মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়টি শুধু বর্তমান সময়েই আলোচিত বিষয় নয়, বরংচ এটি অনেক আগে থেকেই আলোচিত। শুধু বাংলাদেশ নয় সারা পৃথিবীজুড়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নামক অধিকারটির জন্য মানুষ সোচ্চার।
ফ্রিডম অব স্পিচ (freedom of speech), ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন (freedom of expression) টার্মগুলো এক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে প্রচলিত। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধানে ফ্রিডম অব থট এবং ফ্রিডম (freedom of thought) অব কনসায়েন্স (freedom of conscience) নামে আলাদা দুটি টার্ম রয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধানে ফ্রিডম অব স্পিচ মানে বোঝানো হয়েছে বাক প্রকাশের স্বাধীনতা মানে মৌখিক কথা বলার স্বাধীনতা, ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন মানে বোঝানো হয়েছে ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা, ফ্রিডম অব থট মানে বোঝানো হয়েছে চিন্তার স্বাধীনতা, ফ্রিডম অব কনসায়েন্স মানে বোঝানো হয়েছে বিবেকের স্বাধীনতা। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন সংবিধানের ব্যাখ্যা ধরে যে শব্দগুলো পাওয়া গেল অর্থাৎ বাক, ভাব, চিন্তা এবং বিবেক; তা সামগ্রিকভাবে একজন মানুষের মতরুপে প্রকাশিত হয়। সুতরাং মত প্রকাশের স্বাধীনতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অধিকার।
শুরুতেই বলেছি মত প্রকাশের অধিকারের বিষয়টি বিশ্বজনীন স্বীকৃত। লক্ষ্য করি মাবাধিকারের বিশ্বজনীন ঘোষণাপত্রের দিকে। ১৯৪৮ সালে গৃহীত Universal Declaration of Human Rights এর আর্টিকেল ১৯ এ আছে-
Everyone has the right to freedom of opinion and expression; this right includes freedom to hold opinions without interference and to seek, receive and impart information and ideas through any media and regardless of frontiers.
তারমানে প্রতিটি মানুষের মত ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে আন্তর্জাতিক এই ঘোষণাপত্র অনুযায়ী।
একইভাবে International Covenant on Civil and Political Rights (ICCPR) এর আর্টিকেল ১৯ ও কথাবলার অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
"the right to hold opinions without interference. Everyone shall have the right to freedom of expression".
‘উইদাউট ইন্টারফেয়ারেন্স’ শব্দটার দিকে খেয়াল করি। এর মানে কোনপ্রকার বাধাবিপত্তি ছাড়াই মতপ্রকাশের অধিকারটি কার্য্যকর হবে।
প্রসঙ্গত কিছু বিষয় জানিয়ে রাখি এই চুক্তিটি গৃহীত হয় ১৯৬৬ সালে কিন্তু কার্যকর হয় ১৯৭৬ সালের ২৩ মার্চ। চুক্তির নিয়ম অনুযায়ী যেসকল দেশ এতে স্বাক্ষর করেছে তারা এটি মানতে বাধ্য। উল্লেখ্য বাংলাদেশ এতে স্বাক্ষর করেছে।(চীন অবশ্য স্বাক্ষর করেনি)
ফিরে আসি বাংলাদেশের আইনের দিকে। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন হিসাবে স্বীকৃত সংবিধানে এই অধিকারটির কথা বলা আছে। আর্টিকেল ৩৯ এ বলা হয়েছে চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা এবং বাক স্বাধীনতা প্রসঙ্গে।
আর্টিকেল ৩৯ এ বলা হয়েছে-
“Freedom of thought and conscience is guaranteed”
“চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তাদান করা হইলো”
এই অনুচ্ছেদটি সংবিধানের তুতীয় ভাগ মৌলিক অধিকার অংশে রযেছে। উল্লেখ্য এই অনুচ্ছেদ ৩৯(১) এ কোন রকমের রেস্ট্রিকশনের (বাধানিষেধ) কথা বলা হয় নি।
এবার আর্টিকেল ৩৯ (২) এর দিকে লক্ষ্য করি-
“Subject to any reasonable restrictions imposed by law in the interests of the security of the State, friendly relations with foreign relations with foreign states, public order, desency or morality, or in relation to contempt of court, defamation or incitement to an offence-
(a) the right of every citizen to freedom of speech and expression
(b) freedom of press
are guaranteed.
“রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, বিদেশী রাষ্ট্রসমূহের সহিত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃঙ্খলঅ, শালীনতা বা নৈতিকতার স্বার্থে কিংবা আদালত-অবমাননা, মানহানী বা অপরাধ, সংগঠনে প্ররোচনা সম্পর্কে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ – সাপেক্ষে
(ক) প্রত্যেক নাগরিকের বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারের ,
এবং
(খ) সংবাদপত্রের স্বাধীনতার
নিশ্চয়তা দান করা হলো।
আর্টিকেল ৩৯ (২) তে যে যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধের কথা বলা হয়েছে তা আরো ভালোভাবে বুঝতে হলে লক্ষ্য করতে হবে ইউনিভার্সাল ডিক্লারেশন অব হিউম্যান রাইটস, ১৯৪৮ এর আর্টিকেল ২৯(২) এর দিকে-
“In the exercise of his rights and freedoms, everyone shall be subject only to such limitations as are determined by law solely for the purpose of securing due recognition and respect for the rights and freedoms of others and of meeting the just requirements of morality, public order and the general welfare in a democratic society.”
এই পর্যায়ে দৃঢ়ভাবে বলা যেতে পারে, বাংলাদেশের সংবিধানের মাধ্যমেই চিন্তা, বিবেক, বাক এবং ভাব প্রকাশের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্র তার নাগরিকদের প্রতি এই অধিকারগুলো দিতে বাধ্য।
একটি দেশে নাগরিকদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা এতোটা গুরুত্বপূর্ণ কেন? একটা প্রশ্ন এসেই যায়। বিশেষ করে অংশগ্রহণমূলক গনতন্ত্র (Participatory democracy) ও জবাবদীহিমূলক সরকারের (Responsible Government) জন্য নাগরিকদের মত প্রকাশের স্বাধীনতার ব্যবস্থা করে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। গনতন্ত্রের ক্ষেত্রে সরকার তার জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ। অ্যাকাউন্টিবিলিটির ব্যাপারটা রাষ্ট্রের জনগণের প্রতি। সুতরাং সেই দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্রের নাগরিকদের স্বাধীন মত প্রকাশের সুযোগ দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মত প্রকাশের অধিকার কিংবা মুক্তভাবে কথা বলার অধিকার কেবল কিছু ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নয়। সেটি বরংচ রাষ্ট্রের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় সকল ক্ষেত্রে। জনগণ সরকার ব্যবস্থা সমন্ধে, সরকারের সামরিক নীতি সমন্ধে, আর্মড ফোর্স সমন্ধে মতামত প্রকাশ করতে পারবে। যেহেতু গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রের নীতিই হলো- গভার্ণমেন্ট ফর পিপল।
এ প্রসঙ্গে দুইটি মামলার ফলাফল উল্লেখ করলে বিষয়টি পরিস্কার হবে।
১.
....the right to discuss public affairs includes the right to criticize the government including its defense policy and the conduct of the Armed Forces.
(Schachi v. U.S. , 398 US 58)
2.
“In a free democratic society... those who are responsible for public administration must always be open to criticism. Any attempt to stifle or fetter such criticism amounts to political censorship of the most insidious and objectionable kind.”
(Hector V A. G. Of Antigua and Bermuda, 1990 2 All E.R 103,106)
এই পর্যন্ত আলোচনায়, এটি স্বতঃসিদ্ধ যে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় কোন বাধা নেই। মত প্রকাশের অধিকার মানুষের মৌলিক এবং বিশ্বজনীন অধিকার। এই কথাটি অন্যদেশগুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশের জন্যও প্রযোজ্য। এই দেশের নাগরিক হিসাবে সরকারের কর্মকান্ড, পলিসি নিয়ে মত দেওয়ার, কথা বলার, সমালোচনা করার অধিকার রয়েছে নাগরিকদের। সেটি সরকারকেই বাস্তবায়ন করতে হবে। যেহেতু তা বাস্তবায়ন করতে সরকার আইনানুযায়ী বাধ্য।
পরের পর্ব :
পর্ব ২ - জরুরী অবস্থায় মত প্রকাশের স্বাধীনতা
পর্ব ৩ - ইন্টারনেট এবং ব্লগে মত প্রকাশের স্বাধীনতা
মন্তব্য
ওরে!! এই লেখা কোথায় ছিল এতদিন? পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
রাজাকার রাজা কার?
এক ভাগ তুমি আর তিন ভাগ আমার!
পড়ার জন্য ধন্যবাদ ইশতিয়াক রউফ ভাই।
আরো দুইটা পর্ব দেয়ার ইচ্ছা আছে।
------------------------------------
স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। স্বপ্ন দেখতে এবং দেখাতে চাই আজীবন।
----------------------------------------------------------
স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। স্বপ্ন দেখতে এবং দেখাতে চাই আজীবন।
----------------------------------------------------------
চলুক।
হাঁটুপানির জলদস্যু
ধন্যবাদ হিমু ভাই। এই সিরিজ চলবে।
তবে আমি যে চলাটা বেশি করে দেখতে চাই তা হলো- মত প্রকাশের স্বাধীনতার চর্চা। রাষ্ট্রকে সেই অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
--------------------------
স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। স্বপ্ন দেখতে এবং দেখাতে চাই আজীবন।
----------------------------------------------------------
স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। স্বপ্ন দেখতে এবং দেখাতে চাই আজীবন।
----------------------------------------------------------
শামীম, লেখাটা এই মুহূর্তে দরকারি। লেখাও ভালো হয়েছে। তবে মামলার রেফারেন্সগুলো টীকা আকারে দিলে মনে হয় খুঁজতে সুবিধা হতো। রেফারেন্স লেখার ধরনটা ঠিক বুঝলামনা (তুমি আইনের লোক, তোমাদের নিয়মে হয়তো ঠিকই আছে)। যাহোক, পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য।
সাধারণত এই ধরনের লেখায় কেস রেফারেন্স এইভাবেই দেয়। আমিও তাই এভাবেই লিখেছি।
১ নম্বর কেসটার ক্ষেত্রে ছোট্র একটা বানান কারেকশন আছে। কেসটা হবে
Schacht v. United States, 398 US 58 (1970)
এইটুকু লিখে ইন্টারনেটে সার্চ দিয়েই কেসটি সমন্ধে তথ্য পাওয়া যাবে।
এ্ইখানে কিছু তথ্য রয়েছে- http://supreme.justia.com/us/398/58/index.html
এছাড়া এইখানেও রয়েছে-
http://caselaw.lp.findlaw.com/scripts/getcase.pl?court=us&vol=398&invol=58
২ নম্বর কেসটার ক্ষেত্রেও নামটা লিখে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে তথ্য পাওয়া যাবে।
আরো দু্ইটা পর্ব লেখার ইচ্ছা আছে।
স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। স্বপ্ন দেখতে এবং দেখাতে চাই আজীবন।
----------------------------------------------------------
স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। স্বপ্ন দেখতে এবং দেখাতে চাই আজীবন।
----------------------------------------------------------
এইনা হলে আইনের ছাত্র । তথ্য বহুল পোস্ট। অনেক ধন্যবাদ।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
ধন্যবাদ তানভীর ভাই। এই বিষয়টা নিয়ে বর্তমান প্রেক্ষাপটে আরো আলোচনার দরকার আছে। সংবিধানের আরো কিছু অনুচ্ছেদকে মত প্রকাশের স্বাধীনতা অধিকরটির সাথে যুক্ত করা সম্ভব। যার কারনে এই অধিকারটি আরো শক্ত ভিত্তি পাবে। সামনের পর্বগুলোতে সেই দিকটা নিয়ে আলোচনার ইচ্ছা আছে।
........................................................................................
স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। স্বপ্ন দেখতে এবং দেখাতে চাই আজীবন।
----------------------------------------------------------
স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। স্বপ্ন দেখতে এবং দেখাতে চাই আজীবন।
----------------------------------------------------------
৩৯ (২) টা কিন্তু একটা ডিফেন্স রাষ্ট্রের জন্যে। 'সাব্জেক্ট টু' দিয়া মৌলিক অধিকাররে রাষ্ট্রীয় উপায়ে ব্যাখ্যা করার এখতিয়ার রাষ্ট্ররে দেয়া হইসে। এক্সট্রা/মেটা-জুডিশিয়াল ইন্টারপ্রেটেশান মনে হয় না রাষ্ট্র মানতে বাধ্য।
ইউরোপিয়ান কনভেনশান অন হিউম্যান রাইটস এর প্রথম বারোটা আর্টিক্যালেও এই অধিকারগুলা সংরক্ষণ করা আছে। কিন্তু, এইগুলান থেকে অপ্ট আউট করার জন্যে ডিরোগেশানেরো সিস্টেম রাখা হইসে। যুক্তরাজ্য যা প্রায়শঃ নিয়া থাকে এবং এই অধিকারগুলা ভঙ্গ করে এবং কালে ভদ্রে ধরা খায় ইউরোপিয়ান কোর্ট অফ হিউম্যান রাইটস এর কাছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ২০০৬ এর ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট দেখলেই ব্যাপারটা স্পষ্ট হয়।
সংবিধানরে আপাততঃ ঘুম পাড়ায়া রাখা হইসে। এবং, ৩৯ (২) রাষ্ট্রের জন্যে এইরূপ পরিস্থিতে একটা wayout। যে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর বিশ্ব মানবাধিকার ম্যানিফেস্টোর বিরুদ্ধাচরণ লয়া হম্বি-তম্বি করার কথা, তাদের থেকে কিছু আশা করা বাতুলতা। এইসবেই তাদের প্রচ্ছন্ন সায় আছে।
তাইলে উপায় কি?
উপায় হইলো - তারপরো এই যে লিখাটা লিখলেন, এইরকম আরো লিখা আসা দরকার, মাইনশের কানে এইগুলা তোলা দরকার। অসার হইলেও।
আপনারে ধন্যবাদ।
গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়ের দিকে লক্ষ্য করেছেন আপনি। ৩৯(২) অনুচ্ছেদটিকে আমার কাছেও খুব শক্ত অনুচ্ছেদ মনে হয় না। মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর কোন ধরনের সাবজেক্ট টু রাখা মনে হয় না ঠিক; বিশেষ করে গনতান্ত্রিক দেশে।
তবে অনুচ্ছেদটিতে রিজনেবল রেসট্রিকশনের কথা বলা হয়েছে। এইটা যা একটা বিষয়, ।
তবে International Covenant on Civil and Political Rights (ICCPR) এর আর্টিকেল ১৯ এ অবশ্য উইদাউট ইন্টারফেয়ারেন্স মত প্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে। রাষ্ট্রের উচিত সেই ধরনের সুযোগ করে দেয়া।
তবে ৩৯(১) অনুচ্ছেদে কোন ধরনের সাবজেক্ট টু নেই...এ্ইটা একটা সুবিধা।
সবচেয়ে কষ্টকর বিষয়টা হলো জরুরী অবস্থায় মত প্রকাশের অধিকার সীমাবদ্ধ হয়ে যাওয়া। এই বিষয়টা বাংলাদেশের সংবিধানে কিভাবে্ আসলো ঠিক বুঝলাম না। এরমধ্যে লিগ্যাল ভিত্তির চেয়েও পলিটিক্যাল ভিত্তিই বেশি মনে হয়। সামনের পর্বে আশা করছি এই বিষয়টার দিকে নজর দেয়া যাবে।
সত্যিকার অর্থে আমাদের সামনে অনেক সীমাবদ্ধতা। তারপরেও যৌক্তিক অধিকারের চর্চার ক্ষেত্রে আমি এবং আমরা সর্বদা সোচ্চার থাকতে চাই।
আপনাকে ধন্যবাদ।
-------------------------------------------------
স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। স্বপ্ন দেখতে এবং দেখাতে চাই আজীবন।
-------------------------------------------------
----------------------------------------------------------
স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। স্বপ্ন দেখতে এবং দেখাতে চাই আজীবন।
----------------------------------------------------------
আমার মূল কথাটা ছিল এই যে ৩৯ (২) এমন একটা অনুচ্ছেদ যেইটাতে এমন সব শব্দ ব্যবহার করা হইসে, যে শব্দগুলা রাষ্ট্রের মানবাধিকারবিরোধী অবস্থান বা মৌলিক অধিকার পরিপন্থী কার্যক্রমকে জাস্টিফাই করতে সাহায্য করে। বিশেষতঃ এই শব্দগুলোর এলুসিডেইশান বা ইন্টারপ্রেটেশান।
ডিসেন্সি, মরালিটি বা পাবলিক অর্ডার - এইগুলা খুবই আইনি-রাজনীতিক টার্ম যেগুলার কোনো ইউনিভার্সেল ব্যাখ্যা নাই। প্রতিটা লেজিস্লেইটিভ কোডে এইগুলার টীকা বা ব্যাখ্যাদানও থাকে না। ফলতঃ ব্যাপারটা সরকারি ব্যাখ্যাদানের ওপর নির্ভর করে। রাষ্ট্রীয় ব্যাখ্যাটাই আইনি ব্যাখ্যা হয় শেষতক। আশাকরি, এই dichotomy বুঝতে পারতসেন।
আমার মতে, এইটাই একটা শক্তিশালী অনুচ্ছেদ। এবং, গণতন্ত্র বলতে যে আর্থ-রাজনীতিক টেনেট আমরা বুঝি, ওইখানে, এই চেক এন্ড ব্যালেন্স এর ব্যাপারটাই ঘটে থাকে।
কোনো সংবিধানরেই আমার জানা মতে দেখলাম না নিরঙ্কুশ ভাবে মানবাধিকার প্রোমোট করতে, যেকোনো রাষ্ট্রব্যাবস্থাতে।
ইন্ট্যারন্যাশনাল ট্রীটির আসলে আমগো মতো দেশে তেমন বেইল নাই। ঐ ক্ষেত্রটাই নাই কাজ করবার। সো আমি ঐটা লয়া মাথা ঘামাই না।
এখানের যে ইন্টারেস্ট গ্রুপগুলান সক্রিয় একটা রাষ্ট্রকাঠামওয়, সেইগুলার স্বার্থেও যদি টান লাগে, তবেই, এইসব প্রোমোট হইতে পারে।
নচেত, না।
আপনি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টাতে দৃ্ষ্টিপাত করেছেন।
সামনের পর্ব দুটিতে এ বিষয়গুলো নিয়ে লেখার ইচ্ছা আছে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
-------------------------------------------------
স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। স্বপ্ন দেখতে এবং দেখাতে চাই আজীবন।
-------------------------------------------------
----------------------------------------------------------
স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। স্বপ্ন দেখতে এবং দেখাতে চাই আজীবন।
----------------------------------------------------------
- হুমম
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
পড়ার জন্য ধন্যবাদ @ ধুসর গোধূলি |
-------------------------------------------------
স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। স্বপ্ন দেখতে এবং দেখাতে চাই আজীবন।
-------------------------------------------------
----------------------------------------------------------
স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। স্বপ্ন দেখতে এবং দেখাতে চাই আজীবন।
----------------------------------------------------------
ঐ জার্মন বাচ্চা, হুমম ক্যা?
- আইনের কথা শুইন্যা টেনশনে আছি মামা। আমরার দেশ হৈলো হীরক রাজার দেশ। যেই দ্যাশে অতি সাধারণ আইনগুলাই জনগণের লাইগ্যা বুমেরাং হয়, যেই দ্যাশের "জনগণের বন্ধু" বাহিনী ছুঁইলে ছত্রিশ ঘা'র লগে তুলনা করে ম্যাঙ্গোপিপোল, সেই দ্যাশে ফ্রীডম অফ থট, ফ্রীডম অফ স্পীচ আর ফ্রীডম অফ কনসায়েন্সের মূল্য বা মর্ম কতোটা আছে সেইটা ভাইবাই "হুমম" বাইরাইয়া গেলো মুখ দিয়া।
শালার আমি আস্তে আস্তে পেসিমিস্ট হৈয়া যাইতাছি মনে হয়!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হাহাহা...
আমিও আমার সিনিসিজম একটু ঢাইক্কা ঢুইক্কা কওনের চেষ্টা চরিত্র করলাম।
আসলেই কোনো মর্ম নাই। কিছু আর্থ-রাজনীতিক এলিমেন্টস এর উপস্থিতি দরকার এইসবের মর্ম ফলাইতে চাইলে... সেইটা তো হাপিশ...
অফ টপিকঃ বসনিয়ার এক যুদ্ধাপরাধী ধরা খাইসে, আর ওগোর কি সে উল্লাস! হিংসাই হইলো আমার...
খুব সময়োচিত ও প্রাসঙ্গিক পোস্ট।
খুব সিনিকের মতো শোনাবে জানি, কিন্তু না বলে পারছি না যে, বাস্তবের অভিজ্ঞতা আমাদের জানাচ্ছে অন্যরকম। এইসব সেই কাজীর গরু, খাতায় ঠিকই আছে, গোয়ালে তাদের সন্ধান মেলে না।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
খুবই দরকারী পোস্ট ....বিশেষ করে বর্তমান পরিস্থিতিতে তো বটেই
এই লেখাটাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় যে আমরা কথা আর কাজে কত আলাদা!! নিয়মনীতিতে মিষ্টিমিষ্টি লেখা, প্রয়োগের বেলা বিষ!!! কাগজে কলমে ভালো ভালো কথা লেখা দেখেই বাকস্বাধীনতার হস্তক্ষেগুলো সবসময় ব্যাকডোরে হয়
(মন্তব্যটা লেখার পর জুবায়ের ভাইর মন্তব্যটা চোখে পড়ল, অভিজ্ঞ মানুষ বলে কথা, একশব্দে সব বলে দিলেন ,,,"কাজীর গরু" )
পরের পর্বের অপেক্ষায়
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
চমৎকার লেখা। তবে ভালভাবে বুঝতে আরো কয়েকবার পড়তে হবে। পছন্দের তালিকায় রেখে দিলাম।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
৩৯(২) এ পেজগি আছে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ওইটাই ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করলাম।
পরের পর্বের আশায় রইলাম . . .
যে রাতে গুঁজেছো চুলে বেগুনি রিবন বাঁধা ভাট,
সে রাতে নরকও ছিলো প্রেমের তল্লাট।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . (আবু হাসান শাহরিয়ার)
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
নতুন মন্তব্য করুন