আকাশটা আজ আষাঢ়ের বউ হয়ে পাছা দোলাচ্ছে। মেঘের ঘাগরা পরা আকাশের কারণে সোয়েটার পরার মতো ঠান্ডা বাতাস ঘর ছেড়ে বেরুতে সায় দেয় না। এমন বিষণ্ণ, মনে না ধরা দিনেও আমাকে শেষ পর্যন্ত বেরুতেই হলো। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির সাথে পাল্লা দিয়ে ঘাড়ের বোঝা ঠিকঠাক মতো নামতে নামাতে শহরের অনেক সড়কেই পানি জমে এক হাঁটু। তা হোক। ভেসে যাক এই নগর, নাগরিক ব্যস্ততা। আমি ফাঁক বুঝে সুবিমল মিশ্র, অক্টাভিও পাজ এবং মাহমুদুল হকে চোখে বুলালাম। সাথে চললো চা ও সিংগারা। কিছুক্ষণ বেনসনের ধোঁয়ায় উড়িয়ে দিলাম চাপচাপ টেনশনের অংশ বিশেষ।
তার মানে, আমি, মানে হিরন্ময় পথিক ওরফে শুভ ভালই আছি। খাচ্ছি-ঘুমুচ্ছি। চা সিংগাড়ার সাথে বইয়ের পাতায় চোখ ফেলছি, বেনসনের ধোয়ায় টেনশন উড়াচ্ছি- সব মিলিয়ে ভালো নয়তো কি? হ্যাঁ, ভালো বুঝি ওই চন্দ্রিমা উদ্যানের প্রেম (!) যে গাছের গোড়ায় গায়ে গা লাগিয়ে বসলেই মনে হবে ভালো। স...ব ভালো। যে, ট্রাফিক সিগনালে একচান্সে সবুজ বাতি দেখেনি জীবনে তার আবার ভালো কোত্থেকে আসবে। ভালো তো পকেটের রুমাল নয়, হাত দিলেই বের হয়ে আসবে।
বাংলা মোটর মোড়ে রেড সিগনালে আটকা পড়ে মনে ভাসে তিথির ছবি। তিথি বোধ হয় এখনো জানে না ওর প্রতি আমার ভালবাসার কথা। থাক, না জানুক। তবুও সে এখন পর্যন্ত আমার প্রথম এবং একমাত্র ভাল লাগা। তবে ভবিষ্যতে কি হবে জানি না। কেননা পুরুষের মনতো। এবং আমি তো জলজ্যান্ত পুরুষই। যদিও তিথিকে কেন্দ্র করে এখনো অনেক সময় অদ্ভুত অদ্ভুত নষ্টালজিক স্বপ্ন কিংবা ঘোরে ডুবে থাকি। শেষ পর্যন্ত এই ডুবে থাকাই হয়তো সার। যদিও বাইচান্স কিছু একটা ঘটে যাওয়ার আশা মন থেকে তাড়াতে পারি না।
রিকশা ততক্ষণে চলতে শুরু করেছে। বা'পাশের আকাশছোঁয়া দালানটাকে পাশ কাটাতে কাটাতে মনে হলো আমাদের মাথার উপরে রডের আকাশ, ইলেকট্রিক বাতাসে আমাদের নিঃশ্বাস উঠছে নামছে। এজন্যেই বুঝি বুকের বাঁ'পাশটাতে এত ব্যাথা। মাটি কোথায়? কোথায় মাটির সোঁদা গন্ধ? তারপরেও থামে না আমাদের কংক্রীট জীবন। রিকশা ছুটে চলছে। ঘামে ও বৃষ্টিতে রিকশাওলার শার্ট পিঠের সাথে লেপ্টে গেছে। এমনকি কানের লতি বেয়েও নামছে ঘামের ধারা। আমার গাঁয়ে ফুর ফুরে বাতাসের আমেজ। হঠাৎ কে যেন ডাক দিলো- 'শুভ', এই শুভ। "চমকে উঠে চারদিকে তাকালাম। কে ডাকলো? রিকশার গতির চেয়ে দ্বিগুণ বিস্ময় আমার মনে দোল খেলো। তারপর মনে হলো, আমি নিজে থেকেই ভাবছিলাম -আমার এই শ্যাম্পু করা বাতাসে উড়া চুল, ফর্সা ফ্যাসনেবল কাপড় আর শেভ করা লোশনড গাল দেখে পরিচিত কেউ ডাক দিক। আসলে হয়েছে কি, এই অবচেতন কল্পনার কথা প্রায়ই মনে থাকে না আমাদের। যার ফলে নিজেকে কিছু এটা ভাবতে বেশ আরামই বোধ হয়।
আমাদের বাসার পাশেই ক্ষীণ স্রোতা একটা খাল ছিলো। খাল পাড়ের এটেল মাটিতে আমরা ঘর বাড়ি, রাস্তা ঘাট, নদী-পুকুর বানাতাম। বানানোর পর নাম দিতাম সোনার গাঁ। সোনার গাঁয়ের সোনার দিন থাকেনি বেশী দিন। তারপর লুংগি পরে ফুটবল, ক্রিকেট খেলা থেকে শুরু করে মফশ্বল শহরের চৌরাস্তায় মার্শাল'ল উপেক্ষা করে মিছিলের উত্তেজনাও হারিয়ে গেছে। এবং শেষ পর্যন্ত পিস্তল-পাইপগান হাতানোর স্বাদ পাওয়ার আগেই মনে হচ্ছে মাথার উপরে রডের আকাশ, পায়ের নীচে কংক্রীট জমিন।
তারপরেও সবকিছু ছাপিয়ে উকি দেয় তিথি। শুভ কেমন আছো? "-শুনতে শুনতে আন্তঃনগর ট্রেনের ঝিক ঝিক শব্দ হয়ে যায় রবীন্দ্র সংগীত।" আম্মা, এ হলো শুভ, চিনেছো তো। আমাদের বাসায় অনেক দিন গিয়েছে। "-বলতে বলতে তিথি খেয়াল করে শুভ পাথরের মতো দাঁড়িয়ে আছে। শুভ'র মাথায় তখন আলী আকবর খাঁর সেতার, বিসমিল্লাহ খাঁর সানাই আর বিটোফোনের সোনেটা- সব গুবলেট পাঁকিয়ে গেছে। এবং এই পাথর অবস্থাতেই শুভ তিথিকে জিজ্ঞেস করে। কেমন আছো?"
কেমন আছে তিথি? তিথির হলুদ ওড়না, ঠোঁটের লিপস্টিক, নকশাদার স্যান্ডেল চিৎকার করে বলে -ভালো খুব ভালো। একেবারে প্রধানমন্ত্রীর কার্য্যালয় "সুগন্ধার" মত ভালো। শুধুমাত্র গাঁদা ফুলগুলিকে যা একটু বিরক্ত লাগে। এছাড়া আর সব ঠিক ঠাক। গোলাপী শিফনের মতো মন, জর্জেট মেজাজ, ড্রাই করা হাসি-এসব নিয়ে কি আর খারাপ থাকা যায়?
তাহলে শুভ'র অবস্থাটা কি দাঁড়ালো? বৃত্তাবদ্ধ শৈশব, অবিকশিত কৈশোর, এবং ধাক্কা খাওয়া তারুণ্য নিয়ে কেমন আছে শুভ? শুভ, মানে আমি, মানে যে খাচ্ছে-ঘুমুচ্ছে, ফুকছে বেনসন সে কেমন আছে?
নিজের কথা আর কতটুকুই বা বলা যায়? রিকশা মগবাজার মোড়ে আসার পর সিদ্ধান্ত নিতে পারি না ডানে-বামে না সোজা যাবো। একদিকে তিথি, একদিকে বৈভব এবং অন্যদিকে সারিন্দার টুংটাং-এর মতো নিরুদ্বিগ্ন হাভাতের জীবন। কিন্তু মুশকিল হলো কে যে কোথায় দাঁড়িয়ে আছে- আমি ঠিক ঠাহর করতে পারি না। ডানে-ছিমছাম রাস্তার গা ঘেষে রাষ্ট্রের উচ্চ পদস্থ কর্তা ও আমলাদের সুদৃশ্য আবাস। মন বলে ওদিকে যাই। কিন্তু আমার সাধারণ পা ওই অসাধারণ পথে যেতে সাহস পায় না। (আমি ততক্ষণে রিকশা থেকে নেমে গিয়েছি। পকেট ঝেড়ে রিকশাওলাকে বিদায় করতে গিয়ে পড়লাম বিপাকে। আমার হিসাব মতে প্রাপ্যের চেয়ে দুটাকা বেশী দেয়ার পরেও রিকশা ওলা আমাকে কেয়ামতের দিন দাবীর নীচে রেখে, ওর টাকা মেরে বড়লোক হতে পারবোনা-এই শাপ দিতে দিতে বিদায় হলো)। সোজা-ব্যস্ততা, গ্যাঞ্জাম- খালি মানুষের মাথা। রিকশার হুড আর কার- বাসের চলন্ত ছাদ। ছয় নম্বর বাসের কান ফাঁটা হর্ণে অন্তরাত্মা কেঁপে উঠে। এ পথে এক্সপার্ট পকেট মারদের আনাগোনা উল্লেখ করার মতো। আমার ভীরু হৃদপিন্ড ওই পথে যেতে সায় দেয় না। এবং বামে আলাদা কোন বৈশিষ্ট্য নাই। ভীড়, ব্যস্ততা, গ্যাঞ্জাম-কম বলা যাবে না। তবেই কাছেই একটা রেলগেট আছে। এবং রেল গেট পেরিয়ে কিছুটা সামনে গেলে দেখলেও দেখা যেতে পারে, শাবানা, ববিতা, শাবনাজ, মৌসুমী নামের প্রাণীদিগকে। অবশ্য আমার মতে, রেললাইনটাই জীবনের তাবৎ সমস্যার সমাধান হতে পারে। এর জন্য প্রয়োজন শুধু পিছুটানহীন একমুঠো সাহস। ঝাঁপিয়ে পড়তে পারলেই সব ফকফকা।
যেদিন ২৬শে মার্চ সেদিন পার্কে ঢুকা নিষেধ, ১লা বৈশাখের কণ্ঠনালীতে বেয়নেটের বেরিকেড। বাঙালিকে গণতন্ত্র শেখানো হচ্ছে। যে গণতন্ত্রের ছোঁয়ায় হিরন্ময় পথিক ওরফে শুভ'র বুকের পশম কাঁপে , হাসতে হাসতে কাঁদতে ইচ্ছে করে। শুভ কোন দিকে যাবে ভেবে পায় না। সে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে। এর মধ্যে সূর্য্য একবার উকি দিলেও আকাশের অবস্থা তথৈবচ। ঘড়িতে দুপুর গড়িয়ে গেছে। বৃষ্টি পড়ছে থেমে থেমে, মাঝে মধ্যে প্রচণ্ড ভাবে। শহরের কোন কোন রাস্তা নদী হয়ে গেছে। হায়! পদ্মায় পানি নাই এদিকে রাজধানীর রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে গেছে। নিউ মার্কেটের ভিতরে হাঁটু সমান পানি। তারপরেও কেনা কাটার কমতি নেই। কাপড়-কসমেটিক, রঙিন পেন্সিল এবং রবীন্দ্রনাথের "শেষের কবিতা" সবই বিক্রি হচ্ছে। এবং ফুটপাতের পলিথিনের ছাউনিওলা বাসিন্দাদের জীবনও চলছে ভাবলেশহীনভাবে।
বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে শুভ'র অর্থাৎ আমার গায়ে জ্বর আসে। মাথায় অসংখ্য মানসিক যন্ত্রণার সাথে শারীরিক যন্ত্রণা জাড়িত হয়। তারপর অদ্ভুতভাবে আমি আমার যাবার পথ ঠিক করে ফেলি। তিথিতো কিছু দিনের মধ্যেই হোমরা-চোমরা কারো ঘরনী হয়ে যাবে। বৈভবের প্রচণ্ড ক্ষমতাও প্রয়োজন আছে মনে করেও এর প্রতি কোন টান অনুভব করি না। অতএব সমাধান রেললাইন।
অবশেষে হিরন্ময় পথিক ওরফে শুভ ভালয় ভালয় হার্ডিঞ্জ ব্রিজে পৌঁছে। শুভ কোনদিন প্রমত্ত পদ্মা দেখেনি। আজ যা দেখছে তা আর নদী নেই ধু ধু বালুর মাঠ। শুভ নিজের জীবনের সব কষ্টকে এক জায়গায় জড়ো করে। আজ সে কষ্টের বিস্ফোরন ঘটাবে। পরিস্কার আকাশে ভরাট চাঁদ। নীল নয়, সাদা নয়- এমন আকাশের রঙ। হার্ডিঞ্জ ব্রিজের রেলের পাতের উপর শুভ শুয়ে আছে। জ্বরে ও ক্লান্তিতে তার চোখে ঘুম নেমে আসে। সে স্বপ্নে দেখে: তার উপর দিয়ে ট্রেন চলে গেছে। তার শরীর ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন, রক্তাক্ত। তার শরীরের ফোটা ফোটা রক্ত পদ্মার বুকে পড়ছে। সেই রক্তের ছোঁয়ায় পদ্মা গভীর থেকে গভীরতর হয়েছে। পাতাল ফুড়ে বেরিয়ে এসেছে পানির ধারা। পদ্মা ক্রমে ক্রমে তার আপন রূপ ফিরে পাচ্ছে। পদ্মা ফুঁসে উঠছে। পদ্মার ঢেউ আছাড় খাচ্ছে কিনারে। উথাল পাথাল ঢেউয়ের সাথে নাচছে রূপালি ইলিশ। মাছ ধরার ছোট্ট ডিংগি থেকে কোন 'কুবের' হাঁক ছাড়ছেঃ "ও মাঝি, নৌকা কোন গাঁয়ের?" শুভ বিরবির করে নিজের এপিটাফ উচ্চারণ করলোঃ "আমি পথিক, অবশেষে পথ খুঁজিয়া পাইয়াছি।"
এর কিছুক্ষণ পরেই ঘুমন্ত শুভ'র উপর দিয়ে একটা ট্রেন লম্বা হর্ণ বাজিয়ে ছুটে গেলো।
মন্তব্য
পরাজিত জীবনের শেষ মূহুর্তের চিন্তাভাবনা! আমরা সবাই প্রতিদিন হেরে যাই!
জটিল কমেন্ট...
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
এখন আর গল্প লেখেন না? ৯৪ সালের জিনিস দিলেন?
তবু ভালো লাগলো... আপনার গল্পগুলো পড়ে ফেলতে হবে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এখন আর লিখিনা....প্রতিদিন গল্প দেখি।
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
মগবাজার থাইকা এক্কেবারে হার্ডিঞ্জ ব্রীজ চইলা গেলো ! মরা ছাড়া যে শুভ'র আর কোনো গতি নাই বুঝা-ই যাচ্ছে। তা টুটুল ভাই, হঠাৎ এরুম মানুষ মারা শুরু করলেন ক্যান্ ? ভারী বিপজ্জনক তো !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
বিপজ্জনক??? ১০০ হাত দূরে থাকবেন!!!
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
আকাশটা আজ আষাঢ়ের বউ হয়ে পাছা দোলাচ্ছে।
খাইছে, কেমন যেনো লইজ্জা লইজ্জা লাগলো।
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আহারে! ঘুমটাখান টাইনা রাইখেন।
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
আহা এমন ভালো ছেলেটা, নামটাও এত সুন্দর! আর একটা সুযোগ ওকে দিন। -----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
১৫ বছর ধরে সুযোগ দেয়ার চেষ্টা করছি....ছেলেটাকে বাগে আনতে পারছিনা।
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
পোলাটারে আজিজের ঠিকানা দেন ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
শুদ্ধস্বর ৫ম সংখ্যা যখন বের হয় আমি তখন ক্লাস নাইনে। আমাদের বাসা ছিল টিলাগড়ে। টিলাগড় পয়েন্টে তখন পাঠচক্র নামে একটা লাইব্রেরী ছিল। অইখানে আপনার শুদ্ধস্বরকে ঝুলতে দেখতাম। ধবধবে সাদা সংখ্যাটার প্রচ্ছদ সম্ভবত হেলাল আহমদ চৌধুরীর করা ছিল। ভেতরেও কিছু ছবি ছাপা হয়েছিল উনার আঁকা, যেগুলো শুদ্ধস্বরের প্রচ্ছদের অংশ হতে পারতো এই টাইপের একটা শিরোণাম দিয়ে। প্রতিদিন বিকেলে আমি অই লাইব্রেরীর সামনে গিয়ে আপনার পত্রিকাটা উল্টেপাল্টে দেখতাম কিন্তু কেনার মতো অবস্থা ছিল না। ২০টাকা আমার কাছে তখন অনেক। তারও ২বছর পরে এই পত্রিকাটি আমি কিনি টিলাগড়-র অন্য আরেকটি লাইব্রেরী গ্র্যান্ড বুক স্টল থেকে ১০ টাকা দিয়ে, কারণ আমি উনাকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছিলাম যে অই পত্রিকাটি উনি ইহজনমে বিক্রি করতে পারবেন না। অই পত্রিকা কেনার মতো বঙ্গসন্তান যে খুব একটা ছিল না তা তিনি গত ২বছরে টের পেয়ে গিয়েছিলেন।
শুদ্ধস্বর আমি পাঠ করি ৯৬ এসে। আপনার পত্রিকা প্রকাশের আরও ২বছর পরে। অসম্ভব সুন্দর মুদ্রণ আর বাঁধাই মিলিয়ে পত্রিকাটি ছিল চোখে পড়ার মতো। অই সংখ্যাটিকে আপনারা বলেছিলেন শুদ্ধস্বরের শেষ সংখ্যা। শুদ্ধস্বর এর পরে আর বেরোবে না। মন খারাপ হয়েছিল সেদিন। এত সুন্দর একটা পত্রিকা বেরোবে না ভাবতেই মন খারাপ লাগছিল।
ভালো লাগার মতো অনেক লেখা ছিল সেই সংখ্যাটিতে। লীলেন ভাইয়ের গীতিগল্প, জফির সেতুর গল্প হলুদ আদম (ভুল হতে পারে), কিশওয়ার ইবনে দিলওয়ার-র উপরে করা ক্রোড়পত্র (কিশওয়ার ভাইকে আমি এর আগে চিনতামই না।), কিশওয়ার ভাইয়ের একটি গল্প (নামটা মনে আসছে না এই মুহূর্তে) এবং আবুল হাসানকে নিয়ে উনার প্রবন্ধটা আমাকে মুগ্ধ করেছিল সেইসময়।
তবে সবচেয়ে বেশী হতাশ করেছিলেন সেই সংখ্যার কবিরা, মাহবুব লীলেন, জফির সেতু সম্ভবত মোস্তাক দীনের কবিতাও ছিল সে সংখ্যায়। উনাদের বেশ কিছু কবিতা ছাপা হয়েছিল। লীলেন ভাইয়ের একটি কবিতায় গাড়ির অনেক যন্ত্রপাতির নাম ঢুকানো ছিল। সেইসময়ে অইগুলোর মর্মউদ্ধার করা আমার দ্বারা ছিল প্রায় অসম্ভব। অইসংখ্যায় একটিই কবিতা আমি বুঝতে পেরিছিলাম সেইটা ছিল আপনার। আব্দুল মান্নান সৈয়দকে নিয়ে লেখা।
আমার পাঠ করা প্রথম লিটলম্যাগ ছিল এই শুদ্ধস্বর। পরবর্তিতে লীলেন ভাই আমাকে বেশ কিছু ছোটকাগজ দিয়েছিলেন উনার সংগ্রহ থেকে। এরমধ্যে শুদ্ধস্বর ছাড়াও ছিল হৃদি, গ্রন্থি, নদী পাখি মেঘ এবং শিকড়।
শামীম শাহান, হেলাল আহমদ চৌধুরী, শাহ শামীম আহমদ, উনারা এখন কোথায়। যোগাযোগ কি আছে উনাদের সাথে?
...কেউ আপনাকে ঘুড়ি নামক পত্রিকাটি দেয়নি,আহা!
গল্পটি খুব বেশি গড় মনে হলো না?অবশ্য লেখার সময় বিবেচনায় আনলে প্রশ্ন থাকে না।
প্রশ্ন তুললে বরং স্বস্তি পাই। এই সুযোগে গল্প নিয়ে কিছু বলুন।
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
লীলেনকে আজ বললাম, গ্ল্যাডিওটর'টা সচলে দেয়ার জন্য।
শাহ শামীম,শামীম শাহান এখন বিলাতবাসী। গেলো বই মেলায় শাহান এসেছিলো। মার্চে লীলেনের সাথে শাহ শামীমের দেখা হয়েছিলো লন্ডনে। হেলাল আহমদ সিলেটেই আছেন।
পরাবাস্তবতায় তখন বুঁদ হয়ে ছিলাম। মান্নান সৈয়দের লেখার ভক্ত ছিলাম।
কীসব দিন ছিলো, সেই সব আগুনের দিন।
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
গ্ল্যাডিওটর টা দেয়া যেতে পারে। লেখাটা যখন আমি প্রথম পড়ি জানি না কেন, আমার মনে হয়েছিল লীলেন ভাই সিজফ্রেনিয়াক্রান্ত। বরঞ্চ সিজফ্রেনিয়াক্রান্ত হয়েও লেখায় কিশওয়ার ভাই ছিলেন অনেক বেশি গোছানো। এই গ্ল্যাডিওটর পড়েই আমার লীলেন ভাইকে দেখার ইচ্ছে হয়েছিল।
আরো গল্প চাই টুটুল ভাই। নতুন এবং আনকোড়া গল্প।
আমি লিখা শুরু করলে অন্যদেরতো মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকতে হবে!!!
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
-খুব ভাল্লাগলো
সিগনালের জ্যামে এখনো আটকা! সার্জেন্টরে দেখলে একটু বাশিঁ ফু দিতে বলবেন প্লিজজ।
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
সংশোধনহীন কমেন্ট পড়তে/বুঝতে পারিনা। চোখ টিপা মারেন কেন?
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
কি অসাধারণ ভাবে না শেষ করলেন একটা জীবন। কোথায় যেন একটা সুর ছুয়ে গেল
ট্রেনের হর্ণে একটা সুর থাকে বটে!
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
টুটুল ভাই,
জটিল গল্প হয়েছে। একেবারে আপনার জাত চেনানো গল্প!
আপনার আসলেই আরো অনেক অনেক গল্প লেখা উচিত।
শুভেচ্ছা রইল।
উচিত বটে।
তা কি জাত নির্ণয় করলেন হে?
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
টুটুল ভাই
আপনি গল্প লেখেন না কেন?
পেটানো উচিত আপনাকে এই অপরাধে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
এইরে সেরেছে!
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
টুটুল ভাইকে যদি পেটাতে হয়, তাইলে আপনারে কী করা উচিত জনাব? পোকাদের দল পাতকুয়ায় ফেরে-র মতো গল্প যে লেখে সে কেন চুপ্চাপ বসে থাকে খালি?
আপনেরে ফাঁসীতে ঝোলানো উচিত...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হারে...বিচারপতি তোমার বিচার করবে কারা?
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
পোকাদের দল পাতকুয়ায় ফেরে পড়তে চাই। কৈ পামু?!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
আকাশটা আজ আষাঢ়ের বউ হয়ে পাছা দোলাচ্ছে।
এ আপনার কেমন উপমা !!!!! এ কি কোনো সাহিত্য নাকি নিতান্তই মেয়েদের উলংগ উপমা ব্যবহার করার ব্যর্থ প্রয়াস ??????
ফারহানা সিমলা
উলংগ উপমা কী?
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
সাহিত্য আর ..... .... উলংগ উপমা-বলতে আপনি কি বুঝাতে চেযেছেন? ৩০০ শব্দের মধ্যে ব্যাখ্যাসহ বুজিয়ে বলুন।
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
ফারহানা সিমলা
আপনার লেখার প্রথম লাইনটাতে আর্টের উপস্থিতি ছিলো না। শুরুটা মনে হচ্ছিলো দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্যে লিখেছেন। বাংলা সিনেমার পোস্টারের মতো মনে হচ্ছিলো। আপনাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করার উদ্দেশ্যে এভাবে বলিনি। যা কিছু বলেছি তা অনুভূতি থেকে বলেছি। ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।
ফারহানা সিমলা।
ফারহানা সিমলা
ফারহানা সিমলা
আষাঢ়ের আকাশ কে আপনি বৌ এর পাছা দোলানোর সাথে তুলনা করেছেন। এটা আমার কাছে খুব একটা সাদৃশ্যপূর্ণ বলে মনে হয়নি। আমি শ্লীলতা বা অশ্লীলতার প্রশ্নে যাবো না। কারণ সাহিত্যে শ্লীলতা বা অশ্লীলতার প্রশ্ন খুব একটা গুরুত্তপূর্ণ নয়। তাহলে কালিদাসের মেঘদূত কে ও অশ্লীল বলতে হবে। তবে আর্টের উপস্থিতি অবশ্যই গুরুত্তপূর্ণ । যার উপস্থিতি আপনার ঐ লাইনটাতে ছিলো না। আপানার লেখাটা হয়তো বা অসাধারণ হয়েছে কিন্তু প্রথম লাইনটা পড়ে কেনো জানি আর এগুতে ইচ্ছে হলো না। আমাদের বাংলা অনেক সমৃদ্ধ ভাষা । আমাদের বাংলা সাহিত্যে অনেক অলংকার আছে যা উপমা বা উপমান হিসেবে অসাধারন। আপনি যদি নরেন বিশশাস এর অলংকার সাহিত্য পড়ে থাকেন তাহলে বিষয়টা বুঝবেন। আর আপনাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে চাই নি। যা কিছু বলেছি বা লিখেছি সবই উপলব্ধি থেকে বলেছি। ভালো থাকবেন।
ফারহানা সিমলা
ফারহানা সিমলা
[ শুভ এত বেশিবার উত্তম পুরুষ আর নাম পুরুষের মধ্যে অস্থির ছোটাছুটি না করলে আরো ৫টা দিতাম। ]
টুটুল ভাই, আপনার লিখতে থাকা উচিত, গল্পই।
হ্যাঁ, বসেই না হয় থাকবো আমরা সব মাথায় হাত দিয়ে। তবু আপনি লিখুন।
প্লিজ। শুভকে তো মারলেন সেই ১৫ বছর আগে। এখন কাউকে তো বাঁচান!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
নতুন মন্তব্য করুন