ধর্ম অথবা দৈনন্দিন

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৯/০৭/২০০৭ - ১:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কুকুর নিয়ে ইসলাম ধর্মে কি বলা হয়েছে? বাড়িতে কুকুর রাখার ব্যপারে নাকি কঠিন নিষেধ দেয়া আছে ধর্মে!

ধর্ম নিয়ে আমার পাঠ খুব উচু মাপের নয়। এমনিতে আমার পরিবার ধার্মিক বা ধর্মপ্রাণ বলেই পরিচিত। সিলেট অঞ্চলে শুধুমাত্র ধর্মের কারনেই আমার পরিবারের বেশ কয়েকজন সম্মানিত মানুষ আছেন। আমারা যারা এখন বেচে বর্তে আছি তারা প্রায়ই সেইসব মানুষের বিভিন্ন কর্মকান্ডের ফল ভোগ করি। এখন পর্যন্ত তাদের কোন কাজ আমাদের বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেনি।

এই যাদের কথা বলছি, এরা ধর্মের মাপকাঠিতে অনেক বিশাল অবস্থানে ছিলেন। এদের একজনের জানাজার নামাজ এত বিশাল হয়েছিল যে সেটা এ অঞ্চলে স্মরনকালের বৃহত্তর হিসাবে স্থান করে নিয়েছে।

নিজের পরিবারের এত কথা একসাথে বলে ফেলাটা কেউ আত্মপ্রচারের সীমানায় ফেলবেননা। আসলে এসব বলছি আমার সাম্প্রতিক মনোভাব শেয়ার করার জন্য।

আমরা বেশ নির্জন স্থানে বাস করছি এখন। ছোটখাটো একটা টিলায় বাড়ি। আশেপাশে মানুষের বসতি বেশ হালকা। সিলেটে অনেকেই এমন বাড়িতে থাকেন। তাই এটা বিশেষ কোন দ্রষ্টব্য নয়।

আমরা মাঝখানে অনেকবছর এই বাড়িতে ছিলামনা। খালি পড়ে থাকা ঘরদোর চোরচোট্টাদের বেশ প্রিয় হয়ে থাকে। ( ভুত প্রেতদেরও নাকি শয়তানী হাসি ) তো হঠাৎ করেই আমরা চলে আসায় তাদের মরমে আঘাত লেগেছে। তারা ইদানিং বাড়ি ঘিরে মহড়া টহড়া দেয়। এই এদরে হাত থেকে বাচতে আমারা দুইভাই সুদুর রাজধানী থেকে জনৈক সাবেক মন্ত্রিপুত্রের কাছ থেকে বেশ খাসা একঠি কুকুর কিনেছি! ইহার আদি বংশ নাকি জার্মান দেশের! এর আগমনের পর আমরা বেশ আরামেই আছি।

কুকুর আনার পর থেকেই ধর্মিয় বিষয়গুলো সামনে এসেছে। কেউ কেউ বলছেন বাড়িতে কুকুর রাখলে নাকি ফেরেস্তারা এর সীমানায়ও আসেননা! এর কোন জবাব আমদের কাছে নেই। এখানে বলে নেয়া যায়, আমার মায়ের ধর্মিয় জ্ঞান বেশ প্রখর। শুধু তিনিই নয় তার বাড়ির প্রায় সবাই ধর্মের ব্যাপারে সচেতন। মাছলা মাছায়েলে তাদের সহজাত দখল আছে। ত্রিভূজ কিংবা আস্তমেয়ে টাইপের গাজা পার্টিকে আম্মা একাই সামাল দিতে পারবেন। আমাদের বালক বেলায় নানাবাড়িতে গেলে দেখেছি অনেক মহিলা যারা নানাজানের কাছে যেতে পারতেননা তারা আম্মা অথবা খালাদের কাছ থেকে ধর্মের নানা বিষয়ে জেনে নিতেন।

কুকুর বিষয়ে আম্মা কিছুই বল্লেননা। এর রুটিন দেখে তিনি খাবার দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন। বাড়ি ফাকা থাকলে নিজেই খাবার দিচ্ছেন। আমরা দু ভাই মোটামুটি বুঝে গেছি কুকুর নিয়ে আলাদা ভাবনার কোন দরকার নাই। কিন্তু বাইরের মানুষ সেটা কেন দেবে। বিশেষ করে আমার পুর্বপুরুষদের দোহাই দিয়ে তারা বেশ মাছলা দেয়ার চেস্টা করছেন। এ অবস্থায় গত সপ্তাহে এলেন আমার সেজ খালু। ইনি আমার নানার ভাবশিষ্য। তাকেই ধরা হল। তিনি বল্লেন, কুকুর কাউকে ছুয়ে দিলে কোন সমস্যা নেই। তবে 'লালা' ভালো নয়। এটা হারাম। শরিরে লাগলে ওজু করতে হবে। এর বেশি কিছু তিনি বলেননি। কুকুর বাড়িতে আনায় গালমন্দও করলেননা।

আমাদের ঘরে দুজন পিচ্চি আছেন। এদের দেখভাল করেন যে ডাক্তার তিনি আমার দুঃসম্পর্কের চাচা হন। কুকুর আনার পরই তিনি আসলেন। এসেই বিরাট হল্লা। তার নাতিদের যেন এই জীব এর কাছ থেকে দুরে রাখা হয় এইসব বল্লেন। কুকুরের লালা নিয়ে বারবার সাবধান করে গেলেন।

খালুর কথার সাথে পুরোটাই মিল্ল চাচার কথা। একজন ধর্মের কথা বলে বল্লেন লালা'র কথা, আরেকজন বিজ্ঞানের আলোকে।

এইসব কথা ছাগলদের মুখ থেকে কোন রুপ নিয়ে বেরোয়? তারা কিভাবে হারাম হালাল নির্ধারন করে?


মন্তব্য

তারেক এর ছবি

ছাগলেরা কুকুর দেখলে ভিরমি খাবে স্বাভাবিক। তবে ধর্মের ব্যাখ্যা কাজে না দিলে আপনাকে নির্ঘাত নাজী বইলা প্রচার কইরা দিবে। হাজার হোক জার্মান সারমেয়। বাপরে!
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

আরিফ জেবতিক এর ছবি

কেউ কেউ বলছেন বাড়িতে কুকুর রাখলে নাকি ফেরেস্তারা এর সীমানায়ও আসেননা! এর কোন জবাব আমদের কাছে নেই।

জবাবটা হইলো এই যে,আপনি তাদেরকে বিনীত ভাবে জানিয়ে দিবেন ,কুকুর আসার আগে ব্যাপক চোর চ্যাছড়দের উৎপাতে আপনাদের যখন ঘুম হারাম হয়া গেছিল,তখন হাজার হাজার ফেরেশতারা আপনাদের রক্ষা করতে পারেন নাই।

হাজার হাজার ফেরেশতার থেকে একটি জার্মান এলশেশিয়ান (বানানটা কী?) কে বেশি শক্তিশালী দেখে আপনারা মর্মাহত।

জিকো এর ছবি

আল-আরাফে আয়াত আছে(৭:১৭৬), কুকুর নিয়ে। কোরান ও সুন্নাহ'র আলো পড়েছে কুকুরের গায়ে। আপাতত বাসায় ডিফেন্সের জন্য। হাসি

তবু মানুষের ভালোবাসা পাক কুকুর, বিড়াল ও অন্য প্রাণী।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

কপি-পেস্ট:

এরকম জীবন ঘনিষ্ঠ বিষয় উপস্থাপনের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। এরকম বিষয় আপনার মনে উদিত হয়েছে মানে আপনি ইসলাম নিয়ে ভাবছেন। এজন্য পরম করুণাময় অবশ্যই আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিবেন।
চেষ্টা করি আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে -
'কুকুর'পালনকে হারাম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে যুগ যুগ ধরে। এমন কি ইসলামের ক্ল্যাসিকাল নর্মেও এ ভুল করা হয়েছে। বিশ্লেষকরা ব্যাপারটিকে বিভিন্ন ভাবে ব্যাখ্যা করেন। প্রথমে দেখতে হবে - আপনার কুকুরটি প্রহরী কুকুর নাকি শিকারী কুকুর, নাকি স্রেফ পালনের জন্য ঘরে রাখা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ হলো, এই কুকুর পালন করে আপনার ফাইনান্সিয়্যাল বেনিফিটের গ্রহণযোগ্যতা আছে কি? এর উপরেই হালাল হারামের ভিত্তি নির্ধারিত হবে।

কুরআনের সুরা কাফ-এ দেখা গেছে কুকুরকে গ্রহণযোগ্য করে ব্যাখ্যা দেয়া আছে। আপনি নিজস্ব অনুধাবনের জন্য সুরা কাফ পড়তে পারেন।
ইসলামিক স্কলাররা মূলত: হাদিসের উপর ভিত্তি করে বলেন - কুকুরের লালা নোংরা, সুতরাং এরকম প্রাণী নামাজের স্থানে বিচরণ করবে সেটা অগ্রহণযোগ্য, সেটা মসজিদ কিংবা আবাসঘরের প্রার্থণাস্থান হতে পারে।

সহীহ আল-বুখারী হাদিসে (১:১৭৪)আবু হুরায়রা কর্তৃক বর্ণিত আছে, মুহাম্মদ (সা:) বলেন - একজন লোক দেখতে পেলো, একটি কুকুর রাস্তার কাদা খেয়ে তৃষ্ণা নিবারণের চেষ্টা করছে। লোকটি নিজের জুতা খুলে তার ভেতর পানি ভরে ঐ কুকুরকে পান করালো, যতক্ষণ পর্যন্ত না কুকুরের তৃষ্ণা মেটলো। আল্লাহ তার এ কৃতকর্মের জন্য তাকে বেহেশত নসিবের মাধ্যমে পুরষ্কৃত করলেন।

তবে এ কথা সত্য যে, বিশ্লেষকরা মূলত: হাদিসের ভিত্তিতে কুকুর পালনের হারাম/হালালের বৈধতা নিয়ে বিতর্ক করেন। ফলে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত লক্ষ্য করা যায় না।

এ পর্যন্ত বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে কুকুর পালনকে হারাম নয় বলে ধরা হয়েছে। ব্যাক্তি অথবা সমাজ বিশেষে কুকুরকে গন্ধ ও অপরিচ্ছন্নতার জন্য কুকুর পালনে অনুৎসাহিত করা হয়। বলা হয় 'custom is given legal authority' এখন আপনার ব্যক্তিগত ভাবনার উপর কুকুর পালনের সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে।

সামগ্রিকভাবে কুকুর পালনকে হারাম বলা যায় না। ক্ষেত্র বিশেষে ব্যক্তির নিজস্ব রুচিবোধের সাথে অপছন্দনীয় বলা যায়।

ডিসক্লেইমার:
পুরোটাই কপি-পেস্ট। আমার নিজস্ব কোনো ব্যাখ্যা বা মন্তব্য নেই। সুতরাং আমার কোনো দায়ভার নেই।

_________________________
'আজকে না হয় ভালোবাসো, আর কোন দিন নয়'

নজমুল আলবাব এর ছবি

শিমুলরে একজনের কথা জিগাইলেই চেইতা যায়! শয়তানী হাসি

নজমুল আলবাব এর ছবি

জিকো, ধন্যবাদ। আমার ঘরেতো কোন সমস্যা নাই! সমস্যাটা ছাগলদের হাসি

ঠিকৈ আরিফ ভাই।

তারেক, ছাগলের লগে কুকুরের সমস্যাটা কি? আপনে জানেন কিছু?

তারেক এর ছবি

হায় হায় নাজমুল ভাই, এই প্রশ্নে ধরা খাইলাম তো! আমি তো রাজাকার পার্টির সবাইরে ছাগলও কই কুকুরও কই। আবার এইখানে তো উলটা বললাম! আমার তো মাথা ঘুরতেছে এখন।
তভে ছাগলের ডরানোর কারণ আছে। সন্ধ্যা নামলে বনে বাদাড়ে যদি ছাগলরে কুকুরে ধরে? ছাগল যদি মরে? দেঁতো হাসি
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

নজমুল আলবাব এর ছবি
আরিফ জেবতিক এর ছবি

ত্রিভুজের উপর বসুন্ধরা সিটির কুকুরের হামলাটি নিজের চোখে দেখা।
এ বিষয়ে পিয়াল ভাইয়ের একটা পোস্ট আছে কোথায় যেন।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

হাসি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

নজমুল আলবাব এর ছবি

এ টিমও মনে হয় এইটা নিয়া লিখছিল।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ক্যাচাল সৃষ্টিকারী জিনিসগুলা সাধারণত হাদিস বা স্ব-নামে স্বধন্য তথাকথিত স্কলারদের ব্যাখ্যা থেকে আসে। কোরআনে আমার জানামতে কুকুরকে হারাম বলা হয় নাই।

হাদিস হইলো গিয়া ধর্মের নামে অধর্ম চর্চার তুরুপের তাস। ৯৯টা ভালো কথা কইয়া ১ টা ভেজাল ঢুকায়া তারপর ওই ভেজালটা ধইরা ক্যাচাল লাগানো। হাদিসের যে কোনো রেফারেন্সই আল্লাহর ইসলামকে রিপ্রেজেন্ট করে না। ওটা বড়জোর সত্যমিথ্যের মিশেলে ইতিহাস।

কোরআনে নিষেধ না থাকলে কুকুরকে হারাম বলার অধিকার কোনো স্কলারের নাই। কথা উঠতে পারে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে; তবে সেটা সবকিছুর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, কুকুর বলে নয়। তাছাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাকে পছন্দ করা মানুষের স্বাভাবিক একটা ব্যাপার, তার জন্য ধর্মের রেফারেন্স অপ্রয়োজনীয়।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অতিথি এর ছবি

কুকুর বা ছাগল নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, ঠিকাছে, কিন্তু অপবিত্র অশ্লীল জ্যামিতিক প্রাণীর নাম কেন টেনে আনা হচ্ছে আমি বুঝতে পারছি না।

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

এইখানে একজন আরব ও বেদুইন সমাজ সম্পর্কে জানা লোক দরকার।
উপরে জিকো ও শিমুলের মন্তব্যে হাদিস কোরআন এসেছে।
আমি এখন অন্য একটা সম্ভাবনার কথা বলতে চাই।

অরণ্যচারী শিকারী মানুষের প্রিয় সঙ্গী কুকুর। শিকার খুঁজে পেতে, শিকার ধরতেও কুকুরের ব্যবহার হয়েছে। যেমন বাজপাখি দিয়ে পাখি শিকার বা উদবিড়াল দিয়ে মাছ শিকার করে থাকে বিভিন্ন গোত্রের লোকজন।
ইসলাম মূলত: বেদুঈনদের মাঝে ইব্রাহিমের ধর্ম চালুর চেষ্টা থেকে সৃষ্ট। সুতরাং বেদুঈনদের কাজ-কারবারকে অসভ্য ও বর্বরতা মনে করার ও সে সংক্রান্ত মাসায়েল দেয়ার চেষ্টা ইসলামে আছে।
আমি অনুমান করছি বেদুঈনদের মধ্যে কোনো গোত্র হয়তো শিকারের জন্য কুকুর ব্যবহার করতো। এবং সেইসব কুকুরের কামড়ে আহত করা প্রাণী; দুম্বা, খরগোস ইত্যাদি খেতো। অ-বেদুঈনরা এটা পছন্দ না করারই কথা।

কুকুরের বাণিজ্যিক ব্যবহার, মুখের লালা এখান থেকেই আসতে পারে। তবে এটা আমার ধারণা বা অনুমান। তবে অনুমানটা খুব সত্য সত্য শোনাচ্ছে। হতে পারে আমি কোথাও পড়েছি, খুব ছোটবেলায়, মনে নেই। অথবা আসলেই অনুমান। তবে ভিত্তিহীন নয়। খোঁজ নিয়ে জানতে হবে।

ধর্মগুলোর প্রবর্তন করা হয়েছে মানুষকে সচেতন করার জন্য। আর এখন ধর্ম ব্যবহার হয় অচেতন করে রাখার জন্য। যেকোনো সিস্টেম বা জ্ঞান যদি সময়ের সাথে পরিমার্জিত বা পরিশোধিত না হয় তবে তার অবস্থা পুকুরের আবদ্ধ জলের মতো বিষাক্ত হয়ে ওঠে।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

নজমুল আলবাব এর ছবি

জিকো কোরআন থেকে যা দিলেন সেখানে স্পস্ট কিছু নাই। দুর্বল অনুবাদে সেটা না ধরতে পারার একটা চান্স অবশ্য থেকে যায়।

অচ্ছুৎ বলাই পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার যে কথা তুলেছেন এই ভিউটা সবার থাকলে কোন প্রশ্ন ছিলনা। গুলিয়ে ফেলে হালাল, হারাম বলে।

বিগ সি যেসব কথা বল্লেন তার সাথে আমার ভাবনাগুলো মিলেযায়। আমি মনে করি, যখন যে ধর্ম যেখানে উদ্ভব হয়েছে সেখানকার প্রকৃতি সেই ধর্মের গতি পুরোটাই নির্ধারন করেছে। বদনা আর লোটার ব্যবহার সেরকম এক বিষয় বলেই আমার মনে হয়।
ইসলাম ধর্ম ভারতীয় ইপমহাদেশে জন্মালেকি মুসলমানরা বদনা ব্যবহারের কৃচ্ছতা দেখাতো? কিংবা আরবে যদি হিন্দু ধর্ম, তাহলেকি লোটারমত এমন হা মুখের কোন তৈজস কিন্দুরা ব্যবহার করতো?

হিমু এর ছবি

ধর্মের ট্যাবুগুলি আসলে সামাজিক লেনদেন নিয়ন্ত্রণের জন্যেই ব্যবহৃত। যে সমাজে খুব প্রভাবশালী সমাজপতিরা থাকে, সেখানে ট্যাবুগুলিকে সরাসরি ধর্মের গায়ে গেঁথে দেয়ার প্রয়োজন পড়ে না, কারণ সেখানে টপডাউন অ্যাপ্রোচ ভালোভাবে কাজ করে। উদাহরণ দিচ্ছি, প্রশান্ত মহাসাগরের একটা ছোট্ট মাইক্রোনেশিয় দ্বীপ তিকোপিয়াতে শূকর প্রচন্ড উৎপাত শুরু করেছিলো। শূকর মাটি খুঁড়ে মূল খায় বলে গোটা দ্বীপের মাটির ঊর্ধ্বস্তরের অবস্থা সঙিন হয়ে পড়েছিলো। এমন অবস্থায় সেখানে সমাজপতিরা শূকরকে ট্যাবু হিসেবে ঘোষণা করে, এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যে তিকোপিয়াতে সমস্ত শূকর নিধন করা হয়। মাইক্রোনেশিয়ার অন্যান্য দ্বীপে লোকে হরদম শূকর খায়, সেখানে কোন আচারগত নিষেধ নেই শূকর ভক্ষণের।

যখন সমাজের আকৃতি আরো বিশাল, এবং প্রকৃতি কিছুটা জটিল হয়, তখন আর সমাজপতিদের মুখের কথায় ট্যাবু কার্যকর হয়না। টপডাউন অ্যাপ্রোচের টপকে তখন ঠেলে ঠেলে আকাশ-স্বর্গ-ঈশ্বরেরবৈঠকখানা পর্যন্ত তুলে দিতে হয়, নইলে লোকে ঠিকমতো মানতে চায় না। ঈশ্বরের দোহাই দিয়ে অনেক কিছু মানুষের ওপর চাপিয়ে দেয়া সহজ। তাই তখন সামাজিক আচারের নিয়ন্ত্রক ট্যাবুগুলি ধর্মের অংশে পরিণত হয়। শূকরের মাংস ভক্ষণ নিষিদ্ধ করেছিলো ইহুদি রাবাইরা, তারা লক্ষ করেছিলো যে শূকরের অন্ত্রের গঠনের সাথে মানুষের অন্ত্রের গঠনের সাদৃশ্য, আশঙ্কা করেছিলো শূকরের রোগ মানুষের দেহে সংক্রমণের। পশুপালক আর্যরা যখন ভারতবর্ষে এসে কৃষিকাজের দিকে ঝুঁকে পড়লো, তখন গোমাংস ভক্ষণ নিষিদ্ধ ঘোষিত হলো (এই স্টেটমেন্ট নিয়ে বিতর্ক চলতে পারে)।

এখন সমাজ অনেক বেশি জটিল। ট্যাবুর চেহারাও এখন অনেক বদলে গেছে। নিজস্ব শুভবোধের ওপর মানুষ এখন বেশি ভরসা করতে চায় বোধহয়।


হাঁটুপানির জলদস্যু

দ্য হিডেন গড এর ছবি

কুকুরের সাথে ধর্মের সম্পর্ক কি ? যত সব আল ফাল কথা ।

নজমুল আলবাব এর ছবি

লালা যে শরিরের জন্য ক্ষতিকর এ ব্যপারে কোন সন্দেহ নাই। তবে যাদের কথা বল্লেন অলৌকিক তারা অনেক টিকা ফিকা নেয়। দেশেই অনেকে কুকুর কুলে নেয়ার জন্য এমন ব্যবস্থা নেয়।

এখানে মন্তব্যগুলো মুল আলোচনাকে ছাড়িয়ে গেছে। শোহেইল ভাইয়ের পর হিমু দারুন মন্তব্য করলেন। ধন্যবাদ এদিকে নজর দেয়ার জন্য।

অমিত এর ছবি

কুকুরের ছ্যাপ বিষয়ে একটু ঘাটাঘাটি করতে যেয়ে এটা চোখে পড়ল
Is Dog Saliva Dangerous
To Infants And Others?

Dear Uncle Matty: If a dog goes outside to take care of his business, then comes back in and licks the faces of the parents of a new baby, does that bring health problems into play when the parents then love and kiss the baby?
MM, Melbourne, FL.

Dear MM:

If you have seen any of my PBS shows or videos, you know I love doggy kisses and I've been affectionately praising pooches for 30-something years. So far, so good-and-healthy. But doggy kisses seem to be a matter of choice for adults. When it comes to infants, common sense says that a baby's immune system is, shall I say "infantile," and adults should act responsibly. Not only do I not recommend that dogs kiss infants, no dog, even the most lovable family wagger should be left alone with an infant or small child. It is never really safe.

Now, back to the subject of doggy saliva. The amount of bacteria in a dog's mouth depends on where that mouth has been most recently. Butt of course! Not to mention that an outside excursion could mean Fido's mouth may have been in contact with diseased little critters, alive or otherwise. And then there is the inside biffy watering hole!

If a dog has not been de-wormed, that is also a concern. Every year in North America, a few cases of roundworm are passed from dog to human as well as a few cases of rabies. Dogs can also transmit canine cough and tapeworm, among other things, to humans.

However, according to an article, Would You Rather Be Bitten By A Dog or By a Human? in the Indiana University Library, germs in the mouth tend to be species-specific and harmful dog germs are usually harmless to humans, with a few exceptions. The article went on to state that humans are immune to most dog germs.

Dog kisses and dog saliva have sparked a lot of debate through the years and there are advocates on both sides of the fence. You can get expert answers that support doggy licks and those that don't. In 1990, according to the Alaska Science Forum, researchers at the University of California, Davis, discovered that dog saliva killed E. Coli and Streptococcus canis, another harmful bacteria. It was concluded that when mother dogs lick their nipples it helps keep puppies free from disease. Dogs licking their own wounds accomplish the same goal.

What would I do? Before my new baby arrived, I'd have my dog checked for everything from roundworm to diseases of the mouth. I'd want a clean bill of health for my best buddy. Then I'd prepare my pooch for baby's arrival, getting him used to the sights, sounds and smells of a baby ahead of time. I would cradle and rock a baby doll dressed in baby clothes, turn on the music boxes and mobiles, use the baby powders and lotions, and anything else baby related that I could think of.

I'd also make sure my dog was well trained and teach him to stay out of the baby's room. And I would always continue to give my best canine friend the loving care and attention he is used to receiving.

Then I would not let my dog kiss and drool over my new baby. I would give my dog the separate and loving attention he deserves and then, to be safe and sanitary, I'd wash my hands and face before picking up and loving the baby. Parents that are careful and responsible will usually wind up with a healthy family including pets.

এখানে
_______ ____________________
suspended animation...

জিকো এর ছবি

ধর্মের বেল্ট কুকুরের গলায় আর না পড়াই।

ঝেড়ে কাশা যাক, আমার মন্তব্য গুলিয়ে ফেলার আশঙ্কা আছে।

ঐশী বাণী, ধর্মের রেফারেন্স দিয়ে হারামহালাল ঠিকবেঠিক নির্ধারণ আমার জীবনে অপ্রয়োজনীয়। বরং এসব ধরা দেয় নিতান্ত কমিক উপকরণ হিসেবে, যেহেতু ভীষণরকম অধার্মিক, ধর্মহীন। মানবসভ্যতার ইতিহাসে প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের উদ্ভব, প্রয়োগ আর ব্যাপক প্রভাবকে দেখি কখনও নৃতাত্ত্বিক উপাদান, কখনও ক্ষমতা দখলের (নানা স্তরে) কূটকৌশল বা মানুষের অজ্ঞানতার কৃতিত্ব হিসেবে।

শোহেইল মতাহির চৌধুরীর মন্তব্যের শেষটুকু সরল-উপসংহার মনে হয়েছে:

ধর্মগুলোর প্রবর্তন করা হয়েছে মানুষকে সচেতন করার জন্য। আর এখন ধর্ম ব্যবহার হয় অচেতন করে রাখার জন্য।

হিমুর ধর্মট্যাবু বিষয়ক হাইপোথিসিসে বরং একাত্মবোধ করি।

চিত্ত ভয়শূন্য হলে এসব নিয়ে আরও খোলা বিতর্ক হতে পারে সচলায়তন প্লাটফর্মেই। তবে 'সচল' সদস্য বা কর্তৃপক্ষের কেউ (নাম উল্লেখ করা জরুরি কি?) যখন বক্তব্য শেষে 'ইনশাল্লাহ' লিখেন, তখন চুপসে যাই, ভরসা পাই না।

হিমু এর ছবি

আল্লাহর পাক নাম শুনেই ঘাবড়ে গেলি বুজদিল?

ভারতীয় উপমহাদেশে ইনশাআল্লাহ গর্জন মুসলমানের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে। নবীর দেশে কোন সৌদির মুখে ইনশাআল্লাহ শুনলে পোড়খোর লোকের মুখ কালো হয়ে যায়। কারণ সৌদির মুখে ইনশাআল্লাহ মানে হচ্ছে "আমি এই কাজ করবো না, আল্লাহ যদি করেন তাহলে তোমার কাজ হবে।"

মিশরীয়দের মুখে ইনশাআল্লাহর অর্থ আরো ভয়াবহ নাকি, "আমি তো তোমার কাজ করবোই না, আল্লাহও যদি তোমার কাজ করিয়ে দেন, কাঠি দেবো।"


হাঁটুপানির জলদস্যু

জিকো এর ছবি

মিশর-সৌদীর মানে হিসেবে নয়, বাংলা মানেই বোঝাতে চেয়েছি। হাসি

আল্লাহ বা যাবতীয় অলৌকিকতার ওপর দৃঢ় প্রত্যয়-বিশ্বাস ও ভরসা রেখে চিত্তভীতি দূর করা মুশকিল বলেই মানি। আমার মত।

বুজদিল শব্দটা তোফা।

হিমু এর ছবি

না না না ... তর্ক জমবে, ইনশাআল্লাহ হাসি!


হাঁটুপানির জলদস্যু

জিকো এর ছবি

এনশাল্লাহ! হাসি

জিকো এর ছবি

এনশাল্লাহ! হাসি

নজমুল আলবাব এর ছবি

সম্ভবত মোহিত কামাল একবার তার স্মৃতিকথায় লিখেছিলেন তসলিমা নাসরিনের কথা। টেকনাফ থেকে ট্রলারে সেন্টমার্টিন যাওয়ার সময় সমুদ্রের উদ্দাম তসলিমার মুখ দিয়ে বের করেছিল, আল্লাহ এবং আল্লাহ রক্ষা কর টাইপের শব্ধমালা! মনোবিজ্ঞানের আলোকে কামাল এর একটা ব্যাখ্যা টানতে গিয়ে মনে হয় বলেছিলেন আমাদের অবচেতন মন এরকম শব্দ উগরে দেয়।

ধর্ম যারা মানে তাদের দু একজন হয়ত সমাজকে পেছনে টানে, সবাইকে এক পাল্লায় তুলাটাও সমর্থন করা যায়না। কেউ ধর্ম মানলেই অথবা ইনশাল্লাহ বল্লেই তার উপর থেকে ভরসা উঠে যাওয়াটাকে প্রগতির পূর্বশর্ত মানতেও আমি নারাজ।

অরূপ এর ছবি

চিত্ত ভয়শূন্য হলে এসব নিয়ে আরও খোলা বিতর্ক হতে পারে সচলায়তন প্লাটফর্মেই। তবে 'সচল' সদস্য বা কর্তৃপক্ষের কেউ (নাম উল্লেখ করা জরুরি কি?) যখন বক্তব্য শেষে 'ইনশাল্লাহ' লিখেন, তখন চুপসে যাই, ভরসা পাই না।

জিকো,
তোমার সমস্যাটা কি? খুবই বিরক্ত লাগলো

জিকো এর ছবি
অরূপ এর ছবি

জিকো এর ছবি

আমি মোটেই বিনোদনমূলক খোঁচাখুঁচি করছি না। ধর্ম এবং আল্লাহ নিয়ে সংবেদনশীল বিতর্ক কতটুকু এবং কী পরিসরে সম্ভব সচলায়তনে, তার ইঙ্গিত দিয়েছিলাম।

ইনশাল্লাহ বলার পেছনে যখন অদৃষ্টে বিশ্বাস-প্রত্যয় কাজ করে, তখন বিতর্ক মডারেশনের আশঙ্কা অনুমান তো করতেই পারি। আর সংবেদনশীল বিষয় হলেই ইদানীং রেস্ট্রিক্ট করার চলটা ধরতে পারছি না।

মত প্রকাশ করেছি। ব্যক্তিগতভাবে আহত করার উদ্দেশ্যে লিখিনি। বাকি বক্তব্য স্পষ্ট আমার।

না বোঝাতে পারার জন্য দুঃখিত।

হিমু এর ছবি

রেস্ট্রিক্ট ফিচারটা বোধহয় ব্লগাররা নিজের উৎসাহে ব্যবহার করছেন, সচলায়তন চাপিয়ে দিচ্ছে কি? রেস্ট্রিক্ট ফিচারের উপস্থিতি সম্ভবত আগে একাধিকবার জানানো হয়েছে, অতটুকুই।

সচলায়তনে "মডারেশন" এর দায়িত্ব যারা নিয়েছেন, তাঁরা কি ব্লগার হিসেবে নিজস্ব ধারণা বা বিশ্বাস প্রকাশ করতে পারেন না? ইনশাল্লাহ বলার কারণে যদি কেউ বিতর্ক মডারেশনের আশঙ্কা করে, তাহলে বিসমিল্লাহ না বলার জন্যেও হয়তো কেউ বিতর্ক মডারেশনের আশঙ্কা করতে পারে। আশঙ্কার কোন শেষ নেই তো।

আশারও কোন শেষ নেই। আশঙ্কাটুকু সরিয়ে রেখে আশার কথা শুনতে ইচ্ছা করে সচলদের কাছ থেকে। বিতর্ক চলুক, আশাকে সঙ্গে নিয়ে।


হাঁটুপানির জলদস্যু

জিকো এর ছবি

সঞ্চালকদের নিজস্ব ধারণা ও বিশ্বাস কি প্রতিফলিত হয় না মডারেশনে, নীতিমালায়, বক্তব্যে, যেখানেই হোক তা? যেহেতু এ সাইট-তদারকি কোনো সম্মানীর বিনিময়ে চাকরি নয়, স্বেচ্ছায় দায়িত্ব গ্রহণ। মুক্তিযুদ্ধ এবং এরকম কিছু বেসিক বিষয়ে সবাই একমত বলেই তো এ প্লাটফর্মে সচল।

ইনশাল্লাহ বিসমিল্লাহ মাশাল্লাহ বদরুল্লাহ ইত্যাদি শব্দের অর্থ প্রসঙ্গভেদে বদলাতেই পারে, যেমনটা বললেন অলৌকিক হাসান। অথবা কোথাও 'ওরে আল্লাহ' বললেই প্রগতিহীনতার ট্যাগ লাগিয়ে দেয়ার সংকীর্ণ অর্থেও বলিনি।

ধর্ম মিম যখন গাঁথা থাকে আমার মনে, তখন সংবেদনশীল বিতর্কের কোনো পর্যায়ে যুক্তিপ্রয়োগের বেলায় ধর্মবৃত্তের বলয়ে ঘুরপাক খাবো; চেতনে বা অবচেতনে ইনশাল্লাহর সমার্থক অনুভূতি (বাংলা অর্থে) প্রকাশ পাবেই আমার বক্তব্যে, লেখায়, কাজে। এইসব ব্যক্তিগত উপলব্ধি থেকে সংশয়ের কথা তোলা।

শুধু আশাবাদী হবার ভান করতে পারি না।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

যেমন শানে নজুল শব্দটা আপনার কথায় প্রকাশ পায়। এখন কি আমি ধরে নিবো "লেখার ইতিহাস" না বলে "শানে নজুল" বলছেন বলে আপনি সংর্কীনমনা?

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

জিকো এর ছবি

অনুগ্রহ করে আমার আগের বক্তব্যটি আবার পড়ুন। হাসি

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এখন বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে কে? "বুঝতে পারেননি আবার পড়ুন" - এ ধরনের কথা কে যেন বলত?

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

হিমু এর ছবি

এই সংশয়ের নিরাময় আসলে কীসে?

আশাবাদী হবার জন্য যদি ভান করতে হয়, তাহলে কি আমরা এক একজন চরম পেসিমিস্ট? শুধু সংশয়ী হবো, হয়ে থাকবো?

কোন না কোন বৃত্তেই আমরা ঘুরপাক খাই, বৃত্তের বাইরে পা ফেলা হয় না সবসময়। কেবল ধর্মবৃত্ত নিয়ে প্রসঙ্গটা এমন ভাবে এলো, যেন এখানে ধর্মের মুন্ডপাতের জন্যই আমরা জড়ো হয়েছি, আর তা রোধের দায় নিয়ে টহল দিচ্ছে মডারেটররা। তা-ই কি?


হাঁটুপানির জলদস্যু

জিকো এর ছবি

আশঙ্কা, সংশয়, অবিশ্বাস আছে বলেই পুরোনো ভাবনারা ঠোকর খায়, রূপান্তর হয়; জন্ম নেয় নতুন ধারণার।
নয়তো ভাবনার আদিকল্প (প্যারাডাইম) বদলাবে কী করে? আদিকল্পের কেন্দ্রবদল মানতে না পারলে বৃত্তের বাইরে যাওয়া মুশকিল।

চরম পেসিমিস্ট নই, তবে আশঙ্কাটুকু সরিয়ে শুধু আশাবাদী হওয়াটাও জরুরি মনে করি না। অ্যাবসার্ড আর ননসেন্স চর্চাও ভালো লাগে; অর্থহীনতা তো অস্তিত্বের সংকটকেই আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। আশা-জাগানিয়া গানের কথাগুলো তখন বরং মধ্যপন্থী বিশ্লেষণের মতো সুবিধাভোগী, ভনিতা আর ফাঁপা মনে হয়।

ধর্মবৃত্ত এসেছিল প্রাসঙ্গিকভাবে, এ পোস্টের ল্যাজ ধরে। এটাও মানি, ধর্মের মুণ্ডুপাত করতে বা তা ঠেকানো এ সাইটের উদ্দেশ্য নয়। তবে অন্য অনেক বৃত্ত থেকে ধর্মবিশ্বাসের প্রভাবটা সূক্ষ্ণ, ব্যাপক আর গভীরে। লেখকের যাপিত জীবনে, তার লেখা থেকে এ বৃত্তের বিশ্বাস (বা অবিশ্বাস) বিযুক্ত করা সম্ভব নয়। আমি অবিশ্বাসের কথা জানিয়েছি বলেই কি এত ঝাঁঝালো কথার তুবড়ি?

দুই বৃত্তে যুগপৎ বসবাস করার ইচ্ছা নেই। ভালো থাকবেন।

অরূপ এর ছবি

ইংগিত কই দিলে?
তুমি তো সংশয় প্রকাশে গেলে আগে!!!
আমার তাই সংশয় তোমার উদ্দেশ্য নিয়ে

সচলায়তনের প্রতিষ্ঠার অন্যতম কারনই হলো ছাগুমুক্ত পরিবেশে এসব বিষয় নিয়ে বিতর্ক ও মতপ্রকাশের সুযোগ করে দেওয়া, যেটা পুরানো জায়গায় সম্ভব ছিল না।

রেস্ট্রিক্ট করার কারনটা মনে হয়, লেখা বাদ দিয়ে অন্যান্য বিষয় নিয়ে গভীর উৎসাহ। সচলায়তন তোমার মতপ্রকাশের সহজ সুযোগ করে দেয়। আবার এটাও সত্য যে আমরা মডারেটেড কমিউনিটি, এইখানে কি হবে না হবে সে বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত মানতে হবে। ব্লগস্পট আর সচলায়তনের পার্থক্য মাথায় রাখা দরকার। সচলায়তনে কারো লেখা মডারেট করা হয় নাই যতক্ষন না তা ব্যক্তিকেন্দ্রিক, ক্যাচালসূত্রক বা সাইটের জন্য বিব্রতকর অবস্থা তৈরি করে।

মতপ্রকাশ করো ভালো কথা, ভঙ্গি ঠিক রাখো। সচলায়তন নিয়ে, শ্লোগান নিয়ে তোমার বারংবার ভিন্নমতপ্রকাশের ভঙ্গিটা ঠিক শুভাকাঙ্খীসুলভ না। তোমার লেখালেখি ও কর্মের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা, সেই সূত্রে তোমার প্রতিও। কাছের মানুষদের কাছ থেকে উদ্ধত "মত" শুনলে সন্দেহ হয়। তুমি শিশু না। কেন কি করা হয় সেটা না বুঝলে আরও ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। তোমার সর্তকতা কামনা করা হল।

আমরা কেউ কারো কাছে বিক্রি হয়ে যাইনি

-------------------------------------
রামছাগলের সামনে, খচ্চরের পেছনে আর নিবোর্ধের ধারেকাছে না থাকাই শ্রেয়!

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

দেখুন আপনি ব্যাক্তিগত বিশ্বাস আর সমষ্টিগত বিশ্বাসকে গুলিয়ে ফেলছেন। আমি যতদূর জানি নাস্তিকতা প্রোমোট করার জন্য সচলায়তনের জন্ম হয়নি। হয়েছে ভালো চিন্তাকে ধারন করার জন্য। আপনি মনে এখনও সেই পর্যায়ে আটকে আছেন যেখানে একটা আরবী শব্দ বললে খোদাভীরু/ক্লোজড মাইন্ডেড হিসেবে হা হা করে উঠে লোকজন। আরবী বা ইসলামিক শব্দ মালা কিন্তু আমাদের সমাজের সাথে মিশে আছে।

ইনশাল্লাহ বলার পেছনে যখন অদৃষ্টে বিশ্বাস-প্রত্যয় কাজ করে, তখন বিতর্ক মডারেশনের আশঙ্কা অনুমান তো করতেই পারি।

কেউ ইনশাল্লাহ বললেই সে বির্তক মডারেশন করবে? অদ্ভুত কথা বললেন তো!!

আমি যদি আস্তিক হইও তাহলেও আমার খোলা বির্তকে অসুবিধা কোথায়? মানসিকতা খোলা হবার জন্য নাস্তিক হওয়া জরুরী? সরি জিকো, খুবই শ্যালো চিন্তা ভাবনা।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

নজমুল আলবাব এর ছবি

ইনশাল্লাহ কি এমন ক্ষতিকর? আমারতো ঠিক বুঝে আসেনা। আমার বাপ কথায় বার্তায় সবসময় ইনশাল্লাহ বলেন। তিনি ধর্ম বিশ্বাসি মানুষ। তার দারা কারো কোন অনিস্ট হইছে এমনতো পাইনাই। তার সবচে ভালো বন্ধু সুধির কাকা মরার পর তার ছেলে মেয়েরা গত ১৫ বছর ধরে আমার বাবার কাছ থেকেই তাদের বাবার আব্দার মেটাচ্ছেন। আমি না ধর্মে না কর্মে এইটা নিয়াও তার কাছ থেকে কোন বাজে পরিস্থিতির মুখোমুখি হইনি এখনও, এই ছেলের বাপ হওয়া অব্দি।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

যার যার ধর্ম তার তার কাছে। ধার্মিক কেউ তার বিশ্বাস নিয়ে আরেকজনের সাথে গুতাগুতি করতে যাবে না, ধর্মে বিশ্বাস করে না এমন কেউও ধার্মিক কাউকে বিরক্ত করতে যাবে না - যদি স্বাভাবিক বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ হয়। অন্যের ক্ষতি না করার উদ্দেশ্যে হলে ধর্ম বা না-ধর্ম কোনোটাই সমস্যা না।

সচলে কমনসেন্স প্রিভেল করে বলেই জানি, কেউ ইনশাল্লাহ বললে তাতে আশঙ্কার কিছু নেই। কেউ 'আল্লাহ-ঈশ্বর' নাই বললেও আশঙ্কার কিছু নেই। অন্যকে আক্রান্ত না করলেই হলো।

আমরা সবাই মানুষ এবং সচলের সবাই কমনসেন্সওয়ালা মানুষ। - এটাই হোক আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয়।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

উৎস এর ছবি

অরূপ লিখছেঃ "এটাও সত্য যে আমরা মডারেটেড কমিউনিটি, এইখানে কি হবে না হবে সে বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত মানতে হবে।"

Ouch! that hurts.

অতিথি এর ছবি

'ধার্মিক কেউ তার বিশ্বাস নিয়ে আরেকজনের সাথে গুতাগুতি করতে যাবে না, ধর্মে বিশ্বাস করে না এমন কেউও ধার্মিক কাউকে বিরক্ত করতে যাবে না - যদি স্বাভাবিক বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ হয়।'
যদি গুতোগুতি করাটাই ধর্মের অংশ হয় তবে এরকম ঢালাও সহনশীলতা খাটে না। বিশ্বের তাবত সংঘঠিত ধর্মই ভিন্ন মতাবলম্বীদের ছোট ভাবতে শেখায়। আর তা থেকে সংঘর্ষ অবশ্যম্ভাবী।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

অতিথি ভাইয়া,

গুতোগুতি করাটা অংশ - এমন ধর্ম মানুষের স্বাভাবিক বুদ্ধিই প্রত্যাখ্যান করবে। ভিন্ন মতালম্বীদের ছোট ভাবতে শেখায় - এমন সংগঠিত ধর্মই পরিত্যাজ্য। শান্তি নয়; পায়ে পা লাগিয়ে সংঘর্ষের দিকে নিয়ে যায় - এমন ধর্মও পরিত্যাজ্য।

মানুষের জন্য সমাজবদ্ধ জীবন হিসেবে মানুষের সহনশীল শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের শিক্ষা নিয়েই ধর্মের আবির্ভাব হওয়া উচিত। তার উলটোটা হলে ধর্ম পরিত্যাজ্য।

আমি নিজে ইসলামে বিশ্বাসী। আমার অভিজ্ঞতামতে 'আল্লাহর ইসলাম' অন্যদেরকে ছোট ভাবতে শেখায় না, অন্যদের সাথে পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া করতে শেখায় না; বরং আমাকে সহনশীল হতে শিক্ষা দেয়। মানুষ হিসেবে আমার মধ্যে ভালো-মন্দ দুটো দিকই আছে। ধর্ম আমার কাছে মন্দটাকে দূর করে ভালো দিকটার চর্চা করতে প্রেরণা দেয়। এটা একান্তই আমার ভাবনা ও অভিজ্ঞতা। যদি কারও অভিজ্ঞতা ও ভাবনা অন্যরকম হয়, সে নির্দ্বিধায় ইসলামকে ইগনোর করতে পারে। এবং গ্রহণ-অগ্রহণের একই কথা হয়তো যেকোনো ধর্মের জন্যই খাটে।

আমার কাছে মানুষের জন্য ধর্ম, ধর্মের জন্য মানুষ না।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অতিথি এর ছবি

ভাইয়া,
আপনি ইসলামের বৃহত্তর একটা ভার্সনে বিশ্বাসী। আপনার ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে আমার কোন শংকা নেই। কিন্তু যদি কোরানকে প্রামাণ্য হিসেবে মানেন, তা হলে সুরা আত-তওবাটা পড়ে দেখবেন সময় করে। জানি, বলবেন ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে দেখতে, বলবেন ঐটা সে সময়ের যুদ্ধাবস্থায় প্রাসঙ্গিক ছিল। কিন্ত মোহাম্মদের মতো মেধাবী নেতাকেও যুদ্ধের আগে মেঠো বক্তৃতা দিতে হয়েছিল, মানতে মন চায় না। বিশেষ করে, ২৮ আয়াতটা দেখাতে চাই আপনাকে। তারপরেও কি বলবেন, ইসলাম কখনোই অন্যদের ছোট ভাবতে শেখায় না?

??? এর ছবি

তর্কটা কালকে থেকেই খেয়াল করছিলাম। কোনো কোনো মন্তব্যে একমত হয়েছি, কারো কারো মন্তব্যে ভিন্নমত থাকলেও প্রকাশের ফুরসত হয়নি। "ইনশাল্লাহ" বিষয়ে জিকো-র বক্তব্যের সাথে আমি একমত নই। নাস্তিক কিংবা ধর্ম বিষয়ে ইনডিফরেন্ট থেকেও কেউ এ ধরনের ফ্রেজ বলে ফেলতে পারেন। এটা সাইকো-কালচারাল। যিনি নাস্তিক তিনি হয়ত সহজেই ধর্মের নীতিমালাকে অবজ্ঞা করতে পারেন, কিন্তু ধর্মের যে সংস্কৃতি তাকে এত সহজে বোধহয় গা থেকে খুলে ফেলে দেয়া যায় না।

অনেকটা এভাবেই জিকো-র যুক্তিকে খণ্ডন করেছেন কেউ কেউ। এটাই যথেষ্ট ছিল। এমনকি অরূপের "বিরক্তি" প্রকাশ পর্যন্ত বিষয়টা মানানসই বলা যেতে পারত। কিন্তু তিনি যখন বলেন,

"ভালো না লাগলে সসম্মানে বিদায় হও.. বিনোদনপাবার আরো যায়গা থাকার কথা"

এটা অত্যন্ত আপত্তিকর এবং অপমানজনক। এরকম ধরনের মন্তব্য তিনি ইতোপূর্বেও করেছেন। আমি মনে করি এই ধরনের ক্রুদ্ধ বিবৃতি প্রদানের ভঙ্গি থেকে আমাদের সরে আসতে হবে। অযুক্তিকে প্রতিরোধ করার জন্য ভ্যালিড যুক্তিই যথেষ্ট, ক্রোধ কখনই এর বিকল্প হতে পারে না।

ক্ষমতা থাকলে সেখানে ক্ষমতার প্রতিরোধও থাকবে, এটা ফুকো-র কথা। ফলে, কর্তৃপক্ষের বিষয়ে কর্মীপক্ষ একটু রেজিস্ট্যান্স দেখাবেন এটা স্বাভাবিক। সেটা যৌক্তিক না হলে তাকে শুধরে দেয়ার জন্য সবচে শোভন রাস্তাটা এস্তেমাল করা কম্যুনিটির জন্য স্বাস্থ্যকর। সচলায়তন ধর্ম প্রমোট করার জায়গা যেমন না, তেমনি নাস্তিক্য প্রমোট করার জায়গাও না। কিন্তু এ বিষয়ে খোলামেলা তর্ক উপভোগ করতে এত উদ্বেগ কেন? অন্য মিডিয়াগুলো যেখানে ব্লাসফেমির ভয়ে এসব নিয়ে আলাপ বাড়াতে দিতে রাজি নয়, সেখানে ওয়েবের এই চত্বরেও যদি আমরা ঐ একই ভয়ের জুজু হাজির করি, তাহলে আর বাড়তি সুবিধা থাকল কি?

জিকো-র শেষ সম্ভাষণ বিদায়ী সম্ভাষণ ছিল না, এটা বিশ্বাস করতে চাই। সরব থাকুন তিনি।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আমিও আশা করি এটা যেন জিকোর বিদায়ী মন্তব্য না হয়। অরূপের অবস্থানটা বুঝি বলেই অরূপকে সরাসরি জবাবদিহী করতে বলতে পারছি। পুরো আলোচনা থেকে শুধু ওই কথাটি টেনে বরে করে আনলে অন্য রকম মানে দাঁড়ায়। তবু অরূপকে বলব এধরনের কথা পূর্ণবিবেচনা করে দেখতে। আর জিকোকে অনুরোধ করব, প্লীজ লেখালেখি চালিয়ে যান।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অরূপ এর ছবি

কাউকে বিদায় করায় কোন সাফল্য নাই, বিশেষত সুমন রহমান কিংবা জিকোর মতো লেখকদের যাদের লেখাগুলোকে সচলায়তনের গর্ব বলে ধরা যায়। মুস্কিল হল অভিসন্ধিটা যখন স্পষ্ট হয়ে যায় তখন শেষ কথাটা বলতে বাধ্য হতে হয়। সচলায়তনে বিশ্বাসই যদি না থাকে, তাহলে কিসের লোভে লটকে থাকা? ভব্যতাকে দুর্বলতা ভাবলে সেটা ক্ষোভের জন্ম দেয়। সবার ভাবা উচিত এখানে আসার উদ্দেশ্য, লেখা না অন্য কিছু। এই সীমারেখাটা মানলে বিবাদের কোন কারন নাই। এই দাবীটা করা কি খুব বেশী হয়ে যায়?

অভব্য মন্তব্য করতে খুব আনন্দ হয় না। সচলায়তন একটা স্বপ্নের ফসল, স্বপ্নের পাছায় লাথি মেরে আমোদিত হলে, চুপ করে থাকা সম্ভব না। এটা পুরানো ব্লগ না যে হাজার হাজার লেখক ধরার ইদুর দৌড়ে যোগ দিতে হবে। পপুলারিটি কনটেস্ট অন্যদের জন্য প্রয়োজনীয় হতে পারে, প্রস্টিটিউশন আমার রাস্তা না..

-----------------------------------
রামছাগলের সামনে, খচ্চরের পেছনে আর নিবোর্ধের ধারেকাছে না থাকাই শ্রেয়!

??? এর ছবি

এইতো... যথাসম্ভব প্রীতিকর উপায়ে যুক্তিসঞ্চার করা যাচ্ছে। হাসি শুনতে যেমন ভাল লাগছে, পাশাপাশি এর অন্তর্নিহিত যুক্তিটাকেও ঠাহর করা যাচ্ছে। "অভব্য" কিংবা ক্রুদ্ধ বিবৃতির আরেকটা সমস্যা হল,ক্রোধটা যুক্তিটাকে ঢেকে ফেলে। ফলে অনেক ভাল যুক্তিও স্রেফ উপস্থাপনের তারতম্যে মাঠে মারা যায়।

অরূপের এই স্বরটাকে স্বাগত জানাই।

প্রথম কথা হচ্ছে, "অভিসন্ধি" খারাপ করলে লাভটা কার, কিংবা কার ক্ষতি? যখন একটা ফোরাম ইন্টারঅ্যাকটিভলি চলমান থাকে, সেখানে কোনো ব্যক্তিবিশেষের "অভিসন্ধি" বিশেষ পাত্তা পাবার কথা না, বিশেষত যে ফোরামে অধিকাংশ সদস্য ইতিবাচকভাবে অংশগ্রহণ করছেন। এমন কোনো নাদান এখানে নাই যাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে সচলায়তন সম্পর্কে একটা খারাপ ধারণায় ঠেলে দেয়া সম্ভব।

ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, সচলায়তনে "বিশ্বাস" রাখার চেয়ে এই ফোরাম সম্পর্কে সদর্থকভাবে ক্রিটিক্যাল থাকা বরং অনেক লাভজনক। ক্রিটিক্যাল থাকার উদ্দেশ্য এই নয় যে, ফোরাম যারা অনেক শ্রমে বানালেন তাদের কন্ট্রিবিউশনকে অবজ্ঞা করা। "অভিসন্ধি" এমন ধরনের হলে সেটা খারাপ। কিন্তু একটা চলমান ফোরামের চরিত্র বা গতিপ্রকৃতি নিয়ে আস্থা, সমর্থন, সংশয় কিংবা অসমর্থন সব ধরনের এক্সপ্রেশনেরই দরকার আছে, এর জঙ্গমতার স্বার্থে। এভাবেই স্বপ্নের ভিত শক্ত হয়, আর ভিত শক্ত থাকলে স্বপ্নের পাছায় লাথি মেরে নিজের পায়ের ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই করা সম্ভব নয়।

দ্রোহী এর ছবি

অতি চমৎকার একটি বিষয় ও অতি চমৎকার সব মন্তব্য পড়লাম এবং ব্যক্তিগত মন্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকলাম।


কি মাঝি? ডরাইলা?

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

কি মাঝি? ডরাইলা?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

সুমন চৌধুরীকে মিস করছি।

একটা নতুন নিয়ম করা যায়। মন্তব্য করার আগে বাক্সে লিখতে হবে কি পান করে এসেছি। ভদকা? হুইস্কি? কেরু?

আমার বিষয়ে জিকোর মন্তব্যের জবাবে বলি, সরল কথাই শেষ-মেষ তত্ত্ব। সব জটিলতা বলতে গেলে অভিসন্দর্ভ লিখে লাইব্রেরিতে তুলে রাখতে হবে। কেউ ধূলা ঝেড়েও দিবে না। সরল করে বললে সেটাই মনে থাকে। আর সরল করে বলতে গেলে কিছু জটিলতাতো বাদ দিতে হয়।
যখন আমরা বলি গাছের কলার ছড়িটা পেকে গেছে। তখন সব কলাগুলো পেকে গেছে মিন করি না। এই যে কলা পেকে গেছে- সরল সিদ্ধান্ত এটাই প্র্যাকটিক্যাল। সব কলা পাকা পর্যন্ত অপেক্ষা করলে বড় বড় কলাগুলোই খাওয়ার অযোগ্য হয়ে যায়।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

অতিথি এর ছবি

এইসব কি? ধর্ম মানলে ভালো মানুষ হওয়া যায়না? সত্যি আজিব ভাবনা। পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই ধর্মে বিশ্বাসি, জিকো সাহেবদের সংখ্যা নেহায়েতই হাতে গোনা। তাহলেকি এই পৃথিবীর সকল শান্তি মহান জিকোগনই রক্ষা করছেন। আর মাহবুব মুর্শেদগন প্রতিমূহুর্তে এই শান্তি বিনস্টের পায়তারা করে চলেছে।

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

অনেক তর্ক-বিতর্ক হইল যাতে অংশ নেই নাই টাইমলি হাজির হইতে না পারায় ... দেরি হয়ে যাওয়ায় পোস্ট কন্টেন্ট বা কমেন্ট নিয়া আর কিছু না বলি ...

খালি একটা জিনিস চোখে লাগছে যেটা নিয়ে কিছু না বলে পারলাম না ...

নজমুল আলবাব লিখেছেন:
ত্রিভূজ কিংবা আস্তমেয়ে টাইপের গাজা পার্টিকে আম্মা একাই সামাল দিতে পারবেন।

যেহেতু ত্রিভুজ বা আস্তমেয়ে এখানে উপস্থিত নাই এবং এখানে তাদেরকে ঢুকতে দেয়ার কোন ইচ্ছাও কারও নাই (এবং আমি মনে করি তারাও এখানে আসতে আগ্রহী হবেন না), তাহলে তাদের নাম উল্লেখ করে কথাবার্তা বলাটা কি অশোভনতার পর্যায়ে পড়ে না? ব্যপারটা তো আমার কাছে নিজ বাড়ির বৈঠকখানায় বসে কূটনামী করার মত মনে হচ্ছে ...

এই কমেন্টটাও আমার কাছে শিষ্টতাসম্মত মনে হয়নি:

আরিফ জেবতিক লিখেছেন:
ত্রিভুজের উপর বসুন্ধরা সিটির কুকুরের হামলাটি নিজের চোখে দেখা।
এ বিষয়ে পিয়াল ভাইয়ের একটা পোস্ট আছে কোথায় যেন।

আমার মনে হয় আমাদের আরেকটু সতর্ক হওয়া উচিৎ এই ব্যপারগুলায় ... সচলায়তনকে যেন কেউ "ঐ দেখ সচলরা অন্যদের ঢুকতে দেয় না, কিন্তু তাদের নিয়ে কূটনামী করে" জাতীয় অভিযোগে অভিযুক্ত করতে না পারে ...

অতিথি এর ছবি

কিংকং/
এ বিষয়ে অলরেডি সামহয়ারে আলাপ হয়ে গেছে। একজন ব্লগার কৌশলে এ পোস্টের রেফারেস্স টেনেছে। সো আপনার শংকিত হওয়ার কিছু নাই।
আলবাব যাদের গাঁজা পাটি বলেছেন, কিংবা জেবতিক যে ঘটনার উল্লেখ করেছেন সেগুলো অবাস্তব নয়, ভিত্তিহীন নয়।
আপনিও সামহয়ারে ছিলেন। সচলায়তনে আপনার নিজের লেখায়ও সামহয়ারের ব্লগিং স্মৃতি তুলেছেম। তাই আপনার বোঝার কথা, সচলে এসে ব্লগিংয়ের নবজীবন লাভ কিংবা নবজাতকযাত্রা কোনো ব্লগারের পক্ষে সম্ভব না। আগের অভিজ্ঞতা, ঘটনা প্রসঙ্গক্রমে চলে আসতেই পারে।
এখানে এগুলোকে কুটনামি বলে আপনি প্রতিক্রিয়া দেখালেন, কই সামহয়্যারের পাহারাদার, জিম্মাদার, চৌকিদাররা যে অহরহ সচলায়তনকে ভেবে ভেবে দূর থেকে স্বমেহন করে যাচ্ছে সেখানে তো আপনার কোনো প্রতিক্রিয়া দেখি না।
সো ব্রাদার, চোখ কান খোলা রেখে একটু ভেবেচিন্তে প্লিজ!

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

আগের অভিজ্ঞতা, ঘটনা প্রসঙ্গক্রমে চলে আসতেই পারে।

হ্যাঁ, আসতে পারে এবং আসাটাই স্বাভাবিক, কিন্তু নাম উল্লেখ না করাটাই বোধহয় ভদ্রতা ... যাইহোক, মানা না মানা যার যার ব্যাক্তিগত ব্যপার ... আমার খারাপ লাগল তাই জানালাম আরকি ... কেউ সচলায়তন নিয়ে বাজে কথা বললে সেটা আমার গায়েও লগবে এইজন্য ...

এখানে এগুলোকে কুটনামি বলে আপনি প্রতিক্রিয়া দেখালেন, কই সামহয়্যারের পাহারাদার, জিম্মাদার, চৌকিদাররা যে অহরহ সচলায়তনকে ভেবে ভেবে দূর থেকে স্বমেহন করে যাচ্ছে সেখানে তো আপনার কোনো প্রতিক্রিয়া দেখি না।

প্রতিক্রিয়া দেখেন না কারণ প্রতিক্রিয়া দেখায়ে লাভ নাই তাই ... সামহোয়ার একসময় কম প্রিয় ছিল না ... কিন্তু এখন আর সেটাকে নিজের বলে ভাবতে পারিনা ... সচলায়তনকে অনেক বেশি নিজের বলে ভাবি বলেই হয়তো সেটার ইমেজ নিয়ে অনেক বেশি কনশাস থাকি, এইটুকু অধিকার তো রাখতেই পারি নাকি?

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

কিংকর্তব্য ভাই ঠিক বলেছেন। উল্লেখিত নিকদ্বয় তাদের কার্যকলাপের দ্বারা যদিও এক একটি টাইপে পরিণত হয়েছেন, আমরা এখানে তাদেরকে টেনে না আনলেই ভালো করবো। তারা যদিও কুৎসা রটনায় ব্যস্ত, আমরা তাদের পথে হাঁটবো না।

ব্যক্তিগত রেষারেষি নয়, গঠনমূলক যুক্তি-পালটাযুক্তিই হোক সচলের প্রাণশক্তি।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

নজমুল আলবাব এর ছবি

অতিথি যেই হোন তার মন্তব্যটা আমার পক্ষে যায় বলেই কিনা জানিনা আমার ভাল লেগেছে। তবে কিংকং এবং বলাইদার প্রতি আমার কোন অশ্রদ্ধা নাই। তাদের বক্তব্য পড়ে সেটারেও আমার ঠিক মনে হয়েছে। কিন্তু শেষ কথা হল ব্লগিংটাতো সেই বাড়ির ধারাবাহিকতায়ই করছি। সে বাড়িতে না যেতে পারি, চরিত্রগুলোকেতো ভুলতে পারিনা।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

কুত্তা লইয়া এতো ভেজালের শানে নুযুল বুঝলাম না। ঘটনা হইলো আমরা দৈনন্দিন জীবনে আসলে কি করি। আসলে সবাই মানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা আধুনিকতার যৌক্তিকতা ব্যবহার করি। সমালোচনাগুলি কার্যত মন্তব্য পর্যায়েই থাকে। কুত্তার গায়ে কোন জীবাণু আছে কিনা ...তাকলে সেগুলা কি সেইটা একান্তই জীববিজ্ঞানের প্রশ্ন। সেই জন্যই টুপি পড়া মানুষও জ্বরজারি হইলে ডাক্তানরখানায় যায়। নাগরিক মানুষ কার্যত অবিশ্বাসী। এইটাই হইলো ধর্ম নিরপেক্ষতার মূল স্পিরিট। খুব খিয়াল কইরা...

.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

বলাই ভাই আমি টুটুল না ... ভুল হইতেছে আপনের হাসি

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

সরি, বস। প্রত্যুদার লগে মিলায়া ফালাইছি। মন খারাপ

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অয়ন এর ছবি

ত্রিভূজ বা আস্তমেয়ে এই নামগুলো এখন ব্রান্ড নেম। কিছু করার নাই।

অচেনা এর ছবি

আমি নিজে ইসলামে বিশ্বাসী। আমার অভিজ্ঞতামতে 'আল্লাহর ইসলাম' অন্যদেরকে ছোট ভাবতে শেখায় না....................
..................
............

আমার কাছে মানুষের জন্য ধর্ম, ধর্মের জন্য মানুষ না।

প্রিয় বলাই বাবুর কাছে এ নিয়া একটা পোস্ট আশা করতেছি। একটু বাতচিত করি এইটা নিয়া।

-------------------------------------------------
আমি ভালবাসি বিজ্ঞান
আমি ঘৃণা করি জামাত॥

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

জীবে দয়া করে যেইজন, সেইজন সেবিছে ঈশ্বর ।
আমার কথা নয়, নোবেল লরিয়েট বলে গেচেন
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।