আমাদের যুগে আমরা যখন খেলেছি পুতুল খেলা,
তোমরা এ যুগে সেই বয়সেই লেখাপড়া কর মেলা।
আমরা যখন আকাশের তলে ওড়ায়েছি শুধু ঘুড়ি,
তোমরা এখন কলের জাহাজ চালাও গগন জুড়ি।
এটি কবি বেগম সুফিয়া কামালের একটি কবিতা। এই কবিতায় সেকাল এবং একালের শিশুদের কথা বলা হয়েছে। সেকালের শিশুরা যখন আকাশে ঘুড়ি ওড়াত, একালের শিশুরা সেই বয়সেই আকাশ জুড়ে কলের জাহাজ চালায়।
আজকের শহুরে শিশুরা কলের জাহাজ চালায় না। তবে আগের মতো ঘুড়িও খুব একটা ওড়ায় না, একথা বলা যায়। গ্রামে এবং শহুরে তো বটেই এখন ঘুড়ি ওড়ানো খেলা অনেকাংশে স্তিমিত হয়ে গেছে। শীশুরা বড় হচ্ছে বন্দী খাঁচার মধ্যে। গরে বসে শহুরে শিশুরা শুধু কম্পিউটারে কিংবা ভিডিও গেইম খেলে। যারা মাঠে যায় তারা ফুটবল বা ক্রিকেট খেলে। গ্রামীণ শিশুদের মধ্যেও ক্রিকেট খেলার জোয়ার বয়ে গেছে। তবে কি ঘুড়ি ওড়ানো খেলা একেবারে হারিয়ে গেছে। না, তা বোধ হয় বলা যাবে না। ঘুড়ি ওড়ানো খেলা মিটমিট করে এখনো টিকে আছে।
এক সময় এদেশের ছেলেপুলেরা প্রচুর ঘুড়ি ওড়াতো। শরৎ, হেমন্তে বিকেলের আকাশ ছেয়ে যেত ঘুড়িতে। আকাশ জুড়ে ওড়ে বেড়াত নানা রঙের ঘুড়ি। লাল, নীল, সবুজ, হলুদ, বেগুনী এ রকম কত রঙের ঘুেিত আকাশ ছেয়ে যেত! দেখে মনে হতো, নানান রঙের মেলা বসেছে আকাশ জুড়ে। কোনো ঘুড়ি কাটা গেলে মনে হতো রঙের মেলা থেকে যেন একটি রঙ খসে পড়ল। খসে পড়া রঙটি ভেসে ভেসে দূর থেকে বহু দূরে চলে যেত। ছেলেপুলেরা আঁকাশি নিয়ে কাটা ঘুড়ির পেছনে ছুটত। এক সময় ঘুড়ি ওড়ানো আর ঘুড়ি কাটার প্রতিযোগিতার রেওয়াজ ছিল। যা এখন প্রায় বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তবে পৌষ সংক্রান্তিতে এখনো কোথাও কোথাও ঘুড়ি ওড়ানো উৎসব হয়ে থাকে।
ঘুড়ি উদ্ভাবন এবং ওড়ানোর ইতিহাস অনেক প্রাচীন। কিংবদন্তি আছে, খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীতে গ্রিসে ঘুড়ি উদ্ভাবন হয়। গ্রিসের বিজ্ঞানী আর্চিটাস ঘুড়ি উদ্ভাবন করেন। এরও বহু যুগ পূর্বে এশিয়া মহাদেশের লোকেরা ঘুড়ি ওড়ানোর ব্যাপারে দক্ষ ছিল। চীন, জাপান, কোরিয়া, মালয়েশিয়ায় ঘুড়ি ওড়ানো খেলার প্রচলন রয়েছে।
কাগজের সঙ্গে বাঁশের শলার কাঠামো লাগিয়ে সাধারণ ঘুড়ি তৈরি হয়। সুতায় বেঁধে ঘুড়ি সুতার প্রান্তে রেখে আকাশে ওড়ানো হয়। ঘুড়ি ওড়ানোর জন্য বাতাসের প্রবাহ দরকার হয়। ঘুড়ি ওড়ানোর কৌশল নির্ভর করে বাতাসের প্রবাহের ওপর। বাতাসের প্রবাহ যেদিক থেকে আসছে সেটি বুকের দিকে রেখে ঘুড়ি খাড়া রাখলেই তা আকাশে ভেসে থাকতে পারে। ঘুড়ি ওড়ানোর জন্য সুতা টেনে টেনে ঘুড়ির ওপর বায়ু প্রবাহ সৃষ্টি করা হয়। ঘুড়ি যেখানে উড়ছে সেখানে বায়ু প্রবাহ কমে গেলে সুতা টেনে টেনে ঘুড়ি আরো উপরে তোলা হয়।
এক সময় আমাদের দেশের গ্রামে গঞ্জে ঢাউস ঘুড়ি ওড়ানো হতো। এই ঘুড়ির আকার ৮ থেকে ১৫ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে। মোটা গুণের দড়ি দিয়ে এ ঘুড়ি ওড়ানো হতো। এই ঘুড়ি দুই তিন দিন পর্যন্ত আকাশে ওড়ানো থাকত।
শহরে সাধারণত কাগজের তৈরি ঘুড়ি ওড়ানো হয়। বিচিত্র রঙের কাগজের নানান নকশাদার ঘুড়ি। এসব ঘুড়ি বিভিন্ন নামে পরিচিত। যেমন- পঙ্খি, কানাপঙ্খি, নাকপান্দান, রুমালদার, চটাইদার, পেটকাট্টি, লেন্টেন, দোভাঁজ ইত্যাদি।
এসব ঘুড়ির আকার এক ফুট থেকে তিন ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে। মাঞ্জা দেওয়া সুতার সাহায্যে এসব ঘুড়ি ওড়ানো হয়। কাচের মিহি চূর্ণ, শিরিস, আঠা, এরারুট, রঙ এসব দিয়ে তৈরি মশল¬া দিয়ে মাঞ্জা দেওয়া হয়। ঘুড়ি ওড়ানোর জন্য নাটাই দরকার হয়। নাটাইয়ে সুতা পেঁচিয়ে রাখতে হয়। নাটাইয়ের সংখ্যা অনুযায়ী দুই দলে প্রতিযোগিতা হয়। যেমন-প্রতি দলে দশ নাটাই বা পনেরো নাটাই নিয়ে প্রতিযোগিতা হয়। কোন্ দল কতটা ঘুড়ি কাটল তার উপর জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয়।
আমাদের দেশে ঘুড়ি ওড়ানোর ঐতিহ্য অনেক দিনের। সারাদেশে ঘুড়ি ওড়ানোর ঐতিহ্য স্তিমিত হয়ে এলেও ঢাকা শহরে এখনো তা টিকে আছে। পুরনো ঢাকায় নবাববাড়ি, শাঁখারিবাজার, তাঁতিবাজার, কলতাবাজার, পাটুয়াটুলি, শ্যামপুর, গোয়ালনগর, গেণ্ডারিয়া, ধূপখোলা, লক্ষ্মীবাজার ইত্যাদি এলাকায় এখনো ঘুড়ি ওড়ানোর ঐতিহ্য বিদ্যমান। আশ্বিনে ঘুড়ি ওড়ানোর মওসুম শুরু হয়। ঘুড়ি ওড়ানো শেষ হয় পৌষ সংক্রান্তির দিন। এদিন ঘুড়ি ওড়ানোর উৎসব হয়। নানান বয়সী লোক এদিনে ঘুড়ি ওড়ায়। এদিনে আকাশে দেখা যায় পঙ্খিরাজ, পানদার, কাউকাদার, রুমালদার, দোভাঁজ, চক্ষুদার, বলদার, মালাদার, আরো কত ঘুড়ি। এসব ঘুড়ির নানান রঙ, নানান নকশা।
পুরনো ঢাকাবাসীরা জাঁকজমকের সঙ্গে ঘুড়ি উৎসব পালন করে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতা। সারাদিন বিরামহীনভাবে চলে ঘুড়ি ওড়ানো আর কাটাকাটির আনন্দ। কে কোন ঘুড়ি বোকাট্টা করছে সে দিকেই থাকে সকলের দৃষ্টি। কোনো ঘুড়ি বোকাট্টা হলেই সকলে হাততালি দিয়ে ওঠে। আর হৈ হৈ করে উঠে। সারাদিন চলে খাওয়া-দাওয়ার পালা। সময়ের বিবর্তনে ঘুড়ি ওড়ানো উৎসবের জৌলুশ হয়তো কমেছে, কিন্তু আনন্দ কমেনি একটুও। বরং শহরে ব্যস্ত জীবনে আনন্দের ফোয়ারা বয়ে নিয়ে আসে ঘুড়ি উৎসব।
ঘুড়ি তৈরির জন্য বিশেষ ধরনের কাগজ লাগে। এই কাগজ নানা জায়গায় নানা নামে পরিচিত। তবে সাধারণভাবে ঘুড়ির কাগজ বললে সবাই চেনে। ঘুড়ি তৈরির জন্য কাগজ ঘুড়ির আকারে সুন্দর করে কেটে নিতে হবে। এরপর দরকার হবে বাঁশের শলা। শলা দুইটি ধারালো ছুরি দিয়ে চেঁছে মসৃণ করে নিতে হবে। যে কাঠিটা ঘুড়ির উপর নিচ বরাবর বসবে সেটা হবে চেপ্টা এবং একটু চওড়া। যে কাঠিটা কোনোকুনি বসবে সে কাঠিটা হবে গোল এবং একটু সরু। এখন কাগজের মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত মাঝ বরাবর আঠা দিয়ে চেপ্টা কাঠিটা লাগাতে হবে। এরপর সরু ও গোল কাঠিটা ধনুকের মতো বাঁকিয়ে ঘুড়ির দুই কোণায় কাগজ মুড়ে আঠা দিয়ে লাগাতে হবে। ব্যাস্, তৈরি হয়ে গেল ঘুড়ি।
এবার ঘুড়িতে লাগাম পড়াতে হবে। লাগাম পড়ানোর জন্য সোজা কাঠি এবং ধনুকের মতো বাঁকা কাঠি যেখানে ছেদ করেছে সেখানে কোণাকুনি দুইটি ছিদ্র করতে হবে। চেপ্টা কাঠিটার মাঝ বরাবর দুইটি ছিদ্র করতে হবে। এবার উপরের দিকের ছিদ্র দুইটিতে সুতা ঢুকিয়ে গিঁট দিতে হবে। আবার নিচের দিকের ছিদ্র দুইটিতে সুতা ঢুকিয়ে গিঁট দিতে হবে। গিঁট দেওয়া সুতা দুইটির মুখ ঘুড়ির পিঠের দিকে এনে মুখ দুইটি একত্র করে গিঁট দিতে হবে। এভাবে লাগাম পড়ানো হয়ে গেল। লাগাম থাকবে ঘুড়ির যেদিকে কাঠি আছে তার উল্টো দিকে। এবার নাটাইয়ের সঙ্গে ঘুড়ির লাগামের সুতা গিঁট দিয়ে জুড়ে দিতে হবে। ঘুড়ি যেমন নিজে নিজে তৈরি করা যায়, আবার তৈরি ঘুড়ি কিনতেও পাওয়া যায়। ঘুড়ি কিনে তাতে লাগাম পরিয়ে নিতে হয়।
ঘুড়ি ওড়ানোর জন্য, কাটাকাটির জন্য চাই মাঞ্জা দেওয়া সুতা। মাঞ্জা দেওয়া সুতা তো আর কিনতে পাওয়া যায় না। সুতা কিনে তাতে মাঞ্জা দিতে হয়। সুতায় মাঞ্জা দেওয়া হয় কীভাবে? সে কথাই বলছি।
মাঞ্জা দেওয়ার জন্য লাগে কাঁচের চূর্ণ, শিরিস, আঠা, এরারুট, সাগুদানা, রঙ ইত্যাদি। এসব মিলিয়ে মাঞ্জার মসলা তৈরি করা হয়। যে সূতায় মাঞ্জা দেওয়া হবে তা আগেই একটি নাটাইয়ে পেঁচিয়ে নেওয়া হবে। মোটা কাপড়ে মাঞ্জার মসলা নিয়ে পুঁটলি পাকিয়ে ধরে থাকতে হবে। সুতা এই মাঞ্জার মসলার ভিতর দিয়ে নিয়ে আরেকটি নাটাইয়ে পেঁচাতে হবে। একাজটি করতে হবে কড়া রোদের সময়। যাতে মাঞ্জা দেওয়া সুতা নাটাইয়ে পেঁচিয়ে নিতে নিতেই তা শুকিয়ে যায়। কাজটি করতে হবে এভাবে দুই পাশে দুইজন বসবে দুইটি নাটাই নিয়ে। একটিতে সুতা থাকবে, আরেকটি খালি। সুতা নাটাইয়ে আছে তার পাশে মাঞ্জার মসলা পুটুলি পাকিয়ে হাতে নিয়ে বসবে আরেকজন। যে নাটাইয়ে সুতা আছে সে নাটাই থেকে সুতা ছাড়া হবে। সুতা মাঞ্জার মসলার ভিতর দিয়ে খালি নাটাইয়ে যাবে। খালি নাটাইয়ে মাঞ্জা দেওয়া সুতা গঁছে নিতে হবে।
মাঞ্জার আবার রকমফের আছে। যেমন: সুতামাঞ্জা, ভাতমাঞ্জা, ডিমমাঞ্জা ইত্যাদি। এসব মাঞ্জার মূল পার্থক্য উপকরণগত। ভাত মাঞ্জা দিতে দরকার হয় জাউভাত, কাঁচের চূর্ণ, রঙ, জবাফুলের পাতা, শিমুলের ছাল, চালতার কষ ইত্যাদি। ডিম মাঞ্জা দিতে লাগে ডিম, কাচের চূর্ণ, শিরিস, সাগুদানা, রঙ ইত্যাদি। সুতা মাঞ্জায় লাগে কাঁচের চূর্ণ, শিরিস, রঙ, সাগুদানা ইত্যাদি।
এবার নাটাইয়ের কথা কিছু বলি। নাটাই তৈরির মূল উপাদান বাঁশ। আর লাগে কাঠ আর তারকাটা। বাঁশের টুকরা চেঁছে গোল লাঠি তৈরি হয়। কাঠের টুকরা গোল চাকতির মতো করে মাঝ বরাবর ফুটা করা হয়। এই দুই টুকরা চাকতির মধ্যে বাঁশের লাঠি ঢুকিয়ে ফ্রেম তৈরি করা হয়। এই লাঠিই নাটাইয়ের হাতল। এবার বাঁশের চটা ফ্রেমের উপর বসিয়ে তারকাটা মেরে আটকানো হয়। এভাবেই নাটাই তৈরি হয়। নাটাই বাজারে কিনতে পাওয়া যায়।
ঘুড়ি তৈরি হলো, নাটাই তৈরি হলো, সুতাও মাঞ্জা দেওয়া সারা। এবার ঘুড়ি ওড়ানোর পালা। ঘুড়ি ওড়াতে গেলে প্রথমেই ঘুড়ির ভারসাম্য ঠিক আছে কি না তা দেখে নিতে হবে। ঘুড়ির সঙ্গে লাগাম ধরে ঘুড়ি ঝুলিয়ে দিলে বোঝা যাবে ঘুড়ির ভার দুই দিকে সমান কি না। ঘুড়ির যে দিকটা হালকা সেদিকে কাগজ লাগিয়ে ভারসাম্য ঠিক রাখতে হবে। একদিকে হালকা থাকলে ঘুড়ি গোঁত্তা খাবে।
যে ঘুড়ি ওড়াবে তাকে এমনভাবে দাঁড়াতে হবে যাতে তার পিছন দিক থেকে বাতাস বয়। ঘুড়ি ওড়ানোর জন্য একজন সাথী দরকার হয়। সে দূরে দাঁড়িয়ে ঘুড়ি উপরের দিকে ঠেলে দিবে। আর তখনই সঙ্গে সঙ্গে সুতায় টান দিতে হবে। সুতার টানে ঘুড়ি উপরের দিকে ছুটবে। ঘুড়ি আরো উপরে ওড়ানোর জন্য সুতা টানতে হবে, আবার সুতা ছাড়তে হবে। এভাবে ঘুড়ি উড়বে অনেক উঁচুতে। আকাশে উড়তে উড়তে ঘুড়ির মাথা ডানে-বামে দুলবে। ঘুড়ির মাথা যখন বামে দুলবে তখন সুতা টানলে ঘুড়ি বামে ছুটবে। ঘুড়ির মাথা যখন ডানে দুলবে তখন সুতা টানলে ঘুড়ি ডানে ছুটবে।
ঘুড়ি ওড়ানোর ঝক্কি-ঝামেলা অনেক। আবার বিপদের সম্ভাবনাও আছে। বিদ্যুৎ লাইনের ধারে কাছে ঘুড়ি ওড়ালে বিপদ ঘটতে পারে। বজ্রপাতের সময় ঘুড়ি ওড়ালে সুতার মাধ্যমে বিদ্যুৎ পরিবাহিত হয়ে ঘুড়ি ওড়ানেওয়ালার মৃত্যু ঘটতে পারে। রেলিং নেই এমন ছাদে ঘুড়ি ওড়ালে পড়ে গিয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যানবাহনের ভিড় আছে এমন জায়গায় কিংবা এয়ারপোর্টের কাছে ঘুড়ি ওড়ানো বিপদজ্জনক। কাটা ঘুড়ির পিছনে ছোটাও বিপজ্জনক। তবে কি আমার ঘুড়ি ওড়াব না? অবশ্যই ওড়াব। খোলা মাঠে গিয়ে আমরা ঘুড়ি ওড়াব।
মন্তব্য
জীবনের সাতটা বছর আমার সাধনা ছিল পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ঘুড়িয়াল হবার...
সেই ঘুড়ি...
লীলেন ভাই,
লেখাটি পড়েছেন এজন্য ধন্যবাদ।
আপনার সাধনায় মুগ্ধ হলাম।
কিন্তু আপনি স্মৃতি হাতড়ে সুখ পেলেন না কি
আপনাকে বিরক্ত করা হলো তা বোঝা গেল না।
বিরক্ত হলে সে দায় আমার।
শুভ কামনা রইল।
যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গ বাণী
সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।
ঘুড়ি উড়ানোর কথা উঠলেই শৈশব এসে ভিড় করে চোখের পাতায়!
...ঘুড়ি নিয়ে আবু রেজার লেখাটি খুব চমকপ্রদ ও তথ্যবহুল।
লেখার জন্য ধন্যবাদ।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
ধন্যবাদ জলিল ভাই।
যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গ বাণী
সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।
নতুন মন্তব্য করুন