কলকাতার টানা রিকশা উচ্ছেদ প্রসঙ্গ
ঢাকার টানা রিকশা তাড়িয়েছিল শিশু-কিশোররা
আবু রেজা
(এ নিবন্ধটি ১৯৯৬ সালে লেখা হয়েছিল একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার জন্য। কিন্তু লেখাটি সে সময় প্রকাশিত হয়নি। কাজেই এ লেখাটির ঘটনাকাল ১৯৯৬ সাল। লেখাটি পড়ার সময় এ বিষয়টি বিবেচনায় রাখা বাঞ্ছনীয়।)
দৃশ্যপট : এক
প্রসঙ্গ : কলকাতার টানা রিকশার উচ্ছেদ
কলকাতা শহর। ঘিঞ্জি রাস্তাঘাট। প্রচণ্ড জ্যাম। প্রখর রোদ। রিকশা চলছে। টানা রিকশা। বিশাল কাঠের চাকা। আরামদায়ক গদি। টানার জন্য দুটি দীর্ঘ হাতল। এমনই এর আকৃতি।
পরনে ময়লা পুরনো লুঙ্গি, ছেঁড়া গেঞ্জি। নোংরা গামছা কাঁধে বা মাথায় বাঁধা। গায়ে ঘামে ভিজে ল্যাপ্টে আছে গেঞ্জি। টানছে রিকশা। প্রাণপণে টেনে চলছে। তাকে চালক না বলে টানক বলাই ভালো। যে চালায় সে চালক। যে টানে সে টানক।
রোদ বৃষ্টি ঝড়। যখন-তখন সহজলভ্য যান টানা রিকশা। গভীর রাতে জরুরি প্রয়োজনে, গা-পোড়া রোদে, বর্ষার বৃষ্টিতে ডুবে যাওয়া রাস্তায় চলাচলের জন্যও টানা রিকশা পাওয়া যায়।
চাকরিজীবীদের অফিসে যাতায়াত, শিক্ষার্থীদের শিক্ষালয়ে যাওয়া, কেনাকাটার জন্য বাজারে যাওয়া, ব্যবসায়ীদের পণ্য আনা-নেয়া সবই চলে টানা রিকশায়। কলকাতাবাসীর দৈনন্দিন যাতায়াতে টানা রিকশা স্বল্প ভাড়ার স্বাচ্ছন্দ্যের যান হিসেবে পরিচিত।
ইতিহাস : ১৮৭১ সাল। জাপানে একজন ব্যাপ্টিস্ট মিশনারী রিকশা আবিষ্কার করেন। ১৯০০ সাল। চীনারা কলকাতায় রিকশা নিয়ে আসেন। ১৯১৪ সাল। চীনারা যাত্রী বহনে টানা রিকশা ব্যবহার শুরু করেন।
১৯৯৬ সাল। কলকাতার লাইসেন্সধারী রিকশার সংখ্যা প্রায় ৬ হাজার। লাইসেন্সবিহীন রিকশার সংখ্যা ১৫ হাজার। রিকশা চালকের সংখ্যা ৫০ হাজার।
খবর : কলকাতার যানজটের অন্যতম কারণ অত্যন্ত মন্থরগতির বাহন টানা রিকশা খুব শীগ্গির তুলে দেয়া হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মতে, একজন রিকশা চালক যাত্রীদের টেনে নিয়ে যাচ্ছে, স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকীর প্রাক্কালে তা অমানবিক ও অসহনীয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকার টানা রিকশার পরিবর্তে মোটর চালিত তিন চাকার অটোরিকশা চালু করতে চায়। উল্লেখ্য, বর্তমানে কলকাতায় ১০ হাজার অটোরিকশা চলছে।
ক্ষমতাসীন বামফ্রন্ট কোয়ালিশন সরকারের শরিক দল কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (মার্ক্সিস্ট)-এর দলীয় সদস্য পরিবহণ মন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে কলকাতাকে রিকশামুক্ত করার প্রত্যাশী। এ নিয়ে কোয়ালিশন সরকারের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতিবসুর মতে, এব্যাপারে সরকারের তাড়াহুড়ো করা উচিত নয়। গরিবদের স্বার্থ সংরক্ষণকারী দল হিসেবে পরিচিত ক্ষমতাসীন দলের রিকশা উচ্ছেদের পরিকল্পনা রিকশাচালকদের মধ্যে সরকারের প্রতি বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি হচ্ছে। (সূত্র: টাইম)
মন্তব্য : এটা সত্য যে, বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে টানা রিকশা তুলে দিলে বিপুল সংখ্যক রিকশাচালক ও তাদের পরিবার, রিকশামালিক ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পেশাজীবীরা দারুণ অসুবিধায় পড়বে। বেকার হয়ে পড়া কলকাতার প্রায় ৫০ হাজার রিকশা চালকের পরিণতি হবে খুবই করুণ।
দৃশ্যপট : দুই
অতীত ঢাকায় টানা রিকশা তাড়ালো শিশুরা-কিশোররা
১৯৩৬ কিংবা ’৩৭ সাল। পূর্ব বাংলার একটি প্রধান শহর ঢাকা। ঢাকার মৌলভী বাজারের দুজন লোক সর্বপ্রথম দুটি রিকশা আনিয়েছিলেন। আনানো হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের ফরাসী উপনিবেশ চন্দননগর থেকে। দুটোই ছিল সাইকেল রিকশা। প্রতিটির দাম পড়েছিল ১৮০টাকা । রাজনীতিক, বড় পরিচয় সাহিত্যিক, সত্যেন সেনের মতে, ঢাকায় রিকশা প্রচলনে এ দুজনই পথ প্রদর্শক। মতান্তরে, সূত্রাপুর এলাকার একজন বাঙালি জমিদার এবং ওয়ারীর একজন মাড়োয়ারি সর্বপ্রথম ১৯৩৮ সালে ৬টি রিকশা আনান। (রব গ্যালাগার, রিকশা অব বাংলাদেশ, ইউপিএল প্রকাশনা।) আরো মজার তথ্য হলো ঢাকার আগেই ময়মনসিংহ ও নারায়ণগঞ্জে রিকশা চলাচল শুরু হয়েছিল।
ঢাকায় রিকশা প্রচলনের শুরুতেই সাইকেল রিকশার পাশাপাশি গোটা সাতেক দু’ চাকাওয়ালা মানুষে-টানা রিকশা আনা হয়েছিল। মতান্তরে, তারও আগে চট্টগ্রামে মানুষে-টানা দুটি রিকশা আনানো হয়েছিল। এ ধরনের রিকশা কলকাতায় এখনো চলছে। কিন্তু ঢাকায় টানা রিকশা চলতে পারেনি। সে সময় টানা –রিকশা তাড়িয়েছিল ঢাকার শিশুরা। ছোট ছ্টো ছেলেমেয়েরা হাতি বা বানর দেখলে যেমন দলবেঁধে ছুটে যায়; কিংবা অদ্ভুত কিছু দেখলে হল্লা করে তার পিছু নেয় আর ঢিল ছুঁড়ে; ঠিক তেমনি ভাবেই মানুষে- টানা রিকশার পিছু নিয়ে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা ঢিল ছুঁড়তো। আসলে শুরুতে মানুষে-টানা রিকশায় চড়ার ব্যাপারটাই সবার কাছে বিদঘুঁটে ঠেকে। আর এ কারণে অনেকেই এ ধরনের রিকশায় দিনের বেলায় খুব একটা চড়ত না। চড়লেও পরিচিত মানুষ সামনে পড়ে গেলে সংকোচবোধে সেদিকে তাকাত না। অনেকেই এ ধরনের ঝামেলা এড়াতে রিকশায় চাপতো সন্ধ্যার পর। এসব কারণে ঢাকায় মানুষে- টানা রিকশা বেশিদিন চলতে পারেনি। বাধ্য হয়ে টানা রিকশার পাট চুকাতে হয়েছে। তার পরিবর্তে ধীরে ধীরে সাইকেল রিকশার বহুল প্রচলন ঘটেছে।
টানা রিকশায় চাপার ক্ষেত্রে সে সময়ের মানুষের নেতিবাচক মনোভাবের প্রকাশ ঘটেছে শুধু কি রিকশায় চাপার ব্যাপারটা বিদঘুটে লাগার কারণে, না কি এর মধ্যে মানবতা বোধ সক্রিয় ছিল। বড়দের ব্যাপারে এ কথা হয়তো সবাই মেনে নেবেন। তবে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের ব্যাপারে প্রশ্ন উঠতে পারে। এর স্বপক্ষে মনোবৈজ্ঞানিক তত্ত্ব ঘেঁটে দেখা যাক। স্বাভাবিক বুদ্ধিসম্পন্ন শিশুদের (বুদ্ধাঙ্ক ৬০ থেকে ৮০ হলে তাকে সাধারণত স্বাভাবিক বুদ্ধিসম্পন্ন ধরা হয়।) ৭ বছর বয়স হলেই মানবতাবোধ জাগে। সুখ-দুঃখের অনুভূতি প্রবল হয়। মানুষের দুঃখ দেখলে কষ্ট বোধ করে। সুখ দেখলে খুশি হয়। তবে কেন অনুভ’তিপ্রবণ শিশুরা টানা রিকশা চালকদের প্রতি মমত্ববোধের স্বীকৃতি পাবে না।
দৃশ্যপট : তিন
বর্তমান ঢাকার রিকশা জট
১৯৯৬ সাল। ৩৪৭ বর্গ কিলোমিটার রাজধানী শহর ঢাকা। ৮৬ লাখ অধিবাসী। ১ হাজার ৯ শত ৬৭ কিলোমিটার রাস্তা। বৈধ লাইসেন্সধারী, অবৈধ, লাইসেন্সবিহীন- সব মিলিয়ে রিকশার সংখ্যা প্রায় ৪(চার) লাখ। ঢাকা সিটি করপোরেশনের হিসাব মতে লাইসেন্সধারী রিকশার সংখ্যা ৭৯ হাজার ৭ শত ৭টি। ১৯৮৭ সালের পর সিটি করপোরেশন কোন নতুন লাইসেন্স ইস্যু করেনি।(দৈনিক সংবাদ ২০ অক্টোবর ১৯৯৬)
দেশের মোট রিকশার ২৭ ভাগ চলে ঢাকা শহরে। ঢাকার মোট অধিবাসীর ১৭ ভাগ নিত্যদিন রিকশায় চলাচল করে। ঢাকার মধ্যবিত্তদের মোট আয়ের ১৫% থেকে ২০% ব্যয় হয় রিকশা ভাড়ায়। মধ্যবিত্তরাই এ যানটি ব্যবহার করে।(ঢাকার রাজপথ- মাসুদ কামাল, ... ?)
ঢাকা রিকশার শহর। ঢাকার রাজপথ, গলিপথ দুই-ই রিকশা জটে স্থবির। দ্রুতগতিসম্পন্ন মোটরযানের পাশাপাশি ধীর গতিসম্পন্ন রিকশা ছাড়াও চলছে ঠেলাগাড়ি এমন কি গোটা কয়েক ঘোড়ার গাড়িও। ঢাকার যানজটের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয় রিকশাজটকে। অনেক দুর্ঘটনাও ঘটে রিকশার কারণে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঢাকা রিকশার শহর হিসাবে ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। শুধু যে রিকশা জটের কারণেই ঢাকার রিকশার খ্যাতি, তা কিন্তু নয়। বিচিত্র শিল্পকর্ম, রঙ-বেরঙের কারুকাজ, হুড বা রঙিন ছাউনির জন্যও ঢাকার রিকশা বিখ্যাত।
দৃশ্যপট : চার
ঢাকার রিকশা উচ্ছেদ প্রচেষ্টা : পিছনে ফিরে দেখা
ঢাকা থেকে অযান্ত্রিক ধীরগতিসম্পন্ন যানবাহন তুলে দেয়ার কথা চিন্তা করা হয়েছিল অনেক আগেই। ১৯৬৮ সাল। এক আমেরিকান বিশেষজ্ঞ একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছিলেন। পরিকল্পনার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যমাত্রা ছিল, ১৯৯০ সালের মধ্যে ঢাকা থেকে সকল অযান্ত্রিক যান তুলে দেওয়া। কিন্তু, এ পরিকল্পনা আদৌ বাস্তবায়িত হয়নি। এর অনেক পরে ১৯৮৫ সালেও একবার ঢাকা থেকে রিকশা তুলে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হয়েছিল। এই উদ্দেশ্যে গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি রিকশা তুলে দেওয়ার জন্য কিছু কৌশলও সুপারিশ করে। তার কয়েকটি হলো :
১. রিকশার নতুন লাইসেন্স ইস্যু বন্ধ করা।
২. রিকশা চালকদের দৈহিক সামর্থ্য যাচাইয়ের পর লাইসেন্স দেওয়া।
৩. রিকশার বডি তৈরি বন্ধ করা।
৪. ঢাকা শহরকে তিনটি এলাকায় ভাগ করে এক এলাকার রিকশা অন্য এলাকায় ঢুকতে না দেওয়া।
৫. লাইসেন্স ছাড়া রিকশা তুলে দেওয়া।
(রিকশার শহর ঢাকার নাগরিকদের দুর্ভোগ, রুমন রেজা, রোববার, ১৭ বর্ষ, ৩৪ সংখ্যা, ১১ জুন, ১৯৯৫)
বিশেষজ্ঞ কমিটির এ সুপারিশ বাস্তবায়িত হয়নি। এত্তো এত্তো পরিকল্পনা, এত্তো এত্তো ব্যবস্থা নিয়েও রিকশা নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। বরং বেড়েই চলছে।
ঢাকা সিটি করপোরেশন ঢাকা থেকে লাইসেন্সবিহীন রিকশা উচ্ছেদের পরিকল্পনা করছে। ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ঢাকায় রিকশার সংখ্যা ৮০ হাজারের নিচে নামিয়ে আনবে। বৈধ লাইসেন্সধারী ৮০ হাজার রিকশার বেশি কোনো রিকশাই ঢাকায় চলাচল করতে দেওয়া হবে না। এ লক্ষ্যে জলছাপ নম্বর প্লেট বিলির প্রক্রিয়া চলছে। ইতোমধ্যে ৫১ হাজার রিকশার লাইসেন্স নবায়ন করে জলছাপ নম্বর প্লেট বিলি করা হয়েছে। এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে অবৈধ রিকশা আটক করা হবে। ৩০ নভেম্বর থেকে আটক অভিযানের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ কার্যক্রম সফল হলে ঢাকায় শুধু বৈধ লাইসেন্সধারী রিকশাই চলবে। ঢাকার রিকশাজনিত যানজট কমবে।
দৃশ্যপট : পাঁচ
বিকল্প ভাবনা
রিকশা হলো এদেশে সবচেয়ে সহজলভ্য যান। ঘর থেকেই বের হলেই রিকশা পাওয়া যায়। বিশেষত ঢাকা শহরে। যদিও ভাড়া একটু বেশিই। তবুও এদেশের প্রায় আট কোটি লোক রিকশায় যাতায়াত করে। আমাদের দেশের পরিবহন সমস্যা, বিশেষ করে শহর এলাকায়, অনেকাংশে লাঘব করছে রিকশা। রিকশা আছে বলেই শহরবাসী দৈনন্দিন যাতায়াত করতে পারছে স্বাচ্চন্দ্যে।
ঢাকা শহরের প্রায় চার লাখ রিকশার চালকের সংখ্যা ছয় লাখ। ২০০০ সাল নাগাদ রিকশার সংখ্যা দাঁড়াবে ছয় লাখে। রিকশা তুলে দিলে ব্যাপকসংখ্য রিকশাচালক বেকার হয়ে পড়বে। সেই সঙ্গে সমান সংখ্যক পরিবারও অসহায় অবস্থার মুখোমুখি হবে। এদের কর্মসংস্থান সমস্যার সঙ্গে পরিবহন সমস্যাও আছে। ঢাকা থেকে রিকশা তুলে দিতে হলে রিকশা চালকদের ব্যাপক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। পরিবহন সমস্যা সমাধানে ঢাকা শহরকে ব্যাপক ভিত্তিতে বাস রুটের আওতায় আনতে হবে। কেননা, স্কুটার কিংবা মিশুক কোনটাই রিকশার বিকল্প নয়। কারণ, রিকশার তুলনায় মিশুক এবং মিশুকের তুলনায় স্কুটারের ভাড়া অনেক বেশি। এসব নিয়ে বিশেষজ্ঞরা ভেবেছেন, ভাবছেন, ভাববেন। আপনারাও ভাবতে পারেন।
সম্প্রতি ঢাকার মেয়র বলেছেন, মার্চ - ’৯৭ এর মধ্যে ঢাকাবাসীকে নতুন শহর উপহার দেবেন। আমরা সেই প্রত্যাশায় আছি।
মন্তব্য
আরে, এতো দেখি অনেক আগের ঘটনা, অ্যাঁ? ১৯৯৭ তো দূরের কথা ২০০৯ এও তো কোনো পরিবর্তন দেখেছি বলে মনে পড়ছে না। হুম...তবে কাজটা যারপরনাই কঠিন। "উঠ ছুড়ি তোর বিয়ে" বল্লেই আজ-কাল আর বিয়ে-টিয়ে হয় না। বিকল্প হতে পারে অনেক গুলা বড়-সড় টাইপের ফ্লাই ওভার তৈরি। উদাঃ ধানমন্ডি থেকে ইন্টাঃ এয়ার পোর্ট।
শাফি।
ভালো লাগলো লেখাটা। সমসাময়িক বিষয়াদি নিয়েও লিখুন।
সচলায়তনে স্বাগতম।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
নতুন মন্তব্য করুন