বৈশাখে হালখাতা

আবু রেজা এর ছবি
লিখেছেন আবু রেজা [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১২/০৪/২০১০ - ১২:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বৈশাখে হালখাতা
আবু রেজা

এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ।
তাপস নিশ্বাস বায়ে, মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে,
বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক ॥
যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে-যাওয়া গীতি,
অশ্র“বাষ্প সুদূরে মিলাক ॥
মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা ॥
রশের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি,
আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ।
মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক ॥

বৈশাখে বাংলা নতুন বছর শুরু হয়। পহেলা বৈশাখে পালন করা হয় নববর্ষ উৎসব। এটি বাংলাদেশের একটি প্রধান লোকউৎসব। এ উপলক্ষে পহেলা বৈশাখে সবাই নববর্ষকে স্বাগত জানায়। এ দিনে নানা আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নববর্ষকে বরণ করে নেওয়া হয়। বাংলাদেশে নববর্ষ হিসেবে আবহমান কাল থেকে এ দিনটি পালন করা হয়। অতীতের গ্ল¬ানি, ব্যর্থতা, ভুল-ত্র“টি ভুলে ভবিষ্যতে সমৃদ্ধি ও সুখ-শান্তি কামনা করা হয় এ দিনে।

আবহমান কাল থেকেই বৈশাখ উপলক্ষে অনেক আচার-অনুষ্ঠান পালন করা হয়। তার মধ্যে একটি হালখাতা। আভিধানিক অর্থে হালখাতা মানে হলো নতুন বছরের হিসাবনিকাশের জন্য নতুন খাতা ও নতুন খাতা আরম্ভের উৎসব। অতীতে গ্রাম বাংলার হাঁটে-বাজারে বৈশাখের প্রথম দিনে হালখাতা উৎসব পালন করা হতো। এ প্রথা এখনো প্রচলিত আছে।

বাংলা নববর্ষের একটি প্রধান উৎসব হালখাতা। গ্রামেগঞ্জে, হাঁটবাজারে ব্যবসায়ীরা নববর্ষের শুরুতে অর্থাৎ পহেলা বৈশাখে পুরনো হিসাবনিকাশ চুকিয়ে দেয়, নতুন বছরের জন্য নতুন করে হিসাবের খাতা খোলে। এ উপলক্ষে তারা নিয়মিত খদ্দেরদের আমন্ত্রণ জানায়। তাদের মিষ্টি খাওয়ায়। খদ্দেররাও পুরনো বকেয়া পরিশোধ করে দেয়। নতুন করে খাতায় নাম লেখায়। এ অনুষ্ঠানকে বলা হয় হালখাতা।

অতীতে হালখাতা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হতো তালপাতায় পত্র লিখে। কালক্রমে সভ্যতার বিকাশ ঘটেছে। মানুষ তালপাতা ছেড়ে কাগজে লিখতে শুরু করেছে। এক সময় দেখা গেছে কাগজে হাতে-লেখা পত্র পাঠিয়ে দাওয়াত দেওয়া হচ্ছে। তারপর দূরদূরান্তে দাওয়াত পৌঁছাতে পোস্টকার্ড ব্যবহার করা হতো। পোস্টকার্ডে হাতে লিখে বা লেটার প্রেসে ছেপে দাওয়াত দেওয়া হতো। হালে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মুদ্রিত দাওয়াতপত্র পাঠিয়ে দাওয়াত দেওয়া হয়।

আগে ব্যবসায়ীরা হিসাব লেখার কাজে ব্যবহার করতো খেরোখাতা। খেরোখাতা হলো লাল রঙের মোটা কাপড়ে বাঁধাই করা এক রকম খাতা। এ খাতা ঢাউস আকৃতির। তবে প্রশস্ত কম, কিন্তু লম্বাটে। তখন হালখাতার জন্য এ ধরনের খাতা ব্যবহার হতো। এখনো অনেক ব্যবসায়ী দৈনন্দিন কেনাবেচার হিসাব রাখতে এ ধরনের খাতাই ব্যবহার করে। তবে প্রযুক্তি অনেক এগিয়েছে। এখন আর হিসাব রাখতে খেরোখাতার দরকার হয় না। বড় বড় ব্যবসায়ীরা হিসাব রাখে কম্পিউটারে।

ছোট বেলায় দেখতাম, পহেলা বৈশাখে হালখাতার দাওয়াত রক্ষা করতে দাদা যাচ্ছেন। আমরাও দাদার হাত ধরে হাঁট-বাজারে যেতাম। আমার দাদা থাকতেন গ্রামে। তিনি যাদের দোকান থেকে নিয়মিত কেনাকাটা করতেন, তারা দাদাকে পহেলা বৈশাখে হালখাতার দাওয়াত দিত। তো দাদা তার নাতি-নাতকুড় মানে আমাদের নিয়ে যেতেন দাওয়াতে। আমরা পেট পুরে মিষ্টি খেয়ে বাড়ি ফিরতাম।

বাংলা নববর্ষের নানা আচার-অনুষ্ঠানের একটি হলো বৈশাখি মেলা। ছোট বেলায় আমরা সারা বছর ধরে অপেক্ষা করতাম বৈশাখি মেলার জন্য। মেলায় হরেক রকম জিনিস দেখতাম। কিছু খেলনা কিনতাম। কিছু মিষ্টান্ন কেনা হতো। তো ছোটবেলায় ছোট কাকার সঙ্গে এমনি এক বৈশাখি মেলায় গিয়ে, আমি গেলাম হারিয়ে। আমারও আনন্দ মাটি, যাদের সঙ্গে গিয়েছি তাদেরও আনন্দ মাটি। তারা মেলায় ঘুরে বেড়াবে কি, আমাকে খুঁজে পেতেই তাদের গলদঘর্ম অবস্থা! ভাগ্যিস খুঁজে পেয়েছিল! না হয় আমি হয়তো ওদের কোনো দিনই খুঁজে পেতাম না।

মোগল সম্রাট আকবর বাংলা সন প্রবর্তন করেন। কৃষিকাজের সুবিধার জন্য সম্রাট আকবর ১৫৮৪ খ্রিষ্টাব্দের ১০ মার্চ বাংলা সন চালু করেন। এ সন কার্যকর হয় ১৫৫৬ খ্রিষ্টাব্দের ৫ নভেম্বর তার সিংহাসন আরোহনের সময় থেকে। হিজরি চন্দ্রসন ও বাংলা সৌরসন ভিত্তি করে বাংলা সন প্রবর্তন করা হয়। এই সন প্রথমে ফসলি সন বলে পরিচিত ছিল, পরে বঙ্গাব্দ নামে পরিচিত হয়।

মোগল সম্রাট আকবরের আমল থেকেই পহেলা বৈশাখে বাংলা নববর্ষ পালন করা শুরু হয়। তখন জমিদারি প্রথা প্রচলিত ছিল। চৈত্র মাসের শেষ দিন পর্যন্ত কৃষক জমিদারদের খাজনা পরিশোধ করত। আর পহেলা বৈশাখে জমিদাররা কৃষকদের মিষ্টি খাওয়াত। তখন এ উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো, মেলা বসত। তখন থেকেই মানুষের জীবনের সঙ্গে মিশে যায় পহেলা বৈশাখ। কালক্রমে উৎসব মুখর পরিবেশে আনন্দময় শুভদিন হিসেবে পালিত হতে থাকে পহেলা বৈশাখ।
এভাবে গ্রাম-বাংলার লোকজ জীবনের সঙ্গে পহেলা বৈশাখ ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে গেছে। পহেলা বৈশাখে মানুষ আরেকটি নতুন বছরের শুভ সূচনা করে। এজন্য সবাই ঘরবাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে, সবকিছু ধোঁয়া-মোছা করে। মুড়ি-মুড়কি, পিঠা, পায়েশ, মিষ্টান্ন তৈরি করে। ভালো ভালো খাবার খায়। একে অপরকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানায় ও উপহার দেয়। আর ভবিষ্যতের জন্য মঙ্গল কামনা করে।

পহেলা বৈশাখে নববর্ষ উপলক্ষে বসে বৈশাখি মেলা। মেলায় বিভিন্ন কৃষিপণ্য, কুটিরশিল্পে তৈরি পণ্য, হস্তশিল্প, মৃৎশিল্প পাওয়া যায়। শিশুদের জন্য থাকে নানা রকম খেলনা। চিড়া, মুড়ি, খই, বাতাসা, হাওয়াই মিঠাই, হরেক রকম মিষ্টি ইত্যাদি পাওয়া যায়। গৃহস্থালী বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি হয় বৈশাখি মেলায়।

বৈশাখি মেলা উপলক্ষে থাকে নানান বিনোদনের আয়োজন। পালাগান, জারিগান, সারিগান, কবিগান, গম্ভীরা, আলকাপ, বাউলগান, মারফতি, মুর্শিদি, ভাটিয়ালি গান পরিবেশন করে লোকজ শিল্পীরা। মেলার বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকে যাত্রা, সার্কাস, পুতুলনাচ, নাগরদোলা, বায়স্কোপ ইত্যাদি।

বৈশাখে উপলক্ষে এক সময় ঢাকায় ঘুড়ি প্রতিযোগিতা হতো। মুন্সিগঞ্জে হতো গরুর দৌড় প্রতিযোগিতা। এরকম সারা দেশজুড়ে হতো ষাড়ের লড়াই, মোরগের লড়াই, ঘোড়দৌড়, পায়রা ওড়ানো, নৌকাবাইচ ইত্যাদি খেলা। এসব এখন হারিয়ে গেছে। তবে চট্টগ্রামে এখনো অনুষ্ঠিত হয় বলীখেলা। দেশের কোথাও কোথাও হাডুডু খেলা হয়।

বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে বাস করে অনেক আদিবাসী জনগোষ্ঠী। তারা চৈত্র সংক্রান্তির শেষে ও বৈশাখের প্রথম দিনে উৎসব পালন করে। পার্বত্য আদিবাসীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বৈসাবি। ত্রিপুরা আদিবাসীরা এ উৎসবকে বৈসুক বলে, মারমারা বলে সাংগ্রাই আর চাকমারা বলে বিজু। এ তিনটি নামের প্রথম অক্ষর নিয়ে হয়েছে বৈসাবি। চৈত্র মাসের শেষ দুই দিন ও বৈশাখের প্রথম দিন মোট এই তিনটি দিন বৈসাবি পালিত হয়। বৈসাবি উৎসবে তারা পুরনো বছরকে বিদায় জানায়। আর নতুন বছরকে বরণ করে নেয়।

বৈসাবি উৎসবের প্রথম দিনটির নাম ফুলবিজু। এদিন শিশু-কিশোররা ফুল তুলে ঘর সাজায়। দ্বিতীয় দিন মুরুবিজু। এদিন নানারকম সবজি দিয়ে নিরামিষ রান্না করা হয়। নানারকম পিঠা ও মিষ্টান্ন তৈরি করা হয়। এদিন মূল অনুষ্ঠান হয়। এ উপলক্ষে সবাই সবার বাড়িতে বেড়াতে যায়। বাড়িতে সকলকে আপ্যায়ন করা হয়।

আদিবাসীরা আদিকাল থেকেই পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে এ উৎসব পালন করছে। এ উপলক্ষে মেলার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও ঐতিহ্যবাহী খেলা ও নাচ গানের অনুষ্ঠান করা হয়। মারমারা পহেলা বৈশাখে পানি খেলার আয়োজন করে। পানি তাদের কাছে পবিত্রতার প্রতীক। মারমা তরুণ-তরুণীরা পানি ছিটিয়ে নিজেদের পবিত্র করে নেয়। মারমাদের খুবই প্রিয় একটি উৎসব পানিখেলা ।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নববর্ষ পালনের রেওয়াজ আছে। পাশ্চাত্যে পহেলা জানুয়ারি নববর্ষ পালন করা হয়। ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টায় পর তারা আনন্দে মেতে উঠে। ১ জানুয়ারি গীজায় পার্থনা করে। নববর্ষে ইরানিরা পালন করে নওরোজ উৎসব। নওরোজ উপলক্ষে সাতদিন ধরে অনুষ্ঠান চলে। চীন, জাপান, ভিয়েতনাম ইত্যাদি দেশেও নববর্ষ পালিত হয় আনন্দমুখর পরিবেশে। এক্ষেত্রে মুসলিম দেশে যারা হিজরি সন অনুসরণ করেন তাদের নববর্ষ শুরু হয় আশুরার বিষাদ নিয়ে। ইংরেজি কিংবা হিজরি নববর্ষে ধর্মীয় আবেগ-অনুভূতির যোগসূত্র আছে। কিন্তু ব্যতিক্রম হলো পহেলা বৈশাখ। বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, মুসলমান এমনকি আদিবাসী সম্প্রদায়ও পহেলা বৈশাখে নববর্ষ পালন করে। প্রকৃত অর্থে নববর্ষে সকল শ্রেণীর মানুষের জীবনেই শুরু হয় ‘হালখাতা’।

বর্তমানে শহুরে সংস্কৃতির বিকাশের ভিড়ে পহেলা বৈশাখ হারিয়ে যায়নি। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরেও বৈশাখি মেলা আর নানা আচার-অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ঢাকার রমনার বটমূলে বৈশাখের প্রথম সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় আগমনী গান। এর মাধ্যমে বৈশাখকে বরণ করে নেওয়া হয়। চারুকলা ইনস্টিটিউটের বকুলতলায় নববর্ষকে সম্ভাষণ জানানো হয়। চারুকলা ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে বের হয় বর্ণাঢ্য বৈশাখি শোভাযাত্রা। এ শোভাযাত্রার জন্য চারুকলার ছাত্র, শিক্ষক, শিল্পীরা তৈরি করেন বিশালাকার হাতি, ঘোড়া, বক, সাপ সহ নানান প্রাণী। আর নানা রঙের মুখোশ।

ধানমণ্ডির রবীন্দ্র সরোবরে বসে গানের আসর। এদিনে সকল শ্রেণীর মানুষ ভালো পোশাক পরিধান করে, ভালো খাবার খাওয়ার চেষ্টা করে। তবে ঢাকার রমনায় ইলিশ-পান্তা খাওয়া রেওয়াজে দাঁড়িয়ে গেছে। অনেকে বাড়িতেও ইলিশ-পান্তার আয়োজন করে থাকে। এদিনে মেয়েরা পড়ে লাল পাড়ের সাদা শাড়ি, গলায় মালা, কপালে টিপ, খোপায় ফুল গুঁজে দেয়। ছেলেরা পড়ে পায়জামা-পাঞ্জাবি। অনেকে ধূতি আর পাঞ্জাবিও পড়ে। রমনা, চারুকলা, শহীদ মিনার, টিএসসি, দোয়েল চত্বর, বাংলা একাডেমীসহ পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থাকে লোকে লোকারণ্য।

বাংলাদেশের পহেলা বৈশাখ সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক উভয় আন্দোলনে উদ্দীপনামূলক ভূমিকা পালন করে। পাকিস্তান আমলে আইয়ুব খান বাঙালি সংস্কৃতি ও রবীন্দ্র সংগীতের উপর আঘাত হানে। এর প্রতিবাদে তখন থেকেই পহেলা বৈশাখে রমনার বটমূলে রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশন শুরু হয়। পহেলা বৈশাখে এ অনুষ্ঠান ক্রমেই জনপ্রিয় হতে থাকে। এক পর্যায়ে স্বাধীকার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ঘটা করে নববর্ষ পালিত হতে থাকে, যা আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রেরণা যুগিয়েছে। বলা যায়, পহেলা বৈশাখ আমাদের দেশের ‘হালখাতা’ রচনায় অনবদ্য ভূমিকা রাখে।

সবশেষে, চৈত্রের শেষে কিংবা পহেলা বৈশাখে একটি কথাই সকলের উদ্দেশ্যে বলা যায় -
শত্র“ হও বন্ধু হও যেখানে যে কেহ রও
ক্ষমা করো আজিকার মতো
পুরাতন বর্ষের সাথে পুরাতন অপরাধ যত...


মন্তব্য

পুতুল এর ছবি

নাতি-নাতকুড়

পরিচিত শব্দটা দেখে ভাল লাগলো। শুরুর দিকে তেমন টানে নাই। কিন্তু এগিয়ে এসে অনেক নতুন কিছু জানলাম।
পানি খেলা একবার দেখেছি। তখন শুনেছিলাম পাত্র-পাত্রী নির্বাচনের জন্য এ খেলা। জীবনের হালখাতা আর কী?
বলিখেলাটার নামই শুনে গেলাম। একটু বর্ণনা দিলে ধারণা করতে পারতাম।
আমাদের এলাকায় কুস্তি খেলা হয়।
শত্র“ হও বন্ধু হও যেখানে যে কেহ রও
ক্ষমা করো আজিকার মতো
পুরাতন বর্ষের সাথে পুরাতন অপরাধ যত...

তা বছরে একটা মাত্র লেখা দিলে কেম্নে কী!
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

আবু রেজা এর ছবি

বছরে একটি মাত্র লেখা আর
একজন মাত্র সিরিয়াস পাঠক
কেমনে কী!?!
;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;
যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গ বাণী
সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।

যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গ বাণী
সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।