ইংরেজী "হোয়াট দি ফ?ক" এর যুতসই বাংলা ধরা যাক, "কস কী মমিন!" নিউজ.কমের একটা বিভাগ হচ্ছে এই "কস কী মমিন"। যদিও তারা শিরোনাম "হোয়াট দি ফ?ক" বদলে রেখেছে "উইর্ড ট্রু ফ্রিক"। সেখান থেকে এবং আরো ভিন্ন উৎস থেকে সংগৃহীত খবরের সার নিয়ে সচলদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে লেখা এ সিরিজ।
সতর্কতা: এ লেখায় অশ্লীলতার নিশ্চয়তা নাই। পড়তে হলে লগইন করতে হবে না।
০১.
পদার্থবিদ্যার গবেষকদের কাছে জার্মানির ম্যাক্স-প্লাঙ্ক ইনস্টিটিউটের নাম অজানা থাকার কথা নয়। চাইনিজ গবেষকদের শ্রদ্ধা জানাতে সম্প্রতি তারা একটা জার্নালের প্রচ্ছদ করার সিদ্ধান্ত নেয় চাইনিজ কবিতা দিয়ে। কবিতা জোগাড় হয়, একজন বিশেষজ্ঞ সেটা পড়েও দেন। কিন্তু প্রকাশিত হবার পর কর্তাব্যক্তিদের কান লাল হওয়ার জোগাড়। কবিতা মনে করে প্রচ্ছদে তারা যা ছাপিয়েছে তা আসলে চাইনিজ নিশীপল্লীর বিজ্ঞাপনের লিফলেট। 'সম্পূর্ণ আমোদের নিশ্চয়তা নিয়ে ক্ষুধার্ত গৃহবধুরা অপেক্ষায় আছে' - এই রকম রসালো সে বিজ্ঞাপনের ভাষা।
এটা নিয়ে অনেক চাইনিজ গবেষক মেজাজ খারাপ করেছে। তাদের মতে, এতে তাদের অসম্মান করা হয়েছে। অনেকে আবার ব্যপারটাকে শ্রেফ মজা হিসেবেই নিয়েছে। বিস্তারিত এখানে।
০২.
প্রতি বছরই ওয়ার্ল্ড ইউয়ুথ ডে হয়। এ ইউয়ুথ ডে মূলত যুব বয়েসী ক্যাথলিক খ্রীস্টানদের মিলন মেলা। গেল বার এ আয়োজন করা হয় সিডনিতে। এ উপলক্ষে অতিথি হয়ে আসেন পোপ বেনেডিক্ট। বিশাল ধর্মীয় আয়োজন।
ইউয়ুথ ডে শেষ হওয়ার আগেই শুরু হয় সেক্সপো- সেক্স ও লাইফস্টাইল মেলা। প্রতিবারই তাতে এক বা একাধিন পর্ন তারকা আসে। এবার এসেছিল বেলাডোনা। ক্যাথলিক যাজকদের যৌন কেলেঙ্কারির কথা সুবিদিত। ইউয়ুথ ডে থাকায় এ নিয়ে আলোচনাও হচ্ছিল বেশ। সমস্যা নিরসনে এগিয়ে এসেছে বেলাডোনা। প্রস্তাব দিয়েছে তাদেরকে মাগনা ডিভিডি সরাবরাহ করার। যদিও চার্চের পক্ষ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া শোনা যায়নি। আমাদের যে সব হুজুর জেহাদি জোশে টগবগ করে তাদেরকে জাসমিনের পক্ষ থেকে সাপ্লাইয়ের একটা প্রস্তাব দিলে মন্দ হয় না।
০৩.
প্রায় সব শপিং সেন্টারেই পয়সা দিয়ে খেলে খেলনা জেতা যায় এমন কিসক থাকে। এরকম এক কিসকের উপর বেয়ে ঢুকে যায় আড়াই বছরের এক ছেলে। খেলনার লোভ কী লোভ! ফলাফল বের হতে না পারা। এ ঘটনা ঘটেছে গত সপ্তায়, অস্ট্রেলিয়ার নর্দান টেরিটরির এক শপিং সেন্টারে। উদ্ধার কর্মীরা যখন ছেলেটাকে উদ্ধারের জন্য তালা কাটছিল, বাবা-মা লজ্জায়, ভয়ে অপেক্ষায়, শপিং সেন্টারের আসা লোকজন তখন তাদের হাসি থামাতে হিমশিম খাচ্ছিল। বিস্তারিত এখানে।
০৪.
বোনাস কৌতুক:
বাবা আর ছেলে মাছ ধরতে গেছে। মাছ ধরার যন্ত্রপাতি তো আছেই, খাবার দাবার হিসাবে বাবা নিয়েছে বিয়ার, সিগারেট, ছেলে নিয়েছে ললিপপ। টোপ ফেলে নৌকায় বসে অপেক্ষা করে, মাছ আর আসে না। বাপে একটা বিয়ারের বোতল খুলেছে।
- এইটা কী জিনিস বাবা?
- বিয়ার।
- আমারে একটা বোতল দাও না।
- তোমার কি দাড়ি-মোছ হইছে?
- না।
- তাইলে তফাৎ যাও।
ছেলে মন খারাপ করে বসে থাকে। একটু পর বাবা সিগারেট ধরায়।
- এটা কী খাও বাবা?
- সিগারেট।
- আমারে একটা দাও।
- দাড়ি-মোছ হইছে তোমার?
- না।
- তাইলে চুপ থাক।
একটু পর ছেলেটা বিরস বদনে একটা ললিপপ চোষা শুরু করে। বাবা কয়,
- এইটা কী খাও বৎস?
- ললিপপ।
- আমারে একটা দেও।
- তোমার কী দাড়ি-মোছ হইছে?
- হ, হইছে তো।
- যাও, বাড়িতে গিয়া কামাইয়া আসো।
(একটা বয়স্ক কৌতুকের দাড়ি মোস কেটে বালক করা হয়েছে)।
মন্তব্য
কি মিয়া আপনার না পড়ালেখা করার কথা?
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
এইটাই শেষ, আর লিখুম না, কমেন্টও করুম না।
কস্কি মমিন!!! (পোয়েটিক কিন্তু )
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
আরে মমিন সা'ব! ভালাছেন্নি!
কীসের পড়াশুনা... আমি এক ঘন্টা আগেও পরীক্ষার কাজ করছিলাম, এই মাত্র হুঁশ হল যে গত এক ঘন্টা ধরে আমি বিশাল এক ব্লগ পোস্টের সচিত্র ড্রাফট করে ফেলেছি। মমিন সা'বেরও মনে হয় একই অবস্থা।
আমার যা বজ্জাতি স্বভাব, পকেটে পয়সা থাকলে হয়তো খেলনার মেশিনে গুঁতাগুঁতি করতাম আর গান গাইতাম, "আয় খোকা আয়!"।
দাড়ি মোছ কেটে বালক করার পরেও শেষেরটা জোশ হইছে...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
আপনার এই গল্প পাঠ করতঃ অতীব আমোদিত এবং যারপরনাই বিনোদিত হইলাম। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
- আপনে পড়াশুনায় মন্দিবেন?
আলমগীর ভাই, আপনে কিংকং-র কথা শুইনেন না। যতো বেশি পড়িবেন, ততো বেশি ভুলিবেন। পড়িবেনও না, ভুলিবেন ও না- বেদবাক্য বলে!
আসেন, নতুন মমিন-দের নিয়া আসেন, আমরা ইট্টু এনজয় করি।
ইয়া হাবিবি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
শেষের টা দারুণ।
ভালো হইছে, তবে গল্পের শেষে আপনার নিজস্ব কমেন্টারি যেগুলো দিয়ে দু'টো গল্পের মাঝে আলাদা করা হয়, সে'গুলোকে মিস করেছি। কস্কি মমিন কিংবা ফাও মারা ঠিক না মমিন টাইপ ডায়ালগগুলি মজার লাগতো।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
জাসমিনের প্রস্তাবকে আমাদের মোল্লাদের কাছে অনতিবিলম্বে পৌঁছে দেবার জন্য আন্তরিক অনুরোধ জানাচ্ছি।
বোনাস কৌতুকটা মজার হইছে। ভাল লাগল।
--------------------------------------------------------
ভাল লাগল
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
গত লেখায় আপনার পড়াশুনার কথা শুইনা বেশ আৎকায় গেসিলাম... তবে কি "কস্কি মমিন!" অফ গেল? তবে বিপুল বিক্রমে এই পর্ব প্রকাশ কইরা আপনি প্রমান করলেন যে পড়াশুনার মত ফালতু জিনিস "কস্কি মমিন!" কে দাবায় রাখতে পারেনা... পরের পর্বের অপেক্ষায়...
বিঃদ্রঃ কিংকংয়ের কথায় কান দিয়েননা...
_______________
এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
কস্কি মমিন!
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
প্লিজ কেউ এডাল্ট লিংক দিবেন না।
এখানে যা আছে, তা সাধারণ পত্রিকায় প্রকাশিত খবর (জি)।
(একটা মন্তব্য ফেলে দিতে হয়েছে।)
কস্কি মমিন
শেষেরটা মারাত্মক!!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইউক্লিড
নতুন মন্তব্য করুন