আমি এ যুগের হরিপদ কেরানী। আমার গ্রামের ঠিকানা আপনারা জানবেন না। কিন্তু আমার শহরের ঠিকানা আপনারা চেনেন। শহরে নিন্মবিত্তদের জন্য তৈরী অগুনতি খুপড়ির একটিতে আমি থাকি। আমি একা থাকি না, আমার সাথে মা থাকে, বউ থাকে, সন্তান থাকে, ছোট দুই ভাই থাকে। বাবা বেঁচে থাকলে তিনিও থাকতেন। সুমনের 'দশফুট বাই দশ ফুট' গানটি শুনেছেন? আমি ছাত্রজীবনে শুনেছিলাম। এখন আমি সেই দশ ফুট বাই দশফুট ঘরে থাকি। সবাইকে নিয়ে। বিশ্বাস হয় না? না হবারই কথা। কারণ আপনারা এরকম জীবন দেখেননি।
আমি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাশ করেছি ইতিহাসে। পাশ করে আমি চাকরী পেয়ে গেছি তিন মাসেই। তার আগে আমি টিউশানি করে সংসার চালাতাম। তখন বেড়ার একটা বস্তি ঘরে থাকতাম। চাকরী পেয়ে আমি উন্নত বাসায় চলে আসি। হ্যাঁ আগের চেয়ে খুব উন্নত এই বাসা। ঝড় বৃষ্টি বাদলায় না ঘুমিয়ে চৌকির উপর বসে থাকতে হবে না আর। একটা পাঁচতলা দালানের তিন তলায় দশ ফুট বাই দশফুট একটা ঘর। সাথে লাগোয়া রান্নাঘর আর বাথরুম। গ্যাসের লাইন আছে। সপ্তাহে তিন দিন পানি আসে লাইনে। আর কি চাই। ভাড়াও নেহায়েত খারাপ না। ৩৫০০ টাকা। আর একশো টাকা দিলে ডিশের লাইনও দেবে। কিন্তু আমার টিভি নেই, ডিশ কি করবো। আমি যখন চাকরীতে ঢুকি তখন ৮০০০ টাকা বেতন। দুবছরে আমার বেতন বেড়ে ১০০০০ ছুঁই ছুঁই করছে।
আমি যখন ভার্সিটিতে ঢুকি তখন স্বপ্নে দশ হাজার টাকার একটা চাকরী ঘাপটি মেরে বসে ছিল। বাস্তবে বছরে ১০% হারে মুদ্রাস্ফীতি যোগ হলেও স্বপ্নে তার কোন ছাপ পড়েনি। আমার স্বপ্ন সফল হতে তাই কোন অসুবিধা হয়নি। আমি যখন স্বপ্ন দেখছিলাম তখন বাবার দোকানটা ছিল, দোকানের আয়ে সংসার চলতো ফুরফুর করে। আমি গায়ে হাওয়া লাগিয়ে বেড়াতাম দশ হাজার টাকার একটা স্বপ্ন নিয়ে। সেই স্বপ্নে ছিলাম কেবল আমি আর সুনন্দা। আমাদের দুজনের একটা সংসার, ফুটফুটে একটা বাচ্চা।
কি অবাক কাণ্ড দেখুন, আমার সেই স্বপ্নটা কেমন হুবহু পূরণ হয়ে গেল! শুধু একটা পার্থক্য। তিন বছর আগে হুট করে বাবা মারা গেলে আমার স্বপ্নের সংসারে ঢুকে গেল মা আর দুইভাইও। বাবার রেখে যাওয়া সম্পদের মধ্যে ছিল ছাপ্পান্নো হাজার টাকার একটা ঋণের বোঝা। সাড়ে তিন বছরের টিউশানীর জমানো টাকা থেকে বোঝাটা হালকা করেছি। ফলে আমি যখন চাকরীতে ঢুকি তখন ঋণমুক্ত।
চাকরীর এক বছরের মাথায় সুনন্দাকে বিয়ে করতে হলো। ভাবছেন সুনন্দাকে কেন বিয়ে করতে হলো এরকম চাপাচাপি সংসারে? উপায় কি বলুন, না করলে তো সে চলে যেতো অন্য ঘরে। "চাকরীটা আমি পেয়ে গেছি বেলা শুনছো...."..বলে কাঁদলে কোন লাভ হতো না তখন।
সে যাই হোক, আমি কেবল চাকরীটা আছে বলেই সন্তুষ্ট। সুনন্দা, ছোট্ট বাবু, মা, দুই ছোট ভাই, এদেরকে নিয়ে একটা ছাদ দেয়া ঘরে বাস করতে পারছি এতেই সুখী। আমি যেখানে কাজ করি সেটা বাসা থেকে দুই মাইল দূরে। রিকশায় গেলে বিশ টাকা, বাসে গেলে পাঁচ টাকা। আমি হেঁটেই যাই। ঝড় বাদলার দিনে একটু অসুবিধে হয়। তবু ভেবে সুখী হই দুই কায়দায়। রিকশায় না গিয়ে বাঁচলো মাসে পাঁচশো টাকা। বাসে না গিয়ে বাঁচলো দেড়শো টাকা। ভাবছেন অভিনব সুখপন্থা? আসলে পাঁচশো টাকায় মায়ের ওষুধের খরচ উঠে যায়, দেড়শো টাকায় মাসে একবার রুই মাছ কিংবা মাংস খেতে পারে পরিবার।
আমরা সাধারণত নিরামিষভোজী। মাছ মাংস তেমন ছুঁই না। শাক, ভাত, ডাল - এই তিনে চলে যায়। শরীরের জন্য তেল ক্ষতিকর, তাই আমরা তেল কিনি না। চিনি খেলে মায়ের সুগার বাড়ে, তাই চিনিও বাদ। আমরা চা নাস্তা করি না। তবে মেহমান আসলে একটু বিপদে পড়ে যাই, তাই আমি কাউকে বাসায় আসতে বলি না। বাবুর জন্মের পর বিপদে পড়েছি খানিক। খরচপাতি বেড়ে গেছে। সুনন্দা ট্যা ট্যা করে বাবুর জন্য দুধ কেনা দরকার, বাইরে খাবার না খেলে শরীর বাড়বে না। আমি চুপ করে থাকি। করার কিসসু নাই। আমার বাজেটে বাড়তি সুযোগ আছে কি? হিসেবটা দেখুন- দৈনিক তিন বেলা খাবার পেছনে দেড়শো টাকা লাগে, পুরো মাসে সাড়ে চার হাজার। খাওয়া ঘর ভাড়া বাদ দিলে বাকী থাকে দুই হাজার। দুই ভাইয়ের স্কুলের খরচ আটশো টাকা। বইখাতা পেন্সিল কলম বাবদ আরো দুশো। মায়ের ওষুধপত্র, বাথরুমের সাবান, টুথপেষ্ট এসবে লাগে আরো চার পাঁচশো টাকা। দশ হাজার টাকার হিসেবটা তো প্রায় খতম, আর বাড়তি কোথায় পাই। বাবুটাকে আমাদের তিন পদে অভ্যস্ত করতে বলি।
তবে হ্যাঁ কেউ যদি অবিবেচকের মতো অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন বিপদ। তেমন বিপদ মাত্র একবার ঘটেছিল গত বছর। ধার করে এরকম বিপদ সামাল দেয়া যায়, কিন্তু তেমন ধার শোধ করতে অপেক্ষা করতে হয় বছরের ঈদ বোনাসের সময় পর্যন্ত। হ্যাঁ ঈদের সময়টা খুব আনন্দের। ওই একটা দিন আমরা নিরামিষভোজী থেকে বেরিয়ে আসি। জামা কাপড়ে ব্যয় কমিয়ে একদিন একটু ভালো খাই। অতিথি সেবা করি। ওই্ একদিনের পোলাওয়ের স্বাদ আমাদের নস্টালজিক করে দেয়। বাবার আমলে আমরা মাসে দুয়েকবার এমন খেতে পারতাম।
এই দেখেন কেবল খাওয়াদাওয়া নিয়েই আছি। বাসস্থানের দিকে নজর দেয়া হলো না এখনো। চলুন বাসস্থানের গল্প করি। আগেই বলেছি দশফুট বাই দশফুট। বাবা মারা যাবার পর আমরা যখন বস্তিতে চলে যাই তখন একটা চৌকি বাদে আর সব আসবাব বিক্রি করে দিয়েছিলাম। জায়গা নেই রাখবো কোথায়? বস্তি ছেড়ে এখানে আসার সময় চৌকিটাও বেচে দিয়েছি দুইশো টাকায়। চৌকি থাকলে বরং এখানে শোবার অসুবিধা। এখন মাদুরের উপর কাঁথা বিছিয়ে তার উপর বিছানার চাদর পেতে পাশাপাশি দুটো বিছানা তৈরী করি রাতে শোবার আগে। এক বিছানায় আমি সুনন্দা আর বাবু। অন্য বিছানায় মা আর দুই ভাই। আমরা ম্যানেজ করে নিয়েছি। করতেই হয়। অসুবিধা হয়নি।
এই দালানে মোট ৫৫টি খুপড়ি ঘর। বড়লোকেরা এরকম জিনিসকে বলে স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট। শখ করে কিনে বিদেশে এমনকি কক্সবাজারের সৈকতে। আমাদের এই স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্টে এসি নেই। টিভি, ফ্রীজ নেই। এমনকি খোলা জানালার আকাশও নেই তবে বৈদ্যুতিক আলো আর ফ্যানের বাতাস আছে। তবু এখানে আমি সুখী। কেননা সুনন্দা আমাকে অভিযোগ করে না। মা আমাকে অভিযোগ করে না, ভাইয়েরা অভিযোগ করে না। ওরা জানে আমি সীমাবদ্ধ। প্রবল প্রবল সীমাবদ্ধতা আমার হাত পায়ে সমস্ত শরীরে। ওরা তাই দিনের পর দিন একই রঙের শাক ভাত আর ডাল খেয়ে কাটিয়ে দেয়। বাবুটা মাত্র ছমাস, সে এখনো বোঝে না দুনিয়ার হালচাল। তার চোখে হয়তো গোটা দুনিয়াটাই আলোবাতাসহীন একটা ষ্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট।
আমি যেখানে কলম পিষি, সেখানে দুপুরে খাবার মেলে। এক সাথে কয়েকশো মানুষের খাবার রান্না হয়। ভাত আর ডাল যত খুশী খাও, সবজি মাছ মাংস ডিম যে কোন একটা এক বাটি করে। আমার সামনে যখন মাছ মাংসের বাটি আসে, আমার ইচ্ছে করে ঝোল দিয়ে ভাত খেয়ে মাছ বা মাংসের টুকরোটা কাগজে মুড়ে ঘরে নিয়ে যাই। কিন্তু আমার আশেপাশে যারা বসে তাদের সবাই স্বচ্ছল ঘরের সন্তান। তাদের পাশে বসে এই কাজ করা যায় না। ওরা কেউ জানে না আমি কেমন জীবন কাটাই। আমার মুখোশকেই সত্যি মনে করে ওরা। জানি ওরাও দশ হাজার টাকাই বেতন পায়, কিন্তু ওই টাকার উপর ছ জনের একটা পরিবার নির্ভর করে না।
আমি খুব টানাটানি সংসারী? কথা সত্যি। তবে আমার দশ হাজার টাকাকে কখনো কখনো যখন বেশী টানটান মনে হয় তখন আমি আরেকটু নীচের দিকে তাকাই। নীচের ফ্লোরে রঙিন জামা পরা মেয়েগুলো মাসে চার পাঁচ হাজার টাকার বেশী পায় না। তবু ওদেরকে কোন কোন সময় আমার চেয়েও বেশী হাসতে দেখি। ওই হাসির পেছনেও কি কষ্টের নহর? জানি না। ওদের কষ্টের কথা ভেবে সমবেদনার বদলে আমি বরং সুখী হয়ে উঠি আবার।
সন্ধ্যে ছটার পরে কাজ থাকলে একটা ছোট বিস্কুটের প্যাকেট আর একটা কলা দেয় আমাদের। এই দুটো জিনিস পকেটে করে বাড়ি নিয়ে আসতে কষ্ট হয় না আর। কলাটা মাকে দেই, মা অর্ধেক দেয় সুনন্দাকে, বিস্কুট সবাই একটা করে খাই। তখন আমরা সবাই খুব হাসি এক সাথে হাসি, যেন আমরা আসলেই সুখী নগরীর বাসিন্দা।
এই পাঁচ তলা দালানের ছাদের উপর দিয়ে হু হু বয়ে যাওয়া বাতাসে বিনে পয়সার সুখ। কোন কোন রাতে ছাদে উঠে আমি সেই সুখ স্পর্শ করি। সুখের আবেশে চোখ বন্ধ করে ফেলি অনাগত অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা ভুলে। আমি প্রতিদিন একটা পুরোনো ঘ্রাণের নতুন জীবন নিয়ে জেগে উঠি এই স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্টে।
[ পাদটীকাঃ না দেখা জীবন নিয়ে গল্প লেখার অভিজ্ঞতা আমার নেই। দেখা জীবন নিয়ে গল্প লিখতেই হিমশিম খাই। তবু এই গল্পটা লিখতেই হলো একজন প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা শুনে। লিখতে হলো সেই সব ধনবান নিয়োগকর্তাদের উদ্দেশ্যে যারা নিয়োগ পত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার চাহিদাটা যেরকম মোটা অক্ষরে লিখেন, পারিশ্রমিকের অংকটা সেই অক্ষরে লিখতে পারেন না। শ্রমিক শোষণ নিয়ে মাথা ঘামানোর জন্য দেশে বিদেশে অনেক মানবাধিকার গোষ্ঠী থাকলেও এসব শিক্ষিত অর্ধাহারী তরুণদের নিয়ে মাথা ঘামানোর কেউ নেই। অথচ প্রায় ভিক্ষুকের জীবনযাপন করে এদের কেউ কেউ। যদি কোথাও অতিরঞ্জন মনে হয় তবে সাভার আশুলিয়া বা রামপুরা রোডের যে কোন গার্মেন্টস কর্মীর আবাস স্থলে ঘুরে আসতে পারেন। ]
মন্তব্য
খুব সুন্দর একটা উপন্যাসের ধরতাই মনে হলো- হ্যা- বাস্তবতা খুব সহজ না। তবে, সুনন্দা-বাবু-মা-ভাই সবাই যখন আছেই, তখন মাসে ১০০০০ আর একই রঙের ভাত-ডাল-শাক দিনের পর দিন খুব একটা খারাপ না। পৃথিবীতে যত ধরনের কষ্ট আছে, তার মধ্যে টাকা-পয়সার কষ্ট সবচেয়ে ক্রূঢ় কিন্ত নির্ভরযোগ্য - এর কারনে সূক্ষ্ন অনেক দু:খ বিলাস পাততাড়ি গুটিয়ে পালিয়ে যায়। এমনকি, লিভিং স্ট্যান্ডার্ড হরিপদ কেরাণির চেয়ে বহুলাংশে ভালো হলেও- কেন জানি মনে হলো ইস এরকম ছাপোষা একটা জীবন যদি আমার হতো? আমার চিন্তার জগতে একটা ঝড় তুলে দেবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিব না রাগ করবো? (স্বপ্নীল সমন্যামবিউলিস্ট)
প্রথমে ধন্যবাদ দেন, তারপর রেগে টং হয়ে যান কিন্তু ইয়ে, রাগ কেন রে?
ঝড় থেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতির হিসেবটা সচলের পাতায় আসুক।
ধন্যবাদ স্বপ্নীল।
হ্যা বললেই থামে আর কি! আর, সরকারি কর্মকর্তাদের তো জানেনই আঠার মাসে বছর হয়! নতুন লেখা লিখতে আলসেমি লাগে। ছুটিটা তো ফুরিয়েই গেলো আসলেই- উপন্যাম না লিখলে ভূমিকা টা ধার দেন- খড়খড়া একটা উপন্যাস লিখি!(স্বপ্নীল সমন্যামবিউলিস্ট)
লিখে ফেলুন উপন্যাস সমস্যা নেই। আপনি আলসে নন মোটেও। অন্তত মডুরা সে কথা মানতে চাইবেন না
গতিময় লেখনি আপনার। বর্ণনাও ঝরঝরে। গল্প শুরুর দারুণ একটা পটভূমি তৈরি হয়েছে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
দারুণ উৎসাহ বোধ করছি স্পর্শ আপনার মন্তব্যে। অনেক ধন্যবাদ।
কি বলবো! বলার কি কিছু আছে!
একটি কথা বলতে চাই (কি বলবো! বলার পরেও), যদি কিছু মনে না করেন-
গল্পটির থিমটি ভালো, লেগেছেও ভালো, তবুও কেনো যেনো মনে হচ্ছে আবেগটা ঠিক মতো আসেনি!
পিচ্চি মানুষ আমি, কি বলেছি- ভুলে যান! আর হ্যাঁ, ভালো থাকুন- সব সময়ের জন্য।
-নিয়াজ
ঠিক বলেছেন নিয়াজ। অন্যের জুতোয় পা গলিয়ে কি সেভাবে হাঁটা যায়? চেষ্টা করেছি মাত্র।
আপনি পিচ্চিও অনেক ভালো থাকুন
শিরোনামেই একটা সুখানুভূতি হল। আমার ছেলেটাও একটা স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্টে থাকে, শিকাগোতে। আমরা আগামী মাসে সেখানে যাচ্ছি।
আপনার স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্টের চিত্রণটি একটু ভিন্নতর। অবশ্য বাংলাদেশের পটভূমিতে সঠিকভাবেই চিত্রায়িত।
লেখায় গতিময়তা ছিল। দারুণ হয়েছে।
ধন্যবাদ ভাবনা। আপনার শিকাগো ভ্রমণ আনন্দময় হোক। ভ্রমণ শেষে সেইরাম একটা পোস্ট আশা করছি।
ভালো থাকুন।
আয়নামতি-দিদি, যে দমবন্ধ করা পরিবেশ-টা আপনি বানাতে চেয়েছেন, আমার মনে হয়েছে আপনি তাতে পুরোপুরি সফল। নিজের জীবনে এই আট ফুট বাই দশ ফুটের ভয়ঙ্কর রাক্ষসটার যে মুখোমুখী হয়েছে সে জানে কি করাল এর মুখব্যাদান! এ বিভীষিকা এমনকি আশা করতে পারার শক্তিটুকুও শুষে নিয়ে মানুষগুলোকে ছিবড়ে করে ফেলতে চায়। আবার কি করে কি করে যেন জীবনের সেই ছাইগাদাতেও ফুল ফোটে। কোন কোন ছাইগাদার উপরে তো ভালবাসার জলছড়াও পড়ে - ফিনিক্স পাখি উঠে আসে তখন। উড়াল লাগায় বাইরের মহান আকাশে। আমি জানি।
আবার পটরপটর করে ফেললাম।
- একলহমা
আপনার পটরপটরে কত কিছুই যে ওঠে আসে একলহমাদি! কাজেই মুখ হাড়িপনা করে লাভ নেই; ও আমরা শুনতেই চাই বুঝলেন। আমি বেশি কথা বললে হাড়ির দৈন্যতা বেরিয়ে যাবে তাই অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে মুখে কলুপ আটলাম।
একলহমা - দি?!
হেহেহে টিটাখানাখানির ব্যাপার হে স্যামদা জায়গাবদলে দিলে কেমন ভোল পালটে যায় দেখছেন
আপত্তি আছে, না কি? উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ দলিল দস্তাবেজ এবং ফিসের টেকাটুকা সহ প্রতিবাদ নথিভুক্ত কইরা্যা দ্যান। দেখি সম্বোধন-টারে ফাঁসীতে চড়ান যায় কি না! যাদের চড়ার কথা আছিল তারা ত পেইড ভেকেশন হাসিল কইরা লইল!
- একলহমা
উলুখগড়া হিসেবে একজনরে পাওয়া গেলু তাইলে নাকি বলেন একলহমা
মানি না! মানি না! মুখে কিছু না বলে খালি আঙ্গুল উঁচিয়ে ধরা। তাও আবার ডাবল আঙ্গুল। এর মানে কী বুঝবো? কঁচুপোড়া? স্বাক্ষর জানিনা টিপসই দিমু? হেহেহে অনেক অনেক ধন্যবাদ ব্যানার্জিদা(এখন আমি এটার অর্থ জানি )
"আমস্বত্ব দুধে ফেলি
তাহাতে কদলি দলি
সন্দেশ মাখিয়া দিয়া তাতে
হাপুস হুপুস শব্দ
চারিদিক নিস্তব্ধ
পিপঁড়া কাঁদিয়া যায় পাতে"
- বেশির ভাগ ভাল লেখাতে আমার অবস্থা পিপঁড়াটার মতন
গুণী মানুষ মাত্রই বিনয়ী হতে হবে এই দিব্যি কে কোথায় দিয়ে রেখেছে স্যামদা
আল্লামা শাহ আহমদ রবি কী বলে গেছেন দেখুন।
তবে আর কী! বিনয়ের বাদলে কদম ফুটুক
লেখা চমৎকার হয়েছে। আজকেই প্রথম আপনার লেখা পড়লাম। আপনি দারুণ লেখেন। কেমন যেন একটা কষ্ট তৈরী হলো মনের মধ্যে
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
মেঘা। হেহেহে আমার প্রোফাইলে কী লেখা আছে পড়া হয়নি বুঝি? পড়ে নিবেন, লেখা না পড়বার দুঃখ পালিয়ে বাঁচবে। মনে কষ্ট পেলেন বলে দুঃখিত:(
চমৎকার, খুবই চমৎকার। শীর্ষেন্দুর কিছু গল্প আছে এরকম, অবলীলায় দুঃখের গল্প বলে যাওয়া যেন এইই স্বাভাবিক। দারুন লাগল।
..................................................................
#Banshibir.
বেহুশ হয়া যাবো কিন্তুক এইসব বানানি কথায়। নামটা সত্যপীর খেয়াল থাকে না বুঝি!
হেহেহে আসলে আমিই বানানি ঢং দেখাইলাম। প্রশংসায় কে না গলে রে! অনেক ধন্যবাদ ভাই।
বাহ। খুব সুন্দর লেখা। অনেক ভালো লাগলো পড়ে।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগলো হাসান।
চমৎকার।
থিম পছন্দ হয়েছে, লেখার ভঙ্গিও।
মন্তব্যে আল্লাদিপনা কমিয়ে এবার নিয়মিত লেখালেখিতে সময় দাও।
সিরিয়াসলি-ই, বেশ ভাল্লাগলো।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
রে তিথী! আহ্লাদীর দেখলাটা কী? আহ্লাদের সুনামি বইয়ে দিচ্ছি ভ্যাইয়া ভ্যাইয়া করে দাঁড়াও
স্বপ্নে কী বার বার গপ পাওয়া যায় নাকি সিরিয়াসলি ভালো লাগার জন্য সিরিয়াস ধন্যবাদ তিথীকে
সুনন্দার বাপের বাড়ির লোকজনও কি মেয়েটার বা মেয়ের বাবুটার খবর নেয় না? আর কিছু না হোক, অন্ততঃ বাবুটার জন্যওতো দুধের ব্যবস্থা করতে পারে। কেমন মানুষ ওরা?
সুনন্দা আসলে চায় না বাবুর বাবার এই সীমাবদ্ধতাকে টেনে বাবা-মায়ের কাছে নিতে।
ভালোবাসার মানুষকে অপমানিত করার যন্ত্রণা সইবার ক্ষমতাই নেই ওর! অনেক ধন্যবাদ রিপন।
অনেক ভাল লেগেছে। সোজা পথ ধরে হেঁটে যাবার মতো বর্ণনা। থিম টাও দারুণ ছিল।
সুবোধ। দারুণ করে বললেন তো! 'সোজা পথে হেঁটে যাবার মতো বর্ণনা'
অসাধারণ গল্পটা
০২
এই দৃশ্য খুবই পরিচিত আমার। পরিচিত নিয়োগকর্তাদের দৃষ্টিভঙ্গিও- কমদামে বেশি ডিগ্রি পাওয়া গেলে বেশি দামে কিনতে যাবে কে?
০৩
পুরো একটা উপন্যাস তৈরি করে ফেলেন গল্পটা দিয়ে....
০২
ঠিক। জলের দরেই বিক্রি হতে হয় তাই এইসব ডিগ্রি পাওয়াদের।
০৩
উপন্যাস না ভাইয়া, এটা নিয়ে শর্টফ্লিম করার ইচ্ছা আছে ভবিষ্যতে। জানিনা কতটা করা সম্ভব হবে।
অনেক ধন্যবাদ লীলেনদা
ভালো লাগলো, একটা proshno, সুননদা, একটা চাকরি করলেই তো পারে, তা হরিপদের garments এই হতে পারে, বাবু কে মা দেখবে, ইচচছা আর cheshta thakle obosthar poriborton kora jae bole amar bishshash.
সুনন্দার বাবুটা খুব ছোট্ট তো! বড় হতে দেন আরেকটু। আপনার আন্তরিক পরামর্শটা জানিয়ে দেবো সুনন্দা কে।
অতিথিকে
গল্পটা বেশ ভালো হয়েছে।
সুমীপু' গল্প ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগলো।
অ:ট: আপনার লেটেষ্ট লেখার শিরোনামটা বদলে দেবার জন্য
খুব ভালো লেগেছে বর্ণনাভঙ্গি কিন্তু গল্প পড়ে মন খারাপ লাগছে।
মন খারাপ করিয়ে দেবার জন্য খারাপ লাগছে ব্যাঙের ছাতা।
মন ভালো করে দেবার মত লিখতে পারি না তো পরবর্তী লেখা পড়ে যেন মেজাজটা খ্রাপ হয় সে ব্যবস্হা করবো না হয়
এলিয়েন কিংবা ভিন গ্রহ নিয়ে কতো চমত্কার সব সায়েন্স ফিকশন লেখা হয়েছে। ওই জীবন কিন্তু কেউ দেখেনি কখোনো। জাস্ট কল্পনা করেছে।
আপনার কল্পনার গুনে একটি বৃহৎ প্রেক্ষাপটের আরম্ভটা বেশ ভালো হয়েছে।
রেজা ভাই তার আগে বলেন আপনি ব্রাজিলের সাপোর্টার নাকি? হেহেহে প্রোপিক দেখি আর প্রশ্নটা ঘাই দেয় মাথায়! আপনার লেখা পড়ি, মন্তব্য করা হয় না। খুব ঠিক কথা, এলিয়ন কিংবা ভিনগ্রহ নিয়ে চমৎকার সব সায়েন্স ফিকশন লেখা হয়েছে, হচ্ছে, হবে। আমি কিন্তু স্বীকার করে নিয়েছি আগেই আমার দৌড়ের ক্ষমতা,
সো... অনেক
গল্পের এই জীবন আমি চিনি। এখনো চিনেই যাচ্ছি।
তাইতো খুব আপন মনে হলো গল্পের নায়ক কে। নিজেকেই দেখতে পেলাম যেন!!
----------------------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
৫৫ হাজার বর্গমাইলের দেশটার কত পার্সেন্ট বিত্তবান বলুন? ১% হয়ত বাকি সবটা জুড়েই তো রয়েছে
মধ্যবিত্ত আর নিম্নবিত্তের অংক। কাজেই এ জীবন আপনার- আমার, সবারই কমবেশি চেনা বৈকি প্রহরী!
বৃত্তের ভাঙাগড়ায় রাষ্ট্রের যখন কোন মাথাব্যথা নেই তখন নিজেকেই সচেষ্ট হতে হয়। আমার বিশ্বাস আপনিও পারবেন বৃত্তটা ভেঙে বেরিয়ে আসতে। শুভকামনা।
সুন্দর গল্পটা
লাইফ ইজ বিউটিফুল! এ গল্প তো সে জীবনেরই সুহান।
বাহ! লেখালেখি চলতে থাকুক, নইলে কিন্তু আবার বায়না ধরবো সবাই মিলে
লেখালেখি চলবে, হোঁচটখাবে, উঠে দাঁড়াবে এবং ঝেড়ে দৌঁড়ুবে। সবুর করেন এট্টু
আমি বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশে যারা বেসরকারী চাকুরী করেন তাদের চাকুরী, বেতন, জীবনযাপন নিয়ে ভাবার চেষ্টা করছি। আপনার গল্পটা আমার ভাবনাটাকে একটু সহজ করে দিল। ধন্যবাদ।
একটা ব্যাপার কি লক্ষ করেছেন শ্রমিক শোষণের বাইরে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত শ্রেণীকেও যে নানা কায়দায় শোষণ করা হচ্ছে এটা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোও আশ্চর্য নীরব থাকে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
লেখাটা পড়বার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ পাণ্ডবদা।
রাজনৈতিক দলগুলোর ঘটে বুদ্ধি হ্যাজ তাই এসব ইস্যুতে চুপটি থাকা শ্রেয় পন্থা গ্রহন করে।
দ্রব্যমূল্যের সাথে পাল্লা দিয়ে এইসব মানুষগুলোর আয়ে তো লক্ষীর কৃপাদৃষ্টি পড়ে না।
এদের নিয়ে নেই কোন সুদূরপ্রসারী কংক্রিট পরিকল্পনা। আশ্চর্য লাগে সত্যি।
কিছুদিন আগে একটা পত্রিকার লিংক পড়বার সুযোগ ঘটেছিল, সেখানে এশিয়ার মধ্যবিত্ত শ্রেণীর একটা গড়পড়তা হিসেব দেখানো হয়েছে দেশ হিসেবে। এক. সেখানে বাংলাদেশের নামটিও নেই(অথচ ওটা বাংলাদেশি পত্রিকা। দুঃখিত এমুহূর্তে নামটা মনে আসছে না) দুই. নিম্নবিত্ত বলে একটা শ্রেণী যে আছে তার উল্লেখমাত্র নেই। আম্রিকান প্রশাসনকে যেখানে মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্তদের নানান সুবিধা অসুবিধার ইস্যু নিয়ে চাপের মধ্যে রাখা হয় সেখানে আমাদের দেশে তাদের শুধুই ভোটব্যাংকের সংখ্যা ছাড়া কিছুই ভাবা হয় না। আম্রিকায় ৭০'দশকে থাকা মধ্যবিত্তের পার্সেন্টেজ কিছুটা হলেও কমে এসেছে। অবশ্য নিম্নবিত্তের ক্ষেত্রে সেটা বেড়েছে যা নিয়ে এরা হাউকাউ করে এবং করায়। এই চর্চাটা শুরু করানো দরকার আমাদেরও। মুখবুঁজে আর কতকাল! কিসব আবজাব বকে নিলাম
অসাধারণ লিখেছেন!
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
পড়বার জন্য আপনাকেও রাতঃ স্মরণীয় ভাইয়া।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
খালি বুড়া আঙ্গুল উঁচিয়ে ধরলেই হবে? কিছু তো একটা বলুন বাবা সত্যানন্দ
রাইটার্স ব্লকে আছি... কমেন্টও বেরুচ্ছে না
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
এই জিনিষ সম্পর্কে বিন্দুমাত্র অভিজ্ঞতা নেই যে আমার! শুভকামনা থাকলো পেজগি দ্রুত ছুটে যাক।
মধ্যবিত্ত শোষন - ভালো লাগলো।
চাকুরী জীবনের শুরুতে প্রায় কাছাকাছি একটা জীবন যাপন করে এসেছি কয়েক বছর। সেই সময়ের কথা মনে হলো। টানটান লেখার জন্য একশ্বাসে পড়ে ফেললাম। সবার সাথে কন্ঠ মিলিয়ে আমিও বলি - হোক না একটা উপন্যাস।
গুটিকয়েক পরিবার বাদে আমরা সবাই কমবেশি এজীবনকে দেখেছি হয়ত। লোকের কথায় কান দিতে হয় না প্রোফেসর সাহেব। বুদ্ধিমান হোন চুপটি থাকুন
অনেক বছর আগে আমাদের বাসার সামনে সারিবদ্ধ বাঁশের তৈরী কিছু খুপড়ি ঘরে বাস করতো স্বল্প আয়ের কিছু মানুষ। কারো পেশা রিকশা চালানো, কেউ গ্যারেজে কাজ করে, কেউবা গার্মেন্টসে, বাসায় ঢুকতে বেরুতে ওদের কথাবার্তা শোনা যেত। ওখানে একটা ঘরে ভিন্ন শ্রেণীর একটা পরিবার বাস করতো। ওই জীবনযাত্রার সাথে তাদের মেলানো যেতো না। পরিবার বলতে মা আর ছেলে, আর কেউ ছিল না। ছেলেটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তো, টিউশানি করে সংসার চালাতো। আগে মা গ্রামে থাকতো, বাবা মারা যাবার পর মা একা হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে মাকে নিয়ে আসতে হয় শহরে। কিন্তু দেড় হাজার টাকার টিউশানীর আয়ে শহরে ৫০০ টাকার চেয়ে বেশী টাকা বাসস্থানের জন্য ব্যয় করা সম্ভব ছিল না। তাই এরকম ঘরে থাকা। ছেলেটা স্বপ্ন দেখতো একদিন মাকে নিয়ে একটা ভালো বাসায় থাকবে।
ছেলেটার নাম ভুলে গেছি এত বছরে, কিন্তু তার স্বপ্নময় চেহারাটা এখনো চোখে ভাসে, আমি জানি না তার স্বপ্নটা বাস্তবায়িত হয়েছিল কিনা। আপনার গল্পটা পড়ে আজ তার কথা খুব মনে পড়ে গেল। এই বাস্তবতার গল্পগুলো আমাদের চোখের খুব কাছে থেকেও আড়ালেই রয়ে যায়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
নীড় সন্ধানী ভাইয়া ভেবে নেই আসুন, আপনার নাম ভুলে যাওয়া ছেলেটি তার স্বপ্নকে সুন্দর মত বাস্তবায়িত করতে পেরেছেন। উৎকট রকমের বিত্তের মালিক না হলেও স্বাছন্দময় একটা জীবন যাপন করছেন তিনি। ধন্যবাদ আপনাকে।
মিলু
মন্তব্য গতকাল পড়েই করেছিলাম। কিন্তু কেন প্রকাশিত হলো না বুঝতে পারছি না। যা হোক লিখেছিলাম হয়ত যে এটাই আপনার লেখা প্রথম পড়া গল্প। অসাধারণ লেগেছে গল্পটা। এই বাস্তবতা না দেখে থাকলে এর কাছাকাছি একটা বাস্তবতা আমি দেখেছিলাম। সে সব কথা কেন যেন বলা কঠিন মনে হয়। আপনি লিখে যান। পড়তে ভাল লাগে। মন হুট করে কত না বলা কথায় যে খারাপ হয়ে যায়!
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
মন্তব্যে এসেছে তো মেঘা পথে হয়ত মন্তব্যটা মজার কোন দৃশ্য দেখছিল, তাই আসতে একটু দেরী।
মানুষ হয়ে জন্মেছি যখন সময়ে মনটা একটু আধটু খারাপ করবে। আবার সে আনন্দেও নেচে উঠবে।
মানুষ হবার এখানেই তো মজা রে মেঘা! না? অনেক ধন্যবাদ আর শুভকামনা থাকলো।
আপনি গল্পে যে দম বন্ধ করা ভাব তৈরি করতে চেয়েছেন তাতে আপনি ১০০% সফল। কেমন জানি নিঃশ্বাস বন্ধ হয় আসলো গল্পটা পড়ে
ইসরাত
চোখ খুলে ভাগ্যকে তাই ধন্যবাদ দেয়া দরকার নিয়ম করে। কত ভালো আছি আমি-আমরা। ভালো থাকাটা আরো বেশি সুন্দর হতো যদি গোটা পৃথিবীর মানুষেরা নিজের মত করে ভালো থাকতো। দমবন্ধের বাসাতটা তখন ওভাবে জ্বালাতো না আর। অনেক ধন্যবাদ ইসরাত। ভালো থাকুন।
দারুন লেগেছে ! ! !
শিমু। আপনার জন্য
মর্মকে আমার নিতুনের মতই পিচ্চি একটা মিষ্টি বাবু ভাবতে ভালো লাগে।
সেই পিচ্ছি বাবুটা কেমন বড়দের মত সুন্দর করে মন্তব্য করেছে যা পড়ে মনটা দারুণ ভালো হয়ে গেলো
বিমল করের বই খুব বেশি পড়া হয়নি আমার। 'কড়ি দিয়ে কিনলাম', 'সাহেব বিবি গোলাম' এগুলো ওঁরই লেখা কী? হয়ে থাকলে এগুলো পড়া। 'দেওয়াল' বইটা পড়বার আগ্রহ হলো রে ভাই!
কিছু কিছু বই আছে যার ভেতরে আটকা পড়ে যায় মন। তেমন একটা বইয়ের কথা মনে পড়ছে এই মুহূর্তে 'মাথার উপর ছাদ' শংকরের লেখা। ওটা আমি সেই কবেই পড়েছি। কিন্তু রেশটা এখনো বুকের ভেতরে ঘাপটি দিয়েই আছে। অনেক ধন্যবাদ মর্ম
ঠিকই তো আছে! আমি এক্কেবার 'থোতো'
এগুলো বিমল মিত্র-এর লেখা। 'দেওয়াল' লিখেছেন 'বিমল কর', এঁর লেখা 'অসময়', 'সরস গল্প' আর 'গল্পসমগ্র' ছাড়া আমি খুব বেশি কিছু পড়িনি।
মিত্রমশায়ের ঐতিহাসিক উপন্যাসগুলো অসাধারণ বস্তু- দিন রাত ভুলে লেগে থাকার মত! আমার মনে আছে এস এস সি'র পর বিমল মিত্র খতম দিয়েছিলাম সাতদিনে- বেগম মেরি বিশ্বাস ২ খন্ড, সাহেব বিবি গোলাম অখন্ড, একক দশক শতক, কড়ি দিয়ে কিনলাম ২ খন্ড, চল কলকাতা- ভারতবর্ষের ইতিহাস নিয়ে তাঁর ২৩ বছরে লেখা সব বই। আর বোনাস হিসেবে সাথে ছিল - আসামী হাজির।
আমি অপেক্ষা করে আছি বাংলাদেশ নিয়ে এমন লেখা কবে হবে!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
থোতো মর্মের জন্য
বিমল করের লেখা মনে হচ্ছে আমার পড়াই হয়নি রে!
চমৎকার গল্প।
কিছুদিন আগে বিমল কর-এর 'দেওয়াল' পড়লাম- তার থেকে মন এখনো বেরিয়ে আসেনি! কী যে টানাপোড়েন, চাহিদা আর যোগানের- একটা মেয়ে, সুধা, ম্যাট্রিক পাশ একটা মেয়ে- তাই নিয়েই যুদ্ধ করে যাচ্ছে- পটভূমি দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের আগে পরের কলকাতা!
চাওয়া পাওয়ার এমন কাঠখোট্টা হিসেব পড়তে ভাল লাগে না, মন খারাপ হয়, খানিকটা দম বন্ধ হয়ে আসে, পকেট নিয়ে ভাবাটা এমনিতেই সবচেয়ে বাজে সময়ের একটা- সে হিসেবে গল্পটা মনে থাকবে অনেকদিন।
এ লাইনটাও মনে থাকবে হয়ত-
আর নিরাবেগ বর্ণনায় আবেগ ছুঁয়ে যাওয়াটাতেই আপনার সাফল্য বোধ হয়- মনে হল কেবল সাদা কালো একটা ছবি চলছে- পেছনে যান্ত্রিক ধারাভাষ্যকার বলে চলেছে---
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
গতিময় লেখনি
facebook
পইড়া কইলেন নাকি না পইড়া
ধন্যবাদ রে অণু
বাহ, বেশ লাগলো গল্পটা। কত কত দারুণ গল্পকার যে সচলের চিপাচুপায় বসে আছে। সবাই লেখা শুরু করলে আমার লেখার ব্যবসা গুটাতে হবে
টেনশন নিয়েন না উদাসদা। আপ্নেরা যেন দুইটা কইরা খাইতে পারেন সে ব্যাপারে আশরাফুলের মত বিবেকবান হবো কথা দিচ্ছি আপনাকে
ডাড়ুন!
****************************************
ডন্যবাড মনমাঝি
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
এই আশাদি তোমার আবার কি হলো রে? মুখভার কিসের জন্যে? তোমারও রাইটার্স ব্লক
নাকি গল্পটা পড়ে মন খারাপ হয়েছে দিদির! প্রথমটা হলে শুভকামনা থাকলো।
দ্বিতীয়টা হয়ে থাকলে কিচ্ছু নাই-ই বলি বরং....
ভালো থেকো রে দিদি
আর আমি বাকররুদ্ধ রণদা! কেন? এত এত মন্তব্য পেয়ে আসলে অভ্যস্হ নই আমি।
শিহরিত !!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
অনেক অনেক কথা বলার ছিল। বলতে পারলাম না। বানানে সামান্য ত্রুটি, গল্পের মধ্যে ছোটখাটো এক আধটা অতি নাটকীয়তা ইত্যাদির দোহাই তুলেও একেবারে ইয়ের মত সমালোচনাও ফেঁদে বসতে পারলাম। আবার পারতাম একটা স্যালুট ঠুকে কিংবা নিঃসঙ্গতার সিন ক্রিয়েট করে চলে যেতে। আরও অনেক কিছুই চিন্তা করতে পারতাম
কিন্তু একটাও পারলাম না। কারণ গল্পটা পড়ে গলার মধ্যে কিছু একটা আটকে গেছে
ডাকঘর | ছবিঘর
ফরফর করে আপনার মন্তব্যের উত্তরে আমিও কিছু বলবো কিনা ভাবছিলাম। কিন্তু আপনার শেষ লাইনটা
আটকে দিলো তাপস! গল্পপাঠের জন্য ধন্যবাদ।
আরে, দারুন গল্প লিখেছেন তো, কেম্নে পারেন? মনটা কেমন ছুঁয়ে গেল।
নিয়মিত লিখুন প্লিজ।
নতুন গল্প তাড়াতাড়ি দেখতে চাই, কোন না শুনব না, ব্যস!
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
কিরে বালিকা আমাকে আপনি আজ্ঞে করিতেছো কেনু?
নতুন মন্তব্য করুন