সময় এক বৃদ্ধ লোক খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলে। পায়ে বল নেই তাই হাতে লাঠি। দৌড়াতে পারে না, হেলে দুলে বিশ্রাম নিয়ে চলে। ঘাড়ে ঝুলানো বোচকায় ফুটো। দুঃখের বড় বড় চাক সহজেই ধরে, থেকেও যায়। সুখের ক্ষুদ্র নুড়িগুলো ফুটো দিয়ে পড়ে যায়। অথবা বৃদ্ধ চোখে কম দেখে, এমনকি বড় নুড়ি কুড়োতে যেই না উবু হয়, ছোট সুখের কণাগুলো গড়ে পড়ে যায়। সুখী মনে গন্তব্যে যাওয়া হলো না বুঝি বুড়োর।
না, সময় তরুণ হবে। দ্রুত দৌড়াচ্ছে। এদিক সেদিক তাকানোর জো নেই। চিন্তায় কোন গভীরতা নেই। হোঁচট খেতে গিয়ে যা পাচ্ছে তাই তুলে জেবে ভরে ধাবমান। গন্তব্যে যাওয়ার তাড়া, তাই সুখে না দুঃখে তা হিসেব করার ভার নেই।
ভুল কথা। তরুণ দ্রুত দৌড়াতে গিয়ে হয় উল্টে পড়েছে, অথবা বৃদ্ধ ক্লান্ত হয়ে মিইয়ে গেছে। দুজনেরই অপেক্ষা কেউ এসে কাধে না হোক হাতে হাত দিয়ে দাঁড়া করিয়ে দেবে। বোচকায় বা জেবে কী আছে তা দেখার কৌতুহল কার!
সাগরে স্রোত কোথায় শুধু বড় ঢেউ। নদীতে ঢেউ কোথায় কেবলি স্রোত। সময় ঢেউয়ে দুলতে চায়, আবার স্রোতের মত আবছে চলতে চায়।
ঝড়ের কথা বলাই সার। শুধুই শব্দ। বাতাস তো থাকবেই, সব মরা পাতা, যা পড়ে ছিল ঘাসের উপরে ধাবিয়ে নিয়ে নালায়। নালায় কী জ্বালায় পড়ে রইল এক কৌটো। মধ্যে কী সিঁদুর না সুখ কে জানে! জানার আগেই তা তোড়ে গিয়ে গড়াল সেই সাগরের বড় বড় ঢেউয়ে। আর বুড়ো ও তরুণ আশায় সেই যে বসেছিল, ঝিমুনি এসেছিল আর জাগল না।
সংক্রমণ ছাড়া এ কাহিনীর লেখকের সাথে আমার কোন যোগাযোগ ছিল না।
সন্ন্যাসী দা: সেই আলমগীরের সাথে মতবিনিময় হয়েছে এবং জানা গেছে ইউক্রেন কী ইস্ট-ইউরোপের কোনদিকে যাওয়ার হাঁটু কী খাড়ু অবধি সম্ভাবনাও নাই।
ধুসর গোধুলি: সেই নির্ভীক অতিথি কি নিয়মিত আতিথ্য নিচ্ছে নাকি পাকা আসন গেড়েছে? হাতি-মার্কা পোস্টের জন্য মোঢিমু গালি খায়, আর 'বধুয়া'তে কয়টা এন্টার দিলে হিপো কি রাইনো হয়ে যায়। গান লেখেন, কিড়া কাইটা কইতেছি পারবেন। এখন একটা সুযোগ।
সাদাত শিমুল: পিজা সবসময় খাই না, সবাইরে খাওয়াতেও পারি না। কনফু যে কী খাওয়ায় সেটা কিন্তু চাইপা যায়। তারে চাপ দিয়া ধরেন, পিজা না বার হইলেও অনেক আশুনা কথা বার হইব।
ফারভেইচ্চা তার বাপের কথা শুনে নাই, তওবাও করে নাই। হাতে নাতে ফলাফল পাইছে। শেষদিন গ্লাসে একটা চুমুক দিয়া একটা টেনিস বলরে পিটায়া, ফিল্ডিং করতে গিয়া, একটু জোশে পইড়া, একটু অসতর্ক হইয়া পিছলাইয়া পড়ছে। প্রিয় বাম-পাছা, দুই হাতের কনুই আর ডান হাতের তালু ক্ষয় হইয়া গেছে। কারণ পিছলাইয়া যেখানে পড়ছিলাম সেখানে ছোট ছোট নুড়ি ছাড়া কিছু ছিল না।
মন্তব্য
প্রথম অংশ ভাল লাগল খুব।
সময় চলে যাচ্ছে, এরচেয়ে বড় দুঃখ আর কী হতে পারে! তবে আপনিও এরকম মন খারাপ করা ছোঁয়াচে লেখা শুরু করলেন!
পরের অংশ বুঝি নাই, তবে এইটুকু বুঝসি- আমার বোঝার কথাও না!
কৌটোর ভেতর কী পেলেন, জানায়েন পরে...
কৌটো খোলার সাহস হয় না কারো।
নুড়িই কুড়িয়ে নিতেন কয়টা... মহাজ্ঞানীরা তো নুড়ি কুড়ায় শুনি...
আপনার টেকনিক্যাল অটেকনিক্যাল সব লেখাই আজকাল মাথার উপর দিয়া যাইতেছে। তবে কবিতাটা বুঝছি... আপনে মাঝে মাঝে কবিতা লেইখেন...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
লেখুম। তখন আর থামাইতে পারবেন না। তবে এই লেখাটা কিন্তু কবিতা/প্রবন্ধের মাঝামাঝি।
অনুভব করলাম লেখাটা।
অসাধারণ চিত্রকল্প।
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
কী কয়! আমি তো একটা কিছু প্র্যকটিস করতেছি
বড় নুড়ি কুড়োতে যেই না উবু হয়, ছোট সুখের কণাগুলো গড়ে পড়ে যায়।
চমৎকার !
প্রথম অংশটুকু আমাদের আম পাঠকদের জন্য।
কাজেই ওটুকুই বুঝলাম। বাকিটা...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
যে তিনজনের নাম নিয়েছি তাদের কাছে দেনা ছিল। স্ব স্ব লেখায় গিয়ে শোধ না করে এখানে একসাথে দিলাম। চোখে পড়বে।
যে অংশ বোঝাতে পারি নাই: গিয়েছিলাম নিউ জিল্যান্ড, দুই সপ্তাহের জন্য। ফেরার আগের দিন বিকালে ঝোঁকের বশে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে বেগতিক ব্যথা পেলাম।
পারভেইচ্চার উপমা আসছে স্নিগ্ধাদির জন্মদিনের পোস্টে। এটা একটা গান, ভাল গান। শুনলে পুরো ঘটনা বোঝা যাবে।
গানটা সত্যিকারের ঝাকা নাকা। এদের দরকার সচলায়তনে, আমার না। গায়ককে লাল সেলাম।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
- আলমগীর ভাই, লেখাটা পড়ে একটা কবিতার কথা মনে হৈতেছিলো। "টাইম ইউ ওল্ড জিপসী ম্যান"! নাইন-টেন নাকি ইলেভেন-টুয়েলভ এ পড়েছিলাম!
আমাকে উদ্দেশ্য করে কথাটা না আমি বুঝি নাই। তবে বাকী দুইজনেরটা বুঝছি।
গান লেখুম আমি? কোথাও মনে হয় মিলাইতে ভুল করতেছেন। নির্ভীক অতিথি নিয়ে টেনশন নাই। আপাততঃ ডেল কার্ণেগীর মতো টেনশনহীন জীবন যাপন করতে চাই! আর কতো, আইজকা মরলে কাইল বাদে পড়শু তিনদিন! "বধুয়া"র সাইজ কি খুব বড় বলতে চাইলেন?
গান নারে ভাই। আমি শ্যুট করুম ভাবতাছি। পুলাপান কালের শখ! বধুয়াটারে নিয়া চিন্তা কর্তাছি, দেখি নজু ভাই কী কয়! আমি এই লাইনে নামলে তো আবার হেয় সেন্টু খাইতে পারে।
বাই দ্য ওয়ে, বধুয়াতে আপনার একটা মন্তব্য ডিউ আছে। বলেছিলেন "লেখা" পড়ে আবার মন্তব্য করবেন! গান নিয়া সেই যে ভাগা দিলেন, আর আসেন নাই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
খোদার কসম: তিনটা পয়েন্ট লিখব, দুইটা লেখছি আর আগুনশিয়াল ক্লোজ মারছে। মেজাজ খারাপ করে স্থগিত রাখছি। করব, দেখবেন আগামী পরশুর পর তিনদিনের মধ্যেই করব।
একটা চেষ্টা দেন। কোত কোত করলে কিছু একটা বের হবে। সিরিয়াসলি, এখন আপনের গান লেখার সময়।
- আগুনহিয়ালের আর কী দোষ, এতো হার্ড টাইম দিয়েন না বেচারারে!
বল কেলতে গিয়া টৈয়ার হওয়া আপনের *ক্ষত' অচিরেই ঠিক হয়া যাক। এইভার তওবা করেন রে ভাই!
তিন দিন, খাড়ান ক্যালেণ্ডারে দাগাই গিয়া।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমি আবার কি করলাম... আজিব...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
- আন্নে কিছু করেন ন বদ্দা। করমু আমি। শ্যুটিং-এ নামুম। আপনে যাতে পরে পিডাইয়া মাঠছাড়া না করতে পারেন তার লাইগা জনমত তৈরী কর্তাছি আরকি! কারণ আমি নামলে কোনো নাইকা আর আপনের থাকবো না কইলাম!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সময়ের ফেরে পড়ছেন মনে হয়..
..তবে বধূয়া কিন্তু বেশ সিরিয়াস লেখা ছিল মনে হয়। কী বলেন ধূ.গো. দা?
- হাহাহা
কবি এখানে নীরব, আপনি যখন বললেন, তাই হবে!
সিরিয়াস লেখা হলেও সিরিয়াসলী লেখা হয় নাই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সরি ভাইয়া আমি আপনার এই লেখার কিছুই বুঝলাম না ফারভেইচ্চা কে?
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
পারভেইচ্চার উপমা আসছে স্নিগ্ধাদির জন্মদিনের পোস্টে। এটা একটা গান। শুনলে পুরো ঘটনা বোঝা যাবে।
http://www.youtube.com/watch?v=KaQOF2uqcHU
স্বল্পবুদ্ধিতে যা আন্দাজ করলাম:
(১) আপনার নিউজিল্যান্ড যাওয়ার কথা শুনে, সন্ন্যাসী'দা ওখানকার এমন কারো (হয়ত তাঁর বন্ধু) রেফারেন্স দিসিলেন, যার নামও "আলমগীর", এবং সে ইউক্রেন যাবে কি না সেটা সন্ন্যাসী'দা জানতে চাইসিলেন...
(২) 'অতিথি' বলতে ধূগো'দা'র সেই 'সাইবার লাভার'-এর কথা বললেন মনে হয়...
(৩) কনফু ভাই আর আপনাদের রাজকীয় খানাপিনার কথা শুনে (এবং ছবি দেখে) শিমুল ভাই পিজা খাইতে চাইসিলেন হয়ত আপনার কাছে...
পুরাটাই আন্দাজ কিন্তু...
এইটা কী কইলেন??? এই প্রশ্নটা আমি আমার "নিউজিল্যান্ডবাসী আলমগীরকে" সরাসরি করতে পারতাম না? না! শার্লক হোমসের কাজ আপনাকে দিয়ে হবে না!
অতো আকাশপাতাল চিন্তা না করে কনফুসিয়াসের সাম্প্রতিক একটা পোস্ট স-কমেন্ট পড়ে নিলেই সব "কিলিয়ার হয়া যাবে"।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
এভাবেই আসলে প্রমাণ দিলাম যে আমি নিতান্তই সাধারণ মানুষ, প্যাঁচ-ঘোচ একদমই নাই, তাই আমাকে দিয়ে ভাই আর যা-ই হোক না কেন, শার্লক হোমসের কাজ হবে না
জ্বী স্যার, 'কিলিয়ার' হয়েছে এখন
ঘোর-প্যাঁচ নাই, তাহলে এতো "কুহুতল" কেন?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
- কুহুতল??
হুমমম, তলে তলে এতো কুহু!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
যেই লেখাগুলি বুঝি না সেইগুলিতে ভোট বেশি পড়ে-------কারণটা কি?
লেখা অবশ্যই ভাল-------কিন্তু মাথার উপর দিয়ে গেল।
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........
বাহ । আপনার গদ্য তো চমৎকার ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
লজ্জা দেন কেন রে ভাই?
এই আলমগীর--সেই আলমগীর--ঐ আলমগীর
সময় বুড়া, সময় জোয়ান, নুড়ি পাথর-----
Rhetorical আলমগীর
Philosophical আলমগীর
গীর গীর কে পড়া আলমগীর
'পাগারে' এহন তোমারে চুবানো লাগে দেখছি
সময় নামের সেই বৃদ্ধ ব্যক্তিটি যেন কখনো চট্টলাখন্ডে এসে নুড়ি কুড়াতে না যান, সেই শুভকামনা রইলো ।
হাঁটুপানির জলদস্যু
বেশ
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
নতুন মন্তব্য করুন