কস্টগুলো বুকের খুব গভীরে অনুভূত হয়, মাঝে মাঝে দীর্ঘশ্বাস হা হুতাশ হয়ে নিজের অগোচরেই বেরিয়ে আসে। সময় বাড়তে থাকে, বাড়তে থাকে কস্টের দৈর্ঘ্য আর ঘনত্ব। ব্যক্তিগত কস্ট নয়, কস্ট দেশ আর সমাজ নিয়ে। কস্ট ৭১ নিয়ে। কস্ট রাজাকারদের আস্ফালন নিয়ে। কস্ট বাড়ে যখন দেখি ৭১ নিয়ে আমাদের সংবদেনশীলতা কমতে কমতে শূণ্যের ঘরে নীচে এসেছে। তাই, এখন ৭১ নিয়ে যুদ্ধাপরাধীরা অসম্ভব স্পর্ধা দেখাতে পারে। ব্লগে যখন দেখি এদের স্পর্ধা, তখন বোঝা যায় বাড়ছে এদের সামাজিক পরিব্যাপ্তি। এদের আধিপত্য। এদের বিচরণ সর্বত্রই। ছলে বলে কৌশলে এরা বিরাজ করে। নানান আবরণে আর মুখোশে চলাফেরা করে।
সেদিন এক সিনিয়র ভাই বলছিলেন, তার বন্ধুদের মধ্যে প্রায় হাফ ডজন যারা শিবির করতেন তারা এখন মাঠ পর্যায়ে জেলা প্রশাসক। তারাই হর্তাকর্তা। তাদের কাছে ৭১ নিয়ে কিছু প্রত্যাশা করা মানে অরণ্যে রোদন। মৌলবাদী, যুদ্ধাপরাধী, জামাত-শিবির খুব সতর্কভাবে এগোয়। এদের আন্দোলন খুব পরিকল্পিত। এটা বোঝার মতো ক্ষমতা ও সচেতনতা সত্যিকার অর্থে খুব সীমিত। আমরা যার ৭১ নিয়ে খুব চীতকার করি, কস্ট পুষি, প্রতিবাদ করি, প্রতিরোধ করতে চাই, তাদের কন্ঠ নির্বোধ মানুষদের কথকতার মাঝে চাপা পড়ে যায়। খুব খেয়াল করে দেখবেন, সামহোয়্যার ইন-এ সিরিয়াস বিষয়ে কোন লেখা দিলে হঠাত করে অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য দিয়ে মনোযোগ কেড়ে নেওয়ার চেস্টা করা হয়, আড্ডার আসর নামিয়ে অন্য কিছু দিয়ে মাতিয়ে রাখার চেস্টা করা হয়। এগুলো করা হয়, খুব সূক্ষ্ণভাবে।
সচলায়তনে আমি আশার প্রদীপ দেখছি। কস্টগুলোকে শুধু প্রস্তর হয়ে বুকের উপর চেপে থাকুক তা চাই না। বুকের উপর চেপে থাকা সকল প্রস্তর-পাহাড়-পর্বতকে সরিয়ে ৭১-কে আমার আর আমাদের সকলের চেতনার প্রচ্ছদপত্র বানাতে চাই। আমি প্রবলভাবে বিশ্বাস করি, ১৯৭১ যেমন স্বাধীনতাকামী জনতাকে একত্রিত করেছিল ঠিক একইভাবে আমাদেরকে একত্রিত করতে পারে এখনও। রাজনীতির হঠকারিতা থেকে মুক্তি দিতে পারে। দেশপ্রমকে উজ্জীবিত করতে পারে। বিতাড়িত করতে পারে সকল পশ্চাদপদ মৌলবাদী ও রাজনৈতিক ধান্ধাবাজি। পরিবর্তন আনতে হবে গোড়ায়।
গতকালকে
এক ব্লগার পাহাড়কে দেখলাম ইউটিউব থেকে বাংলা মায়ের গান তুলে দিতে। শিবিরের অনুষ্ঠান। সুধীমন্ডলীর মধ্যে সহাস্যে বসে আছেন এখনকার আইন উপদেষ্টা ব্যরিস্টার মঈনুল হোসেন। খুব মজা পেলাম মুখোশের আড়ালের মানুষগুলোর মুখোশ খুলে পড়তে দেখে। এখন দেখলাম, কবি ফররুখ আহমদকে নিয়ে লেখা। কিন্তু সেই কবির ৭১-এর ভূমিকা নিয়ে কি কেউ লিখবেন? বোধ হয়, না। তাহলে কবি ফররুখ আহমদকে জাতীয় কবি ঘোষণা দেওয়ার জন্য যে গ্রাউন্ড ওয়ার্ক হচ্ছে তা থামাবে কে? বোধহয় কেউ না। আমাদের নির্বিকার নিস্পৃহতা আমাদের সবচেয়ে বড়ো ব্যাধি। তারপর নীরবে আর সরবে আমরা কস্ট পাই। আড্ডাবাজের ভার্চুয়াল কস্ট শুরু হয় লেখনীতে। তারপর লেখাগুলো একসময় চাপা পড়ে থাকে অনেক লেখার ভীঁড়ে। কি বিচিত্র আমাদের চৈতন্যের নিয়তির!!!
মন্তব্য
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
অন্ধকারের উতস হতে উতসারিত আলো
অন্ধকারের উতস হতে উতসারিত আলো
অন্ধকারের উতস হতে উতসারিত আলো
অন্ধকারের উতস হতে উতসারিত আলো
অজ্ঞাতবাস
অন্ধকারের উতস হতে উতসারিত আলো
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
অন্ধকারের উতস হতে উতসারিত আলো
অন্ধকারের উতস হতে উতসারিত আলো
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
নতুন মন্তব্য করুন