বালামের বেইল শেষ

আলমগীর এর ছবি
লিখেছেন আলমগীর (তারিখ: মঙ্গল, ২০/০৫/২০০৮ - ৫:৫৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

লেখার আগে স্বীকারোক্তি। দেশে থাকতে মানবজমিন খুব একটা ভাল লাগত না। তবে যখন জেসমিনের একটা ছবি তারা ছেপে দিল, তারপর থেকে...। প্রবাসে প্রতিদিন সকালে উঠে প্রথমে প্রথম আলোর শিরোনাম দেখি, তার পরই মানবজমিনের বিনোদন পাতা। তার বাদে, ইনকিলাবের বিনোদন পাতা (আওয়ামীকরণের পর ইনকিলাবের যথেষ্ট উন্নতি দেখেছি)। মানবজমিন বিনোদন ছাড়াও সাম্প্রতিক কালে বেশ কিছু অসাধারণ আগাম খবর দিয়েছে; অন্যান্য পত্রিকাগুলো সেসব সম্পর্কে কোন ধারণাই দিতে পারেনি।

আজকের মানবজমিনের বিনোদন খবর হচ্ছে বালাম বেকার হয়ে গেছে। হাবিব-ফুয়াদের পর যে নামটি গত দুবছর খুব শোনা গেছে সেটা হলো বালাম। অনেক টাকা পয়সাও নাকি কামিয়েছে; এ রকম সুপারস্টার হঠাৎ করে কর্মহীন হওয়ার কারণ কী? একটা কারণ হচ্ছে বোনকে নিয়ে করা ফিচারিং জুলি তেমন একটা সুবিধা করতে পারেনি। তার উপর বালাম যার লেখা গান দিয়ে প্রথম সলো করে খ্যাতি পেয়েছিল; সেই গীতিকার ওস্তাদ বদল করে বাপ্পার সাগরেদ হয়েছেন। হেতু হিসাবে যা জানা গেছে- উনি নাকি বালামের কাছে অ্যাকুস্টিক গিটার শিখতে চেয়েছিলেন, বালামের সময় হয়নি।

বালাম অবশ্য খুব একটা স্বীকার করেনি যে তার হাতে কাজ নেই। বাংলাদেশে শিল্পী-মডেলরা বেকার হলে, ভালো স্ক্রিপ্ট পাচ্ছি না, বেছে বেছে কাজ করছি, নিজেকে একটু গুছিয়ে নিচ্ছি- এরকম কথা বলে থাকে। সে সূত্রে ফেললে বালাম মনে হয় প্রকৃতই বেকার হয়ে পড়েছে।

বালামের গান আমার কখনই পছন্দ হয়নি। তার কোন গানকেই আমি ভাল লাগাতে পারিনি। কারণ, নামে যত চমক, তার গানে সেটা নেই। ভেঙে বললে, গল্প, উপন্যাস, ছোটগল্প- সব কিছুরই একটা গাঁথুনি থাকে। গানের বেলা অস্থায়ী, অন্তরা; বা পশ্চিমা নিয়মে, ইন্ট্রো, কোরাস, ব্রিজ থাকে। গানে এসব অংশের মধ্যে টোনাল পার্থক্য থাকে। না থাকলে সেটা শুনতে ভাল লাগে না। নৌকায় চড়ে যেমন দুলুনি না খেলে ঠিক জমে না অনেকটা তেমন। বালামের উৎপাদিত গানে এই টোনাল ভেরিয়েশন বা দুলুনি একেবারে অনুপস্থিত।

বিপরীতে, গাজীপুরের এক অপরিচিত কিশোর ইমন খান সারাদেশ মাতিয়ে ফেলেছে। মাত্র লাখ টাকার বাজেটের ক্যাসেট প্রকাশ করে গাজীপুরের অখ্যাত ক্যাসেট প্রকাশক এক সপ্তায় কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। পাটুয়াটুলির পাইকাররা চাহিদামতো সরবরাহ পাচ্ছে না- যোগানও দিতে পারছে না। তাদের মোট বিক্রির ৯০ ভাগ আসছে এই একটা এলবাম থেকে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এরকম ঘটনা আর ঘটেনি।

ল্যাপটপ মিউজিকের দিন কি তবে শেষ হয়ে গেল?

পুনশ্চ:
যারা এ পর্যন্ত পড়েছেন, কিন্তু মন্তব্য করতে চাচ্ছেন না তাদের আঙুলের মাথায় ঠাডা।
গত দুটো লেখায় সচলের আয়তন বুঝতে পারলাম না। তাই এখানে মন্তব্য মাস্ট।


মন্তব্য

অচল এর ছবি

বালামের সব গান আমার কাছে একইরকম লাগে।

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

তরুণ প্রাণের জয়কে আমি খুব বড় চোখে দেখি। ২২-২৩-২৪ বছরের বাচ্চারা এমন সব দুর্দান্ত সিদ্ধান্ত নেয় আর এমন সব কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে যে, আমি অবাক হই! তাদের দ্রুত উত্থান আর বিকাশে আমি খুব বেশি বিস্মিত হই না! একটা বয়স থাকে বাড়ন্ত শরীরের, আরেকটা বয়স থাকে বাড়ন্ত মনের। এদের সময় বাড়ন্ত মনের। তরুণ প্রাণ আমার কাছে খুব সমীহের একটা বয়স। তবে একটা ব্যাপার কি, ঐ সময় কেউ যদি খুব জ্বলজ্বল করে ওঠে, তাহলে সেটা পার্থক্য করা মুশকিল, ওটা কি তার বয়সের গুণ, না তার ক্লাসিক প্রতিভা!
তরুণ প্রাণকে আমি যতটা সমীহ করি, ততটাই ঘৃণা করি তার উদ্ধত মানসিকতা, তার "আমি কী হনু রে" টাইপের ফেসিয়াল এক্সপ্রেশন, আর ব্যবসায়ী মনোভাব।
দুঃখের বিষয়, আমাদের দেশে এই বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলো হাল্কা কিছু চটুল শিল্পচর্চা করে ছোট ছোট জামাকাপড় পরে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েই পত্রিকায় বিশাল বিশাল সব কাভারেজ পেয়ে যায়। এরা কিন্তু আসলে শিল্পী নয়, আসলে তারা স্রেফ সম্ভাবনাময় কিছু বাচ্চা!
বালামের মতো শিল্পীদের দুর্ভাগ্য যে, তারা এত দ্রুত বিখ্যাত হয়ে যায়। তাদেরকে সংগ্রামের জন্য বিশেষ একটা কিছু করতে হয় না। মিডিয়া এবং আমরা অনর্থক হাততালি দিয়ে তাদেরকে হিরো বানিয়ে দেই এবং তার ভেতর সম্ভাবনা যেটুকু আছে, সেটাকে গলা টিপে মেরে ফেলি!
বালাম আসলে একটা বাচ্চা ছেলে, কিছু যন্ত্র দিয়ে সুর তুলতে শিখেছে! তাকে নিয়ে কমেন্ট করার কোনো প্রয়োজন আমি দেখি না! তার গানের ভালো খারাপ নিয়ে আমি প্রশ্ন তুলব না, যে বয়সে তার অ্যাডভেঞ্চারে বেরোবার কথা, সেই বয়সেই সে কতটা ব্যবসামনস্ক অথবা গানের অনুষ্ঠানে তাকে আমি বিচারক হিসেবে অনেক সিনিয়র শিল্পীদের পাশে বসে থাকতে দেখেছি, এবং সেটা যে কত হাস্যকার দেখাচ্ছিল, সেসব কথাও আমি তুলব না!
আমি তুলব আমাদেরই কথা! আমাদের এই সম্ভাবনাময় তরুণ তরুণীগুলোকে নিয়ে মিডিয়ার যে ব্যবসা চোদানো মাতামাতি (দুঃখিত, মুখ খারাপ না করে আর পারছি না আমি), সেটাই আসল ধ্বংসের মূলে। আমরা যদি সেরকম হতাম, বালাম বুঝত, তাকে বালাম হতে হলে কী করতে হবে! সে হয়ত আমাদের অনেক গর্বের বালাম হতে পারত, তাকে নিয়ে কথা বলতে ভয় পেতাম আমরা! কিন্তু আজ সে নিছকই এক বালাম...
এ আর রেহমানও তো অনেক বাচ্চা বয়সে মাতিয়ে দিয়েছিল মুম্বাইয়ের মতো অনেকের স্বপ্নের জায়গা! আমি তার সুরে যত না মুগ্ধ, তার চেয়ে বেশি মুগ্ধ তার বিনয়ে...
আমার ভাই চাহিদাটা একটু বেশি, আমি ঐরকম গর্ব করার মতো আগুন চাই, এইসব ডালভাত বালাম নিয়ে আপনি কষ্ট করে একটা ব্লগ লিখেছেন, তাই একটা কমেন্ট করলাম আর কি!
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

আলমগীর এর ছবি

মৃদুল দা
আমি না হয় একটু ঠাডার কথা বলছিই, তাই বলে আপনি এত বড় মন্তব্য করবেন? এখন তো সাপের মতো দেহের চেয়ে ল্যাজ বড় হয়ে গেল।

ভাল কথা, আমাদের মেহরীন এ আর রহমানর পাশে বসে বিচারকার্য পরিচালনা করছেন কোলকাতায়।

তীরন্দাজ এর ছবি

বালামের গান কখনোই শুনিনি। দেশের বাইরে থাকার এই দুর্ভাগ্য।

আপনার লেখার ভঙ্গী ভাল লেগেছে খুব!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

রাতুল এর ছবি

তীরন্দাজ ভাই, নেট এর এই যুগে বালামের গান শুনতে দেশে থাকা লাগে নাকি। বালামের গানগুলো তাহসানের গানের মত একই সুরের লাগ্লেও দুএক্টা গান অসাধারন।

আলমগীর এর ছবি

আমাকে একটা অসাধারণ গানের লিংক দেন তো। আমি তো এখন পর্যন্ত পেলাম না। পেলে এ লেখাটা পাল্টে দেব।

মুশফিকা মুমু এর ছবি

বালামের কয়েকটা গান আমার কাছে প্রথম প্রথম ভালোই লাগত, ওর গলার সুরটা কিরকম জানি কান্না কান্না শুনতে ভালোই লাগত, কিন্তু পরে দেখি সব গানই একরকম, কোনও চেন্জ নাই। এখন আর ভালো লাগেনা। ইমন খানের গান শুনতে ইচ্ছা করছে।
-------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

দুর্দান্ত এর ছবি

বালাম তো জানতাম ভাতের চালের নাম, আজকাল ওইটা গান ও গায়?

আলমগীর এর ছবি

ঠিকই বলছেন, ভাতের উপর চাপটা কমে গেছে আর কি।

অতিথি লেখক এর ছবি

যখন আবার আলুর উপর চাপ কমে ভাতের দিকে চাপ ফিরে আসবে তখন কি আলুও গান গাবে ? ওহ্‌হো ভুল করে ফেললাম । আলু তো আছে একজন, সেও গান গায় চোখ টিপি

- এনকিদু

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ঠাডা আঙুলের মাথায় না পড়ে ল্যাপটপ মিউজিকের মাথায় পড়ুক।
আয়ে না বালামের কয়েকটা গান শুনছি। কিছু একটা শুনতে হয় বলে আমি বেসিক্যালী গান শুনি। এর মধ্যে যেটা লংলাস্টিং ঢেউ তুলে ফেলে সেটা থেকে যায়, দশ বছর পরে হলেও সেটা খুঁজে পেতে বের করে আনি। আর যেটা পারে না সেটা কয়েকদিনের মধ্যেই হারিয়ে যায়। আয়ে না বালাম হারিয়ে যাওয়ার লিস্টে এ্যাড হয়ে গেছে বুঝলাম, কারণ ইদানিং খেয়াল করেছি তার গান মোবাইলে প্লে লিস্টে চলে এলেই আঙ্গুল স্বয়ংক্রীয়ভাবে 'নেক্সট' বাটনে চাপ দিয়ে দেয়।

আপনার আগের দুই পোস্টে কমেন্ট নাই? খাড়ান এখনি গোটাদশেক মাইরা আইতাছি। এইটা কোনো ব্যাপার হইলো? ফিআমানিল্লাহ্ চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

আরিফ জেবতিক এর ছবি

কিছু শুনতে হয় বলে আবোলতাবোল শুনবেন ?
কেন এই যে মমতাজের এতো সুন্দর একটা গান বেরিয়েছে সেটা শুনেন না কেন ?

" আমার এক ভাবী আছে বড়োই আলাপী , মাঝে মাঝে আলু দিয়া বানায় জিলাপী ।"...আহা , মধু , মধু !!

শামীম এর ছবি

ব্যাপক হাসতেছি ... (দেশে টিভি খুললে ঐটা না দেখে উপায় নাই)
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

অমিত এর ছবি

ওয়ারফেজের কোন একটা অ্যালবামে জানি বালামের গান শুনেছিলাম, মহারাজ মনে হয় !! ওল্ড স্কুল সন্জয়ের পাংখা হওয়ার কারণে তখন বালামরে থাবড়া দেয়ার ইচ্ছাটা ছাড়া আর কোনও অনুভূতি হয় নি।

অতিথি লেখক এর ছবি

বালামরে নিয়ে বেশি কিছু বলার নাই। প্রথম এলবামের গানগুলোর মধ্যে "তোমার জন্য স্বপ্নের নীল" গানটাই ভাল লেগেছিম। তবে নিজের বোনকে নিয়ে এত তাড়াতাড়ি এই রকম টানাটানি ভাল লাগে নাই। একঘেয়ে লেগেছে।

পোস্টের জন্য লেখককে ধন্যবাদ। মৃদুল ভাইকে বিপ্লবী মন্তব্যের জন্য।

- ফেরারী ফেরদৌস

আরিফ জেবতিক এর ছবি

আমি আসলে প্রাগৈতিহাসিক যুগে বাস করছি । বালাম নামে যে এক শিল্পী আছে , সেটাই জানতাম না ।

সেদিন কথাপ্রসঙ্গে এক সাগরেদরে জিগাইলাম , পার্থদা কেমন আছে । সে কয় শ্রাবন্তী বালামের সাথে ফুটে যাওয়ার পরে সে আরামে আছে ।
তখন জানলাম যে বালাম নামে একজন আছে ।
রাসেলের পোস্টে শুনলাম শিরীন নামেও একজন আছে ।

আহা ...কতো অজানারে ।

দেখি কালকেই সিডি কিনতে হবে কয়েকহালি ।

রেজওয়ান এর ছবি

ওয়ারফেজের বালামের কথা হচ্ছে? আশির দশকের শেষের কথা। তখন এক উন্মুক্ত কনসার্টে বালাম ওপেন করেছিল এবং শুরুতেই বেশ হোচট খাচ্ছিল। শ্রোতারা শুরুতে ভচকে গেলেও বাংলা হার্ডরকের পথিকৃত মনে হয় তারাই। ওর উচু পীচের কয়েকটি গান ছাড়া অন্য স্পেসিমেন শুনি নাই। তার প্রবাস থেকে ফিরে আসার পরকার ইতিহাস আমার কাছে জানা নেই। কাজেই এই পোস্টে মন্তব্য নেই।

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

অমিত এর ছবি

আশির দশকের শেষে তো বালামের ওয়ারফেজে থাকার কথা না।

রেজওয়ান এর ছবি

দু:খিত আমি বাবনার সাথে গুলিয়ে ফেলেছিলাম।

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

অতিথি লেখক এর ছবি

আমরা ফ্রেন্ডরা মিলে প্রথম প্রথম বালামের গান শুনে ফেন টেন হয়ে গিয়েছিলাম। এখন কেউ নামও নেই না। একঘেয়েমি চলে আসছে...

-নিরিবিলি

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍কী মন্তব্য করবো, বুঝতে পারছি না। বালামের নাম আজই প্রথম শুনলাম যে!

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি তুষ্ট আত্মপ্রেমেই। এর সুবিধে হলো, প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নেই চোখ টিপি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

দ্রোহী এর ছবি

একদিন বালামের একটা গান শুনলাম-- আমি প্রেম শিকারী। প্রেম পিয়াসী, প্রেমে বাঁচি প্রেমে মরি।

ব্যস এই পর্যন্তই। তারপর অন্য গানে চলে গিয়েছিলাম। এই ব্যাটা ওয়ারফেইজে ক্যামনে কী করতো বুঝি না। (সঞ্জয় যতদিন ছিল ভালই লাগতো। পরে তো অবস্থা হইলো যা তা!!)


কি মাঝি? ডরাইলা?

আলমগীর এর ছবি

দ্রোহী লিখেছেন:
এই ব্যাটা ওয়ারফেইজে ক্যামনে কী করতো বুঝি না।

দ্রোহী দা
বালাম ওয়ারফেইজে কখনও ছিল বলে আমি জানি না।
বালাম হাবিব এরা রেনেগেড নামে একটা দল করত এক সময়। হাবিব কিবোর্ডস্ট, বালাম লিড গিটারিস্ট।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার লিখাটা পড়ে ভাল লাগ্ললো।
বালামের উপর এম্নিতেই মেজাজ চড়ে ছিল।
সে ওয়ারফেইজে ছিল এটা ভাবতেও অবাক লাগে।
যে ব্যান্ডটা বাংলাদেশে পথিকৃৎ তাদের একজন এখন এ
ধরনের একঘেয়ে গান শুরু করেছে..............
কিছু বলার আর ইচ্ছা নাই............

অদ্ভুত আঁধার এক

সবজান্তা এর ছবি

বালাম ছিলো ওয়ারফেজের কলংক, এটা সে যতদিন ওয়ারফেজে ছিলো ততোদিনও বলেছি, আজও বলছি।


অলমিতি বিস্তারেণ

কনফুসিয়াস এর ছবি

নাম ডাক শুনে গান শুনবার চেষ্টা করেছিলাম একদিন। লিরিক্স শুনে বেশিদূর যাওয়া হয় নি।
বালামের গলা কিন্তু ভালোই মনে হলো- যদিও লিরিক্স যা-তা, আর গানগুলা ইন টোটাল ভাল লাগে না, একঘেয়ে।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

অতিথি লেখক এর ছবি

আলচনা বা সমালচনা দুটাই কোন মানুষকে আরও বেশী পরিচিত করে।যেমন আজ আপনার লেখার মাধ্যমে অনেকেই প্রথম জানল বালামের কথা।আমি তার দু'একটা গান শুনেছি তবে কোন আয়োজন করে নয়। এখানে সেখানে শুনেছি।আমিও মুমুর সাথে একমত প্রথম প্রথম শুনে ভাল লাগার মত কিছু একটা হয়ত আছে।তবে সে ভাল লাগাটাকে ধরে রাখার মত ভেরিয়েশন তিনি হয়ত আনতে পারেননি। এই লেখাটা যদি বালামের চোখে পরে তবে হয়ত তিনি শেষ চেষ্টাটা করে দেখতে পারেন।

অভী আগন্তুক

খেকশিয়াল এর ছবি

ঠাডার ডরে না, এমনিতেই লিখতে বসলাম । বালাম যখন ওয়ারফেজে ঢুকে, তখনও বুঝিনি কি হতে চলেছে । এরপরই বেরুলো বোধহয় মহারাজ এলবামটি । এইটাই বোধহয় একমাত্র ওয়ারফেজের এলবাম যা দুই একটি গান শুনে আমি আর শুনি নি, মিজান এর 'স' নিয়ে সমস্যা সবাই জানেন, তারপরও 'আলো'র বেশ কিছু ভাল গান আছে । বালাম আসার পরে দেখলাম, গীটার বাজানোর থেকে ওটা নিয়ে লাফালাফিই তার বেশি, আর গলা তো একদম আর্কের হাসান-এর কপি ! অসহ্য বিরক্তিকর চিকন সুরে টানাটানি । বালামের সলো এলবাম আমি বাসার বাইরে এখানে সেখানেই যা শুনেছি । সবার কথা জানি না, কিছু সুর আছে শুনেই আমার মনে হয় ওটা এখন হয়ত ভাল লাগছে কিন্তু কদিন পরেই একঘেয়ে হয়ে যাবে । হলও তাই, অনেক বন্ধু যারা পছন্দ করেছিল ওর এলবামটা এখন আর তেমন শুনে না, জিজ্ঞাসা করলেও বলে 'ধুর, আর ভাল্লাগে না !' এইটাই ব্যাপার আসলে । মনে রাখার মত সুর আর গান করা অত সহজ না । বালাম নাকি ভাল গীটার শিখায় , অনেক বন্ধু শিখেছে ওর কাছে । আমি জানি না কেমন শিখায় তাই মন্তব্য করব না, ওদের ভালই বাজাতে দেখেছি, মনে হয় ভালই শিখায় । তবু যখন ওদের সাথে তুলনা করেছি আমার বন্ধু পনিরের স্টুডেন্টদের সাথে তখন দেখেছি, গ্রামার আর কম্পোজিশনে পনিরের স্টুডেন্ট গুলোই এগিয়ে আছে । পনির আমার দেখা সেইরকম গীটারিস্ট, একসময় অর্থহীনে বাজাত । পরে ছেড়ে দেয় পড়াশুনার কারনে । তো যা বলছিলাম বালামের যা মনে হয় গোড়ায় গলদ আছে, আমার তাই মনে হয় । কি করবে ঠিক করতে পারেনি এখনো । তাই শুভকামনা রইল ওর জন্য ।

-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ওয়ারফেইজ, ইন ঢাকা, রকস্টারটা ছিলো প্রথম আর একমাত্র পছন্দ। আমি বাবনার ভয়ঙ্কর ফ্যান ছিলাম... আমি এখনও মনে করি এই লোকটা দেশে থাকলে দেশের মিউজিকের চেহারা পাল্টায়া যাইতো। সঞ্জয় বাবনার বিদায়ের পরে যখন খুইল্লের লোক মিজান আসলো তখনই বুঝলাম ওয়ারফেইজ আর শোনার দরকার নাই। এবং শুনলামও না। বালাম আসার পরে লোকে বলতে লাগলো এইবার ভালো হবে। টিপু (ড্রামার) ভাইও বললো শুইনা দেইখো মিয়া... ভালো হইবো...
আমরা বালামরে বলতাম বাল যোগ আম... তো এই বালআমে কি গাইবো?
এখন বালাম হিট... আমি তার গান তেরম শুনি নাই... পথে ঘাটে শুনি... তাতে খালি তারে একটা কথাই বলতে ইচ্ছা করে... ভাইরে... তুই আগে মন মিটায়ে কাইন্দা ল... তারপর কান্দাকাটি শেষ হইলে বাথরুমে যা... হাগামুতা কর... তারপর গান গা... এই কুঁতায়া কুঁতায়া কান্দাকাটি কইরা গাওনের দরকার কি?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

খেকশিয়াল এর ছবি

নজরুলদা একটা ভিতরের কথা কই শুনেন , বাবনা আর রাসেলের মাথা থিকাই সব সুর বাইর হইত । এই দুইটা আসিল চিজ ! ফার্স্ট দুইটা এলবামে ৯০% গীটার কম্পোজিশন নাকি রাসেলের, আমি জানতাম না। কী বোর্ড বাজাইতেই দেখে ওরে সবাই, আর বাবনার ফাটাফাটি সুর । ওয়ারফেইজের প্রথম তিনটা এলবামই জিনিস আসিল । রাসেল তো এখন শুনছি বাইরে কাপায়া ফালাইতাসে, লাস্ট আসিল 'কামানা' নামে একটা ব্যান্ডে । বাবানার খবর নাই । এই দুইটা যদি গেস্ট হিসাবেও আবার আসে দলে, দলটা এক এলবামের লেইগা হইলেও আবাঁড়ায়ড়ায়া যাইব, হুদাই নামে আর চলা লাগব না ।

-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

জিফরান খালেদ এর ছবি

আমার জানা মতে, বালাম ওয়ারফেজে অনেক বছরই ছিলো। কমপক্ষে নয় বছর। আলো অ্যালবামের সময়েও ছিলো। দু'টা গান গাইসিলো। বেসিক্যালি গীটার বাজাইসিলো। মিজান যাওয়ার পর ও-ই মহারাজ পুরাটা গায়। এটাই মনে হয় সবচেয়ে কম আলোড়ন তোলে। তারপরো দু'তিনটা গানে তার কাজ বেশ ভাল।

আমার জানা মতে, ওয়ারফেজের বেসিক কম্পোজিশন করেন কমল ভাই। সলো, বেজ, রিদম। বাবনা থাকার সময়ে দু'জন মিলে করতেন আর দু'জন পরস্পরকে কম্পলিমেন্টও করতেন অসাধারণ। রাসেল বোধহয় শুধু দু'টা অ্যালবামে ছিল। মূলতঃ গীটারিস্ট, কিন্তু বাবনা, কমল এবং তার জুটি আমার মতে বাংলাদেশের সব সময়েরই একটা বেস্ট কম্বিনেশান। সঞ্জয়কে পছন্দ করলেও আমার মতে হার্ডরক আর প্রগ্রেসিভ রকের জন্যে ওয়ারফেজের সবচেয়ে ভাল ভোকাল হল মিজান। এতো ভাল রেঞ্জ আমি অনেকদিন কারোরে দেখিনাই। 'বেওয়ারিশ' আর'মৃত্যু', 'হতাশা' এসবে একজন ট্রু রকারের পরিচয় পাই।

আর, বাবনারেও অসম্ভব মিস করি। নজরুল ভাইয়ের লগে একমত। এই একটা লোক কমলের লগে থাকলে ওয়ারফেজ কোথায় যে যাইতো...

বালামের গান শুনি নাই। বন্ধুরা শুনতো, আমি আবার বেসিকালি হেডব্যাঙ্গার, আমার লগে যাই নাই।

বাইক্যা, তারপরো বলি, অবাক ভালবাসা আমার লাইফের বেস্ট অ্যালবাম।

অমিত এর ছবি

আসলে আমার মনে হয় কোন কোন মানুষ একটা ব্যান্ডের সংগে এতটাই মিশে যায় যে তাদের আর আলাদা করা যায় না। বোনো অথবা এজ ছাড়া ইউটু হয় না, মার্ক নফলার ছাড়া ডায়ার স্ট্রেইটস হয় না। ঠিক তেমনি আমার মনে হয় বাবনা, রাসেল আর সন্জয় ছাড়া ওয়ারফেজ হয় না। সন্জয়ের ঐরকম স্টিল প্লেটেড হাই পিচ ভোকাল ছাড়া ওয়ারফেজ !!! কেম্নে কি ??
আর অ্যালবামের কথা বললে বাংলাদেশের হার্ড রক মিউজিকের ইতিহাসে ওয়ারফেজের "অবাক ভালবাসা" আর রকস্ট্রাটার সেলফ টাইটেলড অ্যালবামের কোয়ালিটির ধারেকাছে কেউ আসতে পারে নাই এখনো।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

তখন আসলে এক নোভা ছাড়া আর সব ব্যান্ডেই গণতন্ত্র ছিলো। ব্যান্ড মানেই ছিলো সবাই মিইলা একটা গান পয়দা করা। (এখন তো সকলই ছলাৎ ছলাৎ ছলো)। ওয়ারফেজেও তাই... তবে মূল কাজটা বাবনা করতো। কমলও দারুণ ছিলো, ছিলো কি... এখনও আছে, কিন্তু জেল্লা কমছে অনেক। কয়দিন আগেই আড্ডা হইলো অনেকক্ষন।
রাসেল তো এখন বিরাট গিটারিস্ট। তবে ঐ আমলে গিটারে নীলয়দা সুপারস্টার ছিলো। মিরপুরে বাড়ি হওনের সুবাদে তার সাথে সখ্যতাও বেশ হইছিলো আমার। আহারে লোকটা ডাইল খায়া মরলো। গিটার বাজাইতো অসাধারণ। তবে এইক্ষনে রকস্টারটার ইমরান ভাইয়ের কথাও বলা প্রয়োজন। আগুন ছড়াইতো গিটারে। তারে আর তার গিটার বাদ্য নিয়া নানাবিধ কাহিনীও তখন প্রচলিত ছিলো।
বালাম ওয়ারফেজে অনেক পুরানই। হ মিজান যুগেই তার আবির্ভাব। ঐসময় একযোগে সকলেই ওয়ারফেজ ছাড়ায় এক টিপু ভরসা ছিলো। টিপু তখন উইনিং থেকা রাসেলরে ভিড়ানোর চেস্টা করলো। কিন্তু রাসেল বললো বস আমি বড় হইছি ওয়ারফেজ শুইনা। ঐটার ভোকাল গিটারিস্ট হিসাবে আমি নিজেই নিজেরে ভাবতে পারি না। রাসেল যোগ দিলো অর্থহীনে।
মিজান আমার কখনও ভালো লাগে নাই। তার হাস্কি ভয়েসটা অবশ্য কাজেরই ছিলো। কিন্তু উচ্চারণের এইরম ভয়ঙ্কর ত্রুটি নিয়া একটা লোক গান গাইবো এইটা মাইনা নিতে কষ্ট হয়।
সে আবারও ওয়ারফেজে ব্যাক করছে। এবং কিছুদিন আগেই গুলশানের এক কনসার্টে জিপার খোলা জিন্স পইরা গান গাইতে গিয়া হলুদ আন্ডি প্রদর্শন কইরা আসছে। পোলাপাইন এখন মিজানের নাম শুনলেই হাসে... গান শুনবো কি?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অমিত এর ছবি

নিলয়ের কাছে কয়েকমাস আমিও গেছিলাম। তখন সে থাকত কলাবাগানের বাসায়। ইচ্ছা ছিল, কিন্তু লাইগা থাকতে পারিনি। নিলয় যে সেরম প্রফেশনাল শিক্ষক টাইপের না, তার থেকে জিনিস বাইর করতে হলে যে আগের দিনের গুরুর মত পা ধইরা বইসা থাকতে হয় তখন বুঝতে পারি নি। যখন বুঝতে পারলাম, তখন ইচ্ছাটাও গ্যাছে গা।
শুনছিলাম ইমরান ছিল নিলয়ের সবচেয়ে প্রিয় ছাত্র। কোনদিন বলে তারে কোনও লেসন দুইবার দেখাইতে হয় নাই। রকস্ট্রাটার বেসিস্টও ছিল চরম, আরশাদ মনে হয় নাম ।
আরেকজন ভাল গিটারিস্ট ছিল পিকলু, মনে হয় এইসেস-এ বাজাতো।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমার গিটার শিখনের ইতিহাস বড়ই করুণ। ক্লাশ নাইনে থাকতে একসময় ফাল দিয়া উঠছিলো তখন কিনছিলাম। নাওয়া খাওয়া বাদ দিয়া গিটার নিয়াই জীবন যাপন হইতো তখন। কিন্তু হাত পাকাপাকি হওনের আগেই থিয়েটারের নেশাটা এমন ধরলো যে গিটার চাঙ্গে উঠলো। তারপরে আরো একবার গিটারের নেশা ঢুকছিলো... সেইবার সিগনেচার একটা কিনলামও... কিন্তু এইবারও হইলো না।
নিলয়দার কাছে গিটার শিখতে যাই নাই আমি। তার সাথে আমার সখ্যতাটা হইছিলো শেখ ইশতিয়াক মারা যাওনের কাছাকাছি টাইমে। যখন তিনি দীর্ঘ ডুব থেকা উইঠা আবার গান বাজনায় মন দিতে লাগলেন। একটা এ্যালবামের কাজও শুরু করলেন এবং ধানমন্ডিতে মোরশেদ ভাইয়ের বৃহস্পতিবারের জলজ আসরে রেগুলার যাইতে লাগলেন। সেইখানে আমারও যাওয়া হইতো বিধায় লাকী আখান্দ, ফাহমিদা নবী, বারী সিদ্দিকী, নিলয়দা প্রমুখদের সাথে দেখা হইতো । তখন আমি আনন্দভুবন নামক একটা পত্রিকার সারেগারে নামক একটা বিভাগের সম্পাদক। আমার সাথে তার গুরু শিষ্যের চেয়ে বন্ধুত্বটাই বেশি ছিলো... তখন সে থাকতো বাবা মার সাথে মিরপুর স্টেডিয়ামের পিছে একটা বাড়িতে।
নিলয়দার প্রিয় ছাত্রদের মধ্যে বাপ্পা মজুমদারের কথাও বলতে হবে বোধহয়। বাপ্পাদা তো একসময় নিলয়দার কথা এত বলতো যে সবাই জানতো তারা তিনভাই- পার্থদা নিলয়দা আর বাপ্পাদা। ভালো কথা মনে করছেন... পিকলু মিয়া এখন কই? শেষ দেখছিলাম অর্থহীনে। খোঁজ নিতে হইবো তো...
এরপরের কালে উইনিংয়ের শেলী ভাই রঞ্জন ভাইরাও জটিল ছিলো। একটু ক্লাসিক টাইপের। আর বেইজ-এ সুমন ভাই আসলেই জিনিয়াস। ড্রামার রুমীর লগে তার একটা যুগলবন্দি দেইখা উমদা পাগল হয়া গেছিলাম। তখনই এই দুইটারে বলছিলাম একটা ইন্সট্রুমেন্টাল বাইর করতে... করলো না।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

জেসমিন কে?

---
স্পর্শ

নুশেরা তাজরীন এর ছবি

এহেম... জটিল প্রশ্ন।

দ্রোহী এর ছবি

জেসমিন কে?

"জেসমিন" না "য্যাযমিন" কার কথা জিগান?


কি মাঝি? ডরাইলা?

অতিথি লেখক এর ছবি

খাইসে মনে হয় কিছু একটা মিস করতেছি !!! ইয়ে, মানে...

---
স্পর্শ

অয়ন এর ছবি

jazmin লেইখা উইকিতে সার্চ দেন।

আলমগীর এর ছবি

আর কী পেলেন সেটা নিয়ে একটা পোস্ট দেন হাসি

স্পর্শ এর ছবি

হাইলা!! বাঙালীরা তো এগিয়ে যাচ্ছে দেখতেছি !!! এই জন তো দেশের মুখ উজ্জ্বল করে ফেলসে!! সারছে।
ছেলেদের মধ্যে কেউ আছে নাকি? কোন বাঙ্গালী বীর ?
-----------------------------
এখনো নজরবন্দী!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

জিফরান খালেদ এর ছবি

ওয়ারফেজে যখন ছিলো, আমারে একবার কইসিলো, কৈশোর গানটা নাকি হের লেখা? হে নাকি তখন ক্লাস নাইনে পড়তো।

খোদা মালুম।।

তানভীর এর ছবি

ওয়ারফেজের বাবনা এখন হিউস্টনে (ডালাসেও হইতে পারে; কে জানি কইছিল কিছুদিন আগে, তয় টেক্সাসেই আছে)।

বাবনার একটা ইন্টারভিউ খুঁজে পেলাম

বাবনা-১

বাবনা-২

= = = = = = = = = = =
তখন কি শুধু পৃথিবীতে ছিল রং,
নাকি ছিল তারা আমাদেরও চেতনায়;
সে হৃদয় আজ রিক্ত হয়েছে যেই,
পৃথিবীতে দেখ কোনখানে রং নেই।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

দুইমাসের জন্য দেশে গেলাম ডিসেম্বরে । ছোটবোন এইবার ভার্সিটিতে ভর্তি হইছে । বাসার বাইরে থেকে এক কাজে ওর মোবাইলে কল দিসি,শুনি এক ব্যাটা ছেলে নাঁকিসুরে কান্নাকাটি করে । আমি দিলাম বোনরে ধমক-এই ছিচকাঁদুনে পোলাটা কে?
বোন জানালো-ইনিই এসময়ের হার্টথ্রব মহাশয় বালাম ।
আমি ভাবলাম-ভালো,কান্নাকাটিই তবে এযুগের হিরোদের ব্রান্ডিং!
----x----
...অথবা সময় ছিলো;আমারই অস্তিত্ব ছিলোনা

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

অতিথি লেখক এর ছবি

আসলে বালাম মূলত 'ওয়ারফেইজ' নামের হার্ড রক ব্যান্ড থেকে একক ক্যারিয়ারে এসেছেন। তিনি সাফল্যও পেয়েছেন অল্প সময়ে। এখন যদি সেটা ধরে রাখতে পারেন, সেটাই হবে তার সাফল্য। তবে বালাম - এর গান আমার খুব বেশি খারাপ লাগে না ( যদিও আমি এত হালকা গান পছন্দ করি না)। বালাম যদি অব্যহতভাবে নতুন কিছু উপভোগ্য গান করে যেতে পারেন - তাহলে তার সাফল্যের আশা করা যেতে পারে। বালাম ইতোমধ্যে মেরিল প্রথম আলো পুরষ্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। দেখা যাক কি হয় !

নিবন্ধন-নাম : রুদ্রবিলাস।

আলমগীর এর ছবি

বালাম ইতোমধ্যে মেরিল প্রথম আলো পুরষ্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। দেখা যাক কি হয় !

সেইটা দেখার পর দেখে বিব্রত হয়ে আছি। দর্শকদের মন বুঝা ভার।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

পোস্ট ও আলোচনা উপাদেয় হইছে।

ইমন খানের কথা ঐদিন কোন একটা পেপারেও পড়লাম। নেটে ফ্রি পাওয়ার কোন এন্তেজাম নাই? জানেন নাকি কোনো ভাইজান...।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

বালাম নামটা শুনেছি
কিন্তু আমার ধারণা ছিল ওটা বোধহয় কোনো ব্যান্ড দলের নাম
এখনতো দেখি এইডা একখান শিল্পীর নাম

অনিন্দিতা এর ছবি

বালাম ইতোমধ্যে মেরিল প্রথম আলো পুরষ্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। দেখা যাক কি হয় !

খবর তো এরমধ্যে জানা হয়ে গেছে। এত জল্পনা কল্পনা শেষে বালামই দর্শক ভোটে সেরা হযে গেল।সব কিছু জনগণের উপর ছেড়ে দিলে তো মাঝে মাঝে মুশকিলে পড়তে হয়। ক্লোজ আপ ওয়ান প্রতিযোগিতায় যেমন প্রায়ই উল্টো পাল্টা বিচার হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

হুঁ, শকুনদের দোয়ায় গরু মরে নাই হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।