১
শৈশবে পড়া একটা গল্পের কথা মনে পড়ছে গত কয়েকদিন ধরে। গল্পের নাম ‘ফটোজ্যন্তপ্রপঞ্চ’। এক পাগলাটে বৈজ্ঞানিক একটি আশ্চর্্যথ আরক তৈরি করেন, যার দুয়েকফোঁটা যে কোনো ছবির উপর দিলে ছবিটি জ্যান্ত হয়ে ওঠে। চকলেটের বিজ্ঞাপনের ওপরে দু’ফোঁটা, এসে গেলো চকলেট ।ডিজাইনার ড্রেস, প্রসাধনী যা কিছু চাই, কেবল আরক ঢালার অপেক্ষা।
সব ভালোই চলছিলো, ঝামেলা শুরু হয়েছিলো ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকে এসে, অসাবধানে আরকের বোতলটি উলটে হাতি, ঘোড়া, সিংহ, বাঘ সব জীবিত হয়ে ঘরের মাঝে তাণ্ডব শুরু করে। ঘরদোর ভেঙ্গেচুরে রাস্তায় নেমে এসে ঝামেলা করতে করতে রোদের উত্তাপে শুকিয়ে যায় আরক, ছবিগুলো আবার ছবি হয়ে যায়।
গল্পের লজিকে ম্যালা গাঁজাখুরি আছে, সে তো পৃথিবীর সব গল্পেই থাকে। আরেকটু বড় হবার পরে সিনে ম্যাগাজিন হাতে নিয়ে ভাবছিলাম ওই আরকখানা একবার পেলে হয়, হুঁ হুঁ বাবা।
২
প্রায় সব বাবারাই হয়তো ভাবেন, তাদের ছেলেরা কিছু একটা হবে, সারা পৃথিবী তাকে মনে রাখবে। আমার পিতাও বলেছিলেন, এই ছেলে যা করবে তাতেই বড় কিছু হবে, চোর হলে খুব বড় চোর হবে।
বাপের মান রাখতে চুরি শুরু করলাম। মানুষের ঘরে না, নিজের ঘরেই। ঘর ভরা বই, যেগুলো পড়তে বলে, সেগুলো জোর করে পড়ি, আর যেগুলো পড়তে না করে, সেগুলো পড়ার জন্যে ফন্দিফিকির করি। এই করে করে, লুকিয়ে লুকিয়ে পড়ে ফেললাম, লেডি চ্যাটার্লিজ লাভার, খানিকটা হ্যারলড রবিন্স, সামান্য খুশবন্ত সিং আর অতি অল্প পরিমাণে তসলিমা নাসরিন। এর মাঝে দেখি একখানা বই এখনো ধরে দেখি নাই, ‘পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নিষিদ্ধ উপন্যাস’। কি কারণে উপন্যাস নিষিদ্ধ হয় সে আমি ভালোই জানি, এখন কেবল সুযোগের অপেক্ষা। বাসায় কেউ নেই, সাবধানে বইটা বের করলাম। ঠিকঠাক মনে রাখতে হবে, এই বইয়ের ডানে-বামে-উপরে অন্য বইগুলো কি অবস্থায় ছিলো, কেউ যাতে জানতে না পারে এই বই সরানোর কাহিনী। বাসার বাকিরা ফিরে আসার আগেই, যথাস্থানে বই রেখে দিতে হবে, সম্ভব হলে কিছু পরিমাণ ধূলো আর মাকড়সার জাল ছড়িয়ে। শারমিন লাকী যেমন সিদ্দিকা কবীর এর রান্না পরিবেশন করে সেইভাবে সাজাতে হবে।
দুরুদুরু বুক, মুখে লুল্পুরুষের হাসি। আমি পাইলাম ইহাকে পাইলাম। এই বই নিষিদ্ধ উপন্যাসের বই বটে, তবে রাজনৈতিক কারণে নিষিদ্ধ। ধূর্বাল!
৩
আমার ল্যাবের ফরাসী বালকটিকে মাঝেসাঝে টুকটাক বাংলা শেখাই। আমি যেটুকু শেখাই তা থেকে নিজেই আবার নতুন কিছু বানায়। ল্যাব এ বসে ঝিমাচ্ছিলাম, ও এসে বললো, you want bed? তারপরে জানতে চাইলো এর বাংলা কি হবে? বললাম, তুমি খাট চাও? আরও বললাম, কোনো কিছু want মানে চাওয়া, যেমন I want book, আমি বই চাই, I want to eat, আমি খেতে চাই।
আরেকদিন এসে জানতে চাইলো, so many problems এর বাংলা কি হবে? “ অনেক অনেক সমস্যা”। দেখি খাতায় টুকে রাখলো আর বিড়বিড় করছে, ওনেক ওনেক সোমোশশা।
একদিন বিটলামি করতে মন চাইলো, বললাম, তুমি বউ চাও? জবাব দিলো, “ না, খাট নাই। ওনেক ওনেক সোমোশশা।”
মন্তব্য
ভালো লাগলো পুচকা সাইজের ব্লগরব্লগর। আপনার লেখার হাত চমৎকার, ফাঁকি না মেরে নিয়মিত লেখলেই তো পারেন।
লেখার হাত যে কি, সেই ব্যাপারে আর কিছু না বলি। এইটুকু লেখা বের করতেই অনেক চাপাচাপি করতে হয়, তারপরেও এই পুচকা সাইজের চাইতে বেশি কিছু বের হয় না। পড়ার জন্যে ধন্যবাদ।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
বকু বকু প্রবলেম । আপনার লেখা পড়ে রিডিং ফর প্লেজার এর কথা মনে পড়ে গেলো ।
উই, সে সা।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
জোস
..................................................................
#Banshibir.
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
‘ফটোজ্যন্তপ্রপঞ্চ' - কই পড়েছিলাম এই গল্পটা, কার লেখা, নাম ধাম মনে না করা পর্যন্ত শান্তি পাচ্ছি না। জানা থাকলে জানান না ভাই।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
বিজ্ঞানী সদাশিব ও ফটোজ্যান্তপ্রপঞ্চ : বিপ্লব দাশ
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র অনেক পুরনো লেখা জড়ো করে আসন্ন পত্রিকাটা ছাপত। সেখানেও পড়ে থাকতে পারেন।
আমি এটা পড়েছিলাম। কিন্তু আসন্ন পত্রিকায় নয়, বোধকরি ধানশালিকের দেশে'র এক বিশেষ সংখ্যায়।
আমি পড়েছিলাম 'হাসির গল্প' এই নামের একটি সংকলনে। প্রফেসর বিভ্রাট ছিলো বিজ্ঞানীর নাম, আর তার বন্ধু কর্নেল। লেখকের নাম মনে পড়ছে না। বই বাংলাদেশে, দেখে বলবো সেই উপায়ও নেই। এরপরে ধানশালিকের দেশেও পড়েছিলাম মনে পড়ে।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
গল্পটা বিপ্লব দাশের লেখা এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।
কিন্তু সদাশিব বাদ দিয়ে প্রফেসর বিভ্রাটের নাম আসছে কেন?
আমি কি ভুল করলাম কোথাও?
আমারো কিন্তু প্রফেসর বিভ্রাটের নামই মনে পড়ছে। সদাশিব মঞ্জিল সেনের একটা গোয়েন্দা চরিত্র ন্য কি ??
একদম না। সদাশিব হচ্ছে হু্যগ লফটিং-এর লেখা ড. ডুলিটল সিরিজের বাংলাদেশি সংস্করণ।
বিপ্লব দাশ সদাশিবের সাঙ্গপাঙ্গ নামে ধুন্দুমার কোয়ালিটির একটা কিশোর উপন্যাস লিখেছিলেন।
সে-ই একই চরিত্র নিয়ে ফটোজ্যান্তপ্রপঞ্চ গল্প।
কিন্তু আপনারা তিনজন বিভ্রাটের পক্ষে রায় দিয়ে আমাকে বিভ্রাটের মধ্যে ফেলে দিলেন।
হুম! মনে হয় বাংলাদেশের নির্বাচিত ছটদের হাসির গল্প - ২য় সংকলন এখানেই পড়েছি। দাদা কিনে দিয়েছিল। বাকি সংকলনের জন্য মন উহু আহা করত কখনো জোগাড় করা হয়নি।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
আপনার লেখার হাত সত্যিই অসাধারন।
নিয়মিত লিখতেই হবে।
আপনি আমার সকালটা ভালো করে দিলেন।
আমি না থাকলে সকালটা এতো মিষ্টি হতো না, আমি না থাকলে মেঘ করে যেত বৃষ্টি হতো না। পড়ার জন্যে ধন্যবাদ। আপনার সবগুলো লেখাই পড়েছি, আলসেমির কারণে মন্তব্য করা হয় নি।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
পড়েছেন তো বুঝলাম, কিন্তু লেগেছে কেমন সেটা তো বলবেন আর যদি ভালো লেগে থাকে, কোনটা সবচেয়ে ভাল লেগেছে?
আর অঞ্জন দত্ত আমারও অসম্ভব প্রিয়।
কলার উঁচু ছেলেটা, সবগুলো পর্বই ভালো লেগেছে।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
খুব ভাল লাগল। কিন্তু এত্তো কম্কম লিখেন ক্যান?
বেশী বেশী কমপ্ল্যান খান আর লিখতে থাকেন
পারলে ‘ফটোজ্যন্তপ্রপঞ্চ' বইটার ব্যাপরে কিছু ডিটেলস দ্যান। গুগলে বাটিচালান দিয়াও তো পাওয়া গেলনা
এই ফাঁকে চিন্তা করি পুনম পান্ডে নাকি কিম কার্দেশিয়ান
আমার লেখা যে লোকে পড়ে, তাই তো জানতাম না।
বইতো না, এটা একটা গল্প, উপরে নিচে অনেকেই ডিটেইল বলেছেন। লেখক সম্ভবত বিখ্যাত কেউ নন, গুগল বাটিচালান তাই ব্যর্থ। শেষকালে পুনম পাণ্ডে ? পুনম ধীলন হলেও না হয় কথা ছিলো।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
ধন্যবাদ ভাই। সকাল সকাল মন টা ভাল করলেন। থামবেন না। নিয়মিত লিখতে থাকুন।
আহা, কৈশোরকালের কথা মনে করিেয় দিলেন ভাই।
- কাজী
আপনিও চুরি করে দুষ্টু বই পড়তেন? এই জন্যেই দেশটা রসাতলে গেলো।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
দুষ্টু বই, শিষ্ট বই সবই পড়তাম। পড়ার এমন নেশা ছিলো চুরি করে বাথরুম, বারান্দা, সিড়ি ঘর, ছাদ হেন কোন যায়গা বাদ ছিল না যেখানে গিয়ে বই পড়ি নাই শত নিষেধেও। একবার তো বাসায় আগুন লাগিয়ে ফেলেছিলাম বই পড়তে গিয়ে। ফলাফল : আগা পাশতলা ধোলাই অ্যান্ড বই পড়ার উপর চিরস্থায়ী নিষেধাঞ্গা। কিন্তু কয়লা ধুইলে কি আর ময়লা যাই? অতঃপর, আবদুর রহমান বর্ণিত পন্থা অবলম্বন করে বই পাঠ (দুষ্টু অ্যান্ড শিষ্ট) জারী রহিল।
লেখায়
গল্পটার নাম ছিল "প্রফেসর বিভ্রাটের ফটোজ্যান্তপ্রপঞ্চ"। আমি গল্পটা পড়েছিলাম বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত "ধানশালিকের দেশ" এর বিশেষ সংখ্যা থেকে। গল্পের তিন চরিত্র ছিল প্রফেসর বিভ্রাট, তার বন্ধু আর তার ফুফু।
আমার আম্মা একবারে ৪টি বিশেষ সংখ্যা কিনে দিয়েছিল তাই এখন নির্দিষ্ট করে বলতে পারছিনা কোনটিতে পড়েছিলাম।
যাহ, এই মন্তব্যটা দেখিনি। তাহলে আর উপরের মন্তব্যটা করতুম না
ধন্যবাদ, ছাতা ভাই।
@ সুহান, অধিকন্ত ন দোষায়।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
গল্পটার নাম 'প্রফেসর বিভ্রাট ও ফটোজ্যান্তপ্রপঞ্চ'।
বিপ্লব দাশের লেখা, পড়েছি 'দুই বাংলার নির্বাচিত কিশোর গল্প সংকলনে'।
স্মৃতি প্রতারণা করে ইদানীং, তাই বইটা খুলে মিলিয়ে তারপর-ই লিখছি।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ খুকি। সব কুশল তো?
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
(পশমিপুলু দেইক্ষা যাও এইওগ্গা টাকা রাইক্ষা যাও।) গল্পটার এর লেখক মনে হয় বিপ্রদাশ বড়ুয়া। শিশু পত্রিকায় পড়েছিলাম নাকি বই আকারে পড়েছিলাম মনে পড়ছে না।
ভালো লাগলো পড়ে
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
এত ফাকি দেন কেন ভাই?
লেখা সুস্বাদু, বরাবরের মতই।
ফাঁকিবাজ এবং হাড় আইলসা তাই। পড়ার জন্যে ধন্যবাদ।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
হ। ওনেক ওনেক সোমোশশা।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
হ, ওনেক ওনেক।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
বই সরানোর পদ্ধতি কমন পড়সে।
আপনে তাইলে আমার মামাতো ভাই।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
একবার আম্মু বাদে বাসার বড়রা সবাই একুশে ফেব্রুয়ারীতে শহীদমিনারে গেল ভোরবেলায় ফুল দিবে বলে। আমরা ছোটরা বাদ পড়লাম ভীড়ের মাঝে হাটতে পারবোনা তাই। এজন্য আমরা পিচকিরা অনেক কান্নাকাটি করলাম, তাও কামে আসলো না, আমাদেরকে রেখে যাওয়া হল। আমার অবশ্য সাপে বর হল, একটা সুযোগ খুঁজছিলাম অনেকদিন ধরে, আপুদের অনুপস্থিতিতে লুকায়ে লুকায়ে নহণ্যত পড়ে ফেললাম ।তখন বোধহয় সাতক্লাশে পড়ি। পড়তে মানা করায় ঠিক ঐ বইটার প্রতি আমার ভয়ঙ্কর আগ্রহ জন্মেছিল।
ন হণ্যতে পড়ার পরে আপনার হতাশা অনুভব করতে পারছি।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
হুম সে আর বলতে
আরে, কী খবর আপনার?
আমিও এইটাই ভাবছি ইদানীং, "ওনেক ওনেক সোমোশশা"... মানে ও-নে-এ-ক, ও-নে-এ-এ-এ-ক সমোশশা...
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
কেন, আপনারও কি খাট নাই?
আরে! কেমন আছেন তদানিন্তন ভাই? আপনার নামের শুরুর অংশ এখনো বর্তমান হয় নাই দেখি!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
হু দিদি, ওনেক ওনেক সোমোশশা, খাট নাই, বউ নাই, টাকা নাই, খালি নাই নাই আর নাই। আই আর বাঁইচতাম ছাই ন।
ভালো থাকবেন। পড়ার জন্যে ধন্যবাদ।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
আরে ছি ছি, বাঁচতে চাইবেন না কেন! দুনিয়ায় কত্ত মজা! সমোশশাও তো একরকমের মজাই!
বলতে ভুলে গেছি, আমি বাড়িতে কেউ না থাকলেই মাসুদ্রানা পড়তাম।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
খুব খুব ভাল লাগল। সবার ছোটবেলাগুলোই খুব কমন। কে জানে, হয়তো বা বড়বেলাগুলোও। শুধু আমরা সেভাবে শেয়ার করি না দেখে জানতে পারিনা।
সবকিছুই কমন, কোয়েশ্চেন কমন না পরলে যেমন পাস করা কঠিন হয়ে যায়, জীবনটাও কমন না হলে বেঁচে থাকাটা আরো কঠিন হয়ে যেত। জন্ম নেয়, খায়-দায়, ছাও ফুটায় তারপর দুম করে মরে যায়, এর বাইরে আর কি ঘটবে।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
ক্যান? তারেক অনুর ঘুরাঘুরি?
অণু তো স্বাভাবিক মানুষের মধ্যে পড়ে না, এই নিয়ে গবেষণা চলছে। তারেক অণু খুব সম্ভবত এলিয়েন।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
মজার ব্লগরব্লগর। ছড়া লিখেন না অনেক দিন!
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ধন্যবাদ, পড়ার জন্যে। প্রেম বা বিরহ কোনোটাই এখন আর তীব্রভাবে অনুভব করতে পারি না, বুড়ো হয়ে যাচ্ছি। ছড়াকার হিসেবে আমি খুবই নাদান, কিন্তু যত অখাদ্য লেখাই লিখি না কেনো, খানিকটা প্রেরণা ছাড়া সেটাও আসে না।
ভালো থাকবেন।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি বিদেশী বন্ধুবান্ধবদের বাংলা না শেখানোই ভালো। আমেরিকায় পড়তে গিয়ে ক্লাসমেট কয়েকজনকে আমি ইংরেজি শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ শেখানো শুরু করলাম। ফলাফল পেলাম হাতেনাতে।
একদিন দেখি আমার এক আমেরিকান বন্ধু আমার ফেসবুকের দেয়ালে লিখে রেখেছে "আমি মেয়েদের দুধ ভালবাসি"। আত্মীয়-স্বজনের সামনে আমার অবস্থাটা চিন্তা করেন দেখি একবার।
প্রায় একই ধরনের আরেকটা ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয়েছিল দেশে থাকতে।
_________________
[খোমাখাতা]
আপনার ঐ লেখাটা অনেক আগে পড়েছিলাম। শুধু এটা না আপনার সবগুলো লেখাই একটানা পড়েছি, যেমন- রাহেলা, তুমি এতো ভারী কেনো? অথবা বিয়ের আসরে ভাবীকে বলা আপনার অমর বানী- একটা পাদ দিই?
আমি ভালো ছেলে তাই বাল্যশিক্ষা থেকে বাংলা শেখানো শুরু করেছি, আপনারা তো গুপ্ত সাম্রাজ্যের বইপত্র দিয়ে কাজ চালাচ্ছিলেন।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
(গুড়)
facebook
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
আপনি কি জানেন আপনি কতটা ভাল লেখেন? এরকম সরস, বদ লেখা জোরকদম চালু থাকুক
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
আমি তো জানি, কিন্তু বাকিরা তো জানে না, তাই ভয় পাই।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
এখানে সবাই দেখি বিরাট ভদ্রলোক!
একবার ভর দুপুর বেলা কী এক পাঠ্য বইয়ের চিপায় রেখে গুপ্তস্যারের বই পড়তেছি... আগেই আশেপাশে দেখে নিয়েছিলাম, সহসা কারো আসার সম্ভাবনা ছিলো না, কিন্তু কোত্থেকে যে আপন বড়বোন এসে হাজির হলো!
খেলাম ধরা, কিন্তু তখনো 'কী' বই পড়ছি তা দেখে নাই।
জিজ্ঞেস করলো কী পড়স?
আমার তো বুক ধড়াস ধড়াস... বুদ্ধি করে উত্তর দিলাম 'বলো তো কী পড়ি?'
সে বিরক্ত হয়ে বললো... সারাদিন শুধু মাসুদ রানা পড়বে... লেখাপড়ার নাম নাই... পড়...
আমি তাড়াতাড়ি বইটা লুকিয়ে সাধুবাবার মতো পড়তে বসে গেলাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
গুপ্তস্যারের বই পড়তাম বাথরুমে বসে। আপনার মতন ওপেন এয়ার কনসার্ট এর সাহস হইতো না।
স্কুলে পড়ার সময় আমাদের একজন ক্লাসে বসে গল্পের বই পড়তেছিলো, ম্যাডাম বই বাজেয়াপ্ত করলো। বইটা হইলো 'অপারেশন কক্সবাজার' তিন গোয়েন্দা সিরিজ এর বই। ওই দোস্তের দেখি চোখ-মুখ শুকনা। আমি কইলাম তিন গোয়েন্দা পড়া তো দোষের কিছু না, ডরাস ক্যান? ও কইলো, বইয়ের খোসা 'অপারেশন কক্সবাজার' এর। তিন গোয়ন্দার কভার দিয়া ও গুপ্তস্যার এর সমগ্র বাঁধাই করছিলো।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
ইয়ে মানে গুপ্তস্যারের বই পড়ার পর বাথরুমে যাওয়াই ভালো
ম্যাডামের নিশ্চিত বেশ আনন্দ হইছিলো?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ম্যাডাম এর কি হইছিলো, তা তো জানি না। আমরা ভয়ে ভয়ে ছিলাম, কারণ অনেক টিচার এর অভ্যাস ছিলো আমাদের থেকে বাজেয়াপ্ত করা কমিক, বই, খেলনা এগুলা নিজের ছেলেমেয়েদের দেবার।
এখানে যা ঘটছিলো, যার কাছে থেকে বই নিছিলো ম্যাডাম, তারে হেডস্যার এর রুমে ডাকা হইলো। সে গিয়া কইলো, স্যার আমিতো শুধু পড়তেছিলাম, সাপ্লায়ার আরেকজন। তারপরে পাঠক আর পরিবেশক দুইজনের গার্জিয়ান ডাকা হইলো। দুই পক্ষই বললো যে তার ছেলে ভালো, অন্যটার কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মাঝখান দিয়া দুই জানের দোস্ত জানের দুশমন হয়্যা গেলো।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
আরে বাহ, আপনি যে
খুশি হয়ে গেলাম লেখা পড়ে।
কিছুক্ষণ 'সোমশশা' কে 'সোম শশা' পড়ছিলাম। চাঁদময় শশা না শশাময় চাঁদ ভেবে বের করতে পারছিলাম না।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
একখানা হসন্ত দিলে ভালো হতো, কিন্তু আমি তো সোমোশশা লিখছিলাম, ও কার লক্ষ করলে চাঁদ আর শশা নিয়ে ঝামেলা কম লাগতো।
লেখা পড়ার জন্যে ধন্যবাদ।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
নতুন মন্তব্য করুন