বইমেলা প্রতিদিন ১৮

আহমেদুর রশীদ এর ছবি
লিখেছেন আহমেদুর রশীদ (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৯/০২/২০০৯ - ৩:৩৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সব কষ্ট চেপে রাখা যায়না,সব ব্যাথা অপ্রকাশিত থাকেনা। প্রকাশ করার দায়িত্ব আমার কাঁধে আর থরে থরে অপ্রকাশের ভার জমছে বুকে। যথা সময়ে যথাকর্মটি হচ্ছেনা। কথা দিয়ে কথা রাখা যাচ্ছেনা। আমি জানি লেখকদের আবেগ কান্নার নোনাজল হয়ে ঝরে পরে গোপনে। আমি সেই গোপন অনুভবটি স্পর্শ করতে পারি। আমি শিহরিত হই। আকাশের দিকে তাকাই। অমাবস্যা ভেদ করে বের করে আনতে চাই পূর্ণিমার চাঁদ।
বই এখনো আবশ্যকিয় ব্যস্ত হয়ে উঠেনি সমাজ-সংসারে। সরকারি-বেসরকারি উচ্চপদে আসীন অনেককে দেখেছি পাঠ্যবইয়ের বাইরে অন্য কোনো বইয়ের প্রয়োজনিয়তা তাদের কাছে নেই।
মেলা মেলার মতো করে বসেছিলো গতকালও। মেলার ভেলায় চড়ে এলো গেলো অনেকেই। কেউ কেউ বগলদাবা করে নিয়ে গেছে একটাÑদুটো বই। এমন দিনও হয়তো আসবে-যখন কাগজের বই হারিয়ে যাবে। থাকবে শুধু সিডি কিংবা ব্লুরে।


মন্তব্য

কীর্তিনাশা এর ছবি

টুটুল ভাই-এর মন খারাপ কেন ??

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

................

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

FYI:

আগামীকাল মেলায় আসছে অধমের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রবন্ধ সংকলন ‘স্বাধীনতা যুদ্ধের অপর নায়কেরা’ । সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে বইটির মোড়ক উন্মোচন হবে। সবার উপস্থিতি আন্তরিকভাবে কামনা করছি ।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

রণদীপম বসু এর ছবি

টুটুল ভাই, এতো হতাশার কিছু তো নেই। কোন প্রকাশকের এরকম কোন কম্যুনিটি তৈরি থাকে না। আমরা তো আছি আপনার সাথে। কেবল তো শুরু। সামনে আদিগন্ত বিশাল সময়। আশা করার মতো অনেক কিছুই রয়ে গেছে এখনো। এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগুতে থাকি নাহয়...

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

রেজওয়ান এর ছবি

"বই এখনো আবশ্যকিয় ব্যস্ত হয়ে উঠেনি সমাজ-সংসারে"

আমাদের মত জনবহুল দেশে এমন ভাবনাটি কেন করতে হচ্ছে সেটাই প্রশ্ন।

বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর দিকে তাকাই:

চীনে বছরে ২ লাখ নতুন বই বের হয়। আমেরিকায় প্রায় তিন লাখ। বিলিয়ন ডলারের ইন্ডাস্ট্রী সেখানে। ২০০৭ সালে ব্রিটিশরা বিক্রি করেছে ৩৪ কোটি বই। তাদের জনসংখ্যা বিবেচনায় প্রতিজনে ৫টিরও বেশী বই কিনেছে। (সূত্র)

আপনার সিডির ভয়টি অমূলক নয় তবে সেটি উল্লেখযোগ্য নয়:

“From 2003 to 2004, the number of books sold worldwide dropped by 44 million. True, there are still 2.3 billion books sold each year."

আমাদের দেশের লোকসংখ্যা ১৫ কোটি। তাদের মধ্যে ৫০% শিক্ষিত ধরে শতকরা ১০% লোকও যদি বছরে গড়পড়তা ১টি করে বই কেনে তাহলে ৭৫ লাখ বইয়ের দরকার হয় এবং গড়পড়তা ১৫০০ কপি বিক্রি হলেও ৫০০০টি নতুন বইয়ের চাহিদা থাকবে বছরে।

আমার মনে হয় একটি সামাজিক আন্দোলন শুরু করা উচিৎ আমাদের - ধীরে ধীরে ব্যাক্তিগত লাইব্রেরী গড়ে তোলা এবং পাড়ায় পাড়ায় লাইব্রেরী বসানো। বই পড়ার অভ্যাসটি তৈরি হলে বইয়ের চাহিদা তখন আপনাআপনি বাড়বে।

বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র ছাড়া এই আন্দোলনটি দেশে কেউ করল না, না কোন রাজনৈতিক সংগঠন না ব্যংয়ের ছাতার মত গজানো এনজিওরা (জিএসএস এর খবর কি? পাঠাগারটি কি আছে এখনও?)। আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্রের দায়িত্ব হওয়া উচিৎ ছিল এটি।

তবে টুটুল ভাইকে বলি, হাল ছাড়বেন না। একদিন আমরাও। এই সচলায়তন দিয়েই শুরু হোক তেমন আন্দোলনের বীজ।

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

শুরু হোক তেমন আন্দোলনের বীজ

প্রত্যন্ত অঞ্চলের লাইব্রেরিগুলোতে বই পৌঁছে দেওয়ার ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া যায়। সচলের প্রকাশিত বইগুলো বিনামূল্যে/স্বল্পমূল্যে তাদের দেওয়া যায়।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

টুটুল ভাই, মন খারাপ করবেন না। মাথা ঠান্ডা রাখুন। নিশ্চয়ই সব কাজ হয়ে যাবে ঠিকভাবে।

জাহিদ হোসেন এর ছবি

ভাই-হাল ছাড়বেন না। আমরা আছি পিছনে। দেশে থাকলে রোজ একবার গিয়ে আপনাকে উৎসাহ দিতাম। দেশের আত্মীয়দেরকে বলেছি আপনার ওখান থেকে বই কিনতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

ঝরাপাতা এর ছবি

এই লেখাগুলির মধ্যে দিয়ে মেলায় পরিভ্রমণ করছি। ২১ তারিখ দেখা হবে আশা রাখি।

"নীল বিষে শিস্ কাটে ঠোঁট" বইটি কি পাওয়া যাবে?


নিজের ফুলদানীতে যারা পৃথিবীর সব ফুলকে আঁটাতে চায় তারা মুদি; কবি নয়। কবির কাজ ফুল ফুটিয়ে যাওয়া তার চলার পথে পথে। সে ফুল কাকে গন্ধ দিলো, কার খোঁপায় বা ফুলদানীতে উঠলো তা দেখা তার কাজ নয়।
___________________________ [বুদ্ধদেব গুহ]


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

শেখ জলিল এর ছবি

উজান গাঙে উঠলে বাতাস ঠিক রাখিও পাল
.................দিক নিশানায় ধইরো বৈঠা হাল।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

মাহবুব লীলেন এর ছবি

বই পড়ে না কিনে না কথাটা শুনলে আমার উল্টো কথা মনে হয়
মনে হয় বই পৌঁছে না কিংবা নতুন পাঠককে সঠিক বইটির সাথে পরিচিত করা হয় না

ভালো পাঠক একা একা হওয়া প্রায় অসম্ভব
কোনো না কোনো সূত্রে তার সামনে বইয়ের রেফারেন্স আসতে হবে কিংবা তাকে বইয়ের কিংবা বইকে তার মুখোমুখি করতে হবে

আমার নিজের হিসেবই আমি দেখি
বাড়িতে আমি ঠাকুর মার ঝুলি- শরৎ রচনাবলী- বঙ্কিমের কিছু উপন্যাস আর জীবনানন্দের কবিতা ছাড়া কিছুই পাইনি

প্রাইমারিতে থাকতেই বানান করে করে ওগুলো পড়া শেষ করে খোঁজ পেলাম পাড়ার একটা দোকানে প্রতি বই দুইটাকা করে ভাড়া দেয়
বইগুলো হচ্ছে দস্যু বনহুর
তখন আমার কাছে মনে হলো এগুলোই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ রচনা
পড়ে শেষ করার পরে পেলাম সেবা প্রকাশনীর কুয়াশা আর মাসুদ রানা

এগুলোকেও আমি ভাবলাম পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ রচনা এবং যেখানেই যেতাম খালি এগুলোর খোঁজ করতাম আর চান্স পেলে অন্য সব বই রেখে এগুলোই চুরি করতাম

পাশের বাসার এক ভদ্রলোকের কাছে দেখলাম শেক্সপিয়র নামের এক টাকু দাড়িওয়ালা লেখকের অনেকগুলো বই
আমি সবগুলোই শেষ করলাম

তারপরে একজন তার পুরোনো সংগ্রহের সব বই ২০% দামে আমার কাছে বিক্রি করে দিলো
আমি পেলাম আকবর হোসেন- নিহাররঞ্জন-নিমাই ভট্টাচার্য- কামিনী রায় এইসব বই

ক্লাস ফোরে শরৎ- সিক্সে বঙ্কিম শেক্সপিয়র আর তার সাথে মাসুদ রানা

এসএসসি পর্যন্ত আমার পড়ার জগতে এরাই ছিল

এসএসসির পরেই আমি মূলত কিছু কিছু বই চিনতে শুরু করলাম
নাটকের দলে কাজ করতে গিয়ে দেখলাম এরা রবীন্দ্র নজরুল জীবনানন্দের বাইরে শামসুর রাহমান নামে আরেক কবির কথা বলে
নাম শুনে তাদের হাতের বইয়ে আমি একটু উঁকি মারলাম
এরা দেখি মানিক-তারা বিভূতি- সুবিমল-কমলকুমার- সৈয়দ হক- হাসান আজিজ নামের লেখকদের নাম বলে

আমি আরেকটু উঁকি মারি- বইয়ের দোকানে খুঁজি আর কারো বাসায় গেলে তালে তালে থাকি এই লেখকদের বইগুলো হাতানোর...

তারপরে পরিচয় ঘটে লেখালেখির সাথে যুক্ত মানুষদের সাথে
এরা যেসব লেখককে লেখক বলে আমি দেখি তাদের কারো নামই শুনিনি
টলস্টয় মার্কেজ দস্তয়ভস্কি কুন্ডেরা গোর্কি- ইলিয়াস... মহাশ্বেতা

নামগুলো শুনি আর আস্তে আস্তে দেখি আমার পাঠ তালিকা থেকে একেবারে উধাও হয়ে গেছে মাসুদ রানা- বনহুর-নিহাররঞ্জন

তারপর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে কাজ করা আর কেন্দ্রের স্টক লাইব্রেরি থেকে গাদায় বই চুরি করা আমার পাঠের পুরো তালিকাটাই বদলে দেয়
এবং তারপর আহমদ মিনহাজ কিংবা জফির সেতুর সাথে ঘনিষ্ঠতা আমাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে দেয়- পড়াশোনা শুরুই হয়নি আমার
আমি শুধু যাদেরকে অবশ্যই পড়া উচিত তাদের নামের সাথে পরিচিত হয়েছি মাত্র....

০২

আমার ধারণা খুবই উচ্চমানের পাঠক যিনি কিংবা যারা তারাও একদিনে এমন পাঠকে পরিণত হননি কিংবা একেবারে বাতাস থেকেই হননি
কোথাও না কোথাও থেকে তাদের কানে কিংবা চোখে এসেছে কিছু বইয়ের নাম
কিছু লেখকের নাম

তারপরেই তারা আস্তে আস্তে সেগুলো পড়তে পড়তে একসময় নিজেই যোগ্যতা অর্জন করেছেন ভালো বইটি নিজের বিচারে নির্বাচন করার

০৩

সেই যুগে মুক্তধারার চিত্তরঞ্জন কিছুটা উদ্যোগ নিয়েছিলেন বইকে পাঠকের সাথে পরিচিত করার
সেই উদ্যোগেরই ধারাবাহিক ফসল আজকে একুশে গ্রন্থমেলা

আর এই যুগে এই কাজটা করছে একাই বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র

আর আমরা বাকিরা খালি বই লিখছি- ছাপাচ্ছি এবং দোষ দিচ্ছি পাঠকদের...

০৪

পাঠকের সাথে বইকে পরিচয় করানোটাও প্রকাশনার অংশ বলে মনে করি আমি

কীভাবে জানি না

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

চলুক

আরিফ জেবতিক এর ছবি

চলুক

প্রত্যেক শপিংমলে কমপক্ষে একটা বইয়ের দোকান রাখা বাধ্যতামূলক করা উচিত।
আমাদের ট্রেন স্টেশনগুলোতে আগে একটা করে বুকস্টোর ছিল , আমি নিজে সেখান থেকে সৈয়দ হক এর বই কিনতে পেরেছি ।
এখন এই বুকস্টোরগুলো বিক্রী করে ফান্টা আর বোতলজাত পানি !

এতোগুলো বিলাসবহুল এসি বাস আছে , তাদের কাউন্টার দেখলে চোখ জুড়িয়েযায় , কিন্তু একতাক বই বিক্রী করার কোন ব্যবস্থা নেই । যদি কখনো তাড়াহুড়োয় ব্যাগে বই ঢুকাতে ভুলে যাই , তাহলে পুরো যাত্রাপথে বই কেনার আর কোন উপায় নেই ।

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

মনে বড় আশা ছিলো বসুন্ধরায় চমতকার কিছু বইয়ের দোকান হবে।

---------------------------------------------------------

আমরা যারা শিখিনি চাষবাস,ফসলের গীত
গুলালিতে পাখি হত্যা

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এই কষ্টটা আমারো আছে। এত্তোবড় একটা শপিং মল... কিন্তু সেখানে কোনো বইয়ের দোকান নাই। অথচ সেখানে একটা বইয়ের দোকান খুব ভালোই চলার কথা... আমার টাকা থাকলে আমি দিতাম... মন খারাপ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।