১. ঝড়ে বক মরে
এপোসল ভেঙে পড়ল, আর তার জোরেই কিনা জিলঙ দল জিতে গেল শেষ কয়েক মিনিটের টান-টান উত্তেজনার মধ্যে। নামে ফুটির জাতীয় লিগ (অস্ট্রেলিয়ান ফুটবল লিগ) হলেও প্রয় ৩০টির মতো দলের সম্ভবত ২৬টিই মেলবোর্ন ভিত্তিক। ফুটির নিয়ম কানুন বুঝি না, কিন্তু শনি-রবি বারে টিভিতে ফুটি ছাড়া দেখার মতো বিশেষ কিছু থাকে না। তাই ফুটির মৌসুমে চোখ-কান বন্ধ রাখা প্রায় অসম্ভব। তার উপর সারা বছর ধরে ফুটি খেলোয়াড়দের নানান কীর্তির কেচ্ছা তো আছেই। কথায় কথায় লোকে বলে, হু ডিজিউ গো ফর দি আদার ডে? একেবারে প্রাথমিক স্কুলের শিশুরা পর্যন্ত ফুটি-টিমের ভক্ত। কিছু না বুঝেও আমার মেয়ে স্কুল থেকে সব টিমের জার্সি এঁকে এনেছে। আমাদের স্থানীয় দল বুলডগস। ইউনি থেকে এই ডগদের ভক্ত বানানো হলো, তিনটা ম্যাচের মাগনা টিকিটও পেলাম। তবু একটাতেও যাওয়া হয়ে উঠল না।
২. মেলা
প্রতিবছর আমাদের খুব কাছে হয় রয়েল মেলবোর্ন শো (মেলা)। কী হয় এখানে? নিশ্চিত জানি না, কারণ ঢুকতেই টিকিট লাগে ২৫ডলারের মতো। তবে বাইরে থেকে বড় বড় স্পিন-হুইল দেখা যায়। পত্রিকা-টিভিতে বিজ্ঞাপনও দেখায়। মেয়ে স্কুল থেকে প্রতিবছর এই মেলায় যায়। প্রত্যেক স্কুলেই সম্ভবত এরকম বেড়ানোর ব্যবস্থা আছে। মেলায় বড় একটা আকর্ষণ হলো, গরুর দুধ কেমনে দোয়ায়, ভেড়ার লোম কেমনে ছাড়ায়, কাঠ ক্যামনে চেলা হয় এইসব ফার্মিং এক্টিভিটিস। আর মেলা শেষে ফেরার সময় অবশ্য অবশ্যই কেনা চাই একটা শো-ব্যাগ।
এই থলের মধ্যে যা ইচ্ছা তাই থাকতে পারে। চকোলেট, লজেন্স, ললিপপ, সুপারম্যান, স্পাইডারম্যান, আর দুনিয়ার রাজা-রাণী সম্বলিত টুকিটাকি। আমার মেয়ের পরী হওয়ার শখ, তাই কিনে আনছে একটা ফেইরি শোব্যাগ। এর মধ্যে দেখলাম ডানা, পাখনা, মুখোশ আর হাতব্যাগ। আরো একটা জিনিস ছিলো, নাম তার নিডলপয়েন্ট। প্লাস্টিকের জালির মতো চারকোনা ফ্রেমটাতে একটা মুখের ছবি আঁকা। উলের সুতা দিয়ে ক্রসস্টিচে অ্যামব্রয়ডারি করতে হবে। মেয়ের জেদ; মা করলে চলবে না, বাবারই করা
চাই। দুইদিন বসে বসে এই সূচিকর্ম করলাম। খুব একটা খারাপ হয় নাই। আরো একটা কথা, এখানে শিশুদের বড় হয়ে উঠার মধ্যে মেলবোর্নের এই শোতে যাওয়া একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ, পরে জেনেছি।
৩. কী আমার নামের বাহার, তমিজ করে বলো দুইবার
পড়াশোনায় মন ফিরে আসছে, গোপন রহস্য কী? এ প্রশ্ন ছিল স্নিগ্ধাদি আর অনিকেতদার। কপিলের বুস্টের কথা বলেও লাভ হলো না, আসল কারণ জানা চাই। আসল কারণ হলো, আমি এখন গেম খেলি । নিনটেনডো ডিএস নামের এ ছোট্ট জিনিসটা যে এত শক্তিশালী তা আমার ধারণাতেও ছিলো না। চিঠির বাক্সে কে-মার্টের এক ক্যাটালগ দেখে আমার মেয়েই একদিন জেদ করে বসে, অমুক গেমটা কিনে দাও। তখনও তার ধারণা ছিল না, গেমটা কম্পিউটারে চলবে না, চালানোর জন্য আবার ছোট্ট আরেকটা কম্পিউটার কিনতে হবে। প্রথম প্রথম ভয় পেত, মারামারি আছে; আবার মজা পেত ছবি আঁকার ব্যাপার আছে। তাকে সাহস দিতে গিয়ে আমি নিজেই মজা পেয়ে যাই। এখন ডিএস কে খেলবে এ নিয়ে মাঝে-মধ্যে মেয়ে-বাপে 'আর্গুমেন্ট' করি।
ডিএসের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ফ্লাশ-কার্ট পাওয়া যায়। দেখতে আর দশটা গেম-কার্টিজের মতোই। তবে ফ্লাশ-কার্টের পেছনে মেমরি-কার্ড ঢুকানোর একটা জায়গা থাকে। সেখানে ২গিগার একটা মাইক্রোএসডি কার্ডে কয়েক ডজন গেম রাখা যায়। ডিএস অন করলে প্রথমেই ছোট-খাট একটা অপারেটিং সিস্টেম চলে আসে, সেখান থেকে পছন্দের গেম খেলা যায়। এখন খেলছি মাদাগাস্কার ২। মুভিতে আছে কিনা জানি না, এ গেইমে 'মটো মটো' নামে একটা চরিত্রের এই ডায়ালগটা বেশ মনে ধরে: মাই নেইম ইস সো নাইস, ইউ গট টু সে ইট টুয়াইস।
তবে কেবল গেইমই না, রান্নার রেসিপি, বুদ্ধি বাড়ানোর জন্য ব্রেইন ট্রেইনার, সুকোডো, এমনকি মিউজিকের ইয়ার ট্রেনিঙএর জন্য চমৎকার প্রোগ্রাম আছে। বুদ্ধি করে এতে এমপিথ্রি গান, ভিডিও সবই চালানো যায়। আমার মতে, আইফোন আর এই নিনটেনডো ডিএস হচ্ছে দুটি অসাধারণ বহুমুখী কাজের গ্যাজেট।
৪. দ্রোহীর বিয়ে
শনিবার ছিল দ্রোহীর দ্বিতীয় বিয়েভাত (দ্বিতীয় বিয়ে উপলক্ষে কোন ভাত না, বিয়ে উপলক্ষে দ্বিতীয় ভাত।) সন্ধ্যা সাতটার সময় হওয়ার কথা থাকলেও, সময়মতো গিয়ে দেখি আমরা ছাড়া আর অল্প কয়েকজন অতিথি এসেছেন মাত্র। দ্রোহী দম্পতি তখনও মাঞ্জা দেয়ায় ব্যস্ত। একঘণ্টা পরে তারা আসলেন, কিন্তু দ্রোহী বিমর্ষ। ভাড়া-করা আর পাড়া-ঘোরা মিলিয়ে তার পঁয়ত্রিশজন শালী। কিন্তু একজন ছাড়া আর কেউই আসেনি।
শালীর কথা শুনলেই নাকি দ্রোহী ফস্কায়া যায়। এজন্য আসল ঘটনা অনুসন্ধানে কনফুর উপর বিশ্ব থেকে চাপ ছিলো। তাই খুঁজে খুঁজে সেই একমাত্র শালীকেই বের করা হলো। কিন্তু ছবি তুলতে গিয়া দেখা গেল কনফুর ক্যামেরা আপসাইড-ডাউন হয়ে গেছে! ছবি যদিও উঠল কিন্তু সেটা দেয়ার মতো না।
পূজা দেখার জন্য একই রাতে আরেকটা জায়গায় যাওয়ার কথা। তাই অন্ট্রেতে হাত ছোঁয়া দিয়েই দৌড় দিতে হয়।
৫. গান-বাজনা, খানা-পিনা সব শেষ, পড়ে আছে কেবল চার-পিস সন্দেশ
এর আগে কখনও সুযোগ হয়নি মেলবোর্নে পূজা দেখার। এবারই প্রথম; গেলাম ওকলিতে। যেতে যেতে রাত তখন বাজে প্রায় ১০টা। ততক্ষণে, গানবাজনা, খানাপিনা সব শেষ। আমাদের জন্য পড়ে আছে কেবল চার টুকরা সন্দেশ। সেই সন্দেশের স্বাদের চেয়েও বেশী মুগ্ধ করেছে হোস্ট অভিজিত-প্রিয়াঙ্কার আতিথেয়তা। এ লেডি স্ট্যাচু উইথ টেন হ্যান্ডস, এন্ড শিস গট এ স্পিয়ার ঠু - এটাই ছিলো আমার মেয়ের অনুভুতি।
৬. শিল্পীর আনাগোণা
মহাজোট ক্ষমতায় আসার পর এ বিষয়টা খুবই খেয়াল করছি। প্রতি সপ্তাহে না হোক প্রতি মাসেই বিদেশী শিল্পীরা বিশেষ করে ভারতীয় শিল্পীরা গান গাইতে যাচ্ছেন বাংলাদেশে। বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দাবস্থায়ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শিল্পীদের ট্যুর কমেনি বরং বেড়েছে। এসি/ডিসি প্রায় ৮বছর পর অস্ট্রেলিয়াতে কনসার্ট করেছে। টিকিট ছাড়ার ৪ ঘণ্টার মধ্যে তা বিক্রী শেষ হয়ে যায়। হওয়ার কথা ছিলো একটা, শেষে হলো ৪টা কনসার্ট, তবু টিকিট অপ্রাপ্তির হাহাকার কমেনি। ২০০ ডলারের টিকিট শুনেছি ইবেতে ৮০০ ডলারে বিক্রি হয়েছে। পঁচিশ বছর পর অস্ট্রেলিয়াতে কনসার্ট করতে এসেছিলেন পল সাইমন-আর্ট গারফাঙ্কেল যুগল। প্রতিটা শোই ছিল সেলআউট। সবচে সস্তা টিকিটের দাম ছিলো ১২৫ ডলার। এই কনসার্টটায় যাবার খুব ইচ্ছে ছিল। যেতে না পারার আক্ষেপটা বহুদিন থাকবে। দেশের কথা বলতে গিয়ে এগুলো টানার হেতু হলো, এই মন্দার মধ্যেও মানুষ গান শোনে।
তবু হঠাৎ করে ঢাকা শহরের নাগরিক কেমনে করে আর্থিকভাবে এত স্বচ্ছল হয়ে গেলো যে প্রতি মাসেই, বা পক্ষেই কনসার্টে যাবে তা মাথায় ঢুকে না। আরও ঢুকে না, এ কয় মাসে কেন স্থানীয় শিল্পীরা তেমন কিছু করেননি বা করার সুযোগ পাননি (কেবল পঙ্কজ উধাসের সাথে ইভা রহমান, আর রুনা লায়লার সঙ্গে চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠের কয়েকজন ছাড়া)। কারা কারা বাংলাদেশে গেলেন এর মধ্যে? মান্না দে, হৈমন্তী শুক্লা, নচিকেতা (দু'বার সম্ভবত), অলকা ইয়াগনিক, ইন্ডিয়ান আইডলের কয়েকজন, শান, সনু
নিগম, আতিফ এসলাম (পাকিস্তানের), পঙ্কজ উধাস, ... আইটেম সং নৃত্যশিল্পী (নাকি নর্তকী?)... । জামাই সুমন যাবেন তারিখ পড়েছে।
মন্তব্য
ঢাকার শিল্পীরা তো ঢাকায় থাকে না। করবো কী? তারা সব এখন আন্তর্জাতিক টুর নিয়া ব্যস্ত। প্রতিমাসেই একাধিক টিম যাচ্ছে লন্ডন আমেরিকা দুবাই অস্ট্রেলিয়ায় শো করতে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
খবরের কাগজে তো দেখি না। অস্ট্রলিয়াতে সাম্প্রতিক কালে বারী সিদ্দিকী আর রেজোয়ানা বন্যা ছাড়া কেউ আসেনি। ব্যান্ডগুলা কী করে? এরাও কী বিদেশ ট্যুর মারে?
৩ আর ৫ নম্বরের শিরোনাম অনেক ভালো হইসে , স্যার । বিশেষ করে ৫ নম্বরটা পড়ে তো সঞ্জীব চট্টপাধ্যায়-এর কথা মনে পড়ে গেল। নিডলপয়েন্ট-এর সূচিকর্মও অনেক ভালো হইসে, মামণির নিশ্চয়ই অনেক পছন্দ হইসে ।
" তবু হঠাৎ করে ঢাকা শহরের নাগরিক কেমনে করে আর্থিকভাবে এত স্বচ্ছল হয়ে গেলো যে প্রতি মাসেই, বা পক্ষেই কনসার্টে যাবে তা মাথায় ঢুকে না। "----- ঢাকা শহরে অন্তত ৫% মানুষ (যাদের টার্গেট করে যমুনা ফিউচার পার্ক বানানো হয়েছে) যাদের কোনোদিন টাকার অভাব হবে না। তাই কনসার্ট হতে কোনো সমস্যা নেই।
আর দ্রোহী ভাই তো এহন ব্যস্ত থাকবো, মনে হয় ব্লগে আসার সময় পাইবো না, তো তার লগে দেখা হইলে আমাদের মত অ-জীবিতদের দলে আসার জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানাইয়া দিয়েন।
মো: মোস্তাফিজুর রহমান (রাজিব)
ওরফে
রাজিব মোস্তাফিজ
সচলে স্বাগতম রাজিব। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
আজকে এই লেখাটা পড়ে সবচে মজা পেলাম। বিষয়ের বৈচিত্র্য আছে- ঠিক সংবাদপত্রে মজার খবর শিরোনামের মতই...
ভাল্লাগসে। ... ইয়ে, দ্রোহী ভাইয়ের তরফ থেকে ছবি দিতে নিষেধ আসিলো নাকী ?? !!
---------------------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
ধন্যবাদ।
আমি অন্যের ছবি দিতে কিছুটা অনিচ্ছুক।
১. এপোসলগুলো ভেঙ্গে যাচ্ছে? আহা। অবশ্য দু:খ করার কিছু নেই। সমুদ্রের ঢেউয়ের আঘাতে পাহাড় ক্ষয়ে আবার নতুন এপোসল তৈরি হবে।
প্রথমবার দেখেই ফুটি খেলা আমার ভালো লেগে যায়। আমার কাছে এখনও মনে হয় রাগবি এমনকি বাস্কেটবলের চেয়েও ফুটি অনেক বেশি আকর্ষণীয়। এই খেলাটা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় করে তুলতে কেন অস্ট্রেলিয়া পদক্ষেপ নেয় না - তা বুঝি না।
২. রয়েল মেলবোর্ন শো-তে গিয়েছি।আমার ধারণা ছিল পুরো মেলবোর্নের লোকই এই শো-তে যায়। কিন্তু ২৫ ডলার টিকেট হওয়াটা কেমন বড় বেশি বাণিজ্যিক মনে হচ্ছে। এটা মূলত: এগ্রিকালচারাল ও ফার্ম শো। কীভাবে চাষাবাদ আর ফার্মের কাজ চলে তার সাথে শিশুদের পরিচিত করানো একটা বড় উদ্দেশ্য। যাতে তারা বড় হয়ে না বলে - মুরগি থাকে ফ্রিজে আর আপেল পাওয়া যায় দোকানে।
এই শো-তেই প্রথম দেখেছিলাম লামা প্রাণীটিকে। আর মুরগির খাঁচায় দেখেছিলাম ৩০০ জাতের মুরগি। বেড়ালের মত দেখতে মুরগি থেকে শুরু করে এমন কিম্ভুতকিমাকার মুরগি দেখেছি যে নেমপ্লেট লাগানো না থাকলে এসবকে মুরগিই মনে হতো না। তবে আমাদের পরিচিত মুরগিকে খুঁজে পেয়েছিলাম ইন্ডিয়ান মুরগির খাঁচায়।
৩.
কিন্তু নিনটেনডো ডিএস কীভাবে আপনাকে বুস্ট করলো তা বললেন নাতো।
৪.
কনফুর ক্যামেরাও কি শালী আন্দোলনে সামিল হয়ে গেলো। নাহলে আপসাইড ডাউন হলো কী করে?
৫.
পূজা দেখতে আমরা সম্ভবত: সেন্ট কিলডায় একটা মন্দিরে যেতাম। তবে মাটির প্রতিমার চেয়ে বৌদিদের সাজগোঁজই অনুষ্ঠানের আসল আকর্ষণ ছিল।
৬.
খুব খুব গান-পাগল না হলে কনসার্টে গিয়ে তেমন মজা করা যায় না। সবগুলো গান যদি প্রায়-মুখস্থ থাকে এবং মিউজিকের তালে বিরতিহীন নাচতে যদি বিপুল আগ্রহ থাকে তবে কনসার্টের মজা ষোলআনা আদায় করা যায়।
এমসিজি-তে দেখা মাইকেল জ্যাকসনের কনসার্টটা দেখার জন্য নিজেই নিজের পিঠে হাত বুলাই। কী ছিল না সেই কনসার্টে। নানারকম বৈজ্ঞানিক সুবিধা ব্যবহার করে মঞ্চে অবিশ্বাস্যরকম ম্যাজিক, ভিজ্যুয়াল ডিসপ্লে, অকল্পনীয় কোরিওগ্রাফির নাচ, উপস্থাপনা ও গান পরিবেশনার নাটকীয়তা। কিন্তু সামনে পেছনের টিনেজ দর্শকদের বিরামহীন চিৎকারে কোনো গানের বড় জোর দু'টি লাইন ঠিক-ঠাক শুনতে পেরেছি। পুরো স্টেডিয়ামের দর্শক-শ্রোতা কোরাস গেয়েছে মাইকেলের সাথে।
আফসোস না করে পছন্দের কনসার্ট দেখার জন্য টিকেট জোগাড় করে ফেলেন। দরকার হলে স্পন্সর খুঁজে বের করেন। তাও দেখেন।
নানারকম স্মৃতি জাগিয়ে তোলার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
শোহেইল ভাই
১. নতুন হবে কিনা জানি না, হলেও বহু বছরের ব্যাপার। ফুটিতে ভায়োলেন্স মাঝে মাঝে সীমা অতিক্রম করে যায়- এজন্য ততটা ভালো লাগে না।
২. শোতে বাচ্চাদের যাওয়া মাস্ট। টিনএজাররাও যায়। পুরোটাই বাণিজ্যিক। নিখরচায় ফার্ম দেখতে চাইলে, ব্রিমব্যাংক পার্ক লাগোয়া হর্স-শো-বেন্ড ফার্ম খুবই ভাল। গেছেন কিনা জানি না।
৩. ডিএস খেলি, আর পড়াশোনা করি। ক্যাচালে নাই
৪. একথাটা সত্যি। কনফু শালীর সন্ধান করছিলো (কার জন্য জানি না), আর তার ক্যামেরার এলসিডিও আপসাইড ডাউন, লেফট সাইড রাইট হয়ে গেছে (অবশ্য আগেই)। বাকীটা গালগল্প।
৫.
৬. কনসার্ট যেটা দেখার শখ ছিলো চলে গেছে আর কোনদিন আসবে কিনা সন্দেহ।
----
আজকে সচলে হানাহানি দেখে একবার ভাবছিলাম সব লেখা মুছে দিয়ে বিদায় নিই। আপনার মন্তব্যটা আবার ফিরিয়ে আনল। ভাল থাকুন, এসব হয়তো আমারও একদিন স্মৃতি হয়ে যাবে।
আমার বউ শ্বশুড় জিলঙের পাঁড় ভক্ত। ঐ টিমের জার্সি ক্যাপ ইত্যাদিতে ঘর ভরে গেছে। তিন বছরে দুইবার ক্যাটসরা জেতায় তাদের আনন্দ রাখার জায়গা নাই।
আমার যদিও ফুটি একেবারেই ভাল্লাগেনা।
জিলং এবারেও জিতছে!
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
জিলং ক্যাটস আমার প্রিয় দল গত কয় বছর ছিলো ব্রিসবেন লায়নস- যেদিন থেকে জিলং ক্যাটস জিতলো সেদিন থেকে ওরাই, আর ফুটি অতি অ -মানুষিক পুরুষালী খেলা তারপরেও খোদ মেলবোর্নিয়ান হয়ে ফুটি টিম না থাকাটা মুসলমান হয়ে মুসলমানি না করার মতো বলে ক্যাটসকে বেছে নিয়েছি। এবার ক্যাটস কিন্তু দারুণ লড়েছে! ওদের কোচটা বুড়ো হলেও বেশ দেখতে ! তবে কী'না অতিরিক্ত মাংসল মাসল আর কতক্ষণই বা দেখা যায়
কোচের ছবি
আমি বেশি খোঁজ খবর রাখতে পারি না। আমার প্রফেসর বলল, কোচ ব্যাটা নাকি বেশ ভাল।
আমার ক্যামেরা আসলে ঠিকই ছিলো। আসল কাহিনি হলো, আলমগীর ভাই আমার ক্যামেরাকে খারাপ প্রমাণের আপ্রাণ চেষ্টা করছিলেন কেন জানি। একটু পরে নিজের ক্যামেরা হাতে ঘুরঘুর শুরু করলে পরে বুঝলাম ঘটনা।
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
ভালো লাগলো পড়ে, সিরিজ থামাবেন না। রোজকার কতো কথা থাকে, লিখুন না।
এইটা সবচাইতে জোস হইসে----
ভাল লেখা ---ঝরঝরে একটা রোজ-নামচা----
আসতে থাকুক বস
- অস্ট্রেলিয়াতে প্রথম পা রাখার সপ্তা খানেক পর দেখলাম সবাই বেশ জোরেশোরে বলাবলি করতেছে আজকে ফুটবল খেলা আছে। অস্ট্রেলিয়া ভার্সেস কে জানি! তো আমরাও আটঘাট বেঁধে তৈরী হয়ে গেলাম ফুটবল খেলা দেখবো বলে। টিভি সেটের সামনে বসলাম যথাযথ ভাব গাম্ভীর্য নিয়ে। কিন্তু খেলা যখন শুরু হলো তখন বুঝলাম আসল কাহিনী। এই শালারা ফুটিকেই বলে ফুটবল। আর আমরা খাই রামছ্যাঁকা!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নতুন মন্তব্য করুন