পরের জন্মে যেন ইলিয়াস হই!

আলী আজমরে নিয়া আরেকটা ছড়া হোক

পাঠক কমেন্ট এ হাততালি দিচ্ছে!!

ইলিয়াস আলী ফিরে এলে পরের টার্মে নির্ঘাত মন্ত্রী হবে আর বদর আলীর ছেলেমেয়েরা না খেতে পেয়ে মরে যাবে।

আরেকটু দীর্ঘ হলে ভালো হত..........

হা হা হা

আসলেই পরের জীবনে যেন ইলিয়াস হই

হ।

সকালে এ কথাগুলোই মনে হচ্ছিল

এমন নির্মম মৃত্য হওয়ার কথা ছিল না বদরের।

যাঁরা পড়লেন, মন্তব্য করলেন, বুড়া আঙ্গুল দেখালেন, চুপচাপ থাকলেন সবাইকে ধন্যবাদ।
আসেন সবাই মিলে মনে মনে কই--
পরের জন্মে যেন ইলিয়াস হই।

বেশিরভাগের কমেন্ট পড়ে মনে হচ্ছে, ইলিয়াস আলীর গুম কিংবা বদরের মৃত্যু ব্যাপার না, কবিতাটা জোশ হয়েছে তাই মুহুর্মুহু করতালি পড়ছে।

কবি, আপনি লেখাটা সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে লিখেছেন, কতোটা সময় দিয়েছেন লেখাটায় আমার প্রশ্ন।আপনার লেখা আমার ভালো লাগে বলেই বলা, লেখা কিছুটা চিন্ত-ভাবনার দাবি রাখে।

ধন্যবাদ।

ক্রেসিডা

কিছু মনে করবেন না; আমি আপনাকে একজনের সাথে মিলিয়ে ফেলেছি আর লেখাটা "কবিতা" সেকশন এর ভেবেছি! দুঃখিত!

ক্রেসিডা

অনেক বছর আগের কথা। তখন পাইকপাড়ায় থাকি। গুলিতে ঢাকার এক কেন্দ্রীয় ছাত্র নেতা মারা যায় চোখের সামনে। সঙ্গে এক রিকশাওয়ালা মারাত্মক আহত হয়, মারা গিয়েছিল কিনা এতদিন পর আর তা মনে করতে পারছি না। জানা যায়, ঐ ছাত্রনেতা বখরা সংক্রান্ত গোলমালেই প্রাণ হারিয়েছে প্রতিপক্ষ গ্রুপের হাতে। কিন্তু আমি যে কথাটি বলতে চাইছি, তা হল ঐ ছাত্রনেতাকে নিয়ে মিডিয়া ব্যস্ত থাকল কয়েকদিন, জাতীয় রাজনীতিও সরব থাকল দেশের ভূত-ভবিষ্যৎ নিয়ে। কিন্তু কোথাও খুঁজে পেলাম না ঐ রিকশাওয়ালাকে, যে কোন চাঁদাবাজির বখরাতে জড়িত ছিল না, তার ছিল না কোন সন্ত্রাসী কার্যকলাপে তৈরি কোন শত্রু, ছিল শুধু একখানি রিকশা, যা টেনে, অমানুষিক পরিশ্রম করে পরিবারের মুখের আহার যোগাড় করত সে। অথচ সেই রিকশাওয়ালা কোথাও ছিল না; কোন আলোচনা, টকশো, মিটিং, মিছিল বা সরকারী বা বিরোধী দলের সুশীতল শোভা-গৃহে।

এর জন্যই গুনীজনরা বলেন, 'পাডা-পুতায়' ঘঁসাঘসি, মরিচের কাম শ্যাষ ।

দেশের 'বিশিষ্ট' পাডা-পুতার হাত থেকে অবলা 'মরিচ'গুলা রক্ষা পায়, এই প্রার্থনায়।

কী আর বলব। আমরা মানুষনা। আমাদের দেশটা আসলে একটা উঁই পোকার ঢিপি। পায়ের তলায় পৃষ্ঠ হয়ে মরলেও জনসংখ্যায় আর কতই বা টান পড়ে?

এভাবে একটা অন্যায়ের প্রতিবাদে আরেকটা অন্যায় ঘটানো দু:খজনক।

ছড়া ভালো অইছে।