কাব্যে ছোটদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস

আচার্য এর ছবি
লিখেছেন আচার্য [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ২৬/০৩/২০১৩ - ৯:৪৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল খুব সহজ সরল ভাষায় এবং সহজবোধ্য করে ছোটদের জন্য “ছোটদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস” লিখেছেন। এই পদ্যটি সেই রচনাটির অনুকরণে রচিত।
তাঁকে সকৃতজ্ঞ ধন্যবাদ এটি পদ্য আকারে প্রকাশের অনুমতি দিয়েছেন।]

এক

এই আমাদের সবুজ বাংলাদেশ
কী অপরূপ, শান্ত-স্নিগ্ধ বেশ!
জানো তোমরা যে দেশ মোদের প্রাণ
নাম ছিল তার পূর্ব পাকিস্তান!

বলছি শোনো, পাকিস্তান এক বিচিত্র দেশ খুব
দেশটির দুই অংশ ছিল - পশ্চিম এবং পূব
দুই সহস্র কিলোমিটার দূরে অংশ দু’টি
অবাক হচ্ছো? তোমরা হেসে খাচ্ছো লুটোপুটি?

বাঙালি সব বাস করত পূর্ব-পাকিস্তানে
পশ্চিমে সব উর্দুভাষী, ভারত মধ্যিখানে।
দুই অংশের মানুষগুলোর ভাষা এবং খাবার
মোটেও কি উপায় ছিল একটুও মিল পাবার?
সংস্কৃতি আর পোশাক-আশাক, আচার-আচরণে
পুরোপুরি আলাদা দুই অংশের লোকজনে।

বাঙালিদের চেয়ে মানুষ পশ্চিমে বেশ কম
তবু মোদের সইতে হত তাদের পরাক্রম!
শাসন করত দেশটি তারাই, করত তারা শোষণ
আর আমাদের করতে হত সেই তাদেরই তোষণ!
পূর্ব-পাকিস্তানের লোকে করত যেটুক আয়
চলে যেত পশ্চিমে তার সব অংশই প্রায়
খরচ হতো সেই অংশের উন্নয়নের কাজে
মনে চাপা ক্ষোভ ছিল তাই বাঙালিদের মাঝে।

দুই

করছিল যে তারাই কেবল সব সুবিধা ভোগ
বাহান্নতে আনল তবু ভয়াবহ দূর্যোগ।
বলল তারা মোদের না কি উর্দু বলতে হবে!
তা শুনে কি বাঙালিরা মুখ বুজে আর রবে?
মায়ের ভাষা কেড়ে নেবে! যায় না রে তা মানা!
প্রতিবাদে মিছিল হল, দেয় মিছিলে হানা-
করল গুলি, শহীদ হলেন বরকত এবং রফিক
আরো শহীদ হলেন সালাম, জব্বার আর শফিক।
ফেব্রুয়ারীর একুশ তারিখ রক্ত সাগর বয়ে
প্রাণপ্রিয় এই বাংলা গেল রাষ্ট্রভাষা হয়ে।
(ভেবেছিলি অত্যাচারী সহজে পার পাবি!
রাষ্ট্রভাষা বাংলা হলোই পূরণ হলো দাবী।
প্রতি বছর এই দিনে তাই সবাই তাঁদের স্মরে
বিশ্ব এদিন মাতৃভাষা দিবস পালন করে।)

তিন

বঞ্চিত হচ্ছিল তবু লোক পূর্বে
ভাবে দিন বদলের চাকাটা কি ঘুরবে?
অত্যাচারের কভু হবে কি সমাপ্তি
ন্যায্য যা পাওনা তা ঘটবে কি প্রাপ্তি?
বাড়ছিল বলে পাক শোষণের মাত্রা
স্বাধীনতা স্বপ্নের শুরু হল যাত্রা-

পূর্বের নেতা এক দাঁড়ালেন তুলে শির
শোষণের হাত থেকে পথ পেতে মুক্তির।
যাঁর ডাকে জনতার সমুদ্রে ওঠে ঢেউ
বাঙালির প্রিয় যিনি নন তিনি আর কেউ-
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
লড়াকু রক্ত যাঁর ধমনীতে বহমান।

শাসকের কাছে দেন ছয়দফা দাবী তাঁর
মেনে নিলে রদ হবে অন্যায়-অবিচার,
পূর্বের লোকগুলো পাবে তবে শান্তি,
ভাবছ মেনেছে ওরা? তোমাদের ভ্রান্তি,
বরঞ্চ কারাগারে পুরে তাঁরে দলসহ
জর্জর করে তারা নিপীড়নে ভয়াবহ!
না পিছিয়ে তবু তিনি লড়ে যান দৃঢ়তায়
কিছুতে পারেনি দিতে শৃঙ্খল তাঁর পা'য়।
বিদ্রোহী হয়ে শেষে এদেশের জনগণ
মুক্ত করল তাঁরে ঊনসত্তর সন।
বিশ্বাস করে তাঁরে বাঙালিরা তাঁর পিছে
দাঁড়িয়েছে সেই দিন, বলছি যা নয় মিছে।

চার

সত্তর সালে হয়ে যাওয়া নির্বাচনে
দুটি বাদে তাঁর দল জিতল সব আসনে।
প্রধান হবেন তিনি পুরো পাক-দেশটার
বিজয় হয়েছে বুঝি জনতার চেষ্টার।
জেনারেল ইয়াহিয়া মিলিটারি কু-শাসক
বুঝলো তা হয়ে যাবে তার তরে বিনাশক।
বাঙালিরা পাকিদের শাসক কী করে হয়
মনে মনে যেন বলে কভু নয় কভু নয়!
তাই ব্যাটা বসে বসে আঁটে এক ফন্দি
ভাবছ কী? মুজিবকে করে নেবে বন্দি?
না না সে তো সোজা নয়, নেতাটা কি ছোট্টো?
নাটের গুরুটা জুলফিকার আলী ভূট্টো।
পশ্চিমে থাকত সে, নেতা রাজনীতিতে
তার কূট চাল রবে বাঙালির স্মৃতিতে-

পাঁচ

ষড়যন্ত্র করল বসে ভূট্টো-ইয়াহিয়া
সব ক্ষমতা রাখতে হাতে, মুজিবকে না দিয়া!
কথা ছিল অধিবেশন বসবে পরিষদের
একাত্তরের মার্চে; হঠাৎ দেয় ঘোষণা রদের!
খবর শুনেই সব বাঙালরি মন যে ক্ষোভে ফাটে
“জয় বাংলা” স্লোগান তুলে মিছিলে দিন কাটে।
বঙ্গবন্ধু মুজিব অসহযোগ শুরু করেন
বাঙালিদের অগ্রে থেকে এই নেতাটি লড়েন।
বলেন দাবী না মানলে অসহযোগ চলবে
তাঁর মুখের এই কথার ওপর কেউ কি কথা বলবে?
অসহযোগ করল সবাই ছাত্র-শ্রমকি-মুটে
পাকিস্তানের অধীনতায় মান যে ধুলায় লুটে!
পূর্ব-পাকিস্তানের যত ছাত্র ও জনতা
সবাই মিলে বাংলাদেশের চাইলো স্বাধীনতা
পাকিস্তানি শাসকরা যে খুব ছিলো আগ্রাসী।
“আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি”
সব বাঙালি গাইল এ গান ভীষণ ভালোবেসে
জাতীয় সঙ্গীত করলো এই গানটি দেশে।
যত্নে দেশের পতাকা এক বানিয়ে তারা নিলো
বাংলাদেশের মানচিত্র লাল বৃত্তে দিলো
“আমার সোনার বাংলা” গায় আর দেশের প্রতি ঘরে
ওড়ে বাংলার ওই পতাকা ওড়ে পত পত করে।

ছয়

একাত্তরের সাতই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে
বঙ্গবন্ধু ভাষণ দিলেন লাখ মানুষের বানে-
“এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।”

ভাষণ শুনেই লাখ লাখ লোক হয়েছিল প্রস্তুত
লড়াই করে করতে স্বাধীন দেশের পঞ্চভূত।
শপথ নিল যায় যাক প্রাণ স্বাধীনতা আনতে,
উদ্ধত পাক শাসকরা তা পারছলি না মানতে।
পাকিস্তানের মিলিটারি থাকল না তাই বসে
বাঙালিদের দমন করার সুক্ষ্ম হিসাব কষে
ভান করলো মুজিবুরের সঙ্গে কথা বলার
কী বলবো আর তাদের তো নেই অভাব ছলা-কলার!
আনল তারা সঙ্গোপনে কামান-বারুদ-গোলা
পঁচিশে মার্চ রাতের কথা কী করে যায় ভোলা!
সময় নিয়ে কথা বলার ছলে নেতার সাথে
তৈরি হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে সেদিন গভীর রাতে
দেশ রাঙালো অস্ত্রবিহীন বাঙালিদের খুনে
গুঁড়িয়ে দিলো দালান-কোঠা, ঘর পোড়ে আগুনে।
মেশিনগানের গুলিতে বুক ঝাঁঝরা করে পিঠ
পাকিস্তানি মিলিটারি কী জঘন্য কীট!
রাগটা তাদের বেশি ছিল শিক্ষক এবং ছাত্রে
খুঁজে খুঁজে করলো হত্যা সেই সে কালো রাত্রে।

সাত

বাঙালি সব ইপিআর ও পুলিশ রাজারবাগে
মিলিটারির সঙ্গে লড়াই করল সবার আগে।
পাকিস্তানি মিলিটারির সংখ্যা বেশি থাকায়
বিফল হল বাঙালিরা আটকে তাদের রাখায়-

পাকিস্তানি কমান্ডোরা মুজবিকে কি ছাড়ে?
ওই রাতে দেয় বাসায় হানা, বন্দী করে তাঁরে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন তিনি
ঠিক তার আগে, তাঁর কাছে তাই আমরা চিরঋণী।
সেই ঘোষণা প্রচার হল রাত বারোটার পরে
(ছাব্বিশ মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালন করে
তাইতো বাংলাদেশের মানুষ এখন প্রতি অব্দ,
“স্বাধীনতা” রক্তে কেনা এক অমূল্য শব্দ)।

বাংলাভাষী মিলিটারি ছিলেন যাঁরা দলে
অস্ত্র তাঁদের কাড়ল ঘাঁটির উর্দুভাষী বলে,
বন্দী হলেন কেউবা তাঁদের কেউবা গেলেন মারা
বেরিয়ে এলেন যুদ্ধ করার সুযোগ পেলেন যাঁরা।

চট্টগ্রাম শহর থেকে অল্প ক'মাইল দূর
স্বাধীন বাংলা বেতারে যান মেজর জিয়াউর,
স্বাধীনতার ঘোষণাটি যা দিয়েছেন শেখ-এ
মেজর জিয়া কালুরঘাটের বেতার কেন্দ্র থেকে
সাতাশ মার্চ পড়ে শোনান মুজিবুরের পক্ষে,
শুনে শুনে সেই ঘোষণা সব বাঙালির বক্ষে
উঠলো দোলা, হল তারা ভীষণ স্বাধীনচেতা
বুঝল লড়াই করতে হবে এই বলেছেন নেতা।

প্রাণ গেলেও শুধতে হবে দেশের প্রতি দেনা
সশস্ত্র বাহিনীর সকল বীর বাঙালি সেনা
লড়ছিল তাই পাকিস্তানি মিলিটারির সঙ্গে
পণ হৃদয়ে থাকতে ওদের দেবে না এই বঙ্গে ।
সেই লড়াইয়ে যোগ দিল সব জনতা ও ছাত্র
নেই অস্ত্র, অভিজ্ঞতা যুদ্ধের লেশমাত্র,
তাই মে মাসের মাঝামাঝি ফেলল করে দখল
পাকিস্তানি মিলিটারি বাংলাদেশের সকল-
করল শুরু গণহত্যা ভীষণ ভয়ঙ্কর
অত্যাচার আর নির্যাতন আর পুড়ল মানুষ, ঘর।
তাদের সাথে মিলল কিছু দেশি কুলাঙ্গার
দল বানাল আল-শামস, আল-বদর, রাজাকার।
তাদের বেশীর ভাগই ছিল জামাতে-ইসলামী
বারে বারে তাদের তরেই দূর্ভোগ আসে নামি।
মিলিটারির পাশাপাশি এই বাহিনীগুলো
বাঙালিদের লাল রক্তেই দেশের মাটি ধু’লো!

বাংলাদেশের এক কোটি লোক প্রাণ হারানোর ভয়ে
আশ্রয় নেয় ভারতে, রয় শরণার্থী হয়ে।
লোকের চেয়ে কম সেখানে ছিল ওষুধ-পথ্য
এবং খাবার, দূর্ভোগ তাই অসীম ও অকথ্য
না সইতে পেরে মানুষ মরল লাখে লাখে
অধিকাংশই শিশু তাদের, কষ্ট বোঝাই কাকে?

পাকিস্তানের জেলে শেখ-এর কাটছলি দিনকাল
তাজউদ্দিন তাই এগিয়ে ধরেন দেশের হাল।
নেতারা সব দশ এপ্রলি করেন দারুণ কাজ
গঠন করেন সরকার যার মূখ্য ছিলেন তাজ।
দূর্যোগে দেশ দাঁড়িয়েছিল কিনারাতে খাদের
শুরু হল মুক্তিযুদ্ধ নেতৃত্বে তাঁদের,
কমান্ডার ইন চীফ কর্ণেল এম এ জি ওসমানী
বাংলাদেশের সমর দলের নিলেন যে ভারখানি।
সামনে তারা যুদ্ধ করে পাকিস্তানির সাথে
পিছন থেকে গেরিলারা আক্রমনে মাতে।

এগারোটা সেক্টরে ভাগ করে সারা দেশটা
যুদ্ধ শুরু হল আবার, দেখতেই হবে শেষটা!
যুদ্ধে ছিল নারী-পুরুষ, ছাত্র-শ্রমিক-চাষী
স্বপ্ন চোখে হাসবে তারা যুদ্ধ জয়ের হাসি।
গেরিলাদের জায়গা, খাবার দিয়ে গেছে লড়ি
তারা, যাদের যুদ্ধ করা হয়নি সরাসরি।
দেশের গান আর যুদ্ধ বার্তা সাধারণের সকাশ
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র করছিল সব প্রকাশ
উৎসাহিত তার ফলে হয় দেশের মানুষ অতি
যুদ্ধ জয়ের আকাঙ্খা পায় কয়কেশগুণ গতি!

বিশ্বে বড় শিল্পীরা গায় বন্ধ করতে ধ্বংস
লেখক-কবি কলম হাতেই যুদ্ধে নিল অংশ।
প্রবাসীরা ধরলে তুলে অত্যাচারের দৃশ্য
বাঙালিদের পাশে দাঁড়ায় প্রায় সমগ্র বিশ্ব।

আট

গেরিলারা অনভজ্ঞি ছিল প্রথম দিকে
পাকিস্তানির হাসি তবু হচ্ছিল ঠিক ফিকে
মুক্তিরা সব ক্রমে ক্রমেই যুদ্ধে হলে পটু
অগ্নি-গোলায় পাকি জ্বলে গন্ধ ছড়ায় কটূ।
গেরিলাদের আক্রমনে পাক-সেনারা ত্রস্ত
ধীরে ধীরে হচ্ছিল সব যেন বিকারগ্রস্থ।
থাকছিল তাই ঘাঁটির ভেতর, আসছিল না ছেড়ে
মুক্তিযোদ্ধা এই বুঝি নেয় প্রাণটা তাদের কেড়ে!

অস্ত্র দিয়ে ট্রেনিং দিয়ে বাঙালিদের পাশে
ভারত ছিল সহায় হয়ে পাকি’র সর্বনাশে।
ইয়াহিয়া'র চরম ভুলের আরো একটি দিন
ঊনশিশত একাত্তরের ডিসেম্বরের তিন-
বাঙালিদের পক্ষে ভারত, তাই সে ভীষণ রাগল
ওদিন হঠাৎ ক্রোধে সে দেশ আক্রমনে লাগল।
ভারত কি আর থাকবে বসে হয়েছে আক্রান্ত
পাল্টা হামলা করার আগে আর হল না শান্ত।
অস্ত্র-শস্ত্র উঠলো বেজে ঝনাৎ ঝনাৎ ঝন
ভারতও তাই পাকিস্তানের সঙ্গে বাধায় রণ।
ভারতীয় বাহিনী আর মুক্তিযোদ্ধা মিলে
"মিত্রপক্ষ" গড়লে পাকি’র চমকে ওঠে পিলে।
বাংলাদেশের গেরিলাদের আক্রমণের ভয়ে
কাঁপছিল সব পাক-সেনারা ঘাঁটির ভিতর রয়ে।
মুক্তি এবং মিত্ররা তাই করলে শুরু হানা
পাকিস্তানি টিকলো কেবল তেরটি দেন টানা।
দুই বাহিনী চতুর্দিকে ফেললে ঘিরে ঢাকা
বুঝলো পাকি আর যাবে না হার আটকে রাখা।
কোন উপায় না দেখে তাই পাক সেনারা যতো
আত্ম-সমর্পণ করলো কাপুরুষের মতো।
দিনটি ছিল একাত্তরের ষোলই ডিসেম্বর
আমরা পেলাম “বিজয় দিবস”, মুক্ত নীলাম্বর!

দেশদ্রোহী কিছু দেশে ঘাপটি মেরে থেকে
পাকিস্তানের সমরে হার বুঝতেছিল দেখে-
বুঝল তারা স্বাধীন বাংলাদেশ জন্ম নেবে
ভাবল এদেশ মাথা তুলে দাঁড়াতে না দেবে
আল-বদরে তাই সহস্র মারলি বুদ্ধিজীবি
কেমন করে বল না রে আজ ক্ষতিপূরণ দিবি?
সবুজ বরণ এ দেশখানি শ্যামল, অনুপমা
দেশের মানুষ তোদের কভু করবে না রে ক্ষমা।

নয়

এক দুই নয় তিরিশ লক্ষ প্রাণের বিনিময়
এলো দেশের স্বাধীনতা, যুদ্ধ হলো জয়।
অনেক কিছুই পেয়েছি আর পাইনি অনেক কিছু
পাইনি যে সব পাবই পাব ছুটছি তাদের পিছু।
কাজ করছি মিলেমিশে দেশের সকল মানুষ
গড়ে নেব দেশটি সুখের উড়বে রঙিন ফানুস।
বীর যোদ্ধা যাঁরা করেন দেশটি স্বাধীন এই-
তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতার নেই অন্ত নেই।
দেশকে স্বাধীন করতে যাঁরা করেন মৃত্যু বরণ
হৃদয় থেকে শ্রদ্ধা দিয়ে আমরা করি স্মরণ।
সাতজন তার বীরশ্রেষ্ঠ, অল্পকিছু আরো
সম্মাননার পদক দিতে হয়নি তো ভুল কারো।
কিন্তু মোদের অক্ষমতায় অনেকে রয় বাকী
মুক্তিযোদ্ধা সবকে যেন মাথায় তুলে রাখি।
বলব রেখে হাতটি হাতে চোখের দিকে চোখ-
স্বপ্ন স্বদেশ গড়বো মিলে আমরা দেশের লোক।
লাখ শহীদের রক্ত নিল সেই হানাদার-পাক
রক্তঋণের শুধব দেনা আজকে শপথ থাক
নিজের কর্মে নিষ্ঠা দিয়ে বাক্যে থেকে সৎ
গড়ব স্বদেশ এগিয়ে নেওয়ার মসৃণ এক পথ।

[ছোট ভাই পার্থ এবং প্রশান্ত'র নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য এটির পরিমার্জনে সহায়তা করার জন্য]


মন্তব্য

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

দারুণ...

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

আচার্য এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

============================
কত আর রবে দেশ রাহু গ্রাস কবলে?
সমূলে উপড়ে ফেলি দূর্নীতি সবলে।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক

আচার্য এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

============================
কত আর রবে দেশ রাহু গ্রাস কবলে?
সমূলে উপড়ে ফেলি দূর্নীতি সবলে।

নীল আকাশ এর ছবি

চলুক

আচার্য এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

============================
কত আর রবে দেশ রাহু গ্রাস কবলে?
সমূলে উপড়ে ফেলি দূর্নীতি সবলে।

স্যাম এর ছবি

চলুক চলুক

আচার্য এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

============================
কত আর রবে দেশ রাহু গ্রাস কবলে?
সমূলে উপড়ে ফেলি দূর্নীতি সবলে।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

দারুণ কাজ, হ্যাটস অফ

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

আচার্য এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

============================
কত আর রবে দেশ রাহু গ্রাস কবলে?
সমূলে উপড়ে ফেলি দূর্নীতি সবলে।

মাসুম আহমদ এর ছবি

চলুক
খুব ভাল লাগলো

আচার্য এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

============================
কত আর রবে দেশ রাহু গ্রাস কবলে?
সমূলে উপড়ে ফেলি দূর্নীতি সবলে।

ব্যঙের ছাতা এর ছবি

চলুক

আচার্য এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

============================
কত আর রবে দেশ রাহু গ্রাস কবলে?
সমূলে উপড়ে ফেলি দূর্নীতি সবলে।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

বেশ হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

আচার্য এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

============================
কত আর রবে দেশ রাহু গ্রাস কবলে?
সমূলে উপড়ে ফেলি দূর্নীতি সবলে।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

কাব্যরূপটি উপযুক্ত ইলাস্ট্রেশনসহ একটা ফোল্ডার বা পাতলা বই হতে পারে।

ভেরি গুড জব!


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

আচার্য এর ছবি

ধন্যবাদ চমৎকার পরামর্শের জন্য।

============================
কত আর রবে দেশ রাহু গ্রাস কবলে?
সমূলে উপড়ে ফেলি দূর্নীতি সবলে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।