তখন ক্রিসমাসের সময়। একেবারে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটার জন্য মলে যাই। আঁধার হয়ে এসেছে, ঠাণ্ডা ভেজা ভেজা। গাড়ির ট্রাঙ্ক খুলে শপিং ব্যাগগুলো রাখছিলাম। ঠিক তখনই মনে হলো খেলনার দোকান থেকে রসিদ নেয়া হয়নি। ছেলেমেয়েরা কোন একটা খেলনা অপছন্দ করলে তা পাল্টানো ঝামেলা হবে। গজগজ করতে করতে শপিং মলের দিকে পা বাড়াই।
গেটের কাছে যেতেই ফোঁপানোর শব্দ শুনে একটু থমকে যাই। তাকিয়ে দেখি মলিন জামা পরা এক ছেলে, বারো-তেরো হবে। বয়সের তুলনায় বেঁটে আর কিছুটা শীর্ণও। শীতের কাপড় বলতে কেবল একটা ফ্লানেলের শার্ট। যে কারো খুব খারাপ লাগবে। আমি কাছে যাই। দেখি হাতে ধরা একটা একশ ডলারের নোট। ভাবি কোন বাবা-মা হয়ত শপিং করতে এসে তাকে হারিয়ে ফেলেছে। জিজ্ঞেস করি, কী হয়েছে? উত্তরে যা বলল তা করুণ কাহিনী।
তিন ভাই চার বোনের সংসার, বাবা মারা গেছে বেশ ক'বছর আগে। মা-ই একমাত্র রোজগেরে। অল্প শিক্ষিত হওয়ায়, এখানে ওখানে ঠিকা কাজের বেশী কিছু জোটে না। এত বড় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। তবু সন্তানদের প্রতি মমতার কমতি নেই। বহু কষ্টে দুশো ডলার জমিয়েছে ছেলেমেয়েদের কিছু একটা কিনে দেবে বলে। কাজে যাবার সময় ছেলেকে নামিয়ে দিয়ে গেছে, বুদ্ধি করে কিছু কিনবে ভেবে। ছেলেটা শপিং মলে ঢোকেওনি, তার আগেই এক বখাটে থাবা দিয়ে একটা নোট নিয়ে গেছে।
-তুমি চীৎকার করনি? আমার প্রশ্ন।
-করেছি, মিন মিন করে উত্তর দেয় ছেলেটি।
- কেউ এগিয়ে আসেনি?
মাথাটা নিচু করে এপাশ ওপাশ দোলায়।
-কত জোরে চিৎকার করেছ তুমি? আশেপাশে কেউ শুনেছিল?
সেই একই ভঙ্গীতে মাথা নিচু করে, অস্পষ্ট স্বরে কী যেন বলে। এতক্ষণে আমার বোঝা শেষ, এ ছেলের পেটে কেউ চাকু মেরে দিলেও উহ্ ছাড়া আর কিছু বের হবে না।
বেশী কিছু না ভেবে আমি তার হাতে থাকা ১০০ ডলারের নোটটা ছোঁ মেরে দ্রুত গাড়ির দিকে পা চালাই।
----------------------------------------------
এ লেখাটি এ পোস্টের অনুবাদ।
মন্তব্য
আজ প্রথম আলোর সাহিত্য সাময়িকীকে ছাপা হওয়া 'ঝাড়ু'(জেফরি আর্চার) গল্পটার সাথে অনেক বেশী মিল!!কাকতালীয় কিনা জানিনা..............
আমি লিংকে দেয়া ফোরাম থেকে অনুবাদ করেছি। ওই পোস্টটা গত বছর ডিসেম্বের। প্রথম আলো দেখিনি।
- লেখাটা ভালো লেগেছে, খুবই ভালো।
মূল লেখাটায় গেলেবলছে আমার নাকি এক্সেস নেই। এক্সেস পাস কি কোনো মন্ত্রণালয় থেকে নিতে হবে?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মিনিস্ট্রিতে যাইতে হবে না, আমি আছি কোন কামে?
এই হলো সেই ইংরেজী: (অনুবাদে আমি কিছু পাল্টেছি)
A Sad Tale
Late last month, I was rushing around trying to get some last minute shopping done. I was stressed out and not thinking very fondly of the Christmas season right then. It was dark, cold, and wet in the parking lot as I was loading my car up with gifts that I felt obligated to buy.
I noticed that I was missing a receipt that I might need later. So mumbling under my breath, I retraced my steps to the shopping centre entrance.
As I was searching the wet pavement for the lost receipt, I heard a quiet sobbing. The crying was coming from a poorly dressed boy of about 12 years old.
He was short and thin. He had no coat. He was just wearing a ragged flannel shirt to protect him from the cold night's chill.
Oddly enough, he was holding a hundred dollar bill in his hand. Thinking that he had gotten lost from his parents, I asked him what was wrong. He told me his sad story. He said that he came from a large family. He had three brothers and four sisters. His father had died when he was nine years old. His mother was poorly educated and worked two full time jobs. She made very little to support her large family.
Nevertheless, she had managed to skimp and save two hundred dollars to buy her children Christmas presents. The young boy had been dropped off, by his mother, on the way to her second job. He was to use the money to buy presents for all his siblings and save just enough to take the bus home. He had not even entered the mall, when an older boy grabbed one of the hundred dollar bills and disappeared into the night.
"Why didn't you scream for help?" I asked.
The boy said, "I did."
"And nobody came to help you?" I wondered.
The boy stared at the sidewalk and sadly shook his head.
"How loud did you scream?" I inquired.
The soft-spoken boy looked up and meekly whispered, "Help me!"
I realized that absolutely no one could have heard that poor boy cry for help.
So I grabbed his other hundred and ran to my car.
ভালো গল্প... লিঙ্কটা তো রইলোই... তবে পোস্টেই অন্তত মূল গল্পটার ছোট্ট একটা পরিচিতি দিলে বোধহয় ভালোই হইতো।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজরুল ভাই
ওই ফোরাটা আসলে অস্ট্রেলিয়ায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট, মোবাইল, পিসি এসব নিয়ে আলোচনার জায়গা। একজন একটা জোক বলতে গিয়ে গল্পটা বলে। আমার ভাল লেগে যায়।
দারুণ লাগলো।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি তুষ্ট আত্মপ্রেমেই। এর সুবিধে হলো, প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নেই
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
হায় হায়!
মূল গল্পটা আর পড়ছি না। এটা চমৎকার লাগলো পড়ে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
ভালো লাগলো। আরো অনুবাদ চাই।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
ভাল লেগেছে।
হায় হায়
--------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
হায় হায় করেন কেন? এটাই তো হয়।
পড়লাম।
পড়লাম। ভালো লেগেছে -
কী অদ্ভূত!
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
শেষটা এমন হবে ভাবি নি। অনেক ভালো লাগলো।
-নিরিবিলি
অণুগল্পের প্যাঁচটাই তো থাকে শেষ লাইনে।
নাকি আমি ভুল জানি?
আপনি ঠিক জানেন! অনুবাদ দারুণ হয়েছে! গল্পটা অসাধারণ।
---
স্পর্শ
নতুন মন্তব্য করুন