এত বেশি জ্বর হতো, কেউ আর সেটাকে গুরুত্ব দিতো না। মা-ও না। একবার জ্বরে গা পুড়ে যায়, নানা বাড়ির পুরনো আমলের পালঙ্কে আমার চে বয়েসে বড় রেজাইর নিচে শুয়ে দেখি মা শহরে চলে গেলেন। ডাক্তার দেখাতে হবে যে। জন্মের দাগ রেখে এসেছি মায়ের জরায়ুতে, সে-ও তো আর ভালো থাকে না। সেবার জ্বর ছিলোনা শুধু, সন্ধ্যার আগে আগে সারা শরীর লাল হয়ে হাম এলো! নানী তখন কানে শুনতে পাননা ভালো করে। দুদুমইর বাড়ি থেকে কীসব শিকড় বাকড় আনালেন। একটু পর পর নানী শরীরে হাত বুলিয়ে দেন, আহ্ প্রশান্তি...
চিঠি লিখি। রোল টানা বাংলা খাতার পাতা ছিঁড়ে। ভেতরে অনেক গরম, দই খেতে ইচ্ছে করে, মা বাড়ি নেই... সব লিখে দেই, সব। লোকটার নাম ভুলে গেছি। একটা বড় ঝোলা থাকতো কাঁধে। চোখে মোটা কাচের চশমা। নাকের উপর সুতো পেঁচিয়ে রাখা। চিঠি থাকুক আর না থাকুক এপাশটায় এলে নানাবাড়িতে একবার তিনি আসতেনই। সেই একই খাতার পাতা ছিঁড়ে খাম বানিয়ে ভাত দিয়ে আঠা লাগিয়ে তাঁর হাতে তুলে দেই। প্রাপকের নামে লিখি আব্বা। তিনি আমাকে টিকিটের কথা বলেন, আমি বলি আব্বার কাছে অনেক টিকিট, তিনি নিজে লাগিয়ে নেবেন, আপনি বাক্সে ফেলে দেবেন। তিনি মাথা নেড়ে বিদায় নেন।
ডাক্তার চাচা কোনোদিন আস্তে কথা বলেছেন মনে পড়ে না। পাশে বসে স্টেথোটা বুকে চেপে চোখ বুঁজে, শ্বাস... ছাড়ো... শ্বাস... এই শব্দগুলোই শুধু একটু রয়েসয়ে বলা হয় তাঁর। প্যারাসিটামল ছাড়া আর কোনো ঔষধ দেয়ার নাম গন্ধ নাই, শুধু পানি খেতে বলেন। তাতেই আমার জ্বর সেরে যায়। একবার কী হলো কে জানে, রক্ত প্রস্রাব টেস্ট করতে পাঠালেন। মনে হলো এবার তবে ওষুধ মিলবে। রিপোর্ট হাতে নিয়ে চশমার উপর দিয়ে তাকিয়ে বিকট আওয়াজ করে বললেন, ‘ফানি খাওনা খেনে!!!’ এবার জগ মেপে ঠিক করা হলো কতটুকু পানি রোজ খেতে হবে। সেটার তদারকিও তিনি নিজে করেন।
হাসমত ভাই সাতবার মেট্রিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন। বোর্ডের লোকজন ফেলের লিস্টে হাসমত আলী... হাসমত আলী... হাসমত আলী... দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে তাকে পাস করিয়ে দিয়েছিলো এমনটাই তার বিশ্বাস। দ্বিতীয়বার মাথা ফাটালাম যখন, তিনি দেখতে এলেন ছোট্ট একটা শিশি নিয়ে। ছোট ছোট সাগুদানার মতো মিষ্টি ওষুধ। আম্মা বললেন, ‘ও হাসমত ইতা কিতা দেও? তারনু এলোপ্যাথি চলের...’ হাসমত ভাই হাসতে হাসতে বলে, ‘কুন্তা ওইতনায়, খারে ভাই, তুই খা, আমি হাসমত আলী ডিএইচএম’র ওষুধর লাখান মজা আর কুন্তাত পাইতেনায়!’ হাসমত ভাই থাকতে থাকতেই সেই শিশির অর্ধেকটা গিলে ফেলি, যাবার আগে বলে যান, ‘যতবার বাজারো যাইবে, গুল্লি খাইয়া আইবে, তর লাগি সব ফিরি...’ একেবারে ছোটবেলায় কল্যাণ ডাক্তার নামের একজনের কাছ থেকেও হোমিওপ্যাথির ঔষধ আনতেন আব্বা। অনেক অনেক বছর পরে সেই কল্যাণ ডাক্তারের ছেলে আমার বন্ধু হয়ে এলো! উজ্জল ধর। কথায় কথায় বাবার নাম বলতেই বললাম, এই নামের একজন ছোটবেলায় আমার চিকিৎসা করতেন, সে চোখ পিট পিট করে বলে, ঐ তুই গোয়ালাবাজার থাকছতনি কুনুসময়? আমি হ্যাঁ বলতেই বলে, তাইলে ওই কল্যাণ ডাক্তারই আমার বাপ!
জ্বর উঠলেই চোখ দুটো ফেটে বেরিয়ে আসতে চায়। লাল টকটকে। দেখতে যদি বড়সড় হতাম, অন্তত সাড়ে পাঁচ ফুট হলেও লোকে ভয় পেতো নিশ্চিত। আব্বার একই ধাত। কোনোদিন অসুখ করেনি, মাঝে মাঝে জ্বরজারি হতো। চোখ দিয়ে টপ টপ করে পানি পড়ছে, রক্তজবার মতো লাল সেই চোখ... বাবাইরও এমন হয়!
এমনিতে স্বপ্ন দেখিনা, বা দেখলেও সেটা মনে থাকে না। কিন্তু জ্বর হলেই স্বপ্ন দেখি। সেই একই স্বপ্ন বুঝতে শেখার পর থেকে দেখে আসছি। একটা আকাশ, মেঘলা আকাশ। মেঘ ভাসছে, আমি ভাসছি... মাঠ, ঘাট, প্রান্তর সীমানা ছাড়িয়ে যায়, আমি ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর হতে থাকি। এর বাইরে আর কিছু মনে থাকে না।
প্রতিবার তিন বা চারদিন পরে ভালো হয়ে যায় শরীর। অসুখ সেরে গেলে বিকেলের দিকে আস্তে আস্তে আব্বার কাছে গিয়ে দাঁড়াতাম। আব্বার হাতলওয়ালা চেয়ারে হেলান দিয়ে। কাজ করতে করতে আব্বা বলতেন, কিতারে বিলাইর বাইচ্চা, কমছেনি? প্রতিবার একই ভঙ্গি, একই প্রশ্ন...। শহর সিলেটে আসার পর আর সেরকম হয়নি। বিকাল হলে আমি অপেক্ষায় বসে থাকতাম, কখন আব্বা আসবেন, কখন কপালে হাত দেবেন... আব্বার হাত এত নরম ছিলো...
জ্বর হলে লাকী আপা মাথার কাছে বসে কখনও কখনও গল্পের বই পড়ে শুনাতো। মনোয়ারা মঞ্জিলের খালাম্মা গ্লাস ভর্তি মাঠা নিয়ে এসে বলতেন, ‘ওই মাস্টরর পুয়া, কিতা ভঙ্গি ধরছত! সারা বাড়ি নিরাই ওই গেছে! জলদি ওঠ’। জেঠু নিয়ে আসতেন ছোট ছোট রসগোল্লা। সুধীর কাকাবাবু একবার দুটো কমলা নিয়ে দেখতে এলেন, অমৃতের মতো সেই কমলার স্বাদ এখনও লেগে আছে ঠোঁটে।
যে বিকেলে জ্বর সেরে যেতো। আস্তে আস্তে গিয়ে আব্বার চেয়ারের পাশে দাঁড়াতাম। কাজ শেষে আব্বা হাঁটতে বেরুতেন আমাকে নিয়ে। সবুজ উলের মাফলার জড়ানো থাকতো গলায়। কখনো নলজুড় কখনো কালনী নদীর পাড় ধরে হাঁটতাম। হাতের মুঠোয় আমার হাত নিয়ে আব্বা হাঁটতেন আস্তে আস্তে। খেলার মাঠের পাশ দিয়ে হাঁটার সময় বন্ধুরা হাত তুলে ইশারা করতো। শেষ বিকেলের নরম আলো লেগে সেইসব মুখ জ্বলজ্বল করতো তখন। আমি হাসতাম। দূর থেকে রোদের বিপরীতে সেই হাসি দেখতে পাবার নয়, তবু তারা হাত নাড়তো... হাত নাড়া সেইসব বন্ধুদের বেশিরভাগের নামই আমার মনে নাই। জানা নাই তাদের ঠিকানা। জ্বর হলে এখনও তাদের কথা মনে পড়ে। এখনও সেই মাঠের পাশ দিয়ে, নদীর পাশ দিয়ে হাঁটতে থাকি। আমার বুড়ো হাত আব্বার হাতের ভেতর চুপটি করে পড়ে থাকে। বন্ধুরা হাত নাড়ায়...
৮৮ সালের বন্যায় আমাদের নদী, পাড় ভেঙে বাড়িতে ঢুকে গেলো। টলটলে জলে সাঁতার কাটতে কাটতে দাদাভাই জ্বর বাঁধালো। ফ্লাড লেভেলের অনেক উপরে থাকা বাড়িটায় দুই আঙুল মাপের পানি। কোত্থেকে দুটো টাকি মাছ এসে ঢুকে পড়লো ঘরে। গার্লস স্কুলে বানানো রিলিফ ক্যাম্পে, কিংবা জলাধার হয়ে যাওয়া খেলার মাঠে মধুদার নৌকা নিয়ে এন্তার ঘুরাঘুরি শেষে বাড়ি ফিরে এলে দাদাভাই সেইসব মাছের নানা খেলার গল্প করতো। লেবুর পাতা দেওয়া জাউ খাবার গল্প করতো। আশ্চর্য, জ্বর হয়নি বলে আমার তখন রাগ লাগতো! তারপর, স্কুল থেকে মাখন স্যার খবর পাঠালেন ক্লাস করার। আশিক ভাই কোলে করে থানার পাকা উঠানে নিয়ে দিলে, জ্বরের উপর তীব্র অভিমান হয়। দাদাভাইর সাথে আমার একটু জ্বর হলে কী এমন ক্ষতি হতো! পানি ঠেলে ক্লাস না করে আমিও তো দুধ দেয়া সাগুদানা খেতে পারতাম শুয়ে শুয়ে!
হাম হলো বলে, সেবার বাড়ি ফিরতে দেরি হয়। এম, ভি সাজু কিংবা কালনীর কাঠের সরু সিঁড়ি বেয়ে নামার আগেই দেখতে পাই আব্বা ঘাটে দাঁড়িয়ে। সাদা পাঞ্জাবি, চমৎকার করে লুঙ্গি পরা। মাথায় কিস্তি টুপি। ডিউটিতে থাকা পুলিশ কনস্টেবল বলেন, কী কাকা? শরীর ঠিক হইছে? মাস্টার সাহেব তো আলাইর ঘরের সব দই তুলে আনছে... আব্বার হাতের মুঠোতে হাত নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে আমি মাথাটা তাঁর দিকে হেলিয়ে দেই। সন্ধ্যার পরে চাচী আম্মা দেখতে এসে বলেন, ‘তুমি এমন চিঠি লেখলা, ভাইসাবে কান্তে কান্তে চউখ ফুলাইলাইছইন!’ আম্মা অবাক চোখে তাকিয়ে বলেন, তুই চিঠি লেখলে কুনসময়?!?
জুতো খুলতে খুলতে বাবাই হাঁক দেয়, ও বাবা, জ্বর ছাড়ছেনিগো? ফ্যাসফ্যাসে গলায় জবাব দেই, এখন নাই। সিঁড়ি বাইতে বাইতে বলে, আবার উঠবো, প্যারাসিটামল খাইছনি? কপালে হাত রাখে। ছোট্ট একটা হাত, তুলতুলে নরম। পণ্ডিতের মতো বলে, অরেঞ্জ জোসটা খাও, ভিটামিন সি আছে। আমি হাসি... বাবাইকে বলা হয় না, ‘মধুমিতার দই খাইলে আমার জ্বর ছাড়ি দেয়। আমার আব্বায় অফিস থাকি বারইয়া আটি আটি চৌহাট্টা আইয়া দই কিনতা, এরপরে রিক্সাত উঠিয়া বাসাত আইতা...’
মন্তব্য
বাবাকে খুব মনে পড়ছে এখন। আমার বাবাটা জ্বর হলে কিচ্ছু খেতে চায় না এখনও, না খেয়ে না খেয়ে আরও দুর্বল হয়ে যায়। আমাদের জ্বরের সময় বাবা কত কী করত, এখন বাবার জ্বর হলে আমরা শুধু ফোনে দু’চারটে উপদেশ/অনুরোধ-ব্যস! জ্বরতপ্ত দিনগুলো উড়ে এলো আবার...
দেবদ্যুতি
যার যেটা ভূমিকা। আপনি আপনার ছেলেকে কত কী করবেন। সে ইমেইলে পাঠাবে পরামর্শ
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
অরেঞ্জ জুস খাও, ভিটামিন সি আছে।
...........................
Every Picture Tells a Story
খাইসি।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
অপূর্ব সুন্দর কাব্যিক স্মৃতিচারণ। লেখা এত মায়ামাখা কী করে হয়!
ধন্যবাদ
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
বেশ লাগল লেখাটা। মনে পড়ল জ্বর হলে সাদা গুলি খাওয়ার কথা ছোটবেলায়।
-------------------------------------------
ইচ্ছে মত লিখি
http://icchemotolikhi.blogspot.in/2015/05/for-blogger-to-blogger.html
ধন্যবাদ
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ধন্যবাদ
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ভালোবাসার পরীক্ষাটুকু জ্বরের রূপ নিয়েই আসে। বুঝিয়ে দিয়ে যায় রক্ত কথা বলছে। আপনজনের ভালোবাসার কাছে এই জ্বর নামক দস্যুটা টিকতে পারে নি কোনকালে।
বাবা মা আমার জ্বরের সময় পাশে থেকেছেন,জ্বর তাড়িয়েছেন। কিন্তু আমি কোনকালেই এই কাজটা সঠিক ভাবে করতে পারলাম না। অনেক কিছু মনে করিয়ে দিলেন অপু ভাই।
তোরে সচলে দেখে অনেক ভালো লাগছে, এইটা বলা হয়নাই।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
এতো মায়া লেখাটা জুড়ে... চোখ ঝাপসা হয়ে যায়
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
লেখার শিরোনাম দেখে ঠিক করেছিলাম এই লেখা আমি পড়বো না। কারণ, এই লেখার ভেতর লেখক ঠেলতে ঠেলতে আমাকে কোন খানাখন্দে ফেলবে সেটা আমার জানা আছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লেখাটা আর এড়াতে পারলাম না, এবং আমি সেই অবধারিত গর্তটার মধ্যেই পড়লাম।
আপনি খুব খারাপ একজন মানুষ, খুবই খারাপ। আমার কী-বোর্ডটা ভিজে যাবার দায় সম্পূর্ণ আপনার।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
অনেকদিন পরে এমন জ্বর হলো!
মন্তব্য করলেন যারা, সবাইকে ধন্যবাদ।
মুস্তাফিজভাই, টেংগা আমি খাইতাম ফারিনা।
পাণ্ডবদা' ৩৫ বছরের স্মৃতি মুছতে কত বছর লাগতে পারে, কোন হিসাব আছে আপনার কাছে?
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
হ্যাঁ, হিসেব আছে। আরো বার দশেক শূন্য থেকে জন্মাতে হবে তাহলে যদি এই জন্মের পিতার স্মৃতি ভোলা যায়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পরশুদিন আমার পৌনে দুই বছরের মেয়েটা আমি ঘরে ঢুকতেই আমার কোলে চড়ে বলল আব্বুউউউ। কিউই খেয়েছ? দুটি (রুটি) খেয়েছ তুমি?
..................................................................
#Banshibir.
আহারে, মেয়েরা মায়ের মতো হয়...
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
ছোটবেলায় আমারও খুব জ্বর হত - অ্যালার্জী ছিল মনে হয়। বড় হয়ে এখন সেরে গেছে।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
বাচ্চাবেলায় এলার্জি লাগেনা
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
তোমার লেখা দেখিয়াউ বুঝছি ওলা বেরাছেরা লেখা লেখবায়। অতো মায়া তোমার লেখার মইধ্যে।
মধুমিতা'র দইর কথা হুনিয়া মনটা খারাপ অই গেলো। কি সামান্য একটা দই কিন্তু খাইতায় পাররায় না।
তাড়াতাড়ি সুস্থ অও।
__________
সুপ্রিয় দেব শান্ত
দই পাইছিরে। অলমোস্ট মধুমিতার লাখান।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
.......
বাবাই আপনার ছেলের নাম ভাইয়া? সুস্হ হয়ে ওঠুন জলদি করে।
হ্যা। ধন্যবাদ
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
স্মৃতির জ্বর বেশি জ্বালাতন করলে বলবেন। জ্বর ছাড়ানোর পথ্য বাতলে দেবো।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
বাতলে দিওতো
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
এত মায়া!!!
ব্লগবাড়ি । ফেসবুক
মায়ার দুনিয়া
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
গত কয়েকদিন ধরে আমার আব্বার কথা খুব মনে হচ্ছিল। ছোটবেলাতে আমার জ্বর হলে আব্বু স্কুল থেকে ফিরে এসে কপালে হাত দিত। ঠান্ডা হাতের স্পর্শ আমি এখন অনুভব করি। আপনার লেখাটি পড়ে সেই স্পর্শ আবার অনুভব করলাম।
এইসব স্পর্শ সবসময় সাথে থাকে
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আপনার মায়াবী বিষাদমাখা লেখা পড়লে মনটা অদ্ভুতরকম খারাপ হয় শুধু। পেছনে ফেলে আসা দিনের কথা মনে পড়তে থাকে অকারণে। আর মনে হয় বুড়িয়ে যাচ্ছি, বুড়িয়ে যাচ্ছি, বুড়িয়ে যাচ্ছি... হাতের মুঠো থেকে আলগোছে পড়ে হারিয়ে যাচ্ছে সময়।
মন্তব্য করতে করতেই বুড়া হয়ে গেলে, লেখাগুলো আর বেরুলোনা
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
নতুন মন্তব্য করুন