অবশেষে রাস্ট্রপতির অনুকম্পায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মুক্তি পেলেন। তার আগে নাটকীয় রায়ে তিন শিক্ষককে কোর্ট দু'বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত করে। এর কয়েক ঘন্টার মধ্যে রাস্ট্রপতি তাদের ক্ষমা করে দিলে তাঁরা মুক্তি পান। মুক্তিপ্রাপ্ত শিক্ষকরা সরাসরি শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তাদের মুক্তি উদযাপন করলেন। এই ঐতিহাসিক মূহুর্ত্বের নিউজ ভিডিওটি আপনাদের জন্য এখানে দেওয়া হলো।
শিক্ষকদের মুক্তি ঘটেছে অত্যন্ত নাটকীয়ভাবে। তবে সবগুলো মামলা প্রত্যাহার করা হয়নি। মুক্তি দেওয়া হয়নি ছাত্রদের। তাই এখনো আসেনি বিজয়। সকল ছাত্রদের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত ছাত্র-শিক্ষকদের আন্দোলন চলবে। তাই, মামলার বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়নি। ব্যাপারটা এখনও ঝুলছে। তবে দ্রুতগতিতে শিক্ষকদের বিচার, রায় আর রাস্ট্রীয় অনুকম্পার এক বিচিত্র আর নাটকীয় ঘটনা দিয়ে সামরিক সরকারের হাস্যকর ও নির্বোধ চরিত্র উন্মোচিত হয়েছে। নিজের নাক রক্ষায় এধরণের হাস্যকর ও নাটকীয় ঘটনার অবতারণা না করে সরাসরি মুক্তি দিলেই অন্তত: মুখরক্ষা হতো। অন্তত: এ কথা সত্য, হাঁটুর বুদ্ধি কখনও উর্ধ্বগামী হয় না। বন্দুকের নল বিবেকের কন্ঠ কোনকালেই রোধ করতে পারেনি। পারবেও না।
ড: আনোয়ার হোসেন বলেন: "বিবেকের কণ্ঠ কখনও রোধ করা যায় না। কেউ আমাদের মুখ বন্ধ করতে পারবে না। আগামীকাল আমরা অপরাজেয় বাংলা পাদদেশে শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক সংহতি সমাবেশে যোগ দেব। সেখানে আমাদের নির্যাতনের চিত্র জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তুলে ধরব।" সরকারের বোধদোয় হবে কি না জানি না? আশা করাও অবান্তর। সামরিক সরকার দ্রুত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রত্যাবর্তন করে ব্যারাকে ফিরুক এই প্রত্যাশায় অপেক্ষমান আমরা সবাই।
মন্তব্য
অনেকটা স্বস্তি পেলাম। এখন ছাত্রদের মুক্তির অপেক্ষা।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
সামরিক সরকারের উদ্দেশ্য ঠিকই পূরণ হয়েছে। নির্যাতন এবং ভীতি-প্রদর্শনই আসল কাজ ছিলো, তা হয়ে গেছে। তাদের অন্যায়ের বিচার হবে না। উপদেষ্টারাও একের পর এক পদত্যাগ করে আউট অফ ফোকাসে চলে যাবে, তাদের আকামের জন্য ধরা খাবে না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
নতুন মন্তব্য করুন