কমলকুমার মজুমদারের উপন্যাসটা অর্ধেক পড়ে সেই যে কেজো অকেজো বিষয়ের পিছু ধাওয়া করে মেলা ইতং বিতং কাজকম্মের চিপায় খাবি খাচ্ছিলাম তো খেয়েই যাচ্ছিলাম। সেখান থেকে নিজস্ব আরাম কেদারায় ফেরার তাগিদ এবং তারপর ধপাস। হাতে অতি অবশ্যই একখানা বই। খুব পছন্দের একজন বইখানা নিয়ে বসতে বাধ্য করেছেন। তিনি ঋতুপর্ণ। দ্য ঋতুপর্ণ ঘোষ। কাকতলীয়ভাবে কমলকুমার মজুমদার যার স্কুলবেলার ক্রাফট্ টিচার। যে মাস্টার মশাইয়ের ' কী হচ্ছেটা কী?' শাসনের বৃত্তে দাঁড়িয়ে নিজের অভিনয় সত্ত্বার ক্রমাগত ঋদ্ধ করবার উৎসাহ খুঁজে পেয়েছেন অভিনেতা ঋতুপর্ণ ঘোষ।
একজন মানুষের মধ্যে এতোটা মুগ্ধ করবার মত উপাদান কিভাবে ঠাসা থাকতে পারে আমি ভেবে পাইনা। তাঁর বলন, তাঁর কাজের ধারা, নিজের বিশ্বাসটাকে সবার সামনে সততার সাথে প্রকাশ করতে পারার সাহসি ভঙ্গি..সব কিছুতেই আমার বিস্মিত ভালোলাগা, মুগ্ধতা। পাঠক হিসেবে তাঁর লেখার সাথে এটাই প্রথম পরিচয় আমার। যে মুগ্ধতা টেনে রাখতো ওঁর 'ঘোষ এণ্ড ঘোষ কোম্পানি' এপিসোডের প্রত্যেকটা মুহূর্ত, সেই একই চৌম্বকীয় ক্ষমতা তাঁর লেখার পরতে পরতে। যেন বা বইয়ের পাতা ফুঁড়ে চেনা ভঙ্গিমাটি নিয়ে তিনি সামনে বসেই বলে যাচ্ছেন আন্তরিক স্পষ্ট উচ্চারণে। আমি ঋতুপর্ণের ‘ফার্স্ট পার্সন’ বইটির কথা বলছি। মাত্রই পড়ে শেষ করলাম বইটির ১ম খণ্ড। তারই একটা পাঠ প্রতিক্রিয়া লেখার ছলে ওঁর হুট করে চলে যাবার দিনটিকে অনেক শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্মরণ করছি। কেউ কেউ চলে গিয়েও আমাদের মাঝেই থেকে যান আরো অধিকভাবে। ঋতুপর্ণ আমার কাছে সেরকম একজন। ওঁর সবকিছুতেই তাই লাগামছাড়া আবেগ ভর করে। তিনি বাংলায় বলেছেন বা লিখেছেন বলেই কী এই মুগ্ধতা? “If you talk to a man in a language he understands, that goes to his head. If you talk to him in his language, that goes to his heart.”
নেলসন ম্যাণ্ডেলার এ উক্তি নিয়ে তেমন দ্বিমত না থাকলেও একই সাথে ভালো বলিয়ে, সিনেমা করিয়ে আর লেখিয়ের দেখা পাওয়া কিন্তু বেশ দুর্লভ। এতোসব গুণের সাথে এসে মিলেছিল নিজের যৌনতা ও লিঙ্গ পরিচয়ের সঠিক স্বরূপটি ভারতের মত রক্ষণশীল সমাজের সামনে তুলে ধরার সাহসিকতা। সেসব নিয়ে তাঁকে কম রক্তাক্ত করেনি মিডিয়াবেবুশ্যা বা সমাজের স্বাভাবিক জীবন পাওয়া অতি কৌতুহলি মানুষগুলো। ব্যথার সে গাঢ় নীল ফার্স্ট পার্সনের অক্ষরে লেপ্টে আছে বৈকি! সমকামীদের মিছিলে এক গর্বিতা মাকে প্লাকার্ড হাতে এগিয়ে যেতে দেখে নিজের মায়ের হাতে 'প্রাউড মাদার' প্লাকার্ড চিন্তাটা কাল্পনিক হলেও, একজন ঋতুপর্ণের নিজেকে প্রকাশে সাহসের উৎসমুখ ছিলেন তাঁর মা এবং বাবা। বইটি জুড়েই যাঁদের নিত্য আসা যাওয়া।
'এলোমেলো দেশ-কাল' 'বিস্মিত অন্বেষণ' 'মনে এল' 'অন্তর মহল' 'চরিতগাথা' 'এলিজি' এসব শিরোনামে বিভিন্ন সময়ের চিন্তা ভাবনা নিয়েই ফার্স্ট পার্সন (১ম/২য় খণ্ড), যা মূলতঃ 'সংবাদ প্রতিদিন' পত্রিকার রবিবার সংখ্যার জন্য নির্ধারিত ছিল। এসব লেখার বিষয় কখনো হয়ে ওঠেছে রাজনৈতিক সচেতন একজন মানুষের ঝাঁঝালো বক্তব্য। যার আঘাতে রাষ্ট্রের হর্তাকর্তাদের সচেতন করবার, হবার যথেষ্ট উপাদান, চিন্তার খোরাক ছিল, আছে। একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা, পত্রিকার সম্পাদক দলকানাহীন রকম সৎ-অকপট ভাবে নিজের রাজনৈতিক চিন্তার প্রকাশ ঘটাচ্ছেন, এমনটা দিন দিন বিরল হয়ে যাচ্ছে। আবার একই সাথে সরকারী সিদ্ধান্তের বিরোধীতায় মিটিং মিছিলে গেলে নির্মানাধীন চলচ্চিত্রটির শ্যুটিং স্পট বাতিল হয়ে যেতে পারে সহকর্মীর এমন আশঙ্কায় নিজেকে তা থেকে সরিয়ে রাখার জন্য তাঁর ভেতরে যে অক্ষম অসহায়ত্বের জন্ম নেয় তাতে পাঠক হিসেবে মত প্রকাশের স্বাধীনতাহীনতায় কেমন হাঁসফাঁস লাগে। পশ্চিমবঙ্গের নন্দীগ্রামের উপর তৎকালীন সরকারের গণহত্যা, নির্মম আচরণ, হুগলী জেলার সিঙ্গুরে টাটা কোম্পানীর আগ্রাসন, ন্যানো গাড়ির জ্বালানি নিয়ে দুর্ভাবনাসহ একজন ঋতুপর্ণের সমাজ চিন্তা, রাজনৈতিক দলকানা না হওয়ার অনুসঙ্গগুলো পাঠককে অন্য এক ঋতুপর্ণের মুখোমুখি করে যেন। 'উন্নয়ন মানেই উচ্ছেদ' এমন উচ্চারণ দেশকাল পাত্রের উর্দ্ধে গিয়ে বড়বেশি সত্যি হয়ে সভ্যতাকেই বুঝি ভেংচি কাটে! নিজের মত করে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পুরাতন প্রতিবাদটি নতুন করে শিখে যাই আমরা। সত্যাগ্রহ বা অনশনের এই অনুশীলনটি তিনি বুঝি গান্ধীর কাছ থেকে সন্তর্পণে তুলে নিয়ে নিজের মত করে আদল দিয়েছিলেন। গান্ধী'র সত্যাগ্রহ প্রক্রিয়াটি চিরন্তন ভারতীয় নারীর গোস্বাঘর থেকে চুরি করা বলে ঋতুপর্ণের ভাষ্য। মহাভারত বা হিন্দু পুরাণে যা 'প্রায়োপবেশন' নামে খ্যাত। তবে ঋতুর অনশন অভুক্ত থাকা নয় মোটেও..তাঁর ভাষায় " যে জিনিসটাকে সব থেকে ভালবাসি, সেটা যদি ছাড়তে পারি- তবে নিজের কাছেও পরিস্কার হবে 'Priority' কাকে বলে।" এখানে কোন বিষয় প্রায়োরিটি পাচ্ছে ঋতুপর্ণের কাছে? সেটা না হয় আগ্রহী পাঠক বইটি পড়েই জেনে নেবেন।
কলকাতা সিটি কর্পোরেশন সংক্রান্ত ঋতুর ভাবনার সূত্র ধরে এই পাঠকের মনে সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের দুই মেয়রের ঢাকার ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে চিন্তা টোকা দেয়। প্রাসঙ্গিক নয় হয়ত, তবুও বলে নিলাম আর কী! ঢাকা এখন দুই ভাগ। উত্তর এবং দক্ষিণ। ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হকের সাথে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন সমান তালে চলতে পারবেন তো? ঢাকার উন্নয়ন যেন উত্তরমুখী হয়েই না থাকে। দক্ষিণের বাসিন্দা হয়ে এমনটি চাইতেই পারি। কেননা লষ্করবাড়ির লোহার গেটে মলিনমুখে দাঁড়াবার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই আর। উন্নয়ন মানেই সেক্সি শপিংমল না, বেহুদা আবাসন না একথা মেয়রগণ মনে রাখবেন প্লিজ! আপনাদের যুগলবন্দী উন্নয়ন দেখবার ভরসায় থাকলাম। ঋতুপর্ণের মত করে বলি, "অনেক শিবের গীত হলো, ধান ভানতে আসি...কী বলছিলাম যেন?"
আসলে টিভি অনুষ্ঠানে যেমন দেখেছি ঋতুপর্ণ কথার ঝাঁপি খুলে বসছেন, এক প্রসঙ্গ থেকে ভিন্ন প্রসঙ্গে কেমন দিব্বি আসা যাওয়া। কিন্তু তাল-সুরে কোন ছন্দপতন নেই। লেখাতেও সেই ভঙ্গি। প্রসঙ্গ থেকে প্রসঙ্গান্তরে গিয়েছেন মূল বক্তব্যের রেশটি ধরেই। নিজের চিরচেনা কলকাতার বদলে যাওয়া, এক মানুষের প্রতি অন্য মানুষের নির্লিপ্ত আচরণ, অন্যের ব্যক্তিগত বিষয়ে অনাবশ্যক কৌতুহলে ব্যথিত ঋতুর চোখ দিয়ে নিজের প্রিয় শহর ঢাকার বদলে যাওয়া, নির্লিপ্ত মানুষের ভীড়ে খুন হতে থাকা বন্ধু-স্বজন, উৎসব মিছিলের ছুঁতোয় মেয়েদের শরীরে হাত দেবার বিকৃত আনন্দের খবরে সমান ব্যথায় ভেতরটা কঁকিয়ে ওঠে। পতনোন্মুখ এই মিলটি দেখতে না পেলেই বরং ভালো ছিল।
ফার্স্ট পার্সনের নানান শিরোনামের হাত ধরে লেখক নানান বিষয়ে লিখে গেছেন। কী নেই এতে? রাজনীতি, ধর্ম, বাংলাভাষা এবং কিছু শব্দের উৎপত্তি নিয়ে ভাবনা, ফেমিনিজম, নান্দনিক অহংবোধে জর্জরিত মানুষের দ্বিচারিতা নিয়ে অকপট উচ্চারণ। পতাকা বিষয়ক ভাবনায় তাঁর মত উদার হওয়া সম্ভব না। কারণ লাল সবুজের পতাকাটিকেই ঠিকঠাক ভালোবাসতে পারিনি। তাবত পৃথিবীর পতাকার প্রতি সমান ভালোবাসা প্রকাশ করি কীভাবে? অন্তত চাঁদতারার সাদা সবুজ পতাকাটির প্রতি তো নয়ই। এ জীবনে ' সব পেয়েছির আসর' এ বিশ্বনাগরিক হয়ে যোগ দেবার ব্যাকুলতা থাকলেও ঐ বিশেষ পতাকা'র প্রতি সমান সম্মান দেখিয়ে আনন্দ পেতে চাইবো না। মনে মনেও নয়। দুঃখিত প্রিয় ঋতুপর্ণ!
ছোটবেলা থেকে বাঙ্গালি হিসেবে সুভাষবোসকে হিরো ভেবে আসায় যেমন একটা ক্ষোভ উঁকি দিয়ে গেছে তাঁর মধ্যে, একই সঙ্গে সব ছাপিয়ে গান্ধীর প্রতি ঋতুর একটা আন্তরিক ভালোবাসার জায়গা আছে, তা বেশ জানান দেয়। অহিংসায় বিশ্বাসী ঋতুপর্ণ ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ডকে তাই বুঝি সহজভাবে নিতে পারেন না। পরিকল্পিত এই মানব হত্যায় পৃথিবী থেকে সব পাপ মুছে যায় না ঠিকই, কিন্তু ধর্ষণ, খুন ইত্যাদির শাস্তি হিসেবে মৃত্যদণ্ড লোপাট করে 'বরিষ ধরা মাঝে শান্তিরও বারি' আজকের পৃথিবীতে ইউটোপিয়ান ভাবনাই বটে। দিকশূন্যপুরের ঠিকানা খুঁজে খুঁজে যেমনটি আপনি হন্যে, ইউটোপিয়ানের অবস্হাও যে তেমনই প্রিয় ঋতুপর্ণ! তবুও আপনাকে অসীম শ্রদ্ধা জানাই, নিজের মতামত প্রকাশে আপনি ভণ্ডামির আশ্রয় নেননি। উত্তরাধুনিক বেবুশ্যারা যেমনটি করে নিজের দেশে সংঘঠিত অপরাধের পক্ষে মৃত্যদণ্ড খুব ঠিক, কিন্তু ভিনদেশের জন্য একদম নয়। এমন দ্বিচারিতা আপনার মধ্যে দেখতে হলো না বলে শ্রদ্ধার পাশে অনেকটুকু ভালোবাসা জমা রাখলাম।
জয় গোস্বামী ঋতুপর্ণের খুব পছন্দের তা জানা ছিল ওঁর অনুষ্ঠানের কল্যাণে। কিন্তু তাঁর "মালতিবালা বালিকা বিদ্যালয়" নামের আশ্চর্য সুন্দর কবিতাটি যে ঋতুপর্ণেরও এতোটা ভালোলাগার, পছন্দের এই অন্তমিলে আত্মহারা মামুলি এই পাঠক! জানলার ধারের সীটে বসা নিয়ে একজন পূর্ণ বয়স্ক ঋতুপর্ণের ছেলেমানুষি, ৯/১১ পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণকালীন চেকিংয়ের নামে বিমানবন্দর গুলোতে যাচ্ছেতাই ব্যবহার, তা নিয়ে ক্ষোভ, প্রতিকারের জন্য উৎকন্ঠা, বিমানবন্দরে মুসলমান দম্পতির নাজেহালে তাঁর সহানুভূতিশীলতা, তসলিমা নাসরিনের বিরুদ্ধে হায়দ্রাবাদে মুসলিম মৌলবাদীদের হাতে নিগৃহীতা হওয়া এবং তাতে সেরকম প্রতিবাদ না ওঠায় তাঁর তীব্র প্রশ্ন " মৌলবাদের ধর্মবিভাজনও কি মৌলবাদ নয়?"
একজন বাঙ্গালি রাষ্ট্র প্রধানের সাথে বাংলায় কথা বলতে না পারার আক্ষেপে সত্যিকার বাংলাদেশি মাত্রই আবেগাপ্লুত হবেন। হবেন ঋতুপর্ণের ব্যথার সমব্যথী। কারণ মানুষটির নাম যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান! কিন্তু ওরকম গমগমে কন্ঠটিকে কেন তাঁর ঘরঘরে লেগেছিল, সে প্রশ্ন আজ বড্ড বেশি অবান্তর। যাঁর সেলুলয়েডের ফিতায় চোখ রেখে, যাঁকে গুরু মেনে ঋতুপর্ণ সিনেমার কারিগর হবার স্বপ্ন বুনেছিলেন, সেই সত্যজিৎ নয়, বাঙ্গালির মহানায়ক উত্তমকুমার, এই আফসোসসহ সত্যজিৎ আলোচনা ঘুরে ফিরে উঁকি দিয়ে গেছে আড্ডার মুডে, লেখার ফাঁকে ফাঁকে। যেহেতু তিনি শিল্পের সাথে জড়িত মানুষ তাই তাঁর লেখায় বার বার এসেছেন শিল্প জগতের নানান মুখ, অসংখ্য নাম। কিন্তু সবটা বলা ঠিক হবে না। এমনিতেই আবেগে ভেসে গিয়ে অনেক বকেছি। রাশ টানতে হয় এবার।
"যখন আপনারা আজকের ফার্স্ট পার্সন পড়ছেন তখন আমি অনেক দূরে....." এমন করে সত্যি হয়ে যাওয়া বাক্যবন্ধ পরের লাইনটুকু পড়বার জোর দিতে ব্যর্থ হয়। সবকিছু তখন ঝাপসা ঠেকে খুব! ২০১৩'র ৩০ মে'র সকালটা আর দেখা হয়না ঋতুপর্ণ ঘোষের। কাউকে কিছু না বলেই হুট করে ঘুমের ভেতরেই পাড়ি জমিয়েছেন সেই সেখানে, যেখানে তাঁর বিশ্বাস সবাই সুখে থাকে। যেখানে তাঁর জন্য ভাত মেখে মা অপেক্ষায়, বিতিকিচ্ছি নামের তিন ভাইয়ের গল্পের ইতি টানবেন বলে। বাবা ছায়া হয়ে পাশে পাশে থাকবার জন্যে ব্যাকুল। সেখানে ঋতুপর্ণ নামের মানুষটিকে আমাদের কোনো অমানবিক আচরণই আর ছুঁতে পারবে না।
শিল্পীর যেমন কোন লিঙ্গ থাকে না , ঈশ্বরেরও তেমন মৃত্যু হয় না। ঋতুপর্ণ এমন একজন মানুষ যিনি নিরন্তর মগ্ন থাকতে ভালোবাসতেন কোনো শোকে, সুখে বা সাধনায়। চিন্তা চেতনায় দীন সমাজকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বরাবরই তিনি আকাশ সমান উচ্চতায় থেকেছেন, থাকবেনও অনেকটা কাল। কারণ যিনি সৃষ্টি করেন তিনি ঈশ্বর। আর "ঈশ্বরের তো মৃত্যু হয় না। যিনি ঈশ্বরের মতোই বিরাজ করেন আমাদের ইন্দ্রিয়ে, আমাদের চেতনা বা মননের প্রতিটি উত্তরণের ধাপে, তিনি মারা গেছেন এ কথা বলবো কী করে!"
মন্তব্য
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
, লেখাটা এত ভালো লাগলো! লেখক ঋতুপর্ণের সাথে পরিচয় নেই মোটেই। সামনে বড় একটা পরীক্ষা, এখন এই বইটার জন্য তো মাথা খুঁড়ে মরতে মনছে!
দেবদ্যুতি
মাথা কুটে রক্তাক্ত হবার দরকার নেই বাপু!
পরীক্ষা শেষ হোক, আওয়াজ দিলে জায়গা মত বইয়ের(চুরি করা কিন্তু )লিংক পৌঁছে যাবে।
এই মানুষটাকে সেভাবে পড়তে পারলে কত কী যে জানা/শেখা যায়! আমি সেরাম পাঠক নই, আফসোস।
অনেক ধন্যবাদ দেবদ্যুতি।
আমার কোনো পরীক্ষা নাই - হাতের বইখানাও শেষের পথে ৷ লিন্কটা দেন দয়া করে - চুরি করা হলেও সমস্যা নেই, এসব ক্ষেত্রে আমি মার্ক টোয়েনের বিশাল পাঙ্খা ৷
মরুচারী
মরুচারী, চুরির কথা বলা ভালু, কিন্তু সেটা প্রকাশ্যে লেনদেন করা ভালু না
আপনি ফেসবুকের 'বইয়ের হাট' গ্রুপে জয়েন করতে পারেন, কিংবা আপনার ই মেইল
এড্রেসটা দিয়ে রাখতে পারেন। সুযোগ মতো আমি লিংকখানা পাচার করিবো তাহা হইলে।
কী করিবেন সেটা আপনার সিদ্ধান্ত। ধন্যবাদ।
ইমেইলটা পাঠায়া রাখলাম। বইয়ের অপেক্ষায় থাকবো। আর ফেবুতে বইয়ের হাটেও হামলা চালাবো।
আপাতত ইমেইল-
স্বয়ম
পাইছুন্নি?
পাইছিগো দিদি-- অনেক
স্বয়ম
আমি ছুটিতে, ইমেইল আইডিও জানো।
তাহলে এখনো পাঠাও নাই ক্যান?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এইহে! এটা তো ভীষণ ভুল হয়া গেছে রে! তিষ্ঠ ক্ষণকাল। পাঠাচ্ছি।
তুমি যদি সেরাম পাঠক না হও, তো আমি মোটেই পড়তে জানিনে যে! লিংকখান আগে পাইলেও পবলেম ছিল না-চুরি করাতেও পবলেম নাই! পবলেম হইতেছে, আজকাল মোটে পড়তেই বসা/শোয়া (আমি শুয়ে শুয়েই পড়ি বেশি) হইতেছে না। লিংক কোনহানে পাঠাইবে, ঠিকনা কমু?
দেবদ্যুতি না? হেহেহে মাঝে মাঝে নামটা লিখতে ভুল হয়ে যায় কিন্তুক। হ ঠিকানা দেও।
শুয়ে শুয়ে পড়া খুব ভালো, সরাসরি ব্রেইনে যায় পড়াটা
আমার মাথা আর মন-সব ভুল যাই কেমনে কেমনে যেন ঠিকনা তাইলে এইখানে দেই-নাকি?
পাঠায়া দিও, কেমন? আর ‘বইয়ের হাট’-এও যোগদানের অনুরোধ করে রাখলুম
দেবদ্যুতি
ডান
পাইয়া লইছি। এত্ত ভালুবাসা তোমার জন্য
দেবদ্যুতি
আর কিছু না, শুধু মাত্র এই গানটা রেখে যাওয়ার ছিল, তাই এই মধ্য রাতে লগইন করা...
এই লোকটাকে নিয়ে অনেক কথা বলার ছিলো। ঠিক বলা হয়ে উঠে না। কিংবা কেমন যেন মনে হয় এভাবে চলে না গেলেও চলতো। ফ্রেমটা একেবারে ফাঁকা...
আরো লিখুন এই মানুষটাকে নিয়ে। মানুষটা অনেক বেশী কিছু ডিজার্ভ করে...
ডাকঘর | ছবিঘর
পছন্দের গানটা দেবার জন্য আপ্নেরে ।'ক্যায়সে আজব দাওয়াত হ্যায় ইয়ে' গানটাও
কিন্তু চমৎকার। ঠিক বলেছেন। এভাবে এতোটা চমকে দিয়ে যেতে হয়! ঋতুপর্ণ ঘোষের মত মানুষকে গ্রহণ করবার যোগ্য পরিবেশ তৈরি হতে ঢের দেরি আছে। যেকারণে মনে হয় সময়ের আগেই তিনি জন্ম নিয়েছিলেন, চলেও গেলেন আগে আগেই। তবে প্রস্হান মানেই তো চলে যাওয়া নয়- তাই না?
পুরষ্কার দিয়ে বিচার করলে ২০ বছরের কর্মী জীবনে ১৯টা জাতীয়সহ অনেক অান্তর্জাতিক পুরষ্কার পাওয়া কিন্তু চাট্টিখানি কথা না।যোগ্য মানুষের সম্মান আমরা কবেই সেভাবে সময় মত দিতে পেরেছি ভাই! তারপরও জানি ওঁকে সরবে-নীরবে মনে করার/ রাখার মানুষের সংখ্যা অনেককককক। অন্তত আমি এমনটাই বিশ্বাস করি। একজন স্রষ্টা এরকমটাই তো কামনা করেন তার দর্শক/পাঠকদের কাছ থেকে। এই দেখেন কেমন বকবক করতে শুরু করেছি! ওঁকে নিয়ে নিশ্চয়ই লিখবো সময় সুযোগ মুখোমুখি হলে। ধন্যবাদ নিন আবারও।
হু... এই গানটাও অনেক সুন্দর
নিজের সময় থেকে এগিয়ে থাকা মানুষগুলির সাথে এমনি হয়। ছাড়ুন তো, এই হিপোক্রেট বঙ্গ সুশীল সমাজ ঋতুপর্ণ'র মূল্যায়ন করার যোগ্যতাও রাখে না। কি বিচ্ছিরি কথা আমি সেদিনও বলতে শুনেছি ওকে নিয়ে, আজও বলে - একমাত্র তার সেক্সুয়াল ব্যাপারটাকে নিয়ে। অনেক সুশীলকে বলতে শুনি, - হ্যাঁ সব ঠিকি আছে, কিন্তু শেষ কয়েক বছরে একটু বেশী বেশী 'ইয়ে' হয়ে উঠেছিল সব দিক থেকেই। ... ঐ 'ইয়ে'টা বলতেও তাদের চুলকায়। বেশ করেছে নিজের সত্ত্বা নিয়ে সরব হয়েছে, ওটা নিয়ে কথা বলেছে, মুভি তৈরি করেছে, তাতে কার বাপের কী?
হ্যাঁ, পুরস্কার এর কথা বলে লাভ নেই। অলমোস্ট প্রতি বছর একটা করে জাতীয় পুরস্কার আছে এই লোকটার ঝুলিতে। সিনেমাওলা ঋতুপর্ণ তার প্রতিটি ফ্রেমে কতটা নিখুঁত সেটা তার দর্শকরা জানে। হ্যাঁ, তারা ঐ সৃষ্টিশীল মানুষটাকে নীরবে কিংবা সরবে মনে রেখে দিয়েছে
আর একটা গান রেখে যাই। শুনেছেন। তবুও। এই গানটাকে আমার ঋতুপর্ণের লেখা সবচেয়ে সেরা গান বলে মনে হয়
ডাকঘর | ছবিঘর
আমি ঋতুপর্ণ ঘোষ অতি সামান্য পঠন,দেখন,শ্রবণ করে যেটুকু বুঝেছি যদি তিনি হাত কঁচলে প্লিজ দেখুন না ঠিক মতো আমার কাজকম্মো হচ্ছে কিনা? বানাতে পেরেছি কিছু? এমন আচরণ করতেন তবে তাঁকে ঘিরে এতোটা বৈরিতা, আঘাত করবার চেষ্টা ওরকম হতো না হয়ত। সমালোচনার জবাবটা ঠিকঠিক দিতে পারার মতো যে মেধা তাঁর ছিল(অনেকের কাছেই সেটা এ্যারোগেন্ট মনে হতে পারে) সেটা আসলে অন্যদের চেয়ে তাঁকে এগিয়ে রেখেছিল বা তাঁকে আলাদা করে ফেলেছিল অন্যদের তুলনায়। সেটাই কাল ছিল।
---------
হেহেহে একটুও চাপা পিটাচ্ছিনা তাপসদা, গানের লিংক পরবর্তী কথাগুলো পড়েই বুঝে গেছিলাম আপনি কোন গান দিতে পারেন! এটা শুনলেই চারিদিকের কুয়াশা ভেঙ্গে কেমন ভালো লাগার একটা ভাব হুড়মুড়িয়ে ছুটে আসে।
অসংখ্য ধন্যবাদ জানবেন হে গানওয়ালা ভাইটি আমার
চমৎকার আলোচনা। ঋতুপর্ণ ঘোষ মৃত্যুর পরের বার তাঁর মহাপ্রয়াণ উপলক্ষ্যে আমাদের জেলা শহরে ৩ দিন ব্যাপী ছবি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়। সেই তাঁর কাজ প্রথম দেখা। আর মুগ্ধতা। দিন দিন তাঁকে যত জানছি, সেই মুগ্ধতা বাড়ছেই।
- সতীর্থ আহসান
সতীর্থ আহসান, আপনার জেলা শহরে আয়োজিত সিনেমা প্রদর্শনের ঘটনা লিখে ফেলুন।
পরের মুখে ঝাল খেয়ে কেন জানিনা মুখ একটু পুড়েছে।
ঋতুপর্ণ ঘোষ চলে যাবার পর আনন্দলোক সংখ্যার একটা লেখা পড়ে কেন জানি একটু বিরক্ত লেগেছে।
ঠিক মেলানো যায়নি। ভাবুন তো যে মানুষ তার নিজের ব্যক্তিগত বিষয়ে অন্যের অনাবশ্যক কৌতুহলে ব্যথিত হন,
সেই তিনিই আড়ি পেতে ইন্টার কমে তার ড্রাইভারের প্রেমালাপ শোনার মতো রুচি দেখাতে পারেন?
আমার কেন জানি এটা 'আমি তোমার চেয়ে ঋতু কে বেশি চিনি'র একটা ঝোঁক মনে হয়েছে। বাকিটা খোদা জানেন।
এই লবড়জবড় লেখাটা পড়ে মন্তব্য করায় ধন্যবাদ।
সত্যজিত ঋত্বিক ঘটকের পর আমি দীর্ঘদিন কোলকাতার আর কারো সিনেমা তেমন করে দেখিনি। ঋতুপর্ণই আবার আমাকে টানলো এবং বাংলা সিনেমাকে নতুন করে চেনালো। বাংলা সিনেমাকে শিল্পিত উপায়ে বোম্বের সিনেমার উপরে তোলার মতো যোগ্যতা ঋতুপর্ণ ছাড়া খুব বেশী পরিচালকের ছিল না। একটা পরিপূর্ণ উত্থানের সময় ঋতুপর্ণের চলে যাওয়াটা খুব বেদনাময় ছিল। বইটা পড়ে তাঁর লেখনী সম্পর্কে জেনেও চমৎকৃত হয়েছি। তাছাড়া ফার্স্ট পার্সন বইটি পড়ে ঋতুপর্ণ সম্পর্কে যে অসম্পূর্ণ জ্ঞান ছিল তা নিঃসন্দেহে পুরন হয়েছে আমার। বইটার সন্ধানদাতার প্রতি কৃতজ্ঞতা বোধ করছি। রিভিউ ভালো পাইলাম।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
'পরান যায় জ্বলিয়া রে' টাইপ বাদে সবই দেখি কমবেশি। একবার অবশ্য ১০০% লাভ নিজে দেখছি বন্ধুদেরও দেখতে বাধ্য করেছি। ঋতুপর্ণের সবগুলো দেখে ফেলেছি। আবার কিছুদিন পরে নতুন করে দেখা শুরু করতে হবে। সত্যজিতের পথের পাঁচালিসহ বেশ কিছু সিনেমা বা ঋত্ত্বিকের 'সুবর্ণরেখা' 'মেঘে ঢাকা তারা' কতবার যে দেখেছি! এতো জলদি ঋতুপর্ণ তাঁদের দলে যোগ দেবেন ভাবিনি! ফার্স্ট পার্সনের দুই পর্বই শেষ করেছেন নাকি ভাইয়া? আপনিও লিখুন না তাহলে পাঠ প্রতিক্রিয়া। খুব ভালো হবে কিন্তু। লিখে ফেলুন জলদি জলদি।
যে মানুষগুলি তাঁদের সমকালীন পরিপার্শ্বকে উন্নততর অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার অভিযানের নেতৃত্ব দেন, ঋতুপর্ণ তাঁদের একজন। সেই কাজ করতে গিয়ে নানারকমের বেদনার ভার বইতে হয় তাঁদের। কাঁটাঝোপের মধ্য দিয়ে পথ করে চলা অগ্রণী মানুষটি কি আর নিজেকে ক্ষত-বিক্ষত হওয়া থেকে বাঁচাতে পারেন? ঋতুপর্ণও আহত হয়েছেন।
যা ক্ষমতা ছিল ওনার এবং যেভাবে তার প্রয়োগ ঘটাচ্ছিলেন সে প্রেক্ষিতে ওনার মৃত্যু নিতান্ত অসময়ে ঘটে গেল। আবার এই ফুরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াটায় ওনার নিজের অংশগ্রহণও ছিল। অগ্রপথিক (ভ্যানগার্ড) জীবনের এ এক নিরুপায় ঝুঁকি, নিতে লাগে, সব সময় সাফল্য আসে না, কখনো কখনো দাম মেটাতে হয় চড়া মাশুলে। আমরা যারা কুয়াশার মধ্যে এগিয়ে চলা যাত্রীদল, অপেক্ষায়ে থাকি, আমাদের মধ্য থেকে আরেক দিশারীর উত্থানের। কেউ কেউ নিজেই উঠে যায়, ঝুঁকি নেয়।
রিভিউ ভালো লেগেছে। বইটি পড়তে, বইয়ের লেখক-কে জানতে আগ্রহ হয়েছে।
প্রায় কাছাকাছি সময়ে যোগ দেওয়া বা বেশী করে সক্রিয় হয়ে ওঠা সাথীদের মধ্যে একজন কি চমৎকার এগিয়ে চলেছে, ক্রমাগত পরিধি বাড়াচ্ছে তার লেখালেখির - ভাল লাগছে।
খিঁচ -
(১) বঙ্গবন্ধু এবং সত্যজিৎ-কে নিয়ে অনুচ্ছেদটিতে এই দুই ব্যক্তিত্বকে এক-ই অনুচ্ছেদে ধরবার সুতোটা দুর্বল লেগেছে।
(২) শেষ অনুচ্ছেদে "চিন্তা চেতনায় দৈন্য সমাজকে" কথাটা "চিন্তা চেতনায় দীন সমাজকে" হবে, তাই ত?
(৩) আমার কাছে শেষ অনুচ্ছেদটি এই লেখাটির জন্য অপ্রয়োজনীয় লেগেছে।
কৌতূহল -
শেষের উক্তিটা ঋতুপর্ণর নিজের, তাই ত? কি উপলক্ষে করা, মানে কার মৃত্যু নিয়ে?
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
১। দ্বিমত নেই তেমন।
২।খারাপ লাগছে কয়ে মরবা নাকি তুমি ই-বুক পড়তে পছন্দ করো? করলে পৌঁছে যাবে তোমার ঠিকানায়।
৩।
মাত্তর এইটুকু! কিছু হইল? আরেকটু বলতে পারতে না! ছি ছি এসব বলে লজ্জা দেবেন না কমুনা বরং খুশিতে চটরপটর করতেছি। কোন পাগলে প্রশংসায় খুশি হয়না কও! পরের বার লাইন আরো বাড়াইবা কিন্তু
৪। 'খিঁচ' শব্দটা দারুণ পেলেম। আচ্ছা 'অবড়েসবড়ে' শব্দের মানে কী হবে? আড়ালে আবডালে নাকি?
সত্যজিৎ নিয়ে ঋতু অনেকটা বলেছেন এটা ঠিক, তবে ২য় পর্বে যেহেতু সিনেমা নিয়ে আছে তখন তাঁকে আনবার ইচ্ছা থেকেই কেবল সত্যজিৎ নামের বুড়ি ছুঁয়েছি(জানিনা অবশ্য ২য় পর্ব লেখা হয়ে উঠবে কিনা)। আর শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে খুব বেশি বলেননি। কয়েক ছত্রে তাঁর আফসোসটা জানান দিয়েছেন কেবল। মানছি এঁদের সেভাবে উপস্হাপন করা হয়নি।
৫। দীন ঠিক করে নিলেম।
৬। এতোটা বেশি আবেগ এসে গিয়েছিল থামাতে ইচ্ছে করেনি। থাক না একজন খুব পছন্দের শক্ত সবল মানুষের প্রতি একজন দুর্বল ভক্তের ততোধিক দুর্বল আবেগটুকু!
কৌতুহলের জবাব:
ওটা ঋতুপর্ণ বলেছিলেন সুইডিশ পরিচালক ইঙ্গমার বার্গম্যানের মৃত্যুর খবরে জার্মান রেডিওকে দেয়া তাঁর প্রতিক্রিয়া সাক্ষাতকারে।
খুব মনোযোগ দিয়ে পইড়াছো সেজন্য টমাটম ক্যাচাপসহ ধইন্যা
ঋতুপর্ণ ঘোষকে নিয়ে জানাশোনা খু্বই কম বলা চলে। এই পোষ্টটা সত্যিকার অর্থে অনেক বেশী আগ্রহ তৈরি করলো।বইটা অবশ্যই পড়বার চেষ্টা করবো। চমৎকার পোষ্টের জন্য শুভকামনা জানিয়ে গেলাম।
জিল্লুর রহমান, আমিও খুব একটা বেশি জানিনা। তবে জানার আগ্রহ আছে ব্যাপক।
বইটা পড়ুন সময় নিয়ে। চমৎকার একটা বই, অন্তত আমার কাছে সেরকমই লেগেছে।
আপনাকে ধন্যবাদ সময় নিয়ে পোস্টটি পড়বার জন্য।
ঋতুপর্নের সাথে আমার পরিচয় এই সাক্ষাৎকারটির মাধ্যমে --
****************************************
ইয়ে উনার নামটা 'ঋতুপর্ণ' ভাইজান। পরিচয়ের অভিজ্ঞতা জানতে ইচ্ছে করে তো ভাই!
এই পর্বটা নিয়ে মেলা জল ঘোলা হয়েছিল। অনেকের কাছে ঋতুপর্ণের ব্যবহারটা খুব বেশি উদ্ধত
মনে হয়েছিল। আমার সেরকম লাগেনি। ঠিক জবাবই দিয়েছিলেন সেদিন মীরসহ তার মতো মানুসিকতার মানুষদের।
সবকিছুর একটা সীমারেখা আছে, সহ্যেরও একটা মাত্রা আছে। একটা মানুষকে দিনের পর দিন ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করা হবে
না কি জন্য? তার লিঙ্গ বা যৌন জীবন নিয়ে। তিনি যাদের প্রতিনিধিত্ব করে মীরকে জবাব দিয়েছিলেন তারাও সমাজের অংশ, মানুষ হিসেবে তাদের সব অধিকার আছে যেমনটা ভোগ করেন মীর বা তাদের মতো মানুষেরা।
আপনি মীরের অনুষ্ঠানে ঋতুপর্ণকে দেখেছেন কিনা জানিনা। ওখানে একটা এপিসোডে ঋতু আসবার আগে একটা ঝাড়ু রেখে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান মীর। কাকে ছোটো করার জন্য করা হয়েছিল ওরকম ব্যবহার? ঋতু কিন্তু হাসিমুখে সেদিন তাঁর জন্য নির্ধারিত চেয়ারে গিয়ে বসেছিলেন। সচলের বাংলা নামাকরণের পোস্টে আপনি অনেকের মন্তব্যে বিরক্তবোধ করেছেন, আমি পড়েছি ওগুলো। ভাবুন একবার, আপনাকে সেভাবে সরাসরি আক্রমণ করা হয়নি তবুও আপনি রিবক্ত হয়েছেন বা অপছন্দ করেছেন তাদের বক্তব্য। ঋতুপর্ণকে দিনের পর দিন তাঁর কাজ নিয়ে যতটা না সমালোচিত হতে হয়েছে তারচে অনেক বেশি হতে হয়েছে ওঁর ব্যক্তিগত জীবনাচরণ নিয়ে। সহ্যের মাত্রা যদি এক্ষেত্রে হারিয়ে ফেলেন তিনি তার জন্য কিন্তু মীরের মত মানুষেরাই বেশি দায়ী। কত কী বললাম রে! খুব রাগ হয় এখনো কেন জানি। আপনি এটাকে ব্যক্তিগতভাবে নেবেন না ভাই প্লিজ! তর্ক করবার জন্য বলিনি কিন্তু। ভালো থাকবেন।
আরে, আরে, আরে, আয়নাদিদি, আপনি শুধু শুধু এত ডিফেন্সিভ হয়ে যাচ্ছেন কেন??!! আমি তো আপনার প্রিয় ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে একটি কথাও বলিনি! আশ্চর্য তো!
আর হ্যাঁ, মীর বা তার মতো "মানুসিকতার" মানুষদের উপর আপনার রাগ আমি ব্যক্তিগত ভাবে নিতে যাব কোন দুঃখে? তর্কই বা করতে যাব কেন? আমি কি মীর বা ঋতুপর্ণ - কারও কোন পক্ষ বা বিপক্ষ নিয়েছি আমার মন্তব্যে? কারও পক্ষে কিম্বা বিপক্ষে কি বিন্দুমাত্র কোনরকম উকালতি বা সওয়াল-জবাব করেছি? শুধু বলেছি - ঋতুপর্নের সাথে আমার কিভাবে পরিচয় হল। যা সম্পূর্ণ সত্যি। আমার এক বন্ধুর কাছে শুনে ইউটিউবে এই সাক্ষাৎকারটি খুঁজে বের করে দেখি আমি। এর আগে (এবং পরেও) যদ্দুর মনে পড়ে, সব মিলিয়ে দু-চার মিনিটের বেশি ঋতুপর্নকে আমি সম্ভবত মিডিয়াতে কখনো দেখিনি। তার কোন চলচ্চিত্র দেখা হয়নি, কোন লেখাও পড়িনি, যদিও নাম শুনেছি অনেক। এই সাক্ষাৎকার মারফতেই অবশেষে তার পরিচয় পেলাম। শুধু এটুকুই বলেছি আমি। অথচ আপনার ঝড়ো প্রতিমন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে, আপনি ধরেই নিয়েছেন (আমার কাছে মনে হয়েছে - তবে আমার ভুলও হতে পারে) আমার ঐ মাত্র ৭ শব্দের নিরীহ পরমাণু মন্তব্যে পরমাণু বোমার মতই ঋতুপর্ণ সম্পর্কে অনেক বিস্ফোরক নিন্দামন্দ বা অভিযোগ লুকিয়ে আছে। এতটাই যে, এই মন্তব্য থেকে কোট করার মত কিছু না পেয়ে আপনি অন্য একটা পোস্টে অন্য কোন প্রসঙ্গে করা আমার অন্য কোন মন্তব্য সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক ভাবে এখানে টেনে এনেছেন এবং আলাপটাকে "ব্যক্তিগত" বানিয়ে ছেড়েছেন। তারপর আবার নিজেই অনুরোধ করছেন এটাকে "ব্যক্তিগত" ভাবে না নিতে। এখন আমি কই যাই!!!
যাজ্ঞে, আমি আপনাকে পরিপূর্ণভাবে আশ্বস্ত করছি - আমি একেবারেই "এটাকে ব্যক্তিগতভাবে" নেইনি! একদমই না। অনেস্ট। আমি আসলে আপনার প্রতিক্রিয়ায় খুব মজা পেয়েছি বরং। একজন ভক্তের ভক্তির প্রকাশ দেখে খানিকটা মুগ্ধও হয়েছি। ভালই লেগেছে।
এবার আমি আপনাকে একটা অনুরোধ ও প্রশ্ন করি আয়নাদিদি। আপনি কি আপনার নিকের সার্থকতা বজায় রেখে একটুখানি আয়নার দিকে তাকিয়ে দেখবেন প্লিজ? এই যে আপনি কেউ এখানে বিন্দুমাত্র কোন অভিযোগ না করা সত্ত্বেও, একেবারে ঝড়ের বেগে ঋতুপর্ণের সাফাই গেয়ে গেলেন একতরফা ভাবে দুদ্দাড় করে - এটাকে কেউ যদি কল্পিত "ঠাকুর ঘরে ক্যা রে..." প্রশ্নের বাস্তব "আমি কলা খাই না" - টাইপের স্বেচ্ছাপ্রণোদিত জবাব মনে করে বসে - তাহলে কি খুব ভুল হবে? আমি আসলে বলতে চাইছি - এই সাক্ষাৎকারে ঋতুপর্ণের মত একজন গুণী মানুষের আচরণ নিয়ে আসলে আপনার নিজের মনেই হয়তো একটা বিশাল খটকা বা আশাভঙ্গের অনুভূতি লুকিয়ে আছে - যেটা ঢাকতেই আসলে আপনি আমি কোন অভিযোগ না করা সত্ত্বেও আমাকে পরোক্ষে দায়ী করে এমন ডিফেন্সিভ ভঙ্গিতে ঋতুপর্ণের সাফাই গেয়ে গেলেন হুড়হুড় করে? একবার আয়নায় দেখে আয়নাদিদি বলবেন কি, ঋতুপর্ণের বিরুদ্ধে যেসব সম্ভাব্য অভিযোগের অগ্রিম জবাব দেয়ার ভঙ্গিতে আপনি আপনার সাফাইগুলি দিচ্ছিলেন, সেই অভিযোগের উত্থিত অঙুলি আসলে আপনারই অবচেতনে লুকিয়ে আছে কিনা - যা আপনি ভক্তিজনিত কারনে সচেতন স্তরে অকপটে স্বীকার করতে পারছেন না হয়তো নিজের কাছেই?
****************************************
------
গলায় কফি আটকে গেলু!
-------
হেহেহে কেন জানি মনে হয়েছিল ঋতুপর্ণ ঘোষকে বাঁচানোর জন্য আমি বিনা আর কেউ নেই , কেউ না! তাই ওরকম হড়বড়ানি। বেচারা ঋতুপর্ণ!
বাপু হে ওটারে ব্যক্তি আক্রমণ বলা ঠিক হবে না একদমই, নিতান্তই উদাহরণ দেবার জন্য উক্ত প্রসঙ্গকে টানা। কোত্থাও যেতে হবে না ভাইয়া, সচলেই থাকুন।
এহহে! এমন এক জিনিসের উদাহরণ দিলেন ভাই! কলায় আমার দারুণ এলার্জি। আমি সত্যিই কলা খাইনা।
ঋতুপর্ণ ঘোষ শেষমেশ একজন মানুষই, মহামানব কেউ নন। আর মহামানব হলে তিনিও সমালোচনার উর্দ্ধের কেউ হয়ে যান না। তাঁর দোষত্রুটি থাকলে কিংবা তিনি আশাভঙ্গের কারণ ঘটালে সেটা প্রকাশে অবচেতন মনের কাছে যাবার প্রয়োজন হবে না(আপনি পোস্টটা ভালোভাবে পড়েননি মনে হয়, তাঁর বেশ কিছু ভাবনার সাথে আমার দ্বিমত আছে সেরকম দু' একটা এই আনাড়ি বলেছে কিন্তু!), সচেতন থেকেই খুল্লাম খুল্লা বলতে পারি/পারবো। আপনার নিরীহ ৭ লাইনের উপ্রে এতো কথা কইছি কী আর সাধে রে ভাই! আমি যে ঋতুপর্ণ সম্পর্কে কত্ত বড় তালেবর সেটা জানাতে হবে তো নাকি!!!
তর্ক বা ব্যক্তি আক্রমণে আমি সেরকম উৎসাহী না, কাজেই আপনার যদি তেমনটা মনে হয়ে থাকে তবে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। বানানটা 'ঋতুপর্ণ' রে বাপ!
ভালো থাকুন।
দেখতে দেখতে দুই বছর হয়ে গেল!
বইটার কথা জানতাম। পড়া হয়নি এখনও। পড়ে ফেলতে হবে। এমনিতেই ঋতুপর্ণর কাজের বিশেষ ভক্ত ছিলাম, আপনার লেখা পড়ে বইটা পড়ার আগ্রহ বরং বেড়ে গেছে অনেক।
হ্যাঁ, দুই বছর হয়ে গেলো! আগ্রহ যখন বাড়ছেই তখন সময় সুযোগ মতো পড়ে ফেলুন।
সময় নষ্টের আফসোস হবে না গ্যারান্টি! আমি ঋতুপর্ণের সবকিছুতেই খুব মুগ্ধ।
বিশেষ করে ওঁর জড়তাহীন অকপট মনের!
কাজের কথা বলার মত যোগ্য নই যদিও তবুও সব দেখবার/পড়বার চেষ্টা করি যা পাই।
ধন্যবাদ অতন্দ্র প্রহরী।
লেখা দুর্দান্ত লাগলো। কিছূ বলার নাই। তাঁর প্রতিটি চলচ্চিত্র কয়েকবার করে দেখা। ঢাকায় একটা কর্মশালা করাতে শুরু করেছিলেন। একটা ব্যাচই সম্ভবত বেরিয়েছিল। খুব ইচ্ছা ছিল পরের ব্যাচে ঢুকে যাবো। হলো না।
বইটা কোথায় পাবো? পড়ার তীব্র ইচ্ছা হচ্ছে।
অনেক ধন্যবাদ লখাটার জন্য।
স্বয়ম
আহা আপনি যদি কর্মশালায় যেতে পারতেন স্বয়ম বইটার ব্যাপারে মরুচারীর মন্তব্য দেখুন।
পোস্ট পড়বার জন্য ধন্যবাদ!
সবাই বইয়ের লিংক চায় এই লুক সময় ডট কমের লিংক চায় দেখি!
হেহেহে বইচুরির মত সময় চুরির সাইট থাকলে মন্দ হতো না কিন্তু!
একজন নাট্যকারের মধ্যে এই লবড়জবড় লেখা বইটা পড়ার আগ্রহ তৈরি করতে পারছে, এটাই সবচে বড় পাওয়া!
তাঁর সবগুলো সিনেমাই সম্ভবত দেখেছি। সাক্ষাৎকার পড়েছি দেখেছি। শুধু এই বইটা এখনো পড়া হয়ে উঠলো না। সময় শুধু মোমের মতো পোড়ে।
পড়ার আগ্রহ তৈরি করলেন, এবার সময় কর্জ দিন
রিভিউ ভালো লেগেছে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
খুব ব্যস্ত আছি প্রিয় আয়নামতি। শুধু বলি, পোস্টের সাথে মন্তব্যও উপভোগ্য। এবার মনমাঝির দেয়া লিংকটা ঘুরে আসি।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
ব্যস্ততার মাঝেও লেখা এবং মন্তব্য উপভোগ করে গেলে, সেজন্য ধন্যবাদ হে!
আচ্ছা
খুব কম কথায় চমৎকার একটা রিভিউ লিখে ফেললেন যেন সৌরভ!
রিভিউ লেখা আমাকে দিয়ে হয় না বলেই ভুজুংভাজুং লিখে ট্যাগ দিয়েছি 'পাঠপ্রতিক্রিয়া'।
দুই খণ্ড নিয়েই একটা রিভিউ লিখুন না ভাই সম্ভব হলে। আপনি ভালো লিখতে পারেন।
অনেক ধন্যবাদ।
ঋতুপর্ণ নিয়ে লিখতে যেয়ে আবেগী হওয়াটা স্বাভাবিক ব্যাপার। বইটা পড়া শুরু করবার আগে ঠিক যা আশা করেছিলাম পড়ে তাই পেয়েছি। 'উৎসব' ছবির পরিচালকের সব সত্যি কথা বলা আর সত্যি বিশ্বাস মেলে ধরার পাতাগুলো থেকে এর থেকে কম পেলে বেমানান হতো। সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো তার জবাব দেওয়ার, প্রতিবাদ করবার ধরণ যা নিয়ে সুন্দর করে বলেছেনও আপনি ('দ্য লাস্ট লিয়ার' নিয়ে ঝামেলার সময় লেখা চিঠিটা আমার বিশেষ ভালো লেগেছে)। বইটা অনেক বিষয়ের উপর লেখার সমষ্টি, নীলা বন্দ্যোপাধ্যায় তার কাজটুকুর জন্যে ঋতুপর্ণ ভক্তদের থেকে ভালোবাসা পেতে পারেন। কোন কোন সম্পাদকীয় লেখকের একান্তই ব্যক্তিগত ব্যপার থেকে সামান্যও বের হয়নি যে তা বলা যায়। ঋতুপর্ণের রুচির মতো বইয়ের কাভার-কাগজ সুন্দর, উপরের নামাঙ্কনও ঋতুপর্ণের করা। 'ফার্স্ট পার্সন' এর হার্ড কপি পাওয়া যায় বাংলাদেশে।
__________________
জানি নিসর্গ এক নিপুণ জেলে
কখনো গোধূলির হাওয়া, নিস্তরঙ্গ জ্যোৎস্নার ফাঁদ পেতে রাখে
দ্বিতীয় খন্ড এই একটু আগে পড়া শেষ করলাম।
যখন কোন মানুষের সাথে পরিচয় হয় এবং জানতে পারি, সে বই পড়ে, তখন চোখে মুখে উচ্ছ্বাস নিয়ে বলি, ও, তুমি বই পড়? বইটা পড়তে গিয়ে একই অনুভূতি। ঋতুপর্ণও পড়ে। শুধু তাইই না, সে রাজনীতি সচেতনও। নিজের ভাবনা খুব খোলাখুলিই বলতে পারে।
পুরো বইটা পড়ার অনুভূতি আমার আসলে মিশ্র। সত্যি বলতে কি যেরকম আশা নিয়ে পড়তে বসেছি (আসলে শুয়েছি ) সেরকম অনুভূতি পড়া শেষে আর নেই। একটা পর্যায়ে নীলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর রেগেই গিয়েছি। কি দরকার ছিল রে বাপু ক্যাটাগোরাইজ করার। যেভাবে লিখে গিয়েছেন সেভাবেই রেখে দিলেই তো হতো। আপনিই বলেন, বারবার মৃত্যুর কথা পড়তে কার ভালো লাগে। এ মারা গেল, ওও গেল। আর তা নিয়ে ঋতুপর্ণর প্রতিক্রিয়া।
পুরো বইটার একটা ঘটনার কথা আমাকে বেশ অভিভূত করেছে। ওর বাবা যখন পুরস্কারগুলো বাজারের ব্যাগে করে নিয়ে যেত বন্ধুদের দেখাবে বলে এবং এ নিয়ে ঋতুপর্ণ বেশ রাগতো তখন মা বলছিল, পুরস্কারগুলো কি শুধুই তোমার?
- ইমতিয়াজ হাসান
আপনি কি গুডরিডসের ইমতিয়াজ? সাবাশ!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
হুঁ আমিই গুডরিডস এর ইমতিয়াজ।
সাবাশ আর হাততালি কি জন্য দিলেন তা মাথা চুলকিয়েও বের করতে পারলাম না।
নো ওরিস, আপনাকে চিনতে পেরে মজা লেগেছিলো। তালি সেজন্য।
সাবাশি মন্তব্য পড়ে, আবার এদ্দুর এসে ক্যাপচা ডিঙিয়ে মন্তব্য করার জন্য।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আরে অনল রায়হানের বইটার রিভিউ লেখক তাহলে আমাদের ইমতিয়াজ ভাইটু! দারুণ লিখেছেন ওটা
----
আমার এই তেল চপচপে লেখা পড়ে যদি বইটা পড়তে বসা হয় তাহলে হতাশা বাড়ার সমূহ সম্ভাবনা।
মানুষটার প্রতি আমার অনেকটা ভালোলাগা আছে। আর সেটা নিয়েই পড়তে বসেছিলাম। না হতাশ হইনি(নিম্নমানের পাঠক রে ভাই আমি) আর এমনটাও ভাবিনা আমার সাথে অন্যদের ভাবনা কড়ায় কড়ায় মিল খাবে। ভালোলাগা-মন্দ লাগাটা যার যার ব্যাপার। 'ফার্স্ট পার্সন' তো তিনি সাপ্তাহিক রোববারের জন্য লিখেছিলেন,( বই আকারে লিখবার মতলব থাকলে হয়ত অন্য ভঙ্গি হতো লেখার! কী জানি) প্রতি সপ্তাহে তাঁর চেনাজানার মধ্যে কেউ মারা গেলে তিনি সেটা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতেই পারেন। এমন তো না যে কেবলই মৃত্যুর খবরে ঠাসা বইটা! হ্যাঁ ওটাসহ আরো কিছু ঘটনা আছে যা ভীষণ ভালোলাগার সাথে সাথে চোখে পানি এনে দেয়। বাড়তি পাওনা কিছু স্ক্রিপ্ট আর ইংরেজি চিঠিটা
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইটু কষ্ট স্বীকারপূর্বক মন্তব্য করে যাওয়ায়। শুভকামনা।
একটু প্যাঁচিয়ে বললে, আপনার লেখার কারণেই পড়া। আপনি লিখেছেন বলে সানজিদাপু পড়া শুরু করেছে, সো আমি গুডরিডস এ সেটা দেখলাম, তো তখন মনে পড়ে গেল, আরে এটা তো আমারও পড়ার কথা।
হুঁ, ভালোলাগা বিভিন্নজনের বিভিন্ন। কিন্তু আমি তো জানি আপনি নিম্নমানের পাঠক না। আচ্ছা নিম্নমানের পাঠক মানে কি? এটা কি সাইজের উপর নির্ভর করে? এই যেমন কেউ যদি ১০ ফুট উচ্চতার হয় সে উচ্চমানের পাঠক!
ভূমিকাতেই অবশ্য বলা আছে, ঋতুপর্ণ নিজেই বই বের করতে চায়নি, বলেছিল, ধুর আমি কি লেখক নাকি?
(মৃত্যুর ব্যাপারটা উদাহরণ হিসেবে দিলাম আরকি!)
- ইমতিয়াজ হাসান।
উচ্চতা হিসেবেও কথাটা খাটে দেখছি
৫ফুটি রণপা সহ ১০ফুট নাকি? তার তো অবশ্যই অতি উঁচুমাপের পাঠক হবার কথা
নতুন মন্তব্য করুন