কবি যেদিন চলে গেলেন, সেদিনই হাসান মোরশেদ বলেছিলেন পারলে যেনএকটা কবিতা তুলে দিই। বলেছিলাম পরে দেব। কিন্তু বিদ্যুৎবিহিন দীর্ঘ একটা সময় কাটাতে হল বলে দেরি হয়ে গেল। তুলে দিই কয়েকছত্র। যদি ভাল লাগে অনেকের তবে নাহয় কাছে থাকা আরও কয়েকত্র তুলে দেব।
মমিনুল মউজদীন'র কবিতা
মুখোমুখি
সুপ্রিয় মউজদীন
শ্রাবনের এক ভোর রাতে
আকাশের চরভাগ এফোঁড় ওফোঁড় করে
তুমুল জলের ধারা নামছিলো অবিরাম মৃত্তিকায়
পাথরে শিলায়
উদ্ভিদের সজল শীৎকার শুনে জানালা খুলেই দেখি
তিনটি মানুষ
সঙ্গীতের মতো দ্রুতলয়ে হেঁটে যায় তারা
তিনটি হৃদয়ে দোলে বিশাল স্পন্দন
জীবনের আনন্দের এবং শান্তির।
প্রস্তুতির দীর্ঘ কালো রাত পিছনে ফেলে
তিনটি মানুষ যায় বিপ্লবের দিকে
রক্তের ভিতর জ্বলে সাহস ও বিশ্বাসের
অনির্বান আলো।
সুপ্রিয়, আলোর সেই পাখিরা কোথায়
কোন বন্য পাহাড়ের খানাখন্দ ঝোপ আজ
তাদের আলোয়
মন্তব্য
সুন্দর পোস্ট।
মমিনুল মউজদীন'র কবিতা আরও পড়তে চাই।
..তাঁর মতো একজন কবির চলে যাওয়া নিঃসন্দেহে অপূরণীয়।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
'প্রস্তুতির দীর্ঘ কালো রাত পিছনে ফেলে
তিনটি মানুষ চলে গেলো মৃত্যুর দিকে! '
আরো কিছু কবিতা দিও ।
-----------------------------------------
'জলপ্রিয় হে যুবক, তোমার ভিতরে এত
ভাঙনের পতনের শব্দ শুনি কেন!'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
মমিনুল মউজদীন জ্যোৎস্না উৎসব করতে চেয়েছিলেন....
আমি মনে মনে চেয়েছিলাম সেই জ্যোৎস্না উৎসবে যাব...
নতুন মন্তব্য করুন