মিটার যাচ্ছে বেড়ে
মেলার স্টলটা ঘিরে
বইগুলো খুব দ্রুত আনা দরকার...
একজন প্রকাশক যদি জানুয়ারির মধ্যে অন্তত ছাপানোর কাজটা শেষ করতে পারেন,তাহলে মেলার বেনিফিটটা তিনি মোটামোটি হলেও অর্জন করেন।কিন্তু আমাদের হলো হা অবস্থা।জানুয়ারিতে মাত্র পাণ্ডুলিপি প্রাপ্তি ঘটে।কিন্তু যতটা পাণ্ডুলিপি তার সিকি ভাগ কম্পিউটার না থাকায়- কম্পোজ,কারেকশন,মেকাপের একটা জট লেগে যায়।লেখকরা মন খারাপ করেন।যাদের প্রথম বই,তাদের অস্থিরতায় আমি ভেতরে ভেতরে দুমড়ে-মুচড়ে যাই।তারপর প্লেট-প্রেস পর্বটা নগদের জোরে দ্রুত উতরে গেলেও সবশেষ ধরাটা খেতে হয় বাইন্ডারের দরবারে।হাজার তাগাদা,শত দেন-দরবারেও তারা সিডিউল নামক শব্দটাকে একটুও ভালবাসেনা।
মাঝে মধ্যেই তাই ভাবি,দায়বদ্ধতার মানে আসলে কী?এই যে শুদ্ধস্বর মন জোগাতে নয়,মন জাগাতে বই বের করে,করতে চায় এর পরিনতি আসলে কোথায়?বছর কয়েক প্রবল উৎসাহ দেখিয়ে হঠাৎ করে নিভে যাওয়া?যেমনটি গিয়েছে অনেকে।আমি এমনটি ভাবতেও পারিনা।আপনাদের পরামর্শ চাই,টিকে থেকে বিকশিত হতে পারার কৌশলগত ব্যাপারে আমার কী কী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত।
মেলার উপস্থিতি গতকালও খুব একটা বাড়েনি।১৩/১৪ তারিখে বাড়ার সম্বাবনা আছে।বিক্রি হোক আর না হোক শুদ্ধস্বর এর সামনের আড্ডাটা সবসময় জমজমাট থাকছে।শুদ্ধস্বর থেকে যেসব বই বিক্রি হচ্ছে-সেসবের সাথে ফ্রি দেয়া হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে দুই রকমের আকর্ষণীয় স্টিকার।আশা করছি আগামী শনিবার থেকে তিন রকমের স্টিকার দেয়া যাবে।
মেলা প্রাঙ্গনে আজ দেখা হয়ে গেলো জফির সেতুর সাথে।গতকাল মাত্র সেতু নামের আগে ড ফোটা লাগানোর অধিকার প্রাপ্ত হয়েছে।শেষবেলায় আড্ডায় এসে যোগ দিলেন রিটন ভাই আর মাযহার ভাই।কিন্তু কাফেলার সাথে জলজ্যান্ত লীলেন থাকার পরেও আজ আর কারো পাতেই জুটলোনা হট পেটিস,পোড়া ভুট্টা কিংবা চিংড়ির মাথা মায় টিএসসির চা-বিস্কুট পর্যন্ত।শেষমেষ থাকতে না পেরে,জায়গির ভাই টেনে নিয়ে হাতে হাতে তুলে দিলেন নোনতা বিস্কুট আর চা।
ছবির হাট থেকে চা খেয়ে বেরুনোর পর লীলেন দেখি খালি নাক টানে আর সর্দি লেগেছে-বারবার বলতে থাকে।আক্কেলমন্দকে লিয়ে ইশারাই কাফি।নজরুলের কল্যাণে আমরাও বুঝে গেলাম এর মানে।কিন্তু কপালে না থাকলে যা হয়-ততণে সাড়ে দশটা বেজে গেছে।
মন্তব্য
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
লেখকদের নভেম্বর মাসের টার্গেট দিবেন। বলবেন, ঢাকা আন্তর্জাতিক বইমেলায় বই প্রকাশের চেষ্টা করা হবে। তাহলে পরপর দুটো বইমেলা কভার করা যাবে। আশা করি লেখকরা এতে উৎসাহিত হবেন। আপনারও সমস্যা কম হবে।
আর আমার মনে হয় (আমি শিওর না), প্রকাশকরা লেখা চানও দেরিতে। এই যেমন আপনি যদি এখন থেকেই লেখকদের কাছে লেখা চাইতে থাকেন, তাহলে দেখবেন সারা বছরই আপনি কোনো না কোনো বই পাবেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে কষ্ট করতে হবে একটু। সেই সাথে লেখকের মানসিকতা বদলানোর কাজটাও শুরু করতে হবে- শুধু ফেব্রুয়ারি ধরে নয়, আপনি বই প্রকাশ করতে চান সারা বছর ধরেই। তাতে লেখক একটা তাগাদা বোধ করবেন। তিনিও ফেব্রুয়ারিকে ধরেই বসে থাকবেন না।
-- আপনার ওই সমস্যার কি কোনো সমাধান হয়েছে?
খালি বুইড়া আঙুল দেখাইলে হবে...?
---------------------------------------------------------
আমরা যারা শিখিনি চাষবাস,ফসলের গীত
গুলালিতে পাখি হত্যা
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
১। মেলা শুরুর আগে থেকেই আমার প্লান /ইচ্ছা ছিল প্রতিদিন মেলাই যাওয়ার অন্তত একদিন পরপর অবশ্যই কিন্ত ১ তারিখে আমার অফিস এ্যাসাইনমেন্ট চেন্জ হওয়ায় সে আশায় গুড়ে বালি ! 'মানুষ যা চায় তা পায় না ' এই বুদ্ধত্ব লাভের পরও কেন যে আশা করি যদিও আশা বেশ্যা মাত্র ।
আপনার এই সিরিজে তাই নজর রাখছি , দুধের অভাবে এই ঘোলেই না হয় মিটুক পিপাশা ।
২। এমনিতেই মেলা মিস করছি আর আপনার এই সিরিজ পড়ে সেই মিস আরো বাড়ে , বুকটা মুচড়ে উঠে ।
শালার চাকরির পাছায় লাথি মেরে যদি আপনার সাথে সামিল হতে পারতাম !
৩। আপনার লেখা পড়ি আর কাল্পনিক চিত্রকল্প আকি -আপনি , আমি , লীলেন, নজু ..চুটিয়ে চায়ের কাপে ঝড় তুলছি
শুদ্ধস্বরের সামনে , ফিরছি ভুট্টা খেতে খেতে ।
৪। শেখ জলিল ভাইয়ের জায়্গীর নামা নিয়ে তার সাথে অনেক আলাপ হয়েছে । আমিই তাকে বারংবার বই করার কথা বলেছিলাম । তার বই এর মোড়্ক উন্মোচন হবে কিন্ত এই অধম তাতে যো্গ দিতে পারবে না তথাকথিত আফিসের কাজের চাপে । জানিনা এরপর জলিল ভাইয়ের সামনে কিভাবে দাড়াব ?
৫। প্রি প্রেসের ঝক্কি কিছুটা হলেও বুঝছি ।
আপনি বেশ cool বলেই কাজ চলছে ।
আপনার জায়্গায় আমি হলে নুরুজ্জামান মানিকের পান্ডুলিপি ছুড়ে ফেলে দিতাম -
এত ভুল এত ভুল ! এত কারেকশন !
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
মন্বব্য দু'বার এসে গেছে , পরেরটা মুছে দিলাম ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
বাহ দারুণ মজা করছেন প্রতিদিন। এই গত বছরও ছিলাম গ্রামে! বইমেলা শুরু হয়ে যাচ্ছে আর আমি ঢাকার বাইরে!! একরকম হাচড়ে পাচড়ে ফিরে এসেছি ফেব্রুয়ারীর ১ তারিখেই। দীর্ঘ্য ভ্যান লঞ্চ বাস জার্নির পর ঢাকায় পৌছে প্রথমেই বইমেলা।
আর এবার বইমেলায় গেলাম এই গতকাল। যেই দরজা দিয়ে ঢুকেছি অমনি অফিস থেকে ফোন। কি না কি ইমার্জেন্সি!
গত বছরও ছাত্র ছিলাম। এখন আপনার বইমেলা প্রতিদিন পড়ে মনটা কেমন যে করে।
শুভেচ্ছা। আপনার বইমেলা সুন্দর কাটুক।
....................................................................................
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আহা অফিসে এসেই গরম এক কাপ চা য়ের মতোই মনে হয় আপনার পোস্টটি।
পড়ে কাজের এনার্জি ফিরে পাই।
মন জোগাতে নয়,মন জাগাতে বই বের করে শুদ্ধস্বর।
সুতরাং, জাগবে, সবই জাগবে।
জেগে থাকেন টুটুল ভাই।
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
বইমেলায় এবার কার কার বই ভালো চলছে? হুমায়ুন আহমেদ, ইমদাদুল হক মিলন, আনিসুল হক, সুমন্ত আসলাম, মুহম্মদ জাফর ইকবাল... আর?
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
আপনার বইমেলা বিষয়ক পোস্ট আমার জন্য দু-স্বা-ঘো-মে'র মতো
সত্যি বলছি।
দৈনিক পোস্টের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
- আশাকরি সচলদের মধ্য থেকে কেউ না কেউ সঠিক কর্মপন্থা নিয়ে আলোচনা করবেন আপনার সাথে।
বইমেলার ডায়েরীতে
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হই মিয়া... আমার বই কই? মেলা শেষয়া যায় এখনো বই আসে না ক্যান বাজারে? খাড়ান... পোস্টটা এখনই লেখতেছি... (এইটা কিন্তু সিরিকাস হুমকি)
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অফিস থেকে এসে বাসী বই মেলায় আড্ডা দেই আমি। আর সেই বাসী বই মেলার একাংশের সাথে পরিচয় করানোর মহান ব্রততীকে ধন্যবাদ। চির বিষন্নতায় না ডুবে জেগে থাকুন জাগানোর জন্য। 'আমরা জেগে আছি.....'
মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....
উপায় একটা আছে টুটুল ভাই !
আগামীকাইল সব্বাই মেলায় গিয়া যদি দেখে শুদ্ধস্বর তালা মারা। সব বেটারা তখন মুক্তকচ্ছ হইয়া টুটুল ভাইয়ের খোঁজ লাগাইবো। আপনি তখন চেহারায় ভাব ধইরা একেকজনরে কইবেন- ওই মিয়া তুমি বালতি কইরা পানি আনো, আর তুমি বইসা বইসা কাগজে গাম লাগাও, আর ওই যে মিয়া তুমি ওইখানে কিসের মাঞ্জা মারো ! এইখানে আইসা এইটার প্রুফ দেখো.....ইত্যাদি ইত্যাদি ! দেখবেন সব সোজা হইয়া গেছে। আবার জিগাইবো বুঝি বই কই ? বদলা দিয়া কূল পাইবো না খালি আটাইশ তারিখে নি বইটা মেলায় উঠানো যায়..!
একদিন কেবল টেরাই করেন...! তয় আমি যে এই বুদ্ধি দিছি কাউরে কইয়েন না কিন্তু !!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
নতুন মন্তব্য করুন