ফারুকী ও তার ভাই বেরাদার কেচ্ছা কাহিনী- ১

জাহামজেদ এর ছবি
লিখেছেন জাহামজেদ [অতিথি] (তারিখ: শনি, ০২/১০/২০১০ - ৫:৪২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

 

auto চ্যানেল ওয়ানে ফারুকী তার দলবল নিয়ে শুরু করেন ছবিয়াল উৎসব । এটা ছিলো মূলত টিভি নাটকের একটা উৎসব। এই উৎসবে ফারুকীর পাশাপাশি কয়েকজন তরুণ প্রথমবারের মতো নির্মাতা হিসেবে বেশ কয়েকটি নাটক তৈরি করেন। এদের বেশিরভাগই ছিলেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সহকারী পরিচালক। এই উৎসবে ফারুকীর নাটকের নিয়মিত অভিনেতাদের দু'একজনও নির্মাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। একজন নাট্য নির্মাতা হিসেবে ফারুকী বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো তার সহকারীদের নিয়ে এমন একটা নাটকের উৎসব আয়োজন করেন।

এমনিতে বাংলাদেশের কোনো নির্মাতা চান না তার সহকারী নির্মাতা তার সঙ্গ ছেড়ে পুরোপুরি নির্মাতা হয়ে উঠুক। কোনো পরিচালকের সহকারী যদি নির্মাতা হিসেবে ভালো কোনো নাটক বানিয়ে ফেলে তখন দেখা যায় সেই পরিচালকের সঙ্গে তার সম্পর্ক চলে গেছে সাপে নেউলের পর্যায়ে ! নাট্য পরিচালকদের তখন বলতে শোনা যায়, আমার নাটকের স্ক্রিপ্ট চুরি করে নাটক বানিয়েছে ! ও আবার পরিচালক হলো কবে ? কিন্তু ফারুকী এক্ষেত্রে ছিলেন ব্যতিক্রম। তিনি ছবিয়াল উৎসবের নামে সুযোগ করে দিয়েছিলেন বেশ কিছু তরুণকে নাট্য পরিচালক হিসেবে একসাথে আত্মপ্রকাশের। কিন্তু তার সহকারী ও ভাই বেরাদাররা ছবিয়াল উৎসবে নাটক বানাতে এসে মোটামুটি বাংলা নাটকের কবর খুঁড়তে শুরু করেন। কেউ যা ইচ্ছা তা বানাব নীতিতে, কেউ পুরোপুরি হলিউড ও বলিউডকে কপি করে বানাতে শুরু করেন টিভি ফিকশন। ফারুকী ছবিয়াল উৎসবের মাধ্যমে যে তরুণদের সুযোগ দিয়েছিলেন তাদের অনেকেই টেলিভিশন মিডিয়ার এত বড় জগতে এসে পথ হারিয়ে ফেলেন। আবার অনেকেই এই উৎসবকে বেছে নিয়েছেন নিজের ভবিষ্যত তৈরির প্লাটফর্ম হিসেবে। ছবিয়াল উৎসব শুরু হওয়ার পর থেকেই ভাই বেরাদার কথাটা ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। ফারুকী বিভিন্ন ইন্টারভিউতে বলতে শুরু করেন, ‌এই উৎসবটা ভাই বেরাদারদের উৎসব। আমার সাথে যারা কাজ করেন, আমার নাটকে যারা অভিনয় করেন এদের অনেকেই এই উৎসবে নির্মাতা, মূলত এরা সবাই আমার ভাই বেরাদার। চ্যানেল ওয়ানে দেখানো উৎসবের প্রোমোতেও দেখা যায় ফারুকী ফুটবল খেলছেন বিশাল এক দলবল নিয়ে। ছবিয়াল উৎসবের নির্মাতারা তাদের নাটকেও ভাই বেরাদার কথাটাকে ব্যবহার করতে করতে পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেন। তারপর আবার শাহবাগের মোড়ে অথবা গুলশানের টাইম আউট রেস্তোরায় আড্ডা দিতে গেলে শুনতে হয়েছে, আরে ভাই আপনি যদি না আহেন, তাইলে আমগো শুটিং দেখতে কে আইবো, আপনি তো মিয়া আমাগো ভাই বেরাদার। ইউনিভার্সিটির ছোট ভাইয়ের দল হয়তো চা খেতে গেছে হাকিম চত্বরে, দেখা হয়ে গেছে বড় ভাইয়ের সাথে, বড় ভাই জানতে চেয়েছে, এরা কি তোমার ফ্রেন্ড, ছোট ভাই বলেছে, এইতো ভাই, আমরা সবাই হইলাম গিয়া ভাই বেরাদার ! ভাই বেরাদার কথাটা ছড়িয়ে গেছে এভাবেই।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের থেকে ফারুকী ও তার ভাই বেরাদাররা বেশি প্রভাব বিস্তার করেছে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েদের মাঝে, আবার নাটকে ভাই বেরাদার এদেরকেই বলে- ফার্মের মুরগি, এটা দেখেই এরা হেসে গড়াগড়ি খায়, এদেরকেই নিয়ে গেছে বেডরুমে, দেখিয়েছে, প্রাইভেট ভার্সিটি মানে তাদের নিজস্ব উদ্ভাবিত ভাষা, নাটকের সংলাপে পর্দার মানুষ বলেছে, আজ আমাকে অনেক এক্সারসাইজ করতে হবে, সাথে কিছুটা সেক্সারসাইজও! নাটকে এসব দৃশ্য দেখে প্রাইভেট ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলেমেয়েরা (হয়তো সবাই না) গুলশান বনানীর ইউনিভার্সিটির সিঁড়িগুলোর আড্ডায় টেনে এনেছে ভাই বেরাদারের নাটকের কথা, তাদের কেচ্ছা কাহিনী, ফোনে ন্যাকামো করে কিভাবে মেয়ে পটানো যায় এমন গল্প, নাকি সুরে প্রেমিকার সাথে করেছে মিথ্যে কান্নার অভিনয় ! ভাই বেরাদাররা দিনের পর দিন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের তাদের নাটকের সাবজেক্ট বানিয়ে গেছে।

ছবিয়াল উৎসব কিছুদিন যাওয়ার পরই বেশ জমে উঠে। ফারুকীর পাশাপাশি এতদিন তার সহকারী হিসেবে কাজ করা তরুণ নির্মাতাদের ভালো কিছু কাজের জন্য টেলিভিশন নাটকের এই উৎসব খুব কম সময়েই জনপ্রিয়তা পেয়ে যায়। ছবিয়াল উৎসবের মাধ্যমেই বর্তমান সময়ের অনেক জনপ্রিয় নির্মাতার জন্ম হয়। ছবিয়াল উৎসবে ফারুকীর পাশাপাশি শরাফ আহমেদ জীবন, রেদোয়ান রনি, ইফতেখার ফাহমি, কচি খন্দকার, আশুতোষ সুজন, রাজীব আহমেদ, আশফাক নিপুণ, ইশতিয়াক আহমেদ রুমেল সহ আরো অনেকেই তাদের পরিচালক হিসেবে তৈরি নাটক দেখানোর সুযোগ পান। এই উৎসবে নাটকের ভাষা হিসেবে ফারুকীর ভাই বেরাদাররা বেছে নেন ফারুকীর ভাষা ব্যবহারের নিজস্ব স্টাইলটাকেই। পরবর্তীতে এটাই টেলিভিশন নাটকে মহামারী হিসেবে দেখা দেয়। ছবিয়াল উৎসবে ভাই বেরাদাররা ফারুকীর নিজস্ব ভাষা স্টাইলে নাটক নির্মাণ করলেও অনেকের কাজেই যত্নের ছোঁয়া ছিলো। বিশেষ করে রেদোয়ান রনি'র উড়োজাহাজ, শরাফ আহমেদ জীবনের ঘর নাই, আশুতোষ সুজনের ট্যাক্সি ড্রাইভার উল্লেখযোগ্য।

আবার একই উৎসবে রাজিব আহমেদ টু ইন ওয়ান নাটক বানাতে গিয়ে কি বানিয়েছেন তা তিনি নিজেই ভালো জানেন। ইউনিভার্সিটি কলেজপড়ুয়া মেয়েরা যে এখন ইচ্ছে করলেই ছেলেদের মেসে রাত কাটাতে পারে আমোদ ফুর্তি করার জন্য তা এই নাটক দেখলেই ভালো জানা যাবে। টু ইন ওয়ান নাটকে দেখা যায়, চৈতি নামের মেয়ে একই মেসের তিন বন্ধুর সাথে প্রেম করে। প্রথমজনের সঙ্গে খুব তুচ্ছ কারণে বিচ্ছেদ হয়। দ্বিতীয়জনের সাথে বিচ্ছেদ হওয়ার আগেই সে তৃতীয়জনের সাথে রাত কাটায়, নাটকে তৃতীয় জনের চরিত্রে অভিনয় করা মানুষটি ছিলেন কবি কামরুজ্জামান কামু। টু ইন ওয়ান নাটকটি দেখার পর আমার মাথায় এই প্রশ্নটি বারবার ঘুরছে, একটা ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া মেয়ে একই ফ্ল্যাটের তিনটা ছেলের সঙ্গে কিভাবে প্রেম অথবা শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে, এটা কি সম্ভব ? এটা কি বাস্তব কোনো দৃশ্য হতে পারে, নাকি পরিচালকের নিজের মনের ফান্তাসা তিনি ছড়িয়ে দিচ্ছেন আমাদের তরুণ প্রজন্মের কাছে, যারা ক্লাসে বসে বলবে, অনেক এক্সারসাইজ, সাথে একটু সেক্সারসাইজও করতে হবে ! auto

ছবিয়াল উৎসবে কিছু ভালো নাটকও ছিলো, এরমধ্যে শরাফ আহমেদ জীবনের কথা। বিশেষ করে বলতে হয়। জীবন ফারুকীর প্রথমদিকের সহকারীদের একজন, ছবিয়াল উৎসবে সম্ভবত তারই সবচেয়ে বেশি নাটক দেখানো হয়। উৎসবে তার নির্মিত নাটকগুলোতে তিনি বাস্তবকে বিভিন্নভাবে ক্যামেরায় ধারণ করার চেষ্টা করেন এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে তিনি সফলও হয়েছেন। প্রথমে ফারুকীর সহকারী, পরবর্তী সময়ে যাদের শরীরে ভাই বেরাদার ট্যাগ লেগেছে, তাদের মধ্যে শরাফ আহমেদ জীবন সবচেয়ে মেধাবী, ছবিয়াল উৎসবে তার নির্মিত কাজগুলোই সবচেয়ে বেশি প্রশংসা পায়। আশুতোষ সুজনের একটা কাজ তুমুল জনপ্রিয়তা পেলেও জনপ্রিয়তার কারণ অনুসন্ধানে দেখা যায়, গতানুগতিক গল্পের বাইরে গিয়ে একটা ট্যাক্সি ড্রাইভারের জীবনের গল্প মানুষকে টেলিভিশনের পর্দায় নিয়ে আসে ঠিকই, কিন্তু এই নাটকের শেষটা দর্শককে মুগ্ধ করতে পারেনি। সুজন মাঝমাঠের ভালো খেলোয়াড়, কিন্তু রোনালদো বা মেসির মতো ভালো ফিনিশার না। এজন্য ছবিয়াল উৎসবে প্রদর্শিত তার ধারাবাহিক নাটক ট্যাক্সি ড্রাইভারের শেষদিকে তিনি দর্শকদের হতাশ করেছেন। যদিও ফারুকীর সহকারী পরিচালকদের মধ্যে সুজন-ই টিনের তলোয়ার নামের একটা নাটক তৈরি করে তুমল আলোচনার সমালোচনার জন্ম দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ভারতের একটি ডিজিটাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেও নাটকটি প্রশংসিত হয়েছিল। auto

ছবিয়াল তৈরির পেছনে অনেকেই ফারুকীর মহত্বের কথা বলেন। ভাই বেরাদারের কথা যদি কখনো কোনো আড্ডায় উঠে আসে তখন দেখা যায় অনেকে এই কথাটি বলেন, ফারুকী যদি ছবিয়াল উৎসব না করতো তাহলে এত এত নির্মাতা বের আসতো কিভাবে ? কিন্তু এই কথাটি তারা ভেবে দেখেন না, ফারুকীর নিজস্ব ধারাকে ব্র্যান্ডিং করার জন্য তার মতো আরো অনেক নির্মাতার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু অন্য সবাই মূলধারায় নাটক নির্মাণের ফলে ফারুকী তার সৃষ্ট ধারা নিয়ে একাই পথ পাড়ি দিচ্ছিলেন। পরবর্তী সময়ে যখন সিনিয়র অনেকেই ফারুকীর এই ধারার সমালোচনা করে প্রচার মাধ্যমে বিবৃতি দিতে শুরু করেন তখন ভাই বেরাদাররা সমালোচনার জবাবে ফারুকী'র নিজস্ব স্টাইলে একের পর এক নাটক বানাতে শুরু করে। সেসময়ে প্রয়াত অভিনেতা ও চলচিত্র নির্মাতা আবদুল্লাহ আল মামুন ফারুকী ও ভাই বেরাদারের নাটকের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন।

ছবিয়াল উৎসবের অনেক নাটকই ছিলো নাটক বানানোর জন্য বানানো, বানাতে হবে বলে বানাচ্ছি এমন সূত্রে তৈরি । অনেক নাটকে কাহিনীর কোনো শেষ খুঁজে পাওয়া যায়নি, অনেক নাটকে খাইছি-গেছি'র বাইরে আলাদা করে কিছু ছিলোও না। ছবিয়াল উৎসবের এমন কিছু নাটক হচ্ছে লস প্রোজেক্ট, খসরু+ময়না,টু ইন ওয়ান, পারুল সমাচার। অবাস্তব কিছু গল্প বাস্তবের মতো করে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। যদিও সিনেমার মানে পর্দায় সত্যের মতো করে মিথ্যে বলে যাওয়া, কিন্তু ছবিয়াল উৎসবের এসব নাটকে ভাই বেরাদাররা মিথ্যে বলে গেছেন গল্পের কানা চিপা গলিতে, নাটকের শেষ দৃশ্যে গিয়ে বোঝা গেছে এটা তাদের নিজস্ব ফান্তাসা !

ছবিয়াল উৎসবে কচি খন্দকারের খসরু+ময়না নাটকের বিভিন্ন দৃশ্যে দেখানো হয় শিক্ষকের সাথে ছাত্ররা কিভাবে বেয়াদবি করে, এলাকার মুরুব্বিদের সাথে উঠতি বয়সের ছেলেরা কি ধরণের ফাজলামি করে, পরীক্ষায় ফেল করে স্কুল পাশ না করা যুবক কিভাবে মদ্যপানের উৎসবে মেতে উঠে। শেষ দৃশ্যে বাংলা সিনেমার মতো একটা নাটকীয় দৃশ্য জুড়ে দেয়া হয়, শেষ দৃশে দেখানো হয় খসরু ময়নাকে একটি চিঠি লিখছে এবং তার পাশে এসে তার স্ত্রী লেখালেখি করার জন্য তার সাথে কড়া ভাষায় কথা বলছে। স্ত্রী'র চরিত্রে যে মেয়েটিকে দেখা যায় সে একসময় ময়নার বান্ধবী ছিলো এবং খসরু'র হয়ে ময়নার কাছে তার কথাগুলো পৌছে দিতো। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, মফস্বলের স্কুলের ছেলেরা কি সত্যি সত্যি স্কুলে থাকাকালীন সময়ে মদ্যপান করার সুযোগ পায় ? নাটকের এই দৃশ্য কি আমাদের সমাজে মানানসই ? টেলিভিশন নাটকে এমন দৃশ্য দেখিয়ে ভাই বেরাদার কচি খন্দকার পরীক্ষায় ফেল করার পর স্কুলের ছেলেদেরকে মদ্যপান করার জন্য কি প্ররোচিত করছেন না ?[১]

পরবর্তী সময়ে চ্যানেল আইতে প্রদর্শিত কচি খন্দকারের ম্যাঁও নাটক/টেলিফিল্ম দেখে মনে হয়েছে যা ইচ্ছে তা বানাতে তিনি টেলিভিশন নাটকের পরিচালক হয়েছেন। চ্যানেল ওয়ানে প্রদর্শিত নো কোয়েশ্চেন নো আনসার ধারাবাহিকটি চলাকালীন সময়ে কচি খন্দকারের যা ইচ্ছা তা দেখালাম নীতিতে দর্শকের সাথে নাটকের প্রযোজকও বিরক্ত হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে এই ধারাবাহিকের প্রযোজক দেশের নামকরা ফ্যাশন ডিজাইনার জহির করিম বিরক্ত হয়ে কচি খন্দকারকে নাটকের গল্প বদলানোর জন্য পরামর্শ দেন। এছাড়া তিনি যেন নাটকে ভাই বেরাদারের আধিক্যের বদলে পেশাদার অভিনেতা অভিনেত্রীর গুরুত্ব দেন একথাটিও বলে দেন। পরবর্তী সময়ে কচি জহির করিমের কথা না শোনার কারণে তিনি নাটকের ১৮ পর্বের পর টাকা লগ্নি করা বন্ধ করে দেন। এখানে একটি কথা জেনে রাখা দরকার, সিনোপসিসের সঙ্গে নাটক বানানোর আগে নির্মাতাকে প্রযোজক এবং সংশ্লিস্ট চ্যানেলের কাছে সম্ভাব্য শিল্পীর একটা তালিকা জমা দিতে হয়। তারপরই চ্যানেল থেকে নাটকটি তৈরি করার অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু ছবিয়ালের ভাই বেরাদারের অনেকেই টাকা বাঁচাতে নিজেদের ভাই বেরাদার শিল্পী নিয়ে নাটকের বড় একটা অংশ পাড়ি দেন এবং একজন বা দুইজন তারকা শিল্পীকে দেখিয়ে নাটকটিকে নাটক হিসেবে চালানোর জন্য চ্যানেলে জমা দেয়া হয়। অনেক চ্যানেল আবার ভাই বেরাদারের নিজস্ব শিল্পী নিয়ে নাটক তৈরি করাটাকে উৎসাহ দিয়ে থাকে। এই উৎসাহ দেয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে, কচি খন্দকার বা ভাই বেরাদারের অন্য কেউ যদি তারকা শিল্পী দিয়ে একটা ধারাবাহিক নাটক বানান সেখানে প্রতি পর্বে তার খরচ পড়বে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা। অন্যদিকে ভাই বেরাদার শিল্পী সমৃদ্ধ একটি নাটক তারা অনায়াসেই ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকার ভিতরে তৈরি করে ফেলেন। এজন্য কম টাকায় পাওয়া যাচ্ছে বলে অনেক চ্যানেল ভাই বেরাদারের অখাদ্য কুখাদ্য অনেক নাটক প্রচার করছে। এসব ধারাবাহিক নাটকের অনেকগুলো আবার জনপ্রিয়তাও পাচ্ছে, টিআরপি রেটিংয়েও ভালো অবস্থানে চলে যাচ্ছে।

তবে ছবিয়ালের অনেক নির্মাতাই আবার অনেক বিগ বাজেটে ধারাবাহিক তৈরি করছেন। টেলিভিশন বাজারের চাহিদা এবং দর্শকদের কাছে কিছু পরিচালকের গ্রহণযোগ্যতা বেড়ে যাওয়ার কারণে এমন হচ্ছে। ছবিয়ালের ভাই বেরাদারের মধ্যে বিগ বাজেটের নাটক ও ধারাবাহিকের নির্মাতা হচ্ছেন ইফতেখার ফাহমি, রেদোয়ান রনি ও মোস্তফা কামাল রাজ। এদের বিরুদ্ধে আবার বিদেশী ছবির গল্প চুরি করে নাটক বানানো এবং অন্যের গল্প চুরি করে নাটক বানানোর অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ তার গল্প ও উপন্যাসের চরিত্র চুরি করে একটি ধারাবাহিক নাটক নির্মাণ করার জন্য বিশাল অঙ্কের টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন। রেদোয়ান রনি'র বিরুদ্ধে হুমায়ুন আহমেদের অভিযোগ হচ্ছে, নিষেধ করার পরও রনি তার উপন্যাসের জনপ্রিয় চরিত্র হিমু, মিসির আলি, মুনা, বাকের ভাই, বড় চাচা- এদেরকে নিয়ে নাটক তৈরি করেছেন এবং চরিত্রগুলোর আবেদন নষ্ট করেছেন।[২]

এই ধারাবাহিক নির্মাণের আগে ইফতেখার ফাহমি আমি হিমু হতে চাই নামে একটি এক ঘন্টার নাটক তৈরি করেছিলেন। তখন আমি হিমু হতে চাই নাটকটি দর্শক মহলে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা সৃষ্টি করার ফলে ফাহমি আবার আলোচনায় চলে আসেন। আমি হিমু হতে চাই নাটকটি দর্শকপ্রিয়তা পাওয়ার কারণে রনি পরবর্তীতে সরাসরি হিমু, বাকের ভাই, মুনা, মিসির আলি, বড় চাচাকে এক নাটকে নিয়ে আসার চেষ্টা করেন। কিন্তু কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের কাছে অনুমতি নিতে গেলে তিনি নাটকটি নির্মাণে রনিকে অনুমতি দেননি। কিন্তু রনি হুমায়ুন আহমেদের অনুমতির অপেক্ষা না করেই নাটকটি তৈরি করেন। ধারবাহিকটি এই ঈদে দেশটিভিতে দেখানো হয়। এই সময়ে সেই সব মানুষেরা নামের ধারাবাহিকটিতে দেখা যায়, হিমু'র চরিত্রে অভিনয় করার ফলে মোশাররফ করিমকে বারবার পর্দায় দেখা গেছে। এছাড়া হুমায়ুন আহমেদের উপন্যাসের চরিত্রগুলোকে এই নাটকে তার নিজের মতো করে সাজিয়ে নিয়েছেন রনি। হমায়ুন আহমেদের উপন্যাস হিমুর রূপালি রাত্রি'তে হিমুর ব্যাঙ্গাচি নামের এক বন্ধু থাকে, যে একটি ভালো চাকরি করে এবং মাস শেষে বেতনের টাকাটা তার স্ত্রী তার কাছ থেকে নিয়ে যায় সে যাতে বাইরে খেতে না পারে এজন্য। এছাড়া নাটকে আরো দেখানো হয় ব্যাঙ্গাচির বাবা একজন মন্ত্রী। অথচ হিমুর বন্ধুদের মধ্যে একমাত্র জহিরের বাবা মন্ত্রী ছিলেন এবং হিমু জহিরকে মাটির সাথে মিশে যাওয়ার থিওরি শিখিয়ে এক জঙ্গলে নিয়ে পুরো শরীর মাটিতে ঢুকিয়ে শুধু মাথা বাইরে রেখে জোছনা দেখতে শুরু করে, কিন্তু নাটকে দেখা যায় জহিরের বদলে ব্যাঙ্গাচি টেনে নিয়ে যাচ্ছে চরিত্রটা। নাটকের গল্প কাহিনীর প্রয়োজনে এভাবে গল্প পাল্টে নেওয়া যায়, কিন্তু সেখানে গল্প উপন্যাসের চরিত্রগুলো যিনি সৃষ্টি করেছেন তার অনুমতির প্রয়োজন আছে, রনি এই অনুমতিটাই নেননি কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের কাছ থেকে। এই ঈদের আগের ঈদে রনি নির্মিত বিহাইন্ড দ্যা সিন নামের ৫ পর্বের একটি ধারাবাহিক দেখানো হয় এনটিভিতে। বিহাইন্ড দ্যা সিন ধারাবাহিকের গল্প ছিল একটি শুটিং ইউনিট নিয়ে। শুটিং ইউনিটের নানা ঘটনা, শুটিং ইউনিটের নানা সমস্যা এবং এসব কারণে ইউনিটের ভিতরে ঢুকে পড়ে দুজন চোর। নাটকের শেষ দৃশ্যে দখা যায়, চোর দুজন ক্যামেরার ব্যাটারি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধরা পড়ে যায়। এই ধারাবাহিক দিয়ে পরিচালক দর্শকদেরকে কি দেখাতে চেয়েছেন তা তিনিই ভালোই বলতে পারবেন।

তবে একজন পরিচালকের পুরো ইউনিটের কাজ কারবার টেলিভিশন পর্দায় সবচেয়ে ভালো করে ফুটিয়ে তুলেছেন ভাই বেরাদারের বিগ বস মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি তার ঊনমানুষ নাটক/টেলিফিল্মে নিজের পুরো ইউনিটকে দেখিয়ে ফেলেন আলাদা একটি শুটিং ইউনিট হিসেবে। নাটকে শুটিং ইউনিটের পরিচালক ছিলেন মারজুক রাসেল। এই চরিত্রে তিনি অনেক ভালো অভিনয় করেন। এছাড়া ঊনমানুষ নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করা হুমায়ুন সাধুও ভালো অভিনয় করেন। ফারুকী নির্মিত এই নাটকটি নানা কারণে অনেক প্রশংসিত এবং আলোচিত সমালোচিত। কচি খন্দকারের টেলিফিল্ম ম্যাও দর্শকদের বিরক্তি উপহার দিয়ে গেছে শুধু। এই টেলিফিল্মের গল্পে দেখা যায়, একটা বাসায় কেউ একজন একটা টেলিফোন করে। বাসার কর্তা বা কর্তী ফোন ধরলে সে ম্যাঁও বলে। এভাবে একসময় ভদ্রলোক ম্যাঁওয়ের জালে বন্দী হয়ে যান। যেদিকেই যান সেদিকেই তিনি ম্যাঁও ম্যাঁও শুনতে থাকেন। মহল্লার ছেলেরাও তাকে উত্যক্ত করতে তার পেছনে লুকিয়ে ম্যাঁও ম্যাঁও বলে চিৎকার করে।

কচি খন্দকারের এই নাটক/টেলিফিল্ম দেখে বারবার মনে হয়েছে অভিনেতা হিসেবে তার একটা জনপ্রিয়তা সৃষ্টি হয়ে গেছে যখন তখন কেন আর টেলিভিশন নাটক পরিচালনায় আসা ? যদি ম্যাঁওয়ের মতো চিল্লাচিল্লি নির্ভর নাটক বানানোর পর সেটা যদি দিনের পর দিন চ্যানেলগুলোর টেবিলে টেবিলে পড়ে থাকে, তাহলে কেন এই নাটক বানানো ? এই নাটক দেখে চ্যানেলওয়ালারা যেখানে সন্তুষ্ট হতে পারেন না সেখানে নাটকটি টেলিভিশনের পর্দায় দেখিয়ে দর্শককে বিরক্ত করার কি কোনো মানে আছে। ছবিয়ালের আরেক ভাই বেরাদার এবং কচি খন্দকারের সহকারী মিলন ভট্টাচার্য্য সম্প্রতি একটি নাটক বানিয়েছেন। তার নির্মিত নাটকের নাম আন্তঃনগর উঠলে কিন্তু খবর আছে !

(চলবে)
_____________________________________________ ফারুকী ও তার ভাই বেরাদার কেচ্ছা কাহিনী- ০

 


মন্তব্য

অতিথি লেখক [অতিথি] এর ছবি

ভাই, কিছু মনে করবেন না, কিন্তু আপনার এই সিরিজ পড়তে গিয়ে যে কথা অবধারিতভাবে মনে হচ্ছে, তা হল, ফারুকি ও তার ভাই বেরাদর বিষয়ে আপনার ব্যক্তিগত ক্ষোভ বা শত্রুতা আছে। বা আছে আপনার কোনো ব্যর্থতার কাহিনী। নাহলে ফারুকিকে নিয়ে এভাবে লেগে পড়ার কারণ কী? ফারুকি কি এতই বড় ব্যক্তিত্ব এবং এতই আলোচ্য যে তাকে নিয়ে বিশাল-বিশাল পর্বের পুরো গবেষণামূলক সিরিজ ফেঁদে বসতে হবে?

জাহামজেদ এর ছবি

ফারুকি ও তার ভাই বেরাদর বিষয়ে আপনার ব্যক্তিগত ক্ষোভ বা শত্রুতা আছে। বা আছে আপনার কোনো ব্যর্থতার কাহিনী

আপনার এটা মনে হলো কেন ? ফারুকীর বিরুদ্ধে যতি ক্ষোভ আর ব্যর্থতার কাহিনী না থাকে তাহলে কি কেউ লিখতে পারবে না ?

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

অতিথি লেখক [অতিথি] এর ছবি

"ফারুকীর বিরুদ্ধে যতি ক্ষোভ আর ব্যর্থতার কাহিনী না থাকে তাহলে কি কেউ লিখতে পারবে না ?"

লিখতে পারবে না, তা কিন্তু একদমই বলিনি। বলেছি "এভাবে লেগে পড়ার কারণ কী? ফারুকি কি এতই বড় ব্যক্তিত্ব এবং এতই আলোচ্য যে তাকে নিয়ে বিশাল-বিশাল পর্বের পুরো গবেষণামূলক সিরিজ ফেঁদে বসতে হবে?"

বোঝাতে পারলাম?

জাহামজেদ এর ছবি

আপনার হয়তো এই ব্যাপারে কৌতুহল না থাকতে পারে, কিন্তু আমার বন্ধুরা প্রচন্ড কৌতুহলী ! যেহেতু ভাই বেরাদারেরা এখন সবকটি বাংলা চ্যানেলের পর্দা জুড়ে বসে থাকেন !

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

নিঃসঙ্গ গ্রহচারী [অতিথি] এর ছবি

কোথায় কে কী কাহিনি করে বেড়াচ্ছে এইটা জানার চেয়ে ভাই বেরাদারদের কাজের সমালোচনা পড়তে পারলে ভাল্লাগতো।

জাহামজেদ এর ছবি

ভাই বেরাদারদের কাজের সমালোচনা পড়তে পারলে ভাল্লাগতো

ঠিক করে দিলাম।

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

স্নিগ্ধা এর ছবি

গত পর্ব এবং সেটার মন্তব্য টন্তব্য পড়ে নামোল্লেখ করা ঐ নাটকগুলো দেখার কৌতূহল হচ্ছে খুবই! বছর তিনেক আগে ডিভিডি তে 'একান্নবর্তী' দেখা ছাড়া ফারুকীর আর কোন নাটক দেখা হয় নি, ফলে আলোচনার অনেক কিছুই আমার অজানা। তবে, একান্নবর্তী বেশ ভালো লেগেছিলো। সত্যি কথা, খুব ইনফর্ম্যাল ভঙ্গিতে কথা বলা, আচরণ করা চরিত্রদের সুখ দুঃখের কাহিনী আমাদের আশেপাশেরই কারুর কাহিনী মনে হচ্ছিলো। কিন্তু, ঐ যে - অনেকেই দেখলাম বলেছেন যে শুরুটা ভালো হলেও ফারুকীর ইদানিংকার বা গত বেশ কিছু সময়ের কাজ এবং কাজের ইমপ্যাক্ট নিয়ে লোকজন বিরক্ত, সেটা নিয়ে জানিই না কিছু।

নাটকগুলো দেখা হলে এই পোস্ট আবার এসে পড়তে হবে। যদিও তদ্দিনে এই আলোচনা হয়তো তামাদি হয়ে যাবে মন খারাপ

[পরে সংযোজিত অংশঃ মন্তব্যে আরেকটি কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলাম - আপনার এই পর্ব ফারুকী বা তার সমমনা/সহকর্মীদের কাজের বিশ্লেষণের চাইতে, সেসব কাজের পটভূমির বিস্তৃত বর্ণনা বা কিছু ব্যক্তিগত অ্যানেকডোট জানানোর ভারে খানিকটা ন্যুব্জ মনে হচ্ছে। শিরোনামে 'ভাই বেরাদর' কথাটা লেখক হিসেবে যেহেতু আপনার অবস্থানকে নির্দেশিত করে, লেখায় আরও একটু নৈর্ব্যক্তিক হলে পাঠকদের কাছে বক্তব্যের গ্রহনযোগ্যতা বাড়বে বলে মনে করি। আমি ফারুকীর কাজের সাথে যেহেতু তেমন একটা পরিচিত নই, আমার ফারুকী বা সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের নিয়ে কোন ধারণাই গড়ে উঠতে পারে নি। এই মন্তব্যটি তাই, একদম সাধারণ একজন পাঠক হিসেবে আমার মতামত।]

জাহামজেদ এর ছবি

সব কাজ দেখে মানুষ বিরক্ত এটা ঠিক না। অনেক ভালো কাজও তিনি করছেন। তবে বিজ্ঞাপনে নিয়মিত থাকার কারণে নাটকে হয়তো খুব একটা মনোযোগী না এখন।

আগের পোস্টটাকে পাল্টে এই পোস্টে কাজের সমালোচনা করা হয়েছে শুধু।

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

দ্রোহী এর ছবি

এ ধরনের লেখায় চরিত্রের সমালোচনার চাইতে কাজের সমালোচনা করাটাই যুক্তিপূর্ণ। আশা করি ভবিষ্যত পর্বগুলোতে তাই করবেন।

ফারুকী বা তার দলবলের তৈরি করা যে দুয়েকটি নাটক দেখেছি তাতে একটা সিদ্ধান্তেই পৌঁছাতে পেরেছি। পূরুষমানুষ মানেই অতিরিক্ত মাত্রায় কামুক যারা নাকি গলায় কথা বলে। হাসি


কাকস্য পরিবেদনা

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আরেকটু গঠনমূলক লেখা আশা করছিলাম। আপনার এই পর্বটায় অমূক এই করেছে তমুক এই করেছে বেশী চোখে পড়ছে। যেটা বুঝতে পারলাম সেটা হল - ফারুকী তার সাগরেদ, ভক্ত এদের মাঠে নামিয়ে একপ্রকার প্রভাব বিস্তারের কাজ করেছে। যাতে করে তার "ধরনের" নাটক এক রকম "প্রতিষ্ঠা" পায়। কিন্তু এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পেতে ইচ্ছে করে:

১। অ্যামেচার স্টাইলে নাটক সারা বিশ্ব জুড়ে জনপ্রিয় হচ্ছে কেন?

২। ফারুকীর ছবিয়াল উৎসব আগে আর কারো মাথায় আসেনি কেন?

৩। ছবিয়ালের কারনে কিছু মেধাবী নাট্যকার এসেছেন। সেইসঙ্গে এসেছেন কিছু ক্র্যাপ। সবার দায়ভার কেন ফারুকীর উপর এসে পড়ে?

৪। টেকনিক্যালি ফারুকীর নাট্য স্টাইলে সমস্যা কোথায়?

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

কনফুসিয়াস এর ছবি

মুর্শেদ ভাইয়ের সাথে একমত। আলোচনা আরেকটু কর্মকেন্দ্রিক হলে ভাল হয়।
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

জাহামজেদ এর ছবি

ফারুকীর ছবিয়াল উৎসব আগে আর কারো মাথায় আসেনি কেন?

চ্যানেল ওয়ান অন এয়ারে আসার পর যখন দর্শকদের কাছো প্রথমশ্রেণীর টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর মতো গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি তখন তারা দ্বারস্থ হয় ফারুকী'র। তারা ফারুকীর বেশ কিছু নাটক ও টেলিফিল্ম প্রচারে আগ্রহ দেখায়। কিন্তু ফারুকী একা নাটক তৈরি না করে তার সহকারীদেরকে নিয়ে চ্যানেল ওয়ানে ছবিয়াল উৎসবের মতো একটা টেলিভিশন নাটকের উৎসব করার প্রস্তাব চ্যানেল কর্তৃপক্ষকে দেন। বাংলাদেশে টেলিভিশন নাটকের উৎসবের পাশাপাশি একজন পরিচালক তার নিজের সহকারী পরিচালকদের নিয়ে নাটকের উৎসব করেছেন, এই দৃষ্টান্ত এটাই প্রথম। অন্যান্য যেসব নির্মাতা টেলিভিশন মিডিয়ায় কাজ করেন তাদের অনেকের দৃষ্টিভঙ্গি এরকম, পরিচালকের সহকারী সারাজীবন পরিচালকের সঙ্গেই কাটাবে, তার পরিচালক হওয়ার দরকার কি ? কিন্তু ফারুকী এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। তিনি নিজ উদ্যোগে তার সহকারীদের পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশের সুযোগ করে দিয়েছেন। যদিও পরবর্তী সময়ে তার সহকারীদের কেউই ফারুকী ঘরানার নির্মাণ কৌশল ও ফারুকী স্টাইল থেকে বের হয়ে আসতে পারেননি। ভাই বেরাদার সবাই গুরু হিসেবে নির্মাতা ফারুকীকে অণুসরণ করে গেছেন শুধু !

মুর্শেদ ভাই, আপনার অন্য প্রশ্নগুলোর উত্তর পরবর্তী পোস্টগুলোতে দেব।

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

হালুম হালুম এর ছবি

ভাই বেরাদার সবাই গুরু হিসেবে নির্মাতা ফারুকীকে অণুসরণ করে গেছেন শুধু !

এখানে অনুসরণ না হয়ে অনুকরণ হবে।

জাহামজেদ এর ছবি

ফারুকী যে পথে হেঁটে গেছেন ভাই বেরাদারের নির্মাতারা সেই পথ অনুসরণ করে যাচ্ছেন।

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

পাঠক [অতিথি] এর ছবি

বেশ ইনসাইডার ইনফরমেশন দিলেন।

ছোট্ট প্রশ্ন যাদের কথা বল্লেন


কিন্তু তার সহকারী ও ভাই বেরাদাররা ছবিয়াল উৎসবে নাটক বানাতে এসে মোটামুটি বাংলা নাটকের কবর খুঁড়তে শুরু করেন।

সেই কবর-খুঁড়া-গ্রুপের গ্রহনযোগ্যতা কেমন নাট্য প্রডিউসারদের আর টিভি চ্যানেল এক্সিকিউটিভদের কাছে?

আর ফরাশ আহমেদ জীবন/রুমেল/কামাল রাজের কাজ ফাহমি/রনী থেকে বেটার কখনই মনে হয় নি এবং স্পষ্টতই মার্কেটে ফাহমি/রনীরই ডিমান্ডই সবচেয়ে বেশী। আর বাল-ছাল-বানানো-ওয়ালাদের বেইল দেবার জন্যও কেউ বসে নাই। সাথে সাথে এটাও মনে রাখতে দেশে ভাই-বেরাদার গ্রুপ ছাড়াও প্রচুর বাল-ছাল-বানানেওয়ালা আছে, সেই সুযোগেও কারও কারও পেটে কিছু ঢুকতেও পারে।

জাহামজেদ এর ছবি

সেই কবর-খুঁড়া-গ্রুপের গ্রহনযোগ্যতা কেমন নাট্য প্রডিউসারদের আর টিভি চ্যানেল এক্সিকিউটিভদের কাছে?

অনেকেরই গ্রহণযোগ্যতা আছে। তবে গ্রহণযোগ্যতা কেন কিভাবে তৈরি হয়ে উঠে- এসবের পেছনেও কিন্তু গল্প আছে।

গল্প আছে বলেই চ্যানেল আইয়ের কর্তা ইবনে হাসান খানের বড় ভাই সোহেল খান আজ ভাই বেরাদারের নাটকের তারকা। টেলিভিশনে তার অভিষেক ফারুকীর মাধ্যমে।

নাটকের পেছনে গল্প আছে বলেই বিজ্ঞাপনদাতা এজেন্সি গ্রে'র ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর গাউসুল আজম শাওন তাই ফারুকীর বিজ্ঞাপনের মডেল ও নাটকের অভিনেতা হয়ে যান।

ফাহিম মিউজিকের কর্ণধার মনির হোসেন অভিনেতা হয়ে উঠেছেন এদের নাটকে অভিনয় করে। এখনতো মনিরকে প্রায় সব নাটকেই দেখা যায়।

স্বাধীন খসরু নামের একজন অভিনেতা আছেন। যিনি দেশের একজন বড় প্রযোজক, হুমায়ুন আহমেদের একটি চলচ্চিত্রও তিনি প্রযোজনা করেছিলেন। হুমায়ুন আহমেদ ঘরানা থেকে তিনিও এখন ভাই বেরাদার দলের অনেকের নাটকে অভিনয় করেন। কারণ, তিনিও অনেকের নাটকের প্রযোজক হয়ে গেছেন।

কালেরকন্ঠের বিনোদন বিভাগের প্রধান এম এস রানা ফারুকীর নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্রের অভিনেতা, যদিও এর আগে রানা এমন কোনো নাটকে অভিনয় করেননি। একুশে ফেব্রুয়ারি নিয়ে নির্মিত আমি কি ভুলিতে পারি নাটকে অভিনয় করেছেন রানা।

সমকালের সাবেক বিনোদন প্রতিবেদক এবং বর্তমানে কালের কন্ঠের বিনোদন প্রতিবেদক গোলাম গোলাম রাব্বানী ভাই বেরাদারের নাটকের নাটকের নিয়মিত স্ক্রিপ্ট রাইটার। তার লেখা চিরকুমার সংঘ, সাদা গোলাপ নাটক নির্মাণ করেছেন ভাই বেরাদারের মোস্তফা কামাল রাজ।

প্রথমআলো'র বিনোদন প্রতিবেদক শফিক আল মামুন ভাই বেরাদারের অনেক নাটকের অভিনেতা ও প্রযোজক। ভাই বেরাদারের নাটক ছাড়া তাকে অন্য কারো নাটকে দেখা যায় না। তিনি বিশেষ করে ছবিয়ালের রনি ও রাজের নাটকে অভিনয় করেন।

বিডি নিউজের আর্ট পাতার সম্পাদক ও একালের মহাকবি ব্রাত্য রাইসু ভাই বেরাদারের নাটকের নায়ক। তিনি রাজীব আহমেদে উচ্চতর গার্হস্থ্য বিজ্ঞান নাটকে নওশীনের বিপরীতে নায়কের চরিত্রে অভিনয় করেন।

লিখতে গেলে তালিকা শুধু দীর্ঘ হবে। এরকম একশো জনের নাম লেখা যাবে। তবে নাটকের প্রোডিউসার ও চ্যানেলগুলোর কাছে গ্রহণযোগ্যতা কিভাবে গড়ে উঠে তা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন ? দুই দুই যোগ করলে যোগফল সবসময় চার হয় !

ফরাশ আহমেদ জীবন

পোস্টে যদি কারো নাম বিকৃত না করি তাহলে আপনি কমেন্টে কেন রাজ, ফাহমি,রনি বা জীবনের নাম বিকৃত করবেন ? এই পোস্ট লেখার মানে কারো নাম বিকৃত করা নয়। শরাফ আহমেদ জীবন হবে নামটা।

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

পাঠক [অতিথি] এর ছবি

বেশ ভড়কে দেবার মত করে তথ্যগুলো শেয়ার করলেন। কানেকশন থাকুক বা না থাকুক, সোহেল খান/মনির হোসেন/স্বাধীন খসরু-দের যে সব চরিত্র দেয়া হয় সেগুলোর চিত্রায়নে তাদের কোন সমস্যা হয় কি? ব্রাত্য রাইসুর অভিনয় দেখিনি তাই কিছু বলতে পারছি না। আবার বলছিনা তারা মহান কোন অভিনেতা, তাদের অভিনয়ের মান হাউজফুলের মেদবহুল চাচা (সুমন পাটোয়ারী না কি যেন নাম, তিন্নির বিপরীতে অভিনয় করেছিলো)-র থেকে কম মনে হয়নি, যিনি সুরুচীসম্পন্ন ডিরেক্টর মেজবাউর রহমান সুমনের একটি নাটকেও অভিনয় করেছেন।

তবে কানেকশন থাকাতে নাটক চ্যনেলে চালাতে সুবিধা হয় তা বেশ বুঝতে পারছি।

আর নামের বানান ভুল অনিচ্ছাকৃত।

জাহামজেদ এর ছবি

আপনি যদি আপনার নির্মিত কোনো নাটকে আলী যাকেরকে অভিনয় করাতে পারেন তাহলে আপনার সেই অখাদ্য কুখাদ্য হলেও সেটা যে কোনো চ্যানেল কিনে ফেলবে। কারণ, আলী যাকের অভিনীত নাটকে এশিয়াটিক থেকে বিজ্ঞাপন আসবে, এত বড় একটা এজেন্সী, এত এত বিজ্ঞাপন এদের হাতে ! এ কারণেই ইরেশ দেশে এসে খুব তাড়াতাড়ি তারকা খ্যাতি পেয়ে যায়, আর অন্যদিকে মোশাররফ করিমকে মঞ্চ নাটকে জুতা সেলাই করা থেকে চন্ডীপাঠ পর্যন্ত শেষ করে টেলিভিশন নাটকে এসে তারকা খ্যাতি অর্জন করতে হয়।

এখন আপনার যদি একটা এজেন্সী থাকে, আপনার যদি একটা প্রযোজনা সংস্থা থাকে, আপনি যদি কোনো একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির বড় কর্তা হন, আপনি যদি কোনো ধরণের উৎপাদিত পণ্যের কোনো প্রতিষ্টানের প্রধান হন আপনাকেও হয়তো কোনো একদিন টেলিভিশন পর্দায় দেখা যেতে পারে। বাংলাদেশের টেলিভিশন ইন্ড্রাস্টিতে এটাই এখন বাস্তবতা !

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

নুসদিন এর ছবি

মেদবহুল চাচা (সুমন পাটোয়ারী
বেশ আপত্তিকর লাগলো কথাটা। মেদবহুল না মেদবর্জিত সেটার সাথে অভিনয়ের কী সম্পর্ক?

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার মনে হয় "মেদবহুল চাচা" কথাটা বলা হয়েছে মূলত মানুষটাকে সহজে চেনার জন্য। আমি নিজেই তো জানতাম না যে তার নাম সুমন পাটোয়ারী। আমরা কথা প্রসঙ্গে যেমন বলি - ওই যে চিকনমত ছেলেটা বা ছোটখাট লোকটা।

তবে এটা একটু অন্যভাবে বললে শোভন হত।

আর মেদবাহুল্যের সাথে অভিনয়ের সম্পর্ক আছে। একজন মেদবহুল মানুষের body language মেদহীন মানুষের থেকে অন্যরকম হয়। উদাহরণঃ লরেল অ্যান্ড হার্ডি। অথবা বলিউডের গোবিন্দ - তার নাচের মুদ্রার পিছে শারীরিক গড়নের ভূমিকা আছে।

আবার কিছু চরিত্র by definition মেদবহুল পাত্র/পাত্রী দাবী করে। দর্শকদের relate করতে সুবিধা হয়।

লেখার প্রেক্ষিতে মন্তব্যটা বেশী judgemental মনে হল।

ফাহিম হাসান

নুসদিন এর ছবি

ব্র্যাকেটে লিখেছেন সুমন পাটোয়ারী অথচ বলছেন নাম জানেন না!

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি তো ব্র্যাকেটে সুমন পাটোয়ারীর নাম লিখিনি। ওটা লিখেছেন পোস্টের লেখক- জাহামজেদ।

আমি শুধু বললাম যে আমি চরিত্রটা চিনি। তার পিছনে অভিনেতার নাম জানা ছিল না।

ফাহিম হাসান

নুসদিন এর ছবি

সরি। ওটা মনে হয় পোস্টের লেখক না, পাঠক নামের একজন লিখেছেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই কিছু মনে কইরেন না, আপনার এই পর্বের লেখার উদ্দেশ্য আমার কাছে ঠিক পরিস্কার না। আপনি কি ভাই বেরাদার গ্রুপের কাজের সমালোচনা করতে চেয়েছিলেন না ব্যক্তি সমালোচনা করলেন, ঠিক বুঝলাম না। আর রেফারেন্সের ২টা হচ্ছে নাটক (পরে সময় হলে দেখবো আশা করি) , একটি প্রথম আলোর (সেখানে অবশ্য ফারুকীর ছোট ভাইয়ের কথা কিছু লেখা নেই, আছে শুধু তিন পরিচালকের প্রশংসা) একটি ফেসবুকের (যেখানে দেখায় ভিডিও আনঅ্যাবেইল্যাভেল) এবং শেষেরটি একটি ব্লগের ( যেখানে মন্তব্যেই সেই লেখাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে এবং সে বিষয়ে লেখকের কোন বক্তব্য নেই, এই হচ্ছে আপনার মিডিয়ায় অনেক আলোচনা!!!)। এগুলো কি ধরণের রেফারেন্স হলো সেটাও আমি বুঝিনি।

সেসময়ে প্রয়াত অভিনেতা ও চলচিত্র নির্মাতা আবদুল্লাহ আল মামুন ফারুকী ও ভাই বেরাদারের নাটকের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন।

এটার রেফারেন্স থাকলে দয়া করে যদি দিতেন।।
একালের মহাকবি মারজুক রাসেল এখনো হয়তো এই দুষে দুষ্ট রয়ে গেছেন। তাকে প্রায়ই আজিজ মার্কেট এবং পরীবাগের গলির মুখে মিনারেল ওয়াটারের বোতল হাতে হেলে দুলে হাঁটতে দেখা যায়। হয়তো তিনি তখন কবিতার সাগরে ডুবে থাকেন অথবা ইমপোর্টেড তামাকে ! কখনো কখনো গাউসিয়া মার্কেটের মেয়েদের ভিড়েও মারজুককে পানির বোতল হাতে সিনেমার নায়কদের মতো ক্যাপ মাথায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়

আপনি মারজুককে এ অবস্থায় দেখেছেন? আপনার কাছে যদি তার এ অবস্থার কোন ছবি থাকে তাহলে সেটা পোস্টে দেন, বিশ্বাসযোগ্য হবে, নাহলে এরকম লেখা না লেখাই ভালো।

সবশেষে, ফারুকী এন্ড গং এর কাজের সমালোচনা করে একটি পোস্টেই লেখা যেত বলে আমার মনে হয়, এর জন্য এরকম ধারাবাহিক (কে কি খায়, পরে, কাকে মারে(!) )আরব্য রজনী/ হালের বাংলা ধারাবাহিক না দেখালেও চলতো।

পাগল মন

জাহামজেদ এর ছবি

মারজুককে এ অবস্থায় দেখেছেন? আপনার কাছে যদি তার এ অবস্থার কোন ছবি থাকে তাহলে সেটা পোস্টে দেন, বিশ্বাসযোগ্য হবে, নাহলে এরকম লেখা না লেখাই ভালো।

পোস্টের এই অংশটা সরিয়ে দিয়েছি। তবে ভাইয়ের কাছে খুব জানতে ইচ্ছে করছে- আপনি কোন শহরে থাকেন, অথবা কোন দেশে ?

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ সে অংশটুকু সরিয়ে নেয়ার জন্য।
২৫ বছর বাংলাদেশেই তো থাকলাম এখন একটু বাইরে আছি। কেন ভাই?

আপনি কিন্তু রেফারেন্স নিয়ে আমার বক্তব্যের কোন উত্তর দেননি। তাহলে আমি কি বুঝবো?

পাগল মন

জাহামজেদ এর ছবি

মারজুকের ছবি তোলার কথা বলছিলেন বলে কথাটা বলেছিলাম। এটা শাহবাগ-পরীবাগ-কাঁটাবনের পরিচিত দৃশ্য। দেশে ( ঢাকায় ) থাকলে আপনারও চোখে পড়তো।

১. যে ভিডিওটার লিঙ্ক দিয়েছিলাম ওটা সবার জন্য খোলা ছিল না।
২. আবদুল্লাহ আল মামুন কঠোর ভাষায় সমালোচনা করেছিলেন এটা অনেকেই
জানে। তবে তারখিটা ঠিক মনে নেই বলে দিতে পারিনি। তবে প্রথমআলোতে
ছাপা হয়েছিল।

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

পাঠক [অতিথি] এর ছবি

দেশের নাট্য-জগত নিয়ে সমালোচনা করার সময় অনেকের মনেই থাকেনা কত টাকা দিয়ে এক একটা নাটক বানানো হয়। এতো অল্প বাজেটে, স্পন্সরের/মার্কেটের মাল্টিডাইমেনশনাল ডিমান্ড মিট করে খুব কমই ক্রিয়েটিভ/ম্যচিউরড নির্মাতা তৈরী হবে। এখনো দেশের মানুষকে ফেরদৌস হাসান/চয়নিকা/লাভলু/ফাল্গুনি টাইপ চরম মিডিওকার নিমার্তাদের নাটক গিলতে হয়।

নাট্য জগতে নাকি ভালো গল্পেরও খুব অভাব। মাথায় ধরে না বাংলা/বিশ্ব-সাহিত্যের অগনিত গল্প/ছোটগল্প থাকার পরও কেন সবার মাঝে এতো অভাববোধ? কোন ম্যচিউরড গল্প অবলম্বনে সুডো-চিত্রনাট্য লেখা কি খুব বেশী কঠিন কাজ? সচলায়তনের নজরুল ইসলাম হয়তো কিছুটা বলতে পারবেন।

আর নাটক ছাড়াও অন্য অনুষ্ঠানের মানও বাড়ছে না একেবরেই। হার্ড টক বা দোহা ডিবেট বা নিদেন পক্ষে ভারতের বুরখা দত্ত-এর মত প্যানেল ডিসকাশন/টক শো কোথায়?

চ্যানেল ফোরের ডিসপ্যাচের মত কারেন্ট অ্যফেয়ার্স ভিত্তিক ডকুমেন্টারি বানানো কি খুব বেশী খরচের ব্যপার?

অস্ট্রেলিয়ার এবিসির চেসারস ওয়ার অন এভরিথিং/হাংরি বিস্টের মত ভিন্ন জনরঁরা টভি প্রগ্রাম বানানোর মত ট্যালেন্ট/মিডিয়ার পৃস্ঠপোষকতা দেশে আছে বলে মনে হয় না।

জাহামজেদ এর ছবি

দেশের নাট্য-জগত নিয়ে সমালোচনা করার সময় অনেকের মনেই থাকেনা কত টাকা দিয়ে এক একটা নাটক বানানো হয়

ভালো কাজের বদলে যদি প্রযোজকের টাকা হাতানোর ধান্দায় থাকে তাহলে ভালো কাজ হবে কি করে ?

আপনি তো জানেন, তাহলে আপনিই বলেন এক ঘন্টার একটা নাটকের জন্য রনি ফাহমি কত টাকা পান ? অন্যদিকে ভাই বেরাদারের বাইরে অন্যান্য পরিচালকেরা কত টাকা পান ?

এখনো দেশের মানুষকে ফেরদৌস হাসান/চয়নিকা/লাভলু/ফাল্গুনি টাইপ চরম মিডিওকার নিমার্তাদের নাটক গিলতে হয়

অমিতাভ রেজা, নুরুল আলম অতিক, মাসুদ হাসান উজ্জল, অনিমেষ আইচ, মেজবাউর রহমান সুমন এদের নাম দেখি বাদ পড়ে গেল। নাকি এরাও অনেক খারাপ নাটক বানান ?

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

পাঠক [অতিথি] এর ছবি

টাকার কথা বলেছিলাম একধরনের এলিট সমালোচকদের মনোভাব দেখে, যাদের চাহিদা দেশের নাটক সত্যজিৎ রায়/ঋত্বিকের সিনেমার এক একটা মিনি ভার্শান হবে যেখানে দেশের সমস্যা/টানপোড়নের ম্যচিউরড ডেপিকশন দেখা যাবে।

কে কত পায় আমি আসলেই জানি না। নাটক ভেদে ১দশমিক৫ থেকে ৩ লাখ?

সেলিম/অমিতাভ রেজার প্রায় সব প্রডাকশানই ভালো। অনিমেষ/মেজবাউরের কাজও ভালো।মেজবাউরের যত্ন দিয়ে বানানো 'অরুপার জন্য' দেখলাম। মেকিং ভালো কিন্তু নাটকের ঘটনা এক লাইনের। ইউনিভার্সটি লাইফের প্রায় শেষ সময়ে সহপাঠির সাথে প্রেম, প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ে হওয়া, বিদেশ গমনের আগে প্রেমিকার সাথে শেষ দর্শন এবং রোড এক্সিডেন্টে প্রেমিকের মৃত্যু। ২০১০ সালে নাটক বানানোর গল্পের কি অভাব পরেছে?

নুরুল আলম আতিকও বেশী আঁতলামি করতে গিয়ে বালছাল বানান যার উদাহরন মারমেইড নামক এক রদ্দিমাল।

আর মাসুদ হাসান উজ্জল-কে আমি ঠিক ফলো করতে পারিনি।

জাহামজেদ এর ছবি

নাটক ভেদে ১দশমিক৫ থেকে ৩ লাখ?

ঠিকাছে। তবে অনেকেই আছেন যারা ৫ লাখ টাকার উপরেও নিয়ে থাকেন।

নুরুল আলম আতিকও বেশী আঁতলামি করতে গিয়ে বালছাল বানান যার উদাহরন মারমেইড নামক এক রদ্দিমাল।

আতিকের এখনকার দুয়েকটা প্রোডাকশন হয়তো খারাপ হয়ে যাচ্ছে। তবে সবগুলো না। আগের মতোই তিনি এখনো ভালো নির্মাতা।

মাসুদ হাসান উজ্জল-কে আমি ঠিক ফলো করতে পারিনি

উজ্জল চারুকলা থেকে পাশ করে বের হওয়া ছেলে। অসম্ভব যত্ন নিয়ে নাটক বানান। এই ঈদে তার নির্মিত নাটক যে জীবন ফড়িংয়ের খুবই প্রশংসিত হয়েছে। তিনি একটু কম কাজ করেন বলে হয়তো তার কাজগুলো আপনার দেখা হয়নি।

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

সাবিহ ওমর এর ছবি

এগুলা তো আমরা জানি-ই। নতুন কিছু আছে?

জি.এম.তানিম এর ছবি

ব্যক্তিগত ঘটনাগুলোর চেয়ে তাদের নাটকের টেকনিকাল ও এস্থেটিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা থাকলে ভালো লাগতো। সেখানে পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা আসার অবকাশও থাকত, একটা সুস্থ বিতর্কের মতন। একজন মদ, সিগারেট, গাঁজা খাবেন কিনা, সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার যতক্ষণ তিনি আমার আশেপাশে খেয়ে আমার পরিবেশ দূষণ না করছেন।

পরের পর্বে আরেকটু নাটককেন্দ্রিক আলাপ চাই। এমন কি সমসাময়িক আরও অনেকের সাথে তুলনামূলক আলোচনাও হতে পারে। মানে তাদের থেকে ভালো ও খারাপ মানের কাজ করছেন যারা, কিংবা তাদের থেকে জনপ্রিয় ও কম জনপ্রিয় যারা তাদের নাটক নিয়েও আলোচনা আশা করব। ভালো থাকুন, সচল থাকুন, সচল রাখুন।

মডুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, নীড়পাতায় একই লেখকের আরেকটি লেখা রয়েছে একই বিষয়ে, প্রথমটি সরিয়ে দেবেন আশা করি। দৃষ্টিকটু লাগছে।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

জাহামজেদ এর ছবি

পরের পর্বে আরেকটু নাটককেন্দ্রিক আলাপ চাই। এমন কি সমসাময়িক আরও অনেকের সাথে তুলনামূলক আলোচনাও হতে পারে। মানে তাদের থেকে ভালো ও খারাপ মানের কাজ করছেন যারা, কিংবা তাদের থেকে জনপ্রিয় ও কম জনপ্রিয় যারা তাদের নাটক নিয়েও আলোচনা আশা করব।

অবশ্যই অন্যদের কথা আসবে। ভাই বেরাদার দলের ভালো কাজের কথা আসবে, সমসাময়িক অন্যদের কাজের সাথে তুলনামূলক আলোচনাও হবে।

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

নাশতারান এর ছবি

ব্যক্তিসমালোচনাগুলো অপ্রাসঙ্গিক ঠেকছে। কে গাঞ্জা টানবে আর কে তামাক টানবে এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। ফারুকী গাঞ্জাখোরদের নিয়ে দল ভারী করে নাট্যসংস্কৃতির বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে অর্থে মেনে নিতে পারছি না। ফারুকীর ৫১বর্তী খুব উৎসাহ নিয়ে দেখতাম। ব্যাচেলারও ভালো লেগেছিলো। এরপর দেখেছি থার্ড পার্সন সিঙ্গুলার নাম্বার। দায়সারা গোছের অযত্ন চোখে পড়ে। এই অযত্নের কারণ কী? ফারুকী ও তার ভাই বেরাদরদের ব্যক্তিগত জীবনচর্চার চেয়ে আমার অর্থনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতার সাথে এদের কাজের মিথস্ক্রিয়া বিষয়ে জানতে আগ্রহী আমি।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

সম্রাট [অতিথি] এর ছবি

দেখুন আমি বিশ্বাস করি যে কোন কাজের ফলাফল কি হবে বা কেমন হবে তা অনেকাংশেই যে কাজটি করছেন তার ব্যক্তিগত বিশ্বাস- অবিশ্বাস, জীবনধারা ইত্যাদির ওপর নির্ভর করে। বিশেষত মিডিয়াতে যারা কাজ করেন বা যাদের কাজের প্রভাব সমাজের সব ক্ষেত্রে পড়ে, তাদের কাজে এবং জীবন যাত্রায় অনেক সতর্ক হতে হয়। যদিও আমি ব্যক্তিস্বাধীনতার ব্যাপারে আপোষহীন এবং যে কারো কাজের মূল্যায়নে তার ব্যক্তিগত বিষয়ের সমালোচনার ঘোর বিরোধী, কিন্তু পাবলিক ফিগারদের ব্যাপারে আমি একটু সমালোচনার পক্ষপাতী।
ভাই আপনি, আমি বা ম্যাংগো পিপল কি করলো, কি খাইলো সেটা নিয়ে তো কেউ কপচাবে না। কিন্তু ফারুকীদের মতো লোকজনের ব্যাপারে সবার উতসাহ থাকবেই।
কিন্তু এই পোস্টটি আর একটু কর্মসমালোচনা কেন্দ্রিক হলে ভালো হয়, এ ব্যাপারে সহমত।
====================

বালক ভুল করে নেমেছিল জলে

অতিথি লেখক এর ছবি

" টু ইন ওয়ান নাটকটি দেখার পর আমার মাথায় এই প্রশ্নটি বারবার ঘুরছে, একটা ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া মেয়ে একই ফ্ল্যাটের তিনটা ছেলের সঙ্গে কিভাবে প্রেম অথবা শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে, এটা কি সম্ভব ? এটা কি বাস্তব কোনো দৃশ্য হতে পারে, নাকি পরিচালকের নিজের মনের ফান্তাসা তিনি ছড়িয়ে দিচ্ছেন আমাদের তরুণ প্রজন্মের কাছে " এই ধরনের ঘটনা অহরহ ঘটছে আমাদের চারপাশে তার কতটুকুই বা আমরা জানি ? ব্যক্তিসমালোচনাগুলো বাদ দিয়ে আমরা যদি কাজের সমালোচনা করি তাহলে সুন্দরভাবে আলোচনা করা যায় | কারো ব্যক্তিগত ব্যাপার এ কথা বলতে মন সায় দেয় না |

জাহামজেদ এর ছবি

এই ধরনের ঘটনা অহরহ ঘটছে আমাদের চারপাশে তার কতটুকুই বা আমরা জানি ?

একই মেয়ে একই ফ্ল্যাটের তিনটা ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়াচ্ছে, এই কথাটাও বিশ্বাস করতে বলেন ?

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার কাছে মারজুক রাসেল এর বিশ্রী ভাষা ব্যবহার একটি নমুনা আছে। আপনারা চাইলে ফোরামে দিতে পারি।

শিক্ষানবিশ

কুলদা রায় এর ছবি

প্রথম পর্বতো জমে উঠেছিল একটি যৌক্তিক আলোচনায়। দ্বিতীয় পর্বে লেখাটির মেরিট নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু লেখাটির ভেতরের স্পিরিট নিয়ে আলোচনাই সঙ্গত।
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

হাসান মোরশেদ এর ছবি

চলুক। ব্যক্তির নির্মান, ব্যক্তি বহির্ভূত নয়।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

অতিথি লেখক এর ছবি

সহমত। নির্মাতার জীবনযাপন নির্মাণে ভুমিকা রাখে। ভ্যান গঘ বললেই কান কাটা ভদ্রলোকের কথা ভেসে আসে। মধুসূদনের কবিতা বিচারে অমিতাচার / ধর্মান্তর অপ্রাসঙ্গিক নয় মোটেই।

কিন্তু একটা পর্যায় পর্যন্ত। এরপর আলোচনা হয়ে উঠে পৌণপুনিক ...

ফাহিম হাসান

তার-ছেড়া-কাউয়া এর ছবি

আমি নির্মাতা নই। সাধারণ একজন দর্শক। যতটুকু জানি, জনাব ফারুকি ওনার নাটকে কোন নির্দিষ্ট স্ক্রিপ্ট ফলো করেন না। সিচুয়েশনের উপর ইন্সট্যান্ট যে ডায়ালগ বের হয় , পছন্দ হলে সেটাই শুট করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উতসবে কিছু মঞ্চ নাটকের স্ক্রিপ্টিং এর কাজ করেছি। কষ্ট সাধ্য কাজ সন্দেহ নেই। কিন্তু যতটুকু বুঝতে পেরেছি যে স্ক্রিপ্ট আর কাহিনী যত ভালো হয়, নাটকের মানও তত ভালো হয়। কিন্তু ফারুকি কোন স্ক্রিপ্ট নাকি ফলো করেন না। এই না হলে পরিচালক। তার বানানো নাটক , ফিল্ম পুরস্কারও পায়!! এই দেশে বেসম্ভব বলে কিছু নাই।
নাটকে আঞ্চলিক ভাষা থাকলে তা শুনতে ভালোই লাগে। কিন্তু আমাদের প্রতিদিনকার চলিত ভাষার বিকৃত রুপ ব্যবহারটা (যেমনঃ কি করতেসো? ভাত খাইসো? সঠিক উচ্চারণ ঃ কি করছো? ভাত খেয়েছো?) অত্যন্ত পীড়াদায়ক। এবং এই পীড়াটা ফারুকি আমাদের নিয়মিত তার নাটকের মাধ্যমে দিয়ে থাকেন।

*নাট্য নির্মাতা হিসেবে মোস্তফা কামাল রাজ, ইফতেকার আহমেদ ফাহমি আর রেদওয়ান রনিকে আমার ফারুকির চেয়ে অনেক বেটার মনেহয়।

জাহামজেদ এর ছবি

স্ক্রিপ্ট থাকে, কিন্তু স্ক্রিপ্টে সংলাপ থাকে না, দৃশ্যের বর্ণনা থাকে শুধু ! সংলাপ ছাড়া স্ক্রিপ্টে কাজ করার এমন আজগুবি সিস্টেম বাংলাদেশে ফারুকী প্রথম শুরু করেন। পরবর্তীতে ভাই বেরাদাররাও একই সিস্টেমে চলতেছেন। তাদের নাটকের স্ক্রিপ্ট এরকম থাকে-

দৃশ্য : ০১
চরিত্র : মোশাররফ, নাফিজা
স্থান : বাসার ছাদ

নাফিজা ছাদে হাঁটাহাঁটি করছে। কিছুক্ষণ পর মোশাররফ আসবে। তারপর সে কোনো একটা অজুহাতে নাফিজার সঙ্গে কথা বলবে।

এখানে দৃশ্যের বর্ণনা থাকে, কিন্তু কোনো সংলাপ থাকে না। সংলাপ শুটিংয়ের সময়ে শিল্পীরাই নিজের মতো করে দেন। তাই নাটকের গল্প পরিচালকের নিজের থাকলেও সংলাপে সংলাপে তা বদলে যায় বারবার !

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

নুসদিন এর ছবি

এমনিতে বাংলাদেশের কোনো নির্মাতা চান না তার সহকারী নির্মাতা তার সঙ্গ ছেড়ে পুরোপুরি নির্মাতা হয়ে উঠুক। কোনো পরিচালকের সহকারী যদি নির্মাতা হিসেবে ভালো কোনো নাটক বানিয়ে ফেলে তখন দেখা যায় সেই পরিচালকের সঙ্গে তার সম্পর্ক চলে গেছে সাপে নেউলের পর্যায়ে ! নাট্য পরিচালকদের তখন বলতে শোনা যায়, আমার নাটকের স্ক্রিপ্ট চুরি করে নাটক বানিয়েছে ! ও আবার পরিচালক হলো কবে ? কিন্তু ফারুকী এক্ষেত্রে ছিলেন ব্যতিক্রম। তিনি ছবিয়াল উৎসবের নামে সুযোগ করে দিয়েছিলেন বেশ কিছু তরুণকে নাট্য পরিচালক হিসেবে একসাথে আত্মপ্রকাশের।

কৃতজ্ঞতায় প্রায় অনেক নাটকের শেষেতো ফারুকীকে ধন্যবাদ দেয় এবং এটা অনেক দিন ধরে চলে আসছে। অভিযোগ আর কেন করবে! হো হো হো

জাহামজেদ এর ছবি

এটা একটা প্রচারণা। চ্যানেলগুলো চায় নাটকে ফারুকীর একটা সিল লাগানো থাকুক। যাতে বেশি দর্শক দেখতে বসে। মানুষ তো আর জানে না কে ভাই বেরাদার ! নাটকের সিডির উপরে দেখবেন ফারুকীর নাম বড় করে লেখা থাকে, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নিবেদিত। অনেক দর্শক এটা লেখা দেখে মনে করে এটা ফারুকীর নাটক, সিডিও দোকানদারও নাটকটি বিক্রি করে ফারুকীর নাটক বলে। এই কারণে ইফতেখার ফাহমির প্রথম নাটক মুড়ির টিন চ্যানেল আইতে দেখানোর সময় ভিজে ঘোষণায় বলেছিলো, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত নাটক !

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

অদ্রোহ এর ছবি

লেখাটি পড়তে পড়তে কিছু প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খেতে লাগল, ভাইবেরাদর মধ্যে যাদের কাজ খানিক আশার আলো দেখিয়েছিল, (আমি নিজে আশুতোষ সুজন আর শরাফ আহমেদের কথাই বলব) , তাদের এখনকার হকিকত কী? তাদের নিয়ে সেভাবে আলোচনা হচ্ছেনা কেন ,আর জ্বলতে না জ্বলতে তারা এমন দপ করে নিভেই বা গেল কেন। আর এখন যারা ছোটপর্দায় দেদারসে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন, সেটার রহস্যই বা কি?

একটা কথা খোলাখুলি বল, মনে হয়েছে, লেখাটি বেশ কবারই ট্র্যাক হারিয়ে ফেলেছে, ভাইবেরাদরদের নিয়ে পর্যবক্ষণে সবসময় নির্মোহ থাকাও সম্ভব হয়নি। কথাগুলো বলা, কারণ এ পর্ব নিয়ে আমার নিজের আশার পারদ খানিকটা চড়া-ই ছিল।

আচ্ছা ,নিশুতি অধিবেশন নাটকটা ভাইবেরাদরদের মধ্যে কার বলতে পারেন?

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে, সুখের স্রোতে ভাসাও তরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

জাহামজেদ এর ছবি

সুজন এবং জীবনের কাজ কম করা অথবা অন্যদের মতো টেলিভিশন পর্দা দখল না করার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ, এদের দুজন অন্যদের মতো চ্যানেলওয়ালা আর কর্পোরেট বসদের তেল দিতে পারেন না। এছাড়া জীবনের বদরাগী হিসেবে একটা খেতাব আছে। এই কারণে ফারুকীর ভাই বেরাদারদের রাজনীতিতে পড়ে তিনি একসময় ছবিয়াল ছেড়ে বের হয়ে বিজ্ঞাপনী সংস্থা ইন্টারস্পিডে চাকরি নিয়েছিলেন। এজন্য তিনি বেশ কিছুদিন নাটকের বাইরে ছিলেন। ইন্টারস্পিডে চাকরিকালীন সময়ে শরাফ আহমেদ জীবনের নির্মিত কয়েদি ও হাওয়াই মিঠাই নামের দুইটা নাটক ব্যাপক আলোচিত হয়েছিল। জীবন ময়মনসিংহের আঞ্চলিক ভাষায় ‌ঢাকা টু ময়মনসিংহ গেট লক সার্ভিস নামের একটা ধারাবাহিক নির্মাণ করেন। নাটকটি চ্যানেল ওয়ানে প্রচারের কথা ছিলো। চ্যানেল ওয়ান বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে নাটকটি আটকে গেছে। বর্তমানে ফারুকী ভাই বেরাদারদের মধ্যে আদনান, মাহমুদ ও জীবন এই তিনজন বিজ্ঞাপন নির্মাণে পুরোপুরি মনোযোগী হয়ে পড়েছেন।

আশুতোষ সুজন চ্যানেল আইতে রাস্তা নামের একটা ধারাবাহিক নির্মাণের পর তাড়াহুড়ো না করে ধীরে ধীরে কাজ করেছেন। এরপর বেশ কিছু একঘন্টার নাটক ও একটি সিরিয়ালও তিনি তৈরি করেন। এছাড়া তিনিও বেশ কিছু বিজ্ঞাপন বানিয়েছেন। তবে তার নির্মিত বিজ্ঞাপনগুলো তার নির্মিত নাটকের মতো মানসম্মত হয়নি।

নিশুতি অধিবেশন নাটকটা ভাইবেরাদরদের মধ্যে কার বলতে পারেন?

আশুতোষ সুজন এই নাটকটির নির্মাতা।

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

হিমু এর ছবি

আপনি দ্বিতীয় পর্ব লেখার আগে একটু ভেবে নিন। প্রত্যেক পর্ব একই রকম হয়ে যাচ্ছে। একটু ভাবুন, কী কী আমাদের জানাতে চান। কয়জনের কথা বলতে চান। আমি পড়তে গিয়ে হোঁচট খেলাম কারণ প্রচুর অচেনা নাম দেখতে পাচ্ছি। এদের আমি চিনি না বলে আমার রিলেট করতে সমস্যা হচ্ছে। তবে পোস্টের চেয়ে মন্তব্যে অনেক সূক্ষ্ম তথ্য উঠে আসছে।

ফারুকীর ব্যক্তিজীবনের যে অংশ তার কাজের সাথে সরাসরি জড়িত, সেগুলো নিয়ে পোস্টে লিখুন। বাকি যা আছে সেগুলো লিখলে মনে হবে চিত্রবাংলা পড়ছি।

টাইমলাইন যদি অনুসরণ করা যেতো, ভালো হতো। ফারুকী কে, কীভাবে কবে সে এসবে এলো, কার মাধ্যমে, কাকে ধরে কী করলো এবং কীভাবে একে একে কারা তার সঙ্গে যোগ দিলো ... মোটকথা গুছিয়ে লিখুন। এখন এলোমেলোভাবে একগাদা ঘটনা লেখা আছে, যা পড়তে গিয়ে [আপনাকে আহত করতে চাইছি না কিন্তু] বিরক্ত লাগছে। এটা আমারই দোষ হয়তো। কিন্তু আমার অনুরোধটা ভেবে দেখবেন প্লিজ।

কড়া কথা বলার পর জানিয়ে যাই, নতুন কী পেলাম:

১. ফারুকীর যে নিজের দুর্বলতা ঢাকার জন্যেই তার সিনেভাষায় কথা বলা বহুসংখ্যক লোক প্রয়োজন ছিলো, এভাবে ব্যাপারটাকে ভাবিনি কখনো।

২. কারা কী সূত্রে ফারুকীর ভাই আর তালুই হয়ে উঠছে, সেটাও জানতাম না [কেয়ারও করি না]। জেনে মজা পেলাম।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

তার-ছেড়া-কাউয়া এর ছবি

[কেয়ারও করি না]

কথাটা ভালু লেগেছে। হে হে , আমরা কেয়ার করি জন্যই জনাব ফারুকি বালুছালু নাটক বানিয়ে নাট্য জগতের মহান ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন।
তবে আবার অন্যভাবে বলতে হয় যে এই কেয়ারের দরকার আছে। যেহেতু ফারুকি অন্যকারো সমালোচনা শোনেন না বা শুনলেও নিজের ভুলগুলো শোধরানোর আদৌ কোন চেষ্টা করেন না, কাজেই ধরে নেয়া যায় যে উনি শ্রবণ-প্রতিবন্ধী বা বুদ্ধি-প্রতিবন্ধী। আর হিমু ভাই, জানেন তো যে আমাদের প্রতিবন্ধীদের প্রতি কেয়ারিং হওয়া উচিত।

জাহামজেদ এর ছবি

হিমু ভাই, আপনি জনপ্রিয় সিরিজ লেখক। কখনো কখনো (গুড়) জব ! মজার ব্যাপার হচ্ছে (গুড়) জবও আবার ভাই বেরাদার !

আপনার উপদেশ অবশ্যই আমায় পথ দেখাবে...

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

ইয়া হাবীবি এর ছবি

ফারুকীর প্রতি প্রধান অভিযোগ তিনি বাংলা ভাষার (ঢাকাবাসীর, কিন্তু পুরোনো ঢাকা না) ইজ্জত মেরে দিয়েছেন। কথাটা ভুল। নাটকে ভাষার এমনতর ব্যবহারের জন্য তাকে দোষী করা যায় না। প্রমিত ভাষায় তার নাটক বানাতে হবে এমনও না। চাপাইনবাবগঞ্জ, কুষ্টিয়া বৃহত্তর উত্তরবঙ্গের ভাষা নিয়ে মাসুম রেজা, সাইদুল আনাম টুটুল সহ অনেকে নাটক রচনা করেছেন/ বানিয়েছেন, অন এয়ার হয়েছে। তখন কিন্তু এমন অভিযোগ আসেনি যে ওইসব আঞ্চলিক নাটক নোয়াখালীর লোক বুঝবে কী করে। আবার বিটিভিতে অনেক আগেই নোয়াখালীর (সম্ভবত হাতিয়ার) ভাষা নিয়েও নাটক হয়েছিল। তাই ফারুকীর নাটকের ভাষা যদি ধরে নিই ঢাকার কথ্য ভাষা (খাইসি, করসি ফারুকীর আবিষ্কার না কিন্তু) তাহলে বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের লোকজন বুঝল কিনা সেটা নিয়ে ফারুকীর মাথা না ঘামালেও চলে। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি ফারুকীর নাটকের ভাষা (খাইসি, করসি টাইপ) বাংলাদেশের সব অঞ্চলের লোকজন বোঝে।

ফারুকীর সমালোচনা (তারপরে ভাই বেরাদার) করা উচিত তাদের নাটকের নির্মাণ, স্ক্রিপ্ট (যদি লিখিত থাকে বা অনএয়ার হওয়ার পর আমরা গল্পটা যেরকম বুঝি)), সংলাপ, নাটকের মাধ্যমে দর্শকদের কাছে পৌঁছানো মেসেজ ইত্যাদি বিষয়ে। এসব বিষয়ে তারা ফেল করেছেন।

তবে জনপ্রিয়তার নিরিখে ভাই বেরাদারের নাটক বেশ মার্কেট পায়। দেশের দর্শকদের চেয়েও বেশি সাড়া পড়ে প্রবাসীদের (মূলত ছাত্রছাত্রী) কাছে। ভাই বেরাদারদের নাটক অনেকটা টিস্যুর মতো। দ্যাখা শ্যাষ তো কম্ম শ্যাষ। তবে বাংলাদেশে পরিবার পরিজন নিয়ে দেখতে গেলে সমস্যা হওয়ারই কথা। বিশেষ করে ফাস্ট ডেইটের মতো যদি কোনো নাটক হয়।

আসা যাক ভাই বেরাদারদের নাটকে অভিনয় শিল্পীদের বিষয়ে। স্ক্রিপ্ট থাকে না বলে, প্রাক অভিনয় কাজকর্ম শিল্পীদের করতে হয় না। এটা প্রতিষ্ঠিত শিল্পীদের অনেক রিলিফ দেয়। আর অপরিচিত শিল্পীদের কিছু চ্যালেঞ্জ দেয়। কিন্তু ক্ষতি যেটা হয় সেটা হলো নতুন অভিনেতারা অভিনয়কলার একটা পাকেচক্রে আটকে পড়ে। যে কারণে মারজুক রাসেল বিজ্ঞানী কিংবা স্কুলশিক্ষক কিংবা পোড় খাওয়া মাঝি কিংবা কবিরাজের চরিত্রে অভিনয় করতে পারেন না/ পারবেন না। তিনি তার মতো করেই কথা বলবেন, অভিনয় করবেন পাড়ার বড়ভাই, বোহেমিয়ান, উঠতি কবি, বেয়াদব ছাত্র এসব চরিত্রে। আর এজন্যই দুঃখ লাগে ফজলুর রহমান বাবুর মতো শক্তিমান অভিনেতার সাথে মেরিল প্রথম আলোর মনোনয়ন মারজুক রাসেল পায়। পুরোটাই কর্পোরেট ক্ষমতা।

তবে ভাই বেরাদারদের বিষয়ে একটা প্রশংসা করতে হয়। একই বিষয়ে অনেক নাটক বানালেও মোটের ওপর এখন পর্যন্ত তারা নাটকে অনেক বিষয় বৈচিত্র্য এনেছেন। একটা ‌‌'গাছ' কিংবা 'পাথর' নিয়েও যদি তাদের নাটক বানাতে বলা হয় তারা সেটা করে ফেলবে।

জাহামজেদ এর ছবি

বেরাদারদের নাটক অনেকটা টিস্যুর মতো। দ্যাখা শ্যাষ তো কম্ম শ্যাষ।

সিডির দোকান থেকে নাটকুগুলো ভাড়া নেওয়া যায় অথবা নেট থেকে ডাউনলোড করে একবার দেখা যায়। কিন্তু অমিতাভ বা অনিমেষের নাটকগুলোর মতো সেগুলো অনেকদিন আপনার মনে একটা স্থায়ী আসন করে নিতে পারবে না।

মারজুক রাসেল বিজ্ঞানী কিংবা স্কুলশিক্ষক কিংবা পোড় খাওয়া মাঝি কিংবা কবিরাজের চরিত্রে অভিনয় করতে পারেন না/ পারবেন না। তিনি তার মতো করেই কথা বলবেন, অভিনয় করবেন পাড়ার বড়ভাই, বোহেমিয়ান, উঠতি কবি, বেয়াদব ছাত্র এসব চরিত্রে

শুধু মারজুক কেন ? আপনি যদি রিফাত চৌধুরী, কচি খন্দকার, মুসাফীর সৈয়দ এদেরকে প্রমিত বাংলায় কোনো চরিত্রে অভিনয় করতে বলেন তাহলে ফলাফল প্রমিত বাংলার জন্যই ভয়াবহ হয়ে যাবে।

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

মাহবুব রানা এর ছবি

ব্যক্তিগত জীবনাচরন নিয়ে লেখায় আমি দোষের কিছু দেখছিনা। ভাই বেরাদারদের ব্যক্তিগত জীবনই অনেক সময় নাটকে চলে আসে। প্রায় সব নাটকে অনেক অভিনেতা(!)র মাতালের মত হাঁটাচলা আর টেনে টেনে কথা বলা তাদের গঞ্জিকাময় জীবনযাপনের প্রভাব বলেইতো মনে হয়। আর যে পরিচালক একজন সাংবাদিককে 'লং ড্রাইভের' প্রস্তাব দেন, তার নাটকে 'পাশের বাড়ির অতৃপ্ত ভাবি'ই তো মূল চরিত্র হবেন! সেগুলো লিখতে দোষ কি?

অয়ন [অতিথি] এর ছবি

মোটা দাগে ফারুকি ঘরানা নাটকগুলোর দুর্বলতাগুলো কোথায় আমার মত করে একটু হাইলাইট করছিঃ
১। লিখিত স্ক্রিপ্ট এর অভাব
লিখিত স্ক্রিপ্ট না থাকলে প্রথমে যেটা হয়, অভিনেতা অভিনেত্রীদের কে সংলাপ বানিয়ে বলতে হয়। ইমপ্রম্পটু অভিনয় সবাইকে দিয়ে হয় না। প্রতিষ্ঠিত অভিনেতাদেরও সমস্যা হয়, আর এই বিশেষ দলের পার্টটাইম অভিনেতাদের কথা বাদই দিলাম। সংলাপ বানানর কাজে মন ব্যস্ত থাকলে অভিনয় একটু মার খাবেই। এই জন্যই এই ধরনের নাটকে প্রায়ই অভিব্যক্তিহীন অভিনেতা/অভিনেত্রী দেখা যায়। দোষ উনাদের না, দোষ পরিচালকের, যিনি অভিনয় বের করে আনতে পারেননি অভিনেতা/অভিনেত্রীদের কাছ থেকে। স্ক্রিপ্ট ছাড়া নাটক নামাইতে এলেম লাগে, আল্লাহ সবাইকে তেমন এলেম দিয়ে পাঠান নাই। এমন কি বাংলার “আব্বাসের” নাটক বা সিনেমাতেও অত্যন্ত দুর্বল অভিনয়ের নমুনা সহজপ্রাপ্য।
লিখিত স্ক্রিপ্ট না থাকলে সুবিধাও আসে। প্রথমত, স্ক্রিপ্ট রাইটার এর খরচটা বাঁচল। স্ক্রিপ্ট নাই মানে কোন রিহার্সেল নাই, রিহার্সেল নাই মানেই প্রডাকশন কস্ট কম। টাইমও কম লাগে, ১৫ দিনের নাটক ৫ দিনেই নামায় ফেলা যায়।
২। নাটকের মেসেজ
What message? নাটকের আবার মেসেজ লাগে নাকি? ইয়ার দোস্তরা ক্যামেরার সামনে কিছুক্ষণ চটুল ভাষায় কথা বলব, কিছু সুড়সুড়িঅলা সংলাপ বলব (লাড়াইস না টাইপ)। একটু দৌড়াদৌড়ি, একটু চ্যাঁচামেচি হবে, দুই একটা চড় থাপ্পর (আমার নাটক দেখা হয় মূলত দূর পাল্লার বাসে, কেন যেন আমি যে নাটকই দেখি সেটাতেই দুই একটা থাপ্পর সিন থাকে) এর সিন থাকবে, ক্লিশে জোক দুই একটা থাকতে পারে। ব্যাস এইতো। এগুলাকেই একটু এডিট করে নিলেই নাটক রেডি। বেশি এডিট করা যাবে না আবার, তাহলে লোম বাছতে কম্বল উজাড় হয়ে যাবে, ১০ মিনিটের মালামালও থাকবে না। কোন এক চ্যানেল এ একবার দেখানর পর সিডি বা ডিভিডি বের করে ফেলব। চ্যানেলে দেখানর সময় পাওয়া ad থেকে নাটক বানানর পয়সা উসুল, আর ডিভিডি বিক্রির পুরাটাই লাভ। নাটক পাব্লিক খাইল কি না খাইল দেখার টাইম আসে নাকি? পাব্লিক নাটকটা খাদ্য না অখাদ্য বুঝার আগেই খেইল খতম, পয়সা হজম।

৩। অভিনেতা/অভিনেত্রী
ফারুকি বা তার বেরাদারগনের নাটকের অভিনেতা, অভিনেত্রীদের একটা বড় অংশ কোথাথেকে, কি কানেকশনে অভিনয় করতে এসেছেন সেটা আমরা আগেই জেনেছি। অভিনয়শিল্পীদেরকে বাদ দিয়ে ভাই বেরাদারদেরকে নিয়ে অভিনয় করলে সমস্যা যেটা দেখা দেয় সেটা হল, নাটকটাই এমন গল্প নিয়ে বানাতে হয় যাতে “অভিনয়” করা লাগে না, পাত্র/পাত্রীর স্বাভাবিক দৈনন্দিন জীবনের আচার ভঙ্গিই ক্যামেরার সামনে করেন। উদাহরন, মারজুক রাসেল, উনার করা সবকটি চরিত্র (আমার দেখা) একই ছাঁচ এ গড়া।
অভিনয়গুণবিহীন কলাকুশলী নিয়ে অভিনয় করার আরেক সমস্যা হল এদের ভেতর থেকে অভিনয় বের করে না। কাজটা যে অসম্ভব তা না, কিন্তু তা করতে গেলে মুল্যবান সময় ও ফিল্ম নষ্ট নয়। তাছাড়া এতো বার “কাট” বলতে নিজেরও ভাল লাগে না, যে লোকটা অভিনয় করার চেষ্টা করে যাচ্ছে তার ওপরেও চাপ পরে। যত কম শটে কাজ শেষ করা যায় ততো ভাল।

৪। অমনোযোগী/অগোছাল এডিটিং
ফারুকি ও ভাই বেরাদারদের নাটকে আমি প্রায়ই দেখি অমনোযোগী বা অগোছাল এডিটিং এর ছাপ। কোন কোন সিন হয়ত খামাখা লম্বা করা হয়, কোন কোনটা আবার হঠাত ঘ্যাচাং। ফেইস ত ফেইস কথা বলার সময় লং শট কেন দরকার, আল্লাহ মালুম। সাউন্ড রেকর্ডিংএও অনেক সমস্যা দেখি। আউটডোর সিন এ প্রায় এ সেন্সিটিভ ক্যামেরার কারনে বাতাসের ঘড়ঘড় শব্দ শোনা যায় সংলাপ কে ছাপিয়ে। কেন সাউন্ড এডিট করা হয় না? অলসতা না অমনোযোগীতা? অনেকে বলবেন উনারা সাউন্ড বা ক্যামেরা নিয়ে অনেক এক্সপেরিমেন্ট করেন। তা করেন না এক্সপেরিমেন্ট? মানা করসে কে? কিন্তু এক্সপেরিমেনট এর রেজাল্টটা এডিটিং প্যানেল এ বসে দেখেন আর যাচাই বাছাই করে আমাদের কে ভাল জিনিষটা দেখান। সব এক্সপেরিমেন্টই আমাদের কে দেখাতে হবে কেন রে ভাই?

জাহামজেদ এর ছবি

১. এখন দেশে কোনো পরিচালকই নাটকের আগে কোনো রিহার্সেল করেন না। ভালো অভিনেতা-অভিনেত্রীরা নাটকে শট দেওয়ার আগে নিজ উদ্যোগে রিহার্সেলের কাজ সেরে নেন।

২. এই জিনিষটা ভাই বেরাদারের অনেকে হয়তো জানেনই না। নাটকে আবার মেসেজ কি ? কিন্তু সরয়ার ফারুকী তার অনেক নাটকে দর্শকদের কোনো একটা মেসেজ দেয়ার চেষ্টা করেছেন।

৩. এই চরিত্রগুলো গড়ে উঠে তাদের ব্যক্তি জীবন কেন্দ্র করে। মারজুক ব্যাপার না বলে তাই তার চরিত্রে বখে যাওয়া তরুণ অথবা উঠতি কবি। কিন্তু একজন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীর কর্তা হিসেবে তাকে দেখা যায়নি কখনো। নাটক তৈরি হয় ডিভি ক্যামেরায়। সিনেমার মতো এখানে ফিল্ম নষ্ট হওয়ার কোনো ঝামেলা নেই।

৪. চিৎকার চেঁচামেচি করে সংলাপ দিলে সাউন্ড তো নষ্ট হবেই ! ফেস টু ফেস কথা বলার সময় লং শট পরিচালক ইচ্ছে করলে নিতে পারে। কারণ, সে তার আলাদা কিছু দেখাতে চাচ্ছে, কিন্তু লং শটে পরবর্তীতে ডাবিং করে সংলাপ সংযুক্ত করা হয় না বলে বাতাসের ঘড়ঘড় শব্দ শোনা যায়। আমাদের দেশে নাটকে সাউন্ডের সবচেয়ে ভালো উদাহরণ অমিতাভ রেজা'র যে কোনো নাটক।

ভাই বেরাদারের কতজন পরিচালক এডিটিং প্যানেলে নিজেরা বসে এডিট করেন, এটাও একটা প্রশ্ন !

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

নুসদিন এর ছবি

অনিমেষ আইচ রিহার্সেল করান। নিজে সামনে দাঁড়িয়ে থেকে করান। এবং এক বার না কয়েকবার করান। হাসি

জাহামজেদ এর ছবি

সিনেমায় একটা শট নেওয়ার আগে বারবার রিহার্সেল করে তারপর ফাইনাল শটে যাওয়া হয়। কিন্তু নাটকে যেহেতু ফিল্ম নষ্ট হওয়ার মতো কোনো বিষয় নেই তাই ক্যামেরায় রোল দিয়ে শটে যাওয়া হয়। দুই তিনটা এনজি শট-ই আসলে এখনকার পরিচালকদের রিহার্সেল।

অনিমেষের কাজে যত্নের ছোঁয়া পরিস্কার, রিহার্সেল করার জন্যই হয়তো এমনটা হয়।

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

নোবেল [অতিথি] এর ছবি

ভাই, আমি আপনাগো মত বিশেষজ্ঞ নই, নাটকের নাট্যগুণ সম্পর্কিত ভালমন্দ একটু কম বুঝি। তবে এইটা বুঝি যে, ফারুকীর প্রথম দিককার কাজগুলোর তুলনায় পরেরগুলো অনেক নিম্নমানের হয়েছে। কিছু নাটক এবং সিনেমা (!)তে এমন কিছু বাজে ব্যাপার উপস্থাপন করা হয়েছে--দেখতে গিয়ে বমি এসেছে। তবে এই সিরিজে লেখক যেভাবে ঢালাওভাবে ভাই-বেরাদারদের গজাল মারছেন সেটা আমার কাছে দৃষ্টিকটুই লাগছে।

লেখকের কাছে আমার অনুরোধ, ভাই-বেরাদার ছাড়া আপনি তিনজন নির্মাতার নাম বলেন, যাদের নাটক/টেলিফিল্ম একই সাথে নাট্যগুণসম্পন্ন এবং দর্শকনন্দিত। এই কারণে কথাটা বললাম যে, নাট্যগুন আমি খুব ভাল বুঝি না কিন্তু বন্ধু-বান্ধব কিংবা সিনিয়র-জুনিয়র যাদেরকে বাংলা প্রোগ্রাম দেখতে দেখি (হিন্দি সিরিয়াল যাদেরকে এখনও টানতে পারেনি) তারা সবাই মোটামুটি রনি-ফাহমি-রাজ এদের নাটকই দেখে। জীবন, সুজন এদের নাটক ও খারাপ না। আর অমিতাভ বস আর সেলিম ভাইকে এই ধারায় ফেলতে চাই না যেহেতু উনারা নাটকে রেগুলার না। তবে মজার ব্যাপার কি- হালের গ্র্যজুয়েট, এফএনএফ আর ফিফটি ফিফটি হচ্ছে সবচেয়ে জনপ্রিয় তিনটা ধারাবাহিক--আপনি ভোটাভুটি করে দেখতে পারেন আমি ঠিক বলছি কি না।

আর আপনি যদি বলেন-গুলশান এভিন্যুই ভাল ;-)--তাইলে আমার কিছু বলার নাই। আপনি যেভাবে হলিউড-বলিউড কপি-পেস্টের কথা বললেন, রেফারেন্স দিলে একটু ভাল লাগত। সীমিত পরিমানে তা যদি হয়েও থাকে আমি দোষের বেশি কিছু দেখি না কারণ এই কাজ় সবাই একটু আধটু করে থাকেন, কেউ আড়ালে কেউ ঘোষণা দিয়ে।

পরিশেষে আরেকটি কথা; সমরেশ মজুমদারের বিখ্যাত ট্রিলজি তো বহুকাল আগের কথা, এর পরে উনার খুব বেশি ভাল লিখা পড়েছি বলে মনে পড়ছে না--শুনেছি এখন উনি কলকাতার টেলিভিশনে মেগাসিরিয়াল লিখেন। একই কথা সুনীল কিংবা শির্শেন্দুর ক্ষেত্রেও মনে হয় খাটে (আমি বিশেষজ্ঞ নই, কেবল নিজের মতামত টাই বলছি)--উনাদের ও কোন "সেইরকম" ভাল বই বহুদিন পড়িনা। এমনও তো হতে পারে ফারুকীর সৃজনশীলতা যা ছিল--ইতিমধ্যে আমরা তা দেখে ফেলেছি !!!

জাহামজেদ এর ছবি

ফারুকীর সৃজনশীলতা যা ছিল--ইতিমধ্যে আমরা তা দেখে ফেলেছি !!!

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এখনো ভালো নির্মাণের যোগ্যতা রাখেন, তার সমালোচনা করার পাশাপাশি এই কথাটাও আমি পুরোপুরি বিশ্বাস করি। কিন্তু তিনি বিজ্ঞাপন নির্মাণে অতিমাত্রায় ব্যস্ত হয়ে যাওয়ার কারণে তার নাটকগুলো হয়তো আর আগের মতো হচ্ছে না।

প্রত্যাবর্তন, ওয়েটিং রুম, প্রতি চুনিয়া, স্পার্টাকাস ৭১- এগুলো তো তার নির্মিত নাটক । স্পার্টাকাস তো সেদিনের বানানো। তাহলে তার সৃজনশীলতা শেষ হয়ে গেছে এটা বুঝি কেমনে ?

আবার ফার্স্টডেট দেখে মনে হয়, ফারুকী হয়তো তার সহকারীদের কাজ এখন অনুকরণ করা শুরু করছেন !

আপনি যদি বলেন-গুলশান এভিন্যুই ভাল

একটা ফাউল প্রোডাকশন। এটা ভাই বেরাদারের কাজ থেকে বহুগুণে খারাপ।

ভাই-বেরাদার ছাড়া আপনি তিনজন নির্মাতার নাম বলেন, যাদের নাটক/টেলিফিল্ম একই সাথে নাট্যগুণসম্পন্ন এবং দর্শকনন্দিত

অনিমেষ আইচ, মেজবাউর রহমান সুমন, মাসুদ হাসান উজ্জল। এদের মধ্যে অনিমেষ দর্শকনন্দিত, অন্যদের কথা ঠিক বলতে পারছি না। তবে এই ঈদে উজ্জলের একটি নাটক ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পায়। তবে উজ্জল এবং সুমন অনেক যত্ন নিয়ে নাটক বানান। তাদের নাটক অবশ্যই নাট্যগুণসম্পন্ন।

যেভাবে ঢালাওভাবে ভাই-বেরাদারদের গজাল মারছেন সেটা আমার কাছে দৃষ্টিকটুই লাগছে

কারো কাজের সমালোচনা করার মানে কি তাকে গজাল মারা ?

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

পড়তে পড়তে বারবার খেই হারিয়ে ফেলছিলাম। মনে হচ্ছিলো প্রথম বারের মত মহাভারত পড়ছি! এতো চরিত্র আর তাদের কতো কেরদানী!

পরের পর্ব আরেকটু গোছানো হবে আশা করি! হাসি

-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

দ্রোহী এর ছবি

স্ক্রিপ্ট ছাড়া যে নাটক হইতে পারে এইটাই জানা ছিল না!!!!!!!! কত অজানা রে!!!!!!!!!!


কাকস্য পরিবেদনা

জাহামজেদ এর ছবি

স্ক্রিপ্ট ছাড়া যে নাটক হইতে পারে এইটাই জানা ছিল না!!!!!!!!

এভাবেই তো চলতেছে। পরিচালক গল্প লিখে সেটে চলে যান, সেখানে নাটকের সংলাপ তৈরি করে পুরো নাটকটাকে জমিয়ে তোলার জন্য মোশাররফ করিম তো আছেন-ই !

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

madhobi এর ছবি

I am really impressed. I used to love bangla natok. By now i stopped watching. I was so proud with our serial and bangla natok. I used to tell all my friends from different country that we are very rich in tv media than movie industry. Now i feel really shame when they ask me about our tv media, most ofen when people from kolkata ask me ...'do u really talk like that?'. I dont know what to say. But we can not damage our natto shilpo in that way. That really hurts. Why not all the good directors and actor, actress 'SAY NO' to the so called natok.

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।