রক্তচাপ! উচ্চ রক্তচাপ...

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: মঙ্গল, ২২/০৩/২০১৬ - ৭:০৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মেয়েটা নতুন। কুশল জিজ্ঞেস করে বল্ল, আপনার প্রেশার মাপতে হবে এখন, এরপর রক্ত পরীক্ষা করবো। এসবের জন্য ৩ ঘন্টা আগে থেকে খাবার বন্ধ রাখতে হয়, সেটা জানেন? আমি হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়লাম। সকালের ওষুধ নিয়েছেন? বল্লাম, হ্যাঁ।

হাতে প্রেশার মাপার যন্ত্রটা পরাতে পরাতে জিজ্ঞেস করলো, ইনজেকশনে ভয় পান? আমি কিন্তু খুব এক্সপার্ট। বুঝতেই পারবেন না। একটা কাষ্ঠ হাসি দিলাম। চমৎকার করে হেসে নিয়ে এবার বল্লো, আপনি যদি হিন্দি জানেন, সেটা বলতে পারেন, আমি ভালো বলতে পারি না, কিন্তু বুঝি! উত্তরে বল্লাম, আমি ইন্ডিয়ান নই, বাংলাদেশের। একটু অপ্রস্তুত হয়েই সামলে নিলো। দু:খিত, আসলে এখানেতো অনেক বেশী ভারতীয় তাই ভেবেছিলাম। আর আপনার রেকর্ডটাও এখনও দেখতে পারিনি আমি।

মেয়েটার চোখ কুঁচকে যায়, চেহারায় একটা বিস্ময়ভাব ফুটে উঠে। এরকম চেহারার সাথে আমার পরিচয় আছে। অনেকবার এমন হয়েছে। প্রথমবার হয়েছিলো স্কয়ার হাসপাতালে। সিমনের জন্য রক্ত দিতে গেছি। হাড্ডি তুড়নেওয়ালা কৈরি ডাক্তার সাথে। একজন নার্স প্রেশার মাপতে শুরু করলেন... কৈরি ডাক্তার জুনিয়র এক ডাক্তারকে পেয়ে গেজাতে শুরু করেছে। মেয়েটা একটু অস্বস্থি নিয়ে সেই পিচ্চি ডাক্তারকে ডাকলো। সে আসলো, চোখ মোটা করে একবার প্রেশারের কাটা দেখে আরেকবার দেখে আমাকে। কৈরি বল্ল, আবার মাপো... আরও একটু বেড়ে গেলো সম্ভবত! এরা ভাবলো রক্ত দিতে হবে বলে ভয় পেয়েছি! কী অপমান! কী অপমান! রক্ত দিয়ে টাকা নিলে এইখাতে ৩০/৩৫ হাজার টাকা ইনকাম করে ফেলতাম ততদিনে, আর আমারে বলে কীনা ভয় পেয়ে প্রেশার বেড়ে গেছে! ব্যাগ থেকে টান মেরে ডিসেম্বর মাসের কার্ডটা দেখালাম। তারা তবু রক্ত নেবেনা! কৈরি নানান রকমের মিঠা মিঠা কথা বলে। আমি বলি, আরে মিয়া আমার প্রেশার এমনই। সবসময় হাই থাকে। সে বল্ল, এটা ওখানকার ডাক্তারকে বুঝতে হবে! বসেই থাকলাম। মেজাজ খারাপের সাথে প্রেশার সম্ভবত আরো বাড়ছিলো। শেষমেষ কৈরি আমারে নিয়া হাসপাতাল থেকেই বের হয়ে আসলো। কিন্তু আর একা ছাড়ে না! কি সমস্যায় পড়লাম! ব্যাপক হাউকাউ করেও তারে ছাড়ানো গেলোনা, গাড়িতে করে ন’ বাড়িতে দিয়ে এলো। পুরা রাস্তায় ‘উৎফুল্ল’ করার প্রক্রিয়া হিসাবে নানা ইতং বিতং গল্প করলো। কিন্তু কিছুতেই কিছু হলো না। মেজাজ খারাপ করে নজ্রুলিস্লামের সোফায় শুয়ে থাকলাম। ও আমার আল্লা! সেইটাও বেশি সময় পারলাম না। সেলিনা বেগম তুলি তার চরিত্রের উল্টা ঘটনা ঘটায়া ফোন করে বসলো! মৃদু আর্তনাদসহ বল্লো,- ‘তুমার কিতা ওইছে?’ পুরা তব্দানুভূতিতে পড়ে গেলাম। যতই বলি, কুন্তা ওইছেনা, ঠিকাছি, ততই পেম বৃদ্ধি পায়! একটু প্রেশার বাড়ছে, রক্ত দেয়ার যন্ত্রপাতি দেখে ভুই পাইছি এই কথা বলে পার পেলাম। জিগাইলাম, প্রিয়তমা, তুমারে এই খবর কে দিছে? বল্লো, শাওন দিয়েছে। শাওনরে ফোন দিলাম, সে ঘসেটি বেগমের মতো হাসতে লাগলো। কৈরি নাকি ফেসবুকে স্টেটাস ঝেড়ে দিছে, সেইটা দেখে সে আমার কোমলপ্রাণ স্ত্রীকে দিয়ে একটু ডিস্টাপিং করালো!

তো এই হলো আমার প্রেশার বিষয়ক প্রাথমিক গল্প। এখন পর্যন্ত যতজন আমার হাতে ব্লাড প্রেশারের মেশিন লাগিয়েছে ততজনই তার লাইফের অন্যতম আজব বস্তু দেখার মতো করে দৃষ্টিপাত করেছে আমার দিকে। সেই অর্থে এই সদ্য তরুণী নার্স কিছুই না। সে প্রায় দৌড়ে ডাক্তারের কাছে গেলো। ফিরে এসে বল্ল, ডাক্তার একটু পরেই আপনাকে দেখবেন, মন শান্ত করে এখানে বসুন। মন অশান্ত করার কিছুই নাই। এসব অভ্যাস হয়ে গেছে। মিনিট বিশেক পরে ইন্টারকম বাজলো। ফোন রেখেই আবার প্রেশার চেক করলো। চেহারা দেখে বুঝলাম, মন-টন শান্ত রেখে কোন ফায়দা হয় নাই। পাশের রুমেই ডাক্তার। সেখানে গেলাম। ডাক্তার গত দেড় বছর থেকে আমাকে দেখছেন। নভেম্বর থেকে প্রতি সপ্তায় একবার। ইনি আবার প্রেশার মাপলেন, ১৫২/১০০। উপরেরটা কমছে, ২৫ নেমে এসেছে। কিন্তু নিচেরটায় সমস্যা। মাত্র ১০ কমেছে। আরও ৪ সপ্তা ওষুধ খেতে হবে, হাঁটতে হবে প্রতিদিন কমপক্ষে আধা ঘন্টা, লাল মাংশ খাওয়া একদম বন্ধ, লবন কম খেতে হবে। মুখস্থ ওষুধ-পথ্য। সাথে নতুন যেটা বল্লেন, সেটা হলো ৪ সপ্তা পরে যদি নিচেরটা ৯০ এর নিচে না নামে, ডাবল ডোজ করে দেবেন ওষুধ। বাধ্য আধা-বয়েসির মতো মাথা নাড়লাম।

বাবাইকে স্কুলে দিয়ে পাক্কা তিরিশ মিনিট জোরে জোরে হাঁটি। একদিন স্কুল থেকে বায়ে, আরেকদিন ডানে। দুপাশে দুটো পার্ক। দুটোই নদীর তীরে। ছোট্ট একটা নদী। বাঁধানো পাড়। স্বাস্থ্যসচেতন বুড়োদের দল সেখানে ভীড় করে থাকেন। মাঝে মাঝে তাবলীগের লোকজন। যিশুর পথে মানুষকে আহ্বান করেন তারা। প্রায় দু-মাস ধরে এরা দেখছেন। চেহারা পরিচিত হয়ে গেছে। মুচকি হাসি থেকে এখন হায়/ হ্যালো পর্যন্ত পৌঁছেছে। আজ ‘শুভ সকাল’ বল্লেন তাদের দুজন। একটা কাগজ এগিয়ে দিলেন। হাসি মুখে সেই কাগজ নিয়ে দৌড়াতে লাগলাম। আর দু সপ্তাহ আছে হাতে। এর ভেতর এসপার ওসপার কিছু না হলে ১০ মি.লি গিলতে হবে রোজ...দৌঁড়াই...

প্রাতঃকালে ইশ্বরের ভালোবাসা
পেলাম দুই সন্তানবতীর কাছে
তাদের বাড়ানো ভাঁজপত্রে,
ইশ্বর মুচকি হাসছেন,
একটা নবজাতক বৃক্ষে।

জীবন ধারণের জন্য ইশ্বরের
ভালোবাসার সাথে কাগুজে
নোটও লাগে। আমি দিনমজুর;
আমাকে হাঁটতে হবে। বায়বীয়
ভালোবাসা নিয়ে দৌড়াই...


মন্তব্য

কনফুসিয়াস এর ছবি

বেশি করে হাঁটেন। নাইলে আমার মত ডেইলি একটা ওষুধ গিলতে হবে বাকি জীবন। মন খারাপ

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

নজমুল আলবাব এর ছবি

এইটা একবার ধরলে নাকি আর ছাড়েনা। সেই হিসাবে বাকি জিবন ১টা করে নিতেই হবে। এখন যুদ্ধ হলো মাত্রা নিয়ে। ৫ থাকবে, নাকি ১০ হবে!

মাহবুব লীলেন এর ছবি

অত কথা না লেইখা একলাইনেই কইতে পারতা যে তরুণী নার্স দেখলে তোমার প্রেশার বাইড়া যায়

নজমুল আলবাব এর ছবি

ওত্তো বালা বুচ্ছ। লইজ্জা লাগে

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

হো হো হো

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

নীলকমলিনী এর ছবি

জিমে ভর্তি হয়ে যাও। এলিপ্টিকাল বা ট্রেডমিলে গা ঘামিয়ে ব্যয়াম কর প্রতিদিন আধঘন্টা, সুন্দরী নার্স দেখলেও প্রেশার বাড়বে না। দুই সপ্তাহ পরের খবর দিও।

নজমুল আলবাব এর ছবি

হে হে হে। দৌড়াইতেই আছি আপা।

তাহসিন রেজা এর ছবি

সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন

------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”

অলীক জানালা _________

নজমুল আলবাব এর ছবি

ধন্যবাদ

হাসিব এর ছবি

যিশুর সাকরেদ থিকা সাবধান। আমারে একবার পাকড়াও করলো। আমারে কয় ইংলিশ না ডয়েচ? আমি কই ইংলিশ তবে পড়বার পারি না। আবার জিগায় তাইলে তুমার মাতৃভাষা কী? আমি কই বাংলা। আস্তে করে ঝোলার ভিত্রে থিকা বাংলা বাইবেল বের করে ধরায় দিয়া কয় বাসায় গিয়া পইড়ো!

নজমুল আলবাব এর ছবি

আপনার কি মনে হয় আমাত্তে বেশি অভিজ্ঞতা আমনের!

নর্মালি এরা ধরলেই নো ইংলিশ, নো ইংলিশ বলে কাচুমাচু মেরে চলে আসি। একদিন ক্যাক করে ধরছে এক বেডায়। জিগায় শ্রীলঙ্কান কীনা? কইলাম বাংলাদেশ। তখন লর্ড ক্লাইভের মতো বাংলায় বলে, শুদ্ধ না সিলেটি! নারী সমাজ সাথে ছিলো, ভেক করে হেসে দিয়ে বল্ল আমরা সিলেটি। সেই দিনদার ভাই সাথে সাথে উচ্চারণ বদলে বল্লো, ওউনু দেখউকা সিলেটিও আছে ইকানো! হাতের সিডি কাভার দেখিয়ে দিলো। বল্লো, নেউকা ইসা নবীর জিবনি হুনউক্কা, সিলেটি বাষা, বুঝতে সমইস্যা ওইতনায়!

মজার কথা হলো, সিডিতে সব পরিচিত কণ্ঠস্বর। আমাদেরই ভাই-বেরাদররা। আমি সিলেটে থাকলে হয়তো গলাটা ঢুকায়া দিতে পারতাম।

জীবনযুদ্ধ এর ছবি

পোলান্ডের ওয়াশর পুরোনো শহরে ইতস্তত হাটছি। হটাৎ দেখি আমার দিকে এগিয়ে আসছে সুট টাই পড়া বেশ কেতার দুরস্ত এক ভদ্রলোক। কাধে এক চামড়ার ঝোলা ব্যাগ। যেন মনে হয় এইমাত্র চুল ব্যাক ব্রাশ করে সকালের অফিসগামী বাস ধরবেন। ভদ্রলোক একা নন. সাথে এক তরুণী, এই তরুণীর কাধেও এক ঝোলা ব্যাগ। পোলান্ডের মানুষ সাধারণত বিদেশীদের সাথে যেচে পরে আলাপ করে না. তাই ভদ্রলোক যখন নিজে থেকে এসে করমর্দন করে কুশলাদি জিজ্ঞাস করলেন, একটু অবাক হলাম তখন. ওদিকে মনের ভেতরে ভেবে চলেছি ভদ্রলোকের উদেশ্য কি. তিনি নিশ্চয়ই দাতের মাজন বিক্রির জন্যে আমাকে থামান নি.? তাহলে ব্যাপারটা কি? কিছুক্ষণ এই হালকা পাতলা বাতচিতের পরই বুঝলাম আসল কাহিনি। শুরুটা করলেন এই ভাবে, এই যে দেখছ আসমান জমিন তার পেছনে তো একজনের নির্দেশ আছে তাই না? মনে মনে হেসে ফেললাম। বাংলাদেশে এই ধরণের পরিস্থিতির মুখে বহুবারই পড়েছি। ধর্ম প্রচার পার্টি আর কি. ভদ্রলোক কে বেশি কথা না বাড়াতে দিয়ে বললাম, একটু তাড়ার উপর আছি, পরে না হয় কখনো দেখা হলে কথা হবে, কেমন? "আরে দাড়ান দাড়ান, যাবার আগে আপনাকে একটা ছোটখাটো বই দেই, সময় পেলে পড়ে দেখবেন অনুগ্রহ করে. তা বলুন আপনার মাতৃ ভাষা কি? আমার কাছে সব ভাষাতেই অনুদিত বই আছে"- ভদ্রলোক বললেন। এবার আমি একটু সত্যি ই হেসে ফেললাম, " আমার মাতৃ ভাষা বাংলা". হাসলাম এই কারণে যে ভাবলাম এই সুদুর পোলান্ডে বাংলায় এসব ধর্মগ্রন্থ পাবার বা সেই ভদ্রলোকের ঝোলায় থাকবার সম্ভাবনা শূন্যের কোঠায়। আমার চোয়াল রীতিমতো ঝুলিয়ে দিয়ে ভদ্রলোকের সাথে থাকা তরুণীটি বার করে ফেললো বাংলায় লেখা একখানা পুস্তিকা। ওদিকে আমি তখন মনে মনে বলছি, "মাননীয় স্পিকার, না জয়যুক্ত হয়েছে, না জয়যুক্ত হয়েছে".

অতিথি লেখক এর ছবি

আম্মারে ডাক্তার বলেছিলেন" খালাম্মা বেশি বেশি হাঁটতে হবে,সারাক্ষন শুয়ে থাকবেন না" । ডায়াবেটিরে দূরে রাখতে যত চেষ্টা। আম্মা ডাক্তারকে উত্তর দিয়েছিল " আমি তো হেঁটে গোসলখানায় যায়" "সারা শরীরে বাত হাঁটে, বেশি হাঁটতে পারি না।"
এ্যানি মাসুদ

নজমুল আলবাব এর ছবি

আমি এমনিতেই প্রচুর হাঁটি।

মেঘলা মানুষ এর ছবি

প্রেশার কমান।একবার আমি অটোমেটিক প্রেসার মাপার মেশিনের 'কাফ' উল্টা করে লাগিয়েছিলাম, রিডিং এসেছিল ২১৬/১৫২ !

চাপ কমান, ভালো থাকুন হাসি

নজমুল আলবাব এর ছবি

ওইটা কমবেনা। খানদানী বেরাম।

আরিফিনসন্ধি এর ছবি

আমি মাঝে Pedometer লাগিয়ে নিয়েছিলাম হাঁটাহাঁটির ইনফো রাখার জন্য। প্রথমে কয়েকদিন আপনার ভালোই লাগবে যখন দেখবেন গোল ফিলআপ করতে পারছেন।
পরে আস্তে আস্তে আলসে হয়ে গেছি, অ্যপ আনইন্সটল করে আবার যেই সেই। সব চেয়ে পেইনফুল হল, করি পিএইচডি কিন্তু ভুঁড়ি আর টাক দেখে মনে করে প্রফেসর সাব, এই দুঃখ কোথায় রাখি ওঁয়া ওঁয়া

........................................................
গোল্ড ফিসের মেমোরি থেকে মুক্তি পেতে চাই
শুধু আমি না, আমার সাথে পুরো জাতি

নজমুল আলবাব এর ছবি

আমারওতো! বয়েস মাত্র সাড়ে চব্বিশ, কিন্তু দেখতে মনেহয় তেতাল্লিশ

নৈষাদ এর ছবি

হাইপারটেনশন এবং এর ওষুধ নিয়ে নতুন অভিজ্ঞতা হল।

বহু বছর হয়ে গেল হাইপারটেনশনের ওষুধ খাই (প্রায় ছাত্রজীবন থেকেই বলা যায়), মাঝে মাঝে বেড়ে যাবার ট্রেন্ড হলেও ঢাকায় মেডিসিনের অধ্যাপাক ওষুধের ডোজ কখনই বাড়াতে চায়নি, এবং তিনি ওষুধ না বাড়িয়েও সফল (এক্সারসাইজ ইত্যাদি না)। কনফিডেন্ট ডাক্তার, ব্যাপারটা সবসময় ব্যাখ্যা করেন, তবে একদিনের জন্যও ওষুধ বাদ দেইনি।

দেশের বাইরে এসে দেখি কিছুটা বাড়ার ট্রেন্ড, পরিকল্পনা থেকে বেশি থাকছি, তাও রোবটের মত মানুষজনের এক দেশে। ওষুধ শেষ, বাংলাদেশের প্রস্ক্রিপশনে কোনভাবেই ওষুধ দেয় না (বাংলাদেশের ডাক্তার জেনেরিক নাম লিখে দিয়েছেন)। বিদেশে ডাক্তারের কাছে গেলাম... ওষুধ দেয় না, বলে খাওয়া বন্ধ করে দেন, টেস্ট-ফেস্ট করে আসেন...। টেস্ট-ফেস্ট করা হয়না, ওষুধও খাই না...।

এদিকে বিদেশী ডাক্তারের উপর মোটেই ভরসা রাখতে পারিনা…।

হাসিব এর ছবি

আমার অভিজ্ঞতা একই রকম। গতবছর হাঁটুর অপারেশন করিয়েছি। একটা ইবোপ্রোফিনের বড়ি ছাড়া কোন ওষুধ লাগেনি। ইউরোপের ডাক্তাররা ঔষুধ কম দেয়। আমার তাদেরই পছন্দ।

নজমুল আলবাব এর ছবি

এরাওতো খুবই কম ওষুধ দেয়। কিন্তু আমার প্রেশারটা এমন বেমক্কা যে ভয় পাবারই মতো। তাও ওষুধ দেবার আগে পাক্কা একমাস হাঁটিয়েছে। তারপর ৪৮ ঘন্টার জন্য প্রেশার মাপার যন্ত্র লাগিয়ে দিলো। পরে দক্কু দুক্কু চেহারা নিয়া কইলো, উপায় নাই গোলাম হোসেন, ওষুধ তুমারে গিলতেই হপে।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

খাস দিলে দুয়া করলাম, আপনে দৌড়ের ওপর থাকেন। আমীন! চাল্লু

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নজমুল আলবাব এর ছবি

আমীন! রেগে টং

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আমার প্রেশার নিয়ে সমস্যা নাই। নিয়মিত জিমে যাই বলে ১২০/৮০ মতই থাকে। তবে জেনেটিক কারনে ডায়াবেটিস নিয়ে দুশ্চিন্তা আছে। দেখা যাক কখন ধরে আমারে। হাসি

নজমুল আলবাব এর ছবি

ব্লাড প্রেশারের সাথেও মনেহয় বাপ-দাদার যোগাযোগ আছে। আব্বা, চাচা সবার হাই প্রেশার ছিলো। এরা সারাদিনই রেগে থাকতো আর চান্স পেলেই আমাদের ধরে ধরে পেটাতো। ওঁয়া ওঁয়া

আমাদের কারো অবশ্য শর্করার বেরাম নাই। এইটা একটা ভালো বিষয়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।