বুঝলেন কিছু? বুঝে থাকলে আপনাকে গুরু মানলাম। না বুঝে থাকলে পড়ে যান, একটু খুলে বলি। প্যাচাল কিন্তু বিরাট। এইখানে একটা ডিস্ক্লেইমার দিয়ে রাখি, সচল তো আবার বিজ্ঞানবোদ্ধায় ভরা (চোখ ঘোরানো ইমোটিকন)। শিরোনামের মানে বুঝে যদি ভেবে থাকেন এই পোস্ট বিজ্ঞান বিষয়ক, তাহলে হতাশ হবেন। আমি বোকা হতে পারি, কিন্তু ভারসাম্যহীন তো নই, যে যে বিষয়ের নামেই চোখে তারা দেখি, সে বিষয়ে কিছু লেখার চেষ্টা করে সচল হাসাবো। আরেকটা কথা বলে রাখা ভালো, এই লেখাটায় কিছু ইংরেজি শব্দের ব্যাবহার আছে। ক্ষমা চাইছি সে জন্য, কিন্তু লেখার প্রয়োজনে শব্দগুলি ব্যাবহার না করে পারলাম না।
মূল গল্পে আসি। অনেক, অনেক দিন আগের কথা। একই কলেজে পড়তাম দু'টি মানুষ। পাঁচটা ক্যাম্পাসে ছড়ানো কলেজের জনসংখ্যা বিশাল, তার ওপর দু'জনের বিষয়গুলো সম্পূর্ণ দুই মেরুর, তাই আমাদের দেখা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী ছিলো। তবুও, একেবারেই কাকতালীয়ভাবে দেখা হয়ে গেল একদিন। প্রচন্ড বন্ধুত্ব হয়ে গেল দু'জনের মধ্যে। কোনো একটা সময় দু'জনেই বুঝতে পারলাম যে ব্যাপারটা বোধ হয় শুধু বন্ধুত্বেই সীমাবদ্ধ রাখার মতো না। কাজেই দু'টি সদ্য কৈশোর-পার-হওয়া মানুষ একসাথে বুড়ো হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বড় হতে থাকলাম।
কলেজ শেষ করে ইউনিভার্সিটিতে ঢুকলাম দু'জনেই। এতদিনে এই কথাটা বেশ স্পষ্টভাবে বুঝে গেছে সে, যে বাংলা খুব ভালো ভাবে না বুঝতে পারলে আমার অনেকখানিই তার অজানাই থেকে যাবে। পুরো সংস্কৃতিটাকেই গুলে খেতে হবে তাকে, নাহলে কি করে বুঝবে ঝোড়ো হাওয়া দিলেই তার প্রিয় মানুষটি গুনগুন করে কেন গাইতে থাকে বিশেষ কোনো গান? আর ঝড় হচ্ছে তাতে এতো খুশিরই বা কী আছে? আবার বৃষ্টি হলে তো কথাই নাই! ফুর্তি তো তখন আরো বাড়ে, আর যেন গানের ঝাঁপি খুলে যায়! যে বৃষ্টির জন্য সারা পৃথিবীতে তার দেশের বদনাম, সেই বৃষ্টি ভালোবাসতে সে জীবনে আর কাউকে তো দেখে নি!
খামাখা খুশি তো তবু সামাল দেয়া গেল, এরকম খামাখা দুঃখ-ই বা সে কেমন করে বুঝবে? চাঁদ উঠলো, তো হয়েছে কাজ। দুঃখ-দুঃখ সব বাংলা গান ছেড়ে শোনা আর কাঁদা! এই সময়গুলোতে বেচারা পুরো কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যায়। আর ভাষার ব্যাবধানটা এখানে ঠিক মূখ্য না। কারণ গানগুলির (যেইদিন ভাব বেশি ওঠে, সেইদিন আবার কবিতাও চলে) অনুবাদ খুব সহজেই পাওয়া যায় ইন্টারনেটে কিংবা কান্না-হাসির ফাঁকে ফাঁকে মর্জি হলে আমি নিজেই অনুবাদ করে দেই। কিন্তু এই যে খামাখা হাসি অথবা কান্নার আতিশয্য এটা একটা কাল্চারাল ব্যাপার বলেই তার কাছে মনে হয়। পাঠক, এই মূহুর্তে যদি আমাকে ন্যাকা ভেবে থাকেন তাহলে...তাহলে হয়ত কিছুটা ঠিকই ভেবেছেন। তবে আমি নিজে এটাকে শৈল্পিকে মনের প্রকাশ হিসেবেই দেখতে ভালোবাসি (চোখ টেপা ইমোটিকন)। আর পাঠক বয়সটাও একটু খেয়াল করে দেখেন! আপনারা অনেকেই কি সে বয়সে মাথার ভেতর এল্ভিস্ প্রেস্লি নিয়ে, খাতার ভেতর কোনো প্রিয় মানুষের নাম লিখে শুধু শুধু ভালো লাগা বা মন-খারাপের শিকার হননি?
সে যাক গে, সংস্কৃতিটাকে বুঝতে হলে তো ভাষাটা শিখতেই হবে, কিন্তু শুধু স্পোকেন বাংলায় সীমাবদ্ধ থাকলে লাভ হবে না আখেরে। সে ভাবলো ভাষাটা একেবারে ভালো মতো শিখতে হবে। যেমন ভাবা তেমন কাজ। ইউনিভার্সিটির গরমের ছুটিতে একটা "টীচ ইওরসেল্ফ বাংলা" বই কিনে একমাসের মধ্যে বাংলা লিখতে পড়তে শিখে ফেল্ল! আমি তো থ'! এক অক্ষর বাংলা বলতে বা বুঝতে পারে না সে, কিন্তু গড়গড় করে বাংলা পড়ে যাচ্ছে, সমানে বাংলা হরফে ইংরেজি লিখে যাচ্ছে! যদিও দুর্জনেরা (পড়ুন আমার বাবা) বল্ল "ছ্যা! এ আর এমন কী? প্রেমের জন্য এরকম আমরাও কত..."! কিন্তু শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে সে বাংলা চর্চা চালিয়ে যেতে লাগলো।
চায়ের সময় হয়ে গেল। শিরোনামের ব্যাপারটাই তো ভেঙে বলা হলো না এবারে। তবে সচলদের যেমন প্রখর বুদ্ধি, আমার কি আর বুঝিয়ে দিতে হবে? কিন্তু আরো অনেক কথা বাকি আছে। প্ড়িও পাঠখ, আমাড় সাথেই থাকুন, ছোখ ড়াখুন এ পাথায়!
মন্তব্য
সচলে প্রবলভাবে একটি সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। এর নাম ক্যামেলিওফাইলাইটিস। ক্যামেলিয়া সিনেনসিস নামের একটি বিশেষ গাছের পাতার রস পানের তীব্র আসক্তি এই রোগের লক্ষণ। আক্রান্ত ব্যক্তি অন্যান্য নানা গিয়ানজামের পাশাপাশি পোস্ট কমপ্লিশন ডিজঅর্ডারে ওরফে পিসিডিতে ভোগে।
কইষ্যা মাইনাস দিলে এই রোগ অনেক সময় ভালো হয়ে যায়। তাতে কাজ না হলে একটা বড় লাঠি একটু লেবুর রস আর চিনি সহযোগে তিন বেলা খাবারের আগে প্রয়োগ করলে রোগ সারা সুনিশ্চিত।
আরে হিমু ভাই! আমার ব্লগে আপনার পদার্পণ খুব সম্ভবত এই প্রথম, অত্যন্ত আহ্লাদিত হতে হতেই লক্ষ্য করলাম, খালি হাতে আসেন নি, বড় লাঠি হাতে এসেছেন। এখন দেখছি কিছুদিন গা ঢাকা দেয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই লেখাটা আসলে আমার পুরো এ্যাডাল্ট জীবনের গল্প, তাই সত্যিই বেশ লম্বা, একটা সুবিধাজনক জায়গায় ব্রেক না দিলে পাঠকের অসুবিধা হওয়ার কথা।
আর চায়ের নেশা যে কত বড় নেশা সে তো আপনার কাছ থেকেই শেখা...
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
প্রিয় আহির ভৈরব,
আপনার সাথেই আছি আর চোখ রাখছি এই পাতায়।
যিনি
এ বাক্য লিখেছেন তাকে বাংলা শুভেচ্ছা।
সচল তীরুদার উনিও বাংলা শিখেছেন কিছুদিন। বাংলা শেখা অব্যহত থাকুক।
আমাদের (প্ড়িও পাঠখ) বসিয়ে রাখার জন্য জরিমানা স্বরূপ আপনি আপনার নামটা (আহির ভৈরব) শুনাবেন গেয়ে বা বাজিয়ে।
লেখা খুব উপাদেয় হইছে।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
পুতুল, অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই, তবে একটুখানি মিসলীড করার জন্য ক্ষমা চাইছি, শেষের বাক্যটি আমার অপরার্ধের লেখা না, আমারই ইচ্ছা হলো একটু "কুল" আড়জে স্টাইলে "সাইন অফ" করতে, তাই নিজেই লিখলাম এ বাক্য।
জরিমানার কথা বলছেন? মুহাহাহহাহা (দৌত্য হাসি)! আমার গান একবার শুরু হলে থামে না রে ভাই, তখন ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি বলে কূল পাবেননা। কবে আসবেন এদিকে বলেন, গানের আড্ডা হবে সারাদিন-সারারাত, নো চিন্তা।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
- বুঝলাম, সচলে মহামারী ছড়ায়ে পড়ছে। চা খাওয়ার ব্যামো। যেনো ত্যানো বৈদ্যে এই অসুখ সারবে না। সাত পাহাড়ের বৈদ্যরে এসেমেস করে আনাইতে হবে এই রোগ উপশমের উপায় বাতলাতে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
চা বড়ই বিপজ্জনক নেশা।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
এইসব দুষ্টু লেখকদের এলেমেন্টাঋ পার্টিখুল্স খুলে নেয়া উচিত। সর্বনাশা চা!
---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
আমি পুরোপুরি সমর্থন করছি আপনাকে! আসুন, একটা পার্টিখুল্স্ খুলা আন্দোলনে নামি আমরা। তবে সবচে' আগে ধরতে হবে সেইসব নাটের গুরুদেরকে যারা আমাদের মত কচি শিশুদেরকে এমনভাবে চা খাওয়া শিখিয়েছেন!
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
পরের পর্ভ ধিয়ে ধিন থারাথারি।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
- পর্ভরে কিন্তু আমি ভুল করে গর্ভ পড়ে ফেলছিলাম!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হায়রে! ক্যাম্নে কী ইমো
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
পরের পর্ভ থো ভাই তৌড়ি, খিন্টু পড়ঠম পাথা ঠেকে লেখা না সড়লে কেমন কড়ে দেই?
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
চা খাওয়া শেষ হয়নি এখনো? কুইক ফিরে আসেন।
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
কনফু ভাই, চা তো খাওয়া শেষ কখন! লেখাও শেষ, মাশাল্লাহ্, কিন্তু এই লেখা প্রথম পাতা জুড়ে আছে এখনও তাই অপেক্ষা
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
আরে লেখেন লেখেন, সাত দিন বানান ভুল ধরছি না, এর মধ্যে শেষ করেন। তারপর খবর আছে।
আরে! এক মন্তব্য এতবার এলো কেমন করে??
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
আবার একই পোস্ট!
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
ঢোক গিল্লাম।
আর বানান ভুল করলেই শুধু দোষ বুঝি? লেখা-খেলাপীদের কী হবে? কী যেন লেখাটার নাম...এতদিন হয়ে গেল, ভুলেই গেছি...ও হ্যা! কলেজ স্ট্রীট!
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
আসবে আসবে, তবে আজকাল কাজের চাপ এসে গেছে, তাই এই রকম দেরি। বহুপ্রতীক্ষিত পরের পর্ব আসিতেছে, কবে জানা নাই যদিও।
ডুপ্লিকেট, তাই ঘ্যাচাং।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
নতুন মন্তব্য করুন