আমাদের খেরোয়ালী ঋণ

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল্লাহ এ.এম. [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২৭/১১/২০১৩ - ৭:৪৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কিছুদিন আগে চরম উদাসের লেখা একটি ব্লগে সহ ব্লগার সত্যপীর আলোচনা প্রসংগে একটা গুরুতর প্রশ্নের অবতারনা করেছিলেন- অজ পাড়াগাঁ বলতে কি ছাগলে ভর্তি গ্রাম বুঝায়, যেহেতু অজ অর্থ ছাগল? প্রশ্নটা কৌতুকবশে ছুঁড়ে দেয়া হলেও এটা নিয়ে কিঞ্চিৎ আলোড়িত হয়েছিলাম, আরে তাইতো! পাড়াগাঁ এর সাথে এরকম শব্দ সংশ্লেষের কারন কি? অভিধানগুলোতে "অজ" এর অর্থ এরকম- জন্মরহিত, ঈশ্বর, ছাগল, মেষ ইত্যাদি, যার কোনটির সাথে "অজ পাড়াগাঁ" ঠিক ম্যাচ করে না। সম্প্রতি হাতে আসা একটা বই থেকে জানলাম, অজ পাড়াগাঁর সাথে আসলে ছাগল কিংবা ঈশ্বরের সম্পর্ক নেই। কিছুদিন আগের আর এক বহুল আলোড়িত শব্দ "চুদুর বুদুর" এরও কিঞ্চিৎ দিশা পাওয়া গেল। সেই সংগে আরো অনেক শব্দের সংগে যেন নতুন করে আবার পরিচয় হলো।

বিভিন্ন জটিল বিমিশ্রনের মধ্য দিয়ে আমরা যখন অষ্ট্রিক থেকে ক্রমে ক্রমে প্রোটো বাঙ্গালি বা আদি বাঙ্গালিতে রুপান্তরিত হলাম, ততদিনে আমাদের অষ্ট্রিক ভাষায় ভোট-বর্মী, দ্রাবির ও সংস্কৃত-প্রাকৃত বহু শব্দ যুক্ত হয়ে গেছে। পরবর্তীতে যতই আমরা বাঙ্গালি হয়েছি, আমাদের বাংলা ভাষায় অষ্ট্রিক সাঁওতালি শব্দাবলী ততই সংখ্যালঘু হয়ে গেছে। তার পরও বহু শব্দ এখনও আমরা বাংলায় ব্যবহার করি, যা মূলগত ভাবে সাঁওতালি শব্দ। পরিহাসের বিষয় হলো সাঁওতাল শব্দটি নিজেই সংস্কৃতজাত, সাঁওতালদের নিজেদের আখ্যা হলো খেরওয়াল বা খেরওয়ার। বৃহত্তর মুন্ডা জাতিগোষ্ঠীই আসলে খেরওয়ার বা খেরওয়াল জাতি, আর্যদের ভারতে আগমনের আগে তারা মধ্য, পূর্ব ও দক্ষিন-পূর্ব ভারতের বিস্তীর্ন অঞ্চল জুরে বসবাস করতো। জেনেটিক নৃ-তত্বের বিচারে বর্তমান বাঙ্গালি জনগোষ্ঠীর ভিত্তিমূল হলো খেরওয়াল জাতিগোষ্ঠী।

বাংলা ভাষার কিছু রূপতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য (ক্রিয়াপদের লিঙ্গহীনতা, শব্দদ্বৈত ইত্যাদি) মুণ্ডা ভাষাজাত বলে ভাষাবিজ্ঞানীগণ মনে করেন। রূপতাত্ত্বিক দিক থেকে ‘মুণ্ডা’ ভাষার কিছু বৈশিষ্ট্য নির্দেশ করেছেন পরেশচন্দ্র ভট্টাচার্য- ‘আকৃতিগত দিক থেকে মুণ্ডা ভাষা প্রত্যয় যুক্ত হয়ে থাকে, যেমন আ, ই, উ, টা, তে ইত্যাদি। করা, খাওয়া, যাওয়া, শোওয়া এবং চলতে, বলতে, খেলতে, ঘরেতে, নদীতে, ছেলেটা, মেয়েটা, গরুটা, ইত্যাদি প্রত্যয়যুক্ত শব্দগুলো সাঁওতালি রীতি প্রভাবিত। শব্দে গুরুত্ব আরোপের জন্য শব্দদ্বিত্বের প্রয়োগ বহুল প্রচলিত। বাংলা ভাষায় অনেক সাঁওতালি শব্দ অবিকৃত ভাবে বিদ্যমান, বেশ কিছু শব্দ আংশিক পরিবর্তিত হয়েছে। আবার কিছু দ্বৈত শব্দ কিংবা ইডিয়ম সংস্কৃতজাত শব্দের সাথে মিশ্র আকারে ব্যবহৃত হয়।

পশ্চিমবঙ্গের অধ্যাপক ক্ষুদিরাম দাস "সাঁওতালি-বাংলা সমশব্দ অভিধান" নামে একটি গ্রন্থ লিখেছেন। এ বইটিতে কয়েক হাজার শব্দ ঠাঁই পেয়েছে, যা সাঁওতালি এবং বাংলা উভয় ভাষাতেই ব্যবহৃত হয়। এর অধিকাংশই মূলগত ভাবে সাঁওতালি, কিছু কিছু শব্দ বাংলা, হিন্দি, প্রাকৃত বা সংস্কৃত থেকে সাঁওতালি ভাষায় গৃহীত হয়েছে। বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত আমাদের পরিচিত মূলগত ভাবে সাঁওতালি কিছু শব্দ উদ্ধৃত করার লোভ সম্বরন করতে পারলাম না।

অজ্ = নিরেট, পুরোপুরি, পূর্নমাত্রায়, সব দিক থেকে। সুতরাং "অজ্ পাড়াগাঁ" এর অর্থ হলো "নিরেট গ্রাম"। পাড়া শব্দটিও সাঁওতালি, এর অর্থ গ্রামের খন্ডিত অংশ। গাঁ শব্দটি অবশ্য সংস্কৃত জাত। মজার ব্যাপার হল অজ পাড়াগাঁ শব্দটির সাথে আগে সর্ব স্তরের বাঙ্গালীর পরিচয় ছিল না, ১৯৩০ সালে কাজী নজরুল ইসলাম সর্ব প্রথম তাঁর রচিত সাহিত্যে অজ পাড়াগাঁ শব্দটি ব্যবহার করেন, তারপরই এটি ধীরে ধীরে বাংলা ভাষায় ব্যপকতা লাভ করে। এর আগে এটি ছিল বর্ধমান, বাঁকুড়া অঞ্চলের একটি আঞ্চলিক বাংলা শব্দ।

"চুদুর বুদুর" হয়তো সরাসরি সাঁওতালি শব্দ নয়, অন্ততঃ অভিধানটিতে এ শব্দটি নেই। তবে এই অভিধানে "চুদি" শব্দটি আছে, যার অর্থ-গর্হিত ব্যাপার। শব্দটির বিবিধ পরিবর্তিত রুপ নিচু শ্রেনীর(?) দুষ্ট লোকেরা অহরহ ব্যবহার করে থাকে। এই শব্দটির সাথে কাছাকাছি রকমের অন্য একটি শব্দ সহযোগে সৃষ্ট একটি দ্বৈতশব্দ যৌনসঙ্গমের প্রতিশব্দ হিসেবেও একটি মহলে বহুল প্রচলিত।

স্থানের নামবাচক শব্দঃ শব্দের শেষে "ইল" যুক্ত করে স্থানের নাম যেমন টাঙ্গাইল, ঘাটাইল, পূবাইল, নড়াইল, এসব মুন্ডা রীতির। নামের শেষে কোল এবং কোলা যেমন শিয়ালকোল, শ্রীকোলা, পাড়কোলা এবং বাড়ী বা বাড়ীয়া যেমন ফুলবাড়ী, উলুবাড়িয়া মুন্ডা রীতি। নামের শেষে তা যেমন জামিরতা, কামতা, রুপতা এসবও মুন্ডা রীতি। শব্দের শেষে টোলা যুক্ত করে (যেমন- নয়াটোলা, করাতিটোলা) নামকরনও মূলগত ভাবে সাঁওতালি রীতি।

কৃষিজাত শব্দঃ আটা, আমড়া, আম (শব্দটির মূলগত সাঁওতালি শব্দ আমড়া, যা সংস্কৃতে পরিবর্তিত হয়ে আম্রাতক>আম্র(টক), পরবর্তীতে প্রাকৃত হয়ে বাংলায় আম)। কচু, কদলী, কম্ব্লা(কমলা), কান্দাল(কলাগাছের কান্ড), কলা, কদম, কুঁচ, কাণঠার(কাঁঠাল), খই, খেসারি, গাব, গুড়(গুড়ের জন্য প্রশিদ্ধ অঞ্চল হেতু গৌড়), ঘাঁস, চাওলে(চাউল), চুন, জাম্বুরা, ঝিঙা, ডাল, ডিম, ডালিম, ঢ্যাপ, বেগুন, তাল, তিল, তিসি, তাম্বুল, নারিকেল, পুদিনা, বুট, মটর, লেবু, রসুন, রুটি, লঙ্কা(মরিচ)।

প্রানীবাচক শব্দঃ আঁড়িয়া(এঁড়ে গরু), ইকুন(উকুন), ইচা(চিংড়ি), ইলসা(ইলিশ), কাতলা, কাছিম, কেন্না(কেন্নো), বাদুড়, ব্যাঙ, জঁক(জোঁক), ডাহুক, মশা, ইন্দুর, বক, ভেড়া, কটাস(খাটাশ), ট্যাংরা, খইলসা, গোচই, চিতল, জিওল(সিঙ মাছ), ডারকা(মাছ), পুঁটি, হলাহল(মূল অর্থ সাপ), ময়ুর, ঘুঘু, ময়না, মাছ, মকর, শুয়াপোকা।

সম্পর্কবাচক শব্দঃ খোকা, খুকি, বারুই(পানচাষী), মামা, মামি, মাসি, বেটা, বিটি(বড় লোকের বিটি লো)। কাকা-কাকি(সাঁওতালি শব্দ, তবে চাচা-চাচীর বদলে খালু-খালা অর্থে ব্যবহৃত হয়)।

উপকরন বিষয়ক শব্দঃ ইন্দারা(পাকা কুয়া), কল(যন্ত্র), কাঠা(পাত্রবিশেষ), কান্থা(কাঁথা, সাঁওতালি থেকে সংস্কৃত হয়ে বাংলায়), কানপাশা, কুঠরি(কক্ষ), খুন্তি, খালুই(মাছ রাখার পাত্র), গদি, গাড়ি, ঘুড়ি, ঘানি(তেলের ঘানি), চারা(ছোট গাছ), চাল(ঘড়ের ছাউনি), চাল(রীতি), চাস(চাষ), বাণ, লাঙ্গল, কম্বল, অঙ্গার, কাঠা(বেত বা বাঁশের পাত্র বিশেষ), করাত, দা, বটি, ডোল(বাঁশ নির্মিত শস্য রাখার বড় পাত্র), ডুলি(পাল্কি বিশেষ), মাকু, মাচা, মাদুলি, টিকলি, লোটা, বালি, শন, সাবল, হাল(নৌকার), হুড়কা।

শারীরিক অঙ্গ বিষয়ক শব্দঃ গোড়ালী(পায়ের), ঠ্যাঙ, ঠোঁট, মোচ(গোঁফ), ঘাড়, গলা, পেট, খোস(পাঁচরা)।

সংখ্যা বাচক শব্দঃ কাঠা(জমির মাপ), কুড়ি(বিশ), কাহন, গন্ডা, পোন, ছটাক(মাপের পরিমান), মন।

বিবিধ বিষয়ক শব্দঃ আড়া(জঙ্গল), আড়াআড়ি, আনাড়ি, আপনি, আরকি( সে আমার ভাই আরকি), আহা(সুখ, আনন্দ জ্ঞাপক শব্দ), ইনি(এই ব্যক্তি), উনি(ঐ ব্যক্তি), উমুক(অমুক ব্যক্তি), ইয়া( ইয়ে মানে..), ইস(দুঃখবোধক শব্দ), উজাড়(গ্রাম উজাড়), উল্টা, উলট পালট, এ(এ গ্রামে আমার বাস, এ মা! এ কি?), এহ্, (এহ্ এটা কি করলে?), এ্যা(এ্যাই যে), ও(ওঃ, তুমি সেই লোক?), কচি, কনকন(কনকনে শীত), কাটাও(সময় কাটানো), কাঠি, কালি(দেবী বিশেষ), কাঁচা, কাঙ্গলা(কাঙ্গাল), কাবিল(দক্ষ), কামাই(উপার্জন), কালা(বধির), কাহিল(কাতর), কিত্ কিত্(খেলা বিশেষ), কিরিয়া(কিরা- শপথ), কিল(কিলায়ে কাঁঠাল পাকানো), কিস্তি(নৌকা), কুলি(শ্রমিক), কোঠিন(কঠিন), কুণ্ড(সীতাকুণ্ড, মাধবকুণ্ড), খণ্ড, খাড়ি(খাল), খাচা(খাঁচা), খাট(বেঁটে), খাটা(পরিশ্রম করা), খাড়া(লম্বালম্বি), খাতির(নিমিত্তার্থে), খাল, খামচি, খালি, খিজুর(খেজুর), খিল(অনুর্বর জমি- খিলক্ষেত), খিলি(খিলিপান), খুঁটি, খুচরা, খুড়া(কাকা), খেদ(খেদিয়ে দেয়া), খেপ(খেপ মারা), খ্যাপা, খোঁজ, খোদাই, খন্দক, গঙ্গা(গঙ্গা নদী), গছাও(গছিয়ে দেয়া), গড়(দুর্গ), গড়গড়া(হুক্কা), গবর(গোবর), গলা(কন্ঠস্বর), গোলা(গলা/কন্ঠা), গহনা(নৌকা অর্থে), গাদা(খড়ের গাদা), গিরা(গিঠ), গুতা, গুল(গোলাকৃতি), গোজা(কাঠে পেরেক, খোপায় ফুল), গোটা(সমগ্র), চট(জলদি), চমক, চরকা, চাখা(আস্বাদ নেয়া), চাঙ্গা, চাটা, চাপা(এক বস্তুর উপর অন্য বস্তু), চাহি(চাই), চেঙড়া/চেঙড়ি(বালক/বালিকা), চিমটা, চুটকি(ছোট), চুড়ি, চেঁড়ে(চিড়িয়া), চেলা, চেহারা, চোঙগা, চোপা, ছলক, ছাতি(বুকের), ছাকা(চালুনি দ্বারা), ছাপ, ছাল, ছালা, ছুকরি(সাঁওতালি অর্থ সাজুগুজু করা তরুণী, এ শব্দটি বাংলায় গৃহীত হওয়ার পর বাংলায় এর পুরুষবাচক ছোকরা শব্দের উৎপত্তি হয়েছে, যা সাঁওতালি ভাষায় নেই), জট(চুলের), জড়িবুটি, জমা(জমে দই), জাঃ(এই যাঃ ভুলে গেছি), জিরান(বিশ্রাম), জুড়ি(জুটি), জোট, জোত(জমি), ঝড়না, ঝাঁক, ঝাঁকা, ঝাঁটা, ঝাড়, ঝাঁপ, ঝানু, ঝাপসা, ঝাল, ঝিল, ঝুটি, ঝুড়ি, ঝগড়া, টলা(নড়বড়), টিকলি, টিপ, টুকরা, টুকু(এইটুকু, এতটুকু), টুপি(মাথার আবরন অর্থে), ঠ্যাটা, ঠক(ঠগ), ঠোঁট, ঠাহর, ঠাকুর, ঠাট্টা, ঠিক, ঠেকা, ঠেলা, ডাল(গাছের), ডাক(আহবান), ডাকু, ডাঙ্গা, ডোঙ্গা, ডালা, ঢল, ঢাক, ঢাকনা, ঢাল, ঢালু, ঢিমা, তাড়ি, তোড়া(টাকার, ফুলের), থলি, থুতনি, দৌড়, দাই, দাদা(বড় ভাই), দান(খেলার), দেদার(অজস্র), ধমক, নাড়ী, নাম(অবতরন), নিঝুম, নিরালা, নুনু(শিস্ন), পগার, পাগল, পাঁঠা, পাল্কি, পাল(গরুর পাল), পেট, পঁচা, ফালতু, ফুঁ(ফুঁ দেওয়া), বাবু, বালি, বিঘা, ভাণ্ড, ভিটা, ভিড়, ভোটকা/ভুটকি(বেঁটে মোটা), ভুঁড়ি, ভুল, মুদি, মেটা(মিটে যাওয়া), মেলা(অনেক), ময়লা, মোচড়, মোট(সব), মোট(কুলি), মোটা, রগড়, নড়া, লাগা(পিছে লাগা, কলহ করা), লুচ্চা, সড়ক, সারা, সিধা, সিঁদ, সুবিধা, সে(সে তো বোঝাই যাচ্ছে, সে আমি বুঝেছি),

শব্দদ্বৈতঃ খুটখাট, খাটাখাটি, খোলাখুলি, গম্ গম্, গালগল্প(গাল শব্দটি সাঁওতালি, এর অর্থ গল্প), গিজগিজ, ঘ্যানঘ্যান, চকমক, চটপট, চমচম(সাঁওতালি অর্থ দ্রুতগতিতে, এই নামের মিষ্টান্নের নামকরনের কারন হলো তা দ্রুতগতিতে খাওয়ার আগহ জন্মে), চাপচুপ(ঈষৎ পরিবর্তিত হয়ে বাংলায় চুপচাপ), চিপাচিপি, চুরমার, ছপছপ, ছিছি, জবজব, জানে তানে(যেন তেন), ঝনঝন, ঝমঝম, ঝরঝর, ঝলমল, ঝিকিমিকি, ঝুমুর ঝুমুর, টলমল, টুকরা টাকরা, টানাটানি, টিপটিপ, ঠকঠক, ঠনঠন, ঠাস ঠাস, ঠিকঠাক, ডগমগ, ডলাই মলাই, ডামাডোল, তড়িঘুড়ি, তরি তরকারি, থরথর, ধকধক, ধরফর, ধমকাধমকি, মোটামুটি, রগড়া রগড়ি, রঙ বেরঙ, সুরসুর।

উল্লিখিত সকল শব্দই প্রমিত বাংলায় ব্যবহৃত সাঁওতালি শব্দ। অধ্যাপক ক্ষুদিরাম দাসের অভিমত অনুযায়ী বাংলা ভাষায় এখনও যে সকল সাঁওতালি শব্দরাজি ব্যবহৃত হয়, তার সংখ্যা কম করে হলেও দশ-বার হাজার, তবে তার অধিকাংশই ব্যবহৃত হয় আঞ্চলিক বাংলায়। আমাদের অগ্রজ শব্দসৈনিকেরা বাংলা সাহিত্যে সংস্কৃতজাত শব্দসমূহকে অতি মাত্রায় অগ্রাধিকার দিতে যেয়ে আঞ্চলিক বাংলার শব্দসমূহকে অকাতরে বিসর্জন দিয়েছেন, ফলে এ ভাষার মূলগত অনেক শব্দই হারিয়ে গেছে চিরতরে। এখনও যে গুলো টিকে আছে বৃহত্তর বাংলার বিভিন্ন প্রান্তরে, সে সবও ক্রমে ক্রমে বিলুপ্তির পথে এগিয়ে চলেছে।


মন্তব্য

টোকাই এর ছবি

জানলাম।
ধন্যবাদ।

অফটপিক: জনাবের বাড়ী কী সিরাজগঞ্জ?

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

জী জনাব, ধন্যবাদ!

হিমু এর ছবি

চুপ করে থাকবেন না আব্দুল্লাহ ভাই! উত্তর দিন! আপনার বাড়ি কি সিরাজগঞ্জ?

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

জী, কিসের মধ্যে কি! হাসি

রকিবুল ইসলাম কমল এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

অত্যন্ত আগ্রহোদ্দীপক গুরু গুরু

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

মৃষৎ এর ছবি

দারুণ লেখা পড়লাম। কৃতজ্ঞতা ভাই চলুক

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

কৌস্তুভ এর ছবি

বড়ই অবিচার। এতগুলান সাইটেশন দিলেন আর অজ শব্দের সূত্রপাত করিয়ে আমার ভাগ্যেই ঢুঁঢুঁ? মন খারাপ

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

এই মর্মে সকলকে জ্ঞাত করা যাইতেছে যে প্রাগুক্ত স্বলেহন ব্লগটিতে শ্রীমান কৌস্তভ সর্বপ্রথম ছাগলের বিকল্প হিসাবে অজের বিস্তার ঘটান। বাংলার ছাগুকূল তাঁহার এই অবদান চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরন রাখিবেন। দেঁতো হাসি

সত্যপীর এর ছবি

আরে জোস! দারুন জিনিস. কয়দিন আগেই টমেটো দিয়া ইচা মাছ রানছিলাম, সেই ফ্রোজেন চিংড়ি মাছের প্যাকেটে লেখা "বুলা ইছা". ইচার মানে কইলেন এখন দেখেন বুলার রহস্য ভেদ করতে পারেন কিনা ইয়ে, মানে...

অফ টপিক: জনাবের বাড়ি সিরাজগঞ্জ হবার কারণ?

..................................................................
#Banshibir.

টোকাই এর ছবি

অফটফিকঃ অঞ্চলের নামগুলানের লাইগা ধারমা হইসিলো, পীরভাই। শিয়ালকোল, শ্রীকোলা, ফুলবাড়ী... এইগুলা সিরাজগঞ্জের পাড়া-মহল্লার নাম দেখছিলাম। অন্য নামগুলা তাও অন্য জিলাতেও পাইছি; কিন্তু শিয়ালকোল জায়গার নামটা শুধু সিরাজগঞ্জেই পাইছিলাম। তাই ধারমা করসিলাম। লাইগা গেসে।

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

কাম সারছে! কোন দেশের ইচা? বাংলাদেশ, নাকি তামিলনাড়ু কেরালা, নাকি শ্রিলংকার? দ্রাবির ভাষাতেও এই মাছের নাম "ইচা"।
আমার বাড়ি কি কারনে সিরাজগঞ্জে হল সে তো এক জটিল প্রাগৈতিহাসিক প্রশ্ন!

সত্যপীর এর ছবি

হ বাংলাদেশের ইচা। ফ্রোজেন কুচা চিংড়ি পাওয়া যায় এইখানে, বাংলাদেশী। সবুজ রঙের প্যাকেটে বড় করে বাংলায় লেখা "বুলা ইছা"। বুঝেন ঠ্যালা ইয়ে, মানে...

..................................................................
#Banshibir.

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

হুম! আপাতত "বুলা" অর্থ ভ্রমণ করা। সুতরাং সেই কুচা চিংড়ি ভাই/বোনেরা যেহেতু বাংলাদেশ থেকে সার্থকতার সাথে বিদেশে ভ্রমণ করেছে, সেহেতু তাদের "বুলা ইচা" বলাটা দোষের কিছু নয়। দেঁতো হাসি

সত্যপীর এর ছবি

এ তো বড় ট্র্যাজিক নাম হইল তাইলে। বুলা ইছা মানে যদি হয় ভ্রমণরত কুচা চিংড়ি, বেচারারা ভ্রমণটা করল কই? অন্ধকার ঠাণ্ডা কন্টেইনারের ভিত্রে থেকে চালান হইল ফ্রিজে, সেইখান থেকে আমার পাতিলে, তারপর আমার পেটে। তারপরে কি হইল জানে শ্যামলাল।

আহা "বুলা ইছা" বড়ই নিষ্ঠুর রসিকতা হইছে। "কপাল ফাটা ইছা" বা "অন্ধকার ভবিষ্যত ইছা" নাম দিলে ঠিক হইত।

..................................................................
#Banshibir.

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

কি আর করবেন, ভগবানের লীলা বোঝা বড় দায়! দেখেন, ঢাকা টু চিটাগং- কেউ ভ্রমন করে কেউ বিমানে, কেউ এসি চেয়ার কোচে, কেউ লোকাল ট্রেনের ছাদে, আবার কেউ বা রড বোঝাই ট্রাকে রডের উপর বসে। আপনি লন্ডন থেকে হনুলুলু যান ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের এক্সিকিউটিভ ক্লাসে, তারপরও এটা নাই, ওটা ভাল না বলে খুঁত ধরেন। আর মফিজ মিয়ারা টেকনাফ থেকে মালয়েশিয়া যায় ইঞ্জিন বোটে গাদাগাদি করে, তাও যাইতে পারলেই খুব খুশি।

সুতরাং ভ্রমনটাই বড় কথা, কিসে ভ্রমন সেটা বড় কথা নয়। চোখ টিপি

সত্যপীর এর ছবি

হৈ মিয়া লন্ডন থিকা হনলুলু এক্সিকুটিভ ক্লাসে যাই কিডা কইল? লন্ডন টু ঢাকা গেসিলাম কুয়েত এয়ারওয়েজে, দুইটা পয়সা বাঁচাইতে। টেকনাফের ইঞ্জিনবোট থিকাও বাজে সার্ভিস।

..................................................................
#Banshibir.

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

চ্যাতেন ক্যা? আপনে না গেলে অমুকে গেছে, অমুকে না গেলে তমুকে গেছে, তমুকেও না গেলে তারেক অণু গেছে। ঐ হইল আর কি! চোখ টিপি

ব্রুনো এর ছবি

চমৎকার! ক্ষুদিরাম দাসের বইটা কি বাংলাদেশে পাওয়া যায়?

অনটপিক দেঁতো হাসি : যতদূর জানতাম বাবা শব্দটা তুর্কী থেকে এসেছে। গুগল অনুবাদক দেখাচ্ছে তুর্কীতে এখনো শব্দটা পিতা অর্থে ব্যবহৃত হয়।

____________________________________________________________________________________
তবু বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখনি, অন্ধ, বন্ধ কোরো না পাখা।

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

হলি শিট! আমার কাছে অন্য একটা আন অথেনটিক সাঁওতালি শব্দের তালিকা সফট কপিতে ছিল, সেটা ক্ষুদিরাম দাস এর বইয়ের তালিকা থেকে এডিট করে কনফার্ম করতে যেয়ে কয়েকটি বিচ্যুতি ঘটেছিল, অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। "বাবা" আসলেই মূলগতভাবে তুর্কী শব্দ, সেখান থেকে বাংলা/হিন্দী হয়ে এখন সাঁওতালিতেও যুক্ত হয়েছে। এ ছাড়া মা, জাম এবং লিঙ্গ, এ শব্দ তিনটিও মূলগতভাবে সাঁওতালি নয় বিধায় তালিকা থেকে অপসারিত করে দিলাম। বিনিময়ে নতুন একটি শব্দ সংযোজিত করলাম- লুচ্চা দেঁতো হাসি

বইটি আমি বাংলাদেশ থেকেই boi24.com এর নিকট থেকে সংগ্রহ করেছি।

ধন্যবাদ!

ব্রুনো এর ছবি

আপনে যে পরিমান শ্রম দিছেন এই পোষ্টের পিছনে তাতে এরকম দু-একটা অনিচ্ছাকৃত ভুল আসলেই ব্যাপার্না। বাংলার ছাগুকুল সার্থক হয়ে গেলো আপনার এই পোস্টের হেতু হতে পেরে খাইছে

____________________________________________________________________________________
তবু বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখনি, অন্ধ, বন্ধ কোরো না পাখা।

হাসিব এর ছবি

আমিও সেরকমই জানতাম। তুর্কিরা বাবাকে বাবা বলে।

হাসিব এর ছবি

জেনেটিক নৃ-তত্বের বিচারে বর্তমান বাঙ্গালি জনগোষ্ঠীর ভিত্তিমূল হলো খেরওয়াল জাতিগোষ্ঠী।

বাঙ্গালি হেটেরোজেনাস অরিজিন থেকে উদ্ভুত জাতি - এরকমটাই জানতাম। বিভিন্ন আকার আকৃতি রঙ এটা এর একটা বড় প্রমান। খেরওয়াল শব্দটার ইংরেজি বানান কী? একটু গুগল করে দেখতে চাইছিলাম।

খাটাখাটনির লেখায় ৫তারা দিলাম।

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

বাঙ্গালি হেটেরোজেনাস অরিজিন থেকে উদ্ভূত জাতি, এটা ঠিক আছে। কিন্তু সেই অরিজিনের প্রাথমিক ভিত্তি হলো অষ্ট্রিক ভাষাভাষি খেরওয়াল, আরও নিদ্রিষ্টভাবে সাঁওতালেরা। পরবর্তীতে তার সাথে দ্রাবির, ভোটবর্মী ও আর্য ভাষাভাষী মানুষের সংমিশ্রনে ক্রমে ক্রমে ভাষাভিত্তিক বাঙ্গালি জাতির উদ্ভব ঘটে। তারও পরে বাঙ্গালি জাতির রক্তে যুক্ত হয় আরব, পাঠান, তুর্কী, ইরানী, পর্তুগীজ, মগ ইত্যাদি ধারা।

খেরওয়াল শব্দটার ইংরেজী বানান "kherwal" , কিন্তু নেটে এ শব্দভিত্তিক বেশী কিছু নাও পেতে পারেন। বরং মুন্ডা এবং সাঁওতালি বিষয়ভিত্তিক বিস্তারিত কোন লেখায় সেটা পেতে পারেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

পরিশ্রমী লেখা। শব্দের উৎপত্তি ও বিবর্তন সম্পর্কে দারুন একটা রচনা।

মাসুদ সজীব

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

দারুন লাগলো। বেশ পরিশ্রমী লেখা। কিছু শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ জেনে মজা পেলাম।

____________________________

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

এক লহমা এর ছবি

খুব ভাল লাগল।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

মন মাঝি এর ছবি

চমৎকার লেখা! চলুক

তবে মূলগত ভাবে সাওতালি শব্দের যে লিস্টি দিয়েছেন শেষে, তার বেশ কতগুলির ব্যাপারে খানিকটা সংশয় আছে। যেমন বাবা-মা এবং ধ্বণিগতভাবে খুব কাছাকাছি একই অর্থের অনেকগুলি শব্দ পৃথিবীর অনেক ভাষাতেই আছে, শুধু বাংলাদেশ বা এই উপমহাদেশেই না। এগুলি মনে হয় মূলগত ভাবে সংস্কৃত বা সংস্কৃতের হাত ধরে অন্যান্য ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা থেকেই এসেছে। যেমন উপরে ব্রুনো 'বাবা'-র তুর্কি হওয়ার সম্ভাবনার কথা বলেছেন। তেমনি 'আব্বা'-ও এসেছে খুবই কাছাকাছি এলাকা থেকে - এটা মনে হয় প্রোটো-সিরিয়াক শব্দ। একটা আরেকটার অপভ্রংশ বা বিবর্তিত রূপ হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। একসময় প্রাচীণকালে সিরিয়াক, কপ্টিক ও ইথিওপীয় চার্চে খৃষ্টান সন্যাসীদের মঠের মঠপ্রধানদের 'আব্বা' বলা হত। নারী সন্যাসীদের ক্ষেত্রে 'আম্মা'। পরে পূর্ব-ইরোপীয় কোন কোন দেশেও বিশপদের আব্বা বলা হত। এদের সাথে আবার প্রাচীণ ইজিপ্সহিয়ান ভাষার ভাল যোগাযোগ ছিল। কোথায় যেন দেখেছিলাম দেবী আইসিসকে প্রাচীণ মিশরীয় ভাষায় 'মাতৃ' বা ঐরকম খুব কাছাকাছি একটা শব্দে সম্বোধন করা হচ্ছে। আর বলাই বাহুল্য দেবী আইসিস, প্রাচীণ মিশরীয়দের চোখে 'বিশ্বমাতা' ছিলেন - এবং সেই সূত্রে মনে হয় সমস্ত 'মাতৃদেবী'-র আদি প্রোটোটাইপ। এই শব্দটা ঐখান থেকেও হয়তো আসা অসম্ভব না। আর পরবর্তী কালের বহু ইউরোপীয় (বোধহয় প্রায় সব) ভাষাতেই মা-বাচক শব্দটার শুরুই হয়েছে এই 'মা--' ধ্বণি দিয়ে। অভিধানগুলির বূৎপত্তির অংশ সেরকমই দেখাচ্ছে।

****************************************

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

ধন্যবাদ!
ঠিকই বলেছেন, বাবা এবং মা কোনটিই মূলগতভাবে সাঁওতালি শব্দ নয়, যদিও বাংলা/হিন্দি এর মাধ্যমে দুটি শব্দই এখন সাঁওতালিতে প্রযুক্ত হয়েছে এবং অল্প স্বল্প ব্যবহৃত হয়। আমার লেখায় কেন এই বিচ্যুতি, সে বিষয়ে উপরে ব্রুনো এর মন্তব্যের জবাবে বলেছি। চেক করেছি, যতদূর মনে হয় এখন আর কোন বিচ্যুতি নেই।

অতিথি লেখক এর ছবি

যে পরিমাণ পরিশ্রম করে লেখাটা লিখেছেন তার জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রাপ্য আপনার। এত বছর পর এতগুলো নতুন শব্দ সম্পর্কে জানলাম, কিছু কিছু শব্দ একেবারেই আনকোরা আমার কাছে, আর কিছু শব্দের ব্যুৎপত্তিস্থল কি তা জেনে নিলাম। তবে কিত্ কিত্ শব্দটা দেখে অনেক মজা পেয়েছি, কমপক্ষে ২৫ বছর পর এই শব্দটা দেখলাম বা শুনলাম। ছোটবেলায় আমার বোনদের সাথে এই খেলাটি খেলেছি অনেক। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে পরিশ্রমী এই লেখাটির জন্য।

-নিহাদ

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকেও, পড়া এবং মন্তব্যের জন্য।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

মুদ্রা সংগ্রাহক এর ছবি

চলুক

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

Helal এর ছবি

আফ্রিকার কয়েকটি দেশে বিশেষ করে ইথিওপিয়া, সোমালিয়া ইত্যাদি দেশে পিতাকে বাবা বলে.
অফ টপিক: জনাবের বাড়ি সিরাজগঞ্জ এর প্রমান কি?

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

পিতাকে বাবা বলবে না তো কি বলবে? ইয়ে, মানে...
অফ টপিকঃ বাড়ি সিরাজগঞ্জে, এটা প্রমানের দরকার কি?

মনি শামিম এর ছবি

আব্দুল্লাহ ভাই, আপনার এই লেখাটি আমি একনাগাড়ে তিনবার পড়েছি। এত চমৎকার লিখেছেন যে কি বলব! কত নতুন কিছু যে জানলাম! আপনার কাছ থেকে এধরনের লেখা তো আরও আশা করব। দারুণ।

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

মনি ভাই, আপনার মন্তব্যে গৌরবান্বিত বোধ করছি, অশেষ ধন্যবাদ!

নীড় সন্ধানী এর ছবি

দারুণ এক শিক্ষামূলক পোষ্ট। কদিন দেরী করে পড়লাম মাথা ঠাণ্ডা করে। দেঁতো হাসি

খেরওয়ালি শব্দের সাথে খের বা খড়ের কোন সম্পর্ক আছে নাকি?

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

ধন্যবাদ!
আলাদাভাবে খের বা খড় বলে কোন শব্দ বাংলা/সাঁওতালি সমশব্দে নাই। সাঁওতালিদের যে প্রাচীন উপকথা, যা তাদের পুরোহিত জনদের মুখে মুখে জন্ম জন্মান্তর ধরে চলে আসছে, সেখানে সম্মিলিতভাবে তাদের সকল প্রাচীন গোত্রকে খেরওয়ার হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

দারুণ লেখা।
৫ তারা প্রাপ্য আপনার আব্দুল্লাহ্‌ ভাই।

অনেক শুভেচ্ছা।

-------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।