যা দেখছি, যা পড়ছি, যা শুনছি, যা ভাবছি...

আয়নামতি এর ছবি
লিখেছেন আয়নামতি [অতিথি] (তারিখ: শনি, ০৬/০৯/২০১৪ - ৫:০১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কি পড়ছি:
এক সাথে বেশি বই পড়ার অভ্যেস আমার ছিল না। এখন কিভাবে জানি এমন অভ্যস হয়ে যাচ্ছে। ব্যাপারটা আমার মত পড়ুয়ার জন্য নতুন এবং বেশ কিছুটা খাবি খাওয়ার মত অবস্হায় দাঁড়াচ্ছে। কারণ খুব তাড়াহুড়োয় কিছু পড়ে ফেলা আমার ধাতে নেই(মাথায় ঘিলু কম থাকলে যা হয়)। একটা বই পড়তে গিয়ে শতেক হ্যাপায় না জড়ালে ঠিক চলেনা আমার। আচ্ছা বইতে এটা বলছে? ঠিকাছে আরো কিছু খোঁজ খবর নেয়া যাক বিষয়টি সম্পর্কে। কিংবা পাওয়া গেলো একচিলতে রোদের মত দু'ছত্রের কোন কবিতা অথবা গানের আভাস। সেটার পুরোটা না শুনলে কিংবা না পড়তে পারলে আমার যেন পেটের ভাত হজম হতে চায় না।

আমি জানিনা এমন ধারার বিপাকে ক'জনে পড়েন। তবে মাঝে মাঝে এটা উপভোগের না হয়ে বিরক্তিকর হয়ে দাঁড়ায়। যখন খুঁজতে থাকা গান কিংবা লাইনের সন্ধানটা না পাওয়াই থেকে যায়। একটা খচখচনি চলতেই থাকে বইটা পড়তে থাকা সময়টুকু জুড়ে। তো এমন বাড়তি ঝামেলাকে সঙ্গী করে গোটা পাঁচেক বই পড়তে শুরু করাটা আমার হয়ে উঠবে না। এ পর্যন্ত সবোর্চ্চ তিনটি বই এক সাথে পড়ে যাবার রেকর্ড করেছি। এখন পড়ছি দু'খানি বই। একটি সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়ের গল্পসমগ্র-১, এবং শ্রীপান্থের 'পড়ার বইয়ের বাইরের পড়া'। খানিকটা পড়া অবস্হায় পড়ে আছে, সিমোন দ্য বোভোয়্যার(Simon de Beauvoir )'দ্যা সেকেণ্ড সেক্স'। মাথার ভেতরে পাগলাটে চিন্তা ভাবনা ঘাপলা করায় বইটা আপাতত সরিয়ে রেখেছি। পরে হয়ত পড়ে ফেলবো হুট করে।

সন্দীপন, আমি এর আগে পড়িনি। শ্রীপান্থের লেখা "ঠগী" পড়ে লেখক সম্পর্কে আগ্রহ জন্মানোর কারণে তাঁর দ্বিতীয় বই পড়া শুরু করেছি। বেশ তথ্যবহুল এবং মজারু বই এটি। অন্যদিকে সন্দীপনের বইয়ের শুরুতেই ভূমিকা পড়ে তাঁর লেখনশৈলির প্রেমেই পড়েছি ধপাস্।

কি শুনছি:
বিগত কয়েক বছরে গান না শুনে একদিনও থেকেছি কিনা এমনটা মনে করতে পারিনা। মানুষ যে পরিস্হিতির সাথে সাথে কতটা বদলে যেতে পারে আমিই তার বড়সর এক প্রমাণ। আগে হেডফোন ব্যবহারের কথা ভাবতেই পারতাম না। মাথা গরম হয়ে যেত কিছুক্ষণ শোনার পরই। এ নিয়ে বাড়ির লোকজন, বন্ধুরা খুব হাসাহাসি করতো। আর এখন? সারাক্ষণই আমার কানে গোঁজা থাকে লাল গেঁদাফুলের মত হেডফোন! এমন কতবারই হয়েছে ফোন বেজে গেছে নিজ দায়িত্বে। কিংবা কোন দরকারে আমাকে ডাকা হচ্ছে। গান শোনার ধুমে রিং কিংবা ডাক কিছুই শুনতে পাইনি আমি! এতবেশি গান শোনার ফলাফল হিসেবে জায়গা বেজায়গা ভুলেই বাজতে থাকা গানের সাথে নিজেও হিড়িম্বা কন্ঠে গেয়ে উঠি মাঝে মাঝে। একবার সুনশান এক দুপুরে লাইব্রেরিতে ওরকম গেয়ে উঠে কতগুলো অবাক চোখের সামনে সেরকম বিব্রত হতে হয়েছিল!

আরে! কথা তো শুরু করেছিলাম কি শুনছি এখন, তা নিয়ে। কিসব শুরু করেছি! এই আরেক বদ্যাভাস! এক কথা থেকে অন্য কথায় নিজের মনপ্রাণ সঁপে দেয়া। 'শেইম অন মী!' ভাবছেন আমি লজ্জিতবোধ করছি? ভুল ধারণা হে! ঐ শিরোনামে আমার খুব প্রিয় কেইথ আর্বাণের গানটা দু'দিন ধরে খুব শুনছি। সাথে চলছে সেই এক গান, 'না বোলু ম্যায় তো কালিজা ফুঁকে (গানের অর্থ সবটা ঠিক মত বুঝিনা যদিও, কিন্তু খুব টানে গানটা)''। তিনটে গান আমি রুটিন করে শুনি। ' বি'কজ আই অ্যাম হ্যাপি', 'আজ যেমন করে গাইছে আকাশ' এবং 'নিটল পায়ে রিনিক ঝিনিক পায়েল খানি বাজে(শচীনকর্তা)'। মন খারাপের মুখে লবনের ছিঁটের মত মোক্ষম দাওয়াই হতে পারে গানগুলি।

কি খাচ্ছি:
দুঃখের কথা আর কি বলি! এই আমি প্রায় প্রতিদিন না হলেও দু'দিন পরপর আইসক্রিম খেতে ছুট দিতাম। চকলেট ক্যাণ্ডি তো মুড়ি মুড়কি আমার কাছে। ঠ্যাং ভাঙবার পর বাড়তি আদর যত্নে এমন খোদার খাসী হয়ে গেছি যে প্রিয় খাবারগুলোকে নির্দয়ের মত দূরেই রেখেছি এখন। আগে সালাদ দেখলেই নিজের পিত্তি জ্বলে যেত বলে অন্যের পিত্তি জ্বালনো বাক্য ঝাড়তাম। গরু ছাগল নাকি যে ঘাস পাতা খাবো! আহা রে। গ্রাম দেশে প্রবাদ আছে না একটা? 'যে কাপড় নিন্দে, সেই কাপড়ই পিন্দে?' আমার হয়েছে সেই দশা! মেদভূঁড়ি কী করি'র হাত থেকে বাঁচার জন্য সেই ঘাস পাতাই চিবাতে হচ্ছে। তাই বলে যেনতেন ভাবে খাইলেই হবে নাকি? সেক্সি ডিমভাজা হতে পারলে সেক্সি সালাদ কেন নয়! গুগল মামা আছে কেন? মামার দেয়া কিছু রেসিপির সাথে নিজের মনের মাধুরী মিশিয়ে যে সালাদ আমি রচনা থুরি তৈরি করি, তা খেয়ে যে কেউ আমাকে 'সালাদকুইন' খেতাবে ভূষিত করতে মরিয়া হয়ে উঠবেন এটা নিশ্চিত! না না যা ভাবছেন তা নয়। একবেলাই সালাদ খাচ্ছি। লাঞ্চে। সকালে একমুঠো নিজের তৈরি করা ক্রাঞ্চিমাঞ্চির সাথে এক কাপ কফি/চা। রাতে এক কাপ ভাত সব্জি, ১-২ টুকরো মাছ বা মাংস। এই খাদ্য তালিকা মেনেই চলছি এখন।

কি দেখছি:
আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি, মুভি দেখবার সময় পাচ্ছি না সেভাবে। তারপরও কিছু মুভি দেখে ফেলেছি, পড়ে পাওয়া সময় হাতে পেয়ে। "Rabbit-Proof Fence'', ''Hawaa Hawaai'' "Like father, like son" এবং "Twice Born"। এদের মধ্যে প্রথমটি ইংরেজি ভাষার। দ্বিতীয়টি হিন্দি ভাষার।
লাইক ফাদার লাইক সন জাপানিজ ভাষার হলেও উদ্ধার কর্তা হিসেবে ইংরেজি সাব আছে এবং শেষোক্তটি ইংরেজি/ইতালিয়/বসনিয়ান ভাষার।

দাঁড়ান, দাঁড়ান যারা 'ওহ হিন্দি মুভি!' বলে নাক সিঁটকাচ্ছেন তাদের বলছি 'তারে জামিন প্যার' মুভিটা দেখেছেন? ভালো লেগেছে? তাহলে চোখ বন্ধ করে দেখতে বসে যেতে পারেন। ওমা! চোখ বন্ধ থাকলে আর দেখা হয় কেম্নে! তাই তো। নাহ্ দু'চোখ খুলেই দেখুন বরং। স্বপ্ন দেখতে ভয় পায় কিংবা ভালোবাসে এমন মানুষদের জন্য মুভিটি বেশ কিন্তু!

অনেকেই হয়তো দেখেছেন আগেই। আমি দেখলাম সম্প্রতি। "র‍্যাবিট প্রুফ ফেইন্স"। অস্ট্রেলিয়ার এক অজানা কুৎসিত ইতিহাস নিয়ে তৈরী মুভি। যারা দেখেননি তাদের জন্য এটা সুপারিশ করছি, গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি ছবিটা দেখে সময় নষ্টের আক্ষেপ হবে না আপনার। বাকিদুটোর জন্যেও একই কথা।
মুভির শেষে দর্শকের জন্য এমন ঝাটকা আছে যে না দেখলে ঠিক বোঝা যাবে না আসলে! বিশেষ করে "Twice Born" এ। কাজেই সময় পেলে দেখে ফেলতে পারেন।

কি ভাবছি:
ভাবনার পায়ে তো শেকল পরানো যায় না। তাই সে হাতেপায়ে বাড়তে থাকে। কত যে সব হাবিজাবি ভাবনা আসে আর যায়। গতকাল সচলের এক লিংক ধরে চলে গিয়েছিলাম কোন এক পত্রিকার পাতায়। সেখান থেকে জানতে পারি আড়ালে আড়ালে কোথাও কতগুলো কুচক্রী নাকি ষড়যন্ত্রে মেতেছে! গোয়েন্দাদের এমনই ভাষ্য। ঘটনা যদি সত্যি হয় তবে কি আরো একটি ১৫ই আগস্ট আসন্ন? ভাবতে চাই না এমন অশুভ বিষাদী ভাবনা!

গতকাল আরো একটি খবর পড়ে মনটা খুব ভচকে গেছে। না চাইতেও সেটাই ভাবনায় এসে যাচ্ছে বার বার। ইয়াহুর নিউজের শিরোনাম হওয়া সেই মেয়েটির কথা ভাবনাকে ভারী করে ফেলছে তাই। আসলে সমাজের একটা অংশ শিক্ষা দীক্ষায় এগিয়েছে এবং নিজেরাই তাতে লাভবান হয়েছে কেবল। বাকি অংশ পড়ে থেকেছে পেছনেই। অশিক্ষা আর কুসংস্কার যাদের জীবন ঘিরে থেকে গেছে এখনো। নইলে এসময়েও নাকি মানুষকে কুকুরের সাথে বিয়ে দেয়া হয়! ও ভুলেই গিয়েছিলাম মেয়েরাও যে মানুষ এমন ধারণা আজও সমাজের কিছু মানুষ করতে ব্যর্থ, বেশ ভালোভাবেই ব্যর্থ। নইলে মেয়েটির সাথে কুকুরের বিয়ের আগে সেই কুকুরের মতামত চাওয়া হয়েছিল কিনা জাতীয় কুৎসিত প্রশ্ন মন্তব্যের ঘরে শোভা পাবে কেন!

ভারী ভারী ভাবনা এসে মাথায় যখন তালগোল পাকায়, সেরকম মুহূর্তে আমি ভাবতে থাকি সেই নীল দরজার বাড়িটির কথা। এ বাড়ির গল্পই শুনেছি কেবল। দেখা হয়নি সে বাড়ি। যার সদর দরজা নীল রঙের। ঐ নীল রঙটা মাথায় আটকে গেছে। নাকি বুকে? হয়ত বা। কোথাও ফেরার কথা মনে পড়লেই খুব আশ্চর্যজনক ভাবে আমার নীল দরজাওয়ালা বাড়িটার কথাই প্রথম মনে ভাসে। না দেখা মাঠ কিংবা প্রান্তর যতটা কৌতুহল নিয়ে ভেসে থাকে কারো কারো মনে? তারচে' অনেক বেশি কৌতুহল কিংবা আকাঙ্খায় জেগে থাকে নীল দরজার বাড়িটি। তোমাদের বাড়ি!


মন্তব্য

মরুদ্যান এর ছবি

নটিং হিল সিনেমায় হিউ গ্রান্ট যে বাসাটায় থাকত তার দরজাও নীল!

কোলাজে উপরে ডান দিকের ছবিতে সালাদের উপরে কি মাছের চপ?

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

আয়নামতি এর ছবি

খাইছে নটিং হিল আমার খুব পিয় একটা মুভি!
ঠিক মাছের চপ না, বেকড কড।
ধন্যবাদ পড়বার জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

এক লহমা এর ছবি

৫ তারা।
বড়ই ভাল লাগিল, সাথে উদাস ও হই গিলাম! দিদিরে, কত কি কর তুমরা! আমি হুদাই দুই-চার মন্তব্য লিখি আর ঘুম যাই! আর বলি, সময় নাই, সময় নাই, সময় নাই!

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

আয়নামতি এর ছবি

মাত্তার ৫ তারা দিলা ওঁয়া ওঁয়া
হেহেহে তোমাদের তো রাজ্যপাট সামাল দিতে হয়, আমি সেসব হ্যাপায় নেই বলেই না এত সময় পাই হাসি
মুভিগুলো কী তোমার দেখা আগেই দাদাই? না দেখে থাকলে দেখো সময় করে।
অনেক আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- তোমাকে।

গান্ধর্বী এর ছবি

এহ আয়না দিদি এত কিছু করেন কীকরে একসাথে? আমি বড় আলসি মেয়ে, একসাথে দুটো বই পড়া হয় না কখনোই। মন খারাপ
মুভির নামগুলো শুনে চোখে জল( নাকি জিভে) চলে এল খুশিতে, আমিও দেখে ফেলব শিগগিরি।

------------------------------------------

'আমি এখন উদয় এবং অস্তের মাঝামাঝি এক দিগন্তে।
হাতে রুপোলী ডট পেন
বুকে লেবুপাতার বাগান।' (পূর্ণেন্দু পত্রী)

আয়নামতি এর ছবি

এটা বুঝি এতকিছু হলো! অনেকের মতে এগুলো সবই অকাজ।
বই পড়ার ব্যাপারে আমিও একটা বই পড়ার নীতিতেই ছিলেম হে।
কিন্তু পিতিমিময় এতসব বই আর সময় এত অল্প দেখেই চারহাতপায়ে পড়ার চেষ্টা।
চোখের জলমুছে মুভিগুলো দেখে ফেলুন এবং আপনার অনুভূতি শেয়ার করুন।
অপেক্ষায় থাকলাম কিন্তু গান্ধর্বী এ নিয়ে আপনার পোস্টের।
অনেক অনেক আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- নিন।

আয়নামতি এর ছবি

একটি বাক্য, শব্দ বা নতুন টার্মের পরিপূর্ণ অর্থ না জানা পর্যন্ত আমি আর এক প্যারাও এগুতে পারি না। তাছাড়া রয়েছে, ভাল কোন বাক্য বা লাইন সংরক্ষন করে রাখার হ্যাপা!

সে আর বলতে!

কানে গোঁজা থাকয়ে হেডফোন!

নিজে যেটা করছি অন্যকে সেটা মানা করতে যাওয়া কেমন জানি দেখায়। তারপরও বলি, বেশিক্ষণ হেডফোন ব্যবহার না করাই ভালো দিনুদা। এখানে তো শব্দদূষণ নেই তেমন। কিন্তু দেশে তো ওসব হজম করেই কানকে বাড়তি বোঝা টানতে হয়। তাই বলা। স্ববিরোধী আচরণ যদিও তারপরও কইলাম আর কি খাইছে

একগাদা পয়সা খরচ না করে নিজেই বাড়িতে সালাদ বানিয়ে খেতে পারেন তো!

হ্যা দেখে ফেলুন এবং অনুভূতি শেয়ার করুন আমাদের সঙ্গে।

আজ যে পাশ্চাত্য জগত নারী স্বাধীনতা বা সম-মর্যাদা প্রতিষ্ঠার বড়াই করে, তারা কতটুকু ধারণ করে এই সম-মর্যাদা?? হিলারি যেবার প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছিলেন প্রাইমারি ইলেকশানে ওবামার সাথে, আমেরিকার নারী স্বাধীনতার সত্যিকারের রূপ বেরিয়ে পড়েছিল, স্বয়ং হিলারিও দুঃখ করেছিলেনে এজন্য! অনেক আমেরিকানের পক্ষে তাও একজন কৃষ্ণাংগ প্রেসিডেন্ট মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল, কিন্তু নারী প্রেসিডেন্ট দেখতে চায়নি তারা!

সবুর করেন সব কিছু ভেঙেচুরে মাইয়া প্রেসিডেন্ট এলো বলে! আশার বাসাকে ছোট করতে নেই হে।
তবে আপনার কথাটা খুবই সত্যি এবং এটায় দ্বিমতের অবকাশ নেই।
আপনিও অনেক ভালো থাকুন দিনুদা আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- নিন।

দীনহিন এর ছবি

একটা বই পড়তে গিয়ে শতেক হ্যাপায় না জড়ালে ঠিক চলেনা আমার। আচ্ছা বইতে এটা বলছে? ঠিকাছে আরো কিছু খোঁজ খবর নেয়া যাক বিষয়টি সম্পর্কে।

আমারও ঠিক এমন হয়, এজন্য অন্যরা যেখানে একসাথে শুরু করে অতঃপর শেষ করে আরেকটি হাতে নিয়ে ফেলে, আমার চর্বন প্রক্রিয়া চলতেই থাকে। একটি বাক্য, শব্দ বা নতুন টার্মের পরিপূর্ণ অর্থ না জানা পর্যন্ত আমি আর এক প্যারাও এগুতে পারি না। তাছাড়া রয়েছে, ভাল কোন বাক্য বা লাইন সংরক্ষন করে রাখার হ্যাপা!

সারাক্ষণই আমার কানে গোঁজা থাকে লাল গেঁদাফুলের মত হেডফোন!

আমারই একই অবস্থা, অফিসের কাজ শেষে আমার বাকী থাকে আর একটাই কাজ, নেটের সামনে বসা, আর কানে গোঁজা থাকয়ে হেডফোন!

তিনটে গান আমি রুটিন করে শুনি। '

আমি অনেক গান শুনি, তবে সবচেয়ে বেশী শুনি শাহ আব্দুল করিমের গান, আর মান্না দের 'তুমি নিজের মুখে বললে যেদিন'!

মেদভূঁড়ি কী করি'র হাত থেকে বাঁচার জন্য সেই ঘাস পাতাই চিবাতে হচ্ছে।

আমিও সালাদ বা কাস্টার্ড পছন্দ করি না তেমন। সেদিন একটা রেস্টুরেন্টে জিজ্ঞেস করছিল সালাদ দেবে কিনা, আমি বললাম, দিন, দেখলাম, সালাদের পরিমান মূল খাবারের কাছাকাছি, একটু অবাক হলেও বুঝলাম না, চিবুতে লাগলাম মনের আনন্দে, তবে ঝাল টের পেলাম বিল দেয়ার সময়, সালাদের দাম ছাড়িয়ে গেল মূল খাবারকেও!

"র‍্যাবিট প্রুফ ফেইন্স"।

আচ্ছা, ডাউনলোড করছি তাত্তারি!

ও ভুলেই গিয়েছিলাম মেয়েরাও যে মানুষ এমন ধারণা আজও সমাজের কিছু মানুষ করতে ব্যর্থ, বেশ ভালোভাবেই ব্যর্থ।

এখানে আমার একটা কথা আছে, আয়না। আজ যে পাশ্চাত্য জগত নারী স্বাধীনতা বা সম-মর্যাদা প্রতিষ্ঠার বড়াই করে, তারা কতটুকু ধারণ করে এই সম-মর্যাদা?? হিলারি যেবার প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছিলেন প্রাইমারি ইলেকশানে ওবামার সাথে, আমেরিকার নারী স্বাধীনতার সত্যিকারের রূপ বেরিয়ে পড়েছিল, স্বয়ং হিলারিও দুঃখ করেছিলেনে এজন্য! অনেক আমেরিকানের পক্ষে তাও একজন কৃষ্ণাংগ প্রেসিডেন্ট মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল, কিন্তু নারী প্রেসিডেন্ট দেখতে চায়নি তারা!

ভাল থাকুন, আয়না, আপনার দেখা, পড়া, শোনা, এবং ভাবনা চলতে থাকুক! হাসি

.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

চলুক

____________________________

আয়নামতি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

মনটা বড্ড উদাস! আপনার লেখাটা পড়ে আবার 'Hawaa Hawaai'দেখেও বটে। ভাবছি...।
আর বই পড়ার বিষয়ে আমি খুব হিসেবি। একটা বইয়ের কয়েকটা প্যারা পড়ে সেই নিয়ে নানা কথা ভাবতে বসি। এভাবে ক'দিনে বইয়ের সামান্যই পড়া হয়। সেটা ফেলে আরেকটা ধরি, আবারও আরেকটা। প্রথম বইটায় ফিরে এলে পড়া বিষয় আবারও নতুন করে পড়তে হয় তাতে মনে হয় আগেরবারের চেয়ে যেন আলাদা কিছু পেলাম। এভাবেই একসাথে চলতে থাকে তিনটে-চারটে। বই শেষ হতে ম্যালা সময় লাগে। তা, বই পড়তে একটু সময়তো লাগবেই। পয়সা দিয়ে কিনতে হয়না! প্রতিদিনতো আর নতুন বই কিনতে পারিনে। সেটা যে বড্ড বাজে খরচা!
আর হেডফোন! আমি শুতে যাই কানে হেডফোন লাগিয়ে। গান শুনতে শুনতে হয়তো ভোর রাতের দিকে চোখটা একটু ধরে আসে। বয়স হয়েছেনা! অনিদ্রায় ভুগিযে!
লেখাটা ভাল লেগেছে। আর সিনেমার নামগুলো জানাবার জন্য অনেক অনেক আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

আয়নামতি এর ছবি

মন উদাস হইল কেন এই পোস্ট পড়ে! দাদাইও দেখি এমনই বলেছে, ঘটমা কি! চিন্তিত
এক সময়ে আমিও পড়তাম ওভাবেই। এখন স্বভাব বদলেছে। আমাদের সম্পদ বা সম্পত্তি যাই বলুন ছিল এক ঘর বই!
বাবা নানান দেশে গিয়ে হরেক কিসিমের জিনিসের চেয়ে বই'ই আনতেন বেশি। একবার ইয়া বড় বড় দুই ট্রাক ভরে এসেছিল প্যাকিং বক্স। বাড়ির সবাই তো সেইরাম খুশি! আহা কত কী এলো তাদের জন্য। পরে বক্স খুলে দেখা গেলো খালি বই আর বই দেঁতো হাসি জন্মসূত্রেই বইয়ের প্রতি তাই কেমন একটা দুর্বলতা আছে। আমার সবচে' বড় বন্ধু আমার বাবা। ওঁর সাথে বসে প্রথম দেখা 'পথের পাঁচালি' সবচে' আনন্দের স্মৃতি আমার। কিছুক্ষণ পর পরই বাবা জানতে চাচ্ছিলেন 'বুঝলে এখানটায়' আমি সব সময়ই বুঝু পণ্ডিত ঘাড় নেড়ে বলতাম খুউব বুঝি!
কানে হেডফোন দিয়েই ঘুমোতে যান! বাপ্রে আপনি তো সবাইকে ছাড়িয়ে গেলেন এক্ষেত্রে।
টকিং এ্যাবাউট সিনেমার নাম! বলতে শুরু করলে তো তখন বলবেন, ঢের হয়েছে এবার থামো দেখিনি বাপু!'
হেহেহে ফ্রেণ্ডরা ভয়ে ভযে থাকে কখন নতুন বইয়ের নাম বলে তাদের খোঁজবার জন্য বলে বিপদে ফেলি।
কখন সিনেমার গপ শোনাতে বসে যাই শয়তানী হাসি পোস্ট পড়ার জন্য অনেক আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ধুসর জলছবি এর ছবি

এক্কেবারে পার্ফেক্ট ব্লগরব্লগর দেঁতো হাসি
বই পড়তে গিয়ে আমিও শতেক হ্যাপায় পড়ি। পুরোটা না জানলে না বুঝলে অস্থির লাগে। আর একসাথে একটার বেশি বই পড়তে পারি না। যেটা ধরি ওটা শেষ না করা পর্যন্ত শান্তি পাই না। এখন পড়ছি my name is red, Orhan pamuk এর্। এর আগে পড়লাম istanbul. আমার অভ্যাস একজন লেখকের একটা পড়লে এরপর তার লেখা পড়তেই থাকি একের পর এক। সেকেন্ড সেক্স বইটি পড়তে গিয়ে কেন যেন শেষ করিনি। হুমায়ূন আজাদের অনুবাদ ছিল। আপনার পোস্ট পড়ে এখন মনে পড়ল। :/
Twice born আর incendies মুভি দুইটা দেখে ভাল ধরনের ধাক্কা খেয়েছিলাম মন খারাপ :(

আয়নামতি এর ছবি

পোস্টকে পার্ফোক্টো বলার জন্য জলছবিকে উত্তম জাঝা! খাইছে
এক বইতে মত্ত থাকার আনন্দটা একদম অন্য রকম। মনটা এক জায়গাতেই(ভাবনা/বিষয়বস্তু)
স্হির থাকে। চিন্তার জন্য অনেকটা স্পেস পাওয়া যায়। কিন্তু একের বেশি বইতে সেটা আর ওভাবে উপভোগ করা যায় না যেন। আমার এমনই মনে হয়। তবুও অভ্যেসটা বদলেই নিলাম। নইলে না পড়া বইয়ের সংখ্যা বাড়তেই থাকবে মন খারাপ
মাই নেম ইজ খান থুরি, রেড পড়েছি। কিন্তু Istanbul পড়িনি রে! পড়ে অনুভূতি শেয়ারের আব্দার করছি জলের কাছে দেঁতো হাসি
ধারাবাহিক হলে পড়ে ফেলি এক লেখকের বই। কিন্তু এক নাগাড়ে কেন জানি একই লেখকের অনেক বই পড়তে পারিনা।
পাঠক হিসেবে আমি কিছুটা অদ্ভূতুড়ে সন্দেহ নাই। ওরে বাপরে! Incendies এর ধাক্কাটা কিন্তু চিন্তার বাইরেই ছিল!
এত অস্বস্তিকর একটা ব্যাপার। গলার কাছে আটকে থাকা কান্না আছে অথচ কাঁদতে না পারার কষ্ট পেয়েছিলাম মুভিটা দেখে। Twice Born এ সেটা এসেছে অন্যভাবে। ধাক্কাটার পর ডিয়াগোর জন্য মন কেমন করেছে। আরো ভালোবাসতে ইচ্ছে করেছে বেপরোয়া ছেলেটিকে! কত কথা বলি রে আমি! সেকেণ্ড সেক্স শেষ করে পাঠ অনুভূতি শেয়ার করুন না পারলে। ধন্যবাদ জলছবি হাসি

নীলকমলিনী এর ছবি

আমি সবসমই পআমি সবসমই পড়ি কিছু না কিছু. কিছুদিন বাংলা বই তো কিছুদিন ইংলিশ বই. গত মাসে একটি পুরানো বইয়ের মেলায় গিয়ে ২৭ টি বই কিনলাম নানান ধরনের. এর মাঝে আছে জীবনী, আত্ম জীবনী, ফিকশন আর রান্নার বই তিনটি. প্রথমেই পড়লাম Maya angelou র Mom & Me & Mom. উনার সাত খন্ড আত্মজীবনীর শেষ খন্ড এটা, মাকে নিয়ে লেখা. সহজ সুন্দর ঝরঝরে লেখা, একটানে পরে ফেলেছি. এরপর এখন পড়ছি দুটো বই একসাথে. Elizabeth Gilbert এর eat pray love, আর Rose Kennedy র Time to Remember. এই গুলো পড়ার মাঝে পড়ে ফেললাম সমরেশ মজুমদারের মৌষলকাল.
আমাদের দুজনের অনেকগুলো মিলের মাঝে একটি হলো মুভি দেখা. মেয়েরা চলে যাবার পর থেকে আমরা প্রায় প্রতি রাতে খাবার পর netflix এ একটি মুভি দেখি , মাঝে সাঝে হলে গিয়ে. গত কিছুদিন হলো দেখেছি Omar, Jane Eyre, First Knight, Night To Lisbon, Strangers In Good Company, Rabbit Proof Fence, Certified Copy, The Magic Of Belle Isle, Renoir.
সিনেমা হলে গিয়ে দেখলাম 100 Foot Journey and The Giver.
তিন দশকের বেশী সময় দেশ ছাড়া বলে বাংলায় পুরানো বা নতুন লেখকের অনেক বই পড়া হয়নি. আজকাল সচলায়তন বা বই পড়ুয়ার জন্যে অনেক বই বা লেখকের নাম জানতে পারি.
আয়নামতি, তোমার লেখা পড়ে আমারও ইচ্ছে হলো নিজের কথা বলতে. আমার বয়েসী বাঙালী মহিলারা বিশেষ করে যারা বিদেশে আছেন বই পড়েন না. যার জন্যে একটা ভালো বই পড়ে বা মুভি দেখে সেই ভালো লাগা মেয়েরা বা দুই এক জন বন্ধু ছাড়া আর কারো সাথে শেয়ার করতে পারি না.
সচলের তোমরা এত জানো এত পড় , তখন নিজে এত কম জানি বা কম পড়েছি বলে মন খারাপ হয়ে যায়.
সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ. মন্তব্য টা বেশী বড় হয়ে গেল.

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

তা, মন্তব্যটা বড় হলো বটে কিন্তু মনের কথাগুলোতো শেয়ার করতে পালেন। হাসি

আয়নামতি এর ছবি

হক কথা বলেছেন ভাইয়া হাসি

আয়নামতি এর ছবি

নীলুউউউউদিইইই সত্যি বলছি তোমার মন্তব্য পেয়ে আমি অনেককককক খুশি হয়েছি(খুশির ঠ্যালা সামলাতে না পেরে তুমি বলে ফেলেছি দেখেছো!) তুমি ইউনিয়র্কে থাকো না? ইশশ বড্ড বাঁচা বেঁচে গেলে কিন্তু! এতসব বই নিয়ে বসে থাকতে পারতে না ধারে কাছে থাকলে। লুট করে আনতাম। ভই লুট করলে পূণ্য হয় জানো তো! দেঁতো হাসি
Maya Angelou সিরিজটা পড়িনি আমি। বাকি দুটো পড়েছি। সমরেশেরটা পড়িনি মন খারাপ
ইশশ তুমি আমার মুভি পার্টনার হতে কিন্তু খুব ভালো! একা একা থিয়েটারে গিয়ে খুব মজা পাই না মুভি দেখতে।
ঠ্যালা ধাক্কা দিয়ে আপুকে বা ভাবীকে নিয়ে গেলে সিনেমা কোনটা দেখা যায় সেটা নিয়ে লাগে হ্যাপা।
তারচে' নেটফ্লিক্সই ভালু আমার। তবে ওখানে সব মুভি পাওয়া যায় না, বিরক্তিকর লাগে এটা। ঠিক না?
চেন্নাই এক্সপ্রেস দেখতে গিয়েছিলাম একপাল মানুষ। আমার সারা জীবনে যা করিনি তাই করেছি জানো!
সিনেমা দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম আমি খাইছে এমন ঘটনা কেনু হলো কিছুতেই মাথায় আসেনা আমার!
তোমার মত একজন সমঝদার মুভিখোরের সাথে মোলাকাত হয়ে দারুণ আনন্দ পেলেম কিন্তু! আরো ভালো লাগলো
মন্তব্যে শেয়ার করেছো বলে। তবে এই ভালোলাগা ১০০% বেড়ে যাবে তুমি যখন তোমার এসব কথা নিয়ে পোস্ট দেবে।
তোমার পোস্টের অপেক্ষায় থাকলাম কিন্তু দিদি! তুমি যখন বলেই ফেলেছি এটাই বহাল থাক- তুমি কী রাগ করবে দিদি?
অনেক ধন্যবাদ দিদি পোস্ট পড়ে মনের কথা শেয়ারের জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

তুলিরেখা এর ছবি

খুব ভালো লাগলো। এমন ভালো লেখা! তরতর কলকল করে নদীর মতন চলছে। এমন লেখা তুমিই লিখতে পারো।
আমি তোমার খাবারগুলো খাবো, মুভিগুলো দেখবো, বইগুলো পড়বো। হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

আয়নামতি এর ছবি

কার মুখ দেখে ঘুম ভাঙলো আজকে চিন্তিত হেহেহে নিজেরই চাঁদমুখ দেখেছি হে দেঁতো হাসি
পরপর দুই দিদির আগমনে পোস্টে তো আনন্দের বান ডেকে গেলো হে!
তোমার মুখে এমন প্রশংসা শুনে এট্টুও লজ্জা পেলেম না কিন্তু! আনন্দে ৩২খানা হলেম বরং হাসি
ছাইপাশ এই লেখারে কতসব বললে! আহা শুনে মনটা ভরে গেলোওও
তুলিদি তুমি অনেকক লক্ষি! সবটা দেখে শুনে খেয়েদেয়ে তোমার চমৎকার হাতে একটা পোস্ট লিখবে কেমন?
অনেকক ধন্যবাদ নেও আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হাততালি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আয়নামতি এর ছবি

মুখে কথা নাই কেনু? হাত্তালি দিতে দিতে মাথার ঘিলুমিলু সব উড়ে যাবে কিন্তু খাইছে
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

তালগাছটা আপনাকে দিলাম

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আয়নামতি এর ছবি

দেঁতো হাসি

আয়নামতি এর ছবি

বুলছেন?
পড়ার বইয়ের বাইরের পড়া' ভেবেছিলাম খুব হাস্য রসাত্মক ধরনের বই হবে।
পড়তে গিয়ে দেখি ওমা! এতে তো তথ্য তালাশে ঠাঁসা। তবে জ্ঞান প্রাপ্ত হচ্ছি আর কি...
অনেকদিন পর অণুদির দেখা পেলেম ভালু লাগলো। ঘুরুন্টিস চলছে নিশ্চয়ই?
ভালো থাকুন, সুস্হভাবে দেশ-বিদেশ ঘুরে তামা তামা করুন। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

তারেক অণু এর ছবি

লেখা ভালো লাগলো।

পড়ার বইয়ের বাইরে পড়া খুব একটা ভালো লাগে না, রাবিট প্রুফ ফেন্স নিয়ে লিখেছিলাম সচলে।

লেখা চলুক-

তিথীডোর এর ছবি

কী পড়ছি :

গুডরিডসের কল্যাণে অন্তত তুমি তো সেটা জানোই। তাও জানাই।
মতি নন্দীর দশটি কিশোর উপন্যাস (ননীদা নট আউট, স্ট্রাইকার, স্টপার, অপরাজিত আনন্দ, নারান, ফেরারি, দলবদলের আগে, শিবার ফিরে আসা, তুলসী আর মিনু-চিনুর ট্রফি) পড়ছি।
কবীর চৌধুরীর অনুবাদে পড়ছি চিনুয়া আচেবের Things Fall Apart, যদিও গতি অতি ধীর।

Barbara Oakley এর A Mind For Numbers: How to Excel at Math and Science বইটা নামালাম রিভিউ পড়ে। এর গতি আরো ধীর! আংরেজি তায় পিডিএফ, জুইত পাই না।

Jennifer Probst এর The Marriage Trap কবে নামিয়েছিলাম আর কতটুকুতে কী পড়েছিলাম, সেটাই ভুলে গেছি।

সামার ভ্যাকেশনে কঠিন পড়া দিয়েছিলাম আসলে। গজেনবাবুর পুরো ১১ খণ্ড রচনাবলী, কালকূট, জরাসন্ধের গল্পসমগ্র, পরশুরাম সমগ্র, আ.দেবীর গল্পসমগ্র, মৌষলকাল... মুটামুটা যত পিডিএফ জমে ছিল-- সব শ্যাষ!
হায়, এখন সেই অবসর কই? মন খারাপ

তো এই হলো আপাতত অপাঠ্য পাঠের অবস্থা।

কি শুনছি:

গানের মানুষ নই। শিখিনি, গাইতে জানিনা। তাও কানে কিংবা মাথায় (এবং আশেপাশে কেউ না থাকলে নিজের হেঁড়ে গলায়) সারাক্ষণই কিছু না কিছু বাজে... হাসি
শ্রেয়া ঘোষালের গলায় ..যদি তোর ডাক শুনে কেউ' বাজছে এখন।

কী খাচ্ছি:
সকালের নাশতা। পেট ঠেসে, কারণ দিনের শিডিউল টাইট.. ম্যালা কাজ! মেনু সাদামাটা, বিস্কুট-দুধ-কলা-পাঁউরুটি-জ্যাম আর চা। একটু পর চিংড়ি পোকা ভাজব। হেহে। দেঁতো হাসি

কী দেখছি:
আপাতত শুধু তামাশা। খাইছে
মানে মুভি আসলে দেখি কমই, কালেভদ্রে।

কী ভাবছি :
প্রবাস ভাল্লাগেনা। বাইত যামুগা...

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

আয়নামতি এর ছবি

তা আর বলতে! তোমার পড়ার ধরণ ধারনে আমি মাঝে মাঝেই খেই হারিয়ে ফেলি।
সুপার স্পীডি তুমি, বাপরে বাপ! ইংরেজি বই তো পড়তে পারিনা। এ বি সি শিখেছিলেম সেই কবে। এখন আর মনে টনে
নেই ইয়ে, মানে...
---
নিজে গান না শিখলেও বাড়ির অনেকেই গান শিখেছে/ন তাই বলে গাইবো না নাকি!
হিড়িম্বা গলায় সবার জীবন অতিষ্ঠ করি মুড উঠলেই দেঁতো হাসি শুনিও প্রচুর।
---
রাগ হলে আমি খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেই একদম। যেমন আজকের কথাই ধরো।
কেন জানিনা ঘুম ভাঙতেই বুঝলাম মেজাজ বাবাজী সুবিধার না। সকালের নাস্তা স্কিপ করলুম।
বাড়ির সবাই দাওয়াতে চলে গেলে আমি সচলে এলুম। সত্যপীরের গল্প পড়ে লেগে গেলু ক্ষিদে।
ফ্রীজে ছিল বাসী বিরিয়ানি গাপুস গুপুস খেয়ে নিলুম দেঁতো হাসি অবশ্য ভাব করে থাকবো কিচ্ছুটি খাইনি গো! খাইছে
চিংড়ি পোকা ভাজা দারুণ পছন্দ রে আমার!
---
তামাশা দেখা তো দারুণ মজারু ব্যাপার! আমি দেখি, করিও চোখ টিপি
---
আহা বাড়ির মত আপন কিছু আছে নাকি! পড়াশোনা শেষ হলেই যাবে বাপু, রসো খানিক।
অনেক শুভকামনা থাকলো তিথী ভালুবাসাও হাসি

নীড় সন্ধানী এর ছবি

মানুষের হাতে কত্ত সময়! কত কি দেখে, পড়ে, ভাবে, খায় ভাবলেও হিংসা হয়। সালাদের ছবিগুলো খুব লোভনীয়। আমার খুব প্রিয় জিনিস এই সালাদ। সালাদ দেখলেই ইচ্ছে করে জিজ্ঞেস করি মেন্যু কি? খাইছে
এই এক পোস্টেই অনেক ভাবনার খাদ্য। আরেকটা নতুন পোস্ট লিখে ফেলার ভাবনা এসে গেল। হাসি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

আয়নামতি এর ছবি

যারা 'সময় কোথায় সময় নষ্ট করার?' বলে দীর্ঘশ্বাস গোপন করেন; নিজে সে দলের নই বলে অনেক সৌভাগ্য মানি একে!
কর্মবীরও নই সেরকম, তাই পড়ে পাওয়া কিছু না কিছু সময় পেয়েই যাই। এটাতে নজর দেবেন না ভাইয়া প্লিজ দেঁতো হাসি
সালাদ খাওয়া খুব ভালু। বেশি বেশি সালাদ খান, মেদ ভূঁড়ির চাপ কমান শয়তানী হাসি
ধন্যবাদ

অতিথি লেখক এর ছবি

এহ্ হে হে, মানুষ এতকিছু কেমনে করে। ২০১৪-২০১৫ আমার বই পড়ার সিজন হিসেবে সুপার ফ্লপ, যা কিছু কিনেছি, পড়াই হয়নি কিচ্ছুটি। মাঝে মাঝে উপায় না দেখে মাসুদ রানা হাতে নিয়ে বসে থাকি আর ঝিমাই। বিসিএস দিই-বহুত ভাব নিই বাড়িতে, পড়ি লবডঙ্কা। কী হবে আমার, বলো তো!

সিনেমাগুলো দেখতে হবে রে, সিনেমা দেখিই না তেমন। অফিস থেকে ফিরে ঘুমাতে ঘুমাতে সময় কোথা পাই? দেখব নিশ্চয়ই।

দেবদ্যুতি

আয়নামতি এর ছবি

ধুর! ধুর! পড়েটরে দেখেটেখে শুনেটুনে কিস্সু হয় না। তারচে ঘুম ঢের ভালু।
নেই কাজ তাই খই ভাজি বাপু।
মাসুদরানা খুব পছন্দ নাকি হে তোমার? ভালু যেটা ভালু পাও সেটাই পড়বা,করবা।
পরীক্ষা শেষ করো আগে তারপর সব হবে, সব!
অনেক ধন্যবাদ হাবিজাবি পোস্টটা পড়ে যাবার জন্য।

অতিথি লেখক এর ছবি

যখন তুখোড় পাঠক ছিলাম, মাসুদ রানার বই থেকে শতহস্ত দূরে থাকতাম, জান তো? এখন অনেক বই কিনে বিছানা, র‌্যাক ভরায়ে ফেললেও পড়া তো হয় না, মাসুদ রানার ছুট্টু ছুট্টু বইগুলা হাতে নিলে আরাম কিন্তু স্পিড সুপার-স্লো মন খারাপ । ইয়ে-পোস্টটা হাবিজাবি নাকি? মনে লইলো না যে চিন্তিত

দেবদ্যুতি

আয়নামতি এর ছবি

বড় হয়ে আমিও তুখোড় পাঠক হবো দেইখো! এখন হয়েছে আরেক নেশা বুঝলে?
খালি বইয়ের লিংক টুকাই। প্রায় ৬০০'র মত বই এখন ই-বুক লাইব্রেরিতে শয়তানী হাসি
কিন্তু কথা হচ্ছে এতো বই পড়ার সময় কোথা পাই বলো দেখি?
আচ্ছা যাও এইটা একটা কিউটুবিউটুন পুস্ট ঠিকাছে দেঁতো হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।