কয়েকটা দিন অন্যরকম-শেষ

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: শনি, ০৯/০২/২০০৮ - ৩:৫৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রোববার, ৩ ফেব্রুয়ারি।

মেলা নিয়ে আমার অনেক স্মৃতি। শৈশবের বড় একটা সময় আমি মেলায় মেলায় ঘুরেছি। রঙিন সেইসব মেলা। ধল মেলা ( এই মেলাটা বাউল সম্রাট আব্দুল করিমের জন্য বিশেষ ভাবে পরিচিত), মাতারগাওয়ের মেলা, জগন্নাথপুরের বারুনি, ঢাকাদক্ষিনের রথের মেলা বা বারুনি (শ্রী চৈতন্যের স্মৃতি বিজড়িত) আরও কত। এই গতবারই ঘুরে এলাম পনাতির্থ থেকে। আমার জীবনটা নানা রঙে রাঙাতে এইসব মেলার ভূমিকা অনেকখানি।

গ্রামবাংলার চিরায়ত মেলা দেখে অভ্যস্তরা নগরের মেলায় কতটা আরাম পাবে? একদমইনা। তাই বাণিজ্য মেলা, তাত বস্ত্র মেলার মত নাগরিক ভিড় আমাকে কখনই টানেনা। আমি অভ্যস্থ পায়ে হাটতে পারিনা। দম বন্ধ হয়। এইসব মেলার রঙবাহার দেখলে আমার হাসি পায়। ঐতিহ্যকে দড়ি বেঁধে মেলার মাঠে দাড় করিয়ে রেখে কর্পোরেট বাণিজ্য। তবু যেতে হয়। বাধ্য হয়েই যাই।

ইদানিং কঠোরভাবে গৃহপালিত নজমুল আলবাব মেলায় যান। ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। মা, বাচ্চা, বউ, ভাইয়ের বউ, মামু... বিশাল সে বাহিনি।

আমার ছেলেটাকি আমার মতই? কিছুটা মনে হয়। সেও আমার মতই খুব দ্রুত দলছুট হয়ে পড়ে। ভিড়বাট্টায় নিঃসঙ্গ হয়ে একা একা গুটি পায়ে হাটে। তাই বিশাল মেলা মাঠে ঢুকতে না ঢুকতেই আমরা বাপ ছেলে মূল দলের বেশ দুরেই পড়ে গেলাম। মেলার খেলনাগুলো তাকে বেশ টানছিল। তবে সেটা আর দশটা বাচ্চার মত নয়। যখনি তাকে বলা হল, এটাতো তোমার আছে। একটু ভেবে যখন দেখল সত্যিই বাসায় আছে, তখনই তার বায়না শেষ। এইসব করতে করতে একসময় আবিস্কার করলাম আমরা বাপ ছেলে বাটা কোম্পানির বানানো কৃত্রিম ফুল বাগানে বসে আছি! বেশিক্ষনতো আর বসা যায়না। তাই আবার দলের সাথে যোগ দিতে হয়। আবার দলছুট হই। মজোর স্টলটা করা হয়েছে বেশ অভিনব কায়দায়। সারাটা প্যাভিলিয়ন ঘিরে রেখেছে এ্যাকুরিয়াম দিয়ে। বাবাই খুব মজা পায়। দাড়িয়েই থাকে, দাড়িয়েই থাকে। ঘন্টা পেরিয়ে যায় তার দেখা শেষ হয়না। প্রথমে বাবা, পরে মা আর সব শেষে দাদুকে সঙ্গে নিয়ে সে রঙিন মাছ আর জলের খেলা দেখতেই থাকে। তারপর নানা ছলছাতুরি করে সরাতে হয়।

আগেই বলেছি, একদমই ভাল লাগেনা এইসব ভিড়বাট্টা। তাই বেশি মনে নেই। অথবা রাখিনি। অবশ্য খুব ভাললাগা সেইসব মেলার বর্ণনাও আমি দিতে পারবনা। কেন যেন গুলিয়ে যায় সব... তবু এই বেনিয়া মেলা আমার জন্য অন্যরকম ভাল লাগা নিয়ে আসে। মা কতদিন বলেন, তাকে নাকি একদম সময় দিইনা। বউ বাচ্চারও সেই অভিযোগ। কিছু করতে পারি আর না পারি ওদের সাথে সাথে ঘুরা ঘুরিতো হল...

সোমবার, ৪ ফেব্রুয়ারি

সকালটা অনেক দেরি করে শুরু হল। মেলা থেকে ফিরে অনেকক্ষন জেগে ছিল বাবাই। তাই সকালে তার ঘুম ভাঙেনা। প্রায় দুপুর গড়িয়ে যায়। খা খা দুপুর বলে যে কথাটা শামসুর রাহমান বলেছেন সেটা এসে সামনে দাড়ায়, যখন রিক্সা টেক্সি কিছুই মিলেনা। প্রায় আধা ঘন্টা রোদ খাবার পর একটা সি এন জি পাই। ধানমন্ডিতে হালকা ঘুরান্তি শেষে শাহবাগ। আজিজ মার্কেটটারে আমার নিজের বলে মনে হয় অনেক বছর ধরেই। শুদ্ধস্বরের অফিস। টুটল ভাই বসে বসে কাজ তদারকি করছেন। বই যাবে মেলায় অনেকগুলো। শেষ মূহুর্তের ব্যাস্ততা। নানা কথা হয়। ঘুরে ফিরে আসে ভার্চুয়াল জীবন। কেমন অভ্যস্থ হয়ে গেলাম আজিব এক সাইবার লাইফে, অথচ আগাগোড়া ননটেকি মানুষ এই আমি। শুদ্ধস্বর থেকে বেরিয়েই দেখা পাই কলি আপা আর ইরাজ ভাইয়ের। আমার দুজন প্রিয় মানুষ। একজন সংবাদ এর ফিচার পাতা দেখছেন এখন, আগে ছিলেন ভোরের কাগজ-এ। আর ইরাজ ভাই আমার মত সাংবাদিকতা থেকে বিতাড়িত অথবা পলাতক। নাইওরিতে বসে বসে আড্ডা হয়। কখন বিকাল হয়ে গেল তার কোন হদিসই থাকেনা। পুত্রধন ততক্ষণে ক্ষুধায় আক্রান্ত। আজিজ এর মিনি চায়নিজ নামক বস্তুতে বসে পুরত্রের উসিলায় নিজেদেরও পেটপূজা।

ফোন বাজে। আরিফ ভাই। খবর মিলে তীরন্দাজ বসে আছেন মেলায়। একটু পরে আবার ফোন, অয়ন। মেলায় এসে গেছে সেও। আমরা তাড়াতাড়ি ছুটি। সন্ধার ঠিক আগে আগে মিশে যাই বইয়ের রাজ্যে।

গোল্লায় যাও ভার্চুয়ালিটি

ভার্চুয়াল সম্পর্কগুলো কি রকম? কিবোর্ড, মাউস, ইন্টারনেটের মাঝেই কি এসব সীমাবদ্ধ থাকবে? যদি এই ধারনার উপর জগৎটা প্রতিষ্ঠা পেয়ে থাকে তবে সে বিরাট ভুল করেছে বাংলাদেশে এসে। এখানে তার সব ভাবই মৃত্যুবরণ করেছে। বাঙালিরা ভার্চুয়ালিটির খেতা পুড়ে এইটারে রিয়েল লাইফে ঠিকি টেনে এনছে। তাই একজন তীরন্দাজ সাত সমুদ্র তের নদী পার হয়ে এসে খোঁজ করেন অনভ্যস্থ মানুষ নজমুল আলবাব এর, অয়ন নামের মেধাবী তরুন আচানক হয়ে উঠে বন্ধু। নিজের বইয়ের কাজ ফেলে লিটল ম্যাগ চত্বরে ছুটে আসে অমিত আহমেদ। মুজিব মেহেদীর দিকে হাত বাড়িয়ে নামটা বলতেই হালকা হাসি খেলে যায় তার মুখে। আড্ডা জমে উঠে, আর আমাদের দিকে অবাক চোখে মাঝে মাঝে তাকিয়ে থাকেন এক আশ্চর্য সুন্দর বিদেশীনি...
( এই দিনের বর্ননাটা অনেক প্রানবন্তভাবে দিয়েছেন অমিত। আমি আর কস্ট করতে রাজি নই)

অতঃপর শেষদিন

বউ এর কামলা শুরু হবে ছয় তারিখ থেকে। তাই পাঁচ তারিখেই রওয়ানা দিতে হবে। আগের রাতে বই মেলা থেকে ফেরার সময় টিকিট কেটে নেই। দুপুরের বাস।

বছর কয়েক আগে পর্যন্ত আমার কাছের বন্ধুদের সবাই ঢাকার বাসিন্দা ছিল। এখন সবাই একসাথে টেমসের তীরে বসত গড়েছে। সেসময় আমার ভাইও ছিল ঢাকায়। কাজে অকাজে প্রায়ই তখন ঢাকায় যেতাম। বাস যোগাযোগ তখন এত ভাল ছিলনা। তাই ট্রেনে চড়ে যাওয়া হত। আমাকে ট্রেনে তুলে দিত দাদাভাই নয়ত গৌরিশ। ট্রেন ছেড়ে দেয়ার পরও তারা অনেক্ষন দাড়িয়ে থাকত। জানলা দিয়ে তাকালেই তাদেরকে দেখতে পারতাম। আর আশ্চর্য ব্যপার আমার বুকের ভেতর কেমন হু, হু করে উঠত, কান্না পেত। সারা রাস্তা আমার মন খারাপ থাকত...

কিছু মানুষ আছে যারা খুব করে চাইলেও ভেজাল এড়িয়ে চলতে পারেনা। আমি সেই গোত্রের। সোহাগ এর বাস সার্ভিসের এত নামডাক। তারা কীনা আমাদের যে সিট দিল সেটার উপর এসির পানি টপ টপ করে পড়ে! আর এমন তাদের ভাব যেন কিছুই হয়নি। টিকিট কেটেছ যখন তোমাকে যেতেই হবে। আমার সাইজটাও এমন যে এই পাঁচ ফুটকে কেউ পাত্তা দিতে চায়না। আম্মা আমার উত্তেজনা দেখে বলেন, আমরা চল পরের গাড়িতে যাই... আমি কিচ্ছু বলিনা। টাকওয়ালা লোকটাকে আস্তে করে বল্লাম, ভাই এইখানে নামায়া দিতে পারেন ( বাস তখন চলতে শুরু করেছে। আমি অন্য সিট দখল করে রেখেছি। আর সেই সিটের লোকজন দাঁড়ানো!) ঢাকা শহরে কিচ্ছু করার নাই আমার। কিন্তু সিলেটে আপনার অফিসে বাসে মিলেও আমার ছেলেদের নাস্তা হবেনা ! লোকটা আমার দিকে একপলক তাকিয়েই দুরে চলে যায়। পনের মিনিট পরে সব ঠিক!!! আজিব দুনিয়া, বিনয়ে কাজ দেয়না আর ভাব নিয়ে কথা বল্লে বাপ ডাকতে এগিয়ে আসে!!! আমি সত্যিই মহা অবাক হয়ে সারাপথ বসে থাকি।

এই অবাক ভাব আসায় একটা লাভ হয়েছে আমার। কারওয়ান বাজারের মোড়ে দাড়ানো অয়নকে দেখে বুকে যে হু...হু... ভাবটা এসেছিল সেটা কেটে গেছে।

অয়ন তুই অফিস ফেলে বোকার মত ওই রাস্তায় দাড়ায়া ছিলি কেন তখন?


মন্তব্য

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

এটা কী করলেন, বস!
শেষটায় তো মনা খারাপ করিয়ে দিলেন। মন খারাপ

নজমুল আলবাব এর ছবি
আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

দু:খিত হলে একটা অনুরোধ করি।

আপনার বউ বাটা বলসাবান গল্পটা নিয়ে আমার কিছু মুগ্ধতা আছে। বন্ধুসভার সেরা ছোটগল্প পুরস্কার পাবার আগেও এটা মনে ধরেছিলো বেশ।

এবার একটা পোস্ট দেন - এই গল্প কখন কিভাবে কেনো লেখা হলো। মাথায় কিভাবে প্লটটা গ্রো করলো। কাটাছেঁড়া কেমন করেছেন। পত্রিকায় ছাপানোর আগে কেউ পড়েছিলো কিনা, পড়লে মন্তব্য কেমন ছিল। এবং পুরস্কার প্রাপ্তির পরের অনুভূতি। ৯/১০ বছর পরে এসে আপনার নিজের মূল্যায়ন কি? এসব নিয়েই লিখেন।

নজমুল আলবাব এর ছবি

ওরে আল্লাহ!!! কয় কি?

দেখি চেস্টা করে।

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- রং নাম্বার বাউল, শিমুল কিন্তু এইসব ব্যাপারে অনেক চিপায় ফেলে। কোত্থেকে যে কি জিজ্ঞেস করে বসে, মনে হয় ব্যাটা এক্সিকিউটিভ না হয়ে সাংবাদিক হলেও জ্বালিয়ে দিতো নিজের দ্যুতিতে।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

নজমুল আলবাব এর ছবি
লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

আপনার হাত ধরে এই সুযোগে বাণিজ্য মেলাটা ঘোরা হলো। আমি জানি দেশে থাকলে আমার যে ছোট্ট ২টা ভাগ্নে আছে ওদের সাথে আমাকেও আপনার মতোই অনেক টুকটাক বায়না মেটাতে হতো।

লেখাটা চমৎকার লাগলো। এর বেশী আর বলছি না।
আপনার বাসের ঝারিটা দারুণ হয়েছে বলাই বাহুল্য।
যেখানে যেমন।

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

নজমুল আলবাব এর ছবি
ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ঝামেলা না এড়ানো মানুষের দলে বুঝি আমিও আছি। কোন না কোন ভাবে, স্মুথলী যাওয়াটাই হয়ে উঠে না আমার। একটা না একটা ফ্যাকড়া লাগেই।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

নজমুল আলবাব এর ছবি

আমি কত চেস্টা করি কিন্তু ভেজাল পায়ে পাড়া দিয়া আমার ঘাড়ে চাপে। ঢাকায় যাওয়ার কাহিনি দেখেননাই? আগের দিনের ঠিক করা গাড়ি যাওয়ার সময় বলে যাবেনা। মন খারাপ

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

ধুসর গোধূলি এর ছবি
পুতুল এর ছবি

বই মেলা আপনার লেখনি দিয়েই দেখতে হল। আক্ষেপ আর ভাল লাগা একার হয়ে বই মেলায় যেতে চায়।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

নজমুল আলবাব এর ছবি

ধন্যবাদ। তবে বই মেলার খোঁজ খবর কিন্তু অমিত দিচ্ছে ভাল। ওর দিকে খেয়াল রাখুন।

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

বাবাইটাকে যখন খুব নিজের মতো মনে হয়, বুকের ভেতরে কেমন ফিল করেন আপনি?

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

নজমুল আলবাব এর ছবি

আপনেত বইন ভয়ঙ্কর একটা প্রশ্ন করলেন। যা ফিল করি তা বলার ক্ষমতা আছে নাকি? একেবারেই নাই। তয় ইদানিং প্রায় ব্যাপারেই বুকের ভেতরটায় শূন্য শূন্য লাগে।

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

পরিবর্তনশীল এর ছবি

আপনার লেখাটা পড়ে এই লাইনগুলা লিখতে ইচ্ছে করল।
কেন করল বুঝতে পারলাম না।
আমি মানুষটা বড় বেশি রঙছুট
আমি চাঁদের ঘরে কড়া নেড়ে
চাঁদকে করি লুট।
---------------------------------
-মহিব
ভাবসাব দেখে মনে হইল "উনি একজন মানুষ"

নজমুল আলবাব এর ছবি

আপনেতো এই লাইন কয়টা দিয়া আমার পোস্টারেও ছাড়ায়া গেছেনরে ভাই। স্বাদু...

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

অয়ন এর ছবি

আমি তো সেদিন অফিসেই যাচ্ছিলাম, কিন্তু তেজগাও ব্রান্চে।

সোহাগের ব্যাপারে প্রায় একই অভিজ্ঞতা আছে আমার। ২০০০ সালের বর্ষাকালে ঢাকা থেকে চিটাগাং যাচ্ছিলাম। পুরাটা সময় বৃষ্টির পানি বাসের ছাদ থেকে ভিতরে পড়লো। এতো বাজে অবস্থা চিন্তা করা যায় না।

রানা মেহের এর ছবি

আমাদের প্রান্তিকের মেলাটা বুঝি
অনেক নাগরিক ছিল?
ওটার কথা বললিনা?

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

নজমুল আলবাব এর ছবি

এসব কথা আমি মনে করতে চাইনা।

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

অমিত আহমেদ এর ছবি

সিরিজটা মুগ্ধ হয়েই পড়েছি।


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

নজমুল আলবাব এর ছবি

তুমি সিরিজ শুরু না করলে আমার লেখার কথা মনেই হতনা।
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

ফকির ইলিয়াস এর ছবি

আপনি ঢাকার বইমেলা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন আলবাব
যাচ্ছেন সিলেটে
আমার মনে হচ্ছে আমিও আপনার সাথে মেলায় ছিলাম
আমিও উড়ে আসছি নিউইয়র্কে
------ খুব প্রান্জল লেখাগুলো

নজমুল আলবাব এর ছবি

ধন্যবাদ ইলিয়াস ভাই।

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ভ্যাজাল এড়িয়ে চলতে না পারার কথা বলছেন? মোলাকাত করতে হবে আপনার সাথে। ভ্যাজালের গল্প দিয়েই দুই-চারটা বই হয়ে যাবে!!

নজমুল আলবাব এর ছবি

ঠিক আছে, দেখা হবে সুবিধামত সময়ে। কিন্তু আপনেতো মনে হয় বৈদেশে মন খারাপ

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

অনুভূতিশূন্য কেউ একজন এর ছবি

আমার ছেলেটাকি আমার মতই? কিছুটা মনে হয়। সেও আমার মতই খুব দ্রুত দলছুট হয়ে পড়ে।

ভালোইতো।
নয় কি, মর্মাহত বাউল?
আমার মতোন শেকড়ের জন্যে টান অনুভব না করা কোন সন্তান যেন না হয় ছোট আলবাব টা, সেই প্রার্থনা করি।

নজমুল আলবাব এর ছবি

সৌরভ হুদা হুদা মন খারাপ কর কেন? তোমার মত করে আমরা কেউই শিকড়কে মনে রাখতে পারিনা। কেউনা।

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

অতিথি লেখক এর ছবি

এমনিতেই ফেব্রুয়ারী মাসে মেজাজ থাকে খাট্টা। বইমেলায় কতকাল যাওয়া হয়নি। আর তার উপর ইনিয়েবিনিয়ে বইমেলার বর্ণনা দিয়ে চলেছেন আপনি, অমিত এবং আরও অনেকে। পড়ি আর মাথা দিয়ে আগুন বেরোয়। হাজার মাথা কুটেও বের করতে পারিনা কখন, কিভাবে আমি এই সংসারের চার দেয়ালে আটকে গেলাম।
আহা-একবার যদি বইমেলায় যেতে পারতাম!
আপনাদের সব কয়জনকে আমি প্রবল পরিমাণে ঈর্ষা করি। ঈর্ষা করি, ঈর্ষা করি। আহ-বুকটা হালকা হোল এবার।
ভাল থাকুন।

-নির্বাসিত

নজমুল আলবাব এর ছবি
কনফুসিয়াস এর ছবি

(বিপ্লব)
-----------------------------------
যা দেখি তা-ই বলি...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

নজমুল আলবাব এর ছবি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।