আমাদের গল্প আর এ সংক্রান্ত বিষণ্নতা

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: বুধ, ২৭/০৪/২০১১ - ৫:১৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মা শৈশবে খুব দুরন্ত ছিল। তার দুরন্তপনার নানান গল্প ছড়িয়ে আছে গ্রামে। নানিজীর মুখে সেসব শুনেছি আমরা। গ্রামের বড়রা গল্প করতো, মা নিজেও বলে। অন্যদের মুখে শোনার চেয়ে মায়ের নিজের বলাটা শুনতে বেশি ভালো লাগে। তার গল্প বলার এমন চমৎকার ভঙ্গি, এমন জমিয়ে গল্প করে, আমরা মন্ত্রমুগ্ধের মতো তার শৈশব গিলতে থাকি। দম ফাটানো হাসি, রুমাঞ্চ কিংবা কান্নার গল্পগুলো। মা খুব বুদ্ধিমান, কোন গল্পটা শুনলে আমাদের মন খারাপ হয়, কোনটা শুনলে মজা পাই এটা বুঝতে পারে। তাই মজাদার সব গল্পই আমাদের বলে।

আমার মা খুব মেধাবী। তার সাথে যারা পড়তো, এই এত্তোবছর পরেও আমাদেরকে দেখলে সেই কবেকার স্কুলের গল্প বলে। মায়ের অসম্ভব মেধার বয়ান শুনি তাদের কাছে। তখনকার বিজাতীয় জাতীয় সংগীত গ্রামের কোন শিশুই ভালো করে শিখতে পারতো না। মা নাকি সেটা মুখস্ত করে ফেলেছিলো। রোজ সকালে পতাকার সামনে দাড়িয়ে সেই গান গাইতো মা, আর তাতে গলা মেলাতো স্কুলের অন্যরা।

নানাবাড়ি আয়তনে বিশাল। বাড়ির এ মাথা থেকে ও মাথা দেখা যায় না। ইচ্ছে করলে নানাজান একটা স্টেডিয়াম বানাতে পারবে। সেই বাড়িতে, মা-মামারা যখন ছোট তখন অনেক গরু ছিলো। হাস-মুরগ ভর্তি ছিলো সে বাড়ীতে। এর মধ্যে মায়ের মালিকানা ছিলো শুধু ছাগলে। মালিকানা দেখানোর জন্য নানান কাণ্ড করতো সে। সকালে হয়তো, বাড়ির কাজের লোক ছাগল মাঠে নিচ্ছে, মা সেখানে হাজির হয়ে বলবে, আজকে অনেক রোদ উঠবে, মাঠে গেলে ছাগলের কষ্ট হবে। এদেরকে আজ বের করা যাবে না। বাড়ির পুরনো লোকটা জানতো কিভাবে মেঝো আম্মাকে বসে আনতে হয়। সে সাথে সাথে নির্দেশ মেনে নিতো। পরে, মা যখন স্কুলে চলে যেতো, তখন কাজটা করে ফেলতো। কিন্তু অন্য যারা ছিলো, বিশেষত নতুন কেউ আসলে প্রথম প্রথম এসব ধরতে পারতো না, তাই সমস্যা পাকিয়ে ফেলতো। যেমন, এক সকালে ছাগল আটকে রাখার ইচ্ছে হলো তার। সেদিন নতুন একজনের দায়িত্ব পড়েছে ছাগল মাঠে নিয়ে যাবার। পুচকে একটা মেয়ের কথা শুনতে সে প্রস্তুত না। তাছাড়া সকাল সাতটায় দুপুরে অনেক রোদ হবে এটা কেমনে বুঝলো এই পুচকা। সে বলে, জিনা মেঝো আম্মা, ছাগলরে বাড়িতে রাখা যাবে না, মাঠে না গেলে এরা ঘাস খেতে পারবে না। তখন গোস্ত কমে যাবে। সাথে সাথে উত্তর, তুমি ছাগলের জন্যে ঘাস কেটে নিয়ে আসো। লোকটা ভাবে এতো মহা মুসিবত, সে বলে, আম্মা, ছাগলতো কাটা ঘাস খায় না। কাটা ঘাসতো গরুর জন্য আনা হয়... কে শুনে কার কথা? নিজেই ঘাস কাটতে চলে যায় আম্মা! এ কথা বলেই আম্মা তার বাম হাতের তর্জনিটা তুলে দেখায়, এই দেখ কাটা আঙ্গুল, সেদিন ঘাস কাটতে গিয়ে এটা কেটেছিলাম!

মায়ের আরো দস্যিপনা ছিলো। সে গাছে গাছে চড়ে বেড়াতো সবসময়। গ্রামের কোন বাড়িতে আম পাকলো, কোন বাড়ির কাঠাল বেশি মিস্টি এটা মায়ের মুখস্ত ছিলো। নানী বলেন, গাছের নিচে কাঠালের বিচি পাওয়া যেতো, কোন ফাঁকে দস্যি মেয়ে গাছে চড়েছে আর কাঠাল সাবাড় করেছে, কেউ টেরই পেতো না।

বর্ষার শুরুতে, হাওরে যখন পানি আসতো তখন সবাই রাতে শিকার করতে বেরুতো। মাছ শিকারে। কেউ হাওরের পাড়ে পাড়ে ঘুরতো চোঙা বাতি হাতে। ছোট ছোট জিয়ল মাছ ধরতো ওরা। মা নাকি প্রায়ই ছোট মামাকে নিয়ে মাছ ধরতে চলে যেতো। মা এসব গল্প বলে হাসতে হাসতে, আর নানী এই গল্পগুলো বলার সময় ভয় ভয় মুখ করে থাকেন। যেনো সেই সময়েই ফিরে গেছেন তিনি।

বাড়িতে আমরা যখন একসাথে বসি, হয়তো খেলা দেখছি, অথবা নাস্তা করছি, গল্পের মাঝখানে এই গল্প ঢুকে যায়। মা তার কিশোরীবেলার গল্প বলেন, আমরা শুনতে থাকি। বাবাও মুগ্ধ হয়ে সেইসব গল্প শুনে। মা বলতেই থাকে, বলতেই থাকে। সেইসব গল্পের সাথে আমরা নিজেদের গল্প মেলাই।

রুমঝুম মাঝে মাঝে বাবার শৈশবের গল্প শুনতে চায়। বাবা কেমন বিব্রত হয় ওতে। বোকার মতো হাসতে থাকে। হাত দিয়ে মাছি তাড়াবার মতো করে বলে, ধুর আমার ওসব মনে নাই, তোদের মায়ের মতো গল্প বলার ক্ষমতাও আমার নাই। আমি বা মা এসময় কথা বলি না। মা হয়তো অন্য কোন গল্প শুরু করে রুমঝুম এর মনোযোগ ফিরিয়ে নেয়। বাবা বিষণ্ন হয়ে বসে থাকে, নয়তো উঠে যায়।

বাবার শৈশবের কোন গল্প নেই। বাবা অনাথ ছিলো। বাবা এতিমখানায় বড় হয়েছে।


মন্তব্য

হাসিব এর ছবি

বহুদ্দিন পরে।

নজমুল আলবাব এর ছবি

হু, লিখতে পারি না।

ধুসর গোধূলি এর ছবি
ধুসর গোধূলি এর ছবি
হিমু এর ছবি

অপূর্ব!

নজমুল আলবাব এর ছবি

ধন্যবাদ

ফ্রুলিক্স.. এর ছবি

খুবই সুন্দর !!

অ.ট: আপনার সাথে দেখা করার ইচ্ছে আছে।
বউকে আপনার কথা জিঞ্জেস করেছিলাম। বল্লো-উনিও আপনার আম্মা হয়। শুনে তো আমি টাসকি খাইছি। (sust এর মাষ্টার)

নজমুল আলবাব এর ছবি

অনেকদিন পর আপনার দেখা পেলাম। কেমন আছেন?

অ. ট. আপনি দেশে আসলেই দেখা হতে পারে। আপনি কি এখন আমার পিতাশ্রী হয়ে যাবেন!!! ‌‍‍কিন্তু 'আম্মা'রেতো চিনতে পারছি না। মন খারাপ

রু (অতিথি)  এর ছবি

খুব ভালো লাগলো। মায়ের থেকে কখন যে বাবার গল্প গেল!

নজমুল আলবাব এর ছবি

ধন্যবাদ

পোয়েট অব এ ডিমাইজ এর ছবি

মধুরতর গল্পকথা!!! চলুক

নজমুল আলবাব এর ছবি

ধন্যবাদ

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

বহুদিন পর...

অপূর্ব...

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

নজমুল আলবাব এর ছবি

ধন্যবাদ

আশফাক এর ছবি

অপূর্ব

নজমুল আলবাব এর ছবি

ধন্যবাদ

সবজান্তা এর ছবি

চমৎকার হাসি

আমি অফিস থেকে ফেরার সময় বাসে বসে মোবাইলে পড়ছিলাম। ট্যাগে গল্প শব্দটা খেয়াল করিনি (নাকি মোবাইলে ট্যাগ আসে না ?), তাই শেষ প্যারার আগ পর্যন্ত পড়ছিলাম আপনার আত্মকাহিনি হিসেবেই। শেষ প্যারায় বুঝতে পারলাম, এটা আপনার লেখা গল্প- আপনার মুখে বলা ঘটনার মতোই সাবলীল। শেষটা খুবই অদ্ভুত, যদিও চমক ছিলো কিন্তু অসাধারণ একটা স্বাভাবিকতা আর সারল্যে চমকটা গল্পের শেষ লাইনে ভরে দিয়েছেন। তাই চমকটা শেষ পর্যন্ত চমকের চেয়েও বেশি মন খারাপেই পরিনত হয়।

তবে আমার ছোট্ট একটা মতামত আছে। শেষ লাইনে "বাবা অনাথ ছিলো" লাইনটুকুকে বাদ দিলে মনে হয় শেষের অংশটুকু আরেকটু টানটান হতে পারতো। তবে এটা একান্তই আমার মত, আর এভাবেও লেখাতেও গল্পের বিশেষ শ্রীহানি হয়েছে বলে মনে হয় না।

আসল কথা হইলো, আরো গল্প লিখেন হাসি

নজমুল আলবাব এর ছবি

একটা গল্প অনেকগুলো গল্প খুলে দেয়, অনেক ভাবনা। সে যার গল্পই তুমি পড়না কেনো। তুমি পড়ছো একটা গল্প, দেখবে ভেতরে আরেকটা গল্প তৈরি হচ্ছে তোমার। আমি অন্তত এই বিষয়টা টের পাই।

একটা লাইন বেশি হলো, হয়তো বেশি। আবার অন্যকেউ আরো ডিটেইল কিছু হয়তো আশা করছে।

ভালো থেকো।

জাহামজেদ এর ছবি

ফেসবুকে লেখাটার লিংক আমার বন্ধুদের কেউ একজন শেয়ার করেছেন। প্রথম তিন লাইন পড়ে মনে হলো, এই লেখা, একই ধরণের লেখা আমি আগেও পড়েছি, লেখার এই নিজস্ব স্টাইল আমার পরিচিত একজনের, সাথে মনে পড়লো অপু ভাই'র কথা। সচলে ঢুকলাম এবং ঢুকেই দেখলাম, আমার ধারণা ঠিক, লেখক অপু ভাই!

কৈশোরে তোমার এমন সব লেখা স্বপনের দোকানে অথবা প্রান্তিকের বারান্দায় বসে অনেক পড়েছি, অনেকদিন পর আবারো মুগ্ধ হলাম।

অসাধারণ...

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

নজমুল আলবাব এর ছবি

ধন্যবাদ জাকির।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

গিয়ার আপ করছেন, খুব ভাল লাগল। আরো বেশি ভাল লাগল এই গল্পটা।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

নজমুল আলবাব এর ছবি

গিয়ার আপ? এখনও ঠিক বুঝতে পারছি না। দেখা যাক

তাসনীম এর ছবি

অপূর্ব লাগল।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

নজমুল আলবাব এর ছবি

ধন্যবাদ

খেকশিয়াল এর ছবি

গুরু গুরু

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

নজমুল আলবাব এর ছবি
আসমা খান, অটোয়া। এর ছবি

গল্পটা ভালো লাগলো।

নজমুল আলবাব এর ছবি

ধন্যবাদ।

আচ্ছা, আপনি অটোয়াতে থাকেন? নাকি এটাই আপনার নাম।

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি

অসাধারন।

নজমুল আলবাব এর ছবি

ধন্যবাদ

আয়নামতি1 এর ছবি

এত সহজসরল লেখাটায় এত অসাধারণ চমক! অদ্ভুত ভালো লাগলো গুরু গুরু

নজমুল আলবাব এর ছবি

ধন্যবাদ

নীড় সন্ধানী এর ছবি

সবার মতো আমিও ধরে নিচ্ছিলাম যে এটা আত্মজীবনী। শেষ লাইনে দুর্দান্ত চমক!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

নজমুল আলবাব এর ছবি

প্রথমেই গল্পের ট্যাগ লাগিয়েছিতো। ধন্যবাদ

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

অপার বিষ্ময়! অদ্ভুত!!

নজমুল আলবাব এর ছবি

তারপর?

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

তারপর সেই একই চক্কর...

তিথীডোর এর ছবি

গুরু গুরু গুরু গুরু

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নজমুল আলবাব এর ছবি
নিলয় নন্দী এর ছবি

শেষ লাইনে গিয়ে ভ্যাবাচ্যাকা খাইলাম। ফিরে গিয়ে জানলাম এটা গল্প।
আপনার এলেম আছে, নইলে ধরা যায়, ছোঁয়া যায়- এমন জীবন্ত গল্প লেখেন কীভাবে।

নজমুল আলবাব এর ছবি

এলেম নাই দাদা, গল্প আছে।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

তাহলে এত কম লেখেন কেন? মন খারাপ

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

এত চমৎকার যিনি লেখেন, আর যাঁর বলবার গল্প আছে, তিনি এত কম লিখলে ক্যাম্নে কী!

অসাধারণ লেগেছে। গুরু গুরু

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

নজমুল আলবাব এর ছবি

চিন্তিত

ধন্যবাদ।

কৌস্তুভ এর ছবি

কী চমৎকার!

নজমুল আলবাব এর ছবি

ধন্যবাদ

অদ্রোহ এর ছবি

গল্প ট্যাগ না লাগালে খুব স্বাভাবিকভাবে আমারও আত্মজীবনী বলে ভ্রম হত। আর না বললেও চলে বোধহয়, গল্প লাজওয়াব হয়েছে।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

নজমুল আলবাব এর ছবি

গল্পতো আত্মজিবনীর বাইরের কিছু না।

ফ্রুলিক্স.. এর ছবি

গ্রাম অনেক মজার। অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত গ্রামেই ছিলাম। এখনো গ্রামের দস্যিপনা, মেঠো পথগুলো খুব বেশী টানে। আমার ছিলো হাস,মুরগের প্রতি ভালোবাসা। হাসের বাচ্চাগুলোকে নিয়ে ঘুমাতাম পর্যন্ত।

দেশে এসেছিলাম। এখন আসার ছুটি+টাকা নাই।
ইচ্ছে থাকা সত্বেও দেখা হয়নি। অথচ ছিলাম আপনার বাড়ির পাশেই।
সুরমা আ/এ তে বাসা, শশুর বাড়ি মদীনা মার্কেট, আপনি তো শাহজালাল ইউনির কাছাকাছি থাকেন।

হয়তো একদিন দেখা হয়ে যাবে।

নজমুল আলবাব এর ছবি

ওহহো গ্রেট মিস। আবার আসবেন আশা করি, দেখা হয়ে যাবে।

সাত্যকি. এর ছবি

অদ্ভুত সুন্দর। মন খারাপ করা সুন্দর।

নজমুল আলবাব এর ছবি

ধন্যবাদ

ওডিন এর ছবি

ইশ!

এইবার মনে হলো কতদিন পড়ে আপনার লেখা পড়লাম হাসি

নজমুল আলবাব এর ছবি

ক্যান? রেগুলার পড়েন না ক্যান? রোজ একবার আমার ব্লগে আসলে কি হয়? ওঁয়া ওঁয়া

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

কী সুন্দর!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

নজমুল আলবাব এর ছবি

ধন্যবাদ

নাম_প্রকাশে_অনিচ্ছুক এর ছবি

অসাধারন! গল্প পড়তে পড়তে আমার আম্মুর ছোট বেলার সত্যিকারের ঘটনা গুলো মনে পরে গেল। ইশ্ আমি যদি আপনার মত লিখতে পারতাম তবে সব গুলো ঘটনা লিখে রাখতাম! যখন ইলেক্ট্রিসিটি চলে যেত তখন ছাঁদে পাটিতে বসে শুরু হত আম্মুর গল্প বলা। কতবার করে শোনা সেই সব গল্প; মনে হয় আমি বুঝি নিজে দেখেছি সে সব ঘটনা!

নজমুল আলবাব এর ছবি

ধন্যবাদ

সেই পাটিতে বসে শোনা কথাইতো আমি লিখলাম। আপনিও লিখুন।

অমিত এর ছবি

গুরু গুরু

নজমুল আলবাব এর ছবি
নজমুল আলবাব এর ছবি

এখনও তুমি পোভারে খোঁজ!!! লানত্

আরিফ জেবতিক এর ছবি

ফিনিশিংটা পছন্দ হয় নাই।
মানে টুইস্টের আগ পর্যন্ত গল্পটা ভালো লাগছিল, টুইস্টটা বরং বেশ ম্যাড়ম্যাড়ে লাগল।
গল্পের নামটা দূর্দান্ত হয়েছে।

নজমুল আলবাব এর ছবি

তাহলেতো সমস্যা হয়ে গেলো।

আমার পয়েন্ট থেকেতো গল্পটা শেষ লাইনে। তুমি সেটাকে ভুল বলছো? নাকি বাক ফেরাটাতে সমস্যা?
চিন্তায় ফেলে দিলে।

রানা মেহের এর ছবি

কী সুন্দর লিখেছিস রে অপু।
বাবাটার জন‌্য কী মায়া লাগলো

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

নজমুল আলবাব এর ছবি

হু, বাবাটার জন্য আমারও মায়া লাগছে।

সজল এর ছবি

গল্পটা ভালো লেগেছে অনেক।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

নজমুল আলবাব এর ছবি

ধন্যবাদ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

দারুণ
এতদিন এটা পড়ি নাই ক্যান?

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

রাজিব মোস্তাফিজ এর ছবি

দারুণ গল্প অপু ভাই । আপনার গল্পের শেষের চমকগুলো দুর্দান্ত লাগে ! কবে যে আপনাদের মত লিখতে পারব ?

----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!

নজমুল আলবাব এর ছবি

নজরুল ভাই এবং রাজিব ভাইকে অনেক ধন্যবাদ

রেহমান জিয়া এর ছবি

গল্পটা চমৎকার হয়েছে। লেখক, আপনাকে ধন্যবাদ।

guest_writer এর ছবি

কি চমৎকার দেখা গেল। শুরুতে মনে হয়েছিল, আপনার নিজের জীবনেরই গল্প। শেষের লাইনটা পড়ে বোকা বনে গেলাম।

মন্তব্য : পৌঢ়ভাবনা

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।