গতকাল এক সেমিনারে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাণী ও ধর্মোপদেশ যথেস্ট আশঙ্কার জন্ম দিয়েছে। প্রধান বিচারপতি একজন স্বাধীনতাবিরোধী বিতর্কিত ব্যক্তি শাহ আবদুল হান্নানের সভাপতিত্বে এই সেমিনারে যোগ দিয়ে তার রাজনৈতিক অবস্থান বেশ অকপটভাবেই পরিস্কার করলেন। দৈনিক সংগ্রামের আজকের সংখ্যা থেকে তার বক্তব্য তুলে দিলাম:
প্রধান বিচারপতি রুহুল আমীন বলেছেন, ইসলামী আইনই একমাত্র দুর্নীতি প্রতিরোধে নৈতিকতা শিক্ষা দেয়। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে ‘ইসলামী আইন ও সমকালীন সমাজে এর অবদান' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি রুহুল আমীন প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন। দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সেমিনারটির আয়োজন করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থট (বিআইআইটি) ও ইসলামিক ল' রিসার্চ সেন্টার এন্ড লিগ্যাল এইড বাংলাদেশ। বিআইআইটি'র প্রেসিডেন্ট ও সরকারের সাবেক সচিব শাহ আবদুল হান্নান সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন।প্রধান বিচারপতি তার ভাষণে বলেন, আমরা সমাজে এখনো নানা ধরনের দুর্নীতি দেখছি। দুর্নীতি প্রতিরোধে বেশ কিছু ভালো পদক্ষেপও নেয়া হয়েছে। তারা সফলভাবে অনেক দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তির চরিত্রটাকেই বদলে ফেলেছে। একমাত্র ইসলামী আইন কাঠামোর শিক্ষাই দুর্নীতিবাজদের মধ্যে নৈতিকতা জন্ম দেয়। কোন দুর্নীতিবাজ তখন দুর্নীতি করতে পারে না। বিচারপতি রুহুল আমীন বলেন, ইসলাম বিশ্বের বৃহত্তর অঞ্চল মধ্যপ্রাচ্যের সমাজে শান্তি নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে।... অনেক আইন গ্রন্থেই তাদের ইসলামী আইনের ধারা ও উপধারাগুলো সন্নিবেশন করা হয়েছে। তখন থেকেই ইসলামী আইন ব্যবস্খার অধীনে সুষ্ঠু বিচার ব্যবস্খা কার্যকর ছিল। আইনজীবী ও বিচারপতিরা এক সঙ্গে কাজ করেছেন সুষ্ঠু বিচার বন্টনের জন্য। এ ঐতিহ্য এখনো সৌদি আরবসহ অনেক দেশে সমানভাবে কার্যকর। সৌদি আরবে আইন-শৃংখলা পরিস্খিতি এখনো অনেক জাতির চেয়ে ভালো।
মাননীয় প্রধান বিচারপতি, এবার আপনি আমাদেরকে হাইকোর্ট দেখানো শুরু করেছেন। কোন বিচিত্র কিছু নয় যে আপনার সময়কালে জামাতীরা আইনের ফাঁক ফোঁকড় দিয়ে বেরিয়ে আসবে। অবশ্য ক'দিন আগেই শাহ আবদুল হান্নান ১৯৭১ নিয়ে রাস্ট্রবিরোধী বক্তব্যের চার্জ থেকে অব্যাহতি পেয়েছে। আপনার এতোটুকু লজ্জাবোধ হলো না, শাহ আবদুল হান্নানের মতো এক বিতর্কিত স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকারের সভাপতিত্বে ইসলামের বাণী প্রচার করতে। ইসলামের নাম বেচে ১৯৭১ সালে হান্নান-মুজাহিদরা কি করেছে তা আপনি ভুলে গেছেন? আমরা ভুলিনি। ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বিষাক্ত ছায়া আমরা প্রত্যক্ষ করছি। সারা বিশ্বে মুসলিম দেশগুলোতে আইনের শাসন আর মানবাধিকারের করুণ চিত্রের কারণ যে ধর্মের নামে প্রতারণা তা আপনি বুঝতে পারেননি? সৌদী আরবের আইন শৃংখলার প্রতি আপনার অগাধ আস্থা দেখে আমি অবাক হই। হায়রে অভাগা দেশ!! নির্বোধদের হাতেই আমরা বিচার বিভাগকে সমর্পন করে আইন ও ন্যায়বিচারের স্বপ্ন দেখি। আপনাকে আবার রাস্ট্রপতি নিয়োগের কানাঘুষাও একসময় শোনা গিয়েছিল। ধিক্কার জানাই প্রধান বিচারপতির প্রতি যিনি ১৯৭১ দেখেন না, যিনি রাজাকার হান্নানকে দেখেন না। যিনি ধর্মের নামে প্রতারণা আর জঙ্গীবাদের উত্থান দেখেন না। যিনি অন্ধের মতো সৌদী আইন-বিচার ব্যবস্থার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। ধর্মের সাথে রাজনীতির মিশ্রণ কতোটা বিপজ্জনক তা আমরা দেখেছি, এখন ধর্মের সাথে আইন গুলিয়ে আবারও বোকা বানাবার চেস্টা করা হচ্ছে।
আপনার জন্য একজন ধর্ষিতা সৌদী মহিলার বিচারের নমুনা দিয়ে দিলাম:
Saudi justice unveiled
মন্তব্য
এই লোককে সৌদি আরবে পাঠিয়ে দেওয়া হোক।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
জুবায়ের ভাই,
ভিডিওটা দেখেন। কস্ট বাড়ে। অভাগা দেশ অন্ধ আর অথর্বদের কাছে পণবন্দী।
অন্ধকারের উতস হতে উতসারিত আলো
প্রয়াত হুমায়ুন আজাদ থেকে উদ্ধৃতি দেই,
আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
এটাতো ডায়াগনসিস, ট্রিটমেন্টের ব্যবস্থা কি?
অন্ধকারের উতস হতে উতসারিত আলো
পাকি আনুগত্য এখনো আছে যাদের , তারা প্রকারান্তরে সেই তমদ্দুনের সাফাই গাইতে ভালোবাসে।
--- ফকির ইলিয়াস
এই ব্যক্তি ক'দিন বাদে শরিয়া আইন ও ফতোয়াকে আইনগত মর্যাদা দিয়ে বসতে পারে (সম্মানসূচক 'পারেন' লিখতে ইচ্ছে করলো না)।
১৯৯১ সালে হুমায়ূন আজাদের লেখা "মধ্যপ্রাচ্যের মহাযুদ্ধ, মুসলমানের মুক্তি ও গণতন্ত্র" নামের এক প্রবন্ধ থেকে কয়েকটি উদ্ধৃতি:
ওই এলাকায় আর যাই থাক মানুষের কোনো অধিকার নেই।
মধ্যপ্রাচ্য পৃথিবীর সবচেয়ে অন্ধকার এলাকা।
প্রতিটি আধুনিক মস্তক ওই সব দেশে জল্লাদের অধিকারে।
মধ্যপ্রাচ্য সারা পৃথিবীর মুসলমানের অগ্রগতির প্রতিবন্ধক।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
Saudi Arabia: Foreign Workers Abused
Mr Justice(?) Ruhul Amin, you will find thousands of reports about injustice in Saudi Arabia. Like this...
Torture, Unfair Trials and Forced Confinement Pervasive
In Saudi Arabia foreign workers—who comprise one-third of the kingdom’s population—face torture, forced confessions and unfair trials when they are accused of crimes, Human Rights Watch said today in a report that offers a rare glimpse into the Saudi justice system.
Saudi Arabia’s troubles run much deeper than the terror attacks that are claiming the lives of innocent civilian. The abuses we found against foreign workers demonstrate appalling flaws in the kingdom’s criminal justice system as a whole. If the Saudi government is serious about reform, this would be a good place to start.
Sarah Leah Whitson, executive director of the Middle East and North Africa Division
Also Available in Related Material Bad Dreams: Exploitation and Abuseof Migrant Workers in Saudi Arabia
Human Rights in Saudi Arabia
A new 135-page report, “Bad Dreams: Exploitation and Abuse of Migrant Workers in Saudi Arabia,” provides the first comprehensive look at the pervasive abuses foreign workers endure in Saudi Arabia. The report also shows the abysmal and exploitative labor conditions many workers face, and the utter failure of the justice system to provide redress.
Human Rights Watch documented how foreigners detained in Saudi Arabia have been denied consular visits and forced to sign confessions that they could not read. The report includes cases of beheading in which the embassies and families of the condemned men were not informed of the executions until after they were carried out.
“Saudi Arabia’s troubles run much deeper than the terror attacks that are claiming the lives of innocent civilians,” said Sarah Leah Whitson, executive director of Human Rights Watch’s Middle East and North Africa Division. “The abuses we found against foreign workers demonstrate appalling flaws in the kingdom’s criminal justice system as a whole. If the Saudi government is serious about reform, this would be a good place to start.”
Last year the Saudi government invited a Human Rights Watch delegation to visit the kingdom for talks with officials, but has not responded to numerous requests for permission to carry out field research, including meeting with victims of abuse. The interviews for the report were conducted mostly in India, Bangladesh and the Philippines with workers who had recently returned from Saudi Arabia.
The report documents the failure of the Saudi government to enforce its own labor laws in the face of significant abuses of foreign workers by their employers.
“We found men and women in conditions resembling slavery,” said Whitson. “Case after case demonstrates that the Saudis are turning a blind eye to systematic abuses against foreign workers.”
Human Rights Watch also examined gender discrimination, using information obtained directly from Asian women who had recently worked in Saudi Arabia. The report highlights the widespread practice of forced, around-the-clock confinement of women in unsafe conditions.
In one case, some 300 women from India, Sri Lanka and the Philippines worked 12-hour shifts, six days a week, cleaning hospitals in Jeddah. At the end of each work day, they were returned to crowded, dormitory-style housing, with 14 women sharing one small room lined with bunk beds. The doors to the rooms were locked from the outside, denying the women any freedom of movement for the two or three years of their contracts.
Human Rights Watch said that forced confinement of workers, in particular women workers, should be a criminal offense under Saudi law.
The report includes four cases of women who were victims of forced confinement and sexual abuse, including rape. In all four cases, the perpetrators—three of whom were alleged rapists—did not face criminal investigation or prosecution. The report also has information about women whom Human Rights Watch found in a prison in Riyadh who were serving sentences for “illegal pregnancies.”
“The pervasive gender discrimination in Saudi Arabia’s legal system, coupled with law enforcement officials’ indifference to women’s complaints, places them at great risk,” said Whitson. “Add forced confinement to this mix, and the danger of sexual violence is only heightened.”
Source:http://www.hrw.org/english/docs/2004/07/15/saudia9061.htm
নতুন মন্তব্য করুন