হুদা কি কথা বলে? এখন বলে কি না জানি না। তবে একসময় খুব বলতো। আড্ডায় গল্পটা লিখেছিলাম প্রায় দেড় বছর আগে। আজকে সকালে আড্ডা পিটাতে গিয়ে নিজের ব্লগের গাঁট থেকে তুলে আনলাম। যারা হুদাহুদি কথা বলে তাদের জন্য আমার মায়া লাগে। আর যারা হুদার মতো এখন কথা বলতে পারে না, তাদের জন্য লাগে করুণা। তাই, আজকে সকালের তরতাজা প্রশ্ন হুদা এখন কি বলে? উত্তর জানতে হলে নীচের কৌতুকটা পড়ে দেখতে পারেন। কৌতুকটা এককালের যোগাযোগমন্ত্রী, পুলিশ আর ইঞ্জিনীয়ারকে নিয়ে লেখা।
অনেক বছর আগের কথা। এক ব্যারিস্টার মন্ত্রী, পুলিশের আইজি ও সড়ক ও জনপথের প্রধান প্রকৌশলী একসাথে রাজধানী থেকে অনেক দূরে নতুন সড়ক উদ্বোধন করতে গেছেন। যেতে যেতে সন্ধ্যা নেমে গেল। তার মধ্যে তাদের গাড়ীও গেল নস্ট হয়ে। অগত্যা পথের পাশেই পাওয়া গেল ভেটেরেনারী হাসপাতাল। সেখানে গিয়ে তারা হানা দিলেন।
হাসপাতাল ভবনের কেয়ারটেকার বললো, "স্যার এখানে তো রুম একটা, তাতে বেড আছে দুইটা। পাশের বিল্ডিং-এ পশুপাখীদের ক্লিনিকের ওখানে একটা বেড আছে। তবে আপনারা দু'জন এখানে ঘুমাতে পারবেন। একজনকে পাশের বিল্ডিংএর ক্লিনিক রুমে থাকতে হবে। তবে সেই রুমের পাশে খাঁচায় কিছু বানর আর ছাগল আছে। তবে তারা রাতে তেমন একটা আওয়াজ করে না। আপনারাই ঠিক করেন কে কোথায় ঘুমাবেন"। এই বলে কেয়ার টেকার চলে গেল।
সওজ'র প্রধান প্রকৌশলী বললো, "স্যার, আপনারা এখানে ঘুমান। আমি বরং পাশের বিল্ডিংএ ঘুমাই"। যেমন কথা তেমন কাজ। ব্যারিস্টার মন্ত্রী আর পুলিশ প্রধান বিছানা করে ঘুমালেন। ঠিক পাঁচ মিনিটের মাথায় দরজায় নক। দরজা খুলে আইজি সাহেব তাজ্জব। জিগ্যেস করলো, "কি হয়েছে ইঞ্জিনীয়ার সাহেব"? বলে, ছাগল আমাকে দেখে ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে বলে "ঐ ঘুষখোর ছাগল তুই এখানে কি করস?" স্যার, আমাকে ঘুমাতে দিচ্ছে না। বরং আপনারা কেউ যান।
তখন আইজি সাহেব বলেন, "আমি পুলিশ। সবাই আমাকে ভয় পায়। বরং আমিই যাই"। ঠিক দশ মিনিটের মাথায় দরজায় নক। কি ব্যাপার। পুলিশের আইজি কাঁদো কাঁদো স্বরে বলে, "স্যার ওখানে ঘুমানো সম্ভব না"। আমাকে দেখে বানরগুলো উৎপাত করছে। বানররা বীকট আওয়াজ করে বলে, "ওই ঠোলার পোলা, তুই এইহানে বাঁদরামি করতে আইছত?" আমি স্যার মাফ চাই। ততক্ষণে ব্যারিস্টার মন্ত্রীর উওর, "হ্যাঁ, বেশ দেখলাম আপনাদের কারবার!!! দেখুন আমি যাচ্ছি। আমি ব্যারিস্টার। কোন স্টুপিড আমাকে বদার করে দেখে নেবো"? বলে তিনি রওয়ানা দিলেন, পাশের ভবনের দিকে।
পাঁচ মিনিট যায়, দশ মিনিট যায়। কেউ আসে না। আইজি আর ইঞ্জিনীয়ার খুশীতে গদগদ হয়ে বলতে লাগলেন, "না, স্যার বোধ হয় ম্যানেজ করে ফেলেছেন, কেউ তো আর দরজা নক করছে না"। প্রায় আধা ঘন্টা পর ঠিক যখন তাদের ঘুম গাড়ো হয়েছে, তখন উভয়ই দরজায় আওয়াজ শুনে প্রমাদ গুনলেন। কোনমতে বিছানা ছেড়ে দরজা খুলে যা দেখলেন, তা নিজের চোখে বিশ্বাস করতে পারলেন না। তাকিয়ে দেখেন, এক পাল বানর আর ছাগল তাদের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। বানররা দু'হাত দিয়ে চোখ ঢেকে রেখেছে। বিশাল কৌতুহুল নিয়ে যখন তাদের জিগ্যেস করা হলো: "তোমাদের আবার কি হলো?" বানর আর ছাগলরা সমস্বরে বলল: "স্যার, আমরা ঘুমাতে চাই"। তারা জিগ্যেস করলেন, "কি হয়েছে তোমাদের?" ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে তারা উওর দিলো: "হুদা কথা বলে"।
মন্তব্য
হাহ হা। চরম।
চরম দুর্যোগের মাঝে হুদা র কথাবার্তা বেশ মজা দিতো।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
হা হা হা হা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
চরম দুষ্টুমি করলেন আড্ডা ভাই।
হা হা হা হা .........
দুর্দান্ত হাসির ! এই দুঃসময়ের মধ্যেও বেশ হাসি পেল
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
abaro rajnaitik tamasha!
good----------anek valo
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........
সুপার...(Y)। ভাবছিলাম বানরেরা সবাই মিল্লা মনে হয় হুদার ঘুষে ফাপা পেটে টাকডুম টাকডুম বাঝানো শুরু কইরা দিছিলো!
- হুদাই...
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হ্রেজিন দঁ লো গাতৌ!
হাঁটুপানির জলদস্যু
হুদাই..........
কী ব্লগার? ডরাইলা?
হুদা, হুদাই, তার কোন তুলনা নাই।
নতুন মন্তব্য করুন