'জামিলা'

আয়নামতি এর ছবি
লিখেছেন আয়নামতি [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ২৩/১১/২০১৮ - ১:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

চিঙ্গিস আইৎমাতভের আলোড়ন তোলা সাহিত্যকর্ম হিসেবে যে নাম পাঠক মনে ভালোবাসায় জেগে থাকে, নিঃসন্দেহে সেটি 'জামিলা’। আইৎমাতভের সুবিখ্যাত এ সৃষ্টির প্রথম প্রকাশ ঘটে রাশান ভাষার মাসিক পত্রিকা 'Novyj Mir' এর ৮ম সংখ্যায়। প্রকাশের সাল ১৯৫৮। ওই একই বছরে কিরগিজ ভাষী পত্রিকা 'Ala-Too' এর দশম সংখ্যায় এটি প্রকাশিত হয়, তবে ভিন্ন নামে। কিরগিজ পত্রিকা 'আলা টু’ তে নভেলাটি 'মেলোডি(Melody)' নামে প্রকাশিত হয়। ১৯৫৯ সালে ‘জামিলা’ রুশ-কিরগিজ দু'ভাষাতে মলাটবন্দী হয়ে পাঠকের হাতে ধরা দেয়। ফরাসি সাহিত্যিক লুই আহাগঅঁ(Louis Aragon) 'জামিলা' পাঠে দারুণ মুগ্ধ হয়ে ১৯৫৯ সালেই বইটি ফরাসী ভাষায় অনুবাদ করেন। লুই আহাগঅঁ মতে, ‘জামিলা ''বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর প্রেমের গল্প"।

ফরাসী ভাষায় অনুবাদের কারণে ‘জামিলা’ নিজের পরিমণ্ডল ছেড়ে বাইরের পৃথিবীর সাহিত্য চত্বরে পা রাখে। বলাই বাহুল্য পাঠকমহলের মনোযোগ এবং প্রশংসা কাড়তে যথেষ্ট সক্ষম হয়। একই বছরে বইটি প্রোগরেস প্রকাশনী সংস্হা থেকে ইংরেজিতেও অনুদিত হয়। তবে প্রথম ইংরেজি অনুবাদকৃত 'জামিলা' নিয়ে বোদ্ধামহলে আলোচনা হলেও তেমন পাঠক টানেনি। পরবর্তীতে আরো অনেকেই(ইংরেজিতে) এটি অনুবাদ করেন এবং তা পাঠকের আগ্রহ কেড়ে নিতে সক্ষম হয়। 'জামিলা' বাংলাসহ আরো অনেক ভাষায় অনূদিত হয়েছে।

প্রকাশের প্রায় ৬০ বছর গড়িয়ে আজও কেন 'জামিলা'র প্রতি পাঠকের আগ্রহ। কেন পঠিত এই বইয়ের কথা স্মরণে এনে পাঠক আজো আপ্লুত হন। বই পাঠ শেষে পাঠক এসব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন নিশ্চিত।

একটা সাদামাটা ফ্রেমবন্দী ছবির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একজন ভাবনারত মানুষের সাথে গল্পের শুরুতেই পাঠকের পরিচয় ঘটে। যিনি খোঁদ ছবির আঁকিয়ে। এই শিল্পী চরিত্রটি গল্পের কথক, যার বয়ানে পুরো গল্প গড়ায়। কথকের নাম সেইত। জামিলার কাহিনির গড়িয়ে যাবার সাথে সাথে পাঠক জেনে যান তার শিল্পী হয়ে ওঠার আখ্যান। এ গল্পে পৌঁছানোর সদর দরজা হলো সেইতের আঁকা ফ্রমবন্দী এই ছোট্ট ছবি। কথকের বয়ানকৃত স্মৃতির আল ধরে পাঠক পৌঁছে যাবেন মূল গল্পে। প্রায় ঝাপসা হয়ে আসা ছবির দু’জন মানুষ সেইতের জীবনে অনেকটা জুড়ে আছে। প্রায় সে এই ছবির সামনে দাঁড়িয়ে তাদের শুভকামনা যাচ্ঞা করে। শিল্পীর জীবনের সাথে এত গুরুত্বের সাথে সংশ্লিষ্ট হওয়া সত্ত্বেও, সে ছবি কোনো প্রদর্শনীতে নেয়া হয়নি। বরং প্রিয় মানুষ দুটিকে নিয়ে আঁকা এ ছবি লোকচক্ষুর অন্তরালে রাখার সযত্ন চেষ্টায় বহুদিন ধরে শিল্পী সেইত সচেষ্ট। কেন তার অমন চেষ্টা, ছবির মানুষ দুজনই বা কে! গল্পটা জানবার দারুণ কৌতূহল তৈরি হয়ে যায় পাঠক মনে। সে গল্পের খোঁজ আর 'জামিলা'র সাক্ষাতের ব্যাকুলতা নিয়ে, 'শরতের বিবর্ণ আকাশের সীমানা পেরিয়ে, পিঙ্গল সোমরাজে আচ্ছাদিত স্তেপ, বৃষ্টি ভেজা কাল পথ আর শুকনো ভাঙা ঘাসের ঝোপ যে পথে ভীড় করে থাকে', আর বৃষ্টির কারণে পথে গাড়ির চাকার যে চিহ্ন অঙ্কিত হয়, সে চিহ্ন ধরে পাঠক পৌঁছে যাবেন সেই গ্রামে। যেখানে পাওয়া যাবে বহু কাঙ্খিত 'জামিলার' সন্ধান।

পনেরো বছর বয়সী কিশোর কথক সেইত, তার বড় ভাইয়ের বউ জামিলার বাস স্তেপ ঘেরা মধ্য এশিয়ার কুর্কুরেউর গ্রামে। এই গ্রামে বসবাসকারী সেইত আর তার কিরগিজ গোত্রের আত্মীয় পরিজনেরা সুখে দুঃখে পাশাপাশি বসবাস করে আসছে বহুকাল ধরে। পাশের ছোটো বাড়ির ছোটো কর্তা মারা যাবার পর গোত্রের প্রথা মেনে আত্মীয়ের বিধবাকে বিয়ে করেন সেইতের নীরিহ ছুতার বাবা। ছোট-বড় দুই বাড়িই পাশাপাশি অবস্হিত। এ দুই বাড়ি মিলে এক পরিবার। আর তার সর্বময় কর্ত্রী হলেন সেইতের মা, যাকে গ্রামবাসী 'বাইবিচে' অর্থাৎ বড় বাড়ির বউ বলে সম্মান করে। গ্রামে বড়বাড়ির যথেষ্ট প্রভাব-প্রতিপত্তি। কথকের মা, চিরন্তন পুরুষতান্ত্রিক কাঠামোর ভেতর থাকা এক নারী, পরিবারের একচ্ছত্র কর্ত্রী। যার ভাবনার কাঠামোতে ছেলের বউ জামিলার জন্য চিরায়ত ভাবনারই আসা-যাওয়া, "সন্তানের মা হওয়া আর সচ্ছল পরিবারে বাস করার মধ্যেই মেয়ে মানুষের জীবনে সুখ।'' অপরূপা সুন্দরী, কঠোর পরিশ্রমী, উদ্যমী, উচ্ছলতায় ভরপুর জামিলাকে ঠিক নিজের আদলেই গড়েপিটে নিতে চান শাশুড়ি। কিন্তু জামিলা কী চায় ভরপুর সংসারের চৌহদ্দিতে দাঁড়িয়ে? সেদিকে ভ্রুক্ষেপের প্রয়োজন দেখান না শাশুড়ি কিংবা পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠরা। কারণ সে নিয়ম নেই গোত্রীয় এ পরিবারে। তাই বিবাহিত ছেলে চিঠি লিখে বাবার নামে, সে চিঠি পড়েন মা, আর উত্তরের দায় ছোটো ছেলে সেইতের। প্রত্যেক বয়োজ্যেষ্ঠকে সম্বোধন করে খোঁজ খবর নেয়ার একদম শেষে, নামকাওয়াস্তে জামিলার নামোল্লেখ করা সে চিঠিতে, চোখ বুলিয়ে জামিলার মুখে নেমে আসা ঘন ছায়া তাই কেউ লক্ষ্য করেন না। দ্জনে অর্থাৎ বড় ভাইয়ের বউ জামিলার এই প্রতিক্রিয়া ‘কিচেনে বালা’ অর্থাৎ দেবর সেইত ছাড়া।

জামিলার সাথে ‘কিচেনে বালা’ সেইতের বন্ধুত্বের সম্পর্ক। বয়সে কিছুটা বড় জামিলা। বড় ভাইয়ের বউ হবার কারণে নাম ধরে ডাকা যায় না, তাই গ্রামের প্রথা অনুযায়ী তাকে দ্জনে ডাকে সেইত। ভাইয়ের অনুপস্হিতিতে সেইত বরাবরই চপলা, অনিন্দ্যসুন্দরী, সহজেই অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম জামিলাকে ছায়ার মত আগলে রাখতে চাইতো। ভাই নেই বলে কেউ যেন অন্যায় সুযোগ নিয়ে জামিলাকে অসম্মান না করে সেদিকে সেইতের ছিল তীক্ষ্ণ নজর। তার উপস্হিতিতে যুদ্ধ ফেরত সৈন্য বা যে কেউ জামিলার সান্নিধ্যে এলে, সেইতের বালক হৃদয়ে ঈর্ষার মতো কিছু একটা জন্ম নিতো। জামিলা কোনো পুরুষের সাথে হেসে কথা বললে সেইতের রাগে গা জ্বলতো।

কুর্কুরেউর গ্রামের বাইরে যে পৃথিবী, সেখানে তখন দুটো শিবির, দু ভাগ হয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ময়দানে একে অন্যের সাথে যুঝছে। স্তেপ পাহাড় আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ঘেরা গ্রামের কোনো বাড়িতে সুস্হ সবল কোনো পুরুষ নেই, সবাই যুদ্ধে গেছে। রয়ে গেছে বৃদ্ধ, শিশু আর যুদ্ধে সক্ষম নন এমন মানুষজনেরা। তাদের কারোই অলস সময় ব্যয়ের উপায় ছিল না। চাষবাসসহ যুদ্ধরত সৈনিকদের খোরাক যোগানোর কাজে গ্রামের সবাইকে যৌথ খামারে অক্লান্ত শ্রম দিতে হতো। যুদ্ধ মানেই তো শান্তি হরণ, শিশুদের শৈশবের চৌপাট হওয়া। কুর্কুরেউর গ্রামেও তার ছায়া পড়েছিল তীব্রভাবেই। সেইতের ছোট্ট যে বোন, হাসিখুশি খেলাধূলা প্রিয়, সব ফেলে দিনমান তার অক্লান্ত পরিশ্রমের ব্যাপারটা তার মনে গভীরভাবে আঁচড় কাটে। যা সেইত ভুলতে পারেনি আজীবন।

যেহেতু দ্জিগিত(কুশলী ঘোড়সাওয়ার)রা সবাই যুদ্ধরত, আর জামিলা একাজে দক্ষ, তাই ঘোড়ার গাড়ি ছুটিয়ে রণাঙ্গনের শস্য পৌঁছানোর দায় এসে চাপে বড়বাড়ির বউ জামিলার উপর। সেইত এবং যুদ্ধাহত সৈনিক দানিয়ার, জামিলাকে সে কাজে সাহায্যের জন্য যুক্ত হয়। নিয়ম করে তারা তিনজনে প্রতিদিন শস্য বোঝাই বোঝাগুলো পৌঁছে দিতো। ফেরার পথে সারাদিনের কর্মক্লান্তি ভুলতে জামিলা মাঝে মাঝে গান তুলে নিতো কণ্ঠে। সেইত বরাবরই জামিলার সব কাজেই মুগ্ধ। কিন্তু সে লক্ষ্য করে সর্বদা নির্লিপ্ত, আপনাতে আপনি বিভোর, দানিয়ারের মধ্যে খুব নিঃশব্দে জামিলার প্রতি একধরনের মুগ্ধতার পদচারণা।

নিঃস্ব, নিরাশ্রয় দানিয়ারকে নিয়ে সেইত আর জামিলা প্রায় মজা করতো। সেরকমই মজার ছলে এক সন্ধ্যায় কাজ শেষে ফেরার পথে জামিলা, দানিয়ারকে গান গাইবার জন্য বলে। সেইত মনে মনে হেসে নেয় খানিক। জামিলারও সেরকম ধারণা...কিন্তু ওদের থমকে দিয়ে, বিষন্ন সন্ধ্যার বুকে সুরের আলো জ্বেলে দেয় দানিয়ার জাদুময় কণ্ঠস্বর -

“ আমার সাধের পাহাড় রে,

নীলচে সাদা পাহাড় রে!

বাপ পিতেরম’র দ্যাশের তুই পাহাড় রে

আমার সাধের পাহাড় রে,

তোর বুকেতে জন্ম নিলাম….”

'তার নিঃশব্দ বিষন্ন চিন্তাচ্ছন্নতার মধ্যে এমন একটা কিছু ছিল, যার নিকটস্হ হওয়া যায় না; সেটাই আমাদের সরিয়ে রাখত।' দানিয়ারের এমন স্বভাব নিয়ে সেইত আর জামিলা রীতিমত হাসিঠাট্টা করতো। তাকে জব্দের ফন্দি ফিকির করেও সম্ভব হয়নি। উল্টো সে সমীহ আদায় করে নিয়েছে তাদের। গান গাইবার কথায় জব্দ করা যাবে ভেবেছিল, কিন্তু সুরের যে ঘোর দানিয়ার সৃষ্টি করে তাতে জামিলা আর সেইত মোহগ্রস্ত হয়ে পড়ে।

তার সুরের জাদুতে দু’জন মানুষ যেন নতুন করে চোখ মেলে চারপাশকে নতুন চোখে দেখবার সুযোগ পায়। নিজের মতো থাকতে পছন্দ করা, হৃদয়ের দিক থেকে সম্পদশালী মানুষ দানিয়ার তার বহিরাঙ্গের দৈন্যদশা দিয়ে জামিলার মনের ভেতর বাড়িতে হয়ত সহজে প্রবেশ করতে পারতো না। কিন্তু ‘গান দিয়ে দ্বার খোলাবো’র জাদু সত্যিই হাট করে খুলে দেয় জামিলার মনের দুয়ার। দু’জন মানুষের নিকটে আসাটা আড়ালে আরো একজন গভীরভাবে প্রত্যক্ষ করে যায়। দানিয়ারের গান, তার মধ্যে জামিলার নৈকট্যে আসার নীরব ব্যাকুলতা, সেইতের মধ্যেও রঙধনু রঙ খোঁজার আগ্রহ জাগিয়ে দেয়। একদিন সেইত আড়ালে লুকিয়ে দেখে..”দুজনে মুখোমুখি গভীর দুখে দুখি, আকাশে জল ঝরে অনিবার- জগতে কেহ যেন নাহি আর”। এমন দৃশ্যের নির্মল আবেশ সেইতকে আবার আঁকতে ব্যাকুল করে… যুদ্ধের কারণে স্কুল, আঁকাআঁকি বন্ধ। কোথায় পাবে রঙ! যুদ্ধগ্রস্হ সময়ে কাঙ্খিত রঙের নাগাল সেইতের পাওয়া হয় না। অবশেষে চুরি করে আনা একটুকরো কাগজের বুকে, সাধারণ পেন্সিলে অনেকটা ভালোবাসায় সেইত তার দেখা দু’জন মানুষের ছবি আঁকে।

খুব গোপনে আস্তে ধীরে জামিলা আর দানিয়ারের মধ্যে যে সম্পর্ক তৈরি হয়, তার সুখকামনায় দ্বন্দ্ব নিয়েও সেইত তাড়িত হয় আন্তরিকভাবে। 'একই সাথে চাইতাম আবার চাইতামও না জামিলা দানিয়ারের প্রেমে পড়ুক।' জামিলার স্বামী সাদিক সারাতভের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার মনে সামান্য দ্বিধা সংকোচ, সে বিবাহিতা, স্বামী হাসপাতালে, তারপরও অমোঘটানেই যেন দানিয়ারের প্রেমে পড়ে যায় জামিলা। না পড়ে উপায় ছিল না।

দানিয়ারের মধ্যে জামিলা সেটাই দেখতে পায়, যা সে তার স্বামী সাদিকের মধ্যে দেখতে চেয়েছিল। জামিলার মতো নারী খুব বেশি কিছু চায় না আদতে।

“একটি জলের খনি

তাকে দিক তৃষ্ণা এখনি, চেয়েছিল

একটি পুরুষ তাকে বলুক রমণী ।'’

বিয়ের চারমাসের মাথায় সাদিককে যুদ্ধে চলে যেতে হয় বলে সেরকমটা তার পক্ষে হয়ত সম্ভব হয়নি। কিন্তু সদ্য বিবাহিত স্ত্রীকে পরিবারের রীতির বাইরে গিয়ে আলাদা করে কখনো লিখে জানাতে পারতো তার মনের গোপন গহীন কথা। যা শোনার জন্য জামিলা ‘দিবস রজনী আশায় আশায়’ থাকতো। অবশ্য সাদিক স্ত্রীকে আলাদা করে একটা চিঠি দিয়েছিল যুদ্ধাহত এক বন্ধুর হাতে। কিন্তু ততক্ষণে বড় দেরি হয়ে গেছে। স্বামী যে তাকে ভালোবাসে না এ সত্য জামিলা বুঝে নিয়েই, দ্বিধা সংকোচ কাটিয়ে দানিয়ারের হাত ধরবার জন্য সমাজ-সংসারের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে ভয় পায় না। দ্বিধাহীন গলায় জানায়, “ লোকে কী বলবে আমি তার পরোয়া করিনা।”

ভালোবাসার জন্য অবলীলায় ভরপুর সংসার ফেলে হাত ধরা যায় এমন মানুষের যার, 'থাকার মধ্যে আছে ছেঁড়া কোট আর বুট জোড়া।’ প্রেমের জন্য যাবতীয় আরাম, অমৃতের জন্য ঐশ্বর্য ত্যাগ করে জামিলা কী সুখী হয়েছিল? দানিয়ার-জামিলা কী পৌঁছাতে পেরেছিল তাদের কাঙ্খিত গন্তব্যে? সে প্রশ্নের উত্তর পাঠককেই খুঁজে নেবেন।

‘জামিলা’ শুধুমাত্র দু’জন মানুষের প্রেমের গল্প না, বরং তিনজন মানুষের ভালোবাসার অনবদ্য এক আখ্যান। দু’জন নারী-পুরুষের সম্পর্কের গ্রন্থিমোচন এবং এক কিশোরের কৈশোরত্বের ভাসানের মধ্যে দিয়ে আত্মআবিস্কার আর ব্যক্তিক আত্মোপলব্ধির গল্পও বটে। কৈশোর ভেসে গেলেও সেইত তার কৈশোরের নিষ্কলুষ প্রেমকে ভাসান না দিয়ে পরিণত বয়সেও খুব তা যত্নে বয়ে বেড়ায়। পরিণত বয়সে পৌঁছেও প্রথম প্রেমের অনুরণন শোনে বুকের খাঁজে, সেখানে একটা সুরই যেন গুনগুনিয়ে যায়, ‘তুমি রবে নীরবে হৃদয়ে মম।’ তার সকল কাজে প্রিয় দু’জন মানুষকে খুঁজে নিতে চায় পরম নির্ভরতায়।

“ Let Daniyar's melody resonate in every one of my brush strokes!

Let Jamilia's heart beat in every one of my brush strokes!"


মন্তব্য

আয়নামতি এর ছবি

পড়বো পড়ছি করে 'জামিলা'র কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। সেদিন নজমুল আলবাব ভাইয়ের' হাসপাতালের দিনগুলো' পোস্টে, ষষ্ঠপাণ্ডবদার মন্তব্যে 'জামিলা'র নামে বেশ কিছু ভাইয়ের আপ্লুতভাবে বইটা পড়ে নেবার আগ্রহকে আর ধামাচাপা না দিয়ে পড়ে নিয়েছি। এই বইখানা পড়ে ফেলবার আগ্রহ উস্কে দেবার জন্য সংশ্লিষ্ট ভাইসকলকে ধন্যবাদ। হাসি

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

একটা তথ্য। ১৯৭৯ সালে প্রগতি প্রকাশন, ২১ জুবভস্কি বুলভার, মস্কো, সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে প্রকাশিত চিঙ্গিস আইৎমাতভের তিনটি গল্পের (জামিলা, প্রথম শিক্ষক ও বিদায় গুলসারি) বাংলা অনুবাদ নিয়ে প্রকাশিত সংকলন 'পাহাড় ও স্তেপের আখ্যান'-এর প্রথম গল্প 'জামিলা'র অনুবাদক খালেদ চৌধুরি। 'প্রথম শিক্ষক' অনুবাদ করেছিলেন হায়াৎ মামুদ আর 'বিদায় গুলসারি' অনুবাদ করেছিলেন অরুণ সোম। বাংলাদেশের মানুষের কাছে খালেদ চৌধুরি 'প্রভু' নামে পরিচিত। সচল পরিবারের সদস্যদের কাছে তাঁর আরেকটা পরিচয় হচ্ছে তিনি সচল সুজন চৌধুরীসুমন চৌধুরী'র পিতা।

আমার কৈশোরের প্রেম 'জামিলা'কে নিয়ে বাকি আলোচনা পরে করার চেষ্টা করবো।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

এক লহমা এর ছবি

আমার জামিলা পাঠ এই তিন গল্পের আখ্যান থেকেই। তিনটি গল্প-ই বহুকাল মাথায় ঘুরত। এই বই হারানোর দুঃখ অপরিসীম। আর কোনদিন পড়া হবে না বোধ হয়।

এই বই প্রসঙ্গে যে 'সচল' তথ্য জানালে সেটা খুব আনন্দের।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

আয়নামতি এর ছবি

বাহ! খালেদ চৌধুরী, সচল সুজনদা-সুমনদার অতি আপনজন তথ্যটা জেনে আপ্লুত হলাম। এমন খবর আমাদের জানানোর জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ পাণ্ডবদা। খালেদ চৌধুরীর অনুবাদ অতি উপাদেয়। আপনার উল্লেখিত কপির ই-সংস্করণ সংগ্রহ করে পড়েছি। বাকি দুটো অবশ্য পড়িনি, এ গল্পের রেশটা কাটাতে চাইনি বলে। তবে পড়বো অবশ্যই।

আপনার কাছ থেকে 'জামিলা' বিষয়ক আলাপ শোনার অপেক্ষায় থাকলাম।

অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য দুঃখিত হচ্ছি। আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আমি ভেবে দেখলাম 'জামিলা'কে নিয়ে টুকটাক আলোচনা করলে তার সাথে অন্যায় করা হবে। মেটাব্লগিং-এর সীমা পার হবার পর কোন একদিন জামিলাকথন হওয়াটাই ঠিক হবে। আপাতত অন্যদের গল্প শুনে যাই।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

আয়নামতি এর ছবি

চলুক

দারুণস্য দারুণ সেই জামিলাকথন পড়বার অপেক্ষায় থাকলাম তাহলে, পাণ্ডবদা। হাসি

এক লহমা এর ছবি

রিভিউ ভাল লাগল।

লুইস অ্যারগন বদলে লুই আহাগঁ বা লুই আহাগঅঁ করে দেওয়া যায়? ফরাসী উচ্চারণের হিসেবে।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

আয়নামতি এর ছবি

'জামিলা' নিয়ে তোমাদের সম্মিলিত উচ্ছ্বাসে বইটা পড়া হয়ে গেলো। ধন্যবাদ তোমার-তোমাদের পাওনা।

পোস্ট পড়বার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদাই। তথাস্তু হাসি

তুলিরেখা এর ছবি

আমার সবচেয়ে প্রিয় পরের গল্পটা। "প্রথম শিক্ষক"। সেই জোড়া পপলারের অভিজ্ঞানচিহ্ন, সেই সোনালি বেণী দোলানো অনাথা কিশোরী যে জ্ঞান উন্মেষের সময় থেকে অবহেলা অত্যাচার ছাড়া আর কিছু পায় নি, যে তার প্রথম শিক্ষকের কাছেই প্রথম "মানুষ" হিসেবে সম্মান পেয়ে বুঝতে পারল জগতে তার অনেক কিছু করার আছে শুধু ভুক্ত ও ব্যবহৃত হয়ে মরে যাওয়া ছাড়াও। প্রথম ওই কাহিনি পড়েছিলাম স্কুলে ক্লাস সিক্সে থাকতে, ওই মেয়েটির সঙ্গে ঘুরে বেড়িয়েছিলাম স্তেপের প্রান্তরে, তারই মতন সংগ্রহ করেছিলাম জ্বালানি, তারই মতন ঢেলে দিয়েছিলাম প্রথম ক্ষুদ্র স্কুলঘরটির জন্য, শীতের জ্বালানির সঞ্চয়। আজও সেই প্রথমপাঠের মতন মুগ্ধতা রয়ে গিয়েছে গল্পটির জন্য।
প্রথম শিক্ষক গল্পের রিভিউ ও করো আয়নামতি । জামিলার রিভিউ খুব ভালো হয়েছে ।

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

আয়নামতি এর ছবি

হায়াৎ মামুদের অনুবাদ বরাবরই খুব পছন্দের। 'প্রথম শিক্ষক' পড়িনি। পড়বো অবশ্যই। রিভ্যু তুমিই লিখে ফেলো না কেন তুলিদি! লিখে ফেলো, পড়ি আমরা। পোস্ট পড়বার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

এক লহমা এর ছবি

আমার ও "প্রথম শিক্ষক" পছন্দ হয়েছিল "জামিলা"-র থেকে বেশী। তবে সবচেয়ে ধাক্কা দিয়েছিল "বিদায় গুলসারি"। প্রকৃতপক্ষে ঐ তৃতীয় গল্পটি ছিল বিদায় সোভিয়েত। আমার একেক সময় ভেবে অবাক লাগে যে এই তিন গল্পের এই ক্রমিক বিন্যাসের সংকলনটি কার পরিকল্পনা। পরিকল্পনায় কি উদ্দেশ্য ছিল? যেই করে থাকুন, যে উদ্দেশ্যেই করে থাকুন, আমার কাছে এই সংকলনটি সোভিয়েত রাশিয়ার ক্রম-পরিণতির এক চমৎকার দলিল বলে মনে হয়েছিল। আর ধাক্কাটাও লেগেছিল সেই কারণেই।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

'বিদায় গুলসারী'তে গুলসারীর কষ্ট যে কোন পাঠককে ধাক্কা দেবে। আমার অবশ্য তানাবাই, তাঁর স্ত্রী, তাঁদের ভেড়াগুলো এমনকি 'চোরো'র জন্যও কষ্ট হয়েছে।

বস্‌, গল্পত্রয়ের ক্রমের সাথে সোভিয়েত ইউনিয়নের পরিণতসংক্রান্ত আপনার পর্যবেক্ষণ জেনে চমৎকৃত হলাম। মধ্য এশিয়ায় যৌথ খামার বলুন, জোর খাটিয়ে ফসল নিয়ে যাওয়া বলু্‌ন আর নিজ ভূমি থেকে উৎখাত হওয়া বলুন তার সবই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এখানে এসেছে। সোভিয়েত কর্তারা বুঝে হোক বা না বুঝে হোক সাহিত্যের ভেতরে লুকিয়ে থাকা এই আত্মঘাতী বোমাগুলো সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছে। 'বিদায় গুলসারী'র রিভিউটা আপনাকে লিখতে অনুরোধ করছি।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

তুলিরেখা এর ছবি

ক্রমিক বিন্যাসের কথাটা দারুণ বললেন তো! "জামিলা" যেন নতুন ব্যবস্থার সঙ্গে কৈশোরের প্রেম, "প্রথম শিক্ষক" নতুন ব্যবস্থার সঙ্গে ঘরগেরস্থি, "বিদায় গুলসারি" তো নামেই বোঝা যাচ্ছে, নতুন ব্যবস্থার থেকে বিদায়। (বিদায় গুলসারি নতুন করে পড়বো আবার, সেই বয়সে ততটা বুঝতে পারিনি, শুধু তাঁবুতে না থেকে ঘরবাড়ি বানিয়ে থাকতে হচ্ছে বলে দুজন লোক কথা বলছে সেই নিয়ে, কেমন যেন দুঃখ পাচ্ছে সেটা দেখে চমৎকৃত হয়েছিলাম। আসলে বাড়িটাড়ি থাকে না, তাঁবুই স্বাভাবিক এই ব্যাপারটা একেবারে চমক লাগানো জিনিস ছিল আমার কাছে সেই সময়। হাসি )

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

আয়নামতি এর ছবি

''প্রথম শিক্ষক'' "বিদায় গুলসারি" গল্প দুটো পড়া না থাকায়, এক লহমাদার ক্রমিক বিন্যাসের চিন্তাটা স্পষ্ট বুঝিনি তখন। এখন যেহেতু গল্প দুটোই পড়েছি, সবই ফিলিপস বাত্তির মতো ফকফকা! তিন গল্পের রূপকে সোভিয়েত রাশিয়ার স্বপ্নভঙ্গের কী চমৎকার উপস্হাপনা এই গল্প সংকলন!

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

তুলিরেখা, 'প্রথম শিক্ষক' নিয়ে রিভিউ লিখতে আপনাকে অনুরোধ করছি। এই গল্প নিয়ে আপনার আবেগ ও অনুভূতির প্রকাশ হওয়া দরকার। তাহলে গল্পটির প্রতি সুবিচার করা হবে। আপনার রিভিউতে আয়নামতিসহ আমরা সবাই আলোচনা করতে পারবো। প্লিজ!


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

তুলিরেখা এর ছবি

লিখতে বললেন বলে অনেক ধন্যবাদ । জানি না, "প্রথম শিক্ষক" গল্পের রিভিউ লেখার মতন যোগ্যতা আমার আছে কিনা। তবে চেষ্টা একটা করবোই কয়েকদিন পর। হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

আয়নামতি এর ছবি

পাণ্ডবদার সাথে গলা তুললাম। লহমাদা লিখবে "বিদায় গুলসারি" আর তুলিদি লিখবে, "প্রথম শিক্ষক"। আর কোনো কথা হবে না। তোমাদের মায়াময় লেখাগুলো পড়বার অপেক্ষায় থাকলাম। হাসি

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

২০০৯ সালে কিরিগিজ সরকার জামিলার ওপর ৭ সওম দামের ডাকটিকিট বের করেছে। উপন্যাসের চরিত্র নিয়ে বের করা ডাকটিকিটের সংখ্যা সারা দুনিয়াতে খুব বেশি হবার কথা না।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

আয়নামতি এর ছবি

একটা চমকদার ঘটনা বটে। জামিলা তো এটা! বাহ্। জামিলা নিয়ে নাকি মুভিও হয়েছিল। কেমন সেটা কে জানে। সাহিত্য কেন্দ্রিক মুভিগুলো সেভাবে মনে দাগ কাটতে পারে না খুব একটা।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

একসময় রাস্তাঘাটে সোভিয়েত দেশ থেকে বাংলায় অনুদিত বইপত্র কিনতে পেতাম। তখন সম্ভবত এই বইটিও চোখে পড়েছিল। কিন্তু কেনা হয়নি অজ্ঞতার কারণে। এই পোস্টের সুবাদে চিঙ্গিস আইৎমাতভের সঙ্গে পরিচয় ঘটলো। আমার পরবর্তী পাঠের তালিকায় থাকলো চিঙ্গিস আইৎমাতভ।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

আয়নামতি এর ছবি

প্রচুর রাশান বই ছিল আমাদের। অনেক বইয়ে ননী ভৌমিকের অটোগ্রাফ ছিল। ... শুধু পড়লে হবে না ভাইয়া। এই বইটা বাদে অন্য বই পড়ে ভালো লাগলে জানান দেবার অনুরোধ থাকলো। পোস্ট পড়বার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

জীবনযুদ্ধ এর ছবি

অশেষ ধন্যবাদ 'জামিলা' সম্পর্কে লেখার জন্যে, আমাদেরকে ঋদ্ধ করবার জন্যে। ভবিষৎ পাঠতালিকায় যুক্ত করে নিলাম

আয়নামতি এর ছবি

ব্যাপক ঋদ্ধ হবার দিন সম্মুখে ভাই জীবনযুদ্ধ। সচলের পাতায় চোখ রাখতে ভুলবেন না.. 'জামিলা' নিয়ে পাণ্ডবদা পাঠ আলাপ, তুলিদি 'প্রথম শিক্ষক' আর একলহমা 'বিদায় গুলসারি' নিয়ে লিখবেন। পোস্ট পড়বার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জীবনযুদ্ধ।

এক লহমা এর ছবি

বিজ্ঞাপন কোম্পানিগুলাইন তুমার খোঁজ পায় নাই ক্যান কে জানে!!!! শয়তানী হাসি

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

খোঁজ পায়নি আপনাকে কে বললো! কে জানে আয়নামতি হয়তো সত্যি সত্যি বিজ্ঞাপনের কপিরাইটারের কাজ করেন!! শয়তানী হাসি


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

আয়নামতি এর ছবি

কিছু কথা থাক না গুপন চোখ টিপি

আয়নামতি এর ছবি

হো হো হো

ummehasina এর ছবি

রিভিউ এর অপেক্ষায় আছি । পিডিএফ ডাউনলোড করেছিলাম, কিন্তু করাপ্ট দেখায়। পড়তে পারিনি। এখন কি এই বইটি নতুন করে কেউ প্রকাশ করেছে?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।