পাঁচ বছর পর- ৫/৫

আলমগীর এর ছবি
লিখেছেন আলমগীর (তারিখ: রবি, ১৩/০৬/২০১০ - ৩:০৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

২৩.
শেয়ার বাজার সম্পর্কে বিশদ কোন ধারণা ছিলো না আমার। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় আমাদের এক বন্ধু শেয়ার নিয়ে কথাবার্তা বলত, আগামাথা কোন কিছুই বুঝতাম না। সে বছর মার্ক সু'জের আইপিও আসে বাজারে। শেয়ার বাজার সম্পর্কে এখনও যে খুব বেশী বুঝি তা না। তবে, দেশে পরিচিত অনেক লোক দেখি শেয়ার বাজারে ঢুকে গেছে। উঠতে বসতে শেয়ার নিয়ে আলোচনা। গত দু'বছরে শেয়ার বাজার প্রচণ্ড চাঙ্গা হয়েছে। দেশ থেকে এক বন্ধু মেলবোর্নে গিয়েছে। 'দোস্ত, আল্লায় দুই হাত ভইরা দিছে রে', এ ছিলো তার শেয়ার বাজারের অভিজ্ঞতা।

পিয়ার প্রেসারে নাম লিখালাম। একটু স্টাডি করাও শুরু করলাম। ১০০ টাকার একটা শেয়ার কেমন করে ২০ হাজার টাকায় কেনাবেচা হয় তা মাথায় ঢোকে না কিছুতেই। রেনেটার একটা ১০০ টাকার শেয়ার ১৩ হাজার টাকায় কেনাবেচা হয়। একটা প্রতিষ্ঠান হয়ত লোকসানি কয়েক বছর ধরে তবু শেয়ারের দাম হুহু করে বাড়ে আবার কমে। আইপিও অফারে এক লট শেয়ারের বিপরীতে ২০/৪০টা আবেদন পড়ে। হুলস্থুল কাণ্ড।

২৪.
গত মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের একটা বড় ব্যর্থতা ছিলো শেয়ার বাজার। কিবরিয়া লক-ইন তুলে দিয়ে বাজার থেকে বিপুল টাকা বের করে নেয়ার সুযোগ দিয়েছেন বিশেষ লোকজনকে। সূচক ১৪০০ নিচে না পড়লে তাকে ধ্বস বলা যাবে না এমন কথা বহুবার বলার পর কিবরিয়া শেষমেশ ব্যর্থতা মেনে নিয়েছিলেন। বর্তমানে কাগুজে শেয়ার প্রায় বিলুপ্ত, লেনদেন হচ্ছে অনলাইনে। লেনদেনের স্বচ্ছতাও নাকি বেশী। তবু কারসাজি যে হচ্ছে না তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারে না। যোগসাজশ করে দাম বাড়ানোর ঘটনাও অসম্ভব নয়। এখন দৈনিক গড় লেনদেনের অংক দুই হাজার কোটি টাকার আশেপাশে! এবাজারে ধ্বস নামলে বহু লোকের খবর আছে, সরকারেরও খবর আছে।

২৫.
শেয়ার বাজারের কথা বলতে গিয়ে আরেকটা বিষয় মনে এসেছে। অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েই প্রথম জানি, একটা কোম্পানি কীভাবে লাটে উঠে। আমার দুটো ইন্টারনেট প্রভাইডার কোম্পানি 'ভলান্টারি এডমিন্সস্ট্রেশনে' এ চলে যায়। একটা যাবার ক'মাস পর তাদের মূল হোলসেলারও পথে বসে। কোম্পানি বসে যাওয়া খুবই সাধারণ ঘটনা, তবে অনেকের জীবন জীবিকায় প্রভাব ফেলে। অনেক সময় সরকার টাকা পয়সা দিয়ে টিকিয়ে রাখে। কোম্পানি এডমিনিস্ট্রেশনে গেলে প্রায় সবকিছু ফ্রিজ করে দেয়। ক্রেতাদের জন্য সেটা অনেক সময় বিপদ হয়ে দাঁড়ায়। এক কম্পিউটার রিসেলার একবার সেল দিয়ে খুব সস্তায় বিপুল সংখ্যক ল্যাপটপের অর্ডার নেয়। তার পরের সপ্তাহে এডমিনিস্ট্রেটর কল করে। যারা অগ্রিম দিয়েছিল, ফক্কা খায়। সেসময়ই জানতে পারি ফেরিয়ার-হাডসান অস্ট্রেলিয়ার এক নাম্বর এডমিনিস্ট্রেটর/লিকুইডেটর। পরে দেখি পৃথিবীর অনেক দেশেই তাদের শাখা আছে, এমনকি ভারতেও।

বাংলাদেশের কোম্পানি আইন সম্পর্কে আমার কোন ধারণা নেই। কোম্পানি খুলে শেয়ার ছেড়ে, দাম উঠিয়ে বেচে দিয়ে স্বল্প সময়ে কোটিপতি হওয়ার পথে কোন বাঁধা আছে? একটা কোম্পানি দেওলিয়াত্বের পথে এগুলে এসইসি বা সরকার কী করতে পারে কে জানে।

২৬.
নিউ নেশন বহু পুরনো লাইব্রেরি, মানে বইয়ের দোকান। গিয়েছিলাম কিছু বই কেনার আশায়। দেখি শাহরুখ, সালমান খান, প্রীতি জিনতার ছবি দিয়ে ছোট ছোট 'এসএমএস বই'। এগুলো কী বই? স্কুলপড়ুয়া কিশোর-কিশোরীদের ভাব বিনিময় সহজ করার জন্য রেডিমেইড এসএমএস সংগ্রহ! আহারে, আমি প্রাথমিকে পড়ার সময় এক বন্ধু সহপাঠিনীকে পত্র দিত, 'চিরল চিরল তেঁতুল পাতা, তেঁতুল বড় টক; তোমার সাথে ভাব করিতে আমার বড় শখ।' এ ধরনের ছন্দ লেখা বই পাওয়া যেত ফুটপাতে। এখন এসএমএসের দুনিয়া।

২৭.
দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিরোধী দল শ্যাডো বাজেট (প্রস্তাবনা) দিয়েছে। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া এটা ঘোষণা করেন। অনেকের মতে খুবই ইতিবাচক কাজ হয়েছে, সরকারের কোন কোন মন্ত্রী যদিও বলছেন অসাংবিধানিক কাজ হয়েছে। বিরোধী দলের শ্যাডো ক্যাবিনেট নেই, আবার যে শ্যাডো বাজেট দিয়েছেন তাতেও বেশ কিছু স্ববিরোধিতা নির্দেশ করেছেন অনেকে। তারচেও বড় কথা, প্রতিটা বিভাগীয় শহরের সমাবেশে খালেদা জিয়া বলে আসলেন দেশে কোন বিদ্যুৎ ঘাটতি নেই, যা আছে তা সরকারের ম্যানুপুলেশন; নিজের লোকজনকে বিনা টেন্ডারে কাজ পাইয়ে দেয়ার জন্য। এসব বিনা টেন্ডারে বিদ্যুৎ ক্রয়প্রক্রিয়ার সাথে যেসব সরকারি কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট থাকবেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন। আর শ্যাডো বাজেটে তিনি প্রাধান্য দিলেন বিদ্যুৎ আর জ্বালানী খাতকে। তবু তিনি ধন্যবাদ প্রাপ্য ইতিবাচক ইতিহাস সৃষ্টির জন্য।

২৮.
গত পরশু গান গাইতে এসেছিলেন সামিনা চৌধুরি। ডেইলি স্টার ও স্ট্যান-চার্ট ব্যাংকের একটা উদ্যোগ চলছে সারাদেশ ব্যাপী, ভাল গান শোনানোর। খুবই চমৎকার পরিবেশনা, তাও আবার বিনে পয়সায়। অনুষ্ঠানে স্পনসররা দু'চার কথা বলবেন, তাদের ব্যবসার প্রচারের জন্য- এটা খুবই স্বাভাবিক। মাগনা টি-শার্ট আর সিডি দিচ্ছিলেন তাদের একজন, বিশাল দাড়িঅলা। পেছন থেকে ছেলেপেলে চিরাচরিত "ভুয়া! ভুয়া!" শ্লোগান দেয়া শুরু করে। কিন্তু অবাক করে দিয়ে সেই দাড়িঅলা মোটেও বিরক্ত না হয়ে সেই ভুয়াদের মঞ্চে ডাকেন। তাদের কেউ কেউ লজ্জার মাথা খেয়ে টি-শার্ট নিতে এলে তিনি জোরে জোরে তাদের ভুয়া ভুয়া শুনিয়ে দেন। টি-শার্ট পেয়েই হোক আর ভুয়া প্রতিদান পেয়েই হোক ছেলেগুলো বেশ শান্তই ছিলো অনুষ্ঠানের গানের অংশে।

২৯.
সচলয়াতন সূত্রে অনেকের সাথেই নেটপরিচয়। দেশে ফেরার পর প্রথম দেখা হলো কবি 'বাউল' নজমুল আলবাবের সাথে। একদিন ফোন করে মাথা ভর্তি চুল আর পিঠে একটা ব্যাগ নিয়ে এসে হাজির। বাউলদের মাথায় চুল থাকবেই, এর ব্যতিক্রম হওয়া ঠিক না। দু'দিন পরপর ফোন করে ঝাড়ি দেয়, 'অহনও কিতা আফনে ডর্মে উইঠছুইন না? বায়র বাসাত আরাম ফাইগেছুইন।' দেশে ফেরার পর ফোনে কথা হয় নাট্যকার-পরিচালক নজরুল ইসলামের সাথে। ছবি দেখে ধারণা হয়েছিলো মোটা ভরাট কণ্ঠের কেউ হবেন। নাহ, একেবারে চোশ্ত উচ্চারণে মোটামুটি চিকন গলায় উনি চল্লিশ মিনিট কথা বলার পরও আমার বিশ্বাস হয়নি যে তিনি নজরুল ভাই ছিলেন। এরপর দেখা বুড়া ভাই মুস্তাফিজ ভাইয়ের সাথে। উনিও ছবিতে যতটা বয়স্ক লাগেন, বাস্তবে ততটা না। নেট জগতে একজন সম্পর্কে আরেক জনের গড়ে উঠা ধারণা যে কেমন করে ভুল হতে পারে দেখলাম।

৩০.
সচলায়তন সাইটটা এবং একে ঘিরে যে কমিউনিটিটা গড়ে উঠেছে তা অনেক কারণে আমার প্রিয়। এক সময় দেশী বিদেশী প্রচুর সাইট/ফোরামে সময় কাটিয়েছি, কালক্রমে এখন দেখছি সচলায়তনেই বেশী সময় দিই। সচলে সদস্য আছি বছর দু'য়েকের মতো হবে, পাঠক আছি আরেকটু আগে থেকে। পুরোটা সময়ই যে মসৃণ কেটেছে তা না, তবে অধিকাংশ সময়টাই উপভোগ করেছি এটা নিশ্চিত বলতে পারি। ধুর! ছেড়ে চলে যাবো এমন ভাবনাও যে আসেনি তা না। আমার বিশ্বাস আরো অনেকের মনেই এরকম হয়েছে। শেষ পর্যন্ত যাইনি।

সচলের মডারেটর কারা, সাইট কারা বানিয়েছে, অর্থ কোথা থেকে আসে, এ বিষয়গুলো আমি অল্প-বিস্তর জানি; আরো অনেকেই জানেন। জানি বলেই আমি এ কয়টা মানুষের উপর আস্থা রাখতে পারি। মডারেটরা তাদের দিনের বেশ বড় একটা অংশ ব্যয় করেন এখানে। তারা যে সব সময় সর্বোৎকৃষ্ট সিদ্ধান্তটা নিতে পারেন তা না, তবে তাদের চেষ্টাটা থাকে আমি বিশ্বাস করি। যখন পারেন না, স্বীকার করেন। তাদের সবার মধ্যেও যে মতের সব সময় মিল হয় এমন ভাবনাও ভাবি না। তবু কয়েকটা বছর যখন পার করে ফেলেছেন, তাদের পারস্পরিক বোঝাপড়াটার প্রতি বিশ্বাস জন্মায়। আমার কোসুপারভাইজার বয়সে ছিলো আমার চেয়ে প্রায় তিন বছরের ছোট। তবু তাকে সম্মান করতে আমার কোন সমস্যা হয়নি, কাজ করতেও না। সচলের মডুরা কেউ বয়সে আমার চেয়ে দু'এক বছরের ছোট হলেও তাদের কাজের কারণে শ্রদ্ধা করতে আমার বাঁধে না, তাদের সাথে আমার মতের মিল হোক বা না হোক।

জেনে বা না জেনে কারো হয়ত বাঁধে, বয়স কোন কারণ কিনা জানি না। কেউ সেটা প্রকাশ করেন, কেউ সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন। কেউ আবার টাকা দিয়ে পুরো সাইটকে কিনে নিতে চান। জিটকে, ফেসবুকে গোপন আলোচনা হয়, কে কার পক্ষে। এটা খুব দুঃখজনক। যার যা খেদ তা পোস্টে প্রকাশ করে ক্ষান্তি দিলেই সারে, মনে পুষে রাখতে হয় না। যে যার তালগাছে ইচ্ছেমতো নাচুক। আরেক জনের মাথায় ভেঙে পড়ার কোন দরকার দেখি না।

এ কথাগুলো বেশ অস্বস্তির সাথেই বললাম।


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

পুরা পোস্টটা ভালো লাগলো। শেষে এসে এগুলা কী শুনলাম? একটু আধটু আগেও শুনেছিলাম, এখন মনে হচ্ছে ঘটনা বেশ বিস্তৃত মন খারাপ

আলমগীর এর ছবি

নাহ, এগুলা বাতাস। মন খারাপের বাতাস। খবর কী আপনার?

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ভরসা রাখি, বছরের শেষদিকে দেখা হয়ে যাবে।

শেষের অংশ নিয়ে কিছু বলার নেই। জোয়ারে অনেক কিছু ভেসে আসে, জোয়ার শেষে চলে ও যায়- যা থাকে সেটাই পলি। শস্য ওতেই ফলে।
সচলায়তন শস্যমতী হোক।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

আলমগীর এর ছবি

শেষ মানে, একেবারে ডিসেম্বরে নাও থাকতে পারি সিলেট।

জিজ্ঞাসু এর ছবি

একটা কথা সত্যি সচলায়তনের ভার্চুয়াল যে জগত তাতে একেকজনের ব্যাপারে একেক ধরনের ধারনা তৈরি হয়েছে যা হয়ত বাস্তব জগতের সাথে মেলে না। কিন্তু এখানে সকলকে আপন মনে হয়। এটা আমার জগত। সবার সাথে একটা ভার্চুয়াল যোগসূত্র কীভাবে যেন তৈরি হয়েছে! অনেকে ছেড়ে চলে গেছেন। গিয়ে বদনামও করেছেন।
মতের অমিল থাকলেও লেখকদের এই কম্যুনিটিকে আমি সবচেয়ে পরিশীলিত কম্যুনিটি মনে করি এবং তাই হওয়া উচিত বলে বিশ্বাসও করি।
বড় ছোটর ব্যবধান নিয়ে শঙ্কিত যারা তাদের আরও মুক্তমনা হওয়া দরকার। কারণ সচলায়তন মুক্তমনাদের জগত।
আমাদের বন্ধন অটুট থাকুক। অনেকদিন পর সচলায়তনে ফিরে মনেপ্রাণেএই প্রত্যাশা করি।

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

আলমগীর এর ছবি

ঠিক।
নির্মাণব্লগটাও অনেক ম্যাচিউর, তবে আলাপ আলোচনা বেশ রাশভারি।

অতিথি লেখক এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য..
______________________________
বর্ণ অনুচ্ছেদ

আলমগীর এর ছবি

ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

আপনার এই সিরিজটা আমার চমৎকার লাগছে। আপনার যুক্তিগুলোও যুক্তি বলে মনে হচ্ছে। এখন মনে করাই, আপনার সাথে আমার ভার্চুয়াল সম্পর্কের ইতিহাস (যতটুকু বিদ্যমান) স্বস্তিদায়ক নয়। কিন্তু আপনার লেখার সাম্প্রতিক পাঠ আমাকে মুগ্ধ করছে।

আসলে মানুষের চরিত্র যেমন চলমান, সম্পর্কটাও চলমান (যেমন এই ভার্চুয়াল সম্পর্কটি)। এই চলমানতাই স্বাস্থ্যকর। কোথাও আটকে থাকা নয়। পাকাপাকি শত্রুতা পাকপাকি দোস্তি কোনোটাই আদপে ভালো কাজ করে না। দৈনিকহারে সম্পর্ককে আপডেট করে নেয়া উচিত।

সচলায়তন বিষয়ে আপনার কথাগুলোর সাথে আমি দারুণভাবে একমত।
_________________________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

আলমগীর এর ছবি

আমি মনে না পুষে রাখতে চেষ্টা করি। সব সময় পারি না। আপনার সাথে যা ছিল তা তো তখনই বলে দিয়েছিলাম, পেটে কিছু নাই হাসি

নিবিড় এর ছবি

শেয়ার বাজারের ব্যাপারটা আমিও ঠিক মত বুঝে উঠতে পারি নাই তবে আশে পাশে যারে দেখি সেই বলে শেয়ার বাজারে তার বিনিয়োগ আছে। অনেক বন্ধু বান্ধব কে দেখি টিউশনী করে টাকা জমিয়ে শেয়ারে বিনিয়োগ করে। আমার হাতে অবশ্য কখন টাকা জমে না তাই বিনিয়োগও করা হয় নায়।

সচলে পাঠক হিসেবে ধরলে দুই বছরের একটু উপরে আছি। লিখছিও প্রায় দেড় বছরের কাছাকাছি। এই সময়ে প্রচুর লোকের সাথে পরিচয় হয়েছে শুধু মাত্র সচলায়তনের কারণে। আমি এমনিতেই প্রচন্ড ঘরকুণো মানুষ, তাই সচলায়তন ছাড়া এতগুলো লোকের সাথে এত অল্প সময়ে পরিচিত হওয়া আমার জন্য এক প্রকার অসম্ভবই ছিল। এমনকি এখন প্রতি সাপ্তাহে বিকেল বেলা দুই তিন দিন যে মাশ্রুম আড্ডায় আড্ডাবাজি করি সেই আড্ডার লোকজনদের সাথেও সচলায়তন ছাড়া যোগাযোগ অসম্ভব ছিল। তাই এই সাইটার প্রতি কৃ্তজ্ঞতা প্রকাশ করা ছাড়া উপায় নাই।

আর ভার্চুয়াল জগতে আমাদের মতান্তর হতে পারে, যুক্তি তর্ক দিয়েই তার সমাধান করা উচিত। তাই আপনার সাথে একমত-

যার যা খেদ তা পোস্টে প্রকাশ করে ক্ষান্তি দিলেই সারে, মনে পুষে রাখতে হয় না


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

আলমগীর এর ছবি

একটু বুঝেশুনে বিনিয়োগ করতে পারলে লাভ আছে। জীবনে টাকারও দরকার আছে।

আপনি যদি দেশে থেকেও এ কথা বলেন, যারা বিদেশ থাকে তাদের কথা ভাবুন।

তাসনীম এর ছবি

পুরো সিরিজটাই বেশ ভালো লেগেছে। তবে পাঁচ পর্ব কেন? আরো বড় করলেন না কেন?

পাঁচ বছর পর দেশে ফিরলে আরো অনেক কিছু বলার থাকে হাসি

সচলের মডুরা কেউ বয়সে আমার চেয়ে দু'এক বছরের ছোট হলেও তাদের কাজের কারণে শ্রদ্ধা করতে আমার বাঁধে না, তাদের সাথে আমার মতের মিল হোক বা না হোক।

খুবই সত্য। বয়স দিয়ে শ্রদ্ধা হয় না, কাজ দিয়ে হয়। মতের মিল যে হতেই হবে তা নয়, মতের ভিন্নতা নিয়েও একই ছাদের তলার বেশ মিলে মিশে থাকা যায়। এটাকেই বলে "টলারেন্স"।

অটঃ আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকা আজ বাংলাদেশ ফিরে গেলে মাস্টার্স শেষ করে, আমাদের এই শহর ছেড়ে। ভালো লাগছে যে অনেকেই শিক্ষা ছুটি শেষ করে দেশে ফিরছেন আজকাল। এই ভালো ট্রেন্ডটা কি চালু হয়েছে? আমাদের ব্যাচের একজনও ফিরেননি।

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

আলমগীর এর ছবি

শুধু বড়-ছোটর মধ্যে ব্যপারটা না। বহু বিষয়ে হতে পারে, যেমন: বুয়েট-নন-বুয়েট, সরকারি-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, কম-শিক্ষিত বেশি শিক্ষিত, দেশে থাকে বা দেশে থাকে না, সিলেটি নন-সিলেটি চোখ টিপি

দেশে ফিরে আসার ট্রেন্ড শুরু হয়েছে এটা বলা যাবে না মোটেই। আমিও যে 'একেবারে স্থায়ীভাবে' ফিরে এসেছি তাও বলতে চাই না।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

পোস্ট পড়ে দুইটা চিন্তা মাথায় আসলো:

১। সচলায়তন একটা এসএমএস সংকলন বের করতে পারে।
২। আমি বড়ো হলে মডু হবো।

রবীন্দ্রসঙ্গীতের মতো শান্তলয়ে বাণিজ্যালাপ ভালু পাইলাম।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

আলমগীর এর ছবি

আপনার জীবনে কোনদিন টাকা হবে কিনা সন্দেহ আছে। চিন্তা হওয়ার কথা ছিল, সচলায়তন শেয়ার ছাড়বে কবে? শেয়ার থাকলে এমনি মালিক বনে যাবেন, মডু হয়ে কী লাভ?

অতিথি লেখক এর ছবি

আগের পর্বগুলো পড়া না থাকলেও, আশা রাখি এখন আর না পড়ে থাকতে পারবো না।
লেখা চমৎকার হয়েছে, বিশেষ করে প্রথম অংশটুকু। শেষদিকটায় না যাই।

-----------------------------
তাহসিন গালিব

আলমগীর এর ছবি

ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

মুস্তাফিজ এর ছবি

আমিও ভেবেছিলাম কোন ভারিক্কি গোছের কাউকে দেখবো। পরে দেখি পোলাপান। হাসি
আসলে হাতে সময় ছিলো না, না হয় আড্ডা মারার সুযোগ আমি অন্তত ছাড়িনা। দেখা হবে।

...........................
Every Picture Tells a Story

আলমগীর এর ছবি

কয়েক বছর আগের কিছু ছবি দেখাবনে, দেখি কী বলেন। আড্ডা ব্যাপার না। আপনার সাথে আমি সুন্দরবন না গিয়ে কোথাও যাচ্ছি না।

নজমুল আলবাব এর ছবি

প্রথম থেকে পড়লাম। প্রতিটা লেখাই ভালো লাগলো। শেষটা একটু বেশি ভালো। কারণ, এইখানে মহান নজমুল আলবাব এর কথা বিবৃত হয়েছে। চোখ টিপি

------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

আলমগীর এর ছবি

একটা লাইন কেটে দিছিলাম, তুলে দিই তাইলে আবার?

s-s এর ছবি

আলমগীর ভাই,আপনার এ সিরিজের আর একটা লেখা পড়েছিলাম।সেদিক থেকে এটিকে সবচেয়ে গোছানো মনে হলো। শেয়ারবাজারের চিত্র যা বলেছেন,সত্যি হলে আমি তো মনে করি খুবই পজিটিভ। সচলায়তন নিয়ে যে কথাগুলো বলেছেন,তার অনেকাংশের সাথেই একমত। কিন্তু এই সচল বেচাকেনার কথা প্রকাশ্যে আলোচিত হচ্ছে না কেন? সেটা তো আমরা সকলেই জানতে চাই। এটি গুজব কী'না,এর ভিত্তি কী-এগুলো বিচ্ছিন্নভাবে বিচ্ছিন্ন কিছু সচলের মন্তব্যে আসলে সন্দেহ হওয়াটাই স্বাভাবিক।যেরকমটা বলেছেন,সেরকম খোলাখুলি আলোচনা ক'জন মন খুলে করেন জানিনা।বা করতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন তাও জানিনা।কারণ যে কোনো বিষয়ে ট্যাগিং করা এখন একটা কাল্ট মতো হয়ে গেছে কোনো কোনো ক্ষেত্রে। মডুদের কাজ অবশ্যই ধন্যবাদার্হ,কিন্তু আমাদের কাছ থেকে ফিডব্যাক নেওয়াটাও তাদের জন্য জরুরী। এভাবে ধোঁয়াশার মধ্যে না রেখে সচল কর্তৃপক্ষ যদি সচলায়তনের বিরুদ্ধে সত্যিই বিক্রী হয়ে যাবার মতো থ্রেট এসে থাকে সেটিকে আলোচনার জন্য উন্মুক্ত করে দিতে পারেন। তাহলে এই ঢাকঢাক গুড়গুড় এবং একে অপরের দিকে আঙুল তোলার সুযোগ রহিত হবে বলে মনে করি। ভালো থাকবেন।

আলমগীর এর ছবি

আমার ধৈর্য্য কম। যা লিখি, লগইন করে একটানে লিখে পোস্ট করে দিই। এ পর্বের লেখাটা দু'দিন ধরে ধীরে ধীরে লেখা। তাই হয়ত ভুলচুক কম।

সচলায়তন নিয়ে আমাদের সবারই পজেসিভ ভাবনা আছে, এটা খুব ভাল। ঠিক এ কারণেই আমাদের মধ্যে কখনও কখনও বাদুনাবাদ হয়। আবার এও ঠিক দু'এক জন ক্ষতি করার চেষ্টাও করেন। কে করেন, কীভাবে তা প্রকাশ্যে আলোচনা করার মতো সৎসাহস আমাদের কম লোকের আছে। তারচে বড় কথা হলো মুখের কথা তো কেউ রেকর্ড করে রাখে না। আর কথা ধরলে, ইয়ার্কি করছিলাম বলেও উড়িয়ে দেয়া যায়।

মডুদের ফিডব্যাক নেয়াটা জরুরী। গত ঝামেলার পরপরই যে রঙিন মডারেশন শুরু হয় এটা ফিডব্যাকেরই ফল। (আমার ধারণা) মডুরা পালা করে একেকটি নিক ব্যবহার করেন যাতে কারো পক্ষে কে কোনটা তা ধারণা করা শক্ত হয়। এখন কোন মডুই নিজ নিক থেকে মডারেটর ধরনের কোন কথা বলেন না। হঠাৎ হঠাৎ হয়ত কোন টোন চলে আসে।

ছাগু ট্যাগিং যারা করেন বুঝেশুনে করেন। যতজনকে এ পর্যন্ত ছাগু বলে বিদেয় করা হয়েছে তাদের ভেতর সম্পর্কে আমার কোন সন্দেহ নেই। তাদের কাউকে যদি কেউ প্রেমভরে ফেরত আনতে চেষ্টা করেন, তার ভেতরটা নিয়েই আমার সন্দেহ শুরু হয়ে যায়। অন্য কোন ট্যাগিংএর কথা বলছেন কিনা জানি না।

আমাদের অনেকের ধৈর্যের ব্যাপক ঘাটতি আছে। মডুরা একেক জন একেক দেশে, একেক টাইমজোনে থাকেন। জেগে থাকলেও সবাই যে সচল খুলে বসে থাকেন এটা ভাবা অন্যায়। সবারই নিজ নিজ ক্যারিয়ার, পড়াশোনা, সংসার আছে।

সচলায়তনের বিরুদ্ধে থ্রেট আসলে মডুদের কিছু করণীয় থাকে না, প্যারোডি গল্পরচনা আর টিপ্পনি কাটা ছাড়া চোখ টিপি কারণ সব প্রমাণ উপস্থাপনযোগ্য নয়। সব বিষয় পাবলিকলি আলোচনাও করা যায় না। কারণ দিনশেষে আমরা আমরাই হাসি

ভাল থাকুন।

s-s এর ছবি

ছাগু ট্যাগিংয়ের কথা মিন করিনি।

আলমগীর এর ছবি

তাহলে খুলেই বলুন। খুলে শুনতে চাইছেন, খুলে না বললে কেমনে করে বুঝি? অসুর দানব কারা তাও বলুন পারলে।

গৌতম এর ছবি

সম্ভবত এই প্রথম আমি কোনো সিরিজ পড়া শেষ করলাম! আমাকে অভিনন্দন! চোখ টিপি

আর সম্ভবত সচলে এই প্রথম কোনো সিরিজ শেষ হতে দেখলাম। আপনাকে বিশাল বিশাল বিশাল অভিনন্দন। দেঁতো হাসি

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

আলমগীর এর ছবি

কিন্তু ব্লগ কী শিক্ষা দিলো তা তো বললেন না।

গৌতম এর ছবি

উহু! সেটা অনুভূতির ব্যাপার। এবং এই শিক্ষাটা যে কী সেটা বোধহয় আপনিও জানেন।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

বাউলিয়ানা এর ছবি

শেয়ার বাজার নিয়ে বলার কিছু নেই। লেখা যথারীতি ভাল লেগেছে।

কিন্তু আপনার "পাঁচ বছর পর" সিরিজটা শেষ হয়ে গেল বলে খারাপ লাগছে মন খারাপ

আলমগীর এর ছবি

পড়ার জন্য ধন্যবাদ। সময় হলে নতুন কিছু নিয়ে লিখব নিশ্চয়ই।

দ্রোহী এর ছবি

বস, আপনি "পাঁচ বছর পর" লেখাটা পাঁচেই থামিয়ে না দিয়ে চালাতে থাকেন। একই শিরোনামে হতে হবে এমন কোন কথা নাই।


কি মাঝি, ডরাইলা?

আলমগীর এর ছবি

মন অন্যদিকে টানে। শখআহ্লাদ বলে তো কিছু আছে নাকি?

রেজওয়ান এর ছবি

সচলায়তন খুবই ধীরগতি হয়েছে - কমেন্ট করলাম একটু আগে সেটা খেয়ে নিল ইন্টারনেট গোলযোগ। আবার লিখছি>>>

দেরীতে হলেও লেখাটি পড়লাম। নিয়মিত লিখবেন অনুগ্রহ করে - তাহলে দেশের ট্রেন্ড সম্পর্কে জানতে পারব।

আমাদের দেশীয় যে সব কোম্পানী শেয়ার ছেড়েছে তাদের অধিকাংশেরই কর্পোরেট গভর্নেন্স দুর্বল। অডিট প্রতিষ্ঠান এবং রেগুলেটরি অথরিটির কার্যকারিতার অভাবে শেয়ার বাজার একটি ফটকা বাজারে পরিণত হয়েছে। লাভজনক বাৎসরিক হিসাব/লভ্যাংশের পরিমাণ/সম্পদের পরিমাণ - ইত্যাদি সূচকের পরিবর্তে নানা গুজব, ইনসাইডার ট্রেডিং (যা নিষিদ্ধ) বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। দেশের কল্যাণে এই উর্ধ্বমুখী বাজার কি অবদান রাখছে তা যাচাই করার বিষয়। বুদবুদ কখন আবার ফাটবে এবং অনেক লোক আবার সর্বস্বান্ত হবে।

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

আলমগীর এর ছবি

ভাল মানুষরে জিজ্ঞেস করছেন, যার অর্থনীতি/বাণিজ্যতে যার কোন জ্ঞান নাই।

শেয়ার বাজার 'ভাল' হলে দেশের অর্থনীতিতে কী অবদান রাখে তা জানি না। তবে বিনিয়োগ মনে হয় বাড়ে। হুজুগ তো সব খানেই আছে। অস্ট্রেলিয়াতে মাইনিং কোম্পানির শেয়ারের দাম আকাশ ছোঁয়া। চীনের সাথে একটা চুক্তির খবর বের হলে দেখতাম ধুম করে ডাবল হয়ে যায়।

কেউ না কেউ টাকা হারাচ্ছে এটা ঠিক। তবে পুরোপুরি স্বচ্ছ না হলেও অনেকটা নিয়ন্ত্রিত। বুদ্বুদ বলাটা মনে হয় ঠিক হবে না। মার্কেট নিয়ে আলোচনায় ডিএসইর চেয়ারম্যান বলছিল, প্রায় ৭০%এর মতো বিনিয়োগ হলো প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী যারা বুঝেশুনেই বিনিয়োগ করে। বাকী ৩০% হলো সাধারণ জনগণ, যাদের ক্ষুদ্র একটা অংশ হুজুগে কেনাবেচা করে।

আমি আরো কয়েক মাস স্টাডি করলে হয়ত স্পষ্ট চিত্রটা ধরতে পারব। কষ্ট করে দু'বার চেষ্টা করে মন্তব্য করছেন, অনেক অনেক ধন্যবাদ।

রেজওয়ান এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকেও। একটি ভ্রান্তি দুর করার জন্যে আবার কমেন্ট করলাম।

"দেরীতে হলেও পুরো সিরিজটিই পড়েছি।"

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

সিরাত এর ছবি

পুরা সিরিজ পড়লাম আলমগীর ভাই।

আপনে নজরুল ভাইয়ের 'চিকণ গলা' আর 'বুড়া' মুস্তাফিজ ভাইকে নিয়ে যেমনে লিখলেন, মজা লাগলো।

এই সিরিজটা কেমন ক্যাজুয়ালি নানাকিছু আলোচনা করলো। ঠান্ডা ঠান্ডা। সবকিছুর সাথে একমতও না, দ্বিমতও না। পড়ার জন্য দারুণ মেটেরিয়াল। আরেকটা এরকম লিখবেন নাকি অসিদের নিয়া?

লিখা ফালান।

আর আচ্ছা, সচলায়তন কে করসে, কারা করসে, কেন করসে? ইদানিং লোকে আমারে এগুলি জিগায়। আমি কই যে ভাই আমি তো শুধু লিখি রে, এগুলি জানুম কেমনে। মানুষ বিরক্ত হয়। হাসি

আলমগীর এর ছবি

অখন ট্যাকা দেন। অসিদের নিয়া লিখলেও ট্যাকা লাগবে। ট্যাকা ছাড়া কোন কথা নাই :;

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

দেশে ফিরে উদ্বোধনী ইনিংস জমজমাট...
এবার চার/ছয় মেরে যান... নিয়মিত চাই। চলুক

মাহবুব লীলেন এর ছবি

একমাত্র জ্ঞানী মানুষরাই যে কঠিন কথা সহজ করে বলতে পারে তা আপনার লেখা পড়লে স্বীকার করি...

০২

আপনের লগে তো দেখা হওয়া দরকার

স্নিগ্ধা এর ছবি

আলমগীর, সিলেটে নাকি 'গুলগুলা' না 'ভুলভুলা' নামে ছোট্টছোট্ট কী একটা মিষ্টি পাওয়া যায়, আমি সিলেটে গেলে ঐটা একটু খাওয়ায়েন তো!

সিরিজটা অনেক ভাল্লাগসে হাসি

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

সব কটা পর্বই পড়লাম। আপনার চোখ দিয়ে দেশকে দেখলাম অনেক দিন পর। খুব ভালো হয়েছে লেখাটা। সিলেট যদিও আমার শহর নয়, তবুও পরিবর্তণটা বুঝতে অসুবিদা হয়নি।

--------------------------------------------------------------------------------

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।