে প্রফেসর হয়েছেন বা শাবিতে আছেন। উনি কেমিক্যাল কোনো একটা বিষয়ে পি এইচ ডি করে পদার্থে প্রফেসর। উনার প্রায় ৬০ বছরের জীবনে একটা লাইনও পদার্থ বিষয়ে (যে বিষয় উনি পড়ান) কোনো আন্তর্জাতিক জার্নালে লিখতে পারেন নি। শাবির ফিজিক্সে সবার সাইটে তাদের পাবলিকেশন লিস্ট করা আছে, উনার নেই, কারন উনার আসলে লিস্ট করার কিছু নেই - উনি আসলে শুণ্য পেপার লিখে প্রফেসর, এ ব্যপারে আমি সাইটেশন ওয়েবসাইটগুলো ভাল করেই খুজেছি। তার বিষয়ে (পদার্থে) আসলে কোনো স্কলারশিপ প্রদর্শন করতে পারেন নি তিনি প্রফেসর হওয়ার মত। মুহম্মদ জাফর ইকবালের সহধর্মিনী হওয়াই এ ব্যপারে তার বড় সহায়ক। ডেইলি স্টারে তাকে নিয়ে একটি লেখা পড়েছিলাম বাড়িয়ে বাড়িয়ে লেখা। প্রফেসর, বিভাগীয় প্রধান, ইত্যাদি পদগুলো ছেড়ে দিয়ে আপনি প্রভাষক, বা বড়জোড় এসোসিয়েট প্রফেসর পদে থেকে গেলে সেটা বেশি গ্রহনযোগ্য। স্বজনপ্রীতি দিয়ে চাকরি, প্রমোশন হলে উনি যত ভাল মানুষই হোন না কেন, এগুলো বলার অধিকার সবার আছে, আর এগুলো অনেকেই জানেন। এসব বলার অর্থ এই না যে, আমি শিবিরের সমর্থক।

আশাকরি উনি বর্তমান পরিস্থিতিতে সফল হোক। শাবি তে জাহানারা ইমাম হল নিয়ে যে কান্ড যুগ যুগ ধরে হয়ে যাচ্ছে, তা গ্রহনযোগ্য নয়। এই ইস্যুতে আমরা তার সাথেই আছি।

ফারুক হাসান এর ছবি

আপনি শিবির না হতে পারেন, তবে আপনি যে একটা ছাগু সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। আপনার মন্তব্যটা কেবল এই পোস্টের মূল সুর অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেবার জন্য একটা ছাগুমার্কা মন্তব্য ছাড়া আর কিছু নয়।

উনি কেমিক্যাল কোনো একটা বিষয়ে পি এইচ ডি করে পদার্থে প্রফেসর।
আপনার সম্ভবত উচ্চশিক্ষা সম্পর্কে কোনো ধারণা নাই। আপনি কি জানেন যে এখন অনেকে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উপর পিএইচডি ডিগ্রি নেন ফটোইলেক্ট্রিক এফেক্ট কিংবা মলিকিউলার সিমুলেশনের উপর কাজ করে? আপনি কি জানেন যে এখন অনেকে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি করে গণিতের প্রফেসর হচ্ছেন? আপনি কি জানেন এখন ইঞ্জিনিয়াররা ফিজিক্যাল সাইন্সের প্রফেসর হচ্ছেন, আবার ফিজিক্যাল সাইন্সের ছাত্ররা হচ্ছেন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রফেসর? উচ্চশিক্ষার কথা বাদ দেই, অন্তত হাইস্কুলের জ্ঞান থাকলেও আপনি হয়ত বুঝতেন রসায়ন ও পদার্থবিদ্যার মধ্যেকার ইন্টারফেসটা কোথায়। এই জিনিসগুলো গ্র্যাজুয়েট স্কুলগুলো বোঝে বলেই পদার্থবিজ্ঞানে আন্ডারগ্রেড করা একজনকে কেমিক্যাল কিংবা বায়োইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি প্রোগ্রামে সুযোগ দেয়।
প্রফেসর, বিভাগীয় প্রধান, ইত্যাদি পদগুলো ছেড়ে দিয়ে আপনি প্রভাষক, বা বড়জোড় এসোসিয়েট প্রফেসর পদে থেকে গেলে সেটা বেশি গ্রহনযোগ্য।
হাস্যকর প্রলাপ। প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম আছে পদোন্নতির, সেই নিয়মানুযায়ীই একজন সহকারী অধ্যাপক সহযোগী অধ্যাপক কিংবা একজন সহযোগী অধ্যাপক পূর্ণ অধ্যাপক হবেন। এই ধরণের অভিযোগ আনার আগে প্রমাণ নিয়ে আসবেন যে সেই নিয়মগুলো ভঙ্গ করা হয়েছিল কিনা। আর বিভাগীয় প্রধান হবার নিয়মাবলী কি সেটাও জেনে নেবেন। শুধু পাব্লিকেশন দিয়েই একজন বিভাগীয় প্রধানের যোগ্যতার বিচার হয় না। পাবলিকেশনের এই যুক্তি ছাগুদের একটা বহুল ব্যবহৃত কৌশল। জাফর ইকবালকে নিয়েও অনেকে এই প্রশ্ন তোলেন।

আর আপনি ইয়াসমিন হককে পছন্দ করেন কি করেন না তাতে কিছুই আসে যায় না।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

নতুন কিছু না।
শুরুর দিকে জাফর ইকবাল নিয়ে ও একই রকম কথা ছড়ানো হতো। আরে ঐ লোক তো গ্রেজুয়েশন করেছে পদার্থ বিদ্যায়, পদার্থে গ্রাজুয়েট হয়ে কম্পিউটার সায়েন্স এর অধ্যাপক।
এবং মজার বিষয় হলো, এই সংশয় সৃষ্টি পদ্ধতিগত। সিলেটে মুসলিম সাহিত্য কেন্দ্রে এক আলোচনা সভায় এই সংশয়ের জন্ম দিয়েছিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জামাতী শিক্ষক আব্দুর রব, সম্ভবতঃ ভূগোলের।
এরপর থেকে কয়েকবছর তাদের ছানাপোনারা এটা করে খেয়েছে।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

রাসেল সাহেব হচ্ছেন উড়ো চিঠি লেখা ধরণের লোক। দেশে গণতন্ত্র আছে বলেই রাসেল ব্লগে এসে একজন শ্রদ্ধেয়া মানুষ নিয়ে কুতসা রটিয়ে চলে যাবে তাই কী হয়,এই রাসেল একটি বিকৃত ঘরানা,এটি একটি ভয়ংকর টাইপ। এরাই বড় হলে মওদুদ হবে। কুতসা প্রবণ কুচুটে রাসেল মানস বিষয়ে গবেষণা জরুরী।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

রাসেল [অতিথি] এর ছবি

এই পোষ্টে আমার সংহতি আগের কমেন্টেই জানিয়েছি। জাহানারা ইমামকে আমি শ্রদ্ধা করি। শিবির জামাতকে আমি সমর্থন করিনা। আমার তিন চাচা অল্প বয়সে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন - বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প ছিল। আমি ছাগু নই।

হতে পারে আমার কমেন্টের কিছু অংশ এই পোস্টের সাথে বেমানান। আমি স্পষ্টবাদিতায় বিশ্বাসী, কোনো মতবাদে নয়। অন্ধভক্তি আমি কাউকেই করিনা। প্রথম আলো - ডেইলি স্টার এই পত্রিকা গ্রুপ কিছুদিন আগে ইয়াসমিন হককে নিয়ে একটা ফিচার লিখেছিল। সেখানে এক লেখক যে কিনা তার অন্ধভক্ত অনেক বাড়িয়ে বাড়িয়ে লিখে তাকে সুফিয়া কামাল, জাহানার ইমাম এদের সাথে তুলনা করেছেন। তখন থেকে আমার মেজাজটা বিগড়ে আছে। যে কিনা জীবনে দু পাতা লিখেনি সাহিত্য, সমাজ নিয়ে বা সায়েন্স এও এমন কিছুই না, বা কোনো বই লেখেন নি, তাকে বিশাল কিছু বানিয়ে দেয়া কি যুক্তিযুক্ত? যিনি তার হাসবেন্ড এর নামে ক্যারিয়ার, নাম সব পেয়েছেন (যদিও তিনি নিজে পড়ালেখায় একমপ্লিশড) - তিনি কি করে শ্রদ্ধেয় মানুষদের সাথে তুলনিয় হয়, যাদের সবার লিখিত মেসেজ আছে ও 'স্ব'নামধন্য। কার অবস্থান কোথায় এ কাজটা পাঠকের উপর ছেড়ে দিলেই হয় - বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করার পরে। যার ক্যারিয়ার প্রশ্নবোধক ও স্বজনপ্রীতিদুষ্ট, তাকে বিশিস্ট রিসার্চার, শিক্ষাবিদ বলে প্রচার করাটা হাস্যকর মনে হয়েছে। উনার শাবিতে মেয়েদের কারাটে ক্লাব করা নিয়ে মুলত লেখাটা, যেটা খুবই ভাল - কিন্তু সেটা দিয়ে তাকে সুফিয়া কামালের পর্যায়ে নিয়ে আসতে কেন হবে অন্ধভক্ত লেখকের - পাঠকদেরকে ভুল মেসেজ দিয়ে। সহজ কথায় - মুসাকে নিয়ে প্রচার যেমন অনেকের ভাল লাগেনি, এ ব্যাপার টাও আমার ভাল লাগেনি।

একাডেমিক ব্যাপারে আমাকে ছবক দিয়ে লাভ নেই, এ ব্যপারে আমি ভালভাবেই জানি - এতে শুধু আপনার অন্ধভক্তিই প্রকাশ পায় - ইনিয়ে বিনিয়ে উচ্চশিক্ষা নিয়ে ভুংভাং লিখে আপনি পছন্দের কারো জন্য পক্ষপাতদুষ্ট লজিক দিতে পারেন। হ্যা, পড়ালেখার বা রিসার্চের একটা লেভেলের পরে বিষয়ের ভেদ থাকে না - যেমন রাদারফোর্ড মুলত পদার্থে কাজ করে রসায়নে নোবেল পেয়েছেন - কিন্তু সেই লেভেল টা অনেক উপরে, পেপার লিখে গবেষনার বিষয়ে সেটা বোঝা যায় - সহজ কথায় ইয়াসমিন হক শুধু পি এইচ ডি ই করেছে, ইউনির প্রফেসর হওয়ারও যোগ্য - তবে পদার্থের নয়। আপনি পলিমার কেমিস্ট্রিতে পি এইচ ডি করে বাংলাদেশের কোনো পাবলিক ইউনি তে পদার্থে প্রফেসর হতে পারবেন না। চেষ্টা করুন। পারবেন না আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি। যদি না আপনার বাবা এক্স-মিনিস্টার হয়ে থাকে ইয়াসমিন হকের মতন, এবং স্পাউস পপুলার ও পাওয়ারফুল হয়ে থাকে।

আর আমাকে গালাগাল দিয়েও কোনো লাভ নেই। আমি কারো আগে বা পিছে নাই, আমি ছাগু নই। তবে যেটুকু সত্য জানি তা আপনার ভাল না লাগলেও বলব। আবেগের বশে কারো অন্ধভক্ত আমি নই।

এ ইস্যুতে আমি তার সাথে ভালভাবেই আছি। সবকিছুতে যে থাকব বা বাড়িয়ে বাড়িয়ে বলব সে রকম অন্ধভক্ত আমি নই।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

সত্যবাদী রাসেল আপনার জরুরী ভিত্তিতে একজন ঈর্ষারোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করা দরকার,আপনি যদি এই ব্লগে এসব মন্তব্য লিখে লিখে মাথা ফাটিয়েও ফেলেন আপনার স্ত্রী রাসেলিয়া কখনই ইয়াসমিন হকের সমকক্ষ হতে পারবেন না। কারণ উনার আছে একজন পাওয়ারলেস আনপপুলার স্পাউস।

আপনি প্লিজ এই ছেলে মানুষি অফ লাইনে করেন।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

নীল রোদ্দুর এর ছবি

পি এইচ ডি ডিগ্রী দেয়ার সময়ও কি এক্স-মিনিস্টার বাবা অথবা পপুলার স্পাউজ দেখে দেয়া হয়?

আমার একজন শিক্ষক ছিলেন, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ নামকরা জ্ঞানীদের একজন, যার ক্লাসে আমরা ক্লাসের ৯৫ ভাগ ছাত্র-ছাত্রীই কিছু শিখিনি, কারণ উনি নিজে জানলেও ছাত্র পড়াতে জানেন না। এবং উনার পাথর কঠিন আচরনের জন্য কোনদিন তার কোন ছাত্র বলতেও পারেনি, স্যার, বুঝিনি। উনার পেপারের অভাব ত দূরের কথা, অর্জনের ঝুড়ি বাড়াবাড়ি রকমের বেশী মাত্রায় বড়। তা, উনি ছাত্রদের কিছু শেখাতে না পারলেও বিভাগীয় প্রধান, অধ্যাপক, ভিসি ইত্যাদি ইত্যাদি হওয়ার যোগ্যতা রাখেন যা ডঃ ইয়াসমিন হক রাখেন না। তাই না?

শিক্ষকের বিচার কি আপনি পেপারের দাড়ি পাল্লায় করেন?
--------------------------------------------------------
দেখা হবে সত্য, সুন্দর আর মুক্তচিন্তার আলোকে;
যদি লক্ষ্য থাকে অটুট, দেখা হবে বিজয়ে।

-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়

জাহামজেদ এর ছবি

শিক্ষকের বিচার কি আপনি পেপারের দাড়ি পাল্লায় করেন?

চোরের কাছে গাইতেছেন ধর্মের গীত !

পি এইচ ডি ডিগ্রী দেয়ার সময়ও কি এক্স-মিনিস্টার বাবা অথবা পপুলার স্পাউজ দেখে দেয়া হয়?

এই থিওরিটা সম্ভবত কাঁঠালপাতাখোরদের ক্ষেতে প্রযোজ্য !

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

কানা বাবা এর ছবি

উদ্ধৃতি ১
"উনি কেমিক্যাল কোনো একটা বিষয়ে পি এইচ ডি করে পদার্থে প্রফেসর।"

উদ্ধৃতি ২

"আপনি পলিমার কেমিস্ট্রিতে পি এইচ ডি করে বাংলাদেশের কোনো পাবলিক ইউনি তে পদার্থে প্রফেসর হতে পারবেন না।"

ভাই জনাব রাসেল সাহেব,

আপনাকে অত্যন্ত দুঃখের সহিত জানাইতেছি যে আপনি হুমায়ুন আহমেদের সহিত তাহার ভাতৃবধূকে গুলাইয়া ফেলিতেছেন। পলিমার কেমিস্ট্রিতে পিএইচডি করিয়াছিলেন হুমায়ুন আহমেদে, ইয়াসমিন হক নহে। ডঃ ইয়াসমিন হক পদার্থ বিদ্যাতেই পড়িয়াছিলেন। আপনার কি মনে নাই ডঃ জাফর ইকবাল তাহার আত্মজীবনীমুলক বইতে কতবার বলিয়াছিলেন যে ঢাবির পদার্থ বিদ্যা বিভাগে ডঃ ইয়াসমিন হক তাহার সহপাঠী ছিলেন।

ডঃ ইয়াসমিনের পিএইচডির ডিসারটেশনের টোপিক ছিলোঃ
Deposition of plasma polymerized thin films

টপিক দেখিয়াই মনে হয় ইন্টারডিসপ্লিনারী রিসার্চ টপিক যা নিয়া ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, মাটেরিায়াল সায়েন্স, কেমিক্যাল ইন্জিনিয়ারিং, এমনকি ইলেক্রিক্যাল ইন্জিনিয়ারিং এর ছাত্ররা গবেষণা করিতে পারিবে। আর কে না জানে যে প্লাসমা নিয়ে ফিজিক্সের অনেকেই গবেষণা করেন। কাজেই আপনার চুলকানির কারন ঠিক বোধগম্য হইলো না।

আরেকটি সহজ কথা জনাব, উনি যদি ফিজিক্সের না হয়ে কেমিস্ট্রির লোক হইতেন তাহা হইলে তো কেমিস্ট্রিতেই পড়াইতেন। পিএইচডি যেহেতু আছে তাই শাবিতে শিক্ষক হিসাবে চাকুরী পাওয়া উনার জন্য ব্যাপার ছিলো না। তাহা হইলে কেন শুধু শুধু কষ্ট করিয়া কেমিস্ট্রি পড়াইতে যাবে। দুনিয়াতে কি এমন বেকুব আছে যে কিনা তাহার দখলে থাকা বিষয় বাদ দিয়ে অন্য কিছু পড়াইবে?

অতএব জনাব, আপনার কাছে আকুল আবেদন এই যে আপনি ভাবিষ্যতে উনার কুৎসা রটানোর অভিপ্রায় করিলে আরেকটু সলিড এ্যভিডেন্স নিয়া আসিবেন। এতে করিয়া অপমানিত হইবার হস্ত হইতে দূরে থাকিতে পারিবেন।

/----------------------------------------------------
ওইখানে আমিও আছি, যেইখানে সূর্য উদয়
প্রিয়দেশ, পাল্টে দেবো, তুমি আর আমি বোধহয়
কমরেড, তৈরি থেকো,গায়ে মাখো আলতা বরণ
আমি তুমি, আমি তুমি, এভাবেই লক্ষ চরণ।।

/----------------------------------------------------
ওইখানে আমিও আছি, যেইখানে সূর্য উদয়
প্রিয়দেশ, পাল্টে দেবো, তুমি আর আমি বোধহয়
কমরেড, তৈরি থেকো,গায়ে মাখো আলতা বরণ
আমি তুমি, আমি তুমি, এভাবেই লক্ষ চরণ।।

নাশতারান এর ছবি

আমিও একটু তব্দা খেলাম এই ভেবে যে এদ্দিন ভুল জানতাম নাকি? ইয়ে, মানে...
আমি তো জানতাম ডঃ ইয়াসমিন হক পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে ডঃ জাফর ইকবালের ক্লাসমেট ছিলেন আর হুমায়ুন আহমেদ পিএইচডি করেছেন পলিমার কেমিস্ট্রিতে।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

রাসেল [অতিথি] এর ছবি

"উনার কুৎসা রটানোর অভিপ্রায় করিলে আরেকটু সলিড এ্যভিডেন্স নিয়া আসিবেন।"

ভাই কানা বাবা, আমার সব কথাই 'সলিড এ্যভিডেন্স' এর উপরেই। সত্য কথা বলা 'কুৎসা রটানো' নয়। আপনি বলতে পারেন এতে তার বিরুদ্ধদের হাত শক্তিশালি হয়, তাই এভাবে, এখন বলা উচিত না। তবে আমার লেখায় তথ্যে কোনো ভুল নেই। ইদানিং এখানে অনেককে নিয়েই লেখা দেখছি - যেমন মাজহারের বীজ সংক্রান্ত গড়ল পাঠ নিয়ে। যারা লেখক তাদের মনের কথা সবাই জানেন লেখার মাধ্যমে, তাই তাদের সততা বা ভন্ডামি নিয়ে সবাই একমতে আসতে পারেন। যারা একাডেমিক তারা এ ব্যাপারে অনেকটা আড়ালে থাকেন। ইয়াসমিন হক জাহানার ইমাম হল নিয়ে কাজ করেন, এ ব্যাপারে ১০০% সঠিক, আমরা সবাই তার সাথে আছি। কিন্তু অন্ধভক্তি দিয়ে নয়। তিনিও অন্য ব্যপারে কিন্তু অনেক 'গড়ল পাঠ'কে প্রমোট করতে পারেন। তখন অন্ধভক্তরা সেগুলোকে সাপোর্ট করতে পারে নির্দ্বিধায়, যেটা হতে পারে ভয়ংকর। আমি একাডেমিক বলে এ ব্যাপারগুলো ভালভাবেই জানি। যেমন ধরুন উনি অনেক লম্বা লম্বা কথা বলেন নিজেকে 'সাধারন মানুষ' হিসেবে লোক দেখিয়ে - অথচ তার মত মহা এলিট বাংলাদেশে আর নেই। তার বাবা মন্ত্রী ছিলেন, বাংলাদেশে ছেলেমেয়েরা ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ে, তারপর দু ছেলেমেয়েকে (যারা আমেরিকান সিটিজেন) আমেরিকায় আন্ডারগ্রাজুয়েটে পাঠিয়ে দিয়ে উনি আমাদেরকে বিশাল লম্বা লম্বা ছবক/লেকচার দিয়ে বেড়ান সভা সমিতিতে দেশের শিক্ষা নিয়ে, ইউনি নিয়ে, অন্যদেরকে এলিট বলে, নিজেকে সাধারন দেখিয়ে - অথচ তারই গোড়ায় গলদ। আমি এর কোনো কিছুতেই দোষের কিছু দেখি না। দোষটা তখনই যখন উনি ভন্ডামি করে অন্যদেরকে তিরস্কার করেন, অবজ্ঞা করেন নিজেকে অতি সাধারন মানুষের বন্ধু ভাব করে। এগুলো ভন্ডামি, একধরনের হিপোক্রিসি। এগুলো তার অসততারই একটা প্রকাশ। জামাত শিবির নিয়ে তার স্পষ্টবাদিতা ভাল লাগলেও 'মাজহারিয় গড়ল পাঠ' এর মত একদিন দেখবেন দেশের কোনো ব্যাপারে উদ্ভট ধারনা নিয়ে হাজির হবেন। হয়েছেনও। উনি লেখক নন বলে সবাই এগুলো পড়ে দেখার সুযোগ পায়না।

এই ব্লগে বিভিন্ন ধরনের লেখা হয়। ধরুন আনিসুল হক, উনি কিন্তু স্পষ্টতই জামাত শিবিরের বিপক্ষে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়েই সবসময় লিখেন। কিন্তু তাই বলে কি তাকে আমরা ছেড়ে দেই, তিনি যখন অন্যান্য বিষয়ে উদ্ভট লিখেন। তেমনি ঘাদানির মূল মেম্বাররা যেমন শাহরিয়ার কবির, কবির চৌধুরী এরা কেস খেয়েছে, এরা যা করেছে তা মহান, তাই বলে কি এদের অন্যান্য অনেক বিষয় নিয়ে ক্রিটিসিচম কি আমরা করতে পারি না, করি না? তাহলে ইয়াসমিন হককে নিয়ে আমার সত্য কথা বলায় কোথায় দোষ? তাকে তার ইস্যুতে সমর্থন দিয়ে তারপরও তাকে নিয়ে লেখা ও বলা আমার অধিকার, কারন এগুলো আমি জানি, যেমনটা আপনারা অনেকে অনেক লেখককে নিয়ে জানেন।

আমি খুবই হতাশ হলাম যে এখানে সত্যকে ঠিকভাবে নেয়ার কারো সাহস নেই। নিজের গন্ডি থেকে বেরিয়ে কেউ উকি দিয়ে দেখতে চায়না, নিজ স্থানেই সবাই খুটি গেড়ে স্থবির হয়ে বসে থাকে বা থাকতে চায় সারাজীবন। যারা এর বাইরে চিন্তা করে, তারা হাস্যাস্পদ হিসেবে বিবেচিত। অনেকটা হুজুগে চলে সবাই, এনালিটিকাল না হয়ে। তাহলে আরা জামাত শিবিরের সাথে আপনাদের পার্থক্য কোথায়, চিন্তার গভীরতার দিক দিয়ে?

কানাবাবা ভাই, আমি স্পষ্টতই বলেছি উনি শাবিতে জয়েনের পরে আজ পর্যন্ত কোনো গবেষনা পত্র লিখেননি, এতে কোনো ভুল নেই। উনি 'কেমিক্যাল কোনো বিষয়ে' পি এইচ ডি করেছেন এতেও কোনো ভুল নেই। পলিমার কেমিষ্ট্রি আমি কেবল উদাহরন হিসেবে এনেছি দেশে পদার্থে চাকরি পাবার বেলায় - উনি ১৯৮৫ তে UW থেকে কেমিক্যাল ইন্জিনিয়ারিংএ পি এইচ ডি করেছেন। আমি জানি উনি পদার্থে আন্ডারগ্রাড করেছেন। ফ্রান্সিস ক্রিক ও পদার্থে আন্ডারগ্রাড করে ডি এন এ নিয়ে রিসার্চ করেছেন, পদার্থে পড়ে অনেক ফিল্ডেই ঢোকা যেতে পারে। পদার্থে তাকে কেউ হায়ার করেনি, উনি (ক্রিক) যাতে এক্সপার্ট হয়েছেন তাতেই প্রফেসর হয়েছেন। আপনার থিসিসের নাম দেখে এক্সপারটিজ জাজ করার বিষয়টি হাস্যকর মনে হল। বেসিক সায়েন্সের উপর প্রযুক্তিবিদ্যা নির্ভরশীল। তাই অধিকাংশ ইন্জিনিয়ারিং থিসিসের টাইটেলেই আপনি বিভিন্ন পদার্থের টার্ম পাবেন - ইলেকট্রিক, ম্যাগনেটিক, ইত্যাদি ইত্যাদি - যারা ইন্জিনিয়ারিং পড়েন সবাই গাদাখানেক ফিজিক্স ক্লাস নেন। ইলেকট্রিকাল ইন্জিনিয়ারিং নামেই তো 'ইলেকট্রিকাল' আছে - আপনার যুক্তিতে তো তাহলে ইলেকট্রিকাল ইন্জিনিয়ারিং পড়া আর ফিজিক্স পড়া বা এক্সপার্ট হওয়া একই, আর ইউনি চাকরিও সেভাবেই হওয়ার কথা। আন্ডারগ্রাড করে কেউ প্রফেসার হওয়ার মত এক্সপার্ট হয় না। আমি বলেছি ইয়াসমিন হক পদার্থে প্রফেসর হওয়ার যোগ্যতা রাখেনা, উনি সত্যিকার ভাবেই সেটা রাখেনা, উনি প্রভাষক বা এসোসিয়েট প্রফেসর থাকুন। বাংলাদেশের কোনো পাবলিক ইউনি তে পদার্থ ডিপার্টমেন্টে, কেমিকেল বা যেকোনো ইন্জিনিয়ারিং পিএইচডি নিয়ে (আন্ডারগ্রাড পদার্থ বা যাই হোক না কেন) কোনো প্রফেসর নেই। আপনি তন্ন তন্ন করেও খুজলেও পাবেন না, একমাত্র ইয়াসমিন হক ছাড়া। ইলেকট্রনিক্স পড়ে হওয়া যায় কারন ওটা বাংলাদেশে এপ্লাইড ফিজিক্স এর মধ্যে পড়ান হয়। ১৯৮৫ সালের পর যেহেতু উনি তার এক্সপারটিজ বিষয়ে কিছুই করেন নি, লেখেন নি, এবার দেখি তার বর্তমান - তার ডিপার্টমেন্টে লেখা উনি ফাইবার অপটিক্স নিয়ে গবেষনা করেন। অথচ এটা কিন্তু জাফর ইকবালের গবেষনার বিষয় ছিল। তার মানে উনি তার হাসবেন্ডের স্পেসালটি কে নিজের বানিয়ে সবাইকে বোকা বানিয়ে এক জগাখিচুড়ি পাকিয়ে ডিপার্টমেন্টে প্রমোশন, চেয়ার ইত্যাদি হয়ে সবাইকে লেকচার দিয়ে বেড়ান। উনি কি গবেষনা করেন সেটা তো জানা হল না, কারন কিছু করলে তো তা জার্নালে বের হত, কিছুই করেন না আসলে। করার তো দরকার নেই। আর উনি মিষ্টি ও ভাল ব্যবহার করেন বলে কি প্রফেসর হওয়ার যোগ্য? তাহলে তো আইজ্যাক নিউটন (খিটমিটে) কে বাদ দিয়ে মেরিলিন মনরোকে লুকাসিয়ান প্রফেসর পদে বসানো যায়, যদি মিষ্টতাই এক্সপার্টিজের অন্য নাম হয়। সবাই নিজ নিজ পজিশন ঠিক রেখে, আখের গুছিয়ে তারপর লম্বা কথা বলে যেমন টা করেন ইয়াসমিন হক।

আজ আমাদের সাথে মতের মিল বলে তাকে বাহবা দেই ভাল, কিন্তু সেদিন খুব দুরে নয়, যখন তার ভুলকেও, অসততাকেও আমরা হয়ত ইগনোর করব, শুধু জামাত শিবিরের ব্যাপারে তার বর্তমান ভালমানুষি পজিশনকে দিয়ে। সে রকমটা না হলেই ভাল। আর প্লিজ এত অন্ধভক্তি ভাল নয় যে সবকিছুই ইনিয়ে বিনিয়ে তার ফেবারে নিতে হবে - স্বজনপ্রীতি আর একাডেমিক অসততাকেও। অন্য কারো বেলায় তো আমরা তা করি না। তার বর্তমান ইস্যুতে সাপোর্ট করেও আমি সত্য বলতে পারি ও যারা সত্যিকারের মুক্তমনা তারা সত্যকে গ্রহন করতে পারেন, যেমনটা আমরা করি সবার বেলায়।

রাজিব মোস্তাফিজ [অতিথি] এর ছবি

জনাব রাসেল,

যদিও আপনাকে আমি একজন অনিরাময়যোগ্য ছাগু বলেই মনে করি এবং আপনার সাথে যুক্তি-তর্কে যাওয়াটা নিখাদ সময় নষ্ট করা বলেই আমার বিশ্বাস -- তাও আপনার জন্য ইয়াসমিন ম্যাডামের প্যাটেন্টের লিংকটা নিচে দিলাম ----

http://patft.uspto.gov/netacgi/nph-Parser?Sect1=PTO1&Sect2=HITOFF&d=PALL&p=1&u=/netahtml/PTO/srchnum.htm&r=1&f=G&l=50&s1=4919659.PN.&OS=&RS=

রাজিব মোস্তাফিজ [অতিথি] এর ছবি


যেমন ধরুন উনি অনেক লম্বা লম্বা কথা বলেন নিজেকে 'সাধারন মানুষ' হিসেবে লোক দেখিয়ে - অথচ তার মত মহা এলিট বাংলাদেশে আর নেই। তার বাবা মন্ত্রী ছিলেন, বাংলাদেশে ছেলেমেয়েরা ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ে, তারপর দু ছেলেমেয়েকে (যারা আমেরিকান সিটিজেন) আমেরিকায় আন্ডারগ্রাজুয়েটে পাঠিয়ে দিয়ে উনি আমাদেরকে বিশাল লম্বা লম্বা ছবক/লেকচার দিয়ে বেড়ান সভা সমিতিতে দেশের শিক্ষা নিয়ে, ইউনি নিয়ে, অন্যদেরকে এলিট বলে, নিজেকে সাধারন দেখিয়ে - অথচ তারই গোড়ায় গলদ। আমি এর কোনো কিছুতেই দোষের কিছু দেখি না। দোষটা তখনই যখন উনি ভন্ডামি করে অন্যদেরকে তিরস্কার করেন, অবজ্ঞা করেন নিজেকে অতি সাধারন মানুষের বন্ধু ভাব করে।

আমি মোটামুটি নিশ্চিত আপনি ইয়াসমিন ম্যাডামের সাথে কখনো মন খুলে কথা বলেন নাই --- তাঁর সাথে কথা বললে কখনোই এই কথাগুলো এমন করে লিখতে পারতেন না।

বাংলাদেশে তাঁর ছেলেমেয়েরা সিলেটেই পড়ত-- খুব সম্ভবত ব্লু-বার্ড স্কুলে । নামকরণবিরোধী আন্দোলনের সময় যখন আপনার দোসররা তাঁদের দু'জনকে সিলেট থেকে তাড়ানোর জন্য নানা রকম হুমকি দিচ্ছিল --বাসার পেছনে বোমা ফুটাচ্ছিল -- ভার্সিটির টিচারদের গাড়ি থেকে নামিয়ে কিরীচ দিয়ে কোপাচ্ছিল -- তখন যে হুমকিতে স্যার এবং ম্যাডাম একটু বিচলিত হয়েছিলেন তা হলো তাঁদের ছেলেমেয়েদের ক্ষতি করার হুমকি ( জাফর স্যারের সাথে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষ ক্লাসের দিন আমি স্যারকে প্রশ্ন করেছিলাম -- স্যার যে এত বিরুদ্ধ পরিবেশে ঠিক কথাটি বলেন আর ঠিক কাজটি করেন-- তাঁর ভয় লাগে না কেন--- তখন কথা প্রসংগে একথাটি বলেছিলেন ) । এই কারণে নিজেরা সিলেটে থাকলেও ছেলেমেয়েদের নিরাপত্তার জন্য ওদেরকে ঢাকায় পাঠিয়ে দিতে বাধ্য হন । আর যে ছেলেমেয়েরা আগের সবটুকু পড়াশোনা আমেরিকায় করে এসেছে-- ওরা যে ইংরেজি মিডিয়ামে পড়তেই স্বচ্ছন্দ বোধ করবে --এতে কি অবাক হওয়ার কিছু আছে ? আমি শুধু আপনাকে একটু খোলামনে চিন্তা করতে বলি-- কয়জন বাবা-মা বার বছর আর চৌদ্দ বছর বয়সী ছেলেমেয়েকে নিজেদের কাছ থেকে দূরে অন্য শহরে রেখে নিজেরা শুধুমাত্র আদর্শ আর দায়িত্ব পালনের জন্য অন্য শহরে থাকার সাহস করতে পারবে।

আর ছেলেমেয়ের আমেরিকান সিটিজেনশিপের কথা বললেন না-- ওইটা ওরা ওখানে জন্মগ্রহণ করার জন্য এমনি এমনি পেয়ে গেছে। আর নাবিল আর ইয়েশিম যদি ওদের মেধার জোরে কর্ণেলের মত ইউনিভার্সিটিতে আণ্ডারগ্র্যাড করার চান্স পায়-- এমআইটি পিএইচডি আর হার্ভাডে ইন্টার্নি করার সুযোগ পায় -- এইটাতে সমস্যাটা কোথায় আমি তো বুঝি না ।

আর মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং ড: ইয়াসমিন হক কেন দেশের শিক্ষা-ব্যবস্থা ঠিক করার জন্য, গণিত অলিম্পিয়াডের জন্য, মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনানোর জন্য, বন্যায় ত্রাণ দেয়ার জন্য, ভবদহের পানিবন্দী মানুষের দুর্দশা মোচনের জন্য, রাঙামাটির আদিবাসী স্কুলকে সাহায্য করার জন্য এবং এই রকম আরও হাজার হাজার কাজের জন্য সারাদেশে ছোটাছুটি করে বেড়ায় -- ওইটা আপনি বুঝবেন না !!!

রাসেল [অতিথি] এর ছবি

ভাই রাজিব, এই অন্ধভক্তি বাদ দেন। হাজার হাজার বাংলাদেশের মানুষের হাজার হাজার পেটেন্ট আছে - প্রায় ৫০০০ বাংলাদেশি পাওয়া যাবে যাদের ৩ এর অধিক পেটেন্ট। বিদেশে এসে যারাই বিভিন্ন ইন্ডাষ্ট্রিতে রিসার্চ করে তাদের ভুড়ি ভুড়ি পেটেন্ট থাকে। যারা একাডেমিতে থাকে তাদেরও পেটেন্ট থাকে কিন্তু সংখ্যায় কম, পেপার থাকে মেইনলি। আমি মোটেও জোক করছিনা - এমন অনেককেই আমি জানি যাদের ২০ এর অধিক পেটেন্ট আছে - কিন্তু এগুলো এভাবে প্রচার করে, বেচে কেউ ঠিক এমন জনপ্রিয়তাখোকি সাধু স্কলার ভাব নেয় না। সুতরাং কোন এক কালে ইয়াসমিন হক এক রিসার্চ গ্রুপে কাজ করেছিলেন তাই অনেকের সাথে তার নাম আছে এক পেটেন্টে এটা প্রসংশার দাবি রাখে বটে, কিন্তু উল্লেখ করার মত কিছু না। আমি এখানে সব কমেন্ট করার আগেও এটির কথা জানতাম, কারন ডেইলি ষ্টারেও উনি এই প্রচার করেছেন। ভাই রাজিব, আজকাল এখানে পর্বতারোহন নিয়ে লেখা হয়, যাতে আমরা যারা কিছুই জানি না তারা কিছুটা বুঝতে পারি। মুসা এসে বলবে আর আমরা কিছু না বুঝে মাথায় তুলে নাচব, এ যুগ আর সে যুগ নেই। কেউ ২০০০ ফুট উচুতে উঠে ২০০০০ ফুট উচুতে উঠার ভান করবে বা লোকজনকে সেভাবে সেল করার চেষ্টা করবে বা সেকরম ভাব দেখিয়ে ঘুড়ে বেড়াবে বা বাড়িয়ে প্রচার করবে, এখন ইন্টারনেটের বদৌলতে সে কাল শেষ হয়ে গেছে। ইয়াসমিন হক ভাল কাজ করুন তাতে দেশের ভাল, কিন্তু অন্ধভক্তি খটিয়ে উনার থিসিসে plasma নাম দেখিয়ে "পদার্থে" প্রফেসর হবেন, আর polymerized বা cell নাম দেখিয়ে "জীববিজ্ঞান" অনুষদের ডীন হবেন, এইসব ভন্ডামি, অসততা, স্বজনপ্রিয়তা আমার কাছে মুসার ভন্ডামির চেয়ে অনেক বড় লাগে। এগুলো অপ্রিয় লাগলেও, আমাকে ভুল গালাগাল দিলেও আমি তাই বলব। কারন উনি ভন্ডামি করে আখের গুছিয়ে তারপর লেকচার দেন। যারা সত্যিকারের মুক্তমনা তারা বর্তমান ইস্যুতে তাকে সাপোর্ট করেও আমার সব কমেন্ট ও কথাগুলো নিতে পারবেন বলেই আমার ধারনা। আর প্লিজ অন্ধভক্তি বাদ দিন।

হিমু এর ছবি

আপনি অনাদিকাল থেকে এই ভেঁপু বাজিয়ে আসছেন।

গোটা ব্যাপারটাকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।

১. জাফর ইকবাল ও ইয়াসমিন হক নানা সামাজিক আন্দোলনে জড়িত

২. তারা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের পদে আসীন।

আপনি ঐ সামাজিক আন্দোলনের প্রসঙ্গ উঠলে সেগুলোর সাথে দৃশ্যত একাত্মতা পোষণ করে দ্বিতীয় ভাগটি নিয়ে নানা আজেবাজে কথা বলতে থাকেন। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এই দুইজনের নিয়োগ বা পদায়ন নিয়ে যদি কোনোরকম গোলযোগের প্রমাণ আপনার হাতে থাকে, আপনি যথাযথ কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হন না কেন? আদালতে যেয়ে নালিশ ঠুকে দিন, এনাদের এই পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্যে নামুন।

আপনি এই যে ক্রমাগত ভ্যাজর ভ্যাজর করে যাচ্ছেন, ইয়াসমিন হক তার বর্তমান পদের জন্যে যোগ্য নন, হ্যান ত্যান হাবিজাবি, তো এই যে ইয়াসমিন হক এই বর্তমান পদে যোগ দিলেন, এই প্রক্রিয়ার কোনো ধাপে আপনি কি যথাযথভাবে প্রতিবাদ করেছেন? এমনকি ব্লগে লিখে হলেও? করেননি। আপনি মাটি ফেড়ে বের হন যখন ঐ সামাজিক আন্দোলনগুলোর প্রসঙ্গ আসে।

ইয়াসমিন হক যদি ক্লাস এইট পাশও হন, জাহানারা ইমামের নামে হলের নামকরণের আন্দোলনে তার নেতৃত্ব মেনে নিতে দেখবেন মানুষের কোনো দ্বিধা নেই। এই আস্থা তিনি মাঠে থেকে অর্জন করেছেন। আপনাকে যে প্রমাণই এনে হাজির করা হয়, আপনি ভ্যাদর ভ্যাদর করতে থাকেন সারা দুনিয়ায় এক হাজার এরকম লোক আছে, পাচ হাজার ওরকম লোক আছে ... তো ভাই, এই হাজার হাজার লোকেদের কেউ কেন যায় না গরীবদেশের এক কোণায় রাজধানী থেকে দূরে জঙ্গলের মধ্যে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিতে? কেউ মানা করেছে? করে নাই।

ইয়াসমিন হক তার পদে থেকে দায়িত্ব পালনে কি অ্যাকাডেমিক্যালি অদক্ষ বা অযোগ্য? উত্তরটা হচ্ছে, না। আপনার কাছে যদি প্রমাণ থাকে, ইয়াসমিন হকের নিয়োগের সময় তার চেয়ে যোগ্য লোককে বাদ দিয়ে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, তাহলে কথা বলতে আসবেন।

এই পোস্টটা যত না ইয়াসমিন হককে নিয়ে, তারচেয়ে বেশি জাহানারা ইমামের নামে হলের নামকরণের আন্দোলন এবং সেই আন্দোলনের বিরোধিতাকারীদের নিয়ে। আপনি এসে বারেবারে প্রসঙ্গ ঘোরানোর চেষ্টা করছেন ইয়াসমিন হকের বদনাম করে। আপনার মতলব বুঝতে তাই সমস্যা হয় না।

আপাতত আসুন।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

রাজিব মোস্তাফিজ [অতিথি] এর ছবি

রাসেল,
আমিই বরং আপনাকে অন্ধ অভক্তি ত্যাগ করতে বলি--- যদিও তাতে কোনো লাভ হবে না জানি

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

রাসেল সাহেবের এই অপ্রাসঙ্গিক আলোচনা গন্তব্যহীন। জাফর ইকবাল- ইয়াসমিন হক তাঁদের সমাজকর্মের মাঝ দিয়ে আমাদের আমজনতার আইকন। আমরা তাদের দেশপ্রেম এবং মানবিক গুণাবলীতে মুগ্ধ আমমানুষ। এইখানে রাসেল সাহেব যাত্রার বিবেক হয়ে তাঁর ব্যক্তিগত হিংসার কাসুন্দি ঘাঁটতে এসে বিপাকে পড়ে এখন আমাদের আদর্শ লিপির পাঠ দিচ্ছেন। আমার মন্তব্যের ওপর লালমডু চোখ রাখছেন,তবুও ঝুঁকি নিয়ে বলি, এই রাসেল সাহেব বড় হলে বড়জোর শফিক রেহমান হবেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ব্যর্থ বিবেক হিসেবে বিটিভিতে হিজাব নারীদের নিয়ে লাল গোলাপ অনুষ্ঠান করবেন। দেশে এতো শিক্ষিত ঘোড়েল রাসেল পুষে গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখা কঠিন। উন্নয়ন কাজ ফেলে রাসেলের কাইজ্জায় তিনটা বছর নষ্ট হয়ে যাবে। এই পোস্টের উদ্দেশ্য ইয়াসমিন হকের বিরুদ্ধে আনীত রাম-ছাগু অশিক্ষকদের ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ পায়ে মাড়িয়ে শাবির জাহানারা ইমাম হলে একটা ছবিসহ ফলক বা সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয়া। এইখানে রাসেল কে, কেনই বা তার সঙ্গে কথা বলা। জাহামজেদ ভাই রাসেলের বর্জ্য বা প্রজ্ঞার উপজাত সরিয়ে নিতে পারেন। বন্ধুসুলভ পরামর্শ,অবশ্যি সচলায়তনের মিথষ্ক্রিয়ার অর্জিত সুনীতি বজায় রেখে।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

রাসেল [অতিথি] এর ছবি

ভাই মাসকাওয়াথ ও ভাই হিমু,

"জাহামজেদ ভাই রাসেলের বর্জ্য বা প্রজ্ঞার উপজাত সরিয়ে নিতে পারেন।" এটা কি কোনো যুক্তিযুক্ত কথা হল? এরকম রিয়াকশনারি হলে আর জামাত শিবিরের সাথে আপনার কোথায় পার্থক্য থাকল? "এই রাসেল সাহেব বড় হলে বড়জোর শফিক রেহমান হবেন" - সরি, আমি ঐ লাইনের লোক না, কোনো রাজনীতির সাথেও জড়িত নই, শফিক রেহমান কে আমিও ভন্ড ও সুবিধাবাদী মনে করি। ইয়াসমিন হক - জাফর ইকবাল কে আপনি 'আইকন' মানেন খুবই ভাল। তাদের অনেক সামাজিক কাজকে আমিও পছন্দ করি। যদিও এ পোষ্টে আমার কমেন্টে শুধু ইয়াসমিন হকের কথাই বলা হচ্ছে - তবে জাফর ইকবাল যা করেন যেমন ভবদহ নিয়ে একটা লেখা লিখলে সে সবই কি ইয়াসমিন হকের কাজ বলেও গণ্য হয়? আমার পুরা কমেন্টগুলো এটা বোঝানোর জন্যই যে, এই 'আইকন' মানাটাকে একটু রয়েসয়ে মানতে হবে, অন্ধভাবে নয়, নিজের চিন্তা-চেতনাকেও কাজে লাগাতে হবে। তার বর্তমান ইস্যু ১০০% ঠিক। ঐ ছাত্রী হলের নাম জাহানার ইমাম হওয়ার আপত্তি থাকাটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি।

সবাই যারা তাকে অন্ধভাবে আইকন মানে সেটা খুবই বিপদজনক। তার যে জানার বা প্রফেশনাল সীমাবদ্ধতা এটা আমার কাছে খুবই পরিষ্কার, অনেকের কাছেই না। ইয়াসমিন হকের নাম এখানে এসেছে বলেই আমি বিষয়টা তুলেছি যাতে সবাই জানতে পারে, এ ইস্যুতে তার পাশে থেকেও। উদাহরন দিলে হয়ত বোঝা যাবে - জাফর ইকবালের তো অন্ধভক্তের অভাব নেই। তাকে নিয়ে কোনো সত্য কথা বললেই হাজারটা কমেন্টে ইনিয়ে বিনিয়ে সবাই সবকিছু তার ফেবারে নেয়ার চেষ্টা করে, এখানেও তাই - এগুলো অন্ধভক্তির নমুনা। লেখালেখি করেন বলে তার চিন্তা গুলো আমরা কিছুটা জানি‌। এখন উনি গ্রামীন ব্যাংক আর ইউনুসকে নিয়ে উচ্ছসিত কিছু লিখলেই কি সেটা হয়ে গেল, ভাল খারাপ দুদিকই তো থাকতে পারে। উনি ড্রইং রুমে বসে এক মুভি দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে লিখে ফেললেন জাহাজভাংগা শিল্প বন্ধ করে দাও - উন্নয়ন বা সেফ করার কথাও না। হাজার হাজার দরিদ্র মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত যেখানে - যেটা নিয়ে অর্থনীতিবিদরা ভাবতে পারেন, পলিসিমেকাররা ভাবতে পারেন - সেফ ও দুষনমুক্ত করাটা যেখানে একটা উপায় হতে পারে। আর উনি কিসের এক্সপার্ট কি নিয়ে বিশাল এক কলাম ফেদে বসলেন শুধু একটা মুভি দেখে - আর্মচেয়ার ভাবুক। যুক্তি অনেক রকমই হতে পারে। এরকম অনেক প্রসংগই থাকতে পারে। আমার কথা হল যারা তাদেরকে অন্ধভক্তি করে তাদেরকে তা থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। উনারা কিছু বললেই জি হুজুর জাহাপনা না করে নিজের চিন্তাটাই প্রধান। আমরা কি শাহরিয়ার কবির, কবির চৌধুরী, মাহফুজ আনাম, হারুন অর রশিদ, জামাল নজরুল ইসলাম - যার নামই বলেন না কেন - কাউকে কি আমরা অন্ধভক্তি করি? এদেরকে তাহলে কেন?

আমরা যেহেতু আবেগ আর হুজুগকে বেশি প্রাধান্য দেই যুক্তির চেয়ে, খুব সহজেই আমরা কোনকিছু মেনে নেই বা করে ফেলি না বুঝেই। তাদের যে সীমাবদ্ধতা আছে, সেটা না জানলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। আর ইয়াসমিন হক ভার্সিটি ছেড়ে কিন্তু একটা এন জি ও করলেই পারেন, স্কলার তো তিনি না, তিনি যদি কর্মী হতে চান তাহলে তাই করা উচিত। ইয়াসমিন হক জাহানারা ইমাম হলের প্রভোস্ট বলেই উনার নাম এসেছে, এবং আমি তাকে নিয়ে লিখছি।

প্লিজ এই 'আইকন' মানাটাকে একটু রয়েসয়ে মানতে হবে, অন্ধভাবে নয়। ধন্যবাদ।

হিমু এর ছবি

মাসকাওয়াথের কথার জবাবে আমার নাম কেন টেনে আনছেন? আমি তো আর আপনার মন্তব্য সরিয়ে দেয়ার ছোটোলোকি প্রস্তাব করিনি।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

রাসেল সাহেব,

আপনার করা উপরের কিছু মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আমি একটু খোঁজ নিয়ে যা জানতে পেরেছি তা হলো ইয়াসমিন হক প্রথমে কিন্তু কেমিস্ট্রি (বা কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বোধ হয়) ডিপার্টমেন্টেই এ্যাড-হক ভিত্তিতে যোগ দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে রাজনৈতিক সুবিধার আশায় কিংবা "মনের মতো" মানুষ বলে তাঁকে ফিজিক্সে আনা হয়। এসব নিয়ে বিস্তারিত লেখার কোন ইচ্ছাই আমার নেই যদিও আমি আরো অনেক কিছুই জানি। বাংলাদেশে এসব খুব একটা আনকমন নয়, এমন অনেক কিছুই হয় যেগুলো নিয়ে আমরা চুপ করে থাকি। তাই এনাদের নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণা করলে ওনাদের ক্ষতি হয়না, সুবিধা হয় অন্যদের।

সবচেয়ে বড় কথা এসব এখানে অপ্রাসঙ্গিক। আপনি প্রাসঙ্গিক মন্তব্য করলে ভালো হয়। আর এসব নিয়ে যদি আপনি এতটাই নিশ্চিত হয়ে থাকেন, সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত লিখুন। যদিও আমি তার কোন দরকার মনে করি না। তার কারণ আগেই বলেছি।

রাসেল [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ ভেরিফাই করার জন্য। আমার সব জানাটাই ওয়েব ঘেটে বা পড়ে। আমি ইয়াসমিন হককে নিয়ে কোনো আলাদা পোষ্ট কোথাও দেব না। তার নাম এখানে এসেছে বলেই আমি যা জানি তা বলেছি, জাহানারা ইমাম নামকরন সম্পর্কিত না তবুও। নামকরন ইস্যুতে আমার সংহতি।

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

পোস্ট দিবেন্না কেন?
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

রাজিব মোস্তাফিজ [অতিথি] এর ছবি

পিপি দা ,

আপনার এই মন্তব্যটা আমার কাছে ড. ইয়াসমিন হকের জন্য অসম্মানজনক মনে হচ্ছে । আপনি যা জেনেছেন সূত্রসহ তা এখানে শেয়ার করে ফেলাই ভালো বলে মনে করছি।

অনিন্দ্য এর ছবি

হুম,আমি আপনার কিছু কথার উত্তর দেবার চেষ্টা করি।

১।"ধরুন আনিসুল হক, উনি কিন্তু স্পষ্টতই জামাত শিবিরের বিপক্ষে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়েই সবসময় লিখেন। কিন্তু তাই বলে কি তাকে আমরা ছেড়ে দেই, তিনি যখন অন্যান্য বিষয়ে উদ্ভট লিখেন।" - এখানে আপনি মূলত হিমু ভাই এবং অন্যান্য আরো কিছু সচলের আনিসুল হক বিষয়ক সমালোচনাকে extrapolate করতে চাচ্ছেন। আপনার এই যুক্তি খাটে না, কারণ যে সব সচল/অতিথি সচল উনার সমালোচনা করেছেন, তারা কিন্তু আনিসুল হক যখন জামাত শিবিরের বিপক্ষে লেখেন, সেখানে গিয়ে উনার everest প্রসঙ্গ টেনে আনেন না, কারণ তারা খুব ভালো করেই জানেন যে কোন জায়গায় কোন কথা বলতে হবে।

আমার সাথে হিমু ভাই বা অন্যান্য যারা আনিসুল হক এর সমালোচনা করছেন,তাদের কারো পরিচয় নেই। কিন্তু প্রায় ১ বছর ধরে সচলে উনাদের লেখা পড়ে যে ধারণা হয়েছে,তা থেকে আমি মোটামুটি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, যদি আনিসুল হক জামাতবিরোধী কোন কাজ করতে গিয়ে বাধা পান,তবে এরা সবাই তার পাশে এসে দাড়াবেন। তখন আপনার মত ফালতু যুক্তি দিয়ে কথা ঘোরানোর চেষ্টা করবেন না।

২।
ক)"আমার পুরা কমেন্টগুলো এটা বোঝানোর জন্যই যে, এই 'আইকন' মানাটাকে একটু রয়েসয়ে মানতে হবে, অন্ধভাবে নয়, নিজের চিন্তা-চেতনাকেও কাজে লাগাতে হবে।"
খ)"ইয়াসমিন হকের নাম এখানে এসেছে বলেই আমি বিষয়টা তুলেছি যাতে সবাই জানতে পারে, এ ইস্যুতে তার পাশে থেকেও। "- এটা করার জন্য আপনি এই পোস্টটাকেই কেন বেছে নিলেন? আপনার যদি এতটা ইচ্ছা থাকে জনতার "বিভ্রান্তি" দূর করার, আপনি আলাদা করে একটা পোস্ট দিলেই তো পারেন।

৩।"প্রথম আলো - ডেইলি স্টার এই পত্রিকা গ্রুপ কিছুদিন আগে ইয়াসমিন হককে নিয়ে একটা ফিচার লিখেছিল। সেখানে এক লেখক যে কিনা তার অন্ধভক্ত অনেক বাড়িয়ে বাড়িয়ে লিখে তাকে সুফিয়া কামাল, জাহানার ইমাম এদের সাথে তুলনা করেছেন। তখন থেকে আমার মেজাজটা বিগড়ে আছে।" - আপনি daily star এ প্রতিবাদ না পাঠিয়ে এখানে বিলাপ করছেন কেন?? এই পোস্টের কোথাও কি বলা হয়েছে যে daily star এর প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই আমরা তাকে "go ahead" বলছি?

৪।এত বিশাল সব কমেন্ট করার আগে আপনার উচিত ছিল পোস্টের শিরোনামটা ভালো করে পড়া এবং বোঝা। এই পোস্টের শিরোনাম "গো এহেড ইয়াসমিন হক, জাহানারা ইমাম আমাদের মা"। এখানে লেখক ইয়াসমিন হক কত বড় researcher, সেটা প্রমাণ করার কোন চেষ্টাই করেন নি,এই প্রসঙ্গটাই সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক। অথচ আপনি সেই কথাই বারবার বলে যাচ্ছেন।এখানে কেউ কি কোথাও বলেছেন যে উনি বাংলাদেশের গবেষকদের মধ্যে সবচেয়ে ভাল? উনি ৫০০০ জনের একজনও যদি হন, তাতেই বা সমস্যা কি? আপনি কি এই ৫০০০ এর মধ্যে থেকে কিছু মানুষকে SUST এ নিয়োগ দিতে পারেন?

৫।"আর ইয়াসমিন হক ভার্সিটি ছেড়ে কিন্তু একটা এন জি ও করলেই পারেন, স্কলার তো তিনি না, তিনি যদি কর্মী হতে চান তাহলে তাই করা উচিত।"-অবশেষে এই লাইনে এসে আপনার মনের আসল কথাটা বেরিয়ে এসেছে। আপনি যে কোন প্রকারে জাফর স্যার এবং ইয়াসমিন ম্যাডামকে SUST থেকে দূর করতে চান। এবার কি পরিষ্কার হয়েছে যে আপনাকে "ছাগু" ছাড়া অন্য কিছুই বলা উচিত না?

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

রাসেল সাহেব এই পোস্টে ইয়াসমীন হকের শিক্ষা-চাকরী সম্পর্কিত মূল্যায়ন অপ্রাসঙ্গিক।কথা হচ্ছে জাহানারা ইমাম হল নামকরণে ইয়াসমীন হকের উদযোগ নিয়ে। ব্লগ যদিও আমজনতার মিডিয়া এখানে দলিতের সামাজিক অধিকার বা বেকারের বড় গলায় অপ্রাসঙ্গিক কথা বলার অধিকার আছে।এখনো ভারতবর্ষে দলিতরা অচ্ছুত তাই তাদের কেউ কাপে চা দেয়না,ভাঁড়ে খেতে হয়, সেটা বদলে গেছে ব্লগে। এটা অনলাইনে আমাদের অর্জন।সুলক্ষণ,সাধুবাদ।তবে দলিত বা এলিত উভয় শ্রেণীর খিস্তি র যে কোন দৃষ্টান্ত ঘৃণিত হবে ব্লগ সমাজেও। তাই ভবিষ্যতে অফটপিকে না গিয়ে অনটপিকে থাকলে এধরণের অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটবে না আশা করছি।।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

জাহামজেদ এর ছবি

মাসকাওয়াথ ভাই, অপ্রাসঙ্গিক আলোচনা করে আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট না করার জন্য অনুরোধ করছি। সেদিন ট্রেনে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কমবয়সী এক শিক্ষকের সাথে আমার পরিচয় হলো, পাশের সিটে বসেছিলেন, পরিচয় পর্ব শেষে কথা প্রসঙ্গে তিনি বললেন, তার বাবা ও চাচারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, যুদ্ধে তার পরিবার অনেকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, ইত্যাদি, ইত্যাদি...। তারপর তিনি বললেন, দেশ স্বাধীন হয়েছে চল্লিশ বছর, এখন যদি দেশে আবার নতুন করে কোনো গৃহযুদ্ধ শুরু হয় তাহলে সেটা দেশের জন্য ক্ষতিকর ! এই কথা শুনে আমি তাকে প্রশ্ন করলাম, গৃহযুদ্ধ মানে ? তখন তিনি আমাকে বললেন, যে হারে বিরোধীদলীয় নেতাদের নানা রকমের মিথ্যে অপবাদ দিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে, তাতে তো দেশে গৃহযুদ্ধ আসন্ন। তার কথা শুনে আমার আর বুঝতে অসুবিধা রইলো না, তিনি যে একজন খাঁটি রাজাকারের সন্তান। তারপরও আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, বিরোধীদলের নেতা বলতে কি বুঝাতে চাচ্ছেন ? তিনি বললেন, এই যে সাঈদীর মতো একজন আলেম মানুষকে গ্রেফতার করলো সরকার, এটা কি ঠিক ? এটা তো যুদ্ধাপরাধী গ্রেফতারের নামে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। তখন আামার পাশ থেকে আমার বন্ধু, এতক্ষণ নীরব বসে কথা শুনছিলো, সে ক্ষেপে উঠলো, বললো, আপনাদের মতো কিছু ________বাচ্চা বেঁচে আছে বলে এতদিনে সাঈদী নিজামীর কিছু হয় নাই, ওদের আগে আপনাদেরকে সাইজ করা উচিৎ।

রাসেল হচ্ছেন এই টাইপ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। যখন নিজামী মোজাহিদ গোলাম আযমকে নিয়ে কথার ত্যানা প্যাঁচানো শুরু করবেন, তার আগে একবার তারা জানিয়ে দিবে তারা আমার বাপ চাচাও কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন !

শিবির যখন একবার এদের মগজধোলাই করে ফেলেছে, তখন আর কোনো কিছুতেই কাজ হবে না, গোবরে পদ্মফুল সব জায়গাতেই হয়তো ফুটে, কিন্তু শিবিরে কখনো ফুটে না।

ভাই রাসেল, মুক্তিযুদ্ধের সময় গু আযম, নিজামী, মোজাহিদ এদের কি ভূমিকা ছিলো একটু বলেন তো ?

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

অনিকেত এর ছবি

জনাব রাসেল,

এই পোষ্টের শিরোনাম দেখেই মনে হয়েছিল আপনি আবার আমাদের মাঝে 'নাজিল' হতে যাচ্ছেন। অনেক আগে জাফর স্যার কে নিয়ে একটা লেখায় আপনার সাথে আমাকে বাহাসে যেতে হয়েছিল। আপনার পদার্থবিজ্ঞান সর্বোপরি উচ্চশিক্ষা নিয়ে যে বুৎপত্তি সেটা নিয়ে বিতর্ক চলে না। জাফর স্যার কে নিয়ে আপনার গাত্রদাহ মোটামুটি হাস্যকর পর্যায়ের। কাজেই ইয়াসমিন হককে নিয়েও যে আপনার গাত্রদাহ হবে এ তো জানা কথাই।

যেটা আপনার জানা নেই---সেটা হল, আপনার মত কিছু #৳%#@ এর জন্যেই বারবার আমাদের মুখ অধোবদন হয়। আপনার মত লোকের জন্যেই দেশের রাস্তায় শেয়াল-কুকুরেরা আজো প্রাণের আনন্দে হুক্কা-হুয়া করতে পারে।

তবে আপনাকে ধন্যবাদ!
আপনার মত জ্ঞানপাপীরা আছেন বলেই দেশের লোকেরা ঠিক করে চিনতে পারছে দেশ হিতৈষীদের।

কাজেই অনিচ্ছা সত্ত্বেও---আপনাকে ধন্যবাদ!

জাহামজেদ এর ছবি

জাহানারা ইমামকে মহান বলে ইয়াসমিন হককে বিতর্কিত করে তোলার চেষ্টা দেখে অবাক হলাম ! জাহানারা ইমামকে আজ মহান বলছেন, বাহ্, বাহ্, এটা কি ডিম থেরাপির সুফল ?

আপনাদের মতো মাদ্রাসা পাশ কিছু ছেলে সারাজীবন সাধারণ বিজ্ঞান পড়ে ফিজিক্স নিয়ে যখন কথা বলতে আসে, বিশ্ববিদ্যাবিদ্যালয়ে শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তখন খুব জানতে ইচ্ছে করে, মাদ্রাসার জ্ঞান নিয়ে বড় হওয়া নিজেকে কি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগদাতা হিসেবে স্বপ্ন দেখেন নাকি ?

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

 রাজিব মোস্তাফিজ এর ছবি

রাসেল,

উনি আসলে শুণ্য পেপার লিখে প্রফেসর

আপনার জন্য একটা টোটকা---

M.L.Rahman, Y.Haque, S.K.Das, M.M.Hossain, M.H.Rashid, "Study of attractive nonlinearity by 1-D nonlinear Schrodinger equation in the Bose –Einstein condensate", Journal of Bangladesh Academy of Sciences, Vol. 33, No. 1, 87-98, 2009

আরও লাগলে বইলেন । কারও পাবলিকেশন তাঁর ওয়েবসাইটে আপডেট করা না থাকলেই তাঁর সম্পর্কে আজেবাজে কথা বলা বোধ হয় ঠিক না । তবে আপনার মত
সদা ছিদ্রান্বেষীদের যাতে ভবিষ্যতে কোনো সুযোগ দেয়া না হয় সেজন্য আমি ম্যাডামের সাথে এরপর দেখা হলে বলব যেন উনি ওনার সাইট আপডেট রাখেন।

তার বিষয়ে (পদার্থে) আসলে কোনো স্কলারশিপ প্রদর্শন করতে পারেন নি তিনি প্রফেসর হওয়ার মত। মুহম্মদ জাফর ইকবালের সহধর্মিনী হওয়াই এ ব্যপারে তার বড় সহায়ক। ডেইলি স্টারে তাকে নিয়ে একটি লেখা পড়েছিলাম বাড়িয়ে বাড়িয়ে লেখা। প্রফেসর, বিভাগীয় প্রধান, ইত্যাদি পদগুলো ছেড়ে দিয়ে আপনি প্রভাষক, বা বড়জোড় এসোসিয়েট প্রফেসর পদে থেকে গেলে সেটা বেশি গ্রহনযোগ্য।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর হওয়ার জন্য যে নীতিমালা আছে তার সবগুলো শর্ত ঠিকঠাক মত পূরণ হওয়ার পরও মুহম্মদ জাফর ইকবালের স্ত্রী হওয়ার কারণেই তাঁর পদোন্নতি পুরো জোট সরকারের সময় আটকে ছিল -- যার জন্য কোর্টে মামলা করে সেই মামলায় জিতেই ম্যাডাম তাঁর প্রাপ্য পদ পেয়েছেন । তাঁদের সম্পর্কে এত খোঁজ-খবর রাখেন -- এইটাও নিশ্চয়ই আপনার অজানা নয় --- তাহলে এটা চেপে গেলেন কেন ।


উনার প্রায় ৬০ বছরের জীবনে একটা লাইনও পদার্থ বিষয়ে (যে বিষয় উনি পড়ান) কোনো আন্তর্জাতিক জার্নালে লিখতে পারেন নি।

ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের মত একটা ভার্সিটি থেকে উনি ওনার পিএইচডি ডিগ্রী কিভাবে পেয়েছেন বলে আপনার ধারণা ?

আর একটি বিষয় এখানে একটু পরিষ্কার করা জরুরি বলে মনে করি যাতে আপনার মত রামছাগুরা এইটাকে পুঁজি করে কাঁঠাল পাতা খেতে না পারে । আমরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করেছি ২০০৬ সালে-- খুব সম্ভবত ওই বছরই সিন্ডিকেটে আইন পাশ হয় যে ফিজিক্যাল সায়েন্স, সোস্যাল সায়েন্সসহ কিছু অনুষদে গ্র্যাডুয়েট স্ট্যাডিজ খুলতে হবে । এর আগে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফোকাস ছিল আন্ডার গ্রাজুয়েট স্টাডিজ । আমার স্ত্রী কম্পিউটার সায়েন্স ডিপার্টমেন্টের একজন লেকচারার (এখন ছুটি নিয়ে মাস্টার্স করছেন)।
যে দুই বছর ও ডিপার্টমেন্টে শিক্ষকতা করেছে -- সে দুই বছর আক্ষরিক অর্থেই ওঁকে সপ্তাহে ৩০-৩৬ ঘন্টা ক্লাস নিতে হয়েছে । ক্লাসের প্রিপারেশন নিয়ে ক্লাস নিয়ে, পরীক্ষা নিয়ে খাতা দেখে রেজাল্ট দিতেই জান বের হয়ে যায়-- রিসার্চ করবে কখন?? তাই শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ ভালো না বলে আপনার মায়াকান্না যদি আমার কাছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মনে হয় তাহলে কি আমাকে দোষ দেয়া যায়?

রায়হান আবীর এর ছবি

কোনদেশে যে থাকি!

সংহতি জানালাম। ব্লগ একটা গুরুত্বপূর্ন একটি মাধ্যম। এই লেখা ছড়িয়ে দেওয়া হোক আনাচে- কানাচে!

সাদাচোখ [অতিথি] এর ছবি

খুব সস্তা কূট চাল। হাতে ইস্যূ নাই। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার থামানো যাচ্ছে না। বরহ শাবকদের অভায়রন্যে সেই যুদ্ধাপরাধীর বিচার আন্দোলনের মায়ের নামে হল হবে?
মেনে নেওয়া যায়? কখনোই না।

শুরু হয়ে গেল হারামিপনা। জাফর ইকবাল আর তার চৌদ্দ গোষ্টী কে দেশ ছাড়া করতে হবে। যখন বস্তা পচা পাঠ্যপুস্তকে পাকবাহিনী ও তার এদেশীয় দোষরদের রূপকথা শোনানো হচ্ছিল (একটা শুয়োরেরও নাম বা ছবি কোথাও ছিল না), তখন এই গুম্ফধারী শয়তান (জাফর ইকবাল) পত্রিকার পাতায় দ্বিধাহীন ভাবে লিখেছিল নিজামী আল বদর কমান্ডার। সুতরাং তার বিচরন বরাহশাবকদের অভয়ারন্যে চলতে দেওয়া যায় না। সুতরাং শুরু কর ষড়যন্ত্র।

ওরে নষ্ট বীজের সন্তানেরা, এত সহজে পারবি না। দেশের সব মানুষ তোদের মত জোম্বি এখনো হয়নি। মায়েরে নিয়া কথা বলার আগে সাতবার ভেবে দেখিস।

সংহতি জানিয়ে গেলাম।

রণদীপম বসু এর ছবি

সংহতি প্রকাশ করছি।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

বিপ্লব কুমার কর্মকার  এর ছবি

আমি ছাত্র ছিলাম।তাই যারা মৌলবাদী শিক্ষক তাদের চিনি।
মাসকাওয়াথ আহসান সাহেবের কথা সত্যি।ঐ নিয়োগ গুলো হয়েছিল, দুর্নীতিবাজ ভিসি মুসলেহউদ্দিন তারেকের সময়। ভাই-ব্রাদার, বৌ সবাইকে নিয়োগ দেয়া হয়,
পত্রিকায় দেখেছি, ওদের সার্টিফিকেটও জাল ছিল।স্বয়ং মুসলেহউদ্দিন তারেক অন্যের থিসিস পেপার চুরি করেছিলেন।এই ব্লগেই পড়েছি, ওইসব জামাতিদের ইন্ধন দেয় শহর আওয়ামী লীগের একটা অংশ।সামাদ আজাদ, বরুন রায় এনারা বেচে নেই। তাই শিক্ষকদের পাশে দাড়ানোর মত কোন রাজনীতিবিদ চোখে পড়ছে না।

বিপ্লব কুমার কর্মকার

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

সংহতি জানালাম।

ছাগুরা একটা প্রোপাগান্ডা প্রায়শ লাদে। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশন জট জাফর ইকবালের সৃষ্টি। এটার সুরাহা দরকার।

-------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

সাবিহ ওমর এর ছবি

শাবিপ্রবি মাইনাস জাফর ইকবাল = ?

আমরা যারা দূরে থাকি, তাদের কাছে উত্তরটা শূণ্যের কাছাকাছি...

সাদাচোখ [অতিথি] এর ছবি

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশন জট জাফর ইকবালের সৃষ্টি।

এই লাদানি বেশ বাজার পেয়েছে। অনেক বন্ধুকে বলতে শুনেছি জাফর ইকবালের জন্য শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত গ্যাঞ্জাম লেগে থাকে। এই লোক বিশাল ধান্দাবাজ ইত্যাদি ইত্যাদি....। বলাই বাহুল্য সেই বন্ধুরা হয় কূপমন্ডুক নাহয় শিবির করে।

বোঝাই যায় এই লোকটা ছাগুদের ঘুম হারাম করে দিয়েছে। এজন্যই ছাগুরা এমন মরিয়া।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

লেখায় পূর্ণ সমর্থন। লেখাটা ছড়িয়ে দেয়া দরকার।

ফারুক হাসান এর ছবি

সংহতি।

নাশতারান এর ছবি

এই বরাহশাবকেরা গলা উঁচিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব প্রকাশ করে দেখে অবাক হই।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

বালক এর ছবি

সংহতি জানাই
এই বরাহদের মুখ থেকে আর কতদিন এইসব (শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে যারা বিতর্কিত বলে) কথা বার্ত শুনতে হবে!!!

:::::: :::::::: ::::::::::::::: ::::::::::::::: ::::::::: ::::::::: :::::: ::::::: ::::::::::::
অভিলাষী মন চন্দ্রে না-পাক জোৎস্নায় পাক সামান্য ঠাঁই

____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"

অদ্রোহ এর ছবি

পূর্ণ সমর্থন জানালাম।

আজি দুঃখের রাতে, সুখের স্রোতে ভাসাও তরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

কী কমু [অতিথি] এর ছবি

জাহানারা ইমাম বিতর্কিত? এই শুয়োরের বাচ্চারা বলে কী? বিতর্কিত তো গু আযম, মইত্যা রাজাকারেরা, যারা জানে না তাদের বাপ বাঙালি নাকি পাকি সৈন্য। ওরে নষ্ট বীজের ফসল, পাকি সৈন্যের বাচ্চারা, তোরা যে আজ বেশ্যালয়ে বড় না হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েছিস, তা এই জাহানারা ইমামের ছেলে রুমি-জামিদের আত্মদানের কারণেই। তোরা তো পাকির পয়দা, ইতিহাসমূর্খ্, মিথ্যুক জাত, জাহানারা ইমামদের মূল্য তোরা বুঝবি কী করে? ধিক তোদের!!

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি বুঝি না এসব কিভাবে হয়, কিভাবে এতদিন ঝুলে থাকে, কেন থাকে।
একটা হলের নাম জাহানারা ঈমামের নামে করা হবে, সেটা কার্যকর করা স্মভব হবে না কেন???
বরাহরা কি এতই শক্তিশালী??

পলাশ রঞ্জন সান্যাল

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

সংহতি প্রকাশ করছি।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

মাহবুব লীলেন এর ছবি

সংহতি

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

সংহতি

অনিকেত এর ছবি

সংহতি

দেবজ্যোতি দাস দেবু এর ছবি

সর্বপ্রথম,এই অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মধ্যে ঢুকে পরা ঐ ছাগুকে বলছি,বাবাজি তুমি ইয়াসমিন হককে ছোট করে দেখানোর জন্য যে কষ্টটুকু করেছ তার অর্ধেকটা যদি বর্তমানে শাবিতে শিক্ষক হিসেবে থাকা ঐসব বেজন্মাদের ইতিহাস ঘাটানোর পেছনে করতে তাহলে খুশি হতাম । তুমি হয়তো বুঝতে পারছো না কোথায় এসে কি বলছো । যাও বাবাজি ঐ বেজন্মাদের __________ ধরে ঝুলে থাক । ভবিষ্যতে তোমার কাজে আসতে পারে ।

শহীদ জননীকে ভালবাসি,ভালবাসি ইয়াসমিন হককে ।
সংহতি

অতিথি লেখক এর ছবি

ইয়াসমিন হক বিতর্কিত মানুষের নামে আবার নামকরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। এই কারণে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় কোনো সন্কটে পড়লে এর দায়দায়িত্ব ইয়াসমিন হককে নিতে হবে।

এরা একটা ঝমেলা বাধানোর তালে আছে মনে হচ্ছে। শাবি সাবধান !! ফাইট দেয়ার জন্য লাঠি হাতে রেডি থাকলাম।
-শিশিরকণা-
(amihimi@gmail.com)

সৈকত সরকার এর ছবি

শাবিপ্রবি আমার নিজের বিদ্যাপীঠ... আমি জানি আমাদের কাছে জাফর স্যার ছাড়া শাবিপ্রবি কি...

ইয়াসমিন ম্যাডাম এর মত মানুষ হয় না ... আমার মনে আছে একবার এ বিল্ডিং এর রেলিং এর উপর বসেছিলাম বলে উনি আমায় বকেছিলেন...যদি অসাবধানতা বশত পড়ে যাই...

উনি অসম্ভব ভালো মনের একজন মানুষ

আর শাবিপ্রবির শু... বাচ্চাদের লিস্ট চান ... পুরোনোগুলা তো আমাদের জানার মধ্যে ... নয়া আমদানি যে কয়টা আছে সেগুলাও বের করে ফেলব ...

শহীদ জননী জাহানারা ইমাম এর নামে ছাত্রী হোস্টেল এর নামকরন করে শু... বাচ্চাদের আস্ফালনের অবসান ঘটানো হোক

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

ভীষণ রকমের সংহতি জানাই।

নাহিদ পারভেজ বাবু এর ছবি

পুরনো তিক্ত কিছু স্মৃতি আবার মনে পড়লো ।।
নামকরণের স্বপক্ষের আন্দোলনে বিভিন্ন মানুষের পল্টি মারা,আন্দোলনের ভয়ে গা ঢাকা দেওয়া ।।সিলেটের অনেক অনেক প্রগতিশীল মানুষের অহেতুক ভয়ে পিছিয়ে যাওয়া ।।আর সাথে আমরা কয়েকজন ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার আত্মবিশ্বাস ভেঙে যাওয়া ।।শিবির আর ছাত্রদলের ভয়ঙ্কর আস্ফালনের একটি ২৫ ডিসেম্বর ।।সরকারী ছুটির দিনের হরতাল ।।তবে আমার সারাজীবনে ওই একদিন বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা ।।এই এক আন্দোলনের ব্যার্থতায় আজও শাবিপ্রবির ছাত্র-ছাত্রীদের শিবিরের হারামী নেতাদের ভয় পেতে হয় ।।
শহীদ জননী জাহানারা ইমাম এর নামকে সিলেটের কাছে যে অপমাণিত হতে হয়েছে,তার প্রায়শ্চিত্ত একমাত্র সম্ভব যদি এখনও শহীদ জননীর নামে ছাত্রী হলের নামকরণ করা যায় ।।১৯৯৯ সালের মত এবারও যদি মাঝপথে আওয়ামী লীগ সরকার পিছু হটে,তবে আবারও সিলেটের আমরা পাপীষ্ঠরা শহীদ জননীর আত্মা আরেকদফা আঘাত করবো ।।
বাংলাদেশে আজ যুদ্ধাপরাধীর বিচার হবার পথে,যদি তা শেষ হয়,তবে ইতিহাস স্বাক্ষী দেবে যে এই বিচার সম্ভব হয়েছে শহীদ জননীর কাজে ।।
১৯৯৬ সালের গণ আদালত এবং গন স্বাক্ষর সংগ্রহের মাঝদিয়ে যে কলঙ্ক মোচনের কাজ আমাদের মা শুরু করেছিলেন,ক্যান্সার হয়তো তাকে সশরীরে সেই আন্দোলন শেষ করতে দেয়নি ।। তবে শহীদ জননী আজও স্বর্গে বসে ঈশ্বরের কাছে বিনতি জানাচ্ছেন এই বাংলার মাটি তে যেন খুনী রাজাকার রা ফাসী তে ঝুলে ।।

জাহামজেদ এর ছবি

এই লেখাটা লেখার পর আমার বন্ধুদের অনেকেই ফোন করেছিলো, এরা সবাই মূলত সিলেটে আর্ট কালচার আর সাংবাদিকতা করে। তাদের কথা হচ্ছে, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ বিষয়টা একেবারেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বিষয় ছিলো। অথচ জামাত শিবির এটাকে ইস্যূ বানিয়ে সিলেটে কত কি করলো। তারপর রাষ্ট্রপতিও বিষয়টি স্থগিত করে দিলেন, তখন যদি সরকার এই বিষয়টিতে পিছু না হটে যেতো, তাহলে হল আর ভবনগুলোর নামকরণ ঠিকই হয়ে যেতো। পরবর্তী সময়ে চারদলীয় জোট ক্ষমতায় যাওয়ার পর এই বিষয়টি নিয়ে কেউ একটা বেশি নাড়াচাড়া করেনি। এখন ইয়াসমিন হক যখন বিষয়টি আবার সবার গোচরে নিয়ে এসেছেন তাই শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের উচিৎ নামকরণের জন্য প্রশাসনকে জোর দেয়া। অন্যদিকে জামাত শিবির চক্র যে সিলেটবাসীর কথা বারবার আন্দোলনে ব্যবহার করেছে, তারা একজন ও তো এসব বিষয়ে মাথা ঘামাবে না। জাহানারা ইমাম কে, সিলেটের মানুষ এটা ভালো করে জানে, গু আযম আর নিজামী কে, এটাও সিলেটের মানুষ ভালো করেই জানে। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে সিলেটের মানুষকে দাঁড়াতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়েরে হলের নাম শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নামে করে দেখিয়ে দিতে হবে, মা আমরা তোমার অপমানের প্রতিশোধ নিয়েছি।

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

পূর্ণ সংহতি।

কোরবানী ঈদে গরু না কেটে শয়ে শয়ে ছাগু জবাই দিলে দেশের ছাগু সমস্যার খানিকটা কিনারা হয় না?! উফফফ....সবজায়গায় ছাগু। সচলেও .... (বিরক্ত)

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

ছাগু ফ্লু এবং ম্যাড ছাগু রোগ সংক্রমণ হলে তখন? এই ঈদে খুব সাবধানে খাশীর গোশ খেতে হবে মনে হচ্ছে।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

জাহামজেদ এর ছবি

শেষে মুরগি খাওয়াটা কিনা বন্ধ হযে যায়, যে হারে ডিম লাগতেছে !

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

Canopus এর ছবি

যে মেজর করেছে ফিজিক্সে, সে হায়ার স্টাডীতে সব ধরনের সায়েন্স পড়তে পারে, এবং পড়াতে পারে। এটা বরং সবচেয়ে ভালো! ব্যাসিক টা মাদার সায়েন্সে ... ... ... তারপর স্পেশিয়ালাইযেশন! তার যোগ্যতার প্রশ্নে কোন সন্দেহ তো থাকাই উচিত না বরং ভরসা টা বৃদ্ধি পায়! কম্পু সায়েন্স অথবা মেকাট্রনিক্স, এনভায়রন্মেন্ট সায়েন্স কিংবা বায়োমেডিক্যাল ... ... ... কন্ডেন্সড ম্যাটার, কেমিক্যাল ফিজিক্স ... ...এস্ট্রোফিজিক্স... ... ... শেষ নাই! @রাসেল

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

৯৯ সালে শাবিতে এই হলের নামকরণ নিয়ে আন্দোলনে স্বশরীরেই ছিলাম, সেখানকার ছাত্র না হয়েও। শিবিরের হাতে ধরা পড়তে পড়তেও বেঁচে গেছিলাম। সেই দুঃসহ স্মৃতি ভুলি নাই

লেখায় সংহতি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

জাহামজেদ এর ছবি

সেই সময়টাতে আমরা অনেক ছোট ছিলাম। তারপরও মনে হলে এখনো উত্তেজনা আসে শরীরে, শিবির প্রতিরোধের জন্য ঐ সময়টাতেই জীবনে প্রথম কোনো কিছু হাতে তুলেছিলাম।

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

পুতুল এর ছবি

এখন আর অবাক হই না। এই দেশে শহীদ মাতা দেশদ্রোহী ছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশে সেটা সম্ভব হয়েছিল। ৭১ হাতিয়ার গর্জে উঠে নি। আর উঠবেও না। এই দেশে রাজাকারই বড়।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

অতিথি লেখক এর ছবি

পূর্ণ সংহতি।

শহীদ জননীকে ভালোবাসি, ভালোবাসি ইয়াসমিন হককে

কুটুমবাড়ি

নীল রোদ্দুর এর ছবি

গো এহেড ইয়াসমিন হক, জাহানারা ইমাম আমাদের মা, আমরা বরাবরের মতো এই ইস্যূতে আপনার সাথে আছি...

সাথে আছি আমরা।.
--------------------------------------------------------
দেখা হবে সত্য, সুন্দর আর মুক্তচিন্তার আলোকে;
যদি লক্ষ্য থাকে অটুট, দেখা হবে বিজয়ে।

-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়

আবির আনোয়ার এর ছবি

সংহতি

সাবিহ ওমর এর ছবি

একটা ব্যাপার পরিষ্কার হলো না। নামকরণের জন্য কি নতুন করে তোরজোড় শুরু হলো, নাকি নতুন করে ইয়াসমিন হকের নামে অপপ্রচারণা শুরু হলো? শাবিপ্রবির বর্তমান কর্তৃপক্ষ সম্পর্কে যা জানি, নতুন করে নামকরণে যাবার বা কোন নাম প্রতিষ্ঠা করার জন্য তাদের পদক্ষেপ নেবার কথা না। বরং একাডেমিক কাজকর্ম চালিয়ে যেতেই তাদের আগ্রহ বেশি। আর জাফর ইকবাল ও ইয়াসমিন হককে বহুদিন থেকেই গালাগালি করা হচ্ছে, ওতে তাদের বা অন্য কারোরই কিছু আসে-যায় বলে মনে হয় না।

আমি আরেকটা ব্যাপারে কিছুটা কনফিউজড। আমার কাছে মনে হয়, সিলেটিরা (ইন জেনারেল) জাফর ইকবালকে দেখতে পারে না। কেন? এখানে কি সিলেটি/আবাদি সেন্টিমেন্ট জড়িত?

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আমার কাছে মনে হয়, সিলেটিরা (ইন জেনারেল) জাফর ইকবালকে দেখতে পারে না।

আপনার এই মনে হওয়ার কারন কি?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

সাবিহ ওমর এর ছবি

আমার পরিচিত প্রতি পাঁচজন সিলেটির মধ্যে চারজনই জাফর ইকবালকে দেখতে পারে না। হতে পারে, আমি ছাগুসংস্রবের ওভারডোজের মধ্যে আছি, কিন্তু ব্যাপারটা এরকমই। আর সিলেটি/আবাদি সেন্টিমেন্টের কথা তো বললামই।

আর আমার বাপের বাড়ি হবিগঞ্জ খাইছে

জাহামজেদ এর ছবি

সিলেটি বলতে যদি আপনি হবিগঞ্জের পরিসংখ্যান এখানে তুলে দেন তাহলে বলার কিছু নেই, আর যদি শুধু সিলেটের কথা বলেন, তাহলে বলি, জাফর ইকবালকে অপছন্দ করে সিলেটে জামাত শিবির ছাড়া এমন লোক আজ পর্যন্ত দেখিনি, আপনি যদি দেখে থাকেন তাহলে সেটা আপনার সৌভাগ্য ! আর আবাদি বিষয়ক কথাটা শুনে হাসতে বাধ্য হলাম, সিলেটে আবাদির প্রচলন আছে ঠিকই, কিন্তু গুণী মানুষের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য নয়, কথাটা মনে হয় জানা নেই আপনার ?

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আপনি নিশ্চিতভাবেই ছাগুসংস্রবের ওভারডোজের মধ্যে আছেন হাসি

জাফর ইকবাল প্রসঙ্গে সিলেটী-নন সিলেটী ইস্যু একেবারেই অবান্তর। সারা দেশের অন্য যে কোন জায়গার মতো সিলেটেও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি আছে। পক্ষের শক্তি জাফর ইকবালের সাথে আছে, বিপক্ষের শক্তি নেই- সহজ হিসাব। জাফর ইকবালের নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মচারীদের উল্লেখযোগ্য অংশ নন-সিলেটী যাদের মধ্যে জাফর ইকবাল নাপছন্দের সংখ্যা কম নয়।
'৯৯ এর নামকরন বিরোধী আন্দোলন সম্পর্কে কি আপনার ধারনা আছে?

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

সাবিহ ওমর এর ছবি

নামকরণ বিরোধী আন্দোলন নিয়ে জামাতের একটা স্মরণিকা পড়েছিলাম, 'শুধু ওরা ফেরে না'...সেই রকম ইমোশনাল জিনিস, পড়ে চক্ষে পানি এসে পড়সিলো হাহাহা...

গোস্বা হইয়েন না ভাইসব। জানি না বলেই প্রশ্ন করি। আগে তো এইসব ছাগু পলিটিক্সও ভাল জানতাম না। এক জায়গায় কয়েকজন আঙ্কেল জিজ্ঞেস করলো, "আচ্ছা তুমি তো ওদিককার মানুষ, মুজাই সম্পর্কে তোমার কি ধারণা?" আমি থতমত খেয়ে বললাম, "উনি না থাকলে তো সাস্টে (বাইরে থেকে) কেউ পড়তে যেত না।" ওরা দেখি মুখ চাওয়াচাওয়ি করে।

এই তো...দুনিয়া জোড়া পচুর গিয়াঞ্জাম...

হাসান মোরশেদ এর ছবি

বাঁচতে হলে জানতে হবে ভাইয়া হাসি
জানার জন্য প্রশ্ন করেন, গোস্বা করি নাই।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

আপনি শুধু ওভারডোজের মাঝেই নাই, আপনি প্রায় অনিরাময়যোগ্য পর্যায়ে চলে যাচ্ছেন। খিয়াল কইরা।
ছাগুর বাইরে কেউ জাফর ইকবাল স্যারকে অপছন্দ করে, এমনটা আমি দেখি নি কখনো।

সাবিহ ওমর এর ছবি

আমি? অনিরাময়যোগ্য ছাগু?
আপ্নেরা পুরান সচল, কারে কি কন একটু বুঝেসুঝে কমেন্টাইয়েন...খুউউব খিয়াল কইরা...

ছাগুর বাইরে কেউ জাফর ইকবাল স্যারকে অপছন্দ করে, এমনটা আমি দেখি নি কখনো।

আমি দেখেছি। কিন্তু এটা নিয়ে আর কথা বলতে চাই না, ওকে? আর এটা অপ্রাসঙ্গিকও বটে। (মন্তব্য রেস্ট্রিক্ট করে কেম্নে?)

আরিফ জেবতিক এর ছবি

উহু ভাই ডি, আপনারে অনিরাময় যোগ্য ছাগু বলিনি। অনিরাময় যোগ্য ছাগু মনে হলে তো কথাই বলতাম না।
আমি বলছি, আপনার ছাগুসঙ্গ ওভারডোজের চাইতেও বেশি, অনিরাময়যোগ্য পর্যায়ে চলে যাচ্ছে, নিজেরে রক্ষা করেন। হাসি
আপনার পরিচিত পাঁচজনের মাঝে চারজনই যদি জাফর ইকবালরে দেখতে পারে না, তাহলে আপনি বাস করেন ৮০ শতাংশ এমন সব মানুষের মাঝে যাদের রাজনৈতিক অবস্থান জাফর ইকবালের অবস্থানের বিপরীত। ৮০ শতাংশ এমন সংস্পর্শে আপনার অবস্থান থাকলে আমি 'খুউব খিয়াল কইরা'ই এবং 'বুঝে শুনে' কমেন্টাইছি।

মন্তব্যটা এখন অপ্রাসঙ্গিক ঠেকল আপনার কাছে, কিন্তু হুট করে একটা রেসিস্ট টাইপ কমেন্ট করে জাহানারা ইমাম- ইয়াসমিন হক আলোচনায় সিলেটিদের আলাদা করে টানাটানিটাই বরং আমার কাছে অপ্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে।

ভালো থাকুন।

সাবিহ ওমর এর ছবি

ভুল বোঝার জন্য দুঃখিত। আমি আপনার মন্তব্যকে অপ্রাসঙ্গিক বলিনি, আমার নিজের আগের কমেন্টটাকেই অপ্রাসঙ্গিক বলেছি।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

নিজেরা নিজেরাই তো।
দুনিয়া জুড়া গিয়ানজাম। হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

পূর্ণ সংহতি জানাচ্ছি।

- বুদ্ধু

বোহেমিয়ান এর ছবি

পূর্ণ সংহতি
জাহানারা ইমাম আমাদের মা, আমার সবচাইতে প্রিয় মুক্তিযুদ্ধের বই হচ্ছে একাত্তরের দিনগুলি
মুক্তিযুদ্ধ শুধু জানার নয়, অনুভবেরও প্রথম বুঝেছিলাম এই বইটা পড়েই।
_________________________________________

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

দ্রোহী এর ছবি

রাসেল(অতিথি) লিখেছেন:
এই পোষ্টে আমার সংহতি আগের কমেন্টেই জানিয়েছি। জাহানারা ইমামকে আমি শ্রদ্ধা করি। শিবির জামাতকে আমি সমর্থন করিনা। আমার তিন চাচা অল্প বয়সে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন - বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প ছিল। আমি ছাগু নই।

ছাগুদের আত্মীয়স্বজনেরা সবসময় বড় মুক্তিযোদ্ধা হয় কেনু কেনু কেনু কেনু?

অমিত এর ছবি

ম্যান আমি এই প্রশ্নটা এখনি করতে যাচ্ছিলাম। এরা চোথা আপডেট করে না কেন ?

আরিফ জেবতিক এর ছবি

হাঃ হাঃ হাঃ!
কী কাকতাল!
আমিও ভাবেতছিলাম এই প্রশ্নটা করব। গড়াগড়ি দিয়া হাসি

নীল রোদ্দুর এর ছবি

ছাগুদের আত্মীয়স্বজনেরা সবসময় বড় মুক্তিযোদ্ধা হয় কেনু কেনু কেনু কেনু?

আমার স্কুল সাথীর চার মামা মুক্তিযোদ্ধা ছিল, শুনেছিলাম এটা প্রায় ছয় বছর যাবৎ। কিন্তু তার বাবা যে ৭১ এ পাকিস্তান ভারত সীমান্তে পাকিস্তানের হয়ে যুদ্ধ করেছিল, সে কথা জেনেছিলাম স্কুল ছাড়ার মাত্র কদিন আগে, তাও কোন এক দূর্বল মুহূর্তে অসাবধানে প্রকাশ হয়ে গিয়েছিল।

কাঁঠালপাতা খাওয়াকে জায়েজ করার জন্য হলেও মাঝে মাঝে মুক্তিযোদ্ধা আত্মীয়-স্বজনের রেফারেন্স দেয়া লাগে। সুবিধাবাদী নীতিতে এ তো নতুন কিছু না। হাসি.
--------------------------------------------------------
দেখা হবে সত্য, সুন্দর আর মুক্তচিন্তার আলোকে;
যদি লক্ষ্য থাকে অটুট, দেখা হবে বিজয়ে।

-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়

জাহামজেদ এর ছবি

তার বাবা যে ৭১ এ পাকিস্তান ভারত সীমান্তে পাকিস্তানের হয়ে যুদ্ধ করেছিল, সে কথা জেনেছিলাম স্কুল ছাড়ার মাত্র কদিন আগে

কস্কি মমিন!

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

সংহতি।

হিমেল নাগ রানা এর ছবি

@সৈকত, রেলিং এর কাহিনী আমার সাথেও অনেক বার হয়েছে। উনি আমাকে র‍্যাগ এর দিনেও মনে করিয়ে দিয়েছেন দুই বছর আগের রেলিং কাহিনী।

আমার মনে পড়ে পাস করার পর ক্লিয়ারেন্স এর জন্য বিশেষ দুইজনের সিগ্নেচার নিতে হয়নি বলে (তারা ততদিনে পদ হারিয়েছিলেন) আমি আর আমার বন্ধু সেলিব্রেট করেছিলাম। তারা আবার ফিরে আসছে খবর পাচ্ছি!

কিছুই ভুলিনি! সব নাম মনে আছে! লিস্ট রেডি হচ্ছে!

সোয়াদ [অতিথি] এর ছবি

অতিথি লেখক লিখেছেন:
জামায়াতের ভন্ডামির একটা উদাহরণ দিই।
হুমায়ুন আজাদ স্যার যখন 'শুভব্রত, তার সম্পর্কিত সুসমাচার' লিখেছিলেন তখন তাদের এতো গাত্রদাহ হয়নি, যতটা হয়েছে 'পাক সার জমিন সাদ বাদ' লেখার পর। কেননা 'পাক সার' এ জামায়াতোদের ভন্ডামির মুখোশ সরাসরি উন্মোচন করা হয়েছে যেখানে 'শুভব্রত' এ মহানবী (স) কে খুব সূক্ষ্মভাবে বিদ্রূপ করা হয়েছে। মহানবীকে বিদ্রূপ করলে তাদেরঙ্খুব একটা গায়ে লাগে না, নিজেদের উপর যখন এসে পড়ে তখনই তারা পাগলা কুত্তা হয়ে যান

এটার খুব সহজ ব্যাখ্যা রয়েছে- 'শুভব্রত, তার সম্পর্কিত সুসমাচার' এরা পড়ে নাই, পড়ে থাকলেও বুঝতে পারে নাই।

অমিত এর ছবি

সংহতি

সবজান্তা এর ছবি

জানি না শুধু মৌখিক সংহতি জ্ঞাপন করে কতোটা ভূমিকা রাখতে পারবো- তবু সাথে যে আছি, এটুকু জানাতে চাই।

উপরে রাসেল নামের এক বিশিষ্ট প্রাজ্ঞ, শিক্ষিত, জ্ঞানী লোকের কমেন্ট দেইখা হাসতেই আছি দেঁতো হাসি

উনার মন্তব্য পইড়া আরেকটু হইলে আমি ফিজিক্স কেমিস্ট্রি ইত্যাদি সাবজেক্ট সম্পর্কে যা জানি সব ভুইলা যাইতে নিসিলাম দেঁতো হাসি


অলমিতি বিস্তারেণ

আরিফ জেবতিক এর ছবি

আমি ব্যাপারটা নিয়ে গতরাতে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বললাম।
বিভিন্ন মত এসেছে।
এর মাঝে একজন প্রাক্তন ছাত্রের অনুভবটা বলি।
তাঁর বক্তব্য হচ্ছে, এই নামকরণের আন্দোলনে আমার জীবনের ১ বছর হারিয়ে গেছে,
আবার একই কারবার হবে। আবার আন্দোলন হবে, জামাতিরা এস্কেপ রুট পাবে শাহজালালের নাম নিয়ে আন্দোলন করার, আওয়ামীলীগ আবার ব্যাকফুটে যাবে, মাঝখান থেকে ছাত্রদের জীবন থেকে এবার কয়বছর যাবে কে জানে?

আমার মনে হয় এবার আসলে সরকারের উপর বড় করে চাপ দিতে হবে। ধুনফুন বাদ দিয়ে তাঁরা যদি শক্তহাতে বিষয়টা হ্যান্ডেল করে, তাহলেই হয়ে যায়।

জাহামজেদ এর ছবি

সিলেটে জামাত শিবিরের বর্তমানে আগের অবস্থা নেই। দখলবাজ, ভুমিখেকো সব জামাত শিবিরের। তাদের কাছে দলের থেকে এখন নিজের ব্যবসা আর জান বাঁচানো ফরজ। যুদ্ধাপরাধী ইস্যূতেও তাই জামাতের এমন অনেকে নীরব আছে এটা শোনা যায়। তাই সরকারের উচিৎ এখনই নামকরণ বাস্তবায়ন করে ফেলা। যেহেতু জামাত একটা বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবে বেকায়দায় আছে, এই সুযোগে শাবি ও সিলেটের তরুণরা যদি নামকরণ বাস্তবায়নের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে তাহলে সরকারের ব্যাকফুটে যাওয়ার সুযোগ নেই। তাছাড়া যুদ্ধাপরাধীর বিচার চাই সাথে এই আওয়াজটা রাখলে জামাত শিবির মানসিক ও সামাজিকভাবে এই আন্দোলনে তাদের শক্তি হারিয়ে ফেলবে। তারা যদি তখন ২০০ সালের মতো হার্ডলাইনে যায়, তাহলে মানুষকে বোঝানো যাবে, যুদ্ধাপরাধীর বিচার চাওয়ার কারাণেই জামাত শিবির এসব করছে। যে সব সিলেটি তখন
( বিএনপিওয়ালা ) তখন তাদের পাশে ছিলো যুদ্ধাপরাধী ইস্যূতে তারা এদের সাথে না থাকতে পারে। এদের মুখোশ এভাবেই উন্মোচন করতে হবে।

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

শান্ত [অতিথি] এর ছবি

এখানেতো আমরা আমরা সব কথা বলছি। কিন্তু আসল কাজটা মানে, সরকারের কানে নামকরনের কথাটা কিভাবে তোলা যায়।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

নিয়মতান্ত্রিকভাবে স্থানীয় সংসদ সদস্য হচ্ছেন সরকারের সর্ব্বোচ্চ মহলের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় সংসদ সদস্য নিজেই সরকারের নীতিনির্ধারকদের একজন।
এছাড়া শিক্ষামন্ত্রী ও যোগাযোগের বাইরে থাকার কথা নয়- সিলেটের মানুষদের জন্য।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

জাহামজেদ এর ছবি

সরকারের কানে নামকরনের কথাটা কিভাবে তোলা যায়

তখন যেসব সিলেটি এই আন্দোলনের ফ্রন্টলাইনে ছিলেন তাদের উচিৎ এই বিষয়টা নিয়ে সরকারের সাথে কথা বলা, সরকার বলতে সরকারের চারজন মন্ত্রী আছেন বৃহত্তর সিলেটে, বিশ্ববিদ্যালয় অর্থমন্ত্রীর নিজের সংসদীয় এলাকা। তাই হয়তো সরকারের উচ্চ পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে যেতে খুব একটা সমস্যা হবে না। সিলেটে আর্ট কালচারে যারা জড়িত আছেন, যারা তখন এই আন্দোলনের প্রাণশক্তি ছিলেন, তাদের উচিৎ বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবা। যেহেতু এখনো বিষয়টা অমিমাংসিত, তাই এর সমাধান করে ফেলা দরকার।

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

শান্ত [অতিথি] এর ছবি

দুই মন্ত্রীই হাতের কাছে আছেন, কিন্তু মোরশেদ ভাই ও জাকির ভাই, তোমরা দুইজন নিশ্চয়ই খুব ভালো করে জানো সিলেটে আর্ট কালচার তথা সংষ্কৃতির সাথে কারা জড়িত। তোমাদের কি মনে হয় এরা কখনও নামকরনের ব্যাপারটা নিয়ে মন্ত্রীর সাথে কথা বলবেন? উপরে বাবু একটি মন্তব্য করেছে নীচে কোট করে দিলাম

নাহিদ পারভেজ বাবু লিখেছেন:

পুরনো তিক্ত কিছু স্মৃতি আবার মনে পড়লো ।।
নামকরণের স্বপক্ষের আন্দোলনে বিভিন্ন মানুষের পল্টি মারা,আন্দোলনের ভয়ে গা ঢাকা দেওয়া ।।সিলেটের অনেক অনেক প্রগতিশীল মানুষের অহেতুক ভয়ে পিছিয়ে যাওয়া

এই মানুষরাইতো সিলেটে সংষ্কৃতি উদ্ধার করে বেড়ান। তার উপর আছেন আমাদের মেয়র সাহেব। আমাদের সংষ্কৃতিকর্মীরা কিছু হলেই প্রথমে দৌড়ান মেয়রের কাছে, কিন্তু এই জামাত ঘেষা মেয়র সাহেবকি এই আন্দোলনের সাথে জড়িত হবেন বা হলেও কতটুকু ভূমিকা রাখবেন সেটা একটা প্রশ্ন।

সুতরাং সবকিছু মিলিয়ে আমার মনে হয় সিলেটের সংষ্কৃতি কর্মীদের কাছ থেকে কিছু আশা করা ভুল হবে। যা করার শাবির ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে করতে হবে। কিন্তু কিভাবে .........

জাহামজেদ এর ছবি

সিলেটের সংস্কৃতি আর আর্ট কালচার নিয়ে কথা বলতে গেলে ভয় হয়। কিছু বললে প্রথম কথাটি যে শুনতে হয়, তুমি আর্ট কালচারারের কি বুঝো, নাটক করে, নানা দিবসে অনুষ্টান করে, আমরাই সংস্কৃতিরে বাঁচিয়ে রাখছি, তুমি তো সেদিনের পুঁচকে ছেলে ! এই বিষয়টা আমার থেকে তোমার ভালো জানার কথা। যারা সংস্কৃতির বৃলি আওড়ান দিনে রাতে, তাদেরকেই দেখা যায়, কামরানের পাশে গিয়ে কামরান ভাই কামরান ভাই করছেন। এই মেয়রকে তেল মারার এত কি প্রয়োজন সিলেটের সংস্কৃতিওয়ালাদের ? আমি শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারি, নামকরণ ইস্যূতে মেয়র নীরব, পারলে জামাত শিবিরের সাথে গিয়ে শলা পরামর্শ করবে, কিভাবে নামকরণ ঠেকানো যায় ! সিলেটের সংস্কৃতিওয়ালারা কেন বের হয়ে আসতে পারছেন না, জামাতপন্থি এই মেয়রের ছায়া থেকে? মেয়র না থাকলে কি সংসিলেটের স্কৃতি অচল হয়ে যাবে ?

শান্ত তোমার কাছে কিছু প্রশ্ন,

১. সিলেটে বর্তমানে যাদের হাতে সংস্কৃতির নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে, এসব বিষয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তুমি তাদেরকে কতটুকু যোগ্য মনে করো ?
২. তারা কি পারবে ২০০০ সালের আন্দোলনের নাট্যকর্মী আর সংস্কৃতি কর্মীদের মতো এখন কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে ?
৩. তোমাদের সমবয়সী বন্ধুদের একটা বিশাল গ্রুপ আছে, আমার ধারণা, এরাই সিলেটে নাটক বলো আর সংস্কৃতি বলো, আর যে কোনো আন্দোলন বলো, বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি কার্যকরি ভূমিকা রাখতে পারতো মূলত এই তরুণরাই। এদের হাতে কেন নেতৃত্বের ব্যাটন তুলে দেওয়া হচ্ছে না, অথবা তারা নিজেরা কেন হাতে তুলে নিচ্ছে না সিলেটের আর্ট কালচারের দায়িত্ব ?
৪. ইঞ্জিনের তেল পুরনো হয়ে গেলে তেল পাল্টাতে হয়, তেল পাল্টারে পুরো ইঞ্জিনটাই ধ্বংস হয়ে যায়। এখন যদি তোমরা ইঞ্জিনের তেল না পাল্টাও তাহলে সিলেটের নাটকের দল আর অন্যান্য সংগঠনে যে হারে শিবির ঢুকে পড়ছে ভবিষ্যতে নাটকের দলের ওয়াজ মাহফিল আয়োজন দেখলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না !
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

নাজনীন খলিল এর ছবি

গো এহেড ইয়াসমিন হক, জাহানারা ইমাম আমাদের মা, আমরা বরাবরের মতো এই ইস্যূতে আপনার সাথে আছি...

সানাউল্লাহ লাবলু এর ছবি

এগিয়ে যান ইয়াসমিন হক। আমরা পাশে আছি।

জাহামজেদ এর ছবি

এখানে লাবলু ভাইয়ের মন্তব্য দেখে ভালো লাগলো। আপনাকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনি বলেই বলছি, বিষয়টা যেহেতু এখনো অমীমাংসিত, পোস্টেও লিখেছি, রাষ্ট্রপতির মৌখিক নির্দেশে নামকরণ স্থগিত করা হয়, যেহেতু এই বিষয়ে কোনো কাগজপত্র কোনোদিনই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়নি, তাই আমরা ইয়াসমিন ম্যাডামের সাথে এই বিষয়ে একমত হতে পারি, নামকরণ এখনো বহাল আছে। শুধু বাস্তবায়নের প্রয়োজন। শাবিতে প্রচুর জামাতপন্থি শিক্ষকের বিচরণ, চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ভিসি তারেক শিবিরের সাথী সদস্য দেখে দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বানিয়েছেন, আরো অবাক এই সরকারের আমলেও জামাতপন্থি শিক্ষকেরা অনেকেই বিভিন্ন বিভাগের প্রধানের আসনে বসে আছেন। আর এইসব ডিপার্টমেন্টে এখনো শিবিরের ছেলেরা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছে ! এভাবে চলতে থাকলে শাবি ভবিষ্যতে চবি আর রাবি'র মতো গু আযমের ময়লার ভাগাড় হয়ে যাবে।

এখন নামকরণ ইস্যূটা নিয়ে যদি দেশের প্রগতিশীল মিডিয়াগুলো একটু লেখালেখি করে, আপনারা রেডিওতে এসব ব্যাপারে জনমত গড়ে তুলতে পারেন, তাহলে হয়তো ড. ইয়াসমিন হক একা যে যুদ্ধ শুরু করেছেন, সেটার একটা সমাধান হয়ে যাবে। মানুষকে বিষয়টা জানাতে হবে, জানাতে হবে নামকরণ বাতিল হয়নি, শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নামে হলের এখনো বহাল আছে, এটা শুধু এখন বাস্তবায়ন করতে হবে।

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

সুরঞ্জনা এর ছবি

সংহতি
............................................................................................
স্বপ্ন আমার জোনাকি
দীপ্ত প্রাণের মণিকা,
স্তব্ধ আঁধার নিশীথে
উড়িছে আলোর কণিকা।।

............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্‌ চিনে।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

আমরা আগেও মাঠে ছিলাম, এখনও থাকব।
ভালোভাবেই থাকব।

সাবিহ ওমর এর ছবি

আসল কথাটাই জানা হলো না। অতি সম্প্রতি ডঃ ইয়াসমিন হক/বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নিয়েছেন বা নিতে যাচ্ছেন? নাকি অতি সম্প্রতি জামাতিরা গা ঝাড়া দিয়ে ওঠার জন্য এই ইস্যুকে খুঁচিয়ে তুলছে? কেস কোনটা?

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

সংহতি।

একটা হলের নাম জাহানারা ইমামের নামে করতে পারি না আমরা!!! এটার জন্য আন্দোলন কেন করতে হবে? সরকার চাইলে কি পারে না নামকরণ বহাল রাখতে?
শেখ হাসিনাও তো সেদিন গণআদালতের মঞ্চে ছিলেন, জাহানারা ইমামের পাশে, জাহানারা ইমামের সেই দৃঢ়তা থেকে কিছুই কি শেখেন নি তিনি?

শান্ত [অতিথি] এর ছবি

আমি প্রশ্নগুলোর উত্তর দিচ্ছি

জাহামজেদ লিখেছেন:

১. সিলেটে বর্তমানে যাদের হাতে সংস্কৃতির নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে, এসব বিষয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তুমি তাদেরকে কতটুকু যোগ্য মনে করো ?

২. তারা কি পারবে ২০০০ সালের আন্দোলনের নাট্যকর্মী আর সংস্কৃতি কর্মীদের মতো এখন কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে ?

৩. তোমাদের সমবয়সী বন্ধুদের একটা বিশাল গ্রুপ আছে, আমার ধারণা, এরাই সিলেটে নাটক বলো আর সংস্কৃতি বলো, আর যে কোনো আন্দোলন বলো, বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি কার্যকরি ভূমিকা রাখতে পারতো মূলত এই তরুণরাই। এদের হাতে কেন নেতৃত্বের ব্যাটন তুলে দেওয়া হচ্ছে না, অথবা তারা নিজেরা কেন হাতে তুলে নিচ্ছে না সিলেটের আর্ট কালচারের দায়িত্ব ?

৪. ইঞ্জিনের তেল পুরনো হয়ে গেলে তেল পাল্টাতে হয়, তেল পাল্টারে পুরো ইঞ্জিনটাই ধ্বংস হয়ে যায়। এখন যদি তোমরা ইঞ্জিনের তেল না পাল্টাও তাহলে সিলেটের নাটকের দল আর অন্যান্য সংগঠনে যে হারে শিবির ঢুকে পড়ছে ভবিষ্যতে নাটকের দলের ওয়াজ মাহফিল আয়োজন দেখলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না !

উত্তর:১- সিলেটে সংষ্কৃতি জগতে দুইটি প্রধান সংগঠন, ১) সম্মিলিত নাট্য পরিষদ ২) সম্মিলিত সাংষ্কৃতিক জোট।

নাট্য পরিষদের কাজ নাটকের দলগুলো নিয়ে। আমি নিজে এই কমিটির সদস্য। মনে হয় এই বিশাল কাজে নেতৃত্বে দেয়া সম্ভব হবে না (এটা আমার ব্যাক্তিগত মতামত। কমিটি হয়তোবা অন্য সিদ্ধান্ত নিতেও পারে)। কিন্তু নেতৃত্ব দেয়া ছাড়া পাশে থেকে আন্দোলনে শরিক হব এই কথা দিতে পারি।

সম্মিলিত সাংষ্কৃতিক জোট বিগত ৭-৮ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় ছিল, কয়েকদিন আগে অনেক তোড়জোড় করে নতুন কমিটি তৈরী করার জন্য কাজ শুরু হয় কিন্তু নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবোঝি বা পলিটিক্সের কারণে তা আর সম্পন্ন করা হয়নি। এটা এই মুহুর্তে ঝুলে আছে।

সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে দুইটা প্রধান সংগঠন নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল দুইটার পক্ষেই তা করা সম্ভব হচ্ছেনা।

উত্তর:২- হয়তো আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব কিন্তু ২০০০ সালের মতো বিশাল আন্দোলন গড়ে তোলা অনেকটাই কষ্টসাধ্য হবে।

উত্তর:৩- এটা একটা কঠিন প্রশ্ন। যদি কেউ নিজ থেকে দায়িত্ব নিতে না চায়, তাহলে তাকে কোনভাবেই জোড় করে দায়িত্ব দেয়া সম্ভব নয়। কেন জানিনা আমার সমবয়সী যারা আছে তারা এই দায়িত্ব নেয়ার ব্যাপারে খুবই উদাসীন। হয়তো সিনিয়ররা সেই রকম পরিবেশ সৃষ্টি করেননি, তাই সবার এই উদাসীনতা। আর দায়িত্বের ব্যাটন তুলে দেয়া হচ্চেনা মূলত ক্ষমতার লোভ। কেউ কি গদি ছাড়তে রাজী থাকেন? তাছাড়াও ব্যাক্তিগত, চাকুরীগত কারণে আমার সমবয়সী অনেকই সিলেটের বাইরে। তাই কার্যকরী ভূমিকা এদের কাছ থেকে আশা করা ভুল হবে। খুজে পেতে হয়তো ৫-৬জনকে পাবে।

উত্তর:৪- সিলেটে নাটকের দলগুলোর এমনিতেই বেহাল অবস্থা। সবাই দীর্ঘদিন ধরে কাজের বাইরে। মূল কারণ সাংগঠনিক দুর্বলতা। নাটক করার জন্যই কর্মী জোগাড় করা যায়না আর আন্দোলনের জন্য মানুষ কোথায় পাবে?

তবে শাবিতে সবচেয়ে বড় সমস্যা শাবির সাংষ্কৃতিক দলগুলোর সাথে সিলেটের সংষ্কৃতি অঙ্গনের বিশাল একটা ব্যবধান। এবং এই ব্যাবধানটা আসলেই বিশাল। অনেকবার চেষ্ঠা করা হয়েছে এই ব্যবধানটা ঘোচানোর কিন্তু বরাবরই ব্যর্থ। আর এই ব্যবধান না ঘোচাতে পারলে সিলেট শহর থেকে আন্দোলনে শরিক হওয়া বা নেতৃত্ব দেয়া সম্ভব না।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

যেসব শুয়োরের বাচ্চারা বলে শহীদ জননী জাহানারা ইমান বিতর্কিত ব্যক্তি, তাদেরকে প্রশ্ন করতে ইচ্ছে জাগে, "ঠিক কোন জায়গায় তিনি বিতর্কিত!"

তিনি বিতর্কিত কারণ তিনি জনতার আদালত গঠন করেছিলেন?
তিনি বিতর্কিত কারণ তিনি রাজাকার-আলবদর-আলশামস'দের চ্যালা-চামুণ্ডা, গোলাম আযম, মইত্যা রাজাকার, নিজামী রাজাকার, কামারু রাজাকার এদেরকে বিচারের সন্মুখীন করে জনতার মাধ্যমে ফাঁসীর রায় আদায় করেছিলেন?
- এইজন্য তিনি বিতর্কিত? এই শুয়োরের বাচ্চারা এইটা বুঝে না ক্যান, এইটা তাগো বাপদাদাগো দেশ না। এইটা আমাদের দেশ। আমাদের বাপ-দাদার ঘামে-রক্তেভেজা দেশ। এইখানে খালি জাহানারা ইমাম নন, আমরা সবাই-ই চাই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীদের সবকয়টারে জুতাপেটা করতে করতে ফাঁসীর দড়িতে ঝুলানো অবস্থায় দেখতে।

আমারা গোটা বাংলাদেশই তাইলে বিতর্কিত। আমরা এই বিতর্কিত হয়েই থাকতে চাই। বিতর্কিত আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের নামকরণেও বিতর্কিত জাহানারা ইমামের নামকেই চাই।



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

রাশু [অতিথি] এর ছবি

পোস্টের বক্তব্যের সাথে সংহতি প্রকাশ করছি। একটা স্বাধীন দেশে এতটুকু করতে আমদের এত কষ্ট করতে হচ্ছে! কেবল একটা হলের নাম! বার বার নিজের যৌবনের কাছে লজ্জা পাই।

রাশু
ghumontoshohoreঅ্যাটgmail.com

দেবজ্যোতি দাস দেবু এর ছবি

@সাবিহ ওমর, ভাইজান আপনার প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধা রেখেই আপনাকে ২ টা কথা বলি । একটু মনযোগ দিয়ে পড়বেন,

১) আরিফ ভাই আপনাকে সহজ ভাষাতেই কি বুঝাতে চাইলেন আর আপনি কি বুঝলেন । আপনার এই অতি সহজেই উলটো জিনিস বুঝা দেখে মনের মধ্যে একটা সন্দেহ কাজ করছে । আপনি আজ অবধি যাদের সাথে জাফর ইকবাল স্যার সম্পর্কে কথা বলেছেন হয়তো তাদের মধ্যে এমন অনেকেই ছিল যারা আপনাকে বুঝতে চেয়েছে এক আর আপনি বুঝে বসে আছেন আরেক ।

২) জাফর ইকবাল স্যার সম্পর্কে সিলেটিদের মতামত নিয়ে আপনার যে ভুল ধারণাটা আছে তা ভেঙ্গে দেয়ার জন্য আপনাকে একটা প্রস্তাব দেই - আপনি কোথায় থাকেন জানি না,যদি সম্ভব হয় তাহলে একটু কষ্ট করে সিলেট চলে আসেন । এসে যে কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে যে কোন শিক্ষিত লোককে স্যার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেই আপনার উত্তর পেয়ে যাবেন । এতে করে যদি আমার সাহায্যের প্রয়োজন হয় বলবেন আমি হাজির হয়ে যাব

এখন আসি শান্ত ভাইকে জাকিরের ছুড়ে দেয়া প্রশ্নে -

১) সিলেটে বর্তমানে যাদের হাতে সংস্কৃতির নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে, এসব বিষয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তুমি তাদেরকে কতটুকু যোগ্য মনে করো ?

ভাইরে সিলেটে বর্তমানে যারা সংস্কৃতির নেতৃত্বে আছেন তাদেরকে যদি বলা যায় আমতলায় গিয়ে যদি ভাব ধরেন তাহলে টাকা রুজি করা যাবে,তাহলে তাদেরকে আমতলাতে সারাদিন পাবি । কিন্তু যেখানে মার খাওয়ার ভয় আছে সেখানে ওদেরকে পাওয়া খুবই কঠিন ব্যপার । তাই শান্ত ভাইয়ের সাথে গলা মিলিয়ে আমিও বলছি ওদেরকে পাওয়ার সম্ভাবনা নাই ।

সাবিহ ওমর এর ছবি

আন্ডারস্টুড হাসি

তবে আমার জরুরি প্রশ্নটা বাদ দিয়ে সবাই এই ফালতু জিনিসটা নিয়ে কেন পড়লো বুঝলাম না। জরুরি প্রশ্নটা আবার জিজ্ঞেস করি, নামকরণের ব্যাপারে নতুন করে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে কী? (আমার জানামতে 'না', কিন্তু আমার অনেক জানাই ভুল, সেজন্য আরো জানতে চাই)

জাহামজেদ এর ছবি

বিশ্ববিদ্যালয়ের জামাতি শিক্ষকরা সিলেটে তাদের কিছু পোষ্য সাংবাদিক দিয়ে ড. ইয়াসমিন হকের বিরুদ্ধে নানা ধরণের অপ্রপ্রচার মূলক নিউজ করাচ্ছেন। ভিতরে ভিতরে তারা নানা ধরণের ষড়যন্ত্রও করছেন ইয়াসমিন হকের বিরুদ্ধে। পোস্টে বলেছি, শাবিতে চারদলীয় জোটের সময় গণহারে জামাত শিবিরের ছেলেদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া অনেক বিভাগে জামাতের কিছু ঘাগু লোক আছেন, সাথে তো সুবিধাবাদী বিএনপিওয়ালারা আছেনই, এখন সবাই মিলে ইয়াসমিন হককে চাচ্ছেন, যেকোনো ভাবে রুখে দাঁড়াতে, উনার বিরুদ্ধে সরাসরি কেউ কিছু করতে পারছে না কারণ ছাত্রছাত্রীরা উনার সাথে আছে, তাই মিডিয়া সন্ত্রাসের আশ্রয় নিচ্ছে। দয়া করে এই প্রতিবেদন পড়লে কিছুটা বুঝতে পারবেন।

শাবিতে জাহানারা ইমামের নাম পুনর্বহালের উদ্যোগ : ক্যাম্পাসে উত্তেজনা

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

তাসনীম এর ছবি

খবরের লিঙ্কে এটা দেখলাম...

শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. আহমদ কবির ও সাধারণ সম্পাদক ড. আশরাফ উদ্দিনের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক শিক্ষক ১৬ ডিসেম্বর ভাইস চ্যান্সেলরের সঙ্গে সাক্ষাত্ করে ড. ইয়াসমিন হকের অপসারণ দাবি করেছেন। তারা বলেন, সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অবজ্ঞা করে ড. ইয়াসমিন হক ও তার অনুসারীরা গায়ের জোরে বিতর্কিত নামকরণ চর্চা করে যাচ্ছেন, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরামকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনের শামিল।

শিক্ষক সমিতিও কি জামাতপন্থী নাকি? জামাত ও বিএনপিপন্থী শিক্ষকের সংখ্যা মনে হচ্ছে আশঙ্কাজনকহারে বেশি।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

জাহামজেদ এর ছবি

তাসনীম ভাই, লেখার একটা বিশাল জায়গা জুড়ে নষ্ট বীজের কথা বলা আছে। এরা হচ্ছে এই নষ্ট বীজ। চারদলীয় জোট সরকার কিছু পারুক আর না পারুক জামাত শিবিরের বেশ কিছু বীজ শাবিতে রোপন করেছিলো, তারাই আজ শিক্ষক নেতাদের সাথে মিলে এসবের বিরোধিতা করে। শিক্ষক সমিতি জামাতপন্থি না, কিন্তু শিক্ষক সমিতিতে জামাতপন্থিরাই শক্তিশালী। এই প্রতিবেদন যে করেছে, সে ছাত্রজীবনে শিবির করতো। জামাত শিবির এখন নামকরণ ইস্যূতে কাজে লাগাচ্ছে তাদের রোপন করা নষ্ট বীজের ফসল নিজেদের পোষা শিক্ষক আর সাংবাদিকদের !

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

রাহিন হায়দার এর ছবি

সংহতি। নষ্ট বীজের ফসলদের প্রতি থুথু।
________________________________
মা তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো...

সংসপ্তক এর ছবি

সংহতি।
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা

.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা

অতিথি লেখক এর ছবি

সংহতি ।



তারাপ কোয়াস

শান্ত [অতিথি] এর ছবি

কাজ কিভাবে শুরু করা যায় এর একটা পরিকল্পনা কি কেউ দিতে পারেন?

একুশ তাপাদার [অতিথি] এর ছবি

সংহতি প্রকাশ করছি।

একটা বড় সাইনবোর্ড লাগানো হোক- "শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ছাত্রী হল"

ছাগু গোষ্টিকে মোকাবেলাইয় আমরা শহর থেকে গিয়ে প্রতিরোধ গড়ব , নামকরন নিয়ে আগের আন্দোলনে সাবালক না থাকায় অংশ নেয়া হয়নি- এবার প্রস্তুত আছি

দেবজ্যোতি দাস দেবু এর ছবি

আমার মনে হয় সবার আগে গিয়ে ইয়াসমিন ম্যাডামের সাথে দেখা করে উনার পরামর্শ নেয়া উচিৎ । যেহেতু উনি বর্তমানে বিষয়টার নেতৃত্ব দিচ্ছেন সেহেতু উনার কোন ধরনের সাহায্য দরকার তা উনাকে জিজ্ঞেস করে সেভাবেই কাজ করা উচিৎ । আর ঐসব শুয়োরদের পাছায় বাঁশ দেয়ার জন্য তৈরি আছি ।

জাহামজেদ এর ছবি

এই বিষয়টা যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের, তাই আন্দোলন বলো অথবা নামকরণ বাস্তবায়ন বলো, সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদেরকেই শুরু করতে হবে। তোমরা বাইরে থেকে একটা সমর্থন দিতে পারো, আন্দোলন বা নামকরণ বাস্তবায়নে সংহতি প্রকাশ করতে পারো। এখন দেখা যাক, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর কি হয় ?

ম্যাডাম এখন সিলেটে নাই। ঈদের পর ইচ্ছে করলে গিয়ে দেখা করে পরবর্তীতে কি করা যায় এই ব্যাপারে জানতে পারো। তবে মৌলবাদী চক্র উনার বিরুদ্ধে ওদের পোষা কিছু সাংবাদিক দিয়ে বিভিন্ন প্রত্রিকায় রিপোর্ট করাচ্ছে। এখানে নামকরণকে ইস্যূ না করে ওরা রিপোর্টে বলছে, ইয়াসমিন হক নামকরণ ইস্যূ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করতে চাচ্ছেন এবং তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বাইরে আলাদা একটা প্রশাসন গড়ে তুলতে চাইছেন।

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

অতিথি লেখক এর ছবি

(মডু ভাইদের প্রতি)

তখনকার আন্দোলনে সরাসরি যুক্ত ছিলেন, বর্তমানে শাবি'র একজন শিক্ষক এর সাক্ষাতকার নিয়েছি, আরো কিছু তথ্য সংগ্রহ এবং আরো কয়েকজন শিক্ষকের সাথে কথা বলার চেষ্টা করছি। গুছিয়ে আলাদা পোস্ট দিলে সচলের নিয়ম ভঙ্গ হবে কিনা জানাবেন কি?

কাজী মামুন

রাসেল [অতিথি] এর ছবি

"পোস্টে জনৈক ব্যক্তির ad hominem আক্রমণ দেখে"। "যুদ্ধাপরাধবিরোধী মতামতের জন্য জাফর ইকবাল"। "কুৎসা রটাতে"। ভাই রাগিব, আমার কমেন্টে কোথায় ভুল কিছু বলেছি আপনি দেখিয়ে দিলে বাধিত থাকব। সত্য বলা আর কুৎসা রটানো কি এক জিনিষ? আর এই মতবাদ প্লিজ বাদ দিন যে, ইয়াসমিন হক/জাফর ইকবাল কে নিয়ে কিছু বললেই সে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে - এর মত কুযুক্তি আর কিছু হতে পারে না, ঠান্ডা মাথায় ভাবলে আপনি নিশ্চয়ই এটা যে ফ্যালাসি সেটা মানবেন। আমি আবারো বলছি, প্লিজ অন্ধভক্তি আর ব্যক্তিপুজার যুগ শেষ হয়ে গেছে। আমি আশাকরি, এই পোস্টের ইস্যুতে সংহতি রেখেই অনেকেই আমার কথার/কমেন্টের মুল্য দিবেন যে সবার একটা সীমাবদ্ধতা থাকে যেটা জানা থাকাটা ভাল।

হিমু এর ছবি

একটা সিনারিও কল্পনা করি আসুন।

আপনি একটা পোস্ট দিলেন গরুর মাংস রান্নার ওপর। সেখানে কেউ যদি এসে বলে, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া ডেভিসের পদার্থবিদ্যা গবেষণাগার থেকে উইকিতে ইকবাল-হকের ওপর ভ্যাণ্ডালপনা করা লোকটা আপনি, সেটা কি কুৎসা হবে না সত্য কথা হবে?



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

দেবজ্যোতি দাস দেবু এর ছবি

জনাব রাসেল, আপনার লাস্ট কমেন্টের লাস্ট লাইনের সাথে মিল রেখে আমি বলছি - আমাদের ধৈর্যেরও একটা সীমা আছে ।

সবজান্তা এর ছবি

এই পোস্টে পুরানো একটা প্রবাদ আবারো সত্য প্রমাণিত হলো-

ছাগুতে মুখ দিলে পোস্ট বাড়ে না হাসি


অলমিতি বিস্তারেণ

নাজনীন খলিল এর ছবি

ছাগুতে মুখ দিলে পোস্ট বাড়ে না ।

একমত। ছাগুতে দেশের পুরো অংশেই মুখ দিয়ে রেখেছে বলেই দেশের আজ এই বেহাল অবস্থা।

নোবেল [অতিথি] এর ছবি

ভাই রাসেল, আম্রিকার কোন এক ইউনিতে দেখেছিলাম সোশিয়লোজিতে আন্ডারগ্রেড করা এক লোক মেকানিক্যাল ইঞ্জিনয়ারিং এর প্রফেসর হাসি ।এই মুহূর্তে ইউনির নামটা ঠিক মনে নাই। আর ম্যাথ এ মাস্টার্স করা কিন্তু পরে সিএসই/ইইই/মেকা তে প্রফেসরি করছেন এমন লোক ভুরি ভুরি আছেন। ভাইডি আমার চাইলে লিঙ্ক দিমুনি।

তবে জ্বলুনিডা ঠিক অকারণ বলে মনে হচ্ছে না--কাহিনীডা কী একটু যদি কইতেন বস চোখ টিপি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।