পুলিশ তাদের গাড়ি থেকে একটা কিশোর অথবা তরুণকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো, চিৎকার করে বল্ল এরে মেরে পিটাও, এ হলো ডাকাত। বীর বাংগালের সকল বীরত্ব জেগে উঠলো, সে পিটাতে শুরু করলো, যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঝাপিয়ে পড়লো, পেটাতে পেটাতে যখন বুঝলো কাজ শেষ, তখন ক্ষান্ত দিলো। পুলিশ সেই লাশ উঠিয়ে নিয়ে চলে গেলো। কি অসাধারণ দৃশ্য। টিভিতে এটি দেখানো হয়েছে, পত্রিকার অনলাই এডিশনে ভিডিও ক্লিপটি জুড়ে দেয়া হয়েছে। এবং এজন্য দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে এক দারোগা আর দুই সিপাহীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মাশাল্লাহ।
আচ্ছা, পুলিশ কোন দায়িত্বটা পালনে অবহেলা দেখালো? তারা একজনকে ধরেছে, তারা জনগনের বন্ধু, সেই হিসাবে জনগন বা ‘গণ’রাও তাদের বন্ধু। সেই বন্ধুরা তাদের বন্ধুদের কাছে অপরাধীকে তুলে দিয়েছে, তারপর বলেছে, এ একটা ডাকাত, এরে ধোলাই দে, গণধোলাই হয়েছে, ডাকাতটা মরে গেছে। এখানে দায়িত্বের অবহেলাটা কোন যায়গায় আসলো? পুলিশের কাজ কি এটা না? আমরাতো ইদানিং এটাই দেখে আসছি। ওহ, তাহলে এটা ভুল। পুলিশের কাজটা তাহলে কি? আসামীকে ধরে থানায় নিয়ে যাওয়া, তাকে বিচারের মুখোমুখি করা?
পুলিশ এই কাজটা করছে না এখন। অনেক দিন ধরেই আমাদের রক্ষাকারী বাহীনীগুলো ডাইরেক্ট এ্যাকশনের তরিকা বেশি পছন্দ করছে। সেই মতোই তারা চলে, ক্রস ফায়ার টায়ার হয়, লোকজন মরে, এইতো চলছে। এবং সেটা হয় রাতের আধারে। যখন সরকারের লোকজন থাকে অন্ধ, তারা সামনে কি ছিলো সেটা দেখেনা, শুধু দেখে অন্ধকার ফুড়ে লাল লাল আগুনের ফুলকি আসছে, সাথে শব্দ, তারা বুঝতে পারে এটা গুলি, তারা তখন জান বাচাতে নিজেরা গুলি ছুড়তে থাকে, আর এই ফাকে সাথে থাকা ‘ডাকাত’ মরে যায়। অতি সহজ হিসাব। ইদানিং বিষয়টাতে গণসম্পৃক্ততা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। সেই চেষ্টার অংশ হিসাবেই গণপিটুনির খবর পাচ্ছি আমরা। এই যদি হয় নিয়ম তাহলেতো পুলিশ ঠিক কাজটাই করেছে, তারা একটি সফল গণপিটুনির আয়োজন করেছে এবং মানুষটাকে সফলতার সাথে লাশ বানিয়েছে। তাহলে দায়িত্বে অবহেলা করলো কোথায়?
তাহলে ঘটনাটা কি? সাদা চোখেতো এটা একটা খুন। একটা বাজারে, প্রকাশ্যে একজন মানুষকে পুলিশ মানুষের হাতে তুলে দিয়ে বল্ল, একে মেরে ফেলো, মানুষ সেটাই করলো। তারপর পুলিশ লাশটা তুলে নিয়ে চলে গেলো। খুন ছাড়া এটা আর কি হতে পারে? এবং এর প্রমাণ মানুষের হাতে হাতে থাকা মোবাইলে ছড়িয়ে আছে। ইন্টারনেটে আছে, টেলিভিশন সেটা বারবার দেখাচ্ছে, দেশের পথপ্রদর্শক পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে আছে তবু দায়িত্বে অবহেলার কথা বলছে কেনো প্রশাসন? কেনো মহামান্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছে দোষিদের খুজে বের করে সাজা দেয়া হবে? এখানেতো বিষয়টা স্পষ্ট। হয় খুন না হয় পুলিশ ঠিক কাজটা করেছে। যদি তারা ঠিক কাজ করে তাহলে রাস্ট্র তাকে পুরস্কার দিক। আর যদি এটা খুন হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট পুলিশকে খুনের দায়ে গ্রেফতার করা হোক।
অবশ্য, রাতের আধারে আসামীকে নিয়া থানায় ফিরিবার পথে, অথবা আসামীকে নিয়া অস্ত্র উদ্ধারে গেলে, পথিমধ্যে বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের গাড়ি আক্রমণ করিয়া আসামীকে ছিনাইয়া নিয়া গণপিটুনি দিয়া হত্যা করে। পুলিশ তখন নিজের জান বাচানো ফরজ মনে করে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে, পরে দিনের আলো ফুটিয়া উঠিলে ঘটনাস্থলে গিয়া একটি লাশ উদ্ধার করে… এমন কিছু যদি থেকে থাকে গণপিটুনির ফর্মুলাতে, তাহলে আমাদের কিছু বলার নাই। সংশ্লিষ্ট পুলিশ অতি অবশ্য দায়িত্বে চরম অবহেলা দেখিয়েছে। দিনের বেলায় কাজটা করা তাদের উচিত হয়নি। তাদের সাজা হওয়া উচিত। কঠিন সাজা।
ফুটনোট ১: মিলন নামের যে ছেলেটারে পিটায়া মেরে ফেলা হলো, তার মোবাইল ফোন আর পকেটে থাকা দশ হাজার টাকার মালিক এখন কে? তার মা না রাষ্ট্র?
ফুটনোট ২: নোয়াখালীর পুলিশ সুপার বলেছেন, মিলন সত্যি সত্যি অপরাধী কি না, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সে যদি সত্যি সত্যি অপরাধী হয় তাহলে কি হবে? পিটায়া মেরে ফেলাটা হালাল হয়ে যাবে?
মন্তব্য
যতদিন অপরাধী হলেই তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলা যায় না এই সভ্য বোধটা মানুষের মনে না আসবে তত দিন এমনটাই ঘটতে থাকবে। যারা এই ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছে, তাদের অনেকেই আবার যদি নিহত মিলন সত্যি সত্যি ডাকাত হতো, তাহলে ব্যাপারটাকে সমর্থন করতো। ভার্সিটির হলগুলোতে মোবাইল চোর ধরা পড়লে গণপিটুনি দেয়া থেকে শুরু করে র্যাবের ক্রসফায়ারের জনপ্রিয়তা সবকিছুতেই একটা ব্যাপার পরিস্কার, অপরাধী হলে তাকে মেরে ফেলা জায়েজ। সেটা যদি জায়েজ হয়, তাহলে দশজন ক্রিমিনাল মারা যাওয়ার সাথে দুই/তিন জন্য নিরপরাধ ব্যাক্তিও মারা যাবে সেটাও মেনে নিতে হবে। দেশের জনগণই যদি মধ্যযুগে পড়ে থাকে, পুলিশকে আর দোষ দিয়ে লাভ কী, তারা তো আর অন্য কোন দেশ থেকে আসে না, তারা আমাদের মাঝ থেকেই আসে।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
,
ভাই সকালে নেট খুলেই দেখি এই খবর...প্রথম কয়েক লাইন পড়ে আর শেষ করতে পারিনি....ফেইসবুকে কেউ কেউ ইউটিউব ভিড্যুর লিংক দিছে...দেখার সাহস করে উঠতে পারি নাই.....।অক্ষমক্রোধে মনে হচ্ছে কিছু একটা করে ফেলি.....কয়েকদিন আগে ৬ ছাত্রকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হলো...গতকাল এক কিশোরকে...।
কিছুদিন আগে ফেসবুকে এক ভিড্যু দেখেছিলাম...পাকিস্তানি রেন্জার'রা এক ২০/২১ বছরের ছেলেকে ক্যামেরা সামনে গুলি করে মেরে ফেললো। দেখে শকড হয়েছিলাম, খারাপ লেগেছিলো কিন্তু মনের কোনায় একটা পৈচাশিক আত্মপ্রসাদ ছিলো, যাক আমরা অন্ত:ত ওদের মতো বর্বর না।
এই ঘটনা'র পর আমি নিশ্চিত আমাদের মতো বর্বর জাতি দুনিয়াতে নাই।আন্দ্রেই ব্রেইভিকের বর্বরতাও এ ঘটনার কাছে হার মানবে।একজন ব্যাক্তি বর্বর উন্মাদ হয়, এক দংগল মানুষ এত্তো বর্বর কিভাবে হয়!
ভাইরে আমার আবস্থা সেম সেম , কোন দিন জানি আমারে নিয়া মানুষ পোস্ট লিখবে , এম্ন লাগতাসে ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটা ব্যবসা শুরু করতে পারে। ব্যোমকেশের এটা গল্পে এই ব্যবসার আইডিয়াটা ছিল। বিজ্ঞাপনের ড্রাফট দিলাম।
###
আপনি কি পথের কাঁটা দূর করতে চান? তবে বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আজই যোগাযোগ করুন।
আমাদেরই আছে পুলিশ, ড়্যাব, ছাত্রলীগ, বিডিআরের মতো নির্ভরযোগ্য বাহিনী। অত্যন্ত সুলভমূল্যে আপনার পথের কাটা নিশ্চয়তার সাথে আমরা দূর করি। এই সংক্রান্ত প্রেসনোট আমরাই সরবরাহ করি এবং সেই সঙ্গে আপনার পথের কাঁটার বিরুদ্ধে পুরানো তারিখে আমরাই মামলা রুজু করে দেই।
পথের কাঁটা দূর করার জন্য একমাত্র ওয়ানস্টপ সার্ভিস...বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
!!!ঈদ উপলক্ষ্যে বিশেষ মূল্য ছাড়!!!
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অনুমতি দিলে মন্তব্যটা শেয়ার করতাম।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ভূল যায়গায় পড়ে যাওয়ায়
ঘ্যাচাং------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
মালিক যদি তার করণীয় না জানে তো চাকর তো তাকে ব্যাবহার করবেই এবং মালিক যে নালায়েক তা বোঝাতে সচেষ্ট থাকবেই। বরখাস্ত?? কার ...... কে মারে ধূয়ায় অন্ধকার...
কি হচ্ছে এই সব ? তার পরেও কারোর কোন বিকার নেই।
এমন পৈশাচিক ঘটনা ঘটে যে আজকাল কোন মন্তব্য করতে পারি না, কেবলি গালি আসে................গণপিটুনি দেবার অধিকার শূয়রের বাচ্চারা কোথায় পায়!!! ভিডিও ফুটেজ দেখে প্রত্যেকটারে বিচারের আওতায় আনা উচিৎ, সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া উচিৎ দৃষ্টান্ত হিসাবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়ার বিন্দুমাত্র সাহস না পায়!!!
গণপিটুনির বিরুদ্ধে জোড় প্রচারণা চালানো উচিৎ, সুস্পষ্টভাবে গণপিটুনিকে না বলুন।
_____________________
Give Her Freedom!
১০০ % একমত , স্বাভাবিক কোন মানুষ ১টা অচেনা ছেলে কে ইট দিয়ে মাথা থেতলে দিতে পারে না । ওর ভিতর খুনির বসবাস , যারা অংশ নিছে প্রত্যেকের কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত । কিন্তু কিচ্ছু হবে না , কিচ্ছু না ।
পিটিয়ে মারতে এত আনন্দ? ছোটবেলা থেকেই দেখছি বিভিন্ন সময়ে - "বেড়ালটা খুব সুন্দর, ওটাকে পিটিয়ে মার", "ডলফিন পারে উঠে এসেছে, আগে ওটাকে পিটিয়ে মার", "ঝড়ে ডানা ভেঙে চিল গাছ থেকে পড়ে গেছে, আগে ওটাকে পিটিয়ে মার" - শেষ পর্যন্ত যে এটা "আরে এটা একটা মানুষ, আগে এটাকে পিটিয়ে মার" এ এসে ঠেকেছে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
হুম, এই তো সেদিন, ছোট্ট একটা বেড়ালের বাচ্চা দেয়ালের উপর দিয়ে যাচ্ছিল। ওর মা'টা যে তখন কোথায় ছিল কে জানে? তখন পাড়ার এক ছেলে (৯-১০ বছর বয়স) বাচ্চাটাকে ধরে সোজা পানির মধ্যে ফেলে দিল। কেন ফেলে দিল কে জানে? আমার মা বারান্দা থেকে হৈ হৈ করে উঠল দৃশ্যটা দেখে। শব্দ শুনে আমিও দৌড়ে যাই দেখতে। বেড়ালের বাচ্চাটা অনেক চেষ্টা করল পানি থেকে উঠে বাঁচার। আমরা ঐ ছেলেটাকে বকা দিচ্ছিলাম। বলছিলাম, এখনো যদি তুই ঐ বেড়ালের বাচ্চাটাকে পানি থেকে উঠাস, তবে সেটা বেঁচে যাবে। কী নির্দয় ছেলেটা! দেয়ালের উপরে চুপচাপ বসে বসে দেখল বেড়ালটার বাঁচার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা। তবু হাত বাড়িয়ে ওটাকে উঠাল না। ছোট্ট বেড়ালের বাচ্চাটা কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা গেল পানিতে ডূবে যেয়ে।
এই তো আমাদের শিশু। এভাবেই তো ওরা বেড়ে উঠছে। বেড়ালে বাচ্চা, কুকুরের বাচ্চা পেলেই হল। সারাদিন ওটাকে মেরে মেরে, ইট ছুঁড়ে ত্যক্ত বিরক্ত করাটাই ওদের একটা মজার খেলা।
@রাজকন্যা,
আপনি তো তৎক্ষনাত ঐ জায়গায় গিয়েছিলেন, ছেলেটাকে বকাবকি করেছেন, বিড়ালটাকে তুলতে বলেছেন। কিন্তু আপনি যখন দেখলেন ছেলেটা বিড়ালটাকে বাচালোর কোন চেষ্টাই করছে না, আপনি কেন বাচালেন না? পানি না নোংড়া ছিলা নাকি আপনার দায়িত্ব শুধু ছেলেটাকে বকাবকির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল?
আসলে আমরা সবাই একরমক। মন্তব্য, সমালোচনা করে খুবই আত্মতৃপ্তি লাভ করতে চাই। কাজ করতে চাই না।
জানতাম, এ ধরনের একটা মন্তব্য শুনতে হবে। আমরা ছিলাম বারান্দাতে। আর বারান্দা থেকে নিচে নেমে, এত আবর্জনা পেরিয়ে ঐ দেয়াল পর্যন্ত যাওয়া, তার উপরে উঠা, এবং সেই নোংরা পানির গভীর পর্যন্ত যাওয়া আমার বা আমার মা কারো পক্ষেই সম্ভব ছিল না। তাই ছেলেটাকে বকাবকির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে হয়েছে। এমন ঘটনা তো আপনার আমার সবার সামনেই ঘটে। আমি অকাজের বলে বকাবকির মধ্যেই থাকলাম। আরে, আমার মত কিছু মানুষ আছে ছিল বলেই তো আপনি ঐ মন্তব্যটি করতে পেরেছেন! কিন্তু আপনার মত অনেক মানুষ রয়েছে, যারা আমার মত কথা নয় কাজে বিশ্বাসী।
তার মানে আমার ধারণাই ঠিক, আবর্জনা আর নোংড়া পানিই ঐ দিন আপনাকে একটি জীব হত্যা দেখতে বাধ্য করেছিল।
যাই হোক, আমি খুব দুর্বল মনের মানুষ, এই রকম বিভৎস কোন কিছু দেখতে পারি না, মিলন হত্যার ভিডিওর অনেক লিংক ফেইসবুকে দেখেছি, কিন্তু ভিডিওটা দেখার সাহস পাই নাই। মনে আছে, একবার এক টোকাই ছেলেকে রাগ করে থাপ্পর মেরিছিলাম, পরে ঐ ছেলেকে খোজে বের করে মাফ চেয়েছি।
========
আমি জানি না
দেশের আইন-শৃঙ্খলা আর সামাজিক অবক্ষয়ের সীমা কোন জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে?
"আমাদের জীবন নিরাপদ নয়"
পুলিশ এই ঘটনা ঘটালো আর পুলিশকে নিয়ন্ত্রণকারী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় এর সাফাই গাইলো।
রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় মানুষ হত্যা প্রক্রিয়া.....???
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
পুলিশ বললো আর সবাই উল্লাস সহকারে একটা মানুষকে মেরে ফেললো? পুলিশ দুজনকে সনাক্ত করে বরখাস্ত হয়েছে.. প্রত্যক্ষ খুনীদের কি হলো? কেউ কি তাদের সনাক্ত করেছে? তাদের শাস্তি হবে কি?
আমার ব্যক্তিগত মতামত এই মব মেন্টালিটির পেছনে রাজনীতির বড় অবদান আছে.. কিছু হলেই গাড়ি পোড়াও, দোকান ভাঙো ছিলো এতদিন.. এবার মানুষ মারো হলো.. এর পর কি বাকি থাকে তাহলে?
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
সত্যি কথা বলতে কি, আমরা কুত্তার বাচ্চা থেকেও অধম হয়ে গেছি, তা না হলে উপস্থিত একটা মানুষের বিবেক একটুও কাঁপল না।
আমরা পুরো জাতিটিই ধর্ষকামী, বিকারগ্রস্থ, অমানবিক, অসুস্থ। পশ্চিমে এরকম একটি ঘটনা ঘটলে সরকার পতন হয়ে যেতো। অন্তত সরকার পতন না হলেও দু'চারটি মন্ত্রী, পাঁচ-দশটি পুলিশপ্রধানকে গদি ছাড়তে হতো। কিন্তু আমাদের দেশে কিছুই হবে না। মিলন মরে গেছে তাতে কার কি?
লন্ডনের পুলিশের হেফাজতে এক ব্যক্তির মৃত্যুতে গোটা লন্ডন শহরের কি অবস্থা হচ্ছে এটাই আপনার কথার প্রমান।
সরকার সমস্ত বিচারের দায়িত্ব পুলিশ আর RAB কে ই দিয়ে দিয়েছে। আদালত এর কোন দরকার নাই। সব বিচার police আর RAB ইচ্ছা আনুযায়ি হবে।
আমাদের সরকার বাহাদুর "সংবিধান, সংবিধান.." বলে মুখে ফেনা তোলেন। সংবিধান অবমাননার দায়ে হাইকোর্টে যেতে হয় অথচ এ ধরণের হত্যার ঘটনায় সরকার নির্বিকারই প্রায়। অথচ সংবিধানে জীবন-যাপনের অধিকারের কথা বলা আছে। এছাড়াও প্রত্যেকের বিচার চাওয়ার এবং পাওয়ার অধিকারের কথা সংবিধানে বিবৃত থাকলেও পুলিশ তা থোড়াই কেয়ার করে।
জনতার হাতে পিটিয়ে মারার জন্য তোলে দেওয়াতে কি সংবিধান ডাস্টবিনে ছুড়ে দেওয়া হয় না?
এম আব্দুল্লাহ
বিচারপতির চোখ আজ দুর্নীতির কালো কাপড়ে বাঁধা। তাই আমরা সাধারণ জনগণ বিচারের ভার নিজেরাই হাতে তুলে নিই। আমরা শুধু অপরের অপরাধটাই দেখি নিজের অন্যায়টা ভেবে দেখিনা। একটি দেশে প্রশাসন যদি ব্যর্থ হয় তাহলে মাত্সান্যায় শুরু হবে এটাই স্বাভাবিক। অদূর ভবিষ্যতে আরো অনাচার দেখতে হবে। তবে এভাবে বেশি দিন চলতে পারে না। সুদিন অবশ্যই আসবে।
আর এদিকে মা সাহারা খাতুন তার জবান মোবারক খুলে বলেছেন, "আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী"। ছাত্রলীগের পাণ্ডারা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কুড়ি জন শিক্ষককে আহত করেছে- এটা অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভালোর উদাহরণ। কিছুদিন আগে ছয়জন তরুণকে গ্রামবাসী পিটিয়ে মেরে ফেললো, এটাও সেই ভালোরই লক্ষণ। পুলিশ রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াকে বেধড়ক পিটুনি দিলো, অবশ্যই ভালো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে! আর এবার মিলনকে পুলিশ নিজের হাতে পাবলিকের কাছে ছেড়ে দিয়ে 'মেরে ফেলতে' বললো, এটা তো অতি অবশ্যই উত্তম আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
আমি বুঝতে পারি না, মানব জাতির সবচেয়ে অথর্ব উপাদানগুলোকেই কেনো আমাদের স্বরাস্ট্রমন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে বসানো হয়! সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষের কি এতোই অভাব আমাদের সরকার গঠনকারী দলগুলোতে!
মিলনের হত্যার ঘটনার পুরো ব্যাপারটারই তো ভিডিও প্রমাণ আছে। সুতরাং, হত্যাকারীদের যথাযথ এবং প্রচলিত শাস্তি বিধানে অন্তরায়টা কোথায়! স্বাভাবিক বিচার এভাবে বাধাগ্রস্ত হতে থাকলে যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মা সাহারা খাতুন তাঁর আরেক অথর্ব 'প্রতি' এবং পুরো বাহিনী নিয়েও সামাল দিতে পারবেন না, সেইটা কি উনি বুঝেন আদৌ?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
টিআইবি'র রিপোর্টে যখন দেখা গেলো বাংলাদেশে সবচে বেশি দুর্নিতী করে পুলিশ, তখন এক ইস্মার্ট পুলিশ অফিসার অনেক চ্যাটাং চ্যাটাং কথা বলছিলো। আমাদের সাম্বাদিকের আপিসাররা তার একটা ইন্টারভ্যু করে না কেনো এখন? সে কি বলে সেইটা শুনতে মঞ্চায়।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
পুলিশ এর লোকজন চ্যাটাং চ্যাটাং করে কথা বলতেই পারে, তারা হচ্ছে সরকারের পোষা গুন্ডা, র্যাবও যা ইচ্ছে তাই করতে পারে, কারন তারা হচ্ছে সরকারের লাইসেন্সধারী খুনী। কিচ্ছু হবেনা দেখবেন, মিলন এর হত্যার দায়ভার কয়েকজন পুলিশের উপর দিলেও এদের আলটিমেট কোন বিচার হবেনা, সময় নিতে নিতে একদিন সব ধামাচাপা দেয়া হবে - এমনভাবেই সব সাজানো হচ্ছে।
আব্দুল কাদেরকে নিয়ে যখন সারাদেশ জুড়ে তোলপাড় তখন মোহাম্মাদপুর থানা পুলিশ কাদের এর বিরুদ্ধে নতুন মামলা করেছে। এদের সাহস দেখলে অবাক লাগে।
একটা ভাঙচুর না হইলে আর হবেনা!
দিনে দিনে সভ্যতা উন্নত থেকে উন্নততর হবে, এটাইতো স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। বর্তমান পৃথিবীতে হচ্ছেটা কি? ২০-৩০ বছর আগেও একথা কল্পনা করা যেতনা যে জনগন কোন ব্যাক্তিকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে মেরে ফেলবে। আর মিলনের ব্যাপারে সেটা হল, পুলিশের সহযোগিতায়। সত্যিই নজমুল আলবাব বিচিত্র এই দেশ। ভবিষ্যৎ ভাবতে ভয় হচ্ছে। মন্তব্য লিখেছি : প্রৌঢ়ভাবনা
সেটাই তো! পুলিশ কী দোষ করলো? শুধু শুধু তাদের বরখাস্ত করে কী লাভ!
ঘটনা সত্য। পুলিশ আবার কী করলো?
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকায় এখন বাংলাদেশের পুলিশ।
সামাজিক ভাবেই এদের বয়কট করার সময় এসেছে।
...........................
Every Picture Tells a Story
এই নিয়ে ভেবে ভেবে বলে বলে বিরক্তি ধরে গেল। কারোরই কিসসু হবেনা। না ঐ পুলিশগুলোর না রাষ্টের না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রির গদির।
শুধু মিলনের মা-ই সারাজীবন কেঁদে যাবে তার ডাকাত!!!!!! ছেলেটার জন্য।
কষ্ট পেলাম, ভিডিও টা দেখার সাহস হলনা। ... উদাস
নিষ্ঠুরতা আমাদের 'মানবিক' অধিকার। মানুষ ছাড়া আর কোন প্রাণী বিনা কারণে অন্য প্রাণীর উপর অত্যাচার করে আনন্দ পায় বলে জানি না।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
খুলনার পিটিআই মোড়ে আলোচিত সুজা হত্যাকাণ্ডের পর সাব ইন্সপেক্টর (টাইগার) রশীদ দম্ভভরে জনসমক্ষে মন্তব্য করেছিলো-
যে ছাত্র হত্যাকাণ্ড নিয়ে সর্বপ্রথম দেশ প্রতিবাদে মুখর হয়েছিলো, ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন ডিবি পুলিশের হাতে নিহত সেই ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র রুবেলের হত্যায় অভিযুক্ত এসি আকরাম সহ ১৩ জন আসামীকে হাইকোর্ট খালাস দিয়েছে। আফটার অল আনিসুল হক সাহেব এদের আইনজীবি। বাংলাদেশের কোন বিচারপতির কোচ্ছে কতো বড়ো ধোন যে আনিসুল হকের মক্কেলের বিরুদ্ধে রায় দেয়! ধন্য আনিসুল হক সাহেব। এইসব মামলা না করলে যেনো আপনি ভাতে মারা পড়তেন। ধন্য আনিসুল হক সাহেব, আপনার চরণধুলি মাথায় রাখি।
বাংলাদেশে কোনওদিন পুলিশের কিছু হয়না, যতো বড়ো অপকর্মই তারা করুক না কেনো যদি না তারা কোনও রাজনৈতিক বাঁটে পড়ে। তা'ও সে বাঁটে পড়া সাময়িক। পুলিশ সাময়িক বরখাস্ত হলে সবথেকে খুশি হয়। ডিউটি করা লাগেনা, পার্টটাইম চাকরী-ব্যবসা করা যায়, দালালি করা যায়। আবার যখন পরে এসে চাকরী ফেরত পাওয়া যায়, তখন বিশাল অংকের এরিয়ার বেতন-ভাতা-ডিউ প্রোমোশন, সব মিলিয়ে বিরাট প্রাপ্তি।
ডিএফআইডির শতকোটি টাকার পুলিশ রিফর্ম প্রকল্পের কি আউটপুট তা জনগণকে জানানো হয়না। কিছু অবসরপ্রাপ্ত আইজি-ডিআইজিদের মাসিক ২০০,০০০ টাকা প্লাস বেতনে পুনর্বাসন ছাড়া আর কি হয়। কিছু চাকরীরত পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রেষণে এনে মোটা টাকার বেতন দেওয়া ছাড়া কি কাজ তারা করছেন তা কিন্তু অপ্রকাশিত। অনেক বিতর্কের পর কিছু মূখ্য টেকনিক্যাল পদে বিদেশী বিশেষজ্ঞ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেও সেখানে বাংলাদেশের পুলিশ এবং ব্যুরোক্র্যাসি থেকে তার ব্যাপক বিরোধিতা হয়েছে।
এখন শোনেন গণপিটুনিতে মানুষ মারায় পুলিশের এতো আগ্রহ কেনো-
১. স্বহস্তে নরহত্যার দায় থেকে মুক্ত থাকা (পারলৌকিক বিবেচনায়)।
২. একজনকে গ্রেপ্তার করে পিটালে শুধু তার পরিবার থেকে পয়সা খাওয়া যায়। কিন্তু গণপিটুনিতে কারো মৃত্যু ঘটলে অন্ততপক্ষে ৪০০-৫০০ মানুষকে আসামী করে, তাদের দাবড়ের উপর রেখে, তাদের সকলের কাছ থেকে পয়সা খাওয়া যায়।
৩. হত্যাকাণ্ডের পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষের কাছ থেকে মামলায় ঢুকিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পয়সা খাওয়া যায়।
৪. আপাতত আর কিছু মনে আসছে না।
বর্তমান সরকারের উদ্দেশ্যে বলছি, একসময়ে নোয়াখালীর দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া নির্যাতিত মানুষ যখন কুখ্যাত জল এবং বনদস্যু বাশার মাঝি ও তার দলবলকে পিটিয়ে মারতে শুরু করেছিলো, তখন আপনাদের দলের অনেক নেতারাই মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে তৎকালীন সরকারকে ধুয়ে ছেড়েছিলেন; আমি নিজের কানে শুনেছি খুলনার বেশ কিছু সভায়। কিন্তু আজ আপনাদের আমলে এসে কুখ্যাত বাশার মাঝি নয়, গণপিটুনিতে খুন হচ্ছে নিরিহ ছয় ছাত্র, কিশোর মিলন; পঙ্গুত্ব বরণ করছে লিমন-কাদেরের মতো অনেক ছাত্র; আজ আপনাদের মানবাধিকারের বোধ কোথায় গেলো!
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ক্লাশ নাইন থেকে রুবেলের পাশে বসে আমি কাটিয়েছি আমার আইডিয়াল হাই সকুলের তিনটি বছর, বাসায় যাতায়াত ছিলো। দু জনার রোল নাম্বার কোন এক অজানা কারনে এই তিনটি বছর ৪২ আর ৪৩ হতো। আমার বন্ধুটার খুব শখ ছিলো একদিন আকাশ ছোবে, আকাশ ছুয়েছিলো কিন্তুসে ছোয়াতে না ওর আনন্দ ছিলো, না তার পরিবারের, না আমাদের। ওর হতবাক মায়ের চেহারা আজও চোখে ভাসে। চলে যাওয়া বন্ধুদের §ৃতি নিয়ে বেঁচে আছি। এ দেশ নিয়েছে শুধু, প্রতিকার দেয়নি।
তাজ ভাই, আপনাকে ধন্যবাদ বিষয়টা তুলে ধরার জন্য। আমার বন্ধুটার জন্য সবার কাছ থেকে দোয়া চাইছি। শামীম রেজা রুবেল, আকাশের দেশে ভালো থাকিস বন্ধু!
আপনার কষ্টের গভীরতা আঁচ করতে পারছি তানিম ভাই।
_____________________
Give Her Freedom!
_____________________
Give Her Freedom!
এখানে পুলিশ বলছে আসামিদের খুজে পাচ্ছে না পুলিশ। মিলনের মায়ের মামলায় পুলিশকেও আসামি করা হয়েছে। তারা গেলো কোথায়? বরং খবরে দেখা যাচ্ছে, দায়তে্বে অবহেলার জন্য সঙশ্লিষ্টদের প্রত্যাহার করা হয়েছে, এদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এর অর্থ তারা খুনের দায় থেকে আগেই মুক্ত। রাষ্ট্র তার পুলিশদের কিছু বলবে না। পাবলিক চেটের বালরা মরলে মরুক।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
নতুন মন্তব্য করুন