ঠিক অনেক সময় চুপ করে বসে থাকা যায় না। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধী কাদের মোল্লা ৭১'এর গণহত্যায় সংশ্লিস্ট থাকার পরও অদৃশ্য কারণে পার পেয়ে যাবজ্জীবনের "পুরস্কার" নিয়ে বিজয় চিহ্ন দেখাতে দেখাতে কোর্ট চত্বর ত্যাগ করে ঠিক তখন আমরা কিভাবে বসে থাকতে পারি? মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় তাড়িত হয়ে সকলে ধাবিত হয় শাহবাগের দিকে। প্রতিবাদ, প্রতিরোধ ও ক্ষোভে ফেটে উঠে সকল শ্রেণীর মানুষ, ঠিক তখন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সেই ছবি শিরোনামহীন হয়ে থাকে।
বাংলাদেশের কাদের মোল্লার যাবজ্জীবনের বিরুদ্ধে জামাতী গংদের হরতাল ও ভাংচুরের ছবি শিরোনাম হয়। গণমানুষের জোয়ার, ফাঁসীর দাবীতে তাদের প্রতিবাদ ও ক্ষোভের চিত্র আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে গুরুত্ব পায় না। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, এপির ঢাকাস্হ সংবাদ দাতা শুধু জামাতীদের হরতাল ও প্রতিবাদের খবর দিয়ে সাংঘাতিক পেশাদারিত্বের পরিচয় দিলেন। মূহুর্ত্তের মধ্যে এপিতে প্রকাশিত খবরটি ঠাঁই নিল বিদেশী সংবাদ মাধ্যমগুলোতে। উহ্য থাকল ফাঁসীর দাবীতে গণজোয়ারের খবর।
কিন্তু এর কারণ কি? আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোতে বাংলাদেশ নিয়ে যে লেখাগুলো বের হয় তার বেশীর ভাগ কিন্ত তাদেরই নিয়োজিত দেশীয় সাংবাদিকদের দ্বারা পরিবেশিত। তারপর এপি, রয়টার, এএফপি, বিবিসি হয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সংবাদ মাধ্যমগুলো সেগুলো দেদারসে পুনপ্রকাশ করতে থাকে। এখন সময় এসেছে এসব নির্বোধদের একপেশে চিত্রটা তুলে ধরার। তুলে ধরার শাহবাগ আন্দোলনকে। সাবাশ বাঙ্গালী। জেগে ওঠো প্রচন্ড ক্রোধে, প্রতিবাদে ও প্রতিরোধে। এখন আর নিশ্চুপ ও নির্বাক হয়ে থাকা নয়। সরব হয়ে উঠুক আমাদের প্রতিবাদী কন্ঠ: ফাঁসী চাই পাকিস্তানের পদলেহী ঘাতক কাদের মোল্লার।
মন্তব্য
বৃহষ্পতি-শুক্রর অপেক্ষায় আছি। সপ্তাহান্তে, ছুটির দিনে পুরো ঢাকা নেমে আসুক শাহবাগের মোড়ে। বিদেশে যারা এতদিন ফালতু খবর ছেপেছে, লাখ খানেক মানুষ জমায়েত হলে তারা এই খবর আর তা এড়াতে পারবে না। আমাদের সেই সময়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
ভাই পিলিজ কাউকে বলেন একটা গুগল হ্যাং আউটের ব্যাবস্থা করতে শাহবাগে। মাইকতো চলতেছেই, স্ক্রীনও নিশ্চই আছে। আমার যত বন্ধুবান্ধব পরিচিত মানুষ আছে দেশের বাইরে সবাই তড়পাইতেছে এক মিনিটের জন্য হলেও যোগ দেয়ার জন্য শুক্রবার। দেখেন একটু ব্যাবস্থা করা যায় কিনা। আরো কয়েক হাজার বাঙ্গালী চলে আসবে তাইলে।
কিছু স্বেচ্ছাসেবক শুরু করেছেন এর মধ্যেই।
http://www.ustream.tv/channel/shahbag-mor-live
জানি ভাই, তবে আমরা শুধু ভিডিও দেখতে চাই না। আমরা যোগ দিতে চাই।
ছবিটা দেখে মন ভরে গেলো।
জয় বাংলা!
love the life you live. live the life you love.
প্রতিবাদ চলুক চারপাশ থেকে। এই গন জোয়ার প্রমান করে যে কোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে বাঙালী আজও সোচ্চার ।
আজ সারাদিন পার করে এলাম। এ যেন এক অসাধারণ মুহূর্ত একটা মানুষের জীবনে। এতো বেশি ভালবাসা আমাদের দেশের জন্য আছে সেটা আসলে আমরা নিজেরাই জানি না ঠিক মত!
জয় বাংলা!
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
আমি যেন একাত্তরকেই ফিরে পেলাম।
একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার।
চল চল গনজাগরণ মঞ্চে চল
আজকের মহাসমাবেশে যোগ দিন।
শুক্রবার ০৮ ই ফেব্রুয়ারী ২০১৩
স্থানঃ- গণজাগরণ মঞ্চ (শাহবাগ স্কয়ার)
সময়ঃ- বিকাল ৩টা।
একটাই দাবি ফাঁসি চাই, ফাঁসি।
কসাই কাদের সহ অন্যান্য সকল মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই, ফাঁসি।
ফাঁসি ছাড়া কোন বিকল্প রায় নাই।
তুহিন সরকার।
নতুন মন্তব্য করুন