ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকরা প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছেন। ছাত্র-শিক্ষকদের বিরুদ্ধে একটি মামলার রায় কিছুক্ষণ আগে প্রকাশিত হয়েছে। এখন অন্য একটি মামলার শুনানি চলছে। তবে ছাত্র শিক্ষকরা বলছেন, একজন ছাত্র আটক থাকলেও তাদের প্রতিবাদ চলতে থাকবে। ছাত্ররা কিছুক্ষণ আগ পর্যন্ত ভিসি'র বাসা অবরোধ করে রেখেছিল এবং তাঁর পদত্যাগ দাবী করেছে। তারা সকল ছাত্র-শিক্ষকের র নি:শর্ত মুক্তি দাবী করছে।
আরও দেখুন কিছুক্ষণ আগে প্রচারিত চ্যানেল আইয়ের সংবাদ থেকে:
বিডিনিউজটুয়েন্টীফোর জানাচ্ছে:
ঢাকা, জানুয়ারি ২১ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)¬- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আগস্ট ছাত্র বিক্ষোভের ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলার রায়ে সোমবার কারাবন্দি চার শিক্ষক ড. আনোয়ার হোসেন, ড. হারুন অর রশিদ, ড. সদরুল আমিন, ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক ও ১১ শিক্ষার্থীকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।পাশাপাশি পলাতক চার ছাত্রের প্রত্যেককে দুই বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার বেলা পৌনে ১১ টায় ঢাকার মহানগর ও দ্রুত বিচার হাকিম মো. হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী এ রায় ঘোষণা করেন। তবে কারাবন্দি শিক্ষক ও ছাত্রদের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা বিচারাধীন থাকায় সহসাই মুক্তি পাচ্ছেন না তারা। (আরও তথ্যসহ)
দণ্ডপ্রাপ্ত চার ছাত্র হলেন, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, হাসান মামুন, এইচ এস কামরুল হাসান কচি ও আজিজ হাসান।
অভিযোগপত্রে এই চার ছাত্রের মধ্যে এইচ এস কামরুল হাসানকে এফ রহমান হলের ছাত্রদল নেতা, সাইফুল ইসলাম ফিরোজকে সূর্যসেন হল শাখার ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এবং জসিম উদ্দিন হলের ছাত্রদলের সভাপতি হিসেবে উল্লেখ করা হয় হাসান মামুনের নাম।
খালাসপ্রাপ্ত ১১ শিক্ষার্থী হলেন, মনিরুজ্জামান সর্দার রুবেল, রিফাত হোসেন জিকু, মো. নজরুল ইসলাম রাসেল, মো. সামসুল কবির রাহাত, মিতুল, রোকনুজ্জামান তালুকদার, তানজিন চৌধুরী লিলি, অপর্ণা পাল, শাহনূর নার্গিস, মো. কামরুজ্জামান ও আনোয়ার।
শাহবাগ থানার ৫৩ নম্বর এই মামলার যুক্তিতর্ক গ্রহণ শেষে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার মহানগর ও দ্রুত বিচার হাকিম মো. হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছিলেন।
একই ঘটনায় একই থানার অপর মামলাটিতে সময়ের অভাবে ওইদিন ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর ও দ্রুত বিচার হাকিম মো. গোলাম রাব্বানী যুক্তিতর্ক গ্রহণ করতে পারেননি। শাহবাগ থানায় দায়ের করা এ মামলাটির যুক্তিতর্ক আজ (সোমবার) বিকেলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
শিক্ষকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ৫৩ নম্বর মামলাটির অভিযোগ গঠন করা হয় ১২ ডিসেম্বর। মামলায় আসামিদের ২১ আগস্ট জরুরি বিধিমালা ভেঙ্গে মিছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন এলাকায় সমাবেশ, উস্কানিমূলক বক্তব্য, সরকারি কাজে বাধা দান ও অগ্নি সংযোগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছিল।
২৩ আগস্ট শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক রেজাউল করিম খান বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সেদিন রাতেই যৌথ বাহিনীর সদস্যরা অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন ও সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক হারুন-অর-রশীদকে আটক করে। পরবর্তীতে সদরুল আমিন ও নিমচন্দ্র ভৌমিক আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর এ মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষক ও ১৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করা হয়।
এর আগে ঢাবিতে সংঘটিত সহিংসতার রেশ ধরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র বিক্ষোভ চলাকালে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার (ডিজিএফআই) গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক চৌধুরী সারোয়ার জাহান সজল ও অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার তাপুকে খালাস দেওয়া হয়েছিল গত ১২ ডিসেম্বর। তবে একই মামলার আসামি ১০ শিক্ষার্থীসহ ১১ জনকে তিন বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। সাজা দেওয়া হয় রাবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ফাইসুল ইসলাম ফারুকীর গাড়িচালক আতাউর রহমান আতাসহ ১০ শিক্ষার্থীকে।
ছাত্র বিক্ষোভে উস্কানি দেয়ার অভিযোগে ছয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে দায়ের করা অপর মামলায় রায় হয় ৪ ডিসেম্বর । আদালত জরুরি বিধিমালা ভঙ্গের অভিযোগে চার শিক্ষককে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেয়। অপর দুই শিক্ষককে খালাস দেওয়া হয়। পরে রাষ্ট্রপতি শিক্ষকদের সাজা মওকুফ করলে চার শিক্ষক কারাগার থেকে মুক্তি পান।
মন্তব্য
ছাত্র শিক্ষকদের ক্ষেপিয়ে কোন সরকারই তো পার পায়নি।
এরা ওপাবে না ।
ক্ষমতায় গিয়েই ইতিহাস ভুলে যাওয়া বোধহয় রীতি।
না হলে কেন বার বার এ ঘটনা গুলো ঘটে?
অবশেষে ছাত্র জনতার বিজয় হলো। দেরীতে হলেও কুম্ভকর্ণের নিদ্রা ভংগ হলো। একটু আগে বিডি নিউজে বলা হয়,
ধন্যবাদ।
________________
অন্ধকারের উতস হতে উতসারিত আলো
অন্ধকারের উতস হতে উতসারিত আলো
এখনো পুরোপুরি বিজয় অর্জিত হয়নি। এখানে ড আনোয়ার হোসেনের পুত্র সঞ্জীবের মন্তব্য পড়ুন -
শেষ হইয়াও হইলো না শেষ ...
ছাত্র শিক্ষকদের নামে সর্বমোট ৫ টি মামলা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত একটি মাত্র মামলার রায়ে শিক্ষক এবং ছাত্রদের খালাস দেওয়া হয়েছে। বাকীগুলোর নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তারা মুক্তি পাচ্ছেন না।
পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)
পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)
moinul is themain culprit.he makes all the mechanism and finally the govt realizes
নতুন মন্তব্য করুন