ইন্টারনেটে বাংলা ব্লগে, ফোরামে দেশের যে ব্যক্তিটিকে নিয়ে সবচেয়ে বেশী আলোচনা সমালোচনা বাদানুবাদ হয় তিনি হচ্ছেন ড. জাফর ইকবাল। তিনি আমেরিকায় কী করেছেন, কীসে পাস করে কীসে প্রফেসর হয়েছেন, পাব্লিকেশন কী করেছেন, কার কার লেখা চুরি করে সায়েন্স ফিকশন লিখছেন, দুর্নীতি করে কাকে চাকুরি বঞ্চিত করলেন, ভারতের দালালী করলেন, আওয়ামী লিগের চামচামি করলেন, টিপাইমুখ নিয়ে কিছু বললেন না, শিক্ষানীতি থেকে ধর্ম তুলে দিচ্ছেন, তার নানা রাজাকার -- এমন কোন ইস্যু নেই ড. জাফর ইকবালের নাম আসে না।
তাকে নিয়ে যত অপপ্রচার দেখেছি, তার অধিকাংশই জাশির লোকজনের। তবে মাঝেমধ্যে হিসাব না মিলানো প্রগতিবাদীও দেখেছি দু'এক জন। আর এসব অপপ্রচারের উত্তর দেয়ার অলিখিত দায়িত্ব নিয়েছিল তার কিছু ছাত্র; নিজেদের নাম প্রকাশ করেই। আবার হঠাৎ হঠাৎ ছাত্র দাবী করে বিরূপ লেখাও দেখা যায়, যদিও নাম-পরিচয় দাবী করলে তারা চুপসে যায়।
ড. জাফর ইকবালকে নিয়ে যে কোন ধরনের লেখায় আমি কেবল পাঠক হয়ে থেকেছি। (একমাত্র ব্যতিক্রম সাস্টের সিএসইর নিজস্ব ফোরাম আর এই সচলায়তনে বজলুর রহমান নামে এক ভদ্রলোকের একটা মন্তব্য)। আমার এই নিষ্ক্রিয়তার কারণ হলো-
আমি নিজে তার ছাত্র ছিলাম, তারপর সহকর্মী। কেবল সহকর্মী বললে ভুল হবে; একান্ত সহকর্মীই বলা যায়। পাঁচ বছরের বেশী ধরে চাকুরিকালে প্রচুর কাজে সঙ্গী ছিলাম, তিনি ছুটিতে গেলে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্বেও থাকতাম। তার বাসায় যেমন আমার নিজের যাতায়াত ছিলো, আমার বাসাতেও তিনি এসেছেন। এখনও ফোনে, মেইলে যোগাযোগ হয়। এই যখন অবস্থা, তখন স্বভাবতই তার সম্পর্কে আমার কোন বক্তব্য নির্মোহ হবে না। আমি কোন কিছু বললেই যে কথাটা আসবে, 'আপনে তার অমুক আপনে তো এটা বলবেনই।'। (এই বোধটা এসেছে ওই যে আগে সাস্ট ফোরামের কথা বললাম সেখানে কথাবার্তার পরিপ্রেক্ষিতে।)
এই পোস্টটা লেখার আগে তাই বহুবার ভাবলাম। তাকে নিয়ে প্রচলিত সব কথার পয়েন্ট বাই পয়েন্ট উত্তর দেয়া যায়। তবে নিরুত্তর থাকাটাই নিজের কাছে শ্রেয় মনে হয়। তবু যে কারণে এ লেখা তা হলো সম্প্রতি ওয়েবে আসা একটা ভিডিও। ভিডিওটি একটা বাংলা ব্লগে একাধিক পোস্টে এসেছে এবং জাশির জানোয়াররা নিজেদের সুবিধামতো ব্যাখ্যা দিচ্ছে। তাদের কথামতো-
ড. জাফর ইকবাল একটা নাইট পার্টিতে ছেলেমেয়েদের সাথে হিন্দী গানের তালে তালে নাচছে। ভিডিও চালালে দেখা যায় শুধু নাচছে না, একটা মেয়ের কাঁধে হাতও দিচ্ছে।
এই এতটুকু বলে ভিডিওটি ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ভিডিওর লিংক ধরে পাওয়া গেল একটা ফেসবুক গ্রুপ। সেটা নামে "জাফর ইকবালকে জানুন" টাইপ হলেও ওয়াল ভর্তি তিনকোণা ছাগুচিফের সব পোস্ট দিয়ে। সেখানেও কোথাও বলা নেই ভিডিওটি কোথায় ধারণ করা, কে ধারণ করেছে। কারো মতে, ডিপার্টমেন্টের পার্টি, কারো মতে থার্টি ফার্স্ট নাইটের। একই ভিডিও এবার ইউটিউবে চলে এসেছে। বর্ণনার শেষে লেখা আছে:we humbly request our sisters to keep distance from this characterless "teacher"... !!!
ড. জাফর ইকবাল কী বিশ্বাস করেন, কী আন্দোলনের সাথে যুক্ত সেটা সবাই জানে। কে তার শত্রু কে তার মিত্র সেটাও জানে। তবে যে কথাটা অনেকেই জানেন না, তা হলো এত লোকজন থাকতে জাশির জানোয়াররা তাকে টার্গেট করে কেন। এর একটা উত্তর আমার জানা। আমাদের অনেকেই যখন "বর্বর হানাদার বাহিনী ও এ দেশীয় দোসর" বলে নিরীহ বর্ণনা শুরু করেন, বক্তৃতা দেন, তখন জাফর ইকবাল স্পষ্ট করে বলেন, "পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আর দেশীয় রাজাকার যার নেতৃত্বে ছিল মতিউর রহমান নিজামি"। তার মতো নাম ধরে সুনির্দিষ্ট করে আর বেশী কেউ বলেন না। জামাতিদের গাত্রদাহের অনেকগুলো কারণের মধ্যে এটা প্রধান।
ড. জাফর ইকবাল কিশোরদের কাছে তুমুল জনপ্রিয়; তার লেখার জন্য, গণিত অলিম্পিয়াডের জন্য এবং আরো নানা কারণে। তিনি যখন রাজাকারদের বিরুদ্ধে কথা বলেন, তখন সেটা নতুন প্রজন্মের কাছে খুব সহজেই পৌঁছায়। সর্বশেষ বিশ পৃষ্ঠায় যখন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখেন সেটাও বহুজনের কাছে সহজপাঠ্য হয় ও গ্রহণযোগ্যতা পায়। এত কিছু দেখে জানোয়ারদের ভয়তো হবেই। এজন্য ড. জাফর ইকবালকে পচানোর দরকার হয়, সেটা যে কোন উপায়েই হোক। এর সর্বশেষ সংযোজন এই চতুর ভিডিও।
ভিডিওটিতে প্রথমেই আমি দেখি ড. ইয়াসমিন হককে। তিনি পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক; একাধিক মেয়াদে ছাত্রীহলের প্রভোস্ট। সিন্ডিকেট সদস্য ছিলেন, বিভিন্ন কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। ভিডিওতে গানের তালে তালে তিনি হাততালি দিয়ে নাচছেন: বেশী বেশী নাচ বোঝানোর জন্য ক্যামেরাটাকে ঝাঁকানোও হচ্ছে। তার অদূরে, এক থেকে দেড় মিটারের মধ্যেই ড. জাফর ইকবাল, সেই একই কায়দায় নাচছেন। তার সামনে আরেকটা মেয়ে। কয়েক মুহূর্ত পরেই কাঁধে হাত দিয়ে তিনি মেয়েটিকে কাছে টানছেন। এই মেয়েটি আর কেউ নয়, ড. ইয়াসমিন ও ড. জাফর ইকবালের কন্যা ইয়েশিম।
এখানে আমি যা বললাম তা জাশির জানোয়াররা গোপন করেছে। কন্যা ইয়েশিমকে তারা ছাত্রী বানিয়েছে। তাদের মতে, ড. জাফর ইকবাল ছাত্রীদের গায়ে হাত দেয়, চরিত্রহীন লম্পট। শুধু এ অংশটুকুর ক্লিপ বানিয়ে ইমেইলে বিতরণের খবরও আসছে (নিচে কনফুসিয়াসের মন্তব্য)।
কীসের অনুষ্ঠান ছিল সেটা, সেটা হাততালি না নাচ, নাচ হলে সেটা করা ঠিক হয়েছে কিনা, গান হিন্দী না হয়ে বাংলা নয় কেন- এসব প্রশ্ন তুলে ইচ্ছেমতো কথা বলছেন অনেকে। এ নিয়ে কোন নৈতিক/অনৈতিক তর্কে আমি যেতে আগ্রহী নই। তবে যেটুকু তথ্য না জানালেই নয় তা হলো: অনুষ্ঠানটি ছিলো ছাত্রী হলের সংসদের আয়োজনে, হলের ভেতরে। ড. ইয়াসমিন গিয়েছিলেন প্রভোস্ট বলে, আর তার সাথে আমন্ত্রিত হয়ে ড. জাফর ইকবাল আর তাদের কন্যা ইয়েশিম।
ড. জাফর ইকবাল অস্বাভাবিক মিশুক। ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে তিনি প্রচুর সময় দেন। রাস্তায় র্যালি করেন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যান, গাছ লাগান, বন্যায় ত্রাণ দিতে যান। সব সময়ই তার সাথে ছাত্র-ছাত্রীরা থাকে। জামাতিতের কান-চোখ সব সময়ই সজাগ, তাই এসব কিছুর মধ্যেও ষড়যন্ত্র করার উপাদান পায়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে যে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে, উদ্যোগ শুরু হয়েছে তাতে তাদের মাথা ঠিক থাকার কথা না। ড. জাফর ইকবালকে কলঙ্কিত করার কোন চেষ্টাই তারা বাকী রাখবে না।
আরো ভিডিও, ছবি হয়তো অপেক্ষা করছে।
চোখ-কান খোলা রাখা খুব জরুরী।
মন্তব্য
লেখাটার জন্যে অনেক ধন্যবাদ আলমগীর ভাই।
এই ভিডিওটার আরেকটা ভার্শান আমার কাছে গ্রুপ মেইলের মাধ্যমে এসেছে, সেখানে ইয়াসমীন হক এর অংশটুকু কিছুই নেই। শুধু দেখানো যে জাফর ইকবাল নাচছেন এবং কোন একজনকে কাঁধ ছুয়ে পাশে টেনে দাঁড় করাচ্ছেন। এই শেষের অংশটুকু আবার বেশ কবার করে রিওয়াইন্ড করা।
আমি বেশ কবার দেখে একটু বিরক্ত হয়ে মেইল ও ভিডিও দুটাই ডিলিট করে দিয়েছি। তবে একটু হলেও চমকে গিয়েছিলাম বটে, এ কথা সত্য।
এখন পুরো ভিডিওটি দেখে এবং আপনার লেখাটি পড়ে পরিষ্কার হলো, অনেক ধন্যবাদ আবারও।
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
বলা হচ্ছে, তিনি তার নিজের স্ত্রী-কণ্যাকে সঙ্গে নিয়ে এই ড্যান্সে অংশ নিয়েছেন । অতএব এখানে সমালোচনার আর কোন সুযোগ নেই । কি হাস্যকর যুক্তি ! আমাদের বাংলাদেশ - আমাদের জন্মভূমি-মাতৃভূমি বাংলাদেশ- আমাদের সমাজব্যবস্থা - আমাদের মায়াময় শান্তির পরিবারব্যবস্থা .. ভাবেন এই শব্দগুলো আন্তরিকতা নিয়ে.. চক্ষুটা একটু বুজে নিয়ে .. কি ? স্ত্রী-কণ্যাকে নিয়ে তরুনীদের সমাবেশে এই নাচ কি আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সমাজব্যবস্থা সমর্থন করে ? আমাদের আবহমান কালের পরিবারব্যবস্থা কি স্ত্রী-কণ্যাকে নিয়ে হিন্দী গানের সাথে নাচ সমর্থন করে ?
একদম ঠিক!
এখুনি আমার লুঙ্গি পড়ে মালকোচা মেরে এদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষনা করতে ইচ্ছে করছে!
আমাদের সমাজব্যবস্থা কি সমর্থন করে? যতোদূর জানি, বাংলাদেশ বেতারেও হিন্দি গান চলে। আর আবহমানকালের পরিবারব্যবস্থা কি বলে? বউকে বাড়িতে রেখে গাঁজা খেলে জায়েজ আর বউবাচ্চা নিয়ে নাচলে নাজায়েজ? এতে মায়াময় শান্তির পরিবারব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়? স্পেসিফিক কোন অবজেকশন থাকলে সেটার পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলুন। জামায়াতের একঘেয়ে প্রোপাগান্ডার ধোঁয়াটে স্টাইল এখানেও দেখালে তো প্রবলেম।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
Bibek er kotha ,
আপনি পো্স্টটি মন দিয়ে পড়লে বুঝতে পারবেন-- মুহম্মদ জাফর ইকবাল অনুষ্ঠানটির আয়োজক ছিলেন না--ছিলেন আমন্ত্রিত অতিথি--ছাত্রী হলের বর্তমান প্রভোস্টের পরিবারের সদস্য হিসেবে।অনুষ্ঠানটির আয়োজক ছিল ছাত্রীরা-- অনুষ্ঠানে কোন গান বাজবে কোনটি বাজবে না, কোন অংশ থাকবে কোনটি থাকবে না --এটা আমি নিশ্চিত পুরোটাই ছিল ছাত্রীদের সিদ্ধান্ত। আর জাফর স্যারকে যতটুকু চিনি--নিজের পছন্দ অন্যের উপর জোর করে চাপিয়ে দেয়ার মত মানুষ মোটেও উনি নন। তাই অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে হিন্দি গান চলে আসলে তাঁকে অনিচ্ছা সত্ত্বেও শুনতে হয়েছে, আনন্দমুখর পরিবেশে ছাত্রীদের অনুরোধে তাঁকে উঠে দাঁড়িয়ে সঙ্গও দিতে হয়েছে।ছাগু হয়ে না থাকলে এই সহজ জিনিসটি আশা করি আপনি বুঝতে পারবেন।
জাফর ইকবাল বাধ্য হয়ে ছাত্রীদের অনুরোধে নাচে অংশ নিয়েছেন ! .. আরো ফালতু এই যুক্তি ! বরং তার কাছে বড় ধরনের একটা সুযোগ ছিলো্ ওই মুহুর্তটা । তিনি যদি ওই সময়ে স্পষ্টভাবে বলতেন, হিন্দী গান বন্ধ করলে তিনি ভেবে দেখবেন.. উপস্থিত ছাত্রীদের মাঝে অনেক প্রভাব ফেলতো তার এই একটা কথা । তিনি পারতেন, হিন্দী অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে ওই মুহুর্তে দুটো কথা বলতে.. যেটা পজিটিভলি এফেক্ট ফেলতো বড় একটা কম্যুনিটিতে । অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে সূচনা হতে পারতো একটা চমতকার আন্দোলন.. অথচ এই অভিজ্ঞ আর বিজ্ঞ শিক্ষক করলেন তার পুরো উল্টোটা !!!!!
অবশ্যই ফালতু এই যুক্তি !!!
আমাদের শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে আমাদের ভাষা এবং সংস্কৃতির প্রতি। আমাদের কে বর্জন করতে হবে যেকোনো আরবী, হিব্রু, ল্যাটিন, হিন্দী, ইংরেজী বই/গান এবং অন্য ভাষাভাষী/দেশের যেকোনো (জামাকাপড়/কম্পিউটার/.........) জিনিস ।
আসুন ভাইসকল আমরা শপথ নেই যে আমাদের টয়লেট এ টিস্যুর বদলে আমরা আজ থেকে রাখবো মাটির ঢেলা। সবাই বলেন আমিন।
ইমানের জোর নাই। আরো জোরে বলেন......
আমি এক হাজার টাকা বাজি ধরে বলতে পারি এই ব্যাটা বিবেকের ছাও দিনরাত হিন্দি চ্যানেল দেখে, নয়তো পিটিভি দেখে। ইশক কি গালিওমে নো এন্ট্রি-র লিরিক্স তার মুখস্ত।
জনাব হিমু, মাত্র এক হাজার???
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
ওই বেটা সংস্কৃতি চো*ও যে, বলতো বাংলা সংস্কৃতি কি জিনিস ? তোর সংস্কৃতি নিয়ে কোন ধারণাই নাই। বাংলা সংস্কৃতির খুব কম অনুষ্ঠান আছে যেখানে নাচ নাই। আর স্ত্রী-কন্যাকে নিয়ে নাচবে নাতো কারে লইয়া নাচব? তোর বউ বেটি লইয়া ? নাকি তোগ মত রাইতের বেলা কামের বেটির ঘরে গিয়া ওর লগে নাচবো ?
আমারতো মনে হয় তোর হিংসা হইতাছে যে এতোগুলা বালিকার মধ্যে এম্ন একজন সৎ লোক কেন পাঠাইলো, তোর মত লুইচ্চা কেন পাঠাইলো না।।
---নীল ভূত।
হাজার বছরের ঐতিহ্যবাদী সমাজব্যবস্থাটা কী রে ব্যাটা? হাজার বছরের ইতিহাস লৈয়া টানাটানি করো, একটু বলো তো শুনি হাজার বছরের ঐতিহ্য সম্পর্কে তুমি জানোটা কী? ১০১১ সাল থিকা শুরু করবা।
আর স্ত্রী-কন্যারে নিয়ে জাফর ইকবাল নাচলে তোমার সমস্যা কী? তোমার জ্বলে ক্যান? তোমার ঐতিহ্যবাদী সমাজব্যবস্থার কোন জায়গায় চল্টা উঠে কেউ স্ত্রী-কন্যা নিয়া নাচলে?
ছাগল কোনহানকার!
স্ত্রী-কণ্যাকে নিয়ে তরুনীদের সমাবেশে এই নাচ কি আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সমাজব্যবস্থা সমর্থন করে ? আমাদের আবহমান কালের পরিবারব্যবস্থা কি স্ত্রী-কণ্যাকে নিয়ে হিন্দী গানের সাথে নাচ সমর্থন করে ?
সমস্যাটা নাচ নাকি হিন্দি গান, এটা বোঝা গেল না।
যদি নাচের কথা বলেন, বাংলাদেশের পারিবারিক অনুষ্ঠানে যেমন বিয়েতে নিকট আত্মীয়-আত্মীয়ারা বিশেষ করে শালা-শালি-দুলাভাই সম্পর্কিয়রা নাচবেন, রং খেলবেন, এটাই তো স্বাভাবিক। স্কুল কলেজের অনুষ্ঠানে সহপাঠিদের লাফালাফি-নাচানাচিতে সমমনের শিক্ষক শিক্ষয়িত্রীরাও অংশ নেবেন এটাও কি স্বাভাবিক নয়?
আর হিন্দি গানের অসুবিধাটা যদি এটা হয় যে এটি একটি বিদেশী ভাষা, তাহলে আরসব বিদেশী ভাষা নিয়েও আওয়াজ তুলুন। আল্লাহর এতবড় নেয়ামত আমাদের বাংলাভাষা, সেই ভাষাতেই না হয় আমাদের দেশে মাদ্রাসা শিক্ষা বা জুমআ'র খুতবা বাধ্যতা মূলক হোক। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল হয়ে উর্দু নাম না রেখে জামায়াতের নাম হয়ে যাক বাংলাদেশের ইসলামি সংঘ - বা এমন কিছু একটা।
ব্যাপারটি পরিষ্কার করার জন্য ধন্যবাদ, ছাগুরা আমাদের এই নীরবতার সুযোগই নেয়। তবে আমাদেরকে এতো সহজে কি বোকা বানানো যাবে? আমি ব্যাপারটি এখান হতেই জানলাম, গুজবগুলো পড়েই হাসি পেলো, তবে চিন্তা করে দেখলাম--'জামাতিতের কান-চোখ সব সময়ই সজাগ, তাই এসব কিছুর মধ্যেও ষড়যন্ত্র করার উপাদান পায়।'---- এদের ষড়যন্ত্র সমূলে প্রথম ধাক্কায় উৎপাটন করতে হবে।
আর যেকোনো মজার উৎসবের আনন্দে মেতে উঠাটাকে নৈতিক/অনৈতিক তর্কে নেয়ার আতলামী করাটা অদরকারী।
***********************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
"যেকোনো মজার উৎসবের আনন্দে মেতে উঠাটাকে নৈতিক/অনৈতিক তর্কে নেয়ার আতলামী করাটা অদরকারী।"
দারুন বলেছেন তো যা বলেছেন তা ভেবে বলেছেন তো??
Bibeker kotha/khoje ভাই,
আমিও এই বিষয় নিয়ে আপনার মতো দূঃশ্চিন্তায় রাতে ঘুমাতে পারিনি। তারপর সকালে ঘুম থেকে উঠে পবিত্র কোরান খুলে কিছুক্ষন পড়ে এ বিষয়ে ঘাটাঘাটি করতে এ হাদীস পেয়ে গেলাম। দূঃখে মন ভরে গেলেও বেলাজ, বেপর্দা, দোজখের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়ানো এই সমাজকে এ বিষয়ে মাফ করা ছাড়া উপায় দেখছি না।
তবে অন্যান্য সকল বিষয়ে আমি আপনার সাথেই আছি আমৃত্যু। আমরা লড়ে যাবো। বলেন সুভানাল্লাহ।
দুনিয়ার সকলের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। সবাই বলি আমিন।
উত্তর দিতে চাচ্ছিলাম না। কিন্তু চিন্তা করে দেখলাম আমাদের এই নীরবতাকে অন্যরা দুর্বলতা ভেবে নেয়। উনি প্রথমত আয়োজন ছিলেন না।তাই গান সিলেকশন ওনার হাতে ছিলোনা। দ্বিতীয়ত, হিন্দি অপসংস্কৃতি নিয়ে যারা লাফালাফি করে তাদেরকেই আমি ফ্রেঞ্চ বা জার্মান ভাষায় দুই এক শব্দ বলতে পারা মানুষদের পা চাটতে দেখেছি। যারা নিজের সংস্কৃতির ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী তারা এমন জুজুর ভয়ে ভীত হয়না। বাংলাভাষার বুনিয়াদ হিন্দির চেয়ে অনেক বেশী শক্তিশালী। এখন পার্টি সং হিসেবে মিলার ডিস্কো বান্দরের চেয়ে 'নো এন্ট্রির' গানই আমি বেশী পছন্দ করবো। এখন যদি জাস্টিন টিম্বারলেকের গান বাজতো তাহলে মনে হয় আপনার কোনো আপত্তি থাকতো না।
'তিনি পারতেন, হিন্দী অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে ওই মুহুর্তে দুটো কথা বলতে'...আপনার ভাষ্য অনুযায়ী উনি লাফ দিয়ে উঠে এইসব বলে হাজারের মতো ছাত্রীদের মজায় পানি ঢেলে দিলে ব্যাপারটি অনেক নৈতিক হতো। মানবিক ব্যাপারগুলোতে দুই এ দুই চার হয়না মাঝে মাঝে পাঁচ ও হয়। আপনার ভেতর এই মানবিক বোধটি জন্মানোর জন্য, আমি ওনার লেখা কিশোরদের নিয়ে গল্পগুলো প্রেসক্রাইব করলাম।
ইকারুস ভাই, ধন্যবাদ তোমাকে মন্তব্যের জন্য। কিন্তু ইসলামকে এইখানে মিশিয়ো না। সাধারণ মুসলিমদের এইভাবেই জামাত বিভ্রান্ত করে যে মুক্তচিন্তাধারীরা আসলে ইসলামের শত্রু। আমাদের এই ব্যাপারে অত্যন্ত সচেতন থাকতে হবে যেনো আমরা নিজেরাই জামাতীদের হাতে আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার মতো অস্ত্র তুলে না দেই। ধর্ম যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমাদের সংস্কৃতি----- না হিন্দুর, না মুসলিমের, না বৌদ্ধের---- এটা বাংলাদেশীদের। জামাত একটা মাফিয়া টাইপ সংগঠন। সত্যি বলতে কি একে ঠেকানো অসম্ভব--- আমার মতে। কিন্তু আমি মনে করি সাধারণ মুসলিম যারা অজান্তেই জামাতের কোষাগারের জন্য তাদের জাকাতের অর্থ দান করে যায় না বুঝে বা তাদের ফাঁদে পড়ে জামাতের চক্রের এক ইউনিট হিসেবে কাজ করছে সেইটা আমাদের সর্ব শক্তি দিয়ে রুখতে হবে।
Bibek er kotha, আপনার এর পরের মন্তব্য আমি ফ্রেঞ্চে উত্তর দিলে কি বেশী গ্রহনযোগ্য হবে? তাহলে তো বই খাতা খুলে পড়া শুরু করতে হয় আবার।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
আরেকটা কথা বলতে ভুলে গেছি, ছাত্রী হলেও কি অসুবিধা কি ছিলো? আমি ধার্মিক কয়েকটি পরিবারে প্রাইভেট টিউশুনি করতাম, অনেকে বাচ্চা গুলোকে ওনার বই পড়তে দিতোনা কারণ উনি বলে বাচ্চাদের নাস্তিকতা শেখান, কিন্তু উনি যে বাচ্চাদের মনুষ্যত্ববোধ শেখান এইটা তারা দেখেনা।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
তাই নাকি? জাফর ইকবালের বই পড়েই তো কৈশর কাটলো, নাস্তিক তো হয়ে যাইনি!
পিপিদা, আপনি জামাতিদের লিফলেট যেটা বাচ্চাদের জন্য বানানো হয় ঐটা পড়লে বুঝতেন। ব্রেইন ওয়াস কাকে বলে!!!
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
তথ্যবিকৃতির নোংরামি দেখে মন খারাপ হয়ে গেলো। জাফর ইকবাল স্যার ভালো থাকুন।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
হায়রে!
পোস্টের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
হুমম শুনছিলাম এইরকম একথা তথ্য; আপনার পোস্ট পড়ে পরিস্কার হল।
পোস্টটা শেয়ার করলাম ফেসবুকে।
দরকারি পোস্ট।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
ফেসবুকে শেয়ার করলাম। এই পোস্টটিও সমান গতিতে ছড়িয়ে দেয়া দরকার। লেখককে অনেক ধন্যবাদ।
===================
মুক্তাঙ্গন: নির্মাণ ব্লগ
===================
===============================================
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম (ICSF) || মুক্তাঙ্গন: নির্মাণ ব্লগ
শেয়ারে দিতাসি... খবরটা শুনে আমার একটু মন খ্রাপ হৈসিলো, এইবার ক্লিয়ার হইলাম...
_________________________________________
সেরিওজা
স্যার,ধন্যবাদ আপনাকে,মূল ঘটনাকে তুলে ধরার জন্য।আমাদের সচেষ্ট থাকতে হবে যাতে কেউ গ্রুপ মেইল এ বিভ্রান্তির অপচেষ্টা করে সফল না হতে পারে।
এ লেখাটার অনেক দরকার ছিল।
খুব খারাপ লেগেছে এই ভিডিওটা নিয়ে ফেইসবুকে লোকজনের কাদা ছোড়াছুড়ি দেখে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
এসব কুত্তাদের ডাক শুনে বিচলিত হওয়ার লোক নন জাফর ইকবাল। সুতরাং সমস্যা নেই।
এজন্যই আসলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারটা জরুরী হয়ে পড়েছে। ধাড়ি শুওরগুলোর ফাঁসি হলে বরাহ ছানারা ব্যাকফুটে খেলবে। এর আগ পর্যন্ত এই মাথার ঘায়ে কুত্তা পাগল অবস্থায় এরে তারে কামড়ানোর চেষ্টা করবেই।
ধাড়ি শুওরগুলোর ফাঁসি হলে বরাহ ছানারা ব্যাকফুটে খেলবে
সহমত ।
গতকাল আমি ভিডিও টি দেখলাম। নিজে কয়েকবার স্যার এর কাছা কাছি গিয়েছি বলেই জানি কতটা মিশুক তিনি। তাকে অনুরোধ করা হয়েছে তিনি যাবেন না তা কি করে হয়?
তিনি গিয়েছেন ।
আর পশু গুলো সেই সুযোগ নিয়েছে।
এ থেকে বুঝা যায় সুযোগ নিতে ওরা কতটা তৎপর ।
এই পোস্ট ছড়িয়ে দিতে হবে।
বোহেমিয়ান
মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা যারা ভাল করে পড়েছেন এই ভিডিও তাদের ওপর কোন প্রভাব ফেলবে না। যাদের ওপর প্রভাব পড়বে তারা ঠিক করে তাঁর লেখা পড়েন নাই। ইতরামি করে কারো চরিত্রহনন না করে এসব ইবলিশের কোন উপায় নেই।
আলমগীর ভাইকে ধন্যবাদ লেখাটার জন্য।
...
নীরবতা সবসময় হিরন্ময় নয়।
একটা দারুন জরুরী কাজ করলেন আলমগীর স্যার।
ডঃ ইকবালকে যদি অন্ততঃ একটা কারনে আমি শ্রদ্ধ করি সেটা তার দৃঢ়চিত্ত ও অনমনীয়তা। শাবিতে প্রথম যোগদেয়ার পর জাশির ছেলেরা তাকে শারীরিক আক্রমন ও করেছে। উদ্দেশ্য একটাই ছিলো তাকে তাড়ানো। হারামজাদারা এখনো লেগে আছে তার বিরুদ্ধে।
সবাইকে অনুরোধ ফেসবুকে এটি শেয়ার করুন। এসবও যুদ্ধের হাতিয়ার।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আমি আপনি প্রায় সমবয়সী হব।
স্যার ডাকার দরকার নাই আমারে।
নাম ধরে বললেই ভাল।
স্যারকে যারা সত্যিকার অর্থে জেনেছে, সশরীরে কিংবা লেখার মাধ্যমে.. এ নোংরা কাদা ছোঁড়াছুঁড়িতে তাদের কিছুই এসে যাবে না!!
তথ্যসন্ত্রাস নিপাত যাক..
--------------------------------------------------
"সুন্দরের হাত থেকে ভিক্ষা নিতে বসেছে হৃদয়/
নদীতীরে, বৃক্ষমূলে, হেমন্তের পাতাঝরা ঘাসে..."
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ইমেইলে কাদা ছিটানোর যে ব্যাপ্তি তার তুলনায় এই প্রয়োজনীয় লেখাটি কতটুকু তরঙ্গ তৈরি করবে জানি না..
আমাদেরও উচিত এই লেখাটি প্রত্যেকটি ইমেইলের জবাবে ফেরৎ বিলি করা।
আমাদের উচিত জাশি ছাগুদের এই 'অপ'-চেষ্টাকে ঘুরিয়ে ওদের চরিত্রে দাগ হিসেবে সাঁটিয়ে দেয়া।
আমাদের উচিত যুদ্ধটা ওদের ঘরে নিয়ে যাওয়া।
খুবই দরকারী একটা কাজ হয়েছে এটা। লেখাটা যথাসম্ভব ছড়িয়ে দেয়া দরকার। আরেকটা কাজ অতি অবশ্যই করতে হবে- যে উত্স থেকেই ভিডিওটা পাই না কেন আমরা যেন এই লেখাটাকে রেফারেন্স হিসেবে ধরে বিভ্রান্তি দূর করার উদ্যোগ নেই। ধন্যবাদ আলমগীর ভাই, বিশাল একটা কাজ করলেন!
তাঁর রাজনৈতিক মতাদর্শ অনুকরণীয়, ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কও।
তবে সেই ব্লগে সম্ভবত 'বাঙাল' নামে এক নিক বেশ কিছুদিন আগে এক পোস্টে বলেছিলেন যে, গত দশ বছরে তাঁর কোন গবেষণার প্রকাশনা নেই। একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের, যিনি দীর্ঘদিন চেয়ারম্যানের পদটিও দখল করে আছেন, এতদিন প্রকাশনা না থাকাটা কি অস্বাভাবিক না? সহকর্মী হিসেবে আপনার কি ধারণা এই প্রতিভাবান একদা সম্ভাবনাময় বিজ্ঞানীর মূল্যায়ন সম্পর্কে? শাহ জালাল কি আসলেই একটা বিশ্ববিদ্যালয়, না একটা মফস্বলী কলেজ ?
এই কথাটা কি এখানে সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক নয়?
হুসায়েন সাহেব আপনার মনে হয় কেপি টেস্ট করতে হবে!
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
হুসায়েন,
আমি নিজেও জাফর ইকবালের প্রকাশনা নিয়ে ঘাটি নাই, আর আপনার 'সম্ভবত'-এর ওপর ভিত্তি করে দেয়া তথ্যে নিশ্চিত হওয়ার উপায় নেই। তারপরেও আপনি যে সিনারিও বললেন, সেটা বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে সত্য হলে অবাক হবো না। বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশযোগ্য গবেষণার স্কোপ নেই বললেই চলে। আমাদের প্রফেসরদের প্রধান কাজ ছাত্র পড়ানোই। তাছাড়া গবেষণার প্রাথমিক পর্যায় বলা যায় মাস্টার্স লেভেলকে, এরপরে আসে পিএইচডি, পোস্টডক। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ব্যাচেলরের পরেই ছাত্র খুঁজে পেতে হারিকেন জ্বালাতে হয়।
শুধু বাংলাদেশ কেন, পৃথিবীর প্রত্যেক দেশেই গবেষণা প্রকাশনার জন্য প্রফেসররা ছাত্রদের ওপর নির্ভরশীল। প্রফেসরদের অধিকাংশ পাবলিকেশনই হয় সেকেন্ড অথোর হিসেবে। ফার্স্ট অথোর হিসেবে যেগুলো আসে, তাতেও প্রফেসর কোনো না কোনোভাবে ছাত্রের কাজের সাথে রিলেটেড থাকেন। বাংলাদেশে যেহেতু গবেষণা করার জন্য ছাত্রই নেই, সেহেতু পাবলিকেশনেরও খরা।
তবে ইদানিং একটা ট্রেন্ড চোখে পড়েছে। তাহলো আঞ্চলিক কিছু কনফারেন্সে সাবস্ট্যান্ডার্ড পেপার অনেকটা কোটার ভিত্তিতে পাবলিশ করা। জাফর ইকবাল এই সংখ্যা বাড়ানোর পথে না হাঁটলে সেটা বরং উনার সততারই প্রমাণ দেয়।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
অনেক ধন্যবাদ আপনার চমৎকার সুশীল উত্তরের জন্য। আপনার মন্তব্যের ব্যাপক অংশের সাথে আমি সহমত। এদেশে গবেষণা খুবই কঠিন কাজ। তবে অনেকে করেন। এমনকি ধিকৃত শিক্ষক ইয়াজুদ্দিন সাহেব বা নিয়ত রাজনীতিবিদ এ,কে, আজাদ চৌধুরীও শতাধিক প্রকাশনার সহ-রচয়িতা, যাতে অবশ্যই ছাত্রদের অবদান আছে, কিন্তু তাঁরা সহ-রচয়িতা ছাত্রদের ক্যারিয়ার এভাবে এগিয়ে দিয়েছেন, নিজের সকর্মকতা প্রমাণ করা ছাড়াও। এই সব প্রকাশনার প্রায় অর্ধেক আন্তর্জাতিক।
অধ্যাপক ইকবাল দেশীয় মানহীণ সম্মেলনের সাথে জড়িত থাকেন। তাতে তাঁর বা তাঁর দলের নিবন্ধ থাকে কি না পরীক্ষা করে দেখি নি। তবে তিনি শাহ জালালের নিজস্ব সায়েন্স জার্নালের সম্পাদক। সেখানকার প্রকাশিত নিবন্ধ দেখলে স্তম্ভিত হতে হয়। বিজ্ঞানের প্রাথমিক জ্ঞান থাকলেও কেউ (সহ-রচয়িতা হিসেবে অধ্যাপক হকের নামও দেখা যায়) এ-সব লিখত না।
জনাব হুসায়েন, আপনি এক কাজ করুন। শাহজালালের সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত নিবন্ধের ওপর একটি মনোজ্ঞ সমালোচনা লিখুন। নিবন্ধের স্ক্যান্ড কপি সাথে যুক্ত করে দেবেন।
আর অধ্যাপক ইকবালের দল কোনটা একটু জানাবেন।
আপনার মাঝে কেমন যেন একটা বজলু-বজলু গন্ধ আছে। উনাকে খুব মিস করি । যদিও উনি মাঝে মাঝে মুখ ঢেকে নানা হুল ফোটাতে আসেন, কিন্তু ধরা পড়ে গেলে কিছুদিন চুপচাপ থাকেন। উনার সাথে আপনার জান-পেহচান থাকলে একটু কাইন্ডলি বলবেন স্বনামে শামিল হতে। বজলু ছাড়া সচলু বড় পানসে ।
না, আমি বজলুর রহমান নামে কাউকে চিনি না। মতিয়ার স্বামী তো মারা গেছেন, তাছাড়া এ প্রসঙ্গে তাঁর নাম আসতে পারে না।
আপনি হয়তো একই আই,পি, ঠিকানা দেখে বিভ্রান্ত হয়েছেন। এই আই, পি, ৩০,০০০ জন ব্যবহার করে।
না, আইপি ঠিকানা দেখার সুযোগ নাই আমার। তাছাড়া, আইপি-ই তো কেবল একমাত্র ফ্যাক্টর নয়। বাকিগুলি সম্পর্কে লেকচার দেয়া লাগবে না, আপনি তো জ্ঞানী ব্যক্তি, জানেনই। ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় কতভাবে যে লেজ বেরিয়ে যেতে পারে!
বেশ। স্যার বজলুকে আপনি চেনেন না, আপসোস! বড় ভালু লুক ছিলো!
আপনার কাছ থেকে শাহজালালের সায়েন্স জার্নাল নিয়ে একটি মনোজ্ঞ প্রবন্ধের অপেক্ষায় দিন গণনা করি। আশা করি আপনি হতাশ করবেন না। আর ঐ লেখাটা লিখতে না পারলে ধরে নেবো সায়েন্স জার্নাল সম্পর্কে আপনার বক্তব্য ত্রিভুজের ছাগ্লামির মতোই, ক্ষণিকের কাঁঠাল পাতার তাপে বেরিয়ে আসা হিজিবিজি।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মনে হচ্ছে আপনি আলমগীর সাহেবের পোস্টটা ভালো করে পড়েন নি। সেখানে তিনি বজলুর রহমান নামে একজনের কথা বলেছেন।
আমি মাঝে মধ্যে সচলায়তনে ঢুকি, জানি না (বজল+ অন্যকিছু) নাম এখানে দেখা যায় কি না। এখন সময় নেই, পরে যদি এ নামে কাউকে পাই, এবং তিনি সচলায়তনের সাথে কোন সম্পর্ক স্বীকার করেন, তাঁকে হিমুর অনুরোধ জানাবো।
সায়েন্স জার্নালের কপি আমার কাছে নেই, একজনের কাছে দেখেছিলাম। পেলেই প্রাসঙ্গিক অংশ স্ক্যান করে পাঠাবো। যাঁরা শাহজালালে আছেন তাঁদের নিশ্চয়ই প্রায় সবার কাছেই আছে।
"A true friend is someone who thinks that you are a good egg even though he knows that you are slightly cracked."
~ Bernard Meltzer
না বস, শুধু স্ক্যান করে পাঠালে ছৈল্ত ন। আমরা বিজ্ঞানমুখ্যু। জাফর ইকবালই যেখানে আপনার ভাষ্যমতে স্তম্ভিত হবার মতো কাজ করেন, সেখানে আমরা নিতান্তই কাঁচা। আপনি ঐ প্রবন্ধগুলির ত্রুটি চোখে আঙুল দিয়ে ধরিয়ে দিবেন এক এক করে।
আর আলমগীর ভাইয়ের বজলু আর আমার বজলু যে এক, সেটা আপনি কেন ধরে নিলেন? ইউএস ডলার আর জিম্বাবুয়ের ডলার কি সমান?
আচ্ছা, ঠিকাছে, বজলুকে না চেনেন, ফজলুকে চেনেন কি ?
আপনার ডায়ালগ শুনে ঐ কথাটা মনে পড়ে গেলো। ড. জাফর ইকবালের কাজ আপনার মতো পণ্ডিতকে ঘিরে না বস। যারা জানে না, যাদের প্রাথমিক জ্ঞানটাই নাই তাদেরকে ঘিরেই। আপনার মতো পেকে যাওয়া ফলকে শিখিয়ে লাভ নাই, আপনে দূরে গিয়া ঘাস খান। জাফর ইকবালরে তাঁর নাদান কাজ করতে দেন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হুসায়েন,
আপনার মন্তব্যটি অপ্রাসঙ্গিক হলেও উত্তর দেয়াটা জরুরি মনে করছি। চেয়ারম্যানের পদটি দখল করে থাকা বলতে আপনি কি বোঝাতে চাচ্ছেন বুঝলাম না। উনি ডিপার্টমেন্টের একমাত্র প্রফেসর-- আপনি ডিপার্টমেন্টের জন্য আরেকজন প্রফেসর জোগাড় করে দেন প্লিজ--আমি নিশ্চিত ওনার চেয়ে আনন্দিত আর কেউ হবে না ।সবার তো আর শাহজালালের মত একটা মফস্বলী কলেজ(আপনার ভাষায়)-কে একটা সত্যিকারের বিশ্ববিদ্যালয় বানানোর মত একটা সত্যিকারের স্বপ্ন থাকে না--তাই না!
আর জাফর স্যার যখন আমেরিকা থেকে দেশে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন--তখনই তিনি জানতেন তাঁর সবচেয়ে পছন্দের কাজটি তাঁকে ছেড়ে দিতে হবে--তিনি আর ওইভাবে গবেষণা করার সুযোগ পাবেন না।এটি মেনে নিয়েই তিনি দেশে ফিরেছিলেন।আমাদের একদিন কোনো একটা কথা প্রসঙ্গে ক্লাসে বলেছিলেন--তাঁর কাছে মনে হয় একমাত্র গবেষণা করার কাজটিই তিনি যা একটু পারেন, এটিকেই সবচেয়ে বেশি উপভোগ করেন।
আমার কাছে তো ব্যাপারটাকে এক ধরনের স্যাক্রিফাইস মনে হয়--অবশ্য আপনার কেপি টেস্ট করার আগে বুঝতে পারব না আপনারও একই রকম মনে হয় কিনা।
আমি আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত যে অধ্যাপক ইকবাল গবেষণা করলে সেটাকেই সবচেয়ে উপভোগ করতেন। কেন করেন না, সেটা আমার কাছে স্পষ্ট নয়। ভর্তি পরীক্ষায় যে-সব ছাত্র শাহজালালে যায়, আর যারা ঢাকায় যায়, তাদের মধ্যে মেধায় কি খুব পার্থক্য আছে? গবেষণার জন্য উৎসাহ দানের জন্য নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কি ছাত্র অনুপাতে অনেক বেশি টাকা দেয়া হয় না?
অধ্যাপকের পদ কি কখনো বিজ্ঞাপিত হয়েছিল , না ধরেই নেয়া হয়েছে যে কেউ আসবেন না? ডঃ ইকবাল যখন অধ্যাপকের পদ পান, তখন কম্পিউটারে তাঁর যে যোগ্যতা ছিল তেমন যোগ্যতার কোন (ধরুন সিলেটি) ছাত্রকে এখনো পাওয়া যায় না ?
আপনি ও আরো একজন আমাকে যে পরীক্ষা করতে বলেছেন, আমার সে-বিষয়ে সামান্যতম জ্ঞান নেই; জীবনে রুটিন রক্ত আর ইউরিন পরীক্ষা ছাড়া কিছু করতে হয় নি। আপনারা অনেক বিষয়ে অভিজ্ঞ, সবিনয়ে স্বীকার করছি।
আচ্ছা, জাফর ইকবাল কোনো গবেষণা করেন না, এই কথাটার ভিত্তি কী? আপনি কি "অমুকে কইছে আমি শুঞ্ছি" গোছের কোনো রেফারেন্স দেবেন?
আপনি ভালোমতো খোঁজ নিয়ে আমাদের জানান। আমরাও জানতে আগ্রহী।
আর এই কথা স্পষ্ট, জাফর ইকবাল এমন কিছু কার্যক্রমে প্রবলভাবে জড়িত, যেটা অনেক ছাগুর গাত্রদাহের কারণ। তাকে সেসব কাজ থেকে বিরত রাখতে হলে এখন "উনি গবেষণা করেন না উনি পছা" টাইপ প্রোপাগাণ্ডা হালে দুই তিন ফোঁটা পানি পেলেও পেতে পারে।
আরো জানান, জাফর ইকবাল গবেষণা না করে শুধু শিক্ষাদানেই যদি নিয়োজিত থাকেন [অবসর সময়ে কোন ছাগুর পাকা কাঁঠালে মই দিলেন, সেটা না দেখি], আপনার সমস্যা কোথায়? আপনার জ্বলে কেন?
আরেকখান ফেবু গ্রুপ পাওয়া গেসেঃ
Jafar Iqbal wants Islamic culture to be out of BD এখনো রিপোর্ট মারিনাই।
মজার ব্যাপার হইল, এইটার অ্যাডমিন লিস্টে দুইজন Hussain আছে, তাদের মধ্যে একজনের ফ্রেন্ডলিস্টে জনৈক ত্রিভুজ আছে।
Friends list of Hussain Shahriar
-- আশাহত
হুসায়েন,
-- আপনার উপরোক্ত মন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে আপনি হয় দেশের আসল অবস্থা কিছুই জানেন না, নয়ত ছাগু।আপনি কোনটা জানার পর বাতচিত করতে সুবিধা হবে। এমনিতেই Bibek er kotha নামে এক ছাগুর সাথে নরম ভাষায় যুক্তির কথা বলে মনোকষ্টে ভুগতেছি।
আর কেপি টেস্ট কী জানেন না--তাহলে দিয়াই দেন--বলেন তো শীর্ষ ৫ জন রাজাকারের নাম আপনার মুখ থেকে শুনি...................
- আমার পেট ফাইট্টা হাসি আইতাছে আলমগীর ভাই। আরে, যেইখানে মুজাহিদের মতো দাঁতালো হিংস্র শুয়োর একাত্তরে অগুণতি বাঙালী হত্যা করার পরেও স্বাধীনতা আনছি বলে বক্তিমা দেয়, তাগো কাছে ড. জাফর ইকবালকে লম্পট আর গোআ, নিজামীকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অন্যতম দুই নেতা প্রমাণ করার চেষ্টা করাটা খুবই স্বাভাবিক। ড. জাফর ইকবালরা সামনে থাকলে তো মইত্যা রাজাকার, গোয়া'রা পানি পায় না। এই ড. জাফর ইকবালের জন্যই তো পাবলিক বল্লমে ধার দিতেছে শুয়োর গুলোকে বধ করার জন্য। ছাগুচীফের মতো বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ছাগুদের দিয়ে ড. ইকবালকে লম্পট প্রমাণ করতে পারলে তো অনেক সুবিধা।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নীরবতা ভাঙ্গার জন্য আলমগীর ভাইকে খুব খুব ধন্যবাদ জানাই। আমাদের চুপ থাকলে চলবেনা, এইসব কিছুর উপযুক্ত জবাব দিতে হবে। ফেসবুকে শেয়ার করলাম। এই পোস্ট ভিডিওটির মতো সবার কাছে ছড়াতে হবে।
এই সব শুয়োরের খেলা দেখলে ওবেলিক্সকে ডাকতে ইচ্ছা হয়, সব কয়টা ওয়াইল্ড বোর-এর রোস্ট বানিয়ে ভোজসভা দিলে কাজ হতো।
সাথে কাকোফনিক্সের গান।
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লেখককে আন্তরিক ধন্যবাদ। আমিও এ লেখাটা ফেসবুকে শেয়ার করলাম।
যারা নির্বোধ, যারা জাতিকে মূর্খ (ও পাকিস্তান) বানাতে চায়, তারা বরাবরই এদেশের বুদ্ধিজীবীদের বিরুদ্ধে বলে আসছে, সামনেও বলবে। আমি ডঃ জাফর ইকবালের একজন ছাত্র হওয়ার সুবাদে, স্যারকে অনেক কাছ থেকে দেখেছি, আমার কাছে তিনি একজন সৎ লোক ও একজন আদর্শ বাংলাদেশী।
আমি নিশ্চিত, গোআ, নিজামী, মুজাহিদ নামের বরাহনন্দনেরা দেশকে পাকিস্তান বানানোর স্বপ্ন এখনো দেখে। আফসোস, ওই মূর্খরা ৩৮ বছরেও বুঝতে পারেনি, বাংলাদেশের মানুষ হাজার বছর ধরে সেক্যুলার, নাস্তিকতার দোহাই দিয়ে তাদের মাথা নষ্ট করা যাবে না।
ইউটিউবে এরকম ৩টা ভিডিও দেখলাম। প্রতিবাদ করলাম।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
jafar sir ke ei vabe target koerata amader jonno risky...tini rajnitir baire..amader sompod...jamater sotru...jamat nipat jak
বাঙালী সংস্কৃতিকে আমরা সর্বোচ্চ আসনে রাখতে চাই । অপসংস্কৃতির ভয়ানক আগ্রাসনে আমাদের দেশের তরুন-যুবা সমাজ যে দিনে দিনে অনেকটাই বিকৃত-মনস্ক আর উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপনে ঝুকে পড়ছে, কে তা অস্বীকার করতে পারবে ? এই অপসংস্কৃতির সবচেয়ে আগ্রাসী অংশটা আসে ব্রাক্ষ্মন্যবাদী হিন্দী সংস্কৃতি থেকে । এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ড. জাফর ইকবাল খুবই চটুল আর নোংরা ধরনের একটা হিন্দী গানের সাথে নেচে উপস্থিত তরুনীদের উৎসাহিত করছেন । লক্ষ্য করুন, আমাদের মূল আপত্তি এই জায়গাটিতেই । একজন প্রভাবশালী শিক্ষক হয়ে তিনি কিছুতেই এমন নোংরা হিন্দী গানকে উতসাহ দিতে পারেন না । গানটির টাইটেল এখানে লিখে দিচ্ছি.. খুব উতসাহীরা চাইলে সার্চ করে দেখে নিতে পারেন, কতটা বিকৃত সংস্কৃতির উতসাহদাতা এই গান "ইশক-কি-গালিওমে নো এন্ট্রী !......"
হিন্দি গান মানেই নোংরা নাকি? ওই হিন্দি গানে নোংরা কি আছে আপনিই 'নির্দিষ্ট' করে বলুন, সার্চ করে 'অনির্দিষ্টের' পথে যাওয়ার দরকার নেই।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
খুবই ঠিক কথা। আমাদের কে যতো শীঘ্র সম্ভব আমাদের সংস্কৃতিকে খতনা করিয়ে কলেমা পড়াতে হবে। শুধুমাত্র তাহলেই আমরা পারবো বিশ্বের বুকে মাথা ঊঁচু করে বাঁচতে এবং এগিয়ে যেতে। আঃ ............
আপনি তো হিন্দিতে বিয়াপক পণ্ডিত দেক্তেসি। এই ব্রাহ্মণ্যবাদী হিন্দি সংস্কৃতিতে তো আপনি আকণ্ঠ নিমজ্জিত বলে মালুম হচ্ছে! তা ভাই, এই হিন্দি কথাটার মানে কী একটু বুঝাইয়া বলেন।
Bibek er khoje ,
আপনার মনে আছে কিনা জানি না একুশে টিভি যখন বাংলাদেশের একমাত্র প্রাইভেট এবং তুমুল জনপ্রিয় চ্যানেল তখন কোনো এক ঈদে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দুটি হিন্দি সিনেমা দেখাবে।তখন জাফর স্যার পত্রিকায় একুশে টিভি ও হিন্দি সিনেমা নামে একটি কলাম লিখে তাদেরকে অনুরোধ করেছিলেন যাতে তারা এভাবে আমাদের টিভি চ্যানেল-এ হিন্দি সিনেমার ফ্লাডগেটটি খুলে না দেয় এবং যুক্তি দিয়ে বুঝিয়েও দিয়েছিলেন তাঁর কথা। একুশে টিভি কর্তৃপক্ষ তাঁর সে অনুরোধ রক্ষা করেছিল।তাই আপনার ভাষায় ব্রাক্ষ্মন্যবাদী হিন্দী সংস্কৃতির আগ্রাসন সম্পর্কে তাঁর মতামত কী এ বিষয়ে প্রশ্নের কোনো অবকাশ নেই। আর আপনার মন্তব্যের উত্তরে আপনার মতই বিবেক নিকধারী একজনের মন্তব্যের জবাব পোস্ট করে দিচ্ছি--
Bibek er kotha ,
আপনি পো্স্টটি মন দিয়ে পড়লে বুঝতে পারবেন-- মুহম্মদ জাফর ইকবাল অনুষ্ঠানটির আয়োজক ছিলেন না--ছিলেন আমন্ত্রিত অতিথি--ছাত্রী হলের বর্তমান প্রভোস্টের পরিবারের সদস্য হিসেবে।অনুষ্ঠানটির আয়োজক ছিল ছাত্রীরা-- অনুষ্ঠানে কোন গান বাজবে কোনটি বাজবে না, কোন অংশ থাকবে কোনটি থাকবে না --এটা আমি নিশ্চিত পুরোটাই ছিল ছাত্রীদের সিদ্ধান্ত। আর জাফর স্যারকে যতটুকু চিনি--নিজের পছন্দ অন্যের উপর জোর করে চাপিয়ে দেয়ার মত মানুষ মোটেও উনি নন। তাই অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে হিন্দি গান চলে আসলে তাঁকে অনিচ্ছা সত্ত্বেও শুনতে হয়েছে, আনন্দমুখর পরিবেশে ছাত্রীদের অনুরোধে তাঁকে উঠে দাঁড়িয়ে সঙ্গও দিতে হয়েছে।ছাগু হয়ে না থাকলে এই সহজ জিনিসটি আশা করি আপনি বুঝতে পারবেন।
ব্রাক্ষ্মন্যবাদী হিন্দী সংস্কৃতি কী?
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
..হৃদি ভেসে যায় অলকানন্দার জলে...
,,,,ধন্যবাদ। আমিও এ লেখাটা ফেসবুকে শেয়ার করলাম।
..হৃদি ভেসে যায় অলকানন্দার জলে...
ধন্যবাদ। ফেইসবুকে দিতেছি এখুনি।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এইসব অপপ্রচার যারা করে তারা আসলে নিজেরা অপদার্থ আর ঈর্ষাকাতর। কাজের নামে কাজ কিছু পারে না, পারে গুণী লোকের নামে মিথ্যা নিন্দা রটাতে।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ধন্যবাদ এই তথ্যের জন্য। ধন্যবাদ তথ্য বিকৃতি রোধের জন্য
দারুন দরকারি একটা পোষ্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ আলমগীর স্যার।
জামাতীরা আরো অনেক ষড়যন্ত্র করবে , কিন্তু সফল হবে না - আগেও হয় নি। ওদের নীতি নৈতিকতা জেতার জন্য না । ওরা বারবার পরাজিত হয় - তাই কোন ভয় নাই । এগিয়ে যান জাফর স্যার!
ফেইসবুকে লিঙ্ক দিলাম , মানুষ সত্যটা জানার পর ওদের প্রতি ঘেন্নাটা এক চামচ বেড়ে যাবে , এরা যত অপকর্ম করবে ঘেন্নার মাত্রা বাড়তেই থাকবে the
উনি নাচলে অসুবিধাটা কোথায়?
..............................................................................................
অনেকদিন পর একটু সখের গোয়েন্দাগিরি করলাম
ইউটিউবে এটা আপলোড করেছে মারুফ রায়হান নামে গভঃ ল্যাবরেটরীর প্রাক্তন এক ছাত্র।
নীচে ছবি দিলাম
মারুফ
খুব খেয়াল কইরা
...........................
Every Picture Tells a Story
বিস্তারিত জানতে চাই এই মারুফ এফেন্দি সম্পর্কে। কেউ চেনেন একে?
ধন্যবাদ তথ্য বিকৃতি রোধের প্রচেষ্টায়, লেখাটা ফেসবুকে শেয়ার করলাম।
অপপ্রচারকারী শয়তানের ভাই...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
দারুণ একটা কাজ হলো আলমগীর ভাই। ইতরদের বিরুদ্ধে চুপ করে থাকার সময় বোধয় এখন আর নেই।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
অনেক ধন্যবাদ আলমগীর স্যার! এই জানোয়ারদের প্রতিহত করতেই হবে।
হায়রে ছাগু লেজঝোলা...
পোস্টটার দরকার ছিল, ধন্যবাদ আলমগীর ভাই।
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
আলমগীর - ধন্যবাদ, অনেক!!!
আচ্ছা, স্টুপিডিটি কমানোর কোন ওষুধ পাওয়া যায় না, না?!
এধরনের পোস্ট-ই তো সবচেয়ে বড় দাওয়াই, কি বলেন?
তথ্য বিকৃতী ঠেকানও কিন্তু এক ধরনের বরাহ শিকার বটে । একটা বরাহ মারা পড়ল । আমার হিসাব মতে প্রথম বরাহ (কনসেপচুয়ালি) মারার কৃতিত্ব আপনার ।
তা তো বটেই । যেই সব ফালতু লোকজন কোন ভাবে একবার শিক্ষকের আসনে বসে পড়ে তারা বাকিদের থেকে দূরে দূরেই থাকে । কারন বেশি কাছে আসতে দিলে লোকে জেনে যাবে যে সে আসলে একটা "ভুদাই" । জাফর ইকবাল স্যারের তো আর সেই সমস্যা নেই ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
আজব ... নাচলেই বা কি আসে যায়?
বাঙালী সংস্কৃতিতে নাচ গান অনেক পুরাতন... বাউল থেকে শুরু করে খাস বাংলাদেশী বির্য়েতে নাচ তো থাকেই..
বাঙালীর সংস্কৃতি অনেক সেকুলার। এটাকে এভাবে ধর্মীয় লেবাস চড়িয়ে বোরখা বাননোর অপচেষ্টা সম্পর্কেও একটু সচেতন থাকতে হবে। পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধের দোহাই দিয়ে বাঙালীর উপর গোঁড়ামি, ধর্মান্ধতা ও টাবু চাপিয়ে দেয়ার এই প্রথা ছাগু সমাজে পুরাতন নাকি জানা নেই, তবে ইদানিং এর বেশ সক্রিয় অবস্থান চোখে পড়ছে।
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। দরকার ছিল।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
ফেইসবুকের গ্রুপটাতে ঢুকে তো টাশকি খেয়ে গেলাম...বরাহছানারা সেখানে সচলদের অনেক আগের কমেন্টের স্ক্রিনশটও (ধুগো আর অনিকেতদারটা দেখলাম) পোস্ট করে কুটনামি করেছে...এ পোস্টও মনে হয় প্রতি সেকেন্ডের নজরদারীতে আছে...
ওরে তোরা আমার কমেন্টেরও স্ক্রিনশট নিস
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার যেটা মনে হয়, অন্যের ব্যক্তিগত ব্যাপার নিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করার অধিকার কারো নেই। সেখান থেকে ব্যক্তি সম্পর্কে ধারণা তৈরীর প্রক্রিয়াটা গসিপের পর্যায়ে পড়ে। ওরা গসিপ করছে এবং কিঞ্চিত আমাদেরকেও অনিচ্ছায় করালো।
একজন ব্যক্তিমানুষ তার ব্যক্তিগত বা সামাজিক জীবনে কি করলো, কেনো এমনটা করলো, ওভাবে কেনো করলো না, তার বিচারক আমরা নই। ওই মানুষ তার ব্যক্তিগত বা সামাজিক জীবন কিভাবে কাটাবেন, তার সম্পূর্ণ অধিকার তার নিজের কাছে। সেখান থেকে তার দোষ-গুণ বিচার প্রথমত অনর্থক, দ্বিতীয়ত অনুচিত।
--------------------------------
~পর্যবেক্ষণ-অসাধ্য তত্ত্ব অর্থহীন~
একমত।
ফেইসবুকে শেয়ার করলাম।
আলমগীর ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ পোস্টটির জন্য। ছাগুদের বাড়াভাতে ছাই তো পড়লোই, এমনকি যারা জাফর ইকবালের ভক্ত, কিন্তু এই ভিডিও দেখে কনফিউজড হত, তাদের জন্যও এই পোস্টের অনেক দরকার ছিল।
সত্যকে গোপন করাও মিথ্যা।
--------------------------------------------------------
২০. হাতি খাইতে গেলে গিল্লা না খাওনই ভালো
--------------------------------------------------------
২০. হাতি খাইতে গেলে গিল্লা না খাওনই ভালো
মারুফ লোকটারে একটু খুইজা বাইর করা দরকার।
এইটা ছাগুচীফের ১০০১টি নিক প্রকল্পের একটিও হতে পারে।
ছাগুচীফ ত্রিভুজ এইসব ভিডিও ম্যানিপুলেশনের ওস্তাদ। যারা জানেন না তাদের বলি, এই ভিডিওর প্রোমোশনের সাথে যে ব্যক্তি জড়িত, সে জামাতে ইসলামীর পক্ষে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের সংঘর্ষ নিয়ে জামাতের প্রোপাগান্ডা মেশিনেশনের একটি অংশ, এবং তাদের প্রচার সিডি নির্মাণ ও প্রচারের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।
Bibek er kotha রে পাওয়া গেসে। অই গ্রুপটারই creator Raihan Rahi
ও আচ্ছা-- এই ছাগুই ফেসবুকে মুহম্মদ জাফর ইকবাল হেট গ্রুপ করছিল এক গাদা মিথ্যে দিয়ে গ্রুপের উদ্দেশ্যের বর্ণনা লিখে। এর মন্তব্যের উত্তর এত ভদ্র ভাষায় দিলাম বলে এখন আফসোস হচ্ছে--হারামজাদা ছাগু কোথাকার!
অনেক ধন্যবাদ ।
বেশ কয়েকজন দেখলাম অনেক ক্ষোভিত এবং পুলকিত একই সাথে ।
আমি বল্লাম কে কোথায় নাচলো এটা নিয়ে ইস্যু বানানো ছাগলামী তুল্য ।
তারা নিয়ে গেলো হিন্দী গানের ইস্যুতে -- যেমন হিন্দি গান শুনলেই জাতপাত চলে যাবে ফের গোবর খেয়ে শুদ্ধ হতে হবে ।
এই পোষ্টটা তাদের মোক্ষম জবাব হবে -- ফেবুতে শেয়ার দিলাম ।
অই গ্রুপেই আরেকটা গ্রুপের লিঙ্ক পাওয়া গেসে।
Zafar Iqbal is Working to Destroy Our Future Generation
এইটার কথা আগে সচলায়তনে উঠসে কিনা জানিনা। প্লিজ, সবাই রিপোর্ট করে দেন।
এরা গুগলেও গ্রুপ খুলসে, যেহেতু ফেসবুকে গ্রুপ খুললেই রিপোর্ট হয়ে যায়। সেটার লিঙ্কঃ
(facebook) zafor iqbal is working against ISLAM
এইটা নিয়ে কি করা যায়?
রিপোর্ট করলাম।
ওপরে জনাব মুস্তাফিজ যে মারুফ রায়হানের খোমা দিলেন সে এখন নটরডেম এর ছাত্র। দাঁড়ান, লাড়া লাগানো যায় কি না দেখছি।
আমি একটা প্রস্তাব দেই; ভুত থেকে ভুতে পদ্ধতিতে এই ভিডিওবিষ্ঠা বিতরণকারীদের পাত্তা বের করার চেষ্টা করা হোক। বরাহশিকার কেবল কি বোর্ডে হলে জুত হয় না।
ফেসবুকের গ্রুপটাতে গিয়ে ওদের ওয়াল পোস্টগুলো পরছিলাম। দেখলাম এখানকার মন্তব্যকারী "বিবেকের কথা"র সাথে গ্রুপটির প্রতিষ্ঠাতার পোস্ট অক্ষরে অক্ষরে মিলে যায়।
আরো একটা গ্রুপ পেলাম, একই উদ্দেশ্য নিয়ে গঠিত।
http://www.facebook.com/group.php?v=info&ref=mf&gid=101405822270
http://www.facebook.com/group.php?v=wall&gid=48884725490
দুইটা গ্রুপকেই রিপোর্ট করলাম।
ইউটিউবে আরেক আপলোডকারী শামসুদ্দিন শামীম, তবে এটি বাঙলাদেশে থাকে না। মালয়শিয়াতে। ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন ছাত্র।
দরকারী লেখা
নাহ! ছাগুদের কোয়ালিটি আগের মত নাই। অপপ্রচারটা জমলো না খুব একটা।
হ
সামহোয়ারইনের ব্লগার ফিউশন ফাইভের একটা মন্তব্য সামহোয়ারইন থেকে এখানে রেখে দিচ্ছি (রেফারেন্সের জন্য)।
ফিউশন ফাইভের অবগতির জন্য: আমি সাবেক নই, শিক্ষাছুটিতে আছি মাত্র।
সচলায়তনে প্রকাশিত লেখা এইভাবে কপিপেস্ট করে পোস্ট হচ্ছে ওখানে, সামুব্লগের মডারেটরদের কোনো বিকারই নাই। পুরাই কতগুলি গোমূর্খ ইডিয়েট চালাচ্ছে সামহোয়্যারইন ব্লগটা। এই গোমূর্খামির দায় কি আরিল ক্লকারহগ আর জানা নিতে ইচ্ছুক?
সামুতে রিপোর্ট করা হয়েছে।
- তবেই সাড়ছেন। আশাকরি আমার নাতিপুতির কেউ একজন এই রিপোর্টের প্রয়োগ দেখে যেতে পারবে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নাতিপুতি দেখে যেতে পারলে বলতে হবে কুইক সার্ভিস। আমার তো মনে হয় এসব ব্যাপারে তারা একেবারে গেটলক।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
সচলে পরিষ্কার ডিসক্লেইমার আছে,
রিপোর্ট করার পর কোনো এক রামছাগল সেই পোস্ট এডিট করে লেখকের নাম [আলমগীর] আর সূত্রঃ সচলায়তন যোগ করসে। সামুর মডারেশনের দায়িত্বে থাকা কাঁঠালপাতাখোরদের কাছে আমার প্রশ্ন, কপিরাইট আর ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি রাইটের ব্যাপারগুলি কি তোমাদের অন্নদাতা আরিল ক্লকারহগ তোমাগোরে শিখায় নাই?
কতগুলি ফাইভ-পাশ ছাগু দিয়া আরিল ব্লগ চালাইতেসে।
ফিফা নিজেও দেখলাম ব্লগ লিখেছে । ছাগু চিফের ব্লগও দেখলাম ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
আলমগীর ভাইকে অনেক ধন্যবাদ।
জামাত শিবিরকে আমরা ভাতে মারবো,আমরা পানিতে মারবো।
কিছু কমেডিয়ান ভিডিওটা এডিট করেছে আর কিছু ওইটা দেখে আর না বুঝে চিতকার করছে। আপনারা এদের এত পাত্তা দিচ্ছেন কেন?
জাফর স্যার তো এইগুলা শুনলে খালি হাসে।
সম্ভবত দেরীতে আসছো তাই সব পোস্ট দেখতে পাওনি। সামুতে অন্তত ৫টা পোস্ট ডিলিট করা হয়েছে আমার পোস্ট দেয়ার পর। সেগুলোতে ড. জাফর ইকবালের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। ইউটিউবের ভিডিও ইনফোটা পড়। এদেরকে তোমার কমেডিয়ান মনে হয়?
যোগ্যতা নিয়ে কেউ কী মূল্যায়ন করল তাতে আমি নিশ্চুপ থাকতে পারি, কিন্তু চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুললে তার জবাব দেয়ার প্রয়োজন আছে। এই ভিডিওটা দেখে অনেক নীরিহ মানুষও বিভ্রান্ত হয়েছে।
পোস্টটা খুবই দরকারি ছিল স্যার।এত মানুষ আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছে বলে আর আলাদা করে এতক্ষণ ধন্যবাদ দেয়া হয়নি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আর শেহাবের মন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে হাতের ব্যাপারটা এডিট করেও যোগ করা হতে পারে।তবে ওরা কেউ কমেডিয়ান না--মাথার ঘায়ে পাগল হওয়া কুত্তা! ওদের এবার নির্মূল করতেই হবে।
আলমগীর ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই লেখাটার জন্য। ফেইসবুকে শেয়ার করলাম।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি জাফর ইকবালের বিরুদ্ধে এরকম হাস্যকর প্রচারণা চালানোতে। এই লিঙ্কটি শেয়ার করুন যে যেখানে পারুন। এই শুয়োরবাজির যথার্থ জবাব হবে সেটাই।
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
তিনকোণার ইস্যুতে, মানবতা মুছে ফেলো (ব্যবহৃত) টয়লেট টিস্যুতে
থ্যাংকস টু আকতার ভাই।
আমার সত্যি সত্যি একটা ইউজড টয়লেট টিস্যু তিরিভুজের মুখের ভিতর ঢুকায়া দিতে ইচ্ছা করতেছে।
শালা ছাগল।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
ও অম্লানবদনে তোমার দেয়া টিস্যুটা কোঁৎ করে খেয়ে ঘাউ ঘাউ করে দুইটা ঢেঁকুর তুলে আবারও লাদিরচনায় মন দিবে। ছাগলে কী না খায়?
তবে আসল ব্যাপারটা হচ্ছে জেলাসি। মেয়েদের সাথে নাচানাচির শখ ওর সেই ২০০৬ এর শুরু থেকেই [যদিও তার প্রোফাইলে লেখা থাকতো, সে মেয়েদের সাথে ডান্স করা "পসন্দ" করে না]। জাফর ইকবাল স্যার নাচতেসেন (আসলে হাত তালি দিতেসেন), আর ও ছাগুচীফ হয়ে ব্লগের বাইরে কোথাও নাচানাচি করতে পারলো না, এই রাগ বেটা এইসব করে ঝাড়তেসে।
তবু আমাদের সৌভাগ্য- ওই জাশি'র আর তিনকোনাদের ইনফরমার বালিকাটা যে ক্যামেরা দিয়ে শ্যুট করছে স্যার-রে; (মেয়ে নিয়ে নাচের পাপে) বন্দুক দিয়া যে করে নাই!
......................... আর কিছু বলার ক্ষমতা খুঁজে পাইতেছি না। ...........................
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
এখানে একটা বিষয় লক্ষ করার মতো। এই প্রোপাগান্ডা এমন এক সময়ে শুরু করা হলো যখন রাষ্ট্রিয় পর্যায় থেকে নতুন বছরে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টার অংগীকার করা হয়েছে। যে সব মানুষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যপারে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার ছিলেন এবং বিচারের প্রক্রিয়ায় জোরালো ভুমিকা রাখতে পারবেন তাদের বিরুদ্ধে বরাহশাবক ছাগুরা বিবিধপ্রকার ছাগ্লামি করবে এটা অপ্রত্যাশিত কিছু নয়। জাফর ইকবাল স্যারের পিছনে লাগার একটা বড় কারন হিসেবে আমার মনে হয় নতুন প্রজন্মের কাছে তাঁর সহজে পৌঁছে যাবার ক্ষমতাটাকে। আমি অনেক টিনেজারকে দেখেছি যারা সাম্প্রতিক অন্য অনেক বিষয়ে অসচেতন হলেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যপারটাকে হাল্কা করে নেয়নি। এবং এর জন্য জাফর ইকবাল স্যারের লেখনি, চিন্তাধারা এবং ব্যক্তি মানুষ হিসেবে ওনার স্পষ্ট ও অকপট অবস্থান অনেকাংশে অন্যতম প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।
এই সময়ে এই ধরণের আরো অনেক বিভ্রান্তির সৃষ্টি বরাহশাবকরা করবে। আমাদের সবাইকে তাই সজাগদৃষ্টি রাখতে হবে এবং এভাবেই তুলে আনতে হবে প্রকৃত সত্যকে। ধন্যবাদ আলমগীর ভাই।
~~~~~
কমেন্টংশে কিছু কাঁঠালপাতা ও ঘাস ভক্ষণকারী জীবের দেখা পেলাম!!
যাও ছাগু বাড়ি যাও- বাড়ি গিয়ে ঘাস খাও।
~~~~~
---- মনজুর এলাহী ----
Bibek er kotha [অতিথি] (যাচাই করা হয়নি) | রবি, ২০১০-০১-০৩ ০০:৩৬
"বলা হচ্ছে, তিনি তার নিজের স্ত্রী-কণ্যাকে সঙ্গে নিয়ে এই ড্যান্সে অংশ নিয়েছেন । অতএব এখানে সমালোচনার আর কোন সুযোগ নেই । কি হাস্যকর যুক্তি ! আমাদের বাংলাদেশ - আমাদের জন্মভূমি-মাতৃভূমি বাংলাদেশ- আমাদের সমাজব্যবস্থা - আমাদের মায়াময় শান্তির পরিবারব্যবস্থা .. ভাবেন এই শব্দগুলো আন্তরিকতা নিয়ে.. চক্ষুটা একটু বুজে নিয়ে .. কি ? স্ত্রী-কণ্যাকে নিয়ে তরুনীদের সমাবেশে এই নাচ কি আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সমাজব্যবস্থা সমর্থন করে ? আমাদের আবহমান কালের পরিবারব্যবস্থা কি স্ত্রী-কণ্যাকে নিয়ে হিন্দী গানের সাথে নাচ সমর্থন করে ?"...........
বিবেকবাদী এই পোলাডা হইলো Raihan Rahi. FB তে স্যার এর নাম দিয়া গ্রুপ খুলছে।এই পোলাই প্রথমে video of Jafor Iqbal Sir নাম এ একটা event খুলছিলো। যখন আলমগীর ভাই এর এই লেখাটা দিয়া দাবড়ানি দিসি তখন event এর নাম চেইঞ্জ করছে,admin বানাইছে know about Jafor Iqbal নামের একটা গ্রুপ। কথা বার্তার সুর ঘুরাইয়া হিন্দী কালচার,হাজার বছরের বাংলা সংস্কৃতি উদ্ধারে নামছে।
এই পোলার প্রোফাইল চেক কইরা দেখছিলাম। কয় বুয়েটে পড়ে। আর page সব জামাতী। এই পোলা আগে হিযবুত নিয়া লাফাইতো।
To the writer,
I shared this link in facebook, thank you so much for your writing.
Regards,
Bahauddin.
তিনটা মন্তব্য আমার কাছে অগ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে। তাই মুছে দিয়েছি।
ইউটিউব থেকে সংশ্লিষ্ট ইউজার ভিডিওটি সরিয়ে ফেলেছে। এখানে একটা স্ক্রিনশট রাখা আছে।
শেখ মুজিব এক ভুল করে নিজের প্রাণ ও দিলেন আর আমাদেরকে ও একদল শুয়র আর কুত্তার পাশ্বে রেখে গেলেন। যদি স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে রাজাকার আর মতিউর রহমান নিজামীর মত দেশদ্রোহীদের কে কুত্তার মতো গুলি করে মারতেন তাহলে আজ আমাদেরকে এসব নপুংশক কুত্তাদের ছায়া মাড়াতে হতোনা। আর কোন একটা নিষ্পাপ নির্মল আনন্দকে নিয়ে এরকম বাজে মন্ত্যব্য করতে পারতনা। জাশি নিপাত যাক।
রায়হান রাহির ইমেইল অ্যাডড্রেস বলছে সে বুয়েটে পড়ে। কিন্তু তার ফেইসবুক প্রোফাইলে দেখা গেলো শাবিপ্রবির ছবি। শাবিপ্রবিতে পড়ার সুবাদে দেখেছি জামাতি ছাগুরা সবসময়ই স্যরের পিছনে লেগে আছে। রায়হান রাহি শাবিপ্রবির শিবির ছাগু হওয়ার সম্ভাবনা খুবই প্রবল । তার প্রোফাইল পিক এই কথাই বলে, এর ফ্রেন্ড লিস্ট শাবির পোলাপাইন দিয়া ভর্তি, আর এই ব্যক্তির কাছেই জাফর স্যরের সব খবর থাকে (আমরা স্যরের সরাসরি ছাত্র হয়েও কোনোদিন স্যরকে খারাপ পড়াতে দেখিনি, আর ছাগু রাহি জেনে বসে থাকে স্যর নাকি ক্লাসে কিছু পড়াতে পারে না)।
অনেকদিন ছাগুদের ভ্যা ভ্যা শুনিনি।
এখানে শুনে মন ভালু হয়ে গেল
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
আরেকটা কথা
ছাত্রীদের মাঝে যদি স্যারের স্ত্রী এবং কন্যা না থাকতেন
তাতে কি ভিডিওটা অশোভন হয়ে যেতো?
আমি যখন প্রথম ভিডিওটা দেখেছি তখন পুরো ব্যাপারটা জানতামনা।
তাও বুঝতে পারিনি এত হৈ চৈ এর কী আছে।
পৃথিবীতে কাঠালগাছের সংখ্যা কমেনা কেন?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
আপেক্ষিক।
শিক্ষকদের কাছে লিখিত/অলিখিত কিছু প্রত্যাশা থাকে মানুষের। কোন শিক্ষক যদি কোন ছাত্রীর কাঁধে হাত দেয় (ছাত্রীর ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায়) তবে তিনি পরিস্থিতি বিবেচনায় নৈতিক স্থলনের অভিযোগে পড়তে পারেন।
- আর একজন ছাত্রের কাঁধে হাত দিলে?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
যারা লিঙ্গ বৈষম্য নিয়ে কাজ করেন বা লেখালেখি করেন (আপনি নন), তাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি, ছাত্রীর কাঁধে হাত দিলে এই পশ্চিমেও সমস্যা হতে পারে। আজ না হোক, তিরিশ বছর পরে হলেও হতে পারে।
আপনার খেলাটি না পড়ে, ভিডিওটি দেখেই বোঝা যায় এটি ছাত্রী হলের অনুষ্ঠান। কারন ছাত্রীরা এখানে খুব ক্যাজুয়াল পোশাকেই আছেন। যাদের মাথায় এই সামান্য যুক্তিট্রি আসেনা- তারা কীভাবে মন্তব্য করুন। লেখকের সঙ্গে আমি একমত যে ভিডিওটির প্রথম ছবিই ইয়াসমীন হক এর। এখাসেতো কোন সমস্যা দেখছি না ! এতো অমানুষ দেশে থাকলেতো খুব সমস্যা।
সুমন ভাইয়ের (সুচৌ) লিঙ্ক ধরে এই লেখাটা আমি একবার পড়ে গেছি, তারপর ফেইসবুকে শেয়ার-ও দিলাম। এরপর একটা প্রতিক্রিয়া দেখে আমি আবারো লেখাটা পড়তে আসলাম। কেননা প্রতিক্রিয়াটা আমার পছন্দ হয় নাই। খুঁজতে আসলাম, ওই প্রতিক্রিয়াশীল এখানেও কোনো কমেন্ট করছে কিনা দেখতে। হয়তো করেছে, কারণ এখানকার প্রতিক্রিয়ার সাথে তার কিছুটা মিল পাওয়া যাচ্ছে।
তবে আমার এখন হাসি পাচ্ছে, ব্যাপক। আপনাদের ছাগু আবিষ্কারের কাহিনী জটিল (আজকালকার পোলাপাইনরা অতি উত্তমের বিকল্প রূপে এই শব্দটি ব্যবহার করে থাকেন) হইছে। "আশাহত"-এর একজনের লিঙ্ক টু লিঙ্ক ধরে মিসিং লিঙ্ক আবিষ্কারের কীর্তি নৃবিজ্ঞানে আশার প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করিতেছে।
রাগিব ভাই ঠিকই বলেছেন, স্কুলের বই থেকে ছাগল পালন পদ্ধতি অধ্যায়টি বাদ পড়েছে, পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ছাগল পালুন, স্বাবলম্বী হোন বইটাও পাওয়া যাচ্ছে না। আমি চিন্তিত হয়ে পড়েছি, প্রত্নতত্ত্বের মূর্তিতত্ত্ব ক্লাসে বরাহ অবতার অধ্যায়টা না আবার বাদ পড়লো!
অনেক ধন্যবাদ। অনেক কৃতজ্ঞতা!!!
চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...
চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...
এই পোস্টে বারবার কমেন্ট করতে এসেও থমকে গেছি, মানুষ এত অন্ধ কি করে হয়!!! ফেসবুকের গ্রুপ গুলায় ঢুকে দেখছিলাম, এত সদস্য, এত যুক্তি, আর বারবার মনখারাপ হয়ে যাচ্ছিল।
অনেক ভালবাসি আর শ্রদ্ধা করি জাফর ইকবাল স্যার কে। আপনি ভাল থাকুন।
১.
এখানে অপসংস্কৃতির কথা তুলছে... হিন্দি গানকে অপসংস্কৃতি বলা হচ্ছে...
প্রথমেই বলে রাখি... অপ বলতেই সবকিছু খারাপ হয়ে যায় না। সবচেয়ে সুন্দরী কোনো নারীকে আমি অপরূপাই বলি... তাতে তার রূপের অপমান হয় না।
২.
এই ভিডিও আপলোড করার পেছনে মূল কারণ ছিলো ছাত্রীর সঙ্গে বেলেল্লাপনারত (!!!) মুহম্মদ জাফর ইকবালকে জনসম্মুখে হেনস্থা করা। যেখানে ধর্ম একটা ফ্যাক্টর ছিলো।
আলমগীর ভাইয়ের এই পোস্ট সেই আশার গুড়ে বালি ঢেলে দিয়েছে। পলায়নরত ছিনতাইকারীর এলোপাথারে কিলঘুষি মারার মতো আবোল তাবোল বলে যাচ্ছে এখন এরা। ধর্মে ঠাঁই না পেয়ে পিছু হটে এখন আশ্রয় নিতে চাইছে হাজার বছরের বাঙ্গালী সংস্কৃতির ছাদের নিচে।
ধন্য আশা হে কুহক... যারা হাজার বছরের আনন্দময় আর উদার বাঙ্গালী সংস্কৃতির মাথায় ঘোমটা চড়াতে চায়, তাদের ঠাঁই নাই...
৩.
হাজার বছর ধরে যে সংস্কৃতি এই ভূখণ্ডে গড়ে উঠেছে, কী সেই সংস্কৃতি? বাঙ্গালী সংস্কৃতি কী? নারী পুরুষ একসঙ্গে কৃষিকাজ করে, একসঙ্গে ফসল ঘরে তোলার সংস্কৃতি। সেই ফসল লয়ে একসঙ্গে নেচে গেয়ে আনন্দ করার রীতি আমাদের। বারো মাসে আমাদের তেরো পার্বণ, সেই পালাতে পার্বণে গীত নৃত্যে মেতে ওঠার রীতি আমাদের।
৪.
উনিশ আর বিশ শতকে সমগ্র ভারতবর্ষে, বিশেষ করে বাংলায় সম্প্রদায়গত বিরোধ যতো তীব্র হলো, মধ্যবিত্ত মুসলমানরা ততই সরে আসার চেষ্টা করলো বাংলার সংস্কৃতি থেকে। হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী আমাদের বাঙ্গালী সংস্কৃতির বিরোধীতা মুসলমানরাই প্রথম করে। চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলে এবং চলছে পারস্য সংস্কৃতির বোঝা।
বাংলাদেশের হিন্দুরা যেহেতু নিঃসন্দেহেই বাঙ্গালী এবং মুসলমানেরা যেহেতু হিন্দুর থেকে পৃথক, তাই তারা বাঙালী হিসেবে নিজেদের পরিচয় পর্যন্ত দেয় না।
৫.
যারা মুহম্মদ জাফর ইকবালের চরিত্রের নবনির্মাণে ব্যস্ত, তাদের কাছে অনুরোধ, আগে আপনারা ঠিক করেন কোন সংস্কৃতির বিচারে আপনারা দেখবেন? বাঙ্গালী সংস্কৃতি নাকি ইসলামী মূল্যবোধ? একটার গান গেয়ে আরেকটায় শিফট করা যাবে না। দুইটা দুই মেরু... খুউব খিয়াল কইরা।
৬.
হাজার বছরের বাঙ্গালী সংস্কৃতির কথা বলতেছেন? তাইলে নিচের কবিতাটা পড়েন... দেখেন কিছু বুঝেন কী না। এইটা কিন্তু মধ্যযুগের বাঙলা কবিতা...
বরজ কিশোরী ফাগু খেলত রঙ্গে
চুয়া চন্দন আবীর গোলাব
দেয়ত শ্যামের অঙ্গে।
ফাগু হাতে করি ফিরত শ্রীহরি
ফিরি ফিরি বোলত রাই।
ঘুমট উঠামেঁ বয়ান ছাপায়ত
বেরি বেরি যৈছে মেঘসে চাঁদ লুকাই।
ললিতা একা সখী ফাগু হাতে করি,
দেয়ত কানু নয়ানে।
বৃকভানু কিশোরী দুই বাহু ধরি
মারত শ্যাম বয়ানে।
আওর এক সখী জীউ জীউ করি
কাঁহা লাগাও আবীর।
কমরি ফাগু লেই কান নয়ান বেরি বেরি দেয়ত
হা হা করত কবীর।
৭.
আর কিছু বলার নাই... দেখেন বাউল কী বলে-
তোমার পথ ঢাইক্যাছে মন্দিরে-মসজিদে
ও তোর ডাক শুনে সাঁই চলতে না পাই
আমায় রুখে দাঁড়ায় গুরুতে মূর্শীদে
অথবা দেখেন চণ্ডীদাস কী বলে-
মরম না জানে ধরম বাখানে
এমন আছয়ে যারা
কাজ নাই সখি তাদের কথায়
বাহিরে রহুন তারা
৮.
হিন্দী গানের সঙ্গে নাচলেই অথবা ছাত্রীদের অনুরোধে তাদের সঙ্গ দিলেই যদি হাজার বছরের বাঙ্গালী সংস্কৃতি উচ্ছন্নে যেতো তাহলে বাঙ্গালী সংস্কৃতির নাম গন্ধ এতদিনে মুছে যেতো এই দেশ থেকে... পিন্টু ভট্টাচার্যের একটা গান শুনছেন?
'প্রেম কি কাঁচের বাসন
ঠুনকো সে কি এমন
ভেঙ্গে যায় ছুঁলে পাড়া পড়শী?
প্রেম কি কমে বাড়ে নিন্দে হলে কম বেশি?'
আমাদের হাজার বছরের সংস্কৃতি হিন্দির বাতাসে উড়ে যাবার নয়। আপনি ইজারাদার হইলেও নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন। আর জেনে রাখতে পারেন, লাখে লাখে তরুণ বাঙ্গালীর মনের ভেতরে বাংলা সংস্কৃতির বীজ বপন করে চলেছেন অল্প যে কয়জন ব্যক্তি, মুহম্মদ জাফর ইকবাল তাঁদের অন্যতম একজন। এই কাজটা তিনি আজীবনই করে যাবেন। ঠেকানো যাবে না। বুদ্ধিমানেরা সময়মতো কথা বলে, যত্রতত্র হাউকাউ করে না।
৯.
খুদাপেজ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
রেস্ট্রিকটেড মন্তব্য; রেস্ট্রিক্ট করলাম এই জন্য যাতে এই যুক্তি কারো চরিত্র অন্বেষনে/বিশ্লেষনে ব্যবহার না করা হয়।
এত্তো ভাল্লাগসে আর কি কমু! অনেক অসংখ্য ধন্যবাদ!
৩ নাম্বার আর ৪ নাম্বার পয়েন্ট বিষয়ে আরো কিছু আরো বলার আছে । মুসলিম সংস্কৃতিরে এইভাবে গণহারে ভিলেন বানানো ঠিক কাজের কথা না । এই আলোচনাটা পোস্ট প্রাসঙ্গিক না বলে এখানে করলাম না । পরে একসময় এটা নিয়ে কথা বলা যাবে ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ইশ, এইখানে এতো মজা হয়ে গেল, আমি টেরই পেলুম না।
এজন্যই পোস্টে প্রথম কমেন্ট করে সরে পড়া উচিত না, ভবিষ্যতে সতর্ক থাকব।
"তিনকোনা ছাগু চিফ" দেখি বিখ্যাত একটা টার্ম হয়ে গেছে। নির্বাচন কমিশনের পোস্টারেই শুধু নয় , ডিপার্টমেন্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধানরাও এই নাম শিখে ফেলেছেন। (দুশ্চিন্তার ইমো হবে)
আরিফ ভাই
দুঃখিত, মজা করার কোন উদ্দেশ্য আমার ছিলো না; আমি কোন মজা পাচ্ছিও না। "ভারপ্রাপ্ত প্রধানরা" কোথা থেকে আসল তাও বোধগম্য হলো না। আর আমি ছাগুচিফ চিনলে দুঃশ্চিন্তা কার?
স্যালুট। এরকম একটা পোস্টের দরকার ছিল।
নব্য ও পুরানো ছাগু- সবগুলোকে খেদানো হোক।
----------------------------------------
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
----------------------------------------
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
লেখককে ধন্যবাদ এই পোস্টটির জন্য
গুয়াজমের ছানারা, এই দেশ তোদের না। পরজীবি কৃমির মতো এদেশে লুকিয়ে বাঁচিস তোরা। আমি শাহবাগে থাকি রোজ। আয় সামনাসামনি কথা বলি... এই পোস্টে জানা কখন আসছিস।
বাংলাদেশে খুব কম গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান, গেট টু গেদার, বার্থ ডে পার্টি পাওয়া যাবে আজকাল যেখানে নাচা নাচি হয় না। আর নাচানাচির বেশিরভাগই হয় হিন্দী নয় ইংরেজি গানের সাথে। বাংলা নাচের গান কম পাওয়ার কারন দেখিয়ে। এ ধরনের অনুষ্ঠান নিজ পাড়াতেই নিজের বাড়ির ছাদে হরদম হচ্ছে। আগে অভিজাত এলাকায় থাকলেও এধরনের জিনিসগুলো আজকাল অনায়সে সেগুলো মধ্যবিত্তের ছোট ফ্ল্যাটে ঠাঁই করে নিয়েছে।
তিনবার হজ্ব করে আসা দাদা দাদীকেও দেখেছি নাতি নাতনীর মন রাখতে সাথে তাল দিতে। তাহলে সেগুলোর ভিডিও লিঙ্ক কবে আসবে বাজারে? সেগুলো কেনো দোষের নয়? পাড়ার লোকেরা কি তাহলে সম্মানিত নন? সেসব বেলায় কেনো নিজেদের সাংস্কৃতি গোল্লায় যাওয়া হয় না, চ্যাচাম্যাচি হয় না? থার্টি ফার্ষ্ট নাইট বন্ধ হয় না কেনো?
সারা দেশের লোকজন নাচলে লীলা খেলা আর জাফর স্যার নাচলে দোষের?
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আলোচনা নানান দিকে যাওয়ার আগে মনে হয় মুস্তাফিজ ভাইয়ের প্রশ্নটাই রিপিট করি ,
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
নাচলে অসুবিধা এইটাই যে ছাগুর দল সেইটারে নিয়া অসুবিধা বানায়। quite sure যে তারা নিজেরাও নাচে, নাচ দেখে, দেইখা আরও বহুত কিসু করে। হলে থাকতেই এদের মতই লোকের মুখে শুনসি, ওইসব করা জায়েজ, আরো বড় পাপ ঠেকানো যায়।
এখন এরা একটা উসিলা পাইসে খালি, পায়া ভ্যা ভ্যা করা শুরু করসে। ভাল একটা লোকের ক্যারেক্টার নিজেদের লেভেলে নামায়ে আনার চেষ্টা করতেসে।
সেইক্ষেত্রে এইটা যে কোন উসিলা না সেইটা চোক্ষে আঙ্গুল দিয়া দেখানোর দর্কার আছে ....
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
ছাগুর কথায় ভাত খাওয়ার দিন এখনও আসে নাই ব্রাদার। যাতে না আসে সে চেষ্টাই করা হচ্ছে।
বড় বেদনা নিয়ে এই লিখাটি পাঠ করেছি। পড়তে পড়তে রাগে ক্ষোভে মাঝে মাঝে কিছু একটা পিষে ফেলতে ইচ্ছা করেছে। জগতের মূর্খরা এখন সংস্কৃতির নতুন পরিভাষা তৈরি করবে, এটা স্বাভাবিক কিন্তু মানতে বড় কষ্ট হয়। জ়ীবনানন্দ বলেছিলেন 'যারা অন্ধ, তারা আজ চোখে দেখে বেশী...' আর বাউল করিম বলেছিলেন " এ যুগে আর থাকবে না মান/করিম বলে গাটুরি বান/ আসিবে আজলি তুফান দোহাই দিলেও মানবে না রে..."
আলমগীর নামে যিনি এই লেখাটি লিখেছেন, আমি জানি না তাকে sust ক্যাম্পাসে চিনতাম কিনা, তাকে ধন্যবাদ অন্তত কিছু বিভ্রান্তি নিরসনে এগিয়ে এসেছেন বলে।।। আমি এইসব ফালতু এবং পেচ্ছাবের ফেনার মত shallow লেখালেখির বিরুদ্ধে আমার মৌনতাকেই মনে করতাম উপযুক্ত জবাব। কিন্তু facebook e লিঙ্কটি পড়ে নিজেকে কিছুতেই ধরে রাখতে পারলাম না...
হাজার বছরের ঐতিহ্য গেল গেল বলে যিনি সরব হলেন, হাজার বছরের ঐতিহ্য বলতে তিনি কী যে বুঝালেন তা তো বোধগম্য হল না। হাজার হাজার বছরের উত্তরাধিকার বললে তো বৈদিক সভ্যতার দিকেই ঈঙ্গিত করআ হয়...সেখানে বাংলা সংস্কৃতি থেকে হিন্দি সংস্কৃতির পার্থক্যই বা কতদূর?...এইসব হাজার বছরের সংস্কৃতি-বিজ্ঞানীরাই আবার নবীন বরণ আনুষ্ঠানে মংগল-প্রদীপ জ্বালিয়ে দিলে জিহাদের ডাক দেন। আমি এইসব প্রসঙ্গে যাবার কোনো ইচ্ছা নিয়ে লিখতে বসিনি অবশ্য; আমি কেবল এই সব ঐতিহ্য-দরদীদের মূল বেদনার কারণ উল্লেখ করতে চাই।...ভাষার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার দোহাই দিয়ে বাংলাদেশে বেশ আগেই মুখোশধারি মৌলবাদিরা বাংলা হামদ নাত আর আরবী তমদ্দুন প্রসারে ব্রতী হয়েছিল। তারা বাংলা ঐতিহ্যকে বিশ্ব-সংস্কৃতির অবারিত ঐশ্বর্য থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চেয়েছিল। hybridisation অনিবার্য হয়ে উঠার যুগেও এরা Post modernism, orientalism ইত্যাকার বিভিন্ন প্রপঞ্চ-প্রবাহের ভুল এবং উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ব্যাখ্যা দিয়ে এখনও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে যচ্ছে। হায় দুঃসময়! রাজাকাররা আজ আমাদেরকে দেশপ্রেম আর ঐতহ্যপ্রেমের সবক দিয়ে বেড়াচ্ছে।।।আরো কিছুদিন পরে, ধারণা করছি এইসব সুবিখ্যাত সংস্কৃতি-বিজ্ঞানীরা classical music বন্ধ করতে জিহাদের ডাক দিবেন; কারণ খেয়াল বা ধ্রুপদের বান্দিশগুলো আধিকাংশই ব্রজবুলি আথবা আদি হিন্দি ভাষায় রচিত হয়েছে। এই আলোচনা যত দীর্ঘ হচ্ছে তত নিজের প্রতি অনুশচনাও বাড়ছে; কারণ আমি এই কথাগুলো যাদের উদ্দেশ্যে বলছি তারা সেইসব জ্ঞানপাপী্, যুক্তির বিরুদ্ধে যারা প্রয়োগ করে অপযুক্তি; সত্য ও প্রগতির বিরুদ্ধে নিয়ে আসে বিভ্রান্তির কূট-কৌশল; আমি বরং যে ভিদিও ক্লীপ নিয়ে কথা উঠেছে সেদিকে একটু মনযোগ দেই।
আলমগীর এখানে বলেও দিয়েছেন জাফর ইকবালকে ঘিরে কারা ছিলেন সেদিনকার সেই অনুসঠানে; তবু কিছু মন্তব্যকারিকে দেখলাম এখানে বাঙ্গালী ঐতিহ্যের ধুয়া তুলে জাফর ইকবালকে আঘাত করেছেন আবার কেউ কেউ এই আনুস্টানের সাথে জ়াফর ইকবালের সংশ্লিস্টতা নেই বলে প্রকআরান্তরে যেন এই হিন্দি গান বা অনুস্টানের আয়োজনকারীরা যে ভুল করেছেন সেটা মেনে নিয়েছেন।...আমি শুধু বলতে চাই মৌলবাদ কেবল একাত্তরের চেতনা-বিরুধিতাই নয়; যে আপ-মতবাদ তারুন্যের স্বত-প্রকাশের বিরুদ্ধে; যা মানুষকে জগতের আনন্দযজ্ঞের বাইরে রবীন্দ্রনাথ কথিত আনন্দহীন এক 'narrow domestic wall' এর ভিতর বন্দী করে রাখতে চায় তাও মৌলবাদ। সেদিন অনুস্টানে যা হয়েছে তা ছিল তরুন্যের আনন্দ-মেলা; সেখানে কি বাংলা কি হিন্দি কিংবা কি ইংলিশ অথবা কি বাংরা, কি jazz হয়েছিলো সেটা কিছুতেই গ্রাহ্য হবার কথা নয়; তরুণদেরর আনন্দ প্রকাশের মৌলিক ভাষার বিরুদ্ধে জাফর ইকবাল, সুকুমার কথিত রাম-গরুড়ের ছানার মত ঘুরে দাঁড়িয়ে তার মাস্টারি ফলাতে গেলে বরং তাকে এক বয়ো-বৃদ্ধ প্রতিক্রিশীলই মনে হত; তাকে উদ্দেশ্য করে তখন রবিন্দ্রনাথের সেই অমোঘ বাণী স্মরণ করিয়ে দিতে হত 'ওরে নবীন ওরে আমার কাচা/ আধ-মরাদের ঘা মেরে তুই বাচা...।
ধর্মজীবীরা একটা গল্প বলে থাকেন; বোধকরি গল্পটি old testament এর Islamic version. মুসা নবি যাবেন কুহেতুর পর্বতে; পথিমধ্যে দেখেন এক আল্লার বান্দা ' হে আল্লাহ তুমি আমার গোলাম' বলে চিতকার করছে। মুসা নবির ছিল বেজায় গুস্বা; তার খুব গুস্বা হল আর ব্যাটাকে শায়েস্তা করার জন্যে প্রস্তুত হলেন। গায়েবি আওয়াজ(oracle)আসলো 'হে মুসা তুমি যাকে শায়েস্তা করতে প্রস্তুত হচ্ছো, সে তো আমারই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে। তার অতি সাধের হারানো গাভি ফিরে পাবার পর সে এতই আনন্দিত যে শুদ্ধ বাক্য বলার দিকে মনযোগ দেবারও ফুরসত পাচ্ছে না। কিন্তু আমি ধরে নিচ্ছি সে আসলে বলতে চাইছে ' হে আল্লাহ! আমি তোমার গোলাম!" এই হলো আনন্দের ভাষার নমুনা! আনন্দের ভাষা তো নিজেই এক স্বয়ংক্রীয় ভাষা; ছোটবেলায় english grammer class এ 'আমাদের প্রেসিডেন্ট দীর্ঘজীবী হোন' এর ইংলিশ 'Long live our president'শুনে জিজ্ঞেশ করেছিলাম, স্যার! এটা কেমন বাক্য? sentance এর subject object বা verb এর position সবই তো গুলিয়ে গেল। আমার মাধমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এক বাক্যে এর উত্তর দিলেনঃ আবেগ ও আনন্দের কাছে ভাষা/ গ্রামার সব হার মানে।।'
মার্কেজ তার এক গল্পে প্রেমে পড়ার দশাকে hyperbolic আর magical করে তুলার জন্যে দেখিয়েছিলেন যে তার নায়িকা কোনো আয়নার সামনে গেলেই তা নীল রঙ্গে পরিনত হয়। কিন্তু এর পরের গল্পটি আমার এক বন্ধুর মুখে শোনা; সত্য/মিথ্যা পরখ করে দেখিনি...তার এক মৌলবাদি চিত্রশিল্পী বন্ধু নাকি কিছুতেই আয়না ব্যবহার করেন না...আয়নার সামনে গেলেই তিনি নাকি নিজের বদলে ওপাশে বিচিত্রসব আদিম জ়ীব-জ়ন্তুদের ছবি দেখতে পান..evaluation এর ফলে জগতের সমস্ত অস্তিত্বশীল প্রানীদের মাঝে পরির্তন হয়েছে আনেক...কিন্তু তিনি যে জীব-জন্তুদের ছবি দেখেন তা কোনও ইন্দ্রীয়গ্রাহ্য জীব-জ়ন্তুদের সাথে মেলেই না। তিনি কীসব ছবি দেখেন তার কিছু চিত্র একে নাকি এক biologist কে দেখানো হয়। biologist সেই ছবিতে অধুনালুপ্ত এক ধরনের দাতাল শুয়োর প্রজাতির সাদৃশ্য পেয়েছেন।।গল্পের সত্য/মিথ্যা জানিনা তবে নিজ অভিজ্ঞতায় দেখেছি মৌলবাদিরা বাস করে আদিম প্রস্তরযুগে। আলোতে তারা কিছুই দেখতে পায়না; তাদের চাই অন্ধকার...নিজেদের নিশ্ছিদ্র আনন্দহীন গুহাও তারা নির্মান করে ফেলে...আর জগতের সভ্যতা-প্রগতি আনন্দ-তারুন্যকে আঘাত করতে তারা বিভিন্ন মওকা নিয়ে বিভিন্ন মুখোশ নিয়ে তেড়ে আসে।।... হাল ছেড়না বন্ধু বরং কন্ঠ ছাড়ো জোরে...।।
(লেখাটি তাতক্ষুনিক; তাছাড়া বাংলা টাইপ এ আমি অভ্যস্ত নই; ফলে ভাষা কিংবা বানান বিভ্রান্তি পাঠককে খুব ভুগাবে এ আমি বিলক্ষন ধারনা করছি; এতো লিখে দ্বিতীয়বার চোখ বোলাতেও ইচ্ছা করছে না। আমি করজোড়ে ক্ষমাপ্রার্থী)...।
দারুন কায়সার দারুন।
এই দীর্ঘ মন্তব্য বাংলায় লিখতে গিয়ে কতোটা ঝামেলা করতে হলো তোমাকে, জানি আমি। তবু তোমার এই মন্তব্য দরকার ছিলো।
এই বরাহ'রা এতোই পিচ্ছিল যে টিকে থাকার জন্য এরা শেখ মুজিবকে ও বাপ ডাকে, আবহমান বাঙ্গালী সংস্কৃতির ও দোহাই দেয়!
এদের সমুলে উৎপাটনের জন্য প্রত্যেকের নীরবতা ভাঙ্গা দরকার।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
@ টিএম আহমেদ কায়সার - আপনার মন্তব্য পড়ে আপ্লুত হলাম। "মানুষ এনেছে ধর্ম, ধর্ম মানুষ আনেনি কোনো" এটা নজরুলই তো বলেছিলেন, তাই না? তারপরেও ইতরজনের বিকার নাই- অন্ধজনে দেহ আলো, এই কামনা করি।
টি এম আহমেদ কায়সার ,
অনেক ভালো লাগল আপনার মন্তব্য।
@কায়সার
আমরা ইউনির তৃতীয়, সিএসই/ইসিএসের প্রথম ব্যাচ।
ধন্যবাদ কষ্ট করে বাংলা লেখার জন্য, মন্তব্যের জন্য।
পরীক্ষার পড়া তৈরি করতে করতে বারবার ঘুরে আসছিলাম ফেসবুকের গ্রুপগুলো থেকে। এখনো delete করা হয় নি। দেখতে দেখতে মনে হল এরকম আরো অনেক গ্রুপ আছে, যেগুলো বিভিন্ন কারনে রিপোর্ট করা হয়েছে। ভাবছিলাম এরকম আপত্তিকর গ্রুপগুলোর একটা তালিকা করে রাখা গেলে কি ভাল হত না? তাহলে এখানকার মন্তব্য থেকে খুঁজে বের করতে হত না, রিপোর্ট করা সহজ হত।
সারাদিন ধইরাই পোস্টটা দেখতে দেখতে মেজাজটা চূড়ান্ত বিগড়ায়া গেলো।
এই ছাগুচীফরে ঠা** গাছে তোলা দরকার ... শালা শুয়োরের বাচ্চা ছাগু
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
নজু ভাইয়ের পোস্টে
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
লেখাট প্রথমবার যখন দেখি, আমার মাথা পুরায় আউলায় যায়, তাই তাড়াতাড়ি অফ্লাইন হয়ে যাই, বরাহ, ছাগু, যেই হোক না কেন, তাদের কি কোন কাজ নেই? বেহুদা তথ্যসন্ত্রাস করে কি লাভ হইল, শেষমেষ তো গুলিস্তানের মোড়ে লুঙ্গি হারায়া নাঙ্গা হইয়া হাত দিয়ে গোপানঙ্গ ঢাকতে ঢাকতে পালায় যাইতে হইল, এর চেয়ে ঘরে বইসা সরিষার তেল মাখলেই পারে নিজে নিজে। খামোখা গোবর ছিটায় আন্তর্জাল দুর্গন্ধ করার কি দরকার?
লেখাটা পড়ে মনে হয়েছিল, মারুফ বেটা সহ আরো যারা এই ভিডিও ছড়িয়েছে, তাদের ট্রাকের পিছে বাইন্ধা ক্যাক্টাস বাগানে যাই, গিয়া সেখানে এলোপাথারি গাড়ি চালাই। এরা মানুষ বা পশু নয়, অনেক ঘৃণ্য এবং নিচ কোন প্রজাতি এবং যার নতুন নাম দেওয়া একান্ত প্রয়োজন, ছাগু ডেকে ছাগলের মত নিরীহ প্রাণীদের অপমান করার কোন মানে হয় না।
অসংখ্য ধন্যবাদ আলমগীর ভাই, এমন একটা জিনিসের প্রতিবাদ রব তোলার জন্যে। লেখাটা শেয়ার করতে থাকব অন্তত আগামী একমাস খোমাখাতায় এবং জিমেইলে। পোস্টে কয়েক ছাগুর তাফালং দেখে খুব বিরক্ত হলাম, খারাপ কথা বের হয় দেখে উত্তর দিলাম না, এড়িয়ে গেলাম, এসব ঘৃণ্যদের সাথে কাদা ঘেটে সচল দুর্গন্ধ করলাম না, এটাকে আবার কেউ দুর্বলতা মনে করলে তখন বাধ্য হয়ে খতনা করে দিয়ে যাব।
সবচেয়ে অবাক হলাম, একজন মানুষ কোন মেয়ের সাথে নেচেছেন, সেটাকে কেন্দ্র করে অনেক রটনা ঘটনা হয়ে গেল, অথচ সে বেচারা এক স্থানে দাড়িয়ে কেবল হাততালি দিয়েছিলেন, সত্যি যদি নাচতেন তাহলে কি রটনা হত ভেবে ব্যাপক ভয় পেলাম। আর তার পাব্লিকেশন হয়েছে কি হয়নি, সেটা এখানে কিভাবে প্রাসংগিক, জানি না, জিনি রব তুললেন, তার আর জবাব দেখিনি, তবে তিনি রিসার্চ বলতে কি বুঝায়, সেটা বুঝেন কিনা, সে বিষয়ে আমি যথেষ্ট সন্দিহান, পাব্লিকেশন তো অনেক পরের ব্যাপার। তবে উনি ফান্ড দিলে হয়ত জাফর স্যার মনের সুখে রিসার্চ শুরু করবেন, উনি কি ফান্ড এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা এনে দিবেন শাবি তে? নাহলে মুখে আইকা লাগিয়ে বসে থাকলেই পারেন।
আরেকজন দেখলাম বিবেকের নামে অনেক বালছাল উড়াইলেন, নিজের নিজের পায়ে বেশ কবার কুড়ালও মারলেন, হাসি পেয়ে গেল তা দেখে, শিল্প সংস্কৃতি নিয়ে বড় বড় লেকচারো মারলেন। তবে, এই ভিডিও যারা আপলোড করেছেন, তারা কিন্তু একটা উপকার করেছেন জাফর স্যারের পক্ষে, তারা নিজের অজান্তেই দেখিয়ে দিয়েছেন, হল ভর্তি মেয়ে থাকতেও জাফর স্যার নিজেকে সংযত রাখতে সক্ষম, লুল্পুরুষ নন, অযথা কারে গায়ে হামলে পড়েননি, সত্যিকার ভদ্রলোক কাকে বলে। দেখে যারে ছাগুর বাচ্চারা, আর এর পরে এরকম ভিডিও আপ্লোড করবি, আমরা তার অপেক্ষায় বসে থাকব, আর তোদের মুখে ছ্যাড় ছ্যাড় করে ... ... ...
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
বহুদিন পড়া হয়না, শোনাও হয়না কিছু। সেই সুদূর শৈশব যদি মাখামাখি হয়ে থাকতো সুকুমারে, তবে অতি অবশ্যই কৈশোর ছেয়ে আছে জাফর ইকবালে। যে দু'একজন মানুষ এখনও বাংলাদেশটাকে পচে যেতে দেননি, তার ভেতর জাফর ইকবাল নামটি উজ্জ্বল হয়ে জ্বলে। আমদের সংস্কৃতির একটা প্রধান অঙ্গই হলো যাদেরই আমরা পছন্দ বা অপছন্দ করি তাদের দেবতা বা দানব বানিয়ে ফেলা। আজ এ লেখাটা হঠাতই পড়া আর সেই দানবায়ন প্রক্রিয়া দেখে ধাক্কা খাওয়া ---
অনেক পুণ্য নিয়ে জন্মেছিলেন ইকবাল স্যার যে অন্ততঃ তাঁর একজন সহকর্মী তাঁর আনন্দ প্রকাশের সাফাই গাইতে পারছে, আরো মানুষ বলতে পারছে না, বউ ছিলো, মেয়ে ছিলো, নেচেছে, ঠিক আছে - আরো একদল বলছে না হিন্দী গান অপ্রতিরোধ্য আজকের বাংলায়, জাফর ইকবাল নাচলেই দোষ নয়---- --- এগুলো আমি পড়ছি আর ভাবছি ---
শুধুই ভাবছি ---
জামাতিদের বাঙালিত্বের দোহাই বা মরাকান্না, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে পাশ কাটিয়ে জাফর ইকবালের চরিত্র হনন, এগুলো ছাপিয়েও যে কথাটা বারবার মনে হচ্ছে সেটা খুবই সরল একটা প্রশ্ন। একটা মানুষ, পুরুষ বা নারী, সাথে কন্যাসম ছাত্রী বা কন্যা, বাংলা ইংরেজী বা হিন্দী,পশতু, জার্মান বা স্লোভেনিয়ান গানের সাথে নাচছে গাইছে, একটা অতি সুরক্ষিত জায়গায়, শুধুমাত্র সেই মানুষটা "বিখ্যাত" বলে তার সমস্ত অর্জন, সমস্ত কথা সমস্ত অবদানকে একেবারে মাটিতে মিশিয়ে দিতে হবে?
ইতরামির একটা সীমা থাকা উচিত!!!
নন ইস্যুকে ইস্যু বানানোর এবং সেনসেশনাল করার দায়িত্বটা এদ্দিন হলুদ সাংবাদিকেদেরই ছিলো,অধুনা ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া ছেলেপিলেরাও তাতে নখদাঁত বের করে সামিল হচ্ছে দেখে বিবমিষা বোধ করছি।
আর কাঁধে হাত দেয়ায় চরিত্র খারাপ হওয়া প্রসঙ্গে - বিদেশে যেসব মেয়ে পড়তে আসেন তাদেরকে শিক্ষকরা পিঠ চাপড়ে দিলে বা ক্রিসমাস পার্টিতে হাত কাঁধ ধরে নাচলে আমাদের সংস্কৃতি একেবারে খোয়া যায় কিন্তু কনসার্টে একদল ছেলে বাংলাদেশ বলে খালি গায়ে চীৎকার করলে যায়না, কারণ ??????
আমাদের সংস্কৃতি, কৃষ্টি একজন জাফর ইকবালের একবার ছাত্রী হলের নাচেই কোমর ভেঙে পড়লে সেই সংস্কৃতি প্রকৃত সংস্কৃত বানাবে কাউকে? সেই সংস্কৃতির দরকারও কি আছে খুব?
ফেইসবুকে শেয়ার করলাম লেখাটা, কিন্তু বাংলাদেশে ইতরামি একটা অসহ্য পর্যায়ে চলে গ্যাছে। ড: জাফর ইকবালকে এটুকুই বলার ছিলো, স্যার বিদেশে থাকলেই ভালো করতেন। দেশের কৃতী সন্তান হওয়ার গর্বটুকু নিতেন, অনেকের মতো বিদেশের সমস্ত সুবিধা গুলো নিয়ে যখন তখন বিদেশের সিস্টেমের কুৎসা গাইতেন এবং দেশে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে ছুটিতে খ্যাপ মারতে যেতেন। তাতে ধর্মও রইতো, জিরাফও রইতো। মেরুদণ্ড সোজা করে, সুখ সুবিধা বিসর্জন দেবার যে "চয়েস" আপনি বেছে নিয়েছেন, তাতে কদাকার এই দেশে আমি "স্বপ্ন" দেখার ও দেখানোর মত কিছু খুঁজে পাওয়াকে ধৃষ্টতা বলেই মনে করছি। কারণ বাংলাদেশের সুশীল সমাজ আপনার ব্যাপারে ঈর্ষান্বিত, আর অশীলরা ক্রোধান্বিত। একজন সাধারণ মানুষ হয়ে বেঁচে থাকাটাই অসম্ভব এখনকার বাংলাদেশে। এই "অ"দরকারী ""অ" সাধারণ "অ"শিক্ষিত মানুষগুলোই আজকের বাংলাদেশ, তাদের আপনি কি শেখাবেন, তারা আপনার কাছ থেকে কি ই বা শিখবে? আপনার মত একজন সাদাসিধে কথা বলা সধারণ মানুষের থেকে?যদি আজ আপনার কলিগ না থাকতো তাহলে আমরা কী জানতাম?? ----- মাথায় শুধু এ কথা গুলোই ঘুরপাক খাচ্ছে।
আজকে এই পোস্টটা দেখার পর থেকে বড় বিষন্ন কেটেছে সারাদিন, বারবার এসে দেখে গেছি কিন্তু ক্ষোভে-দুঃখে গলা-হাত বন্ধ হয়ে এসেছে, কিছুই লিখতে পারি নি গুছিয়ে। আপনি আমার মনের সমস্ত ভাবনাগুলি বড় পরিস্কারভাবে লিখে ফেল্লেন, অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
হায়রে দেশ!
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
ভাইরাসের কোন
দেশ নাই
ভাষা নাই
সংস্কৃতি নাই।
তার কাজ কেবল রোগ ছড়ানো। অদ্ভুত ব্যাপার হল, শুয়োরগুলোরও তাই।
এদের দেশ নাই, যেহেতু বাংলাদেশ মানে না (মনে মনে পাকি পাকি জপ করে)
ভাষা নাই যেহেতু মনে মনে অন্য ভাষায় ও ভাষার স্বপ্ন দেখে
সংস্কৃতি নাই কারণ বাংলায় থেকেও বাংলায় বিশ্বাস নাই।আসলে তার কোন আনন্দই নাই।
তাই, তারা অভিশপ্ত, "Ancient mariner" এর বুড়োটার মত পাপ মোচনের জন্য ইতিহাসের গল্প বলে যেতে হবে তাদের। শেখ মুজিবকে ঘৃণা করলেও বলতে হবে তিনি তাদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। বাংলাদেশকে মেনে না নিলেও বাংলার ঐতিয্যের গল্প বলে যেতে হবে (আত্মরক্ষার প্রয়োজনে)।
এই অভিশপ্ত জীবন কার ভালো লাগে? এইগুলো মানসিক রোগ হবার জন্য যথেষ্ঠ নয় কী? তাই জাফর ইকবালের পায়ে কামড় দেয় এইসব জানোয়ার।
নদী
১৯৭১ এর ১৮ই ডিসেম্বর, একদিকে বিজয়ের আনন্দ আর অন্যদিকে স্বজন হারানোর বেদনা, এমতাবস্থায় পল্টনে পাঁচ রাজাকার ধরে আনা হলো, উম্মুক্ত বিচারালয়ে লাখো জনতা তাদের মৃত্যুদন্ড ঘোষনা করলে কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্ত্বে তা বাস্তবায়ন হয়। আজ মনে হচ্ছে এ ঘটনা সেখানেই থামিয়ে দেয়াটা বড় ভুল ছিলো।
...........................
Every Picture Tells a Story
একমত মুস্তাফিজ ভাই, সম্মুখভাবে হয়ত এই ছবি দেখে সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের মনে রাজাকারদের জন্যে মায়ার উদ্রেক হবে, আমরা এখনো মানুষ, তাই আরেকজনের অসহায় অবস্থা দেখে মায়া লাগতেই পারে, কিন্তু তখনই পাশে ঝুলিয়ে দিতে হবে রাজাকারদের কৃত কর্মের ছবি। একটু নাটকীয়তার আশ্রয় নেই, ডেক্সটার নামে এখানে একটা টিভি সিরিয়াল হয়, যে মানসিক ভাবে কিছুটা অপ্রকিতস্থ, তার ভেতরের পশুটা মাথা চাড়া দেয়, কিন্তু তার বাবা তাকে শিখিয়ে দেয়, এই ঘাতক মানসিকতাকে জনকল্যানে ব্যবহারের জন্যে, তাই সে আইনের বেড়াজাল কেটে বের হয়ে আসা আসামীদের ধরে ধরে মারে, আর মারার সময় সেই ঘাতকদের হাতে যারা প্রাণ হারিয়েছিল, তাদের ছবি ঝুলিয়ে রাখে। ডেক্সটারের হাতে যদি গোয়া, মরনীকে তুলে দেওয়া হয়, তাহলে ছবির লিস্টটা কত লম্বা হবে, চিন্তা করেছেন একটু?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
অবশ্যই ভুল ছিলো।
বরাহশিকারীরা কি শুধু ব্লগেই শিকার করবেন সবসময়ই?? কে বা কারা মু জাফর ইকবাল কে নিয়ে এক ভিডিও অনলাইনে ছেড়ে দিয়েছে তার মানহানি করার জন্যে, সেই মান বাঁচানোর জন্যে এখানে আবার পোস্ট দেয়া হয়েছে, সেটাকে স্টিকি করা হয়েছে; তারপর এখানে তথ্য বিকৃতি এবং বিভিন্ন কারনে জাশি র গোষ্টী উদ্ধার করা হচ্ছে। আমার মনে হয় সচলায়তনে এইরকম পোস্ট না পড়লেও এখানকার পাঠক বা সদস্যরা যে কোনসময়ই মু জাফর ইকবাল এর মান হারানোর কাজ করবেন না সেটা নিশ্চিত তাই সচলায়তনের এতো স্বল্প পরিসরে কথার ফুলঝুরি দিয়ে আদৌ উনাকে ফেরেশ্তা বানানোর চেষ্টা চলছে না বরাহ শিকার চলছে বুঝতে পারছিনা, নাকি বেশি আলোচনার মাধ্যমে একটা নন-ইস্যুকে ইস্যু বানাচ্ছি আমরা। আজকে ফেসবুকে ঢুকে দেখলাম, 'Know Zafar Iqbal' গ্রুপে ৫০০০+ আর 'Report against group named Know Zafar Iqbal' গ্রুপে মাত্র ১২০+ র মত সদস্য। এভাবে কি ছাগু শিকার হবে?? সচলায়তনে কোনো ছাগু বিশয়ক কোনো পোস্ট পড়লে ঘুরে ফিরে কয়েকজনকেই (২০-২৫ জন) দেখি সবসময়ই কথামালা দিয়ে যুদ্ধাপরাধীর বিচার করে ফেলছে তাতে কি আসলে প্রকৃতপক্ষে কোনো লাভ হচ্ছে?? যাইহোক, আমি শুধু এইটুকু বলতে চাই-----কথামালা দিয়ে আর কতদিন?? এতকিছু নিয়ে অনশন হয়; কই কাউকে তো দেখলাম না শহীদ মিনারে গিয়ে ২ দিন অনশন করল যুদ্ধাপরাধীর বিচার ত্বরান্বিত করার জন্যে। আমরা এখানে জাশি র ভন্ডামি নিয়ে কথা বলি, আর মুক্তিযোদ্ধারা গিয়ে তাদের দেয়া পদক নেয়, সাহায্য নেয়। মু জাফর ইকবালকে ছোট করে যেমন যুদ্ধাপরাধীর বিচার কেউ ঠেকাতে পারবেনা, আবার তাকে ফেরেশ্তা বানিয়েও কেউ যুদ্ধাপরাধীর বিচার ত্বরান্বিত করতে পারবেনা যদি জাতিগত ঐক্য না থাকে আমাদের মধ্যে এবং সত্যিকার ভাবে সরকারকে চাপ না দেয়া যায়।
আজকে যদি আমরা শহীদ মিনারে গিয়ে অনশন করতাম, আপনি ঠিক একই কথা এক ধাপ পর থেকে বলতেন। বলতেন, অনশন করেই কি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা সম্ভব হবে? হবে না। কই কাউকে তো দেখলাম না যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ত্বরান্বিত করার জন্য পাঁচ দশটা গাড়ি ভাংতে ...।
জনাব, আপনি আমাদের পথ দেখান। আমি নিশ্চিত, সচলায়তনে ২ দিন অনশন করার মতো অনেককে আপনি সাথে পাবেন। আপনি আমাদের খলিফা। আমরা মেষশাবক। পথ দেখান, আলো দেখান হে মসীহ! বলেন শহীদ মিনারে কবে আসবেন। টিকেট বুকিং দিয়ে সচলে খালি একটা মেসেজ করবেন।
আপনি কি যুদ্ধাপরাধীর বিচারের জন্যে গাড়ী ভাংচুরের মত কর্মসূচি সমর্থন করেন?? এই ধরনের ন্যায্য দাবী আদায়ের জন্যে অনশন না গাড়ী ভাংচুর- কোনটা বেশী ইফেক্টিভ মনে হয় আপনার কাছে?? আর এই ধরনের কর্মসুচির জন্যে আমি খলিফা হতে চাচ্ছি না কারন আমার চেয়ে অনেক অনেক প্রাজ্ঞ লোক আছেন যারা দিনের মধ্যে বেশিরভাগ সময়ই এই বিচারের জন্যে ব্লগে লেখালেখি করে যাচ্ছেন। আমি স্বাধীনতার এক দশক পরের প্রজন্ম এবং আরো এক দশক পরে স্বাধীনতার পক্ষ/বিপক্ষের ব্যাপ্রে জেনেছি ততোদিনে এই দেশে এইসব বরাহরা শক্ত ভিত গড়ে ফেলেছে আর তার পরের দশক তো এদের নিয়ে রাজনীতিই দেখলাম, তাই এই ইস্যু নিয়ে আমার ততোটা উতসাহ নেই। তবে এইটুকু বুঝি এই ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশীরা ঐক্যবদ্ধ না-বিভক্ত; কোন পক্ষ জয়ী হবে সেটা সময়ের ব্যাপার আর আমি চাই যা ন্যায় তারই জয় হোক।
অনশন বা গাড়ি ভাংচুর, একটারও সমর্থক না আমি। তবে প্রয়োজন পড়লে করতে রাজি আছি। যখন দেখি, ব্লগে কিছু লিখলে আপনার মতো দুয়েকজনের পশ্চাদ্দেশ জ্বলে ওঠে, এবং নানা ধোঁয়াটে কথাবার্তা তারা বলে (যেমন জন্মাইসে দশ বছর পর বুঝতে শিক্সে ২০ বছর পর তাই এগুলি কোনো ব্যাপার না), তখন বুঝি, ব্লগে লিখেও কাজ হয়।
বাংলাদেশীরা এই ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ। কিছু পাকিস্তানীর ঔরসে জন্মানো ছাপার অযোগ্যের ছাও এই ইস্যুতে বিভক্ত। ওদের কথা বাদ দ্যান।
এইবার ঝাইড়া কাইশা বলেন ভাই, আপনি কি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চান নাকি চান না?
যুদ্ধাপরাধীর বিচার অবশ্যই চাই কিন্তু আপনাদের অনেকের মত সারাদিন ধরে সব-কিছুর মধ্যে জাশি খুজে বেড়ানোর মত করে চাইনা। আপনি ভালো করে দেখুন কারা আজ সারাদিন ব্লগে যুদ্ধাপরাধীর বিচার নিয়ে লেগে আছে, তারাই যারা সৌখিন জীবন-যাপন (বিদেশে যানজ়ট বিহীন, নিজের পেট চালানোর চিন্তাবিহীন, কম্পিউটার খুলেই হাই-স্পীডের ইন্টারনেট, এসির মধ্যে থেকে কি-বোর্ড টেপাটেপি ইত্যাদি) করছে। আমার বাবা বা মার মত অনেক মানুষ কে যখন সংসার চালানোর জন্যে শরীরের কথা চিন্তা না করে শীতের সকালে উঠে উপার্জনের কথা চিন্তা করতে হচ্ছে তাদের কাছে যুদ্ধাপরাধীর বিচারটা কতটা প্রায়োরিটি পায় সেটাই দেখার বিষয় আর বাংলাদেশে এই ধরনের মানুষই বোধহয় বেশি। আমি জানি- আমি যেভাবে জীবিত নির্বাহ করচি বা আমার বাবা-মা করছে, কাল যদি যুদ্ধাপরাধীর বিচার হয়- একটা মানসিক শান্তি ছাড়া সংখ্যাগরিষ্ট মানুষের জীবন যাপনের বাহ্যত আর কোনো পরিবর্তনই আসবেনা। এখন আপনি আমাকে অনেক কিছুই বলবেন- আমি জামাতের ঔরস, আমি ছাগু, কেপি টেস্ট দিতে বলবেন ইত্যাদি কিন্তু আমি আমার বিবেকের কাছে পরিস্কার-কারন আমিও একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আপনি যদি এখন য়ামার প্রতিটি কথা থেকে আমি কি মতাদর্শের সেটা বের করার চেষ্টা করেন এবং য়াপনার সমমনাদের মাঝে সেটা প্রতিষ্ঠিত করে দেন- আমার সেটা সহ্য করা ছাড়া আপাত কিছু করার নেই। কিন্তু আমিও চরম আগ্রহে অপেক্ষা করছি কবে থেকে যুদ্ধাপরাধীর বিচার আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয়।
আপনি ঠিকই ধরেছেন, আমি আপনাকে জামাতসমর্থকই মনে করছি। চার বছর ধরে ব্লগে তাদের লাদি দেখতে দেখতে লক্ষণরেখাগুলি চিনে ফেলেছি।
আপনার দাবির অসারতার কথা বলছি পাঠকদের খাতিরে। আপনি সংশোধনের অযোগ্য ছাগু।
১. আপনার দাবি, বিদেশে আরামে বসে আমরা চেঁচাচ্ছি। আপনার জ্ঞাতার্থে জানাই, বিদেশ খুব একটা আরামের না, আপনি নিজে হয়তো এই মুহূর্তে বিদেশে কিছু আরাম পাচ্ছেন বলে সবাইকে ঐ একই আরামে কল্পনা করছেন। আর এই তথাকথিত "আরাম" এর জীবন শুরু হবার আগে সারাটা জীবন দেশে ছিলাম, এবং যখন রাজাকাররা ক্ষমতায় ছিলো, তখনও এই একই কথাগুলি বলে এসেছি। শীতগ্রীষ্মে কল্পনাতীত শারীরিক পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করেছি আপনার বাবা মায়ের মতোই, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিকে কখনো লো প্রায়োরিটির মনে হয়নি।
২. মানুষের দৈনন্দিন জীবনের কষ্ট লাঘবের দাবিগুলির সাথে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি কি সাংঘর্ষিক? আপনি আজ ট্র্যাফিক জ্যাম চান না, চান নিয়মিত বিদ্যুৎ, পানি, নিরাপত্তা ... তো এই নাগরিক সুবিধার যোগান কি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কার্যক্রমে কোনোভাবে বাধাপ্রাপ্ত হয়? যদি হয়, তাহলে তো দেশ থেকে বিচারই তুলে দেয়া উচিত। চলেন কোর্ট বন্ধ করে সবাই অন্য প্রায়োরিটির কাজগুলি করে ফেলি। চুরি খুন ধর্ষণ ডাকাতি অগ্নিসংযোগ কিছুরই বিচার করার দরকার নাই আর। আপনার বোনটাকে ধর্ষণ করে আসি, আর আপনি বিচার চাইলে বলি, আরে আপনার বাবা মায়ের না অন্য প্রায়োরিটি আছে ... বিচার চান ক্যান, মানসিক শান্তির জন্য?
৩. ইদানীং সকল রাজাকার পাকির পয়দা শুয়োরের বাচ্চাই বলে তার বাপ মুক্তিযোদ্ধা ছিলো। বাপ বা মা মুক্তিযোদ্ধা থাকলেই কারো কথা হালাল হয়ে যায় না। আপনি নিজে কী, সেটাই দেখার বিষয়। আপনার পিতা মুক্তিযোদ্ধা হয়ে থাকলে, তাঁকে আমার সালাম জানাবেন। বলবেন, বাংলাদেশের মানুষ তাঁর ছেলের মতো ব্রন্টোসরাসের চামড়া গায়ে দিয়ে ঘোরে না, এটা প্রমাণ করা জরুরি।
জনাব ক্লান্তিহীন
আপনার ক্লান্তিহীন মন্তব্য দেখে জবাব না নিয়ে পারছি না। সত্যি করে বলুন তো দেখি কোথা থেকে এ লেখার লিঙ্ক পেয়েছেন? আর বাংলা ব্লগ/ফোরাম কদ্দিন ধরে পড়ছেন? যেভাবে চমৎকার বাংলা টাইপ করছেন খুব অবাক হচ্ছি, কারণ আস্ত
নেট ঘেঁটে কোথাও ক্লান্তিহীন নামে কারো কোন লেখা/মন্তব্য কিছুই পেলাম না।
আপনার বাবাকে সালাম জানাবেন।
"বিদেশে সুখের জীবন" কথাটা শুনে এত হাসি পাচ্ছে যে আর কি বলব। ভোর ছয়টায় উঠে ল্যাবে যাই, রাত ১২টায় টলতে টলতে বাসায় আসি। কবে ফান্ড নাই হয়ে যায় কোন ভরসা নেই। আর দেশে থাকতে তো বুঝতাম না বাসা সামলানো, রান্না করা জিনিসগুলো আসলে কি, এখানে হারে হারে টের পাই। The sea weed is always greener in somebody else's lake.
বাবা মুক্তিযোদ্ধা হলেই নিজের অবস্থান পরিষ্কার হয় না। আমি এমন ছেলেও চিনি যার বাবা রাজাকার (আক্ষরিক অর্থে না হলেও), ছেলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়।
ভাই, আপনার কথা পড়ে তো চোখে পানি চলে আসলো। মানুষ এত গাধাও হয়! I mean, ভার্সিটিতে টিচিং করাতে গিয়ে এমন ছাত্রও পেয়েছি যারা দুয়ে দুয়ে চার পর্যন্ত গুনতে পারে না। দুই ঘন্টা ধরে দাঁড়িয়ে বোঝাতে বোঝাতে ক্লান্ত হয়ে ক্লাস থেকে বের হতে হতে মনে মনে গালিও দিয়েছি, "ছাত্র না গাধা পড়াই!" এখন আপনার লেখা পড়ে আমার ওদের কথা মনে হয়, আর আফসোস হয় ওদের তো এইটুকু বুদ্ধিও ছিল, আপনার সেটাও নাই।
আপনার ধারণা বিদেশে বসে আমরা আরাম করছি? বিদেশে থাকার কষ্ট কি বোঝেন?! প্রত্যেকটা সেকেন্ডে মনে হওয়া যে এইটা আমার নিজের দেশ না, আমার নিজের দেশ আমার থেকে হাজার মাইল দূরে, এই বোধটা কি আপনার পেতে হয়? মুসলমান বলে একটা দোকানে গিয়ে শুনতে হয়, "তোমার কাছে পাউরুটি বেচব না, তুমি terrorist"? আমেরিকা, ইউরোপে কোথাও কোন বম্ব ফাটলে আপনার এই দুশ্চিন্তা হবে না যে কখন কোন ক্রোধন্মত্ত শ্বেতাঙ্গ আপনার বাড়ির জানলা দিয়ে ইট ছুড়ে মারে।
পেটের চিন্তা করতে হয় এখানেও। সাথে এই চিন্তাও আছে যে আমি বিপদে পড়লে এখানে কোন স্বদেশী খুঁজে বের করতে হবে যে আমাকে সাহায্য করবে। এই চিন্তাও আছে যে আমাকে মাসের বেতন থেকে নিংড়ে health insurance এর টাকা দিতে হবে, নাহলে কোন আক্সিডেন্টে পড়লে কোন হাসপাতালে আমার চিকিৎসা হবে না।
এসির ভেতর থাকি? subzero temperature এ ঘরের হিটার বন্ধ করে থাকার (যাতে বিদ্যুত বিল আয়ত্তের মধ্যে থাকে) মানে বোঝেন? subzero temperature মানে বোঝার বুদ্ধি আছে তো?
দেশে আমরাও ছিলাম, দেশে আমরাও খেটে নিজের শরীরের চিন্তা না করে পেট চালিয়েছি, পরিবার খাইয়েছি। কিন্তু সেখানে এই চিন্তায় অস্থির থাকতে হয় না, কখন আমার বেতন বন্ধ হয়ে যায়, এখানে যেমন প্রফেসরকে সন্তুষ্ট রাখতে না পারলে পরের টার্মেই চাকরি গেল।
কিন্তু না জেনে না বুঝে আপনার মত এমন snap judgement দেইনি।
যুদ্ধাপরাধীর বিচার নিয়ে কথার মধ্যে জামাত-শিবির কেন আসে, সেইটা আপনাকে ব্যাখ্যা করে বোঝানর কাজটা আমার চেয়ে ভালভাবে, ধৈর্য ধরে এখানে আরো অনেকে পারবেন। আপাতত আপনার পিছনে এই পরিশ্রম করার ইচ্ছেটা এখন আমার হচ্ছে না। আল্লাহ মালুম যুদ্ধাপরাধীর বিচার হলে কেন আপনার এতো স্বস্তি হবে! পরীক্ষা খারাপ দিয়ে (আপনার মতই হয়ত) আমিও "চরম আগ্রহে" আশংকা করেছি কবে রেজাল্ট বের হবে, আর আমি মার কাছে বকা খাব।
আপনি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান যদি আপনার দাবী সত্য হয়ে থাকে। আপনার বাবাকে সামনে পেলে আমি তাঁর পা ছুঁয়ে সালাম করব। তারপর তাঁকে সান্ত্বনা দেব তাঁর কপালে আপনার মত সন্তান জুটেছে বলে।
-আশাহত
জ্বী জনাব, উপস্থিত। আমি নিজে সশরীরে প্রেসক্লাবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবীতে অনশন ধর্মঘটে করছি।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবীতে মিছিল সমাবেশ কোনোকিছুই কম করি নাই। গজারীর দণ্ড হাতে গোলাম আজমের সমাবেশে হামলা করছি, পুলিশের লাথি গুতা কাঁদানো গ্যাস সব খাইছি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবী করতে গিয়া...
শাবিপ্রবিতে জাফর স্যার যে আন্দোলনের ডাক দিছিলো, সেই আন্দোলনে শামিল হইতে ঢাকা থেকে যে দলটা গেছিলো সবার আগে, আমি সেই ৬ জনের ১ জন। মদীনা মার্কেটের সামনে শিবিরের আক্রমনের শিকার হইছি পর্যন্ত...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আহা বাংলাদেশ- আমার বাংলাদেশ
ইবরাহিম যুন
ভিডিওটির ব্যাপারে কিছু বলি। আমরা যারা ছাত্র তারা হাতে ক্যামেরা পেলেই জাফর স্যারের সাথে ছবি তোলার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ি। জাফর স্যার সবসময় হাসিমুখে রাজি হন এবং আমরা সবসময় চাই স্যার যেন আমাদের কাধে হাত রাখেন(তার হাত দুটো নিয়ে মোটামুটি কাড়াকাড়ি পড়ে যায়)। কিছুদিন আগে আমাদের ডিপার্টমেন্টের র্যাগ ডে হয়ে গেল সেখানে আমরা স্যারের সাথে অনেক ছবি তুললাম, ভিডিও করলাম। সেসব ছবি ও ভিডিওতে ছেলে ও মেয়ে উভয়েই ছিলো এবং স্যার আমাদের কাধে হাত রেখেছেন। এখন আমি ছেলে বলে স্যার আমার কাধে হাত রাখবেন আর আমার সহপাঠী মেয়ে বলে তার কাধে হাত রাখবেন না! যাই হোক, আমার মনে হয় সবার সব কিছু ধারন করার ক্ষমতা নেই। এক লিটারের একটা বালতিতে কখনো দুই লিটার পানি ধরবে না। যাদের মন ছোট তারা জাফর স্যার কি এই বোধের ধারে কাছেও তারা যেতে পারে না। আমি এই ভিডিও ইউটিওব বা ফেসবুকে দেখিনি কারন এইসব বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ভিডিও ও ছবি আমাদের সবার কম্পিউটারেই আছে। তোমরা স্যারের নামে যা ইচ্ছা ছড়াও আমরা তাতে বিচলিত নই কারন তোমাদের মন এতই ছোট যে সেখান থেকে নোংরামী ছাড়া আর কিছু বের হতে পারে না। বানরের লাফালাফি দেখতে আমাদের সবার খুব পছন্দ, তবে সাবধান খাচার বাইরে বের হয়ে যেও না।
ধন্যবাদ
সাবাস রাজন!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
ত্রিভুজের কান্ধে হাত রেখে নিজামীর ছবি দেক্তাম ছাই। তারপর দেখবো তিরিভুজ, তুই কত বড় গেলমানচন্দ্র! আর নিজামীর চরিত্রও তখন কোনহানে যায় দেখা যাবে ।
মুহম্মদ জাফর ইকবাল আজ অব্দি বহু মানুষের সমালোচনা করে নাম কুড়িয়েছেন। ২০০৪ সালে যখন পুলিশের ইউনিফর্মের কালার স্কিম বদলাবার সিদ্ধান্ত হয়, তখন জাফর ইকবাল কোন্ কোন্ বিএনপি নেতার বস্ত্রশিল্পে বিনিয়োগ আছে তার খতিয়ান দিয়েছিলেন। খুঁত ধরতে তিনি এতই তৎপর যে পুলিশের ইউনিফর্ম বদলাবার কারন হিসেবে তিনি বিশ্লেষণ করেছিলেন যে ওমুক নেতাদের ব্যবসা চাঙ্গা করাই ছিল এ সি... See Moreদ্ধান্তের উদ্দেশ্য। এর জের ধরে তিনি বাংলাদেশকে ব্যানান রিপাবলিক বলেও আখ্যা দিয়েছিলেন।
যাই হোক, এত খুঁত ধরনেওয়ালা জাফর ইকবালকে এভাবে নাচতে দেখে প্রথমেই মনে পড়ল প্রথম আলোতে তার লেখা একটা আর্টিকেলের কথা। এই আর্টিকেলে টপক্যাপি রেস্টূরেন্টে থার্টি ফার্স্ট নাইট পার্টিতে মাহী বি. চৌধুরীর সস্ত্রীক যাওয়ার প্রসঙ্গে জাফর ইকবাল নিজের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন। তার বক্তব্য ছিল যে মাহী বি. চৌধুরী সেখানে না গেলেই ভালো করতেন, এটা তো এমন জরুরী নয়, বরং দেখতে গেলে এর কিছু নেতিবাচক দিক আছে ইত্যাদি ইত্যাদি।
তো, এই যে তিনি কতিপয় ললনার সাথে উম্মত্ত নৃত্যে মত্ত হয়ে হয়েছেন, তার নিজের কথা অনুযায়ীই বলি, এটা কি না হলে ভালো হত না...? দেখতে গেলে এর কি কোন নেতিবাচক দিক নেই...?
ছাগু রে,
লম্বর ১, ঐ আর্টিকেলটার দিন তারিখ উল্লেখ কর। পারলে লিঙ্ক দে। কথা নিজের ইয়ে থেকে টেনে বের করিস না। ঐ আর্টিকেলে কী লেখা হইসে, সেইটা কোট কর।
লম্বর ২, ললনার সাথে উন্মত্ত নৃত্য পাইলি কই? হাততালি দিলে উন্মত্ত নৃত্য হয়? তোর বাপেরা রুকন সম্মেলনে হাততালি দেয় না? ঐটাও উন্মত্ত নৃত্য তাহলে?
লম্বর ৩, নেতিবাচক দিকগুলি বল তো এক এক করে, শুনি। জাফর ইকবাল নিজের ছাত্রীদের আয়োজিত অনুষ্ঠানে উইঠা একটু হাততালি দিলে কী কী নেতিবাচকতা আছে বয়ান কর।
আর করতে না পারলে গু খা। ছাগল কোনহানকার।
হিমু
অশিষ্ট শব্দ ব্যবহারের কোন প্রয়োজন দেখি না।
হিমু,
নিজের লেখার দিকে একটু তাকান।
একবার দেখুন তো জাফর ইকবালএর মতো দুঃচরিত্রের লোকদের কুকরমের সমর্থন যারা করে তাদের ভাষা কেমন হয়!!!!!! যা কিনা তাদের সত্তিকার পরিচয়ইইইই বহন করে। । তাই এমন নোংড়া লোকদের সাথে বিতর্ক না করাটাই উত্তম।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
তাকাইলাম। দেখলাম, একটা পাকিস্তান থেকে হায়ার করা বাপের পয়দারে ঝাইড়া বিনাশ করতেছি। এরমধ্যে খারাপের কী দেখলি?
জনাব বিবেকের কথা
আপনি এ লেখায় বহু কথা বলে ফেলেছেন, আর কোন মন্তব্য না করলে বাধিত হই।
আপনি আপনার মতামত নিয়ে থাকুন, এতে আমার কোন মাথাব্যথা নেই।
হিমু কার লগে তর্ক কইরা নিজের মেজাজের বারোটা বাজাস? এইটার আইকিউ তো ছাগুরামের চাইতেও কম!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বুঝলেন Bibek er kotha , যেকোনো ঘটনার একেক অ্যাঙ্গেল থাকে। এখন যে যেমন, সে তেমন ভাবে ঘটনাটা দেখতে পায়।
''এই যে তিনি কতিপয় ললনার সাথে উম্মত্ত নৃত্যে মত্ত হয়ে হয়েছেন, তার নিজের কথা অনুযায়ীই বলি, এটা কি না হলে ভালো হত না...?''
ইয়ে, আপনি হয়তো এইভাবে ঘটনাটি চিন্তা করে এবং ঐ জায়গায় নিজেকে বাস্তবে না পেয়ে কল্পনায় বার বার নিজেকে বসাচ্ছেন ----হিংসায় জ্বলে পুড়ে এইসব মন্তব্য করছেন।
আসলে তো ব্যাপারটি ছিলো, ছাত্রীদের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান।আপনার হাত পা বাঁঢা অবস্থা দেখে এই প্রথম আপনার জন্য মায়া লাগছে। চিন্তা কইরেন না আপনার ও দিন আসবে।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
আমার কম্পু কাপুত। অন্য একটা পিসি থেকে বাংলা কিবোর্ড ছাড়া লেখতাছি। ছাগুদের কাঠাল প্রিতীতে মনটা ভইরা গেলগা। তাই লগ ইন করলাম। ডঃ হূমায়ূন আজাদকে নিয়েও ছাগুদের বড়ই মাথাব্যাথা ছিল।
কাজেই সাধু সাবধান!
যে-ই ছাগুদের পাছায় বাঁশ দেবে, ছাগুরা তাকেই ছোট করতে উঠে পড়ে লাগবে। যার বিরোদ্ধে ছাগুরা যতো বেশী লাগে, তিনি ততো এফেক্টিভলী ছাগু তাড়াইছেন, আবার খেয়াল কইরা।
কাজেই ছাগুরা কাঠাল পাতা খেয়ে ডঃ জাফর ইকবালের হাটুর নীচে কামড়াবে। আমি এতে অবাক হবো না।
এখন ইচ্ছে করে এখানে দু'একটা বরাহ পারমানেন্ট থাকুক। তা হলে বল্লমের নিশানা ঠিক করতে সুবিধা হয়।
কি বলেন; বরাহ শিকারীরা?
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
যব হাতি চলে বাজারে,
কুত্তা ডাকে হাজারে।
ইচ্ছা করতেসে হমুন্দির পুত গুলারে থাবড় দিয়া কানের লতি ফাডায়া দিতে।
স্যারের জন্য আবারও শ্রদ্ধা রইল।
নীলআমার
ইতালী
মুক্তিযুদ্ধের সময় জাফর ইকবালের নানা ছিলেন একজন বিশিষ্ট রাজাকার । রাজাকার নানার আশ্রয় আর সাহায্যে ৭১ এর দিনগুলি পার করেছে তার পরিবার । তবে দু:খজনকভাবে নানার অনুপস্থিতিতে অন্য রাজাকারদের হাতে তার বাবা নিহত হন, যিনি ছিলেন একজন পুলিশ অফিসার । একাত্তরের উত্তাল দিনগুলিতে তিনি তার পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠিয়ে সরকারি দায়িত্ব ঠিক ই পালন করছিলেন ।
জাফর ইকবালের পরিবারের রাজাকার কানেকশন বিষয়ক তথ্য ফাঁস করে দিয়েছেন তার ই বড়ভাই হুমায়ুন আহমেদ নিজের লেখা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণমূলক বইয়ে ।
একাত্তরে তার বাবা নিহত হয়েছে, এই আবেগ মানুষের কাছে বিক্রি করে জাফর ইকবাল পরিনত হয়েছেন পুরোপুরি একজন ভন্ডের প্রতিকৃতিতে । মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রিকারী জাফর ইকবালের ভন্ডামীর একটা বড় নমুনা হলো পদার্থবিদ্যায় পড়াশুনা করে কম্পুটার সায়েন্স ডিপার্টমেন্টের শিক্ষকতায় নিয়োগ লাভ । তার ডিপার্টমেন্টের ছাত্রদের অভিযোগ, জাফর ইকবাল ক্লাশে কখনো কিছু পড়াতে পারেন না । সিএসই এর বেসিক; এলগরিদমের যেকোন ছোটখাট সমস্যা সমাধান করতে গেলেও উলট-পালট করে ফেলেন ।
জাফর ইকবাল একজন লেখক । যতগুলো বই তিনি লিখেছেন, বিশেষ করে সায়েন্স ফিকশন - কোনটাই তার মৌলিক লেখা না । বিদেশি গল্প থেকে থীম ধার করে লিখেছেন বাংলায় । মূলত সায়েন্স ফিকশনের মাধ্যমে তরুন সমাজের কাছে পরিচিতি পেয়েছেন তিনি ।
জনপ্রিয়তা কে হাতিয়ার করে এরপর তিনি দেখিয়েছেন তার আসল রূপ । কখনো স্পষ্টভাবে, কখনো সুক্ষ্মভাবে তার বইয়ের লাইনে লাইনে ঢুকিয়ে দিয়েছে ইসলাম বিদ্বেষের উপকরণ ।
সায়েন্স ফিকশন গুলোতে নাস্তিকতা , ইশ্বর তথা স্রষ্টার অস্তিত্বহীনতা , বেহেশত-দোজখ প্রভৃতি ইসলামী টার্মের প্রতি ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ , কাল্পনিক মহাজাগতিক প্রানীকে "ইশ্বর" এর সাথে তুলনা করা - এসব তার লেখার মুল উপসঙ্গ ! খুবই চতুরতার সাথে জাফর ইকবাল তার বইয়ে মুসলমানদের "আল্লাহ" শব্দ ব্যবহার না করে "ইশ্বর" শব্দ ব্যবহার করে তরুনদের মনন কে নাস্তিকতার প্রতি সহানুভূতিশীল করার চেষ্টা করে থাকেন । তার গল্পগুলোতে থাকে ইশ্বরবিহীন মহাজগতে শান্তি শৃঙ্খলা বিদ্যমান- আর যেখানেই ইশ্বরের উপন্থিতি দেখা যায়- সেখানেই প্রানীতে-প্রাণীতে হিংসা-ভেদাভেদ তৈরী হয় । এই হলো জাফর ইকবালের ধর্ম বিষয়ক টার্গেট ।
জাফর ইকবালের কিছু বই আছে ছোটদের জন্য । এর মধ্যে কয়েকটা ডেফিনেটলি ভালো বই । এবং এই বইগুলো তার লেখক জীবনের প্রাথমিক অবস্থায় লেখা । মোটামুটি স্টাবলিশ হবার পরে ছোটদের বইয়ে জাফর ইকবাল তার আসল খেলা শুরু করে । ছোটদের বইয়ে ঢুকিয়ে দেয় নোংরা রাজনীতির বিষবাষ্প !
ছোটদের জন্য লেখা বইয়ের মূল চরিত্রের ডায়ালগ থাকে এরকম , "এই কাজটা যদি হয়ে যায়-তাহলে আজ হতে সত্যি সত্যি আমি আল্লাহকে বিশ্বাস করতে শুরু করবো"! ...কোন কাজ করতে গিয়ে ব্যর্থ কিশোরের ডায়ালগ থাকে...আল্লাহর ওপর বিশ্বাস কমে গেলো !!!!
বইয়ের ভিলেন চরিত্র থাকে বেশিরভাগ সময় দাড়ি-টুপিঅলা । সেই দাড়িঅলার দাড়ি নিয়েও থাকে তার এবং গল্পের চরিত্রদের ব্যাঙ্গবিদ্রুপ ।
জাফর ইকবালের গল্পের ভাগ্নে মামার কাছে বেড়াতে গিয়ে পাকিস্তানি কশাইয়ের জবাই করা হালাল মাংশের চেয়ে মার্কিন কশাইয়ের কাটা হারাম মাংশ খেতে বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করে ।
জাফর ইকবালের গল্পে থাকে মুসলমানদের বাড়ি থেকে নাকি হিন্দু ভিক্ষুককে ভিক্ষা দেয়া হয়না ! গল্পে শিক্ষা দেয়া হয় কচি বাচ্চাদের, ধর্ম মানুষের মাঝে ভেদাভেদ ছাড়া আর কিছুই দিতে পারেনি । ! এই হলো জাফর ইকবালের শিশু-কিশোর সাহিত্য !
ইসলামের ব্যাপারে জাফর ইকবালের চরম এলার্জী আছে, তার প্রমান পাওয়া যায় তার বিভিন্ন বক্তব্য আর কর্মকান্ডে । শতশত আওলিয়া-দরবেশের পূণ্যভূমি সিলেটের শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রজুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরন নিয়ে জাফর ইকবাল যে নোঙরামী করেছে- সিলেটবাসী তা কখনো ভুলবে না । শাবিপ্রবির বিভিন্ন হল ও একাডেমিক ভবনের নাম সিলেটের গুনিজন ও আওলিয়াদের নাম অনুসারে হোক, এই ছিলো সিলেটবাসীর দাবী । জাফর ইকবাল পুরো সিলেটের বিরুদ্ধে দাড়িয়ে যায় সেসময় এবং আবদার তোলে জিসিদেব-জাহানারা ইমামদের মত নাস্তিক আর সেক্যুলারদের নামে নাম রাখার জন্য ।
ফলশ্রুতিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সিলেটের আপামর জনসাধারণ । সেই বিক্ষোভে শহীদ হন একজন ছাত্র । রক্তের বিনিময়ে রক্ষা করতে হয় পূণ্যভুমি সিলেটের চিড়ায়ত ইসলামী ঐতিহ্যকে !
মাদ্রাসা শিক্ষার বিরুদ্ধে প্রায়ই বিরোদ্গার করেন এই ব্যক্তি । অতি সম্প্রতি তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, মাধ্যমিক স্তরে ধর্মশিক্ষাকে বাদ দিয়ে দিতে হবে । তাহলে নাকি দেশ উন্নতি করবে ! ! !
জাফর ইকবালের চটকদার অনুবাদ সাহিত্য পড়ার সময়ে তরুন-তরুনী ভাইবোনদের প্রতি এটুকু আহবান রইলো, একটু সচেতন হন । সচেতন হন আপনার বিশ্বাস-চিড়ায়ত বাংলার মূল্যবোধ ও ঐতিহ্যের বিরোধী কোন আদর্শের সাথে আপোষ করছেন না তো ?
জাফর ইকবালের ইসলাম বিদ্বেষী চরিত্র সবার কাছে পরিস্কার হোক। সবাই বুঝতে পারুক দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মকে ধ্বংস করার কুটিল চক্রান্তকারী এই তথাকথিত প্রগতিশীল ব্যক্তির টার্গেট কতটা জাতিবিধ্বংসী !
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
- আরে, এইটারে চিনছি তো! বুয়েটি জাশি ছাগু মনে হৈতাছে। তার ফ্যানপেজে তো দেখি জামাতি শুয়োরদের নাম দস্তখতে ভরা। মইত্যা রাজাকার প্রমূখ ছাড়াও ছাগুচিপেরও ভক্ত এই রামছাগল।
এই ভুদাইগুলা বুয়েটে চান্স পায় ক্যামনে?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
@জনাব সত্যি কথা বলতে চাই
আপনি যেসব অভিযোগ করেছেন সেগুলো অনেক পুরনো। অন্য কোথাও থেকে কাট-পেস্ট করেছেন। যেখানে এসব অভিযোগ এসছে অনেকেই সেগুলোর জবাব দিয়েছে।
জাফর ইকবাল ক্লাসে পড়াতে পারছে না, এরকম একটা ভিডিও আপলোড করে দিন, খুব খুশী হবো।
জাফর ইকবাল ইসলাম বিদ্বেষী নন, জামাত বিদ্বেষী।
এই কথাগুলো অনেক জায়গায় সামনাসামনি শুনেছি আর পড়েছি তাই অবাক হলাম না। পিপিদা আমি এইগুলোর কথাই বলছিলাম। কথার জবাব দিতে দিতে আমি ক্লান্ত হয়ে গেছি কিন্তু উত্তর দেয়ার প্রয়োজন বোধ করছি কারণ নইলে আপনারা মনে করবেন ( এইটা জামাতি প্রোপাগান্ডার অংশ তাই প্লুরাল ব্যবহার করছি), আমাদের কাছে জবাব নেই। সবাই যেমন বলেছেন আমিও আবার বলছি, জাফর ইকবাল স্যার ইসলাম বিরোধী নন, উনি জামাত বিরোধী।
'জাফর ইকবালের পরিবারের রাজাকার কানেকশন বিষয়ক তথ্য ফাঁস করে দিয়েছেন তার ই বড়ভাই হুমায়ুন আহমেদ নিজের লেখা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণমূলক বইয়ে ।'
-----তথ্য সন্ত্রাসে আপ্নারা বরাবরই পটু। যেকোনো ঘটনাকে নিজের মন মতো ব্যাখ্যা করাটা বেশ সহজ। আপনার যুক্তি হলো এমন ----রামছাগলের দাঁড়ি আছে, রবীন্দ্রনাথের দাঁড়ি আছে, তাই রবীন্দ্রনাথ একজন রামছাগল। হুমায়ুন আহমেদতো আর অসাবধানে কথাগুলো বলেননি যে 'তথ্য ফাঁস' কথাটি ব্যবহার হবে। মুক্তিযুদ্ধের সময় জাফর ইকবাল স্যার কই ছিলেন এইটা তো বললেন না।
'একাত্তরে তার বাবা নিহত হয়েছে, এই আবেগ মানুষের কাছে বিক্রি করে জাফর ইকবাল পরিনত হয়েছেন পুরোপুরি একজন ভন্ডের প্রতিকৃতিতে ।'----এই আবেগ বিক্রি করার আগেই তারা দুইভাই লেখক হিসেবে জনপ্রিয়। লেখনিশক্তি দিয়ে জনপ্রিয় হয়েই তারপর এই আবেগ তারা আপনার কথা মতো বিক্রি করেছেন।
'পদার্থবিদ্যায় পড়াশুনা করে কম্পুটার সায়েন্স ডিপার্টমেন্টের শিক্ষকতায় নিয়োগ লাভ ।'----ভাই, এইটা তো বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত, ওনার কি দোষ? উনি এ্যামেরিকায় যেই অবস্থায় ছিলেন, সেই অবস্থায় আগে পৌছান, তারপর ওনার মতো দেশে ফেরত যাবার সৎসাহস দেখান -----তারপর তাঁর সমালোচনা করতে আইসেন!!!
'তার ডিপার্টমেন্টের ছাত্রদের অভিযোগ, জাফর ইকবাল ক্লাসে কখনো কিছু পড়াতে পারেন না । ' -- আলমগীর ভাই ও অন্যান্যের সাথে আমি একমত----এইটার ভিডিও চাই!!! প্রমান ছাড়া কথা বলাটা কিন্তু ইসলামের ভাষায় গীবত বলে।
'যতগুলো বই তিনি লিখেছেন, বিশেষ করে সায়েন্স ফিকশন - কোনটাই তার মৌলিক লেখা না । বিদেশি গল্প থেকে থীম ধার করে লিখেছেন বাংলায় ।'----উনি বিচিত্রায় যখন প্রথম 'কপ্রোট্রনিক ভালবাসা' গল্পটি লিখেছিলেন--এই অপবাদ তখনই দেয়া হয়েছিলো, উনি তখন একনাগাড়ে বেশ অনেক কয়েকটি গল্প লিখে নিজের স্বকীয়তা প্রমান করেছিলেন। তাই এই ব্যাপারে কথা বলাই বাতুলতা। আর সাইন্স ফিকসন গল্পের প্লট তো আছেই কয়েকটা!!!! সারা বিশ্বেই একই প্লট বার বার ব্যবহৃত হচ্ছে। আপনি একটা গল্প লেখার চেষ্টা করে দেখুন না!!! কত ধানে কত চাল বোঝা যাবে। আবার আপনি নিজেই স্বীকার করেছেন ---'জাফর ইকবালের কিছু বই আছে ছোটদের জন্য । এর মধ্যে কয়েকটা ডেফিনেটলি ভালো বই ।'
'তার গল্পগুলোতে থাকে ইশ্বরবিহীন মহাজগতে শান্তি শৃঙ্খলা বিদ্যমান- আর যেখানেই ইশ্বরের উপন্থিতি দেখা যায়- সেখানেই প্রানীতে-প্রাণীতে হিংসা-ভেদাভেদ তৈরী হয় ।' ----আবার বলছি উদাহরণ চাই।
'অতি সম্প্রতি তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, মাধ্যমিক স্তরে ধর্মশিক্ষাকে বাদ দিয়ে দিতে হবে ।' ---ওনার বলার প্রেক্ষাপট হলো আমরা যখন ইসলাম শিক্ষা ক্লাসটি করি, আমার অন্য ধর্মের বন্ধুরা তখন কোনো কাজ না পেয়ে বাইরে ঘুরাঘুরি করে। ইসলাম সাম্যে বিশ্বাস করে--তাই যদি আপনি ধর্ম ক্লাসে হিন্দু ছাত্রের জন্য হিন্দু ধর্মের বই ও শিক্ষক, খ্রিষ্টান ছাত্রের জন্য তাদের বই ও শিক্ষক সরবরাহ করতে না পারেন তাহলে ধর্মশিক্ষাকে ব্যক্তিগত মাধ্যম হিসেবেই রাখা উচিত।
'জিসিদেব-জাহানারা ইমামদের মত নাস্তিক আর সেক্যুলারদের নামে নাম রাখার জন্য ।'----ইয়ে!!! আসলে আপনারা তো বাংলাদেশের ইতিহাস ঠিক মতো পড়েন না ( সময় কই? মানুষের পিছেই তো সারাক্ষণ লেগে থাকেন। ) তাই জানেন না---এই দুইজনের আমাদের দেশের জন্য কি পরিমান অবদান আছে, তাই ওনাদের নামে প্রতিষ্ঠানের নামকরণ হওয়াটাই যুক্তিযুক্ত অনেকের কাছে।
আর 'জাহানারা ইমাম নাস্তিক' এই কথা কি ওহী নাজিল হয়েছে আপনার কানে কানে? উনি যে নামায পড়তেন ব্যাপারটা আপনার জানা থাকা দরকার।
''ছোটদের জন্য লেখা বইয়ের মূল চরিত্রের ডায়ালগ থাকে এরকম , "এই কাজটা যদি হয়ে যায়-তাহলে আজ হতে সত্যি সত্যি আমি আল্লাহকে বিশ্বাস করতে শুরু করবো"! ''----------ঐযে আমি আগেও বলেছি যেকোনো ঘটনা সবাই নিজের মতো বিশ্লেষন করে, একটা সুস্থ ডায়লগকে ( বাচ্চারা হরদম এই রকম বলে থাকে) আপনাদের স্বার্থের জন্য পেঁচিয়ে অন্য ফর্মে বানাতেই হবে----তাই না???
আসলে ব্যাপার হয়েছে কি ইসলামের সুস্থ চর্চা আমাদের দেশে না থাকায় আপনাদের মতো লোকেরাই কুরান এর অর্থ নিজেদের মতো করে প্রকাশ ও প্রচার করেন। সেক্ষেত্রে জাফর ইকবাল স্যারের বইতো নস্যি। আপনাদের ব্যক্তিগত স্বার্থে আঘাত হানায় এই সব আলতু- ফালতু প্রচারণা চালাচ্ছেন। আগে ইসলাম ঠিক মতো জানুন তারপর ইসলাম নিয়ে কথা বলতে আসুন।। ইসলামের বুনিয়াদ আপনার ইন্টারপ্রিটেশন মতো এতো সস্তা হয়তো নয়।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
ভাল্লাগসে!
--আশাহত
তুই কি বলতে চাস, সিলেটে কোনো নাস্তিক বা সেক্যুলার গুণীজন ছিলেন না? নাস্তিকতা বা সেক্যুলারিজমের সাথে গুণের বিরোধ কোথায়? সৈয়দ মুজতবা আলীর নাম শুঞ্ছিস? উনিও সিলেটের লোক, উনিও সেক্যুলার মানুষ ছিলেন। আর পুরো সিলেটের বিরুদ্ধে কিছু করতে হয় নাই তখন, করতে হয়েছে সিলেটে তোর বাপদের বিরুদ্ধে, যারা জাহানারা ইমামের নাম শুনলে তহবন নষ্ট করে দেয়।
ঈশ্বর বানান করতে পারিস না আসছিস কথা বলতে। তুই পারলে পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় আল্লাহ লিখে বই লিখে তরুণদের ইসলামের প্রতি আবার সহানুভূতিশীল করার চেষ্টা কর না, কেউ তোরে মানা করসে? বাংলা লিখতে গিয়া চাইরটা কীবোর্ড ভাঙ্গিস পাইক্যার পয়দা, আসছিস বই লেখা লৈয়া কথা বলতে!
গোলাম আযমের পোঁদবালক দেখি ফেসবুকের Be aware of Zafar Iqbals Islam-Hatred writings is on Facebook গ্রুপের ইনফরমেশন কপি-পেস্ট মারছে!!!!!!!!!
রিপোর্ট করলাম।
--আশাহত
জাফর ইকবালের বড় ভাই হুমায়ূন আহমেদ মেয়ের বান্ধবী কে বিয়ে করে সংসার করছেন। কচি মেয়েদের প্রতি এই আর্কষন তাদের পারিবারিক রেওয়াজ।
আলমগীর বলেছেন "সেটি তার মেয়ে"। আলমগীর অস্ট্রেলিয়া বসে চিনলেন যে, সেটি তার মেয়ে, আমরা দেশে থেকে চিনলাম না!!! হায়রে চাটুকার!!!!!
আমি চ্যালেন্স করতে পারি যে সেটি তার মেয়ে ছিল না।
আমি অস্ট্রেলিয়া বসে জানি সেটি তার মেয়ে কারণ আমি ১২/১৩ বছর ছিলাম সেখানে। আপনার চ্যালেঞ্জ নিতে হলে আপনার পরিচয় জানা জরুরী। এই ভিডিও যারা ছড়িয়েছে আপনি তাদের কেউ কিনা তাও জানা জরুরী।
আমাকে যখন চাটুকার বলছেন তখন আমার কথা বিশ্বাসযোগ্য হবার কথা না। যেহেতু ঢাকায় থাকেন আপনাকে একটা সূত্র দিই:
IIU/IUC এর ঢাকা ক্যাম্পাসে সামসুল আলম নামে কম্পিউটারের একজন শিক্ষক আছেন। তিনি পারিবারিকভাবে জামাত/শিবিরের সাথে যুক্ত। তবে ড. জাফর ইকবালের ছাত্র। মেয়েটি জাফর ইকবালের কন্যা কিনা সে নিশ্চিত করতে পারবে।
আপনার মন্তব্যের প্রথম প্যারাটা আপত্তিকর এবং অপ্রাসঙ্গিক।
কিউতে আটকে থাকা মন্তব্যগুলি এবং কিছু প্রকাশিত মন্তব্য বড়ই বিনোদনের "খোড়াক"।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এই পোস্টের শিরোনামে যে-কথাটি ভদ্রভাবে বলা হয়েছে সেটি আমি চিত্কার করে বলে যেতে চাইছিলাম। কিন্তু এমন কিছু কাজ আমাকে অদূর ভবিষ্যতে করতে হবে যেখানে ভদ্র কথার অনুবাদের ইতিহাস কাজটার জন্য ক্ষতিকর হবে। তাই আমিও ভদ্র হলাম হে বরাহশাবক।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
উফফ উইকিতে যে একটু শান্তি মতো লিখব তারও উপায় নাই!!! বরাহদের ''খাউজানি'' দেইখা বারবার শান্তি বিনষ্ট হচ্ছে।
ভাইয়া আপনারে বলি, আগেও বলেছিলাম হুদাই এই ইয়াহিয়ার বাচ্চাদের কে শুয়োরের বাচ্চা বলবেন না!!! এতে শুয়োরের মত ভদ্র গোষ্ঠির(!!) প্রানীর ভয়াবহ অপমান হয়!!! তারা আপনার বিরুদ্ধে যেকোন সময় মানহানীর মামলা করতে পারে!!
ছাগু কইতেও মঞ্চায় না (বেশি বেশি অবলা)। তার চেয়ে ভাল ''ইয়াহ-ওয়াহ'' ইত্যাদি ইত্যাদি জানোয়ারদের সুবিক্ষাত পোস্টার দিয়া নিচে লিক্ষা দেন ''তুমরা ইয়াহ-ওয়াহ এর বেজন্মা সন্তান''। বরাহ শব্দটার প্রতিও আমার যথেষ্ট আপত্তি আছে,ইহাও অতি মাত্রায় সুশীল শব্দ।
আমিই তানভী |
লেখককে ধন্যবাদ লেখাটার জন্য। ফেসবুকে আপত্ই জানালাম-
This group is defaming a popular fiction writer and a university professor of computer science in Bangladesh in a sinister way. The famous scientist, Prof. Jafar Iqbal (he did his PhD from Washington University, USA and was an ex-researcher of the Caltech and Bell Labs, USA) was participating a students gathering with his wife and daughter. His wife is also a professor of Physics in the same university in Bangladesh. What this group is doing is taking a part of the full video of the student gathering and calling our professor a rascal in Bengali and trying to portray him a person who keeps improper relation with his students in presence of his wife and daughter. You may know more about Prof Iqbal by checking the following 2 links-
1. http://www.statemaster.com/encyclopedia/Muhammed-Zafar-Iqbal
2. http://www.fhiredekha.com/forum/index.php?topic=89.0
I hope facebook will take action regarding such heinous activity. Thanks in advance.
আমি বুঝতেসি না একটা সিম্পল বিষয় নিয়া এই রাজাকারের ছাওগুলা এত ফালানোর এনার্জি পাইতেসে কই?
আমি আসলেই এদের সাথে তর্ক চালানোর কোন যুক্তি দেখি না। আপনারা যত যাই বলবেন, এরা সেটা হয় অস্বীকার করবে, নাইলে খোঁড়া/বানানো কাউন্টার যুক্তি দেখানোর চেষ্টা করবে, প্রমাণ চাইলে এরা পালাবে, কিন্তু কোন কিসুতেই বিষ ছড়ানো এরা থামাবে না। এদের জন্মেই সমস্যা আছে, quite sure ৭১ এ এদের জেনারেশন লাইনের কোন জায়গায় কোন পাকিস্তানি সৈন্য ঢুকে কিসু একটা করে গেসে, তাই জন্ম থেকেই এরা Brain damaged.
এরা ডঃ জাফর ইকবালকে নিয়ে উলটাপালটা স্ক্যাম ছড়ানোর চেষ্টা করতেসে, (এবং আরো অনেক বিষয় নিয়েই করতেসে) সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করতেসে, আমাদের উচিত সাধারণ মানুষের দিকে মন দেওয়া, তাদের বিভ্রান্তি দূর করা, সেটা আলমগীর সাহেব খুব সুন্দরভাবে করসেন।
কারও একজনের উক্তি হবে, বা কোন ইংরেজি প্রবাদ হবে, ঠিকমত জানিনা, but it goes something like this -
"It's not wise to wrestle with pigs. You get dirty and the pigs enjoy it."
যাহোক, fellow বরাহশিকারীরা, এই জায়গাটায় একটু আপনাদের (স্পেশালি আলমগীর সাহেবের) অ্যাটেনশন কামনা করতেসি, "Muhammed Zafar Iqbal" on Wikipedia আমার মনে হয় "Criticism" অংশটা একটু মিসলিডিং হইসে। আমার সন্দেহ ঠিক হইলে এটা ঠিক করা জরুরী।
Raihan Rahi, আপনি এখানে নিজের মত দিতে চাইলে নিজের নামে দেন, বিবেক, সত্য এগুলা অনেক উচা কন্সেপ্টের শব্দ। এগুলা ব্যবহার করা আপনাকে মানাইতেসে না।
--- আশাহত / পল্লব
zafor iqbal is working against ISLAM
গুগলের এই গ্রুপটা নিয়ে কি কিছু করা যায়?
"পাঠক আমি" নামী একজনের দেওয়া লিঙ্কগুলা আমি এখানে আবার দিলাম। উইকিতে ডঃ ইকবালকে নিয়ে আর্টিকেলটা এডিটিংয়ে এগুলা ব্যবহার করা যায়।
http://www.statemaster.com/encyclopedia/Muhammed-Zafar-Iqbal
http://www.fhiredekha.com/forum/index.php?topic=89.0
--- আশাহত / পল্লব
এই পোস্টে বিনোদন সরবরাহের রাশ টানা হোক ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
সহমত, কিছু কমেন্ট দেখে গা জ্বলতেছে।
ম্যাতকার শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা। আলমগীর ভাইকে ধন্যবাদ
এই পোস্টটাতে যে কতবার ঢুকেছি, তার হিসেব নেই। আলমগীর ভাইকে অজস্র ধন্যবাদ, এই অসামান্য পোস্টটির জন্য।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
পোস্টের জন্যে ধন্যবাদ। পুরো বুমেরাং...
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
এই পোস্টে মন্তব্যের অপশন বন্ধ করা হল।