'বিজয়ের মাস বিজয়ী থাকুক বাংলাদেশে। বিজয় দিবস অমানুষের বিরুদ্ধে মানুষের বিজয়ের প্রতীক হোক সমগ্র বিশ্বে।
বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে থেকেও প্রতিটা মুহুর্তে বাংলাদেশে হৃদয় পেতে রেখেছে যে বন্ধু সেই বন্ধুর জন্য একটি সবুজ পতাকার ভালোবাসা। বাংলাদেশ তোমাকে ভোলেনি, যেমন তুমি ভোলোনি তোমার প্রিয় বাংলাদেশকে।
তুমি অনেক অনেক ভালো থাকো হে বাংলাদেশের মেয়ে। সময় কিংবা ভূগোল তোমাকে দূরত্বে রাখলেও তুমি সবসময় আমাদের কাছাকাছি আছো। এক নিঃশ্বাসের দূরত্বের চেয়েও নিকটতম। বাংলাদেশ নিয়ে তোমার চুপকথার গান বাজে আমাদের কানে কানে। সবকটা জানালা খুলে দাও না.............
বাংলাদেশ হারবে না, হারবে না তুমি। প্রতিকূল সময়ের বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবো আমরা। যখন যেখানেই থাকো, পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকো, আমরা একই সংঘের প্রতিনিধি। আমরা একই সবুজ পতাকা হাত রাখি। অভিনন্দন হে প্রিয় বন্ধু, তোমাকে বিজয়ী অভিবাদন!!!!!!!!'
সকালেই পেয়েছি ইমেইলটা। কতবার যে ঘুরেফিরে পড়েছি এটা। যদিও চিঠিটা লিখেছে আমার এক বন্ধু। কিন্তু ভাবতে ভালো লাগে আমার বাংলাদেশ পাঠিয়েছে এই শুভেচ্ছা বার্তা। এদেশের নির্মল আলো হাওয়াতে থেকেও কেন জানিনা বহুদূরের অনেক দোষে দুষ্ট দেশটাকে ভোলা যায় না। সম্ভবও না। খোঁচা দিয়ে যখন কেউ বলে, 'তুমি তো আম্রিকান এখন' তখন বোকার মত চোখের জল লুকাতে ব্যস্ত হয়ে যাই। স্পষ্ট করে বলা হয়না, চাইলেই নাড়ীর বাঁধন ছেঁড়া যায়? কিছু বাঁধন আছে, যা আপাত আলগা মনে হলেও তার শেকড় ছড়িয়ে থাকে সত্ত্বা জুড়ে। বাংলাদেশের বিশেষ দিনগুলোতে সে বাঁধনে কেমন একটা টান অনুভূত হয়। হয়ত এমনটা সবারই হয়। ঠিক জানিনা।
এমাসের শেষে বাড়ির সবার দেশে যাবার একটা প্ল্যান ছিল। কিন্তু আত্মীয় পরিজনেরা বার বার এখন যেতে বারন করছেন। কারণ দেশে এখন ভীষণ অস্হিরতা। যুদ্ধ চলছে নাকি। পত্রিকায় সবজান্তার বিবৃতিতে জানতে পারি। যুদ্ধ তো একটা চলছেই। একদল শকুন খাঁমচে ধরেছে সবুজ পতাকা। আরেকদল বুক দিয়ে আগলে রাখতে চাইছে। শকুনদের 'ছিঁড়ে খাওয়ার' বাসনায় বলি হচ্ছে নিতান্ত সাধারণ মানুষেরা। কোণঠাসা প্রায় বুক আগলে রাখার দল। আর অনেক দূরে বসে আমার মত স্বার্থপর কিংবা নিরুপায় কিছু মানুষ ভুশভুশ করে দীর্ঘশ্বাস ফেলে নইলে কান্না লুকায়। বুক টান করে বলতে সাহস পায় না, দেশটা ভালো নেই যখন তখনই তো তার পাশে গিয়ে দাঁড়ানোটা প্রয়োজন। শাহবাগ আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন একবার তেড়েফুঁড়ে ওঠেছিলাম দেশে ফিরবো বলে। পারিনি ফিরতে। এখনো স্বার্থপরের মত কসাই কাদেরের ফাঁসির আনন্দে কাচ্চির স্বাদ নিতে দ্বিধা না করলেও সব ফেলে চলে যেতে পারিনা। বন্ধু সান্ত্বনা দেয়, তুমি কী করতে পারো ফিরে গিয়ে? সামান্য একটা দেয়াশালাইয়ের কাঠির ক্ষমতাও নেই বুকে! হায় কী তুচ্ছ এই মানুষটার ক্ষমতা। বেনগাজির সেই সব্জি বিক্রেতার বুকের আগুন কেন আমাতে জ্বলে ওঠে না! কেন আমিও স্বার্থ ভুলে শকুনদের 'হেই ছেই' বলে ধাওয়া দিতে পারি না। কেন আমাকে এতটাই ক্ষমতাহীন করা?
এতসব দীনতার মাঝেও লোভীর মত দেশে ফেরার স্বপ্ন দেখি। আমার এক আত্মীয়ের ইচ্ছা ছিল, তিনি মারা গেলে তাঁকে যেন দেশেই কবর দেয়া হয়। কি এক সমস্যায় তাঁকে দেশে নেয়া সম্ভব হয়নি। এখানেই কবরস্হ করা হয়। তাছাড়া, মৃতদেহ বহনও বেশ ব্যয় সাপেক্ষ। সে ঘটনার পর থেকে সবার অগোচরে আমি একটু একটু করে পয়সা জমাই। ভ্যাদভ্যাদে আবেগ সর্বস্ব এই আমি কখনই চাইনা ভীণদেশের মাটিতে আমার কবর হোক। বার বার ঘুম ভাঙবে তবে। ছেলেবেলাতে মা'কে ছেড়ে যেমন থাকতে পারতাম না কোথাও। আমি জানি, মরেও অন্য দেশের মাটিতে শান্তিতে ঘুমোতে পারবো না। স্বার্থপরের মত তখন ঠিক চলে যেতে চাই তোমার বুকে। আমি জানি, তুমি ঠিকই ঠাঁই দেবে এই অধম সন্তানকে খুব মমতায়, খুব ভালোবাসায়। কারণ আমি তো তোমারই মেয়ে। আমি তোমার বাংলাদেশেরই মেয়ে!
মন্তব্য
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
এই প্রথম একটারে লটকে বিজয় দিবস এলো। ... ৪৫ দাঁত বের করে হাসতেছি কেবল
চাইরডা তারেকাণু নামের অভিশাপডারে ক্ষুদ্রঋণ দেন...
হ্যার মুহে অনেক ব্যাদনা... দাঁত কম তাই
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নারীর দাঁতে থুরি চোখে বিশ্ব দেখুন প্রকল্পের আওয়াতে কেবলমাত্র নারীদের দাঁত বরাদ্দে ক্ষদ্র ঋণ দেয়া হয়...অভিশাপ অণুরে কেম্নে আনি তারচে বরং তার সব দাঁতগুলো তুলে ফেলে দেয়া হোক। না থাকবে বাঁশ, না বাজাবে বাঁশি। নাকি বলেন?
যার পাঁজরের নিচে একটানা স্পন্দনের নাম দেশ। কে বলে সে প্রবাস মেনেছে। ভালো থাকুন। জয় হোক মানুষের।
স্বয়ম
ধন্যবাদ স্বয়ম। আপনিও ভালো থাকুন
বুঝতে পারছি, আপনি আছেন জেলে।
ত্বরাই দেশে আসবেন জামিন পেলে।
হ্যাঁ, এ দেশ আপনারও।দেশের বুকে আপনার জন্য স্থান অবশ্যই আছে।
ভাবনা আপনি নিজেই রচনা করেছেন নাকি এটা?
দারুণ হইছে কিন্তু
হ্যাঁ, আপনার লেখাটা পড়ে আমার এমনটাই মনে হলো।
ধারণাটা খুব যে ঠিক তা বলবো না। আবার এক্কেবারেই ভুল সেটাও হয়ত না।
অটঃ আমার যে প্রোফাইল পিকচার দেয়ার কথা ছিল তা আগেই দিয়ে দেয়ার জন্য ধিক্কার
ধিক্কারই দেন আর হিক্কাই তুলেন কিস্সু করার নাই ফটুকটা মহান হিমু সেই মহাপবিত্রদিনে দিয়েছিলেন।
সেদিন থেকে ট্রাই করে অবশেষে পাইলাম, আমি ইহাকে পাইলাম বুরি নজরওয়ালে তেরা মু'কালা
প্রবাসে থাকা মানুষগুলোর কষ্ট আমি খুব ভালোভাবে উপলব্দি করি, আর ভয় পাই। কারন আমার জীবনটাও যাবে হয়তো সেই পরবাসে, আমি ও হয়তো একদিন এমন করেই নিজের অসহায়ত্ব নিয়ে লেখবো।
বাংলাদেশকে যারা শুধু হৃদয়ে নয় রক্ত শ্রোতে মিশিয়ে নিয়েছে তাদের সবার মঙ্গল হোক। জয় বাংলা।
মাসুদ সজীব
ইহার নামই জীবন ব্রাদার! সেন্টু খেয়ে কাঁদবো, কাজে গিয়ে সব ভুলে থাকবো।
বাড়ি ফিরে ফের মন পুড়বে ছেলেবেলার খেলার মাঠ, বন্ধুস্বজন আর মায়ের শাড়ির আঁচলের জন্য।
তারপর ফিক করে হেসে ফেলে বলবো ওয়াটে এ্যা ওয়াণ্ডারফুল লাইফ ইট ইজ! মানুষ হয়ে জন্ম নেয়ার এই তো মজা আপনার প্রবাস জীবনের জন্য শুভকামনা থাকলো। ভয় পাবেন না আম্রা আছি সচলপরিবার
বিদেশে কবর বিষয়টা এতো সহজে সিদ্ধান্ত নেবার বিষয়ও না। বুড়ো বয়সে আপনার সন্তানেরা যারা ওখানে বড় হবে তারা আপনাকে সেখানে দাবি করবে।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
অন্য যে কারো ক্ষেত্রেই হয়ত কথাটা খুব বাস্তব সম্মত ভাইয়া।
কিন্তু আমি ব্যতিক্রম....
আপনার লেখাটা পড়ে হু হু করে কাঁদলাম কিছুখন---
এই একই স্বপ্নটা আমিও দেখি নিরন্তর
অনেক ধন্যবাদ বুকের কথা গুলো চোখের সামনে নিয়ে আসার জন্যে---
আপনাকে সেলাম!
আপনার স্বপ্নপূরণ হোক---
শুভেচ্ছা নিরন্তর
এই একটা ব্যাপারে আমরা যারা দেশ ছেড়ে দূরে আছি তাদের খুব মিল না রে ভাইয়া?
এই ইস্যুতে সব্বাই ছিঁচকাঁদুনে। আপনার স্বপ্নও পূরণ হোক ভাইয়া। অনেক শুভকামনা।
আপনার সেই বন্ধুটি খুব ব্যাতিক্রম নিশ্চয়ই। খুব কম বন্ধুরাই এভাবে ই-মেইল লিখে প্রবাসী কোন বন্ধুকে। তার প্রতি অশেষ শ্রদ্ধা।
লেখাটি আমাকে ছুঁয়ে গেছে।
বিদেশের সব কিছু ছেড়ে ছুড়ে দেশে ফিরে যেতে কেমন লাগে তা আমি জানি কারণ মাস্টার্স শেষ করে ভালোভাবে থেকে যাবার সুযোগ থাকা সত্বেও ফিরে গিয়েছিলেম দেশে (যদিও বাবা মা দুজনেই মারা যাওয়া ভেঙ্গে যাওয়া পরিবারের হাল ধরাটাই মূল কারণ ছিল)।
একটু সামলে নেয়ার পর চলে এলাম আরেক দেশে। কাজের মাঝেই ঘুরছি এখন নানান দেশে।
তবে নিশ্চিত জানি একদিন আমি আবার ফিরে যাবো দেশে। নিজেকে বোঝাই, আমি জানি আমি চলে যেতে পারি।
পুরো পৃথিবীটাকেই নিজের দেশ ভাবতে চেষ্টা করি। যদিও তখন নিজের দেশটাকে মনে হতে থাকে নিজের ঘর। দেশ থেকে দুরে থাকা আর নিজের ঘর ছেড়ে দুরে থাকার কষ্ট তো আর আলাদা কিছু না!
নিঃসন্দেহে আমার বন্ধু ব্যাতিক্রমী মানুষ! আপনার শ্রদ্ধা যথাস্হানে পৌঁছে দেবো।
গোটা পৃথিবীকে আপন ভাবতে পারার মত একটা মন আপনার আছে, এটা যে কত বড় একটা গুণ!
আপনার জন্য শুভকামনা। আপনার বাবা মায়ের প্রতি অনেক ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা থাকলো।
জার্মানিতে পড়ছে এমন এক বাঙালি তরুণীর কথা ফেসবুকসুত্রে জানলাম একটু আগে। গতকাল এক কোর্সের স্লাইড প্রেজেন্টেশানে একটা শৈবালের উদাহরণ দিতে গিয়ে এই ছবিটা দেখিয়ে বলেছিলেন ওটার স্ত্রেইন কিছু সময় পর আমাদের পতাকার লাল রং এর মতো হয়। এরপর খুব সুন্দর করে ব্যাখ্যা করেন যে, আজ আমাদের বিজয় দিবস আর এই লাল সবুজ রং এর তাৎপর্য।
সময় কিংবা ভূগোল দূরত্বে রাখলেও এমন মেয়েরা তো সবসময় মনে মনে দেশের কাছাকাছি-ই থাকে।
তাই না?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ছেলে মেয়ে নির্বিশেষেই তাই থাকি রে!
সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন আমাদের তিথীও ওরাম করে নিজের প্রেজেন্টেশানে দেশের কথা বলবে...না রে? জার্মনে অবস্হানরত বোনটির জন্য শুভকামনা থাকলো। ফেবুর ফটুক দেখতে পারলাম না রে! তোমার ফটুক দিয়েছো পোস্টে? দেখবো গিয়ে। ভালু থেকো বালিকা
"সেতারেতে বাঁধিলাম তার/ গাহিলাম আরবার / মোর নাম এই বলে খ্যাত হোক / আমি তোমাদেরই লোক"
আপনারাই তো বাংলাদেশের মানুষ। বিদেশীদের পা চাটা চারপেয়ে জীবগুলো নয়। সাধারণ মানুষের কাঁধেই ভর করে চলছে বাংলাদেশ, নিজেদের পকেট ভারানোর প্রচেষ্টায় রত দেখতে দু পেয়ে আসলে চারপেয়েগুলোর উপরে নয়।
____________________________
খুব ঠিক, আমি কোনো আগন্তুক নই, নই কোনো ভীনদেশি। আমি তোমাদেরই লোক
কেউ দেশের বাইরে যাবে শুনলে আমার অদ্ভুত খারাপ লাগে, এত বছর হয়ে গেল- বাস্তবতা এসে কত কিছুই শিখিয়ে গেল, কত চিন্তা বদলে গেল- আশ্চর্যের ব্যাপার- এই খারাপ লাগাটা একেবারেই কমলো না। মাঝে মাঝে আমাদের দৈনন্দিনের ছবিগুলো থেকে নিজেকে সরিয়ে ফেলে ছবিগুলো দেখার চেষ্টা করি- কী অসম্ভব একটা ব্যাপার! ফেসবুক ব্লগের এই যুগেও চলে যাওয়ার খাতায় নাম লিখিয়ে ফেলাদের দূরের মানুষই মনে হতে থাকে, কোত্থেকে ঘন গাঢ় পর্দায় ওরা ঢেকে যেতে থাকে- গেল কয় বছরে কতজনেরই বদলে যেতে থাকা, দূরের হয়ে যেতে থাকার অভিজ্ঞতা বোধ করি 'মায়পিক' করে দেয় কেবল।
আপনাদের লেখাগুলো পড়ি, গুমড়ে থাকা হাহাকারগুলো ছুঁয়ে যায়, কখনো কখনো প্রবাসে থাকা সন্তানদের ভাঙ্গা গলায় বাংলা গান গায়ে শিহরণ তোলে একদম; আপনাদের ফিরে না পাবার পূর্ণ আশংকা নিয়েও ভাবতে ইচ্ছে করে দেশের আর দেশের মানুষদের দুর্দমনীয় হ্যাঁচকা টানে আপনারা একদিন ঠিকই দেশে ফিরে আসবেন।
চিরতরে ফিরে আসার অবশ্যম্ভাবী আনন্দ নিয়ে লেখা আপনাদের পোস্টগুলোও আমার চোখ এড়িয়ে যাবে না।
আপনাদের সবার জন্য শুভকামনা।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
এই বাক্যটাতে নিজের ইচ্ছা, বিশ্বাস যাই বলুন গুঁজে দিলাম ভাইয়া। শুভকামনা আপনার জন্যেও।
আয়নামতি দিদি, তোমার হৃদয়ে তাকে ধরে রেখেছ তুমি। যেখানেই যাও, সে তোমার সাথেই আছে। অবশ্যই তুমি তোমার বাংলাদেশের মেয়ে।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
------
সেই প্রথমদিকেই আত্মাকে ছুঁয়ে দিয়েছো তুমি। তাই দাদা কিংবা দিদি যাই হও না কেন খুব একটা যায় আসে না। ঠিকনা দাদাভাই? তুমি যে একটা আস্ত এ্যালভেসপ্রিসলি এ তথ্য জানা হলে কী হাসিটাই না হেসেছি।
তবে সিরিয়র হলেও তোমায় বাপু আপনি আজ্ঞে বলতে পারবো না নতুন করে। সে আমায় বেয়াড়া বেয়াদব যা খুশি বলো। ঠিকাছে একলহমাদিইইইইইই
হ্যাঁ: তোমার কাছে আমি তোমার ইচ্ছেমতন যখন খুশী দাদাভাই অথবা একলহমাদি। পরে যারা নুতন আসবে তাদের জন্য কি যে এক গোল পাকিয়ে রাখব আমরা ভাবলেই গুবগুবিয়ে হাসি আসছে। আর আপনি আজ্ঞের কথা আসবে কোথা থেকে? সে তো কবে, সেই আলাপের সময়ই আমাদের প্রিয় সংঘ-ভবনের জানালা দিয়ে আমরা বাইরে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলাম।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
ঠিক! ঠিক!
কে বলে আপনারা ক্ষমতাহীন। আপনাদের এই সব লেখাই দেশলাইয়ের আগুনের মতো আমাদের ভেতর স্ফুলিঙ্গ তৈরী করে। দেশে বাস করা আমাদের ভেতর চেতনা জাগ্রত করে। দূর থেকেই আপনারা যে ভালোবাসার অনুভুতিতে বাংলাদেশকে দেখেন, দেশের খেয়ে দেশের পরেও কৃতঘ্ন কিছু মানুষ তার এক শতাংশও দেখতে পায় না। আপনার স্বপ্ন সফল হউক।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ছোটবেলার খেলার মত আমাকে/আমাদের যে 'দুধভাত' ভাবা হয় না এটা সত্যিই মনে কী যে আনন্দ হয়ে ফুটতে থাকে শব্দে ঠিক বলে বোঝানো আমার পক্ষে সম্ভব না। দেশটাকে নিয়ে আমাদের সবার স্বপ্ন এক রঙের।
সেটাতে পূর্ণতা আসুক নীড়ভাইয়া।
খুব সুন্দর আর সত্যি এই কথাটা।
দেশের মেয়েরা আসলে দেশেই থাকে, থাকাটা সবসময় হয়তো শারিরীক হয়না, কিন্তু তাতে কি? মনের মধ্য একটুকরো লাল সবুজ নিয়েই তো আমাদের বেঁচে থাকা!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
নতুন মন্তব্য করুন