ইতোমধ্যে অনলাইনচারী সবাই প্রবীর সিকদারকে চিনে ফেলার কথা। ১৬ আগস্ট তাকে আটক করেছে ঢাকার ডিবি পুলিশ। আটক করার কয়েক ঘন্টা পর ফরিদপুরে দায়ের করা হয় মামলা। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, আটক হওয়া সাংবাদিক প্রবীর ফেসবুক স্টেটাসের মাধ্যমে মন্ত্রী খোন্দকার মোশাররফ হোসেনের সম্মানহানি করেছেন! এখানে লক্ষণীয় হলো, আমাদের দেশে যখন মামলা করেও আসামি গ্রেপ্তার করানো যায় না, যখন প্রকাশ্যে ব্লগাররা খুন হবার পরও খুনিদের না ধরে উল্টো ব্লগারদেরই দোষ খোঁজা হয়, ঠিক সেই সময়ে আগেভাগে আসামি আটক করে মামলা দায়ের একটি অভিনব ঘটনা।
প্রবীর সিকদার কে? তিনি একজন সাংবাদিক, এই তার পরিচয়। কিন্তু এসব ছাড়িয়ে গেছে যুদ্ধাপরাধ নিয়ে প্রবীরের আপোসহীন কর্মকাণ্ড। ব্যক্তিজীবনে তিনি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বাবাসহ পরিবারের ১৪ জনকে হারিয়েছেন প্রবীর। এমন একজন মানুষ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ হয়ে কথা বলবেন এটাই স্বাভাবিক। হয়েছেও তাই। টানা সেনাশাসন, জামায়াত-বিএনপির মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী সময়ে যে কয়জন হাতেগোনা মানুষ যুদ্ধাপরাধ এবং অপরাধী নিয়ে বড় গলায় কথা বলেছেন, প্রবীর তাদের একজন। ফরিদপুরের মতো ছোট এক শহরে থেকেও তাই তিনি পরিচিত হয়ে উঠেন পুরো দেশে। মুসা বিন শমসের নামের আড়ালে যে এক কুখ্যাত রাজাকার নুলা মুসা লুকিয়ে আছে এই তথ্যটি সবার সামনে নিয়ে এসেছিলেন প্রবীর সিকদার। কিংবা মাওলানা আবুল কালাম আজাদ নামে টিভিতে ধর্মের বুলি আওড়ানো ভণ্ডটা আদতে বাচ্চু রাজাকার ছাড়া আর কেউ নয়, সেই সত্যটাও দেশের মানুষ জেনেছে উনার মাধ্যমে।
নুলা মুসা আর নুলা নাই। সে এখন আন্তর্জাতিক কেউকেটা। দুই টাকার কলম পেষা সাংবাদিককে সে সহ্য করবে কেন? তাই ২০০১ সালেই আক্রান্ত হন প্রবীর। বোমার আঘাতে হারান একটি পা। একটি হাতের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতাও নষ্ট হয়ে যায়। তখন ক্ষমতায় ছিলো আওয়ামীলীগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ সহায়তায় বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে কৃত্রিম পা সংযোজন করেন প্রবীর সিকদার। কিন্তু নিজের শহর ফরিদপুরে আর ফেরা হয়নি। ঢাকাতেই থাকছেন গত ১৫ বছর ধরে। নিজের কাজ করে যাচ্ছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবিতে সোচ্চার আছেন। প্রতিদিন জ্যামিতিকহারে ক্ষমতাবান হতে থাকা মুসার বিরুদ্ধে, রাজাকারপুত্র এবং বর্তমান সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী খোন্দকার মোশাররফ হোসেনের নানা অপকর্ম নিয়ে খবর প্রকাশ করছিলেন। উল্লেখ্য মোশাররফ হোসেন ফরিদপুর থেকে নির্বাচিত সংসদসদস্য। এই মন্ত্রী ফরিদপুরের কুখ্যাত রাজাকার খোন্দকার নুরুল হোসেনের (নুরু রাজাকার) পুত্র। নিজে রাজাকার না হলেও মন্ত্রী হবার পর থেকেই পিতৃঋণ পরিশোধ করে চলেছেন। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়ি-জমি দখল থেকে শুরু করে নানা প্রতিষ্ঠানে নিজের রাজাকার বাবার নাম সেঁটে দিচ্ছেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই এসবের প্রতিবাদ করছিলেন প্রবীর। পাচ্ছিলেন হুমকি। কিন্তু যে মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে পরিবারের ১৪ জনকে হারিয়েছেন, রাজাকারদের মুখোশ খুলে দিতে গিয়ে যে মানুষটা পঙ্গু হয়েছেন, তাকে তো আর হুমকি দিয়ে আটকানো যাবে না। যায়ও নি।
নুরু রাজাকারের নামে ফরিদপুরে রাস্তার নামকরণ হয়েছে
হুমকি পেয়ে প্রবীর সিকদার থানায় গিয়েছেন, অভিযোগ জানাতে গিয়ে ফিরে এসেছেন। পুলিশ সে অভিযোগ নেয়নি। সেই কথা তিনি ফেসবুক স্টেটাসে জানিয়েছিলেন। সেই স্টেটাসে উল্লেখ করেছেন, তার যদি কিছু হয় তাহলে এর জন্য মন্ত্রী খোন্দকার মোশাররফ হোসেন, রাজাকার নুলা মুসা ওরফে মুসা বিন শমসের এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক বাচ্চু রাজাকার ওরফে আবুল কালাম আজাদ দায়ি থাকবে।
১৬ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ঢাকায় প্রবীর সিকদারের অফিস থেকে সেই বিষয়ে কথা বলার জন্যই থানায় তুলে নিয়ে গিয়েছিলো পুলিশ। অন্তত তাই বলেছিলো তারা। পরে আর থানায় যায়নি, গিয়েছে মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে। মধ্যরাত পর্যন্ত সেখানেই ছিলেন তিনি।
প্রবীর সিকদারের একটি পা নেই। তিনি বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে বা একঠায় বসে থাকতে পারেন না। এই তথ্য জানিয়ে বাবার জন্য একটু ভালো বসার জায়গা চেয়েছিলেন সুপ্রিয় সিকদার। যাতে মাঝে মাঝে তিনি গা এলিয়ে দিতে পারেন। দেয়া হয়নি। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে টানাহ্যাচড়ার মধ্যে থাকা প্রবীরকে মধ্যরাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ফরিদপুরে। সকালে কোর্টে নিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। আদালত যার ফয়সালা করবেন আজ।
কুখ্যাত রাজাকার, দণ্ডপ্রাপ্ত মতিউর রহমান নিজামীকে ছাতা মাথায় জামাই আদরে নেওয়া হয়, আর শহীদপুত্র, বেয়াই অপমানের মামলায় অভিযুক্ত প্রবীর সিকদারের আহত হাতে থাকে হাতকড়া
বেয়াইপ্রজাতন্ত্রী দেশ
ইঞ্জিনিয়ার খোন্দকার মোশাররফ হোসেন সম্ভবত বাংলাদেশের প্রথম কোনো রাজনৈতিক সরকারের স্থানীয় সরকার মন্ত্রী, যিনি দলের কোনো পদে নেই। যার সাথে সারা দেশের আওয়ামীলীগ কর্মীদের যোগাযোগ থাকা তো দূরের কথা, নিজের জেলার আওয়ামীলীগের সাথেই কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ শান্তিকমিটির সদস্য, নুরু রাজাকারের ছেলে খোন্দকার মোশাররফকে ধারণ করার জন্য ফরিদপুর আওয়ামীলীগ রাজি ছিলো না কখনো। কিন্তু দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা নিজের এই তুতো ভাইকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করতে কঠিন শপথ নিয়েছিলেন। আর সবচে বড় কথা হলো পুরনো সম্পর্ক ছাপিয়ে উঠেছিলো নতুন সম্পর্ক। খোন্দকার সাহেব প্রধানমন্ত্রীর বেয়াই হন যে! একমাত্র কন্যা সায়মা ওয়াজেদের শশুর হলেন এই মন্ত্রী।
মুসা বিন শমসের। বিতর্কিত এই ব্যবসায়ী এবং রাজাকারও শেখ পরিবারের পরমাত্মীয়। আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী শেখ সেলিমের বেয়াই! শেখ সেলিমের আরেক বেয়াইও বিখ্যাত মানুষ। বিএনপি-জামায়াত সরকারের বিদ্যুত মন্ত্রী ইকবাল হাসান টুকু।
অবাধ্য প্রবীর সিকদার এই দুই বেয়াই-এর বিরুদ্ধেই একের পর এক নিউজ করে যাচ্ছিলেন। সর্বশেষ ফেইসবুকে স্টেটাস দিয়ে সর্বনাশের ষোলকলা পূর্ণ করলেন।
বেয়াই বিষয়ে আরো দু একটা তথ্য দেওয়া যায়। প্রধানমন্ত্রীর চাচাত ভাই শেখ হেলাল। তিনি দলীয় এমপিও। সোহেল তাজ এর মন্ত্রীত্ব ছাড়ার পেছনে যাকে দায়ি করা হয়। এই শেখ হেলালের বেয়াই হলেন, পতিত স্বৈরশাসক এরশাদের চোর ক্যাশিয়ার নাজিউর রহমান মঞ্জু। জি, ঠিক ধরেছেন, ব্লগারদেরকে প্রকাশ্যে পেটানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন যিনি, যিনি এই সেদিন আব্দুল গাফফার চৌধুরীকে পেটানো জায়েজ বলে ফতোয়া দিয়েছেন, যিনি বিএনপি-জামায়াত জোটের অন্যতম শরীক বিজেপির চেয়ারম্যান, সেই আন্দালিভ রহমান পার্থ জাতীর পিতার নাতিন জামাই হন! এরকম বেয়াই আরো খুঁজে বের করা যাবে।
উচ্চ ভাসুরের নাম নিতে মানা
আর কয়েক ঘন্টার মধ্যে প্রবীর সিকদারকে আদালতে নেয়া হবে। ফরিদপুরের কোনো আইনজীবী প্রবীরকে আইনি সহায়তা দেবেন না। স্বপন কুমার পাল নামের যে আওয়ামী উকিল মামলা করেছেন, তিনি আবার ফরিদপুর বারের আইনজীবী। নিজেদের উকিলের দায়ের করা মামলায় সেই বারের উকিলরা মামলা লড়েন না! এরপরেও কেউ কেউ প্রবীর সিকদারের পক্ষে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। ক্ষমতাধর মন্ত্রীর চ্যালারা তাতেও বাধা দিয়েছে। আইন ও সালিসকেন্দ্র আইনজীবী পাঠাবে বলেছে। দেখা যাক কী হয়। ভয়ঙ্কর সিকদারকে আদালত কতদিনের জন্য রিমান্ডে পাঠান দেখার বিষয়।
ইদানীং নানা বিষয়ে ফতোয়া দেখা যায়। স্বপ্রণোদিত হয়েও মাঝে মাঝে ফতোয়া আসে। কিন্তু কেনো যেন প্রবীর টাইপ বিষয় তাঁরা দেখেন না। আমরাও ভয়ে কথা বলি না। কখন আবার কোন বিপদে পড়ি। “উচ্চ ভাসুরের নাম” মুখে নিতে তো মানা আছে।
কাক কাকের মাংস খায় না
একবার শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলাম জরিপ করতে। জামায়াতের আব্দুর রবকে সেখানকার ভিসি করার পাঁয়তারা চলছিলো। এটা নিয়ে প্রশ্ন করছিলাম কয়েকজন মিলে। হঠাৎ সেখানে উদয় হলো ইত্তেফাকের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নুরুল আমিন। সে ডেকে নিয়ে আসলো শিবিরের চ্যলা চামুণ্ডা। জোর করে কাজ করা যেত, কিন্তু অফিস সেটা চাইলো না। সিলেটে ইত্তেফাকের নিজস্ব প্রতিবেদক ছিলেন আব্দুল মালিক চৌধুরী। নির্বিরোধী মানুষ। টেক্সটবুক ধরে রিপোর্ট লিখেন। লাশ দেখেন ১০টা, ডিসিকে জিজ্ঞেস করলে জানা যায় ৮টা লাশ। তিনি খবরে ৮টা লিখেই পাঠিয়ে দেন! তো সেই মালিক ভাইকে আমাদের সম্পাদক ফোন করে বল্লেন পুরো ঘটনা। তিনি আবার একটু গুন্ডা প্রকৃতির সম্পাদক, বল্লেন নুরুল আমিনকে শহরে দেখলেই পেটাবেন! মালিক ভাই হায় হায় করে উঠলেন, না না, এটা করতে হয় না। কাক কখনো কাকের মাংস খায় না...!
হ্যা, কাক কখনো কাকের মাংস খায়না। মিথ্যাচারের বরপুত্র মাহমুদুর রহমানকে আটক করার পর সেই সত্যতা পাওয়া গেছে। বাংলাদেশের সব বড় বড় সাংবাদিক এর প্রতিবাদ করে বিবৃতি দিয়েছে। এখনও দেয়। কিন্তু প্রবীর সিকদারের বিষয়ে অল কোয়ায়েট অন দ্যা সাম্বাদিক ফ্রন্ট! সম্ভবত প্রবীর সিকদার ভালো কাক হয়ে উঠতে পারেন নি।
এবং ৫৭
৫৭ ধারা নিয়ে আলোচনা চলছে ২০১৩ থেকে। নতুন করে যুক্ত হতে চলেছে “সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০১৫”। ৫৭ ধারা বাতিলের দাবি করছেন মুক্ত মত প্রকাশের পক্ষের মানুষেরা। বাংলাদেশে আরেকটি ধারা কিন্তু আছে। সেটা হলো ৫৪ ধারা। সেই ব্রিটিশ আমল থেকে এই ধারাটি কার্যকর। রাষ্ট্রযন্ত্র ইচ্ছামতো এই ধারার ব্যবহার করেছে। সেখানে ৫৭ কিংবা সাইবার নিরাপত্তা আইন নতুন পালক হিসাবেই যুক্ত হয়েছে। আর কিছু নয়। তো এই আইন বাতিল করলে আসলে কোনো লাভ নাই। রাষ্ট্রযন্ত্র ঠিকই আপনাকে আটক করতে পারবে, লটকে দিতে পারবে যদি চায়। শাসকের মাথার ভেতর থেকে ৫৪, ৫৭ নামের ধারাগুলো যতদিন বিলুপ্ত না হবে, যতদিন বেয়াইপ্রজাতন্ত্রী থেকে প্রকৃত গণপ্রজাতন্ত্রী দেশ গড়ে না উঠবে ততদিন “আকাশের যত তারা পুলিশের তত ধারা” মেনে নিয়েই বেঁচে থাকতে হবে।
প্রথম ছবিটি সাংবাদিক উজ্জ্বল দাশ এবং দ্বিতীয়টি ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটনের ফেসবুক পোস্ট থেকে।
মন্তব্য
৫৭ ধারা নিয়ে প্রথম এবং প্রধান যে আশংকা ছিলো সেটাই দেখা গেলো।
...........................
Every Picture Tells a Story
এই প্রথম নয়। ১৩'র এপ্রিলে ৪ জন ব্লগারকে আটক করা হলো। মে মাসে সিলেটে দুই কিশোরকে আটক করা হয়। সম্ভবত গত বছর চট্টগ্রামে দুই এসএসসি পরীক্ষার্থীকেও আটক করেছিলো ৫৭ ধারায়।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আন্দালিব রহমান পার্থ জাতির পিতার নাতিন জামাই হবার বহু আগে থেকেই ইন ফ্যাক্ট বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতেই বঙ্গবন্ধুর নাতী হবার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। পার্থের মা হলেন শেখ মনি এবং শেখ সেলিমের সহোদর বোন, এজন্যই পার্থ আওয়ামী লীগকে ধুয়ে ফেললেও সংসদের ভেতরে এবং বাইরে আওয়ামী লীগের কোন মন্ত্রী-এমপি-নেতা পার্থকে কিছুই বলার সাহস পাননি।
ভাগ্নে এবং ভাগ্নিজামাই পার্থের প্রতিই যে দুর্বলতা রাষ্ট্রের সেখানে বেয়াইয়ের প্রতি কূল-কিনারাহীন দুর্বলতা স্বাভাবিক।
----------------------------------------------------------------
''বিদ্রোহ দেখ নি তুমি? রক্তে কিছু পাও নি শেখার?
কত না শতাব্দী, যুগ থেকে তুমি আজো আছ দাস,
প্রত্যেক লেখায় শুনি কেবল তোমার দীর্ঘশ্বাস!''-সুকান্ত ভট্টাচার্য
হ্যা, এটাও জানি। সবই মামু-ভাগ্নাময়।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
কিছুটা অপ্রাসঙ্গিক হয়তো, কিন্তু এই যে শেখ হাসিনার পরিবার বা বর্ধিত পরিবার এদের আত্মিয়তার ধরন এমন ক্যা? এরা কি দুনিয়াতে আর কোন উপযুক্ত ছেলে মেয়ে খুঁজে পায় না? বা যদি ছেলে মেয়ের পছন্দের কথাই বলি, তবে এসব ছেলে মেয়েরা কি চেতনা নিয়ে বড় হয়? নাকি এদের পরিবারে এসব এর কোন চর্চা নেই।
ছোটবেলায় নিয়মিত প্রবীর শিকদার এর কলাম জনকন্ঠে পড়তাম। উনার প্রতি শত সহস্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।
অনন্যা
এরা সকল হিসাবের উর্ধ্বে বসবাস করে সম্ভবত
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আপনার লেখা পড়ে সচলের এই লেখাটা রিভাইজ দিলাম আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা: ‘আইন কানুন সর্বনেশে!’
ধন্যবাদ।
-হুঁকোমুখো হ্যাংলা
ধন্যবাদ।
নতুন সাইবার আইন বিষয়েও পড়ে রাখুন। কাজে আসবে।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
ধন্যবাদ
-হুঁকোমুখো হ্যাংলা
সেটাই একমাত্র কারণ। জলে বাস করে কুমিরের সাথে যুদ্ধে নামার 'নির্বুদ্ধিতা' করার পরিণতি এমনই হবে।
'নির্বোধ' লোকটার জন্য জননেত্রীর কোনো করুণা হয় কিনা, সেটা দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
লেখাটির জন্য আপনাকে বিশেষ ধন্যবাদ নজমুল আলবাব।
সবকিছুতে জননেত্রীর হস্তক্ষেপ ধারনাটাই সমস্যা। নিয়মতান্ত্রিকভাবে ভালো কাজ না হলে এমন অনাচার বন্ধ হবেনা।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
জননেত্রী কঠোর না হলে জননেত্রীর বেয়াইকেতো অন্য কেউ সামলানোর ঝুঁকি নিবেনা। সত্যি বলতে, বেয়াই সাহেব হিন্দু বাড়ি-জমি দখল অব্যাহত রাখলে, নোংরা রাজনীতি করতে থাকলে প্রবীর শিকদারকে এখন ছেড়ে দিলেও তিনি মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত লিখতেই থাকবেন।
জননেত্রীর কাজিন, ভাগ্নে/ভাতিজা এদের বিরুদ্ধেই কেউ কিছু বলার সাহস পায়না; তাজউদ্দিনের পুত্র দল-দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। সুতরাং, যা করার জননেত্রীকেই করতে হবে, না করতে পারলে শতভাগ ফেইলার উনারই।
----------------------------------------------------------------
''বিদ্রোহ দেখ নি তুমি? রক্তে কিছু পাও নি শেখার?
কত না শতাব্দী, যুগ থেকে তুমি আজো আছ দাস,
প্রত্যেক লেখায় শুনি কেবল তোমার দীর্ঘশ্বাস!''-সুকান্ত ভট্টাচার্য
নিয়মতান্ত্রিক সমাধান চর্চা ইত্যাদি বহু দূরের ব্যাপার এখনো। সেটা হবার বহু আগেই প্রবীরবাবু (রা) আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন
এই প্রবীর সিকদার যে বিপদে নিজেকে জড়িয়েছেন, তাতে করে খুব উঁচু কারো হস্তক্ষেপ ছাড়া ( ম্যাস পাবলিক ক্ষেপে উঠলে ভিন্ন ব্যাপার) ওনার অপমান এবং দূর্ভোগ ঠেকানো অসম্ভব
হ্যা, ঠিক বলেছেন। এইক্ষেত্রে উঁচু বলতে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াতো আর কেউ নেই। সুতরাং শেষ পর্যন্ত জননেত্রী।
@ ইয়াসির, শব্দ পথিক
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
এক দফা এক দাবি,
বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করা, রাজাকারদের মুখোশউন্মোচন, এইসব গুরুতর অপরাধে প্রবীর শিখদারকে রিমান্ডে নিয়ে, পিটিয়ে পিঠের ছাল তুলে ফেলা হোক।
আশাকরি আগামী তিন দিনে সেটা হয়ে যাবে।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
"শাসকের মাথার ভেতর থেকে ৫৪, ৫৭ নামের ধারাগুলো যতদিন বিলুপ্ত না হবে, যতদিন বেয়াইপ্রজাতন্ত্রী থেকে প্রকৃত গণপ্রজাতন্ত্রী দেশ গড়ে না উঠবে ততদিন “আকাশের যত তারা পুলিশের তত ধারা” মেনে নিয়েই বেঁচে থাকতে হবে।"
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
পুলিশ সুযোগ পেলে কতকিছু যে করতে পারে, সে পজিটিভ হোক আর নেগেটিভ। তাই যতদিন পর্যন্ত রাস্ট্র পুলিশগিরি চালাবে, ততদিন পর্যন্ত নাগরিকরা নিপীড়নমুক্ত হবে না।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
বিষাদ আর ক্ষুব্ধতা---
ফ্যান্টাস্টিক অপু ভাই।
বুঝলাম আমি, বুঝলাম, #অনলিবেয়াইইসরিয়াল!!
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...
হ্যা, সাথে গুডিনটেনশনের বিষয়টাও আমাদেরকে বুঝতে হবে।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
যতই দিন যাচ্ছে, ততই হতাশ হচ্ছি। আওয়ামী লীগের আমলেই যদি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের লোকদের এই অবস্থা হয়, তাহলে আমরা কার উপর আস্থা রাখব? বিএনপি জামাত ক্ষমতায় আসলে তো ঘরের ভিতর ঢুঁকে আমাদেরকে মারবে।
ফাহমিদুল হান্নান রূপক
জনপ্রত্যাশা না বুঝলে দিনে দিনে দুরে সরে যেতে হবে, সেটা সব দলের জন্যই প্রযোজ্য
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
বিশেষ দ্রষ্টব্য:- নীলয় নীলকে ঘরের ভিতরে ঢুকে মারা হয়েছে।
দেবদ্যুতি
১) দেশে একটি রাজাকার সরকার ক্ষমতায় থাকলে রাজাকার বিরোধী লেখালেখি করলে এই পরিণতিই দাঁড়াতো। কিন্তু এই সরকার এরকম আচরণ করবে সেটা অবিশ্বাস্য। তবু রাজাকারের শূন্যস্থান পুরন বিষয়ক ঘটনাবলীই চলছে।
২) ৫৭ ধারা এখনো পর্যন্ত যে কটি প্রয়োগ করা হয়েছে সবগুলোই মুক্তিযুদ্ধ পক্ষের বিরুদ্ধেই।
৩) মাহমুদুর রহমানের সাথে প্রবীর শিকদারের তুলনামূলক সহমর্মিতা বিষয়ক আলোচনা করার জন্য পত্রিকার সম্পাদককুলের প্রতিক্রিয়া জানার অপেক্ষায় আছি।
৪) বঙ্গদেশের ইতিহাসে এত শক্তিশালী বেয়াইকুল আগে দেখা যায়নি।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
বেয়াইকুল কতটুকু যন্ত্রনা তৈরি করবে, আর কতটা তারা নিয়ন্ত্রিত থাকবে এর উপরই ভবিষ্যত নির্ভর করছে। ৫৭ ধারার সর্বগ্রাসী রূপ প্রকাশ পাবে সরকার বদলের পর। সেই অরাজককালের কথা ভাবতেও ভয় লাগে!
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
... ... ... ... ...
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
আপনার বেশিরভাগ মন্তব্যই আমার কাছে দুর্বোধ্য থেকে যায়।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
কিছু বলি নি তো! বোঝার ব্যাপার নেই। শিরোনাম দেখে খুব আগ্রহে এই খবরটা খুললাম। পড়ে মাথা আউলায় গেল। বামপন্থী আইনজীবী সংগঠনের নাম "গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি" ক্যান, এখনও বুঝি নাই। যাক, তবে শেষমেশ কেউ একজন আইনী সহায়তার জন্য এসেছেন এটিই ভাল।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
আইন ও শালিস কেন্দ্র আইনজীবী পাঠাবে বলেও কেনো পাঠালোনা বুঝলাম না।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
হুমম... ট্যাকাটুকার ব্যাপার নাকি?
আগের মন্তব্যে খবরের লিংক আসেনি।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
প্রবীর সিকদার জামিন পেয়েছেন।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
জামিন দেয়ার আগে নাকে খত দিতে হয়েছে। পায়ে ধরাধরি তো হলোই।
দেখুন না!
কোলাহল
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে কি আত্মীয়তার সম্পর্ক উপেক্ষা করা খুব কঠিন? আত্মীয়তা কি আদর্শের থেকে বড়?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আশা করা ছেড়ে দিতে হবে মনে হচ্ছে!
সাহস করে এমন একটা লেখার জন্য শ্রদ্ধা জানিয়ে গেলাম।
________________________
সেই চক্রবুহ্যে আজও বন্দী হয়ে আছি
নতুন মন্তব্য করুন