মুমুর পোস্টের ট্যাগ দেখে আমারও সাধ হলো জিপিএসের কাহিনীটা বলি। তার আগে একটুখানি ভূমিকা।
আমি তখনও একা থাকি, বৌ-বাচ্চা দেশে। হাল্কা পড়াশোনা করি, আর টো-টো করে বেড়াই। সন্ধ্যা হলে ২৯ পিটাইতে বসি, রাত ২/৩টা পর্যন্ত। মাঝে-মধ্যে পুল খেলতে যাই। তখন যে গাড়ীটা চালাতাম সেটার কথা আর না বলি। ছিলো খুব একটা খারাপ না, কিন্তু বেশী দূর বা উঁচা-নীচা কোথাও গেলে তার মেজাজ ঠিক থাকত না। গরম হয়ে যেত।
বৌ-বাচ্চা আসলে পরে, দূরে কোথাও যেতে সাহস হয় না। আবার আরেকটা গাড়ি যে কিনব সে সামর্থ্যও নেই। মেয়েকে তখন সপ্তাহে তিনদিন কিন্ডারে আনা-নেয়া করতে হয়। কিন্ডার কাছে হলেও, বেশ দূরে এক স্পিচ থেরাপিস্টের কাছে যেতে হয় । তো শেষ-মেষ পুরোনো গাড়ী ছেড়ে আরেকটা গাড়ি কিনতে হয়। ২০০২ সালের নিসান পালসার (অর্থায়নে বিশেষ ব্যাংক)। এটা গত বছর ডিসেম্বরের কথা।
ছোটবেলায় শুনতাম কৃষক অনেকদিন চাষ করার পর যখন কোন বলদ বুড়ো হয়ে যায় তখন তাকে পরিত্যাগ করা কঠিন হয়। নতুন গাড়ী কেনার পরও আমার সেই পুরোনো গাড়ী ফেলে দেয়া সম্ভব হলো না। অটোমেটিক গিয়ার, চালানো সহজ, পাম-পট্টি দিয়ে বৌকে চালানো শেখাই।
নতুন গাড়ী কিনলে একটা ভাব থাকে। সেই ভাবের বশেই ডিলএক্সট্রিম সাইট থেকে ২৫০ডলারে একটা চৈনিক জিপিএস কিনে ফেললাম। টমটম বা ন্যাভম্যানের দাম তখন ৬০০ডলার। আর এটাতে টমটমের সফটওয়ারই চলত, খালি নিজেকে ম্যাপ জোগান দিতে হত। নেটে একটু খুঁজতেই অস্ট্রেলিয়ার চোরাই ম্যাপও পেয়ে গেলাম। চোরাই ম্যাপ লাগিয়ে আমি প্রথম স্থির করলাম ন্যারে-ওয়ারেন যাব। সিটির অপর-পাশে, দূরত্ব ৬০/৭০কিলোর কম হবে না।
যাওয়ার সময় খুবই সুবিধা মনে হল। শুধু ঠিকানা লিখে দিলাম, পুরো রুট বের করে দিল। কোন রাস্তায় কোন দিকে মোড় নিতে হবে, সে নির্দেশনা দেয় এক মহিলা কণ্ঠ। ঠিক-ঠিক জায়গামত পৌঁছে যাই। এবার ফেরার পালা।
ফেরার পথে ফ্রি-ওয়ে ধরে অনেকটা রাস্তার পর ভাবলাম ক্লেটন যাই। এদিকটায় যেহেতু আসা হয় না, এক বন্ধুর সাথে দেখা হয়ে যাবে অনেকদিন পর। একটা এক্সিট নিয়ে জিপিএসে ঠিকানা দিতে চেষ্টা করলাম, পারি না। ডেটাবেসে নেই। কাছাকাছি দু-রাস্তার মোড়ের নাম দিলাম। গো। আমাকে আবার ঘুরিয়ে ফ্রি-ওয়েতে তুলল। আমি নিশ্চিন্ত মনে মহিলার ডিরেকশন মেনে গাড়ী চালাচ্ছি।
ন্যারে-ওয়ারেন আবার পার হওয়ার পর আমার খেয়াল হলো, শালা জিপিএস আমাকে সারা দুনিয়া ঘুরিয়ে ক্লেটন নিয়ে যাচ্ছে। ফ্রি-ওয়েতে ইউ-টার্নের উপায় নেই, তাই বাধ্য হয়ে যেতে থাকলাম। আরো ১৫ কিলোর মতো গিয়ে এক এক্সিট পেলাম। বের হয়ে ভিন্ন রাস্তা ধরে এক জায়গায় থামি। উদ্দেশ্য সিটের নীচে মেলওয়েতে (মেলবোর্নের রাস্তার ম্যাপ) একটু চোখ বুলানো কোথায় আছি। অবস্থান নিশ্চিত হয়ে, এবার মেলওয়ে দেখে অতিরিক্ত আরো অন্তত ৩০ কিলো এদিক-ওদিক করে সেই বন্ধুর বাসায় পৌঁছি। ভাগ্য ভালো মেলওয়ে সাথে ছিল।
এরপর থেকে অপরিচিত কোথাও গেলে জিপিএস যদিও সাথে রেখেছি, কিন্তু এই বস্তুর উপর কোন আস্থা রাখতে পারিনি। কদিন পরে দেখি আমার মেয়ে এই টাচস্ক্রিনঅলা বস্তু নিয়ে খেলা করে।
একদিন দেখলাম ভিক্টোরিয়া পুলিশ জনস্বার্থে এক নোটিশ জারী করেছে। যারা জিপিএসের উপর ভরসা করে গাড়ী চালায় তাদের জন্য। তারা জিপিএসের কথা শুনে হারিয়ে যাওয়া ৪/৫ জনকে প্রতিমাসে উদ্ধার করে। বিশেষত কান্ট্রি সাইডে কেউ হয়ত জিপিএসকে অন্ধের মতো ফলো করতে থাকে। মাটির রাস্তা বন বাদাঁর পার হয়ে যতক্ষণে বোঝে যে হারিয়ে গেছে, ততক্ষণে হয় গাড়ীর পেট্রল শেষ, না হয়ত বেদিশা। যদি মোবাইলও বিগড়ে যায় তবে মৃত্যুর ভাল সম্ভাবনা।
পূণশ্চ: যে পেপারটা লিখছিলাম তা আপাতত সমাপ্ত। মেজাজটা ভাল তাই এক রাতে দুখান পোস্ট দিয়া ফেললাম।
মন্তব্য
দ্রুতগতির রাস্তার গতিসীমা মাত্র ১১০ কিমি/মাইল? আমাদের এখানে ফুটপাতেও এর চেয়ে বেশি বেগে গাড়ি চলে।
- অস্ট্রেলিয়ায় সর্বোচ্চ গতিসীমা ১১০ কিমি (মাইল না)। এর বাইরে আপনি সর্বোচ্চ ৪০ (১১০+৪০ = ১৫০) পর্যন্ত উঠাতে পারবেন ক্ষেত্র বিশেষে। কিন্তু মামুদেরকে দেখলে এই স্পীড বজায় রাখলে কমসে কম ৮০ টেকা জরিমানা আর লাইসেন্স থেকে তিন পয়েন্ট কাটা (মিনিমাম) গচ্ছা গুণতে হবে। উপায় নাই গোলাম হোসেন।
তবে জার্মানীর হাইওয়েতে সর্বোচ্চ গতিসীমা একটু বেশি। ১৩০ কিমি। মাঝে মাঝে আবার সেটাও মুছে দেওয়া হয়। ঐসব জায়গায় চোখ বুইন্জা এক্সেলেটরে পা দিয়া খাড়ায়া থাকতে পারেন, কোনো ব্যাপার না!
হাইওয়ে গুলা অস্ট্রেলিয়ার মতো এতো সুন্দর আর চালক ফ্রেণ্ডলী না, তারপরেও এরা ক্যামনে এতো স্পীড এলাউ করে এইটা ভাইবাই আমার চুল সব সাদা হইয়া যাইতাছে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আশিটাকার যুগ এখন আর নাইরে ভাই, আমি মাত্র দশ বেশি চালাইয়া দেড়শ টাকা খাইছিলাম, তাও বছরখানেক আগে।
পয়েন্ট অবশ্য মাত্র এক কাটছিলো।
*
যাউকগা, ফুটপাতে ১১০ শুইনা বিরাট আফসোস হইতেছে। তবে ভাইজান বাইএনিচান্স কিমি-র জাগায় মি- ভাবেননাইতো? বা সেমি?
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
এটা মনে হয় নির্ভর করে পুলিশ অফিসারের দৃষ্টিতে অপরাধের মাত্রার উপর:
১১০ ডলার + ১ পয়েন্ট।
২২০ ডলার + ৩ পয়েন্ট।
ছয়মাস সাসপেন্ড।
অনেকে আছে কীভাবে সেটা ফাঁকি দিতে হবে সিস্টেম জানে।
ফুটপাতের কথা যেহেতু তাই চাকার গাড়ি না মনে হয় পায়ের গাড়িই চলে। আর তাই ইউনিটটা মি বা সেমি. হতে পারে।
হুমম... প্রযুক্তির খানিকটা গ্যাঞ্জাম!
- দুইবছর গাড়ি চালিয়েছি ইচ্ছামতো, পেসিফিক-হিউম হাইওয়ে ধরে, প্যারামাটা রোড হয়ে, এম ফোর-টু দিয়ে। ফাঁড়ি রোড তো আছেই। এই দুবছরে কখনোই জিপিএসের শরনাপন্ন হতে হয়নি। এমনকি গাড়ির কোথাও সিডওয়েও ছিলো না এই দুবছর সময়ের মধ্যে। লাভের লাভ হয়েছে, সিডনী'র যতো ঘুলিঘুপচি আছে এখনো, ছেড়ে আসার প্রায় ৭ বছর পরেও নিউরণে বহাল তবিয়তে বিদ্যমান।
কখনো দূরে কোথাও যাওয়ার দরকার হলে বন্ধু-কলিগ মাইক কে ফোনাতাম। ব্যাটা আমাকে হাইওয়ে আর এক্সিটগুলো বলে দিতো, ব্যস। ক্যাঙ্গারু ভ্যালী, জিন্ডাবাইন-থ্রেডবো- এইসব জায়গা কেবল মাইকের বলা কথা অনুযায়ী ঘুরে এসেছি।
জিপিএস বা পথপ্রদর্শকের অভাব কেবল একদিনই ভুগিয়েছিলো বেশ। পোর্ট ক্যাম্পবেল ন্যাশনাল পার্ক থেকে ফেরার পথে। সেটা আমার এলাকা না। এয়ারপোর্টে ফেরার ইচ্ছায় উল্টো পথে দু-তিন ঘন্টা চলার পর গাড়িতে আসীন স্থানীয়দের খেয়াল হলো আমরা উল্টা দিকে যাচ্ছি। গাড়ি ঘুরিয়ে যখন এয়ারপোর্টে পৌঁছলাম ততোক্ষণে আমাকে ছাড়াই আমার পাখী দেড় ঘন্টা আগে আকাশে উড়ে গেছে। আর কি, পঞ্চাশ ডলার ইয়েমারা দিয়ে স্পেশাল স্টুডেন্ট কনসেশনে পরদিনের আরেকটা টিকেট বাগাতে হয়েছে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কানাডা-আমেরিকাতেও এই রাস্তাগুলাকে অফিসিয়ালি ফ্রিওয়ে বলে। তবে পুরা রাস্তা দুইদিকে বেড়া দেয়া থাকেনা। শুধু পাহাড়ি এলাকা আর যেখানে বাঁক থাকে সেখানেই বেড়া। গতিসীমা সর্বোচ্চ ১০০ কিমি (কানাডা আবার একটু বেশি বাড়াবাড়ি করে)। কিছুদিন হয় নতুন নিয়ম করেছে-- গতিসীমার ৫০কিমি উপর দিয়ে গেলে অর্থাৎ ১৫০কিমিতে গেলে ১০,০০০ ডলার জরিমানা ও রাস্তার পাশেই গাড়ি জব্দকরণ। যাহোক জিপিএস এর কথায় আসি।
এতদিন জিপিএস ছাড়াই চলছিল। গুগলের ম্যাপের উপরেই ভরসা করে (গুগলের ডিরেক্শন নয়) নিশ্চিত নির্ভার ছিলাম। কিন্তু অটোয়া যাবার আগে আর রিস্ক নিলাম না। গারমিন নুভি ২৬০ কিনে নিলাম। উইন্ডজর থেকে অটোয়া যেতে জিপিএস লাগেনা কিন্তু নেটে দেখলাম খোদ অটোয়ার বাসিন্দারই জিপিএস ব্যবহার করে। যাহোক প্রায় ১০০০ কিমি ড্রাইভ করে অটোয়ায় পৌঁছে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি জিপিএস কেনা কতটা সার্থক হয়েছে। এরপর থেকে সবাইকেই আমি জিপিএস কিনতে পরামর্শ দিচ্ছি-- বিশেষ করে বড় শহরের ডাউনটাউনে আপনি যদি নতুন হন।
সেই জিপিএসএর উপর ভরসা করে পরশুদিন নায়াগ্রা গেলাম। চেনা রাস্তা, এনিয়ে পাঁচবার যাওয়া আসা হবে। বিরতি দিয়ে গেলে ৫ঘন্টা লাগে, তাই দিনে দিনে ফেরার প্ল্যান করে রওনা দিলাম। কিন্তু ফেরার পথেই হলো বিপত্তি। হাইওয়ে ৪২০ থেকে ৪০৩ এ উঠতেই জিপিএস দেখাচ্ছে ১৩৮কিমি পরে হাইওয়ে ৪০১ (যেটাতেই ফাইনালি উঠতে হবে বাড়ি যেতে হলে)। সত্তর-আশি কিমি যাওয়ার পরে পথে তেলের ওয়ার্নিং দিল। ছোট গাড়ি, খুবই ফিউয়েল এফিসিয়েন্ট। আমার হিসাব অনুযায়ি ৫.৫ থেকে ৬লিটারে ১০০ কিমি যায়। সে মোতাবেক আমি জানি এই ওয়ার্নিং নিয়েও বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছুতে পারবো। হাইওয়ের সার্ভিস স্টেশনে তেলের দাম একটু বেশী থাকে। কিন্তু জিপিএসের মেসেজকে বিশ্বাস করে খানিকটা ভয় পেলাম। আসেপাশে কোন সার্ভিস স্টেশন নাই। সার্চ করে একটা পেলাম তাও ৯ কিমি দূরে। সেখানেই এক্সিট নিয়ে ট্যাংক ভরলাম। আশ্চর্যের বিষয় হলো ঠিক সেখানেই হাইওয়ে ৪০১ এর এন্ট্রি পেয়ে গেলাম, অথচ জিপিএস তার একটু আগেও বলছিল ৬০কিমি এর মত দূরত্বের কথা। যাহোক রাত ১টায় বাসায় পৌঁছেছি নিরাপদেই।
জিপিএস খুবই দরকারি জিনিস এবং সবচেয়ে ভালো কাজে দেয় ডাউনটাউনে। সময় বাঁচায়, তেল বাঁচায়। তবে মেঠো পথে বা কান্ট্রি সাইডে কেমন হয় তা আমি জানিনা। পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
আলমগির ভাই
অস্ট্রেলিয়ার নর্দান টেরিটরির হাইওয়েতে স্পীড লিমিট নাই এগুলো ওপেন রোড নামে পরিচিত
বছর খানেক আগে শুনেছিলাম স্পীড লিমিট আরোপ করবে তারপরেও মনে হয় ডারউইন এর স্টুয়ার্ট হাইওয়ে এখনো ওপেন রোড ।
ধু গো ভাইও চলে আসতে পারেন চারদিকে খালি ধু ধু ২০০ কিমি স্পীড তুললেও মালুম হয় ১০০ তেই আছি
কল্পনা করতেছি, ঢাকার রাস্তায় জিপিএস ব্যবহার করে গাড়ি চালাইলে কেমন হবে!
আমাকেও দুনিয়া ঘুরিয়ে নিয়ে যেতে চাচ্ছিল, আসলেও এটার ওপর সম্পুর্ন নির্ভর করা ঠিক না, কিছু আইডিয়া নিয়ে তারপর বের হওয়া উচিত।
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
আমার তো গাড়িই নাই।
---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল
বেশ কিছু গাড়িতে জি.পি.এস. দেখেছি জাপানে। মোবাইল ফোনেও জিপিএস সার্ভিস দেয়। কিন্তু কাহিনী এমন হতে পারে ভাবি নাই। গাড়ির জি.পি.এস. ম্যাপে রাস্তার ট্রাফিক লোডও রাস্তার রং আর দাগের গাঢ়ত্ব কম-বেশি করে দেখায়।
আসলে যে রাস্তাগুলো মানুষ কম ব্যবহার করে সেগুলোকে সফটওয়্যারে অপটিমাইজ করা হয়না, ম্যাপগুলোও ঠিকমত নিরীক্ষা করা হয় না। তাই এই বিপত্তি। কিন্তু অধিক ব্যবহৃত রাস্তাগুলোতে (ডাউনটাউন বা শহরের ভেতরে অন্য এলাকা) এই রকম সমস্যা করবে না বলেই মনে হয়।
জাপানে ফ্রী-ওয়ে দেখিনি, তবে এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করেছি। সর্বোচ্চ লিখিত গতিসীমা ৮০ কি.মি./ঘন্টা - হবেই তো ... পাহাড় কেটে আঁকাবাঁকা রাস্তা বলে কথা, কোন কোন জায়গায় আবার একটাই লেন(৭০/৬০ কিমি/ঘন্টা)। তবে জাপানীরাই ওই সীমাকে নিম্ন গতিসীমা ধরে চালায় .... সাধারণত ১২০-১৩০ উঠায়। আমি ঐ রাস্তায় উঠলেই আমাকে ওভারটেক করা গাড়িটাকে ফলো করা শুরু করতাম। হে: হে: ক্যামেরার পজিশন ওরা ভাল জানে ... ক্যামেরা থাকলেই সবগাড়ী পিপড়ার মত ৭০-এ গতি নামিয়ে আনে । তবে একপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে চাইলে ম্যালা ইয়েন টোল দেয়া লাগে। মিয়াজাকি থেকে কাগোশিমা ১২৫ কি.মি. সাধারণ ছোট গাড়িতে প্রায় ৩০০০ ইয়েন!!
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
ইঁদুরের খুদের মতো আমার ভাঙ্গাচোরা একখান নিশান মার্চ আছে, ঐটা দিয়েই আমি ঢাকা শহরে মর্দানি মারার চেষ্টা করি। কিন্তু ঢাকার রাস্তায় পদে পদে থামতে হয়, একটু থামলেই অন্যসব অটোগিয়ারের গাড়ি ধা ধা স্পিড তুলে আমাকে পিছনে ফেলে পালিয়ে যায়। বরপক্ষের গাড়ির মতো আস্তে আস্তে এসে আমি পৌঁছাই সবার শেষে। একলা থাকলে শুক্রবারের রাস্তায় আশির ওপরে স্পিড তুলি, আর বউ সঙ্গে থাকলে ষাটের ঘরে কাঁটা গিয়ে পৌঁছালেই সে আমার দিকে তাকিয়ে আতঙ্কিত গলায় বলে, করছ কী তুমি? হাতের তালুর মতো ছোট একটা শহর, কাজেই আমাদের আর জিপিআরএস লাগে না... কিন্তু কোন রাস্তার কোনখানে খানাখন্দ, কোনখানে ম্যানহোলের ঢাকনি নেই, কোনখানে ছদ্মবেশী স্পিডব্রেকার আছে... এগুলোর জন্য একটা জিপিআরএস কিন্তু ভীষণ দরকার। কদিন আগেই গুলশানের অভিজাত রেস্টুরেন্ট অ্যারিস্টোক্র্যাটের পাশের পানি জমে থাকা রাস্তায় ঢুকে সুবিশাল খাদের মধ্যে পড়ে আমার গাড়ির বাম্পার ছুটে গিয়েছিল, কিন্তু তা নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা ছিল না। কারণ খাদে পড়ার সেই দুই-তিন মুহূর্তে আমি পাতালে পতনের যে বিরল অনুভূতি টের পেয়েছিলাম, তাতে নিজেকে আবার সমতলে মাটির ওপরে আবিষ্কার করেই সেটা অসীম সৌভাগ্যের ব্যাপার মনে করে আপ্লূত বোধ করছিলাম।
আরেকটা ব্যাপার, আপনাদের ওখানে হাইওয়ে, আমাদের এখানে নাইওয়ে। প্রতি পদে পদে মোড়ে মোড়ে গাড়ির নাকটা ঢুকিয়ে নিজের পথ নিজে তৈরি করে নিতে হয়। আর জ্যাম পড়লে তো কথাই নেই, রাস্তার ওপর বিভিন্ন আনাচকানাচ, একটু বামে কাত, একটু সাইডে নিজের নাকটা ঢুকিয়ে দেয়া, এসব নিয়ে উত্তেজনাপূর্ণ কিন্তু নীরব মানসিক লড়াই চলতে থাকে। কদিন আগেই এক বন্ধু এসেছে ইউএসএ থেকে, সে সেখানে গাড়ি চালায় পাঁচ বছরের ওপরে। বললাম, ঢাকার রাস্তায় গাড়ি চালাবে নাকি? জবাবে সে দাঁত বের করে উত্তর করল, আমার কোনো ওস্তাদি এখানে খাটবে না! তোমার বাসা থেকে গাড়ি চালিয়ে আমার বাসা পর্যন্ত আসতে আমি কমপক্ষে দশবার অ্যাক্সিডেন্ট করব ফর শিয়োর!
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
........
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
গুগল ম্যাপেও ধরা খাওয়ার কাহিনী আছে আমার। আর জিপিএসকে আসলেই পুরা বিশ্বাস করা উচিত নয়। শামীম ভাই অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন বলে উনাকে ধন্যবাদ।
--------------------------------------------------------
চোরাই ম্যাপতো,,,, যা হবার তাই হইছে....হা হা হা...
আমি তো মোবাইলে গুগল ম্যাপ লাগায়া আরামসে বাইক চালাই। প্যারিসে এখনো মুসিবতে পড়ি নাই
নতুন মন্তব্য করুন