সন্ধ্যামালতী আমার বড় প্রিয়।
গেল বর্ষার বাড়াবাড়ি বৃষ্টি আঙিনার সব মাটি টেনে নিয়ে গেল। কোথায় গেল তা না হলো জানা, না সম্ভব হলো ফিরিয়ে আনা। প্রায় মরে যাওয়া পুকুরটাকে একেবারে উপুড় করে ঝেড়ে, কেড়ে আনি কিছু মাটি; ক্ষয়ে যাওয়া আঙিনার জন্য। কোদাল দিয়ে ছাটি, দুর্মুজ দিয়ে পিটি। পায়ের ঠেলায় ছোট ছোট ঢেলা ভাঙি ম্যালা। চ্যাপ্টা হয়ে এলে গোবর গুলে ল্যাপ্টা দিই। যত খুশী তার আসুক বৃষ্টি এবার।
বৃষ্টি আসে। ঝমঝম করে চালে যে ফোটা পড়ে তার না সয় ত্বর, না লয় ভর; টিনের ঢেউ বেয়ে তারা নীচে পড়ে। যেখানে পড়ে, তার সবদিক গোল করে বানায় গর্ত সারি সারি। এক-দুই-তিন, বা আরো কিছুদিন পরে বৃষ্টি ধ'রে যায়, গর্তগুলো মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে, থাক। মরে যাওয়া গর্তের কিনারে, সেউজের নিকট করে একটা দুটো ইট, আর কিছু মাটি, আটি করে পুঁতে দিই সন্ধ্যামালতীর বীজ।
রোজ রোজ পানি, দিয়ে দিন গুণি, কবে বেরোবে দুটি পাতা। তার থেকে চার, আট বা বারো। এই ধরো তার থেকে বিশ কী ত্রিশ দিন বাদেই কুঁড়ি আসবে। এবং কোন এক সন্ধ্যায় আমাকে চমকে দিয়ে ফুটে বসবে।
আধ-কানা মৌমাছিও সন্ধ্যায় ঘরে ফেরে, না কোন ফুলের ধার ধারে।
সব দিনক্লান্ত মানুষ অবসর নিক, আমি থাকি আমার সন্ধ্যামালতীর ফেরে।
'আজি বর্ষা রাতের শেষে
সজল মেঘের কোমল কালোয় অরুণ আলো মেশে'
কয়েকজন মিলে গান গাওয়ার একটা উদ্যোগে সামিল হয়েছিলাম। সে উদ্যোগের প্রথম আসরে গাওয়া এ গান, গেয়েছেন যিনি তার নাম জামী, আমি বাজিয়েছিলাম গিটার। মিক্সিং মেশিনের কাজ তখনও ধরে উঠতে পারিনি, তাই গিটারের শব্দ প্রায় নাশোনা পর্যায়ের। তবু গানটা বড় ভালো লাগে আমার।
ইউটিউবের কোড বাগড়া দিচ্ছে একটু। সরাসরি লিংক।
মন্তব্য
দারুন, দারুন।
আমি অসুর মানব। সুর বুঝিনা তেমন কিন্তু সন্ধ্যামালতির শব্দ, বাক্য ও সুর একেবারে উথাল পাতাল ঝাপটে ধরলো যে
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ঝাপটে ধরলে ক্যামনে হবে?
শব্দ বাক্য বেশী বুঝি না, মাঝে মধ্যে মন খারাপ হলে উল্টাপাল্টা কিছু লিখি আর কি!
লেখাটি চমৎকার লাগলো। রিমঝিম রিমঝিম শব্দ টুপটাপটুপটাপ শব্দ-- লেখা শব্দগুলো থেকেই যেন বৃষ্টির নূপুর বাজছে। গানটা পরে শুনবো।
শুভেচ্ছা রইলো।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ঠিক আছে। শুনে জানাবেন।
চমৎকার।
বিনীত।
ঠিক। শোনালেন না ঠিক আছে, দেখাও তো দিলেন না।
গান টা আসলেই অনেক ভালো লেগেছে।
আমাকে দেখে কী হবে?
লেখাটা টানলো। গানটা শোনা হলো না। নেটে কুলায় না।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
ঠিক আছে।
আসছে বার ভিডিওর সাথে গানও তুলে দিব।
লেখার প্রথমাংশ চমৎকার লাগল। গানটা মোটামুটি।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
কী বলেন? গানটা মুটিয়ে গেল!
সন্ধ্যামালতী নামটা শুনলেই লতার গানটা মনে পড়ে,
"আমার মালতী লতা
কি আবেশে দোলে,
আমি সেকথা জানি না,
আমায় দে বলে দে বলে এ এ এ"
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
ইয়াদে আসে না। মিস করছি মনে হয় গানটা।
পাইলাম না - তয় এইটা পাইসি
সুন্দর লেখা, সুন্দর গান, সুন্দর গায়কী। ঘরোয়া আসরে গাইছে বলেই আহামরি লাগেনি, কিন্তু ওনার গলা এবং তাল-লয় চমৎকার আছে। ভালো করে রেকর্ড করলে অতি উত্তম হবে।
'আহামরি'?
আপনি গান শুনে আহা বলে মরে যাবেন এমন গান ক্যামনে দিই!
তবু মানলাম আপনার কথা।
তবে জনাব গলা নয় বলুন কণ্ঠ
- চমৎকার
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মাত্র এক হাত? মেম্বর দিল ৫টা।
ধন্যবাদ দ্রোহীদা।
লেখাটুকু --অসাধারণ সুন্দর লাগলো!!
গানটাও ভীষণ ভালো লেগেছে। আগে শোনা হয়নি। গীটারের হাল্কা সুর অনেক মিষ্টতা আর অনেক বর্ষা এনে দিলো যেনো গানটায়........
ধন্যবাদ মৃত্তিকা।
চমৎকার লাগছে। আমার মনে হয় গীটারের মিক্সিং ঠিকাছে। রের্কডিংয়ে হয়ত ভালো ভাবে আসে নাই।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
হ্যান্ডিক্যামে রেকর্ড করা।
ভয়েসের ইকোটা গীটারেও পড়ে গেছিল।
টের পাচ্ছিলাম, কিন্তু কেমনে সরাব ধরতে পারিনি তখন।
লেখার প্রথমাংশ বড্ড সুন্দর!
গানটাও...
--------------------------------------------------
"সুন্দরের হাত থেকে ভিক্ষা নিতে বসেছে হৃদয়/
নদীতীরে, বৃক্ষমূলে, হেমন্তের পাতাঝরা ঘাসে..."
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ তিথী প্রশংসার জন্য।
গানটা চমত্কার! জ্বি, আশোনাই ছিল। আমার এমন কোনো আসরের গন্ধ পেলেও খুব ইচ্ছা করে থাকতে ওখানটায়! আক্ষেপ!!
লেখা সম্পর্কে আর কী বলবো! এমন রিনিঝিনি কাব্যময়তা আপনার লেখায় আগে তো দেখিইনি, এমনিতেও আগাপাশতলায় অসাধারণ!
মুগ্ধতার ইমোটিকন হিসেবে সত্যিই অপ্রতুল।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
একঘন্টা ধরে গানটা শোনার আশায় বসে থেকে ছাড়ান দিলাম। লেখার জন্য জাঝা
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আলমগীর, আপনি তো দেখি ছুপা-রোমান্টিক
এহহহ, গানটা মোটেই আশোনা ছিলো না, শোনাই ছিলো! ভালো লাগলো এনার গাওয়াও।
আমার খুব ভাল লাগল এঁর গাওয়াটা। কেমন যেন নিপাট নিরীহ সজ্জন কন্ঠ। কন্ঠে রাগ নেই একটুও। তবে অনুরাগে ভরা।
আর অনুরাগের কথা যখন উঠলই, সন্ধ্যামালতী নিয়ে লেখাটা যেন হেমন্তের সূর্যের অস্তরাগ! আলো আছে, কিন্তু সে আলো চোখ ঝাঁঝায় না, গা পোড়ায় না। এই আলোটুকু আমাদের বলে যায় দিনান্তের সঞ্চয়টুকু ঘরে নিয়ে ফিরতে। বলে যায়, চলে যাওয়া মানেই শেষ হয়ে যাওয়া নয়--- এই চলে যাওয়া কেবল ভোরে ফিরে আসার জন্যেই।
লেখা-গান সব মিলিয়ে পঞ্চাশ লক্ষ তারা---!!!!
নতুন মন্তব্য করুন