যদি প্রশ্ন করা হয় পৃথিবীতে সবচে' শান্তির জায়গা কোনটি? অনেকের মতো আমিও সপাটে জবাব দেবো বইমন্দির। অর্থাৎ গ্রন্থাগার। রাশি রাশি বইয়ের ভাঁজে শান্তি বড় স্বস্তিতে মুখ ডুবিয়ে থাকে। বইয়ের কাছে গেলে মনে বড় শান্তি শান্তি ভাব আসে। সেরকম পড়ুয়া না হলেও বই বরাবরই ভীষণ প্রিয়। আর বই মেলা তো প্রিয়'র তালিকার গুরুদেব।
ছোটো বেলার বইমেলা যাওয়ার স্মৃতি বড় আনন্দের। বাড়ি থেকে জন প্রতি 'একখান একখান' বই কেনার শর্ত মেনে প্রায় নাচতে নাচতে মেলায় যাওয়া হতো। সারা বছরই নানা ছুতোয় বই উপহার দেবার আর পাওয়ার চল ছিল আমাদের মধ্যে। প্রচুর টাকা পয়সা ছিল না আমাদের। কিন্তু, প্রচুর মানে, প্রচুরররর বই ছিল। বইওয়ালা বাড়ি বললে যে কেউ চিনিয়ে দিতেন আমাদের বাড়িটা। 'ছিল' বলছি কেন! এখনও আছে। শুধু বইপ্রিয় মানুষগুলো ছিটকে গেছি পৃথিবীর নানা প্রান্তে...অন্য ভুবনে চলে গেছেন সবচে' পাড় দু'জন পাঠক। যাঁদের কারণে বইয়ের প্রতি আমাদের ভালোবাসা জেগে থাকে। বইয়ের টানে প্রতি বছর মেলায় না যেতে পারলে কী যে কষ্ট হতো। একবার মেলা চলাকালীন আমার এক বোন টাইফায়েডের কারণে মেলায় যেতে না পেরে কী কান্না কেঁদেছিল! মনে আছে, অনেকটা পথ আমরা ওর কথা ভেবে মন খারাপ করে ছিলাম। সেবার 'একখান' বইয়ের নিয়ম ভেঙে অসুস্হ বোনের জন্য তিনখান বই কেনার আনন্দ নিয়ে বাড়ি ফেরা হয়েছিল।
বইমেলা এখন ধরাছোঁয়ার বাইরে। হুটহাট চলে যাওয়া সম্ভব না বই-আড্ডার অমোঘ টানে। তবু, প্রিয় গন্তব্য হিসেবে বইমেলা এখনও টানে।
এই দেখো! কথা হচ্ছিল বইমেলা ঘিরে আনন্দ নিয়ে, কোত্থেকে এট্টুশখানি মন খারাপ নাক গলাতে চায়। নাহ, এখানে মন খারাপকে না আনন্দকে পিঁড়ি পেতে দিচ্ছি, এসো, বসো, আনন্দ। 'শোনাও তোমার অমৃত বাণী।' কারো কী এমনটা মনে হয়, বই মেলা কোনোভাবে আমাদের ডেকে ডেকে যায়? নইলে প্রিয় কারো ডাক শুনে তার কাছে ছুটে যাবার এমন আঁকুপাঁকু ভাব এ সময়টাতে কেন ওঠে মন জুড়ে? ছোটো বেলায় পড়া সেই ছড়া কেটে কাছে ডাকে বই মেলা। বহু দূরে বসেও যেন বইমেলার ডাক শুনতে পাই-
'আমার বাড়ি যাইও ভ্রমর
বসতে দেবে পিঁড়ে
জলপান যে করতে দেব
শালি ধানের চিঁড়ে'।
এখন আর চাইলেই বইমেলায় গিয়ে আসন পিঁড়িতে বসা যায় না। তবুও প্রতি বছরের এই সময়টাতে শরীরের খোলস ছেড়ে মনটা বুঝি উড়ে চলে যায় বাংলা একাডেমির মেলা চত্বরে। নতুন বইয়ের ভাঁজে নাক ডুবিয়ে বুক ভরে গন্ধ নিতে চায়। টই টই করে সমস্ত মেলা ঘুরে, পায়ের দফারফা করে, ধুলো মেখে একসা হয়ে বাড়ি ফেরার ক্লান্তিতে ঘুমিয়েও পড়ি বুঝি। বইমেলা স্বপ্ন হয়ে মগজের কোষে স্মৃতিদের গড়িয়ে দেয়...
দেখি, বন্ধুরা যে যার পার্স উপুড় করে দিচ্ছি.....সবার টাকাগুলো জড়ো করে হিসাবে পাকা বন্ধু জানান দিচ্ছে, কুল্লে ৪টা বই কেনা 'হয়ত' সম্ভব। ওই 'হয়ত' শব্দটার হাত শক্ত করে চেপে ধরে আমরা তালিকায় থাকা সবচে প্রিয় বইগুলোর দেগে দেয়া মূল্যের সাথে, নিজেদের সাধ্যের একটা আপোষ রফায় ফিসফাস কয়েক মিনিট গড়িয়ে দিচ্ছি। একটু চা ফুচকা হবে না! ভেবে কেউ মুখ ভার করে না..পেটের ক্ষিদে আমাদের তখন তেমন কাবু করতো না যে! বইটই কেনা শেষে সেবার বাড়ি ফেরার ভাড়া ছিল না আমাদের কারো কাছেই। শেষমেশ বুদ্ধি করা হলো, যার যার পক্ষে বাড়ি ফিরে গিয়ে ভাড়া যোগাড় করা সম্ভব হবে না, তার তার ভাড়া রিকশাওয়ালা মামার কাছ থেকে নিয়ে তার ভাড়াটা মিটিয়ে ফেলা হোক। সে ভারী সুখের দিনগুলো.....
প্রতি বছরের মতো এবারও বই মেলা হৈ হৈ করে শুরু হয়ে গেছে। কত কত বই আসছে... নতুন নতুন লেখকের নাম জানাচ্ছে বইমেলা। আসছে মন ভালো করে দেবার মতো খবরও। এখন পর্যন্ত কোনো প্রকাশনী সংস্হার উপর নিষেধের কাঁটা বিছিয়ে দেয়নি কোমরভাঙা একাডেমি প্রশাসন। এটা স্বস্তিদায়ক এখন পর্যন্ত।
মেলার দুটো সুন্দর খবর জেনে খুব ভালো লেগেছে। একটা হলো, বিদ্যানন্দ নামের প্রকাশনা সংস্হার স্টলে বিক্রেতা ছাড়াই চমৎকার ভাবে চলছে বই বিকিকিনির উৎসব। ক্রেতারা নিজেরা বইয়ের মূল্য দেখে রশিদ কেটে নিয়ে বইয়ের দামটা নিদির্ষ্ট একটা বক্সে রেখে যাচ্ছেন। এই স্টলের বইবিক্রির টাকায় দরিদ্র ছেলেমেয়েদের জন্য খাবারের ব্যবস্হা করা হবে।
বিদ্যানন্দের কথা আমরা অনেকেই জানি। তারা এক টাকার বিনিময়ে গরীবদের খাওয়ার ব্যবস্হা করে থাকে। বিদ্যানন্দ সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য ইচ্ছা আর অভিনব ব্যবস্হায় মেলায় স্টল চালাচ্ছে। একাডেমির পাকুর পাড়ের এই স্টলে পাঠকদের উপচে পড়া ভিড় নাকি চোখে পড়বার মতো! মনে মনে দেখছি সেই আনন্দের হল্লা...মন বলছে, 'ওদের ভালো হোক।'
আরেকটা খবর হলো, এবারই প্রথম 'আমি লেখক বলছি' নামের নতুন একটা পর্ব যুক্ত করা হয়েছে মেলাতে। নতুন লেখকের সাথে পাঠকের সরাসরি আলাপ পর্বটা উপভোগ্য আর সমাদৃত হবে হয়ত পাঠক সমাজে।
১৯৭২ সালে চিত্তরঞ্জন সাহা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বর্তমান বাংলা একাডেমির বটতলায় ৩২খানা বই চটের উপর বিছিয়ে বইমেলার গোড়া পত্তন করেন। মেলায় নিয়ে আসা ৩২টা বই ছিল তাঁরই প্রতিষ্ঠিত প্রকাশনী সংস্হা স্বাধীন বাংলা সাহিত্য পরিষদের প্রকাশিত বই, যা বর্তমানে মুক্তধারা প্রকাশনী নামে পরিচিত। এই বইগুলো ছিল সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের প্রকাশনা শিল্পের প্রথম অবদান। কী চমৎকারভাবে বইপ্রেমী মানুষ চিত্তরঞ্জন সাহা বইয়ের উৎসব ঘিরে অমর একুশে বইমেলার সাথে চিরদিনের মতো জড়িয়ে গেলেন! চিত্তরঞ্জন সাহা ১৯৭২ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত প্রায় একাই প্রতি বছর বইমেলার উদ্যোগ নিতেন। পরে অন্যান্যরাও অনুপ্রাণিত হয়ে এর সাথে যুক্ত হন। ১৯৭৮ সালে সেসময়কার বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক আশরাফ সিদ্দিকী বাংলা একাডেমিকে এই মেলার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত করেন।
"১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে মেলার সাথে যুক্ত হয় বাংলাদেশ পুস্তক বিক্রেতা ও প্রকাশক সমিতি। এ সংস্থাটাও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন চিত্তরঞ্জন সাহা। ১৯৮৩ সালে কাজী মনজুরে মওলা বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে বাংলা একাডেমিতে প্রথম "অমর একুশে গ্রন্থমেলা"র আয়োজন সম্পন্ন করেন। কিন্তু স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে শিক্ষা ভবনের সামনে ছাত্রদের বিক্ষোভ মিছিলে ট্রাক তুলে দিলে দুজন ছাত্র নিহত হয়। ওই মর্মান্তিক ঘটনার পর সেই বছর আর বইমেলা করা সম্ভব হয়নি। ১৯৮৪ সালে সাড়ম্বরে বর্তমানের অমর একুশে গ্রন্থমেলার সূচনা হয়।"
দেখতে দেখতে আজকে সে মেলা মধ্য বয়সে পৌঁছে গেছে। এই দীর্ঘ পথ উজিয়ে বইমেলার ইতিহাসে রাশি রাশি আনন্দ স্মৃতি জমেছে। জমেছে আমাদের ব্যর্থতার অসহায় দীর্ঘশ্বাসও। যা আমাদের আনন্দের বুদবুদ সশব্দে ফাটিয়ে দিয়ে চোখ রাখতে বলে দগদগে ক্ষতে... একজন হুমায়ুন আজাদ, অভিজিৎ রায়....হুট করে সামনে এসে দাঁড়ান বেরসিকের মতো। আমাদের আনন্দ কথন ভ্যাবাচাকা খেয়ে কোন পথে হাঁটা দেবে ঠিক দিশা খুঁজে পায় না.......ইচ্ছা ছিল শুধুমাত্র এবং শুধুমাত্র আনন্দ কথনই থাকবে বইমেলার গল্পে। কিন্তু সুখ আর দুঃখ দুই বোন যে!
----------------------------------------------------
তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া
মন্তব্য
হ
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ধন্যবাদ মোখলেস ভাই। আসলেই দারুণ।
ভালো লাগলো আয়নামতি। বিদ্যানন্দের ব্যাপারটা দারুণ!
---মোখলেস হোসেন
বইমেলায় যাব বলে সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখলাম, তারপর ছুটি চাইবা মাত্র প্রত্যাখ্যাত হলাম। প্রতিবছর এই বইমেলার আপডেট নিয়ে আর ছবি দেখে মনের জ্বালা আরো বাড়ে
গুডরিডস
এই বইমেলা, সেই বইমেলা না ভাই! ছুটি পান নাই, ভাল হয়েছে।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
এহ্ নিজে বেরিয়ে এসে অন্যরে ইতং বিতং বোঝানো হচ্ছে খুব! বরং বলা দরকার ছিল..ভাইরে সবই পরিবর্তনশীল, তাই এরে ওর সহিত মিশাইযেন না। আর মেলায় দেখিয়া পথ চলিয়েন, নইলে আমার দশায় পড়িয়া মুখরক্ষার খাতিরে পকেট খালি হইবেক
বইমেলায় যাবো ছুটি দ্যান, কইলেই ছুটি দেবার মতো উদার উপরওয়ালা পাওয়া ব্যাপক ভাগ্যের কথা। দেখিস একদিন' আম্মো বলে মনকে সান্ত্বনা দেন, আর বইমেলা সংক্রান্ত আপডেট দেখেন ভাই, কী আর করবেন।
স্মৃতিচারণ ভাল। তা নিয়ে লেখাটাও ভাল হয়েছে।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
পড়বার জন্য দাদাই।
আয়নামতি , সত্যি সত্যিই এখন আর হুট্ হাট করে বই মেলায় যাওয়া হয় না । ইচ্ছা থাকলেও যাওয়া সম্ভব হয় না কে নিয়ে যাবে কিভাবে যাব এই চিন্তায় ।
কতসব সমস্যা সামনে এসে দাঁড়ায় বাপস। স্মৃতির জাবরই আমাদের ভরসা দেখা যাচ্ছে। ধন্যবাদ ভগিনী এলিজা।
বইমেলা থেকে বই কেনার পর বাড়ি ফেরার ভাড়ার টাকা কি সত্যিসত্যিই রিকশাওয়ালা মামার কাছ থেকে নিয়ে মিটিয়ে ফেলা হয়েছিল নাকি আয়নামতি ?
গত পাঁচ বছর বইমেলা যাওয়া হয়নি। শুধু বইমেলা দেখার জন্য ঢাকা যাওয়ার দিন ফুরিয়ে গেছে। তবু ফেব্রুয়ারী মাসে অন্য কোন কাজে ঢাকা যাওয়ার উসিলা পেলে বইমেলা ঘুরে আসা যায়। এবার একটা উসিলা আছে, দেখা যাক আগামী সপ্তাহে একবার চক্কর দেয়া যেতে পারে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
সময় একটা বিরাট ফ্যাক্টর। শৈশব ভেঙেচুরে বড়বেলায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে আমাদের খোল নালচে কত্তটা পাল্টে যায়..আর আমরা মুঠোতে ধরে থাকা অতীত স্মৃতির খাঁজে বর্তমানটাকেও বসাতে চাই। গোলমাল বাধে সেখানেই। বিগত মেলার সাথে এখনকার মেলার তুলনায় না গিয়ে, বইয়েদের কাছে যাচ্ছির আনন্দটা নিয়ে গেলে খুব একটা খারাপ সময় কাটবে না হয়ত। দেইখেন ব্যাটে বলে সুবিধা না হলে আমাকে যেন কিল মারতে, মুঠি পাকানো না হয় বাপু
বই মন্দিরের স্মৃতিচারণে আমি মুগ্ধ kz mostak
একটা সময় নতুন বছর আসলেই অপেক্ষায় থাকতাম কখন ফেব্রুয়ারী মাস আসবে আর বইমেলা শুরু হবে। কিন্তু একাডেমিক বই পড়তে পড়তে বইপড়াই ভুলে গেছিলাম। কিন্তু চাকরি হওয়ার সুবাধে ২ মাসের বুনিয়াদি ট্রেনিংএ ঢাকা যাওয়া লাগলো। সেখানে সবাইকে একটা করে বই দেয়া হলো ।এটা পড়ে লিখে রিভিউ দিতে হবে ও পাওয়ারপয়েন্টে প্রেজেন্টেশন তৈরি করে উপস্থাপনা করতে হবে। সেখান থেকেই আবার অাবার বই পড়ার প্রতি ঝোঁক আসলো। এখন নিয়মিত বই পড়ি। আসলে বই পড়লে মনের মধ্যে যে শান্তিটা পাওয়া যায় সেটা অন্য কোন মাধ্যমে পাওয়া যায় না।
এবারের কলকাতা বইমেলা সদ্য সমাপ্ত হল। জানুয়ারীর একত্রিশ থেকে ৯ই ফেব্রুয়ারি অবধি। আগে কলকাতা বইমেলা হত ময়দানে, সেই বইমেলা অত্যন্ত প্রিয় ছিল, শৈশব কৈশোরের স্মৃতি জড়িয়ে ছিল কিনা! এখন বইমেলার স্থান পাল্টে গিয়েছে, স্বাদও বদল হয়ে গিয়েছে। আর ফেসবুক আসার পর থেকে পাঠকের চেয়ে লেখক বেশি হয়ে গেছে, বইপত্র আর কে পড়ে কি পড়ে না বোঝা যায় না, প্রাণপণে লোকে লিখে চলেছে। বানানের তোয়াক্কা নেই, বাক্যগুলো বোঝা যাচ্ছে কি যাচ্ছে না তারও তোয়াক্কা নেই, তুমুল উৎসাহে যে পারছে রাশি রাশি লিখে যাচ্ছে। সেইসব নিয়েই আবার বইও বার করে ফেলছে নিজেদেরই টাকায়। অনলাইন লেখালিখির যে একটা প্রতিশ্রুতিময় ক্ষেত্র তৈরী হয়েছিল, ফেসবুক এসে সেটাকে একেবারে মর্জিনার কায়্দায় নস্যাৎ করে ফেলেছে। দেখা যাক উল্টো কোনো ধাক্কায় আবার অবস্থা বদল হয় কিনা।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ভালো লাগলো লেখাটা।
মেলায় গত বছর যাওয়া হয়েছিলো অনেকদিন বাদে, পরিবর্তনগুলো তাই চোখে লাগছিলো বেশ। মাঝে মাঝেই তাই স্মৃতির মধ্যে ডুব দিয়ে মিলিয়ে নিচ্ছিলাম।
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
বইমেলায় জীবনে মোটে একবার গেছি। সম্ভবত ১৯৯৭সালে। তারপর আর কখনও যাওয়া হয়নি। আসলে বই কিনি ধারে একটা চেনা বইয়ের দোকানে ঢুকবোনা ঢুকবোনা করেও কখনও কখনও ঢুকে পড়ি আর দু’একখানা নিয়ে আসি। তারপর চলে কয়েক মাস ধরে সেই ধার চুকানোর ব্যর্থ চেষ্টা। কেননা জানাই আছে পুরোটা চুকে যাবার আগেই আবার আরো কয়খানা বই কেনা হয়ে যাবে। বেইমেলার লেখা পড়তে ভালো লাগে তবু। বিদ্যানন্দের স্টলের মত অভিনব কোন স্টল যদি ধারে বই বিক্রি করতে শুরু করে তবে বেশ হয়। আয়নামতি আপনার লেখা থেকে সত্যানন্দের লেখা থেকে বইমেলার যে স্বাদ পাই তাই আমার সম্বল। বেঁচে থাকুক বইমেলা, বইয়ের প্রতি ভালোবাসা।
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
নতুন মন্তব্য করুন