হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা..কে কোথায় হারিয়ে যায়, কে রাখে তার খোঁজ? বন্ধুরা জেঁকে ধরল, জানতে চাইল জার্মানী ভ্রমন কেমন হলো? আমি কিছু বলি না, হাসি। হাসলেও বিপদ। হাসতেও মানা। যাদের সাথে যোগাযোগ হলো তারাই বলুক কেমন বেড়ালাম। এর আগেরবার রাপা প্লাজায় এক সন্ধ্যাবেলার লেখা নিয়ে তুলকালাম কান্ড ঘটে গেল। এধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাই না। সুপ্রিয় সুমনের সৌজন্যে চোখ উল্টাতে মন চাইল না। সুমন চৌধুরীর রুমমেট নিয়ে ঝামেলা সংক্রান্ড অডিও/ভিডিও ফাইল অনেকে দেখতে চাইল। কেউ বলল, দিলে বিপদ আছে। কেউ বলল, সবার আই কিউ তো আর কুড়ির নীচে নামেনি যে দিলেই লোকজন খাবে। আর স্বয়ং সুমন চৌধুরী এধরণের ফাইলের কথা চোখের মাথা খেয়ে চেপে গিয়ে বলল, কোন পার্টি হয়নি, অডিও ভিডিও ফাইল কোত্থেকে হবে? আমি বললাম, যুদ্ধে যাওয়ার দরকার নেই। ভ্রমন কড়চারও দরকার নেই। নীরবতা সম্মতির লক্ষণ। ইউটিটউবে যে খাওয়া দাওয়ার ছবি দেখেছি তাতে জার্মানীতে বাঙালী খাবারের চাহিদা সর্ব বর্ণের লোকদের মধ্যে বাড়ছে তাতে সন্দেহ নেই। ভোজনরসিক আড্ডাবাজদের বিজয় সর্বত্রই। তাই ক্ষুধা (আত্মিক না দৈহিক) জগতকে সত্যি শাসন করে, বুঝিয়ে দেয় কতো চালে কতো ভাত হয়!!!
জার্মান ব্লগারদের অনেক ধন্যবাদ জানিয়ে তাদের অপূর্ব আতিথেয়তার জন্য খাটো করব না। ধুসর গোধুলি মেট্রো ট্রেন থেকে উদ্ধার না করলে স্বপ্ন সংক্রামিত হয়ে অন্য কোন গন্তব্যে শেষ পরিণতি হতো। রসিক ব্লগার চোরের বাসার ও মোবাইল ফোন সবসময় খুব কাজে লেগেছে। হাসিবের সাথে দেখা হয়নি বলে একটু কস্ট হয়েছে। তবে অন্য কোন বার দেখা হবে। একটা কথা বেশ পোক্ত হয়েছে, রক্তের বন্ধনের চেয়ে আত্মার বন্ধন অনেক জোরালো হয়। তাই, উতফুল্ল হই, প্রশান্ত হই যখন চারপাশে খুঁজে পাই আত্মিক সহচরদের। সহমতের সহযাত্রী পেলে দীর্ঘ পথচলাও যে অনেক সহজ হয় তা কি আবারও বলতে হবে? নিজের কন্ঠে উচ্চারিত হতে থাকে:
"অনেক গড়ার চেস্টা ব্যর্থ হল, ব্যর্থ বহু উদ্যম আমার,
নদীতে জেলেরা ব্যর্থ, তাঁতী ঘরে, নি:শব্দ কামার,
অর্ধেক প্রাসাদ তৈরী, বন্ধ ছাদ-পেটানোর গান,
চাষীর লাঙল ব্যর্থ, মাঠে নেই পরিপূর্ণ ধান।
যতবার গড়ে তুলি,ততবার চকিত বনায়।
উদ্যত সৃস্টিকে ভাঙে পৃথিবীতে অবাধ অন্যায়।
বার বার ব্যর্থ, তাই আজ মনে এসেছে বিদ্রোহ..."
বাকী পংক্তিগুলো নতুন করে সাজাবার জন্য সুকান্তকে ডেকে পাঠানোর বড্ডো দরকার। কবি ফিরে আসো নতুন পংক্তিমালা সাজিয়ে....।
মন্তব্য
বললেই হলো আর কি?
লোকজন সবই বোঝে বড় ভাই
আপনার অভিজ্ঞ চোখে জার্মান নারীকুলের কিছু বর্ননা দেন দেখি, না হলে কিন্তু পুরোটাই ফাঁকি(তাই নয় কি আসলে?)
-----------------------------------
'পড়ে রইলাম বিধির বামে,ভুল হলো মোর মুল সাধনে'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
হাসান মোরশেদ,
জার্মানীতে যে ক'দিন ছিলাম তার প্রমান তো ধুসর, সুমন আর চোরের কাছে আছে। এর চেয়ে বেশী কিছু বলা গুরুর মানা। ললনার বর্ণনা লন্ডন থেকে শুরু হোক, তারপর জার্মানীতে গিয়ে শেষ হবে।
অন্ধকারের উতস হতে উতসারিত আলো
নতুন মন্তব্য করুন