বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেলে জামাই আদরে থাকা গোলাম আযমের খাবারের তালিকা দেখলাম আজ। ওটা দেখে ভীষণ রকমের অপরাধবোধ হলো। অপরাধবোধটা এলো তাদের কথা ভেবে, যারা অসহ্য কষ্টে দুবেলার খাবার যোগাড়ে হন্য হচ্ছেন। জন্ম সূত্রে তারা অপরাধী হয়েই জন্মেছেন। তাদের অপরাধ তারা হৃতদরিদ্র। দেশ- জাতি- ইতিহাস এসব বড় বড় বিষয়ের চেয়ে পেটের চিন্তাই এদের দিশেহারা করে রাখে সর্বক্ষণ। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার দেখুন এদের নিয়ে রাষ্ট্র- সরকার কারো মাথার ব্যথা নেই। কারণ? এরা রাজনীতির বৃত্তে থাকা ঘুঁটি মাত্র, ব্যালট বক্সের সংখ্যা শুধু। খেলোয়াড় নন। রাষ্ট্র কিংবা সরকারের চিন্তা খেলোয়াড়দের নিয়ে। গোলাম আযম একজন বিশ্বমানের খেলোয়াড়। তাবড় তাবড় হার্মমাদের বুক কাঁপিয়ে দেবার মত তার অতীত রেকর্ড। এরকম একজনকে জামাই আদরেই তো রাখবার কথা নাকি! হচ্ছেও তাই। গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত শারীরিক কোন জটিলতা না থাকা সত্ত্বেও তাই তাকে হাসপাতালের আরাম আয়াসের মধ্যে রাখা হয়েছে। তার বেহায়া বিবিজান খাবারের মেন্যু করে পাঠাচ্ছেন।
গোলাম আযমের স্ত্রী তাঁর স্বামীকে সকালের নাশতায় লাল আটার চার-পাঁচটি রুটি, সঙ্গে ডিম ভাজি, আলু ছাড়া সবজি ভাজি, মুরগির মাংস (কারি/ভুন), মিষ্টি, এনসিওর দুধ ও কলা দেওয়ার অনুরোধ জানান।
সৈয়দা আফিফার দেওয়া তালিকায় গোলাম আযমের জন্য দুপুরের খাবারে রয়েছে চিকন চালের ভাত, করলা ভাজি, টাকি বা চিংড়ি মাছ ভর্তা, বেগুন ভাজি বা ভর্তা, ছোট মাছ বা চিংড়ি মাছ ভুনা, সালাদ ও লেবু, মাল্টা বা বরই বা নাশপাতি। সন্ধ্যার খাবারের তালিকায় রয়েছে লাড্ডু, নিমকি-বিস্কুট ও হরলিকস বা স্যুপ।
রাতের খাবারের তালিকায় রয়েছে চিকন চালের ভাত, করলা ভাজি, বেগুন ভাজি বা ভর্তা, ঢ্যাঁড়শ বা মিষ্টিকুমড়া বা পেঁপে ভাজি, গরু বা খাসির মাংস ভুনা, সালাদ ও লেবু এবং কমলা, মাল্টা, নাশপাতি, আঙুর বা বরই।
বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ এ বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গোলাম আযমের স্ত্রীর দেওয়া তালিকা অনুযায়ী খাবার সরবরাহ করে। এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে তাঁকে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ নতুন তালিকায় খাবার সরবরাহ করতে শুরু করে।
এ তালিকায় রয়েছে সকাল নয়টায় এক চামচ মধু, এক চামচ অলিভ অয়েল, দুটি বিস্কুট, চিড়া ভাজা বা মুড়ির মোয়া, দুধ, হরলিকস ও দুটি ডিম। বেলা ১১টায় দেওয়া হয় খিচুড়ি, সবজি, স্যুপ, আচার ও ফল। বেলা দুইটায় দেওয়া হয় দুই টুকরা মাছ, সবজি, ডাল ও আচার। বিকেলে নাশতায় তাঁকে সরবরাহ করা হচ্ছে স্যুপ ও ফল। রাত আটটায় দেওয়া হয় ভাত, মুরগির মাংস, সবজি, ডাল, আচার ও ফল।
ম্যেনু ধরে ধরে দেয়া হচ্ছে খাবার। আর গোলাম আযম এবেলা ওবেলায় দুধটা ঘিটা চেটে পুটেই খাচ্ছে। মানুষ আকৃতির জীবটা সেসব খাবার যে রীতিমত তৃপ্তি নিয়েই খাচ্ছে তাতে সন্দেহ নাই। কাদের টাকার শ্রাদ্ধ করে আসছে এসব খাবার দাবার? খুব জানতে ইচ্ছে করে খাবারের গ্রাস মুখে তোলার সময় পশুটার বিন্দুমাত্র লজ্জা কিংবা ঘৃণা হয় না? যে দেশটার বিরোধীতা করে এসেছে আজীবন সেদেশের জনগনের করের টাকায় উদরপূর্তিতে???
লজ্জা থাকলে তো অবশ্য বিচার নামের প্রহসন পর্যন্ত দেখতে হতো না। কবে সে নিজেই গলায় দড়ি দিতো। আত্মহননের পথে যখন হাঁটেনি তখন এমন প্রশ্ন অবান্তর। সরকার পক্ষ সন্তুষ্টির সাথেই বিচারের রায় মেনে নিয়েছেন। বিরোধী দল ততোধিক সন্তুষ্ট তাতে সন্দেহ নাই। শুধু আমাদের মত কিছু বোকা কিসিমের মানুষ এই রায় মেনে নিতে পারছেন না।
আর সেটা পারা যাচ্ছে না বলে অসহায় রকমের ক্ষোভে পুড়ছি। ক্ষেপে গিয়ে তাই যার যা মুখে আসছে, মনে ভাসছে অকপটে বলে দিচ্ছি। কারণ আমরা হয়ত বোকা কিন্তু কপট নই। জীবনে পাপ যা করেছি তার হিসেব নিয়ে অনুশোচনা নামের অনুভূতি আমাদের অহর্নিশ পোড়ায়। কিন্তু গোলাম আযম নামের কুকর্মের গোডাউনটি এখনো পূণ্যবানটি সেজে আরো বেঁচে থাকবার খায়েশ রাখে। ধিক্ এমন জীবনের। ধিক্ এমন জন্মের। কাড়ি কাড়ি পাপ করে সাধু সাজবার এই ভন্ডামীর মুখে আগুন। পার্থিব উপন্যাসের নিতাই'এর বানে যদিও কোন ধার ছিল না। কিন্তু তেমন একটা ক্ষমতা পেলে মন্দ হতো না এখন! বুড়োর নুলো বের করে দেয়া যেত মুখে রক্ত উঠিয়ে। কিন্তু সেটা যখন হচ্ছে না তখন খোদাই ভরসা। কিন্তু সেখানেও ক্যাচাল। আর্তের আহাজারিতে নাকি খোদার আরশ পর্যন্ত কেঁপে ওঠে। সেই আরশ কী এখন তবে সাউন্ড প্রুফ্ভড! খোদা কি শত শত মানুষের আহাজারি, দীর্ঘশ্বাস শুনতে পাচ্ছেন না? হয়ত তিনি ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছেন। আমার বিশ্বাস, ঘুম ভাঙলেই তিনি আমাদের সেই দীর্ঘশ্বাসের জবাব দিবেন। সে আশায় বুক বাঁধলাম। এখন আপাতত নিতাইয়ের মত অভিশাপের বান ছুঁড়তেই থাকি। ওরে বুড়ো এত নুলো ভালো নয়। একটু সামলে। পেটে তোর পিলে হবে, কুরিকুষ্ঠো মুখে!
মন্তব্য
আমিও লগে দিতে থাকি , যার টা লেগে জায়।
সব রকমের প্রমাণাদি থাকা সত্ত্বেও যখন ফাউল অজুহাতে গোলাম আযমের মুক্তির ব্যবস্হা করা হয় তখন
এমন অসহায় ছেলেমানুসি বালখিল্যই সই।
অতি বিশ্বস্ত সুত্রে জানিতে পারিলাম, বিশ্বের স্বনামধন্য পশু অধিকার সংস্থা সমূহ বাংলাদেশকে বিংশ ও একবিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ পশু সংরক্ষকের পুরস্কার প্রদানের পরিকল্পনা করিতেছে।এই মর্মে উহারা নিম্নে উল্লেখিত বিবৃতি প্রদান করিয়াছে।
‘আপন দেশের লাখো মানব শিশু অপুষ্টিতে ভুগিলেও, এক বৃদ্ধ পাকিস্থানি কুকুরকে জনগনের ট্যাক্সের টাকায় দীর্ঘদিন যাবত দুধ,ডিম,মাছ,মাংস খাওয়াইয়া অতি যত্ন আত্তির সাথে রাখা হইয়াছে। ইহা পশু অধিকারের ইতিহাসে চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকিবে।‘
--মদন--
সাপ্তাহিক একতায় রায় নিয়ে করা বিশেষ পাতায় এই কমেন্টটি দিতে চাই।
স্বয়ম
ক্ষোভ প্রকাশের ভাষা জানা নেই
ক্ষোভ প্রকাশে জনগন যেন সচেষ্ট না হয় সেব্যাপারে বলা আছে। অতএব কথার তুবড়িতেই সীমাবদ্ধ থাকি নাকি বলেন?
হোক পিলে হোক, কুরিকুষ্ঠো হোক
দুপুরের খাবারঃ "চিকন চালের ভাত, করলা ভাজি, টাকি / চিংড়ি মাছের ভর্তা, ছোট মাছ বা চিংড়ি মাছের ভুনা, সালাদ, লেবু, বড়ই, নাশপাতি, মাল্টা"------------আহঃ ক্ষুধা লেগে গেল ভাই--------
ওগুলো বুড়ো শকুনটার খাবার! আমাদের জন্য রামচড়
কোন কোন সময় অধম জানোয়ারও মানুষের চেয়ে স্বচ্ছন্দে থাকে গোলাম তার প্রমান।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ছিঃ ওভাবে বলে না। বয়স্ক কে সম্মানের ফরমান মেনে চলুন ভাইয়া
এতো বেলা খাওয়া আসলে মানুষের বেঁচে থাকার জন্য দরকার হয় না। নরাধম, নরপশু, জানোয়ার, রাক্ষসদের জন্য দরকার হয়। একটা রাক্ষস পালবে দেশ নব্বুই বছর আর খাওয়াবে না?!
অক্ষম রাগ বুঝানোর কেউ নাই। কী যে করতে ইচ্ছা করে আমার
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
কিসের দুঃখ? কিসের ক্লেশ? গোলামকে জামাই আদরেরই রাখবে বাংলাদেশ
জোলাপ মিশিয়ে দেওয়া দরকার, হাগতে হাগতে মরুক
facebook
নাহ, তাইলে আরও বিশেষ খাবার পাবে... স্যালাইন দিয়ে বাঁচায়েও রাখা যাবে... হাগা বন্ধ করার কোনও ওষুধ নাই?? লিস্টের সব খাবে... না খেতে চাইলে নাকে নল দিয়ে খাওয়াতে হবে... তারপর পেট ফুলে মরলে মরুক গে ... ... এত্ত যখন খাবার সাধ... খেয়েই মর শালা...
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
সত্যানন্দের যুক্তিটাও ফেলে দেবার মত না। ঝোঁকের মাথায় এসব বলছি আমরা সন্দেহ নাই। ওর মৃত্যু
এত শান্তিময় হোক চাই না। মৃত্যু যন্ত্রণার প্রতিটা মুহূর্তে যেন বুড়োভামটা স্বীকার করতে বাধ্য হয় সে কতবড় পাপী। কিন্তু আমাদের ক্ষমা সে পাবে না। কোনদিন না।
সেটাই
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
বিচার ব্যবস্হা যখন আমাদের কাঁচকলা দেখালো তখন সত্যিই এমন কিছু দিয়েই এই শকুনটাকে বধ্ করার ইচ্ছা জাগে।
বিএসএমএমইউ এর ফুড-ফান্ড তো জনগনের ট্যাক্সের টাকা থেকেই আসে বলে মনে হয়।
দেখা যাচ্ছে যে দেশের জনগনের অধিকাংশই যারা সপ্তাহে বা মাসে খুব বেশী হলেও মাত্র একবেলা এরকম খাবারের স্বপ্নই দেখে, তারা গু আযমকে নিজের কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে দিনে তিনবেলা এই খাবারের ব্যাবস্থা করে দিচ্ছে। ভালৈ ...
সেই জনগণের টাকা যাদের অস্তিত্বই এই শকুনটা স্বীকার করে না। ধিক্ ওর মানব জন্মের।
মাইরালা, আমারে কেউ মাইরালা
আমি জানি না
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
আমি সিম্পলি একটা জিনিস চিন্তা করি।
কতো মেধাবী মানুষ অকালে রোগে ভুগে মারা যান, দূর্ঘটনার শিকার হয়ে অসময়ে হারিয়ে যান। এতো মানুষের ঘেন্না নিয়ে এই জানোয়ারটা একানব্বই বছর ধরে টিকে আছে কোন কামে?
আজরাইল চোখে দেখে না এই নর্দমার কীটটারে?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
খারাপ লোকের বিবেক যন্ত্রনা নেই। তাছাড়া, উনি নাস্তিক, পরকালের ভয় নেই। নো টেনশন। কুত্তার মত নিশ্চিনত বেচে আছে।
একে কুকুর বললে হয়ত কুকুরের অপমান করা হয়।
সেটাই রে তিথী! যমের অরুচি আসলে এই নর্দমার কীট
রাককোস নাকি
মূর্তিমান রাক্ষস
অভিশাপে যে কিচ্ছুটা হয় না সেকি আর জানিনা দিদি! রাগ-হতাশা সব যুক্তিতর্ক শুষে নিয়েছে
অভিশাপে এই লোকের কিস্যু হয়না। হলে অনেক আগেই হত।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমি অভিশাপ দেই গোলাম আজম সত্যি বেচে থাকুক আরো নব্বই বছর।বেচে থেকে রোগ যন্ত্রনায় ধূকে ধূকে মরুক।রোগ যন্ত্রণা এমন হোক যেন সর্বদা মৃত্যু কামনা করে কিন্তু মৃত্যুও তাকে স্পর্শ করতে লজ্জা পায়।
নতুন মন্তব্য করুন