গত দুই বছরে দেশের অর্থনীতি কোথায় দাঁড়িয়েছে,তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন বইমেলার প্রকাশকরা।
আমার জানা মতে, বিগত বইমেলাগুলোতে যারা হাজার দশেক টাকার বই কিনতেন-তাদের এইবার তিন হাজার টাকার বই কিনতেই ত্রাহি অবস্থা।
মিডিয়ার মিথ্যাচারকে ব্যর্থ করে দিয়ে এইবার প্রকাশকরা দেনার দায় কাঁধে নিয়েই মেলা ছাড়বেন সম্ভাবনাময় আগামীর স্বপ্ন দেখতে দেখতে।
বিশকোটি মানুষের দেশে বই এখনো রয়ে গেল সখের শোপিস হিসাবে!
আমার এই সিরিজে বারবার উঠে আসছে হতাশা আর ব্যার্থতার ছাপচিত্র। বানানো খবর যেহেতু লিখিনা-বাস্তবতা তাই চোখের ঝুল বারান্দায় ঝুলে থাকে সত্য হয়ে। আমি তাই এড়িয়ে যেতে পারি না ’ সত্য যে কঠিন,সেই কঠিনেরে ভালবাসিলাম,যে কখনো করে না বঞ্চনা।’
আমরা স্বপ্ন দেখি একটি সুন্দর দেশের। যে দেশে থাকবেনা শোষণ,বঞ্চনা,নির্যাতন। থাকবে মানবাধিকার,গণতান্ত্রিক চেতনাবোধ। সেই সুদিনে যাত্রার প্রধান বাহনটি নিশ্চিতভাবেই বই ছাড়া অন্য কিছু নয়।
মন্তব্য
;(
দুপুরের দিকে টুটুল ভাইয়ের ফোন শুদ্ধস্বর অফিসে চলে আসুন ।
অফিসে গিয়ে দেখি টুটুল ভাই নেই আর তার চেয়ার দখল করে বসে আছেন শ্যাজাদি । শ্যাজাদির ছোট ভাইয়ের সাথে পরিচয় হল ।
কিছুক্ষন পর টুটুল ভাই এলেন ।
চায়ের কাপে অনেক ঝঁড় তোলা হল ।
চারটার দিকে টুটুল ভাই এক ডজন সচল গল্প সঙ্কলন পুণর্মুঠি দিয়ে বললেন এগুলি মেলায় নিয়ে যান আর আপনার বইও মেলায় এর মধ্যে চলে যাবে ।
আর পারলে চ্যানেল আই এ রিটন ভাইয়ের কাছে ইন্টারভিউ দিবেন ।
তো 'পুণর্মুঠি'গুলি বগলদাবা করে ছুটলাম মেলার দিকে । শুদ্ধস্বরে স্টলে পৌছার কিছু পরেই আমার 'স্বাধীনতা যুদ্ধের অপর নায়কেরা' এসে গেল । আমি এক কপি বই নিয়ে রিটন ভাইয়ের কাছে যাওয়ার সময় ভাবলাম দু'একজন কে ব্যাপারটা জানাই কিন্তু মোবাইল করতে যেয়ে দেখি নেটওয়ার্ক নেই -মনে পড়ে গেল মার্ফিস ল'র কথা ।
যা হোক চ্যানেল আইয়ে সাক্ষাতকার দিয়ে বেড়িয়ে পেলাম এটিএন এর হাসানুজ্জামান সাকি কে ( কি খবর ! কতকাল দেখা হয়নি ) । সাকিকে সাথে নিয়ে গেলাম শুদ্ধস্বর স্টল আর তার সহকারী তার ক্যামেরা দিয়ে তুলল আমার বই সহ স্টলের ছবি ।
তারপর আমরা এগিয়ে গেলাম পাঠসুত্রের দিকে ।
ইতিমধ্যে বিপ্লব ভাইও আসলেন ।
সাকিকে বিদায় দিয়ে আমি আর বিপ্লব ভাই এগিয়ে গেলাম শুদ্ধস্বরের দিকে ।
শ্যাজাদি আর সুমেরুদা এসে পড়লেন ।
আমরা চারজন শিব্বাড়ী কলোনি মোড়ের দিকে চললাম আলুপুরি খেতে ,
যাওয়ার পথে দেখা হল কবি -ব্লগার নাজনিন খলিল (তিনি বললেন মেলায় এসেই আজ আমার বই কিনেছেন )আর আয়েশা ঝর্না আপার সাথে ।
ডালপুরি কিনতে গিয়ে পুরি শেষ , অগত্যা বেগুনি আর চা পান করলাম আমরা ।
আবার ফিরে এলাম শুদ্ধস্বরে । একে একে টুটুল ভাই, জলিল ভাই, আকতার , সবজান্তা, তারেক, আবু রেজা, গুরু মাহবুব লীলেন প্রমুখ এলেন । আকতারের সৌজন্যে হট পেটিস খাওয়া হল ।
রাত ভর জমিয়ে আডডা মেরে সাড়ে দশটায় বাসায় পৌছলাম ।
বিশ বছর আগে (১৯৮৯ সালে) বইমেলায় যেতাম নিয়মিত ।
আজো (২০০৯) যাচ্ছি নিয়মিত ।
আগামিতেও যাবো ।
এ যে প্রাণের মেলা , মিলন মেলা ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
কথাটা কি ঠিক আছে ! ২০১২ সাল কি আগামী ছাড়িয়ে গেছে মানিক ভাই !!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আজ দেখা হবে
...........................
Every Picture Tells a Story
আমিও আসছি ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
আমিও আসছি ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
আহারে, সবাই মেলায় যায়, আমিই চাইলেই যেতে পারি না !
টুটুল ভাই'র কথাটার সত্যতার একটা নমুনা তো আমার চোখের সামনেই ঘটলো। বই কিনছি 'শোভা প্রকাশন' থেকে একুশ তারিখে। হঠাৎ একটা চ্যানেল টিভির কামান প্রকাশকের (সম্ভবত) দিকে তাক করেই প্রশ্ন- এবার কেমন হচ্ছে বিকি-বাট্টা ? প্রকাশক হতাশাময় উত্তর দিলেন, নাহ্, গতবারের চাইতে খারাপ.... ! তাঁর কথা থামিয়ে দিয়ে চ্যানেলের প্রশ্নকর্তা বললেন, না না, এভাবে বলা যাবে না ! বলুন যে এবার খুব ভালো হচ্ছে, প্রচুর কেনাকাটা করছে পাঠকেরা.....ইত্যাদি ইত্যাদি। অতঃপর তাই হলো। আমার সামনেই গলগল করে প্রকাশক সাহেব বলে গেলেন শিখিয়ে দেয়া বানানো কথাগুলো ! জ্বী অনেক ভালো, প্রচুর বিক্রি হচ্ছে, পাঠকদের কাছ থেকে যথেষ্ট সাড়া পাচ্ছি....ইত্যাদি ইত্যাদি।
আমি হাঁ করে চেয়ে রইলাম। সাক্ষাৎকার শেষ হওয়া মাত্র আমি বললাম, আপনি এই মিথ্যা কথাগুলো এভাবে বলে দিলেন ! তাহলে আগে যা বলেছিলেন....?
বেচারাকে বড় অসহায় মনে হলো....। আহা, বাণিজ্য মেলায় কেনাকাটা করতে মানুষের টাকার সমস্যা হয় না। অথচ বইমেলায় সামান্য একটা বই কিনতেই নাকি হাড়িতে টান পড়ে যায়..!
নিজের কথা কী আর বলবো ! সারা বছরই হাড়িতে টান রেখে তাহলে আমাদের জন্য তাহলে তো মেলায় ঢুকা-ই নিষেধ ! জীবনে একবারই একা একা বাণিজ্য মেলাতে গিয়েছিলাম এবার, তাও কয়েকটা ছবি তোলার জন্য.....
আর প্রাণের মেলা বইমেলা ! যেদিন এখানে ঢুকার সামর্থ ফুরিয়ে যাবে, তার আগেই যেন জীবনের দৈর্ঘ্যটা কাটা পড়ে যায়....! কেননা সেই জীবনের বোঝা বইবার দুর্মতি যেন কখনোই আমাকে পোহাতে না হয়......
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
নতুন মন্তব্য করুন