আজ নানকার দিবস। বাঙালি জাতির সংগ্রামের ইতিহাসে বিশেষ করে অধিকারহীন মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যে সকল গৌরব মণ্ডিত আন্দোলন বিদ্রোহ সংগঠিত হয়েছিল তার মধ্যে অন্যতম প্রধান হলো ‘নানকার বিদ্রোহ’।
‘নান’ শব্দের অর্থ ‘রুটি’। এই নান শব্দ থেকেই নানকার শব্দের উৎপত্তি। নানকার শব্দের অর্থ রুটি দিয়ে কেনা গোলাম।
ব্রিটিশ সম্রাজ্যের আমলে সামন্তবাদী ব্যবস্থার সবচেয়ে নিকৃষ্টতম শোষণ পদ্ধতি ছিল নানকার প্রথা। নানকার প্রজারা জমিদারের দেওয়া বাড়ি ও সামান্য কৃষি জমি ভোগ করত। কিন্তু ওই জমি ও বাড়ির উপর তাদের কোনো মালিকানা ছিল না। নানকার প্রজারা বিনা মজুরিতে জমিদারের বাড়িতে কাজ করতেন। চুন থেকে পান খসলেই তাদের উপর চলত অকথ্য নির্যাতন। নানকার প্রজার জীবন শ্রম ও শক্তির উপর যেমন ছিল জমিদারদের সীমাহীন অধিকার তেমনি নানকার নারীদেরও তারা ভোগের পণ্য হিসাবে ব্যবহার করত।
নানকার প্রজারা এই অসহনীয় অবস্থা থেকে মুক্তির উপায় খুঁজতে থাকে এবং ধীরে ধীরে আন্দোলনের পথে অগ্রসর হয়। নানকার প্রথা মূলত বাংলাদেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলে বিশেষ করে সিলেট জেলায় চালু ছিল।
নানকার বিদ্রোহের প্রধান সংগঠক কমরেড অজয় ভট্টাচার্যের দেওয়া তথ্যমতে তখন বৃহত্তর সিলেট জেলায় ৩০ লাখ জনসংখ্যার ১০ ভাগ ছিল নানকার।
১৯২২ সাল থেকে ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত কমিউনিষ্ট পার্টি ও কৃষক সমিতির সহযোগিতায় সিলেটের বিয়ানীবাজার গোলাপগঞ্জ, বড়লেখা, কুলাউড়া, বালাগঞ্জ, ধর্মপাশা থানার অনেকে নানকার আন্দোলনে অংশ নেয়। নানকার বিদ্রোহের কেন্দ্রভূমি হল বিয়ানীবাজার থানার শানেশ্বর এলাকা।
লাউতা ও বাহাদুর পুরের জমিদারদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে নানকাররা জমিদারদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। কমরেড অজয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে নানকাররা সংগঠিত হলে নানকার আন্দোলন জোরদার হয়ে উঠে।
১৯৪৭ সালে নানকার আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন পাকিস্তান সরকার এই আন্দোলন নস্যাত করতে চায়। মুসলিম লীগ সরকার ও জমিদাররা নানকারদের উপর জুলুম নিপিড়নের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ষড়যন্ত্র করে হিন্দু মুসলমানদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সৃষ্টি করতে চায়।
১৯৪৯ সালের ১৫ আগস্ট নানকাররা কৃষক সমিতি ও কমিউনিষ্ট পার্টির সাহায্যে পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস পালন করে। কিন্তু বিষয়টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে জমিদাররা পাকিস্তান সরকার ও মুসলমানদের কাছে প্রচার করে যে ১৫ আগস্ট শানেশ্বরে হিন্দু দিবস ও ভারতের স্বাধীনতা দিবস পালন হয়েছে। সাথে সাথে পাকিস্তান সরকার সে এলাকায় পুলিশ ও ইপিআর পাঠিয়ে বিদ্রোহীদের দমনের নির্দেশ দেয়।
১৯৪৯ এর ১৮ আগস্ট সূর্য উঠার পূর্বেই তৎকালীন মুসলিম লীগ সরকারের পুলিশ, ইপিআর ও জমিদারদের নিজস্ব পেটোয়া বাহিনী হামলা চালায় শানেশ্বর গ্রামের নানকারদের উপর। শানেশ্বর ও পার্শবর্তী উলুউরী গ্রামের নানকাররা ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশীও অস্ত্র নিয়ে শানেশ্বর ও উলুউরী গ্রামের মধ্যবর্তী সুনাই নদীর তীরে বাহিনীর মুখোমুখী হয়।
জন্ম নেয় এক নির্মম ইতিহাস। রক্তে রঞ্জিত হয় শানেশ্বরের মাটি আর সুনাই নদীর জল।
রণেক্ষেত্রেই নিহত হন ব্রজনাথ দাস (৫০), কুটু মনি দাস (৪৭), প্রসন্ন কুমার দাস (৫০), পবিত্র কুমার দাস (৫০) ও রজনী দাস (৫০)। আহত অমূল্য কুমার দাস (১৭) পরবর্তী সময়ে বন্দি অবস্থায় শহীদ হন। সশস্ত্র বাহিনীর নির্মম নির্যাতনে নানকার আন্দোলনের অন্যতম নেত্রী অন্তঃসত্ত্বা অর্পনা পাল চৌধুরীর ঘটনাস্থলেই গর্ভপাত ঘটে।
১৯৩৭ সালের নানকার প্রথার বিরুদ্ধে প্রথম যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল তার রক্তাক্ত পরিসমাপ্তি ঘটে শানেশ্বর গ্রামে এসে। ১৯৪৯ এর ১৮ আগস্ট ৬ জন কৃষক তাদের বুকের তাজা রক্তে পূর্বসূরীদের ঋণ শোধ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৫০ সালে সরকার জমিদারী প্রথা বাতিল করেন নানকার প্রথা রদ করে কৃষকদের জমির মালিকানার স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়।
বিদ্রোহের ৫৮ বছর অতিবাহিত হলেও নানকার আন্দোলনে বীর শহীদদের স্মৃতিরার্থে কোনো স্মৃতিসৌধ নির্মাণ হয়নি এখনও। তবুও প্রতি বছরই মুক্তিযোদ্ধা সাংস্কৃতিক কমাণ্ড বিয়ানীবাজার, উলুউরী উন্নয়ন মুখী যুবসংঘ ও শানেশ্বর এলাকাবাসী এই দিনে অস্থায়ী সৌধ নির্মাণ করে শ্রদ্ধা জানায় নানকার আন্দোলনের শহীদের প্রতি।
মন্তব্য
ও বস এন্টার বাটন টিপেন না কেন? ফাঁকাফাঁকা লেখা না হইলে স্ক্রীনে লেখা পড়তে কিন্তু খবর হয়।
গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ইতিহাসে অধিকার আদায় কেবলই রক্তের বদলায়। ধন্যবাদ, স্মরণ ও জানানোর জন্য।
হ্যালো!
ধন্যবাদ মা.মু. । দিলাম কয়েকটা এন্টার। কম্পোজ করার সময় খেয়াল ছিলনা একেবারেই। চলবে কীনা দেখেনতো।
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আবার জিগস! দৌড়াইবো।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
হ, শিমুল। ইতিহাস রক্তটারেই বেশি চিনে।
অনৃন্যদা, আছেন কেমন। কাব্য পড়লাম আপনার।
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আব্দুল্লাহ হেল মাহমুদ এ নিয়া নানকার পালা নামে একটা নাটক লিখেছিলেন। আরণ্যক মনে হয় মঞ্চস্থ করেছিলো।
নান থেকে নানকার ব্যাখ্যাটা কেমন জটিল মনে হচ্ছে। বাংলাদেশে রুটি দিয়ে কেনা গোলাম ছিল এটাও বেশ কষ্টকল্পিত লাগছে। নজমুলের কাছে নিশ্চয়ই রেফারেন্স আছে। তবে আরেকটু ডিটেইলসে গিয়ে দেখা উচিত।
শ্রমজীবিদের নিয়ে কম্যুনিস্ট ভিত্তিক আন্দোলন করার একটা চেষ্টা আমাদের অঞ্চলে হয়েছিলো। মার্কসবাদ অর্ধেক বুঝায়, অর্ধেক না বুঝায় কি করে নিপীড়িতদেরকে একত্রিত করা যায় তা নিয়ে তত্ত্ব তারা দাঁড় করালেও বাস্তবে বিদ্রোহ করার মত যথার্থ শ্রেণী বা গোষ্ঠী খুঁজে তারা পাননি। অথবা শোষিত শ্রেণিকে বুঝাতে পারেননি, কে শোষণ করছে, কীভাবে করছে। তারাও খুঁজে গেছেন কৃষকের বদলে কাদের নিয়ে সমাজতন্ত্রের বিপ্লব করা যাবে। সুতরাং চা-বাগান শ্রমিকদের নিয়ে আণ্দোলনের চেষ্টা হয়েছে, তে-ভাগা আন্দোলন নিয়েও কম্যুনিস্টদের অনেক আশা ছিল, নানকার নিয়েও হয়তো অনেকে আশান্বিত ছিলেন; তারা ভাবতেন জায়গায় জায়গায় এরকম ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপটে বিদ্রোহ দানা বেঁধে উঠলে একসময় সমাজতন্ত্রের আন্দোলন দেশের চেহারা বদলে দেবে। বাস্তবে তা হয়নি।
নানকার শব্দটা শুনলে আমার কাছে যে শব্দটা মনে পড়ে সেটা হচ্ছে নোকর। বাংলায় চাকর-নোকর বেশ ব্যবহৃত হয়। আমাদের এলাকায় এখনও নোকর আছে। নানকারের সাথে নোকরের সম্পর্ক আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা দরকার।
নোকর হচ্ছে যারা ভূ-স্বামীর জমিতে বসবাস করে কিন্তু চাষাবাদের মাধ্যমে কর দিতে পারে না। বিনা করেই তারা থাকে। তবে বিকল্প হিসেবে তারা বংশ পরম্পরায় ভূ-স্বামীর বাড়িতে কায়িক পরিশ্রম করে। এরকম নোকর বাংলাদেশের অনেক এলাকায় আছে। খোদ ঢাকা শহরে খুঁজলেও পাওয়া যাবে।
(আরেকটা কথা, যে কজন নিহত হয়েছেন তারা সবাই দেখছি দাস। হয়তো নিম্নবর্ণের হিন্দু। মুসলমানদের মধ্যে কি নানকার ছিল না?)
নজমুলকে ধন্যবাদ এরকম একটা বিষয় আলোচনায় তুলে আনার জন্য। এসব ইতিহাস বার বার আলোচনা হওয়া উচিত। আরো বিস্তারিত ভাবে।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
শোহেইল ভাই,
এই বিষয়টা আমি প্রথম জেনেছি পত্রিকা থেকে। পরে অজয় ভট্টাচার্যের জবানিতে। নানকার শব্দের ব্যাখ্যাটা সেখান থেকেই এসেছে।
নাটকের খবরটা জানি। পড়েছি স্ক্রিপ্ট। তবে দেখা হয়নি।
আপনার আলোচনাটা খুব ভাল লেগেছে। এবং অপেক্ষায় ছিলাম কখন আপনি আসেন।
নোকর নিয়ে আপনি যেটা বল্লেন সেটা ঠিক। আমাদের গ্রামে এর প্রয়োগ দেখেছি। কিন্তু এখানে যেটা বলা হয়েছে সেটাই ঠিক ধরতে হবে। আমার কাছে অজয় রায় এর যে বইটা ছিল এখন সেটা নুর ভাই এর কাছে। জেলে বসে চুরি করে এমন কয়েকটা বই পড়ছেন তিনি। আমি বইটার আর কোন কপি পাই কিনা দেখি। পেলে এখানে কিছু রেফারেন্স তুলে দেব।
আন্দোলনে মুসলমানরা অংশ নিয়েছিলেন। তবে ১৮ তারিখ শুধু হিন্দু শহীদের কথা জেনেছি। গ্রাম দুটো ছিল হিন্দু প্রধান এজন্যই হয়তবা।
আজকের লেখার ব্যাপরে বলি। এটা আসলে স্থানিয় পত্রিকার বাৎসরিক আয়োজনের অংশ। নিয়ম করে প্রতিবছর স্মরন করা হয়। বেশ ক'বছর ধরেই আমি ঘাটাই এই দিবসিয় বিষয়। এইটা তারই ফল। এখানে পত্রিকায় দেয়া ঠাসা তথ্যগুলারে একটু খোলাসা করা হয়েছে মাত্র। নানকার বিদ্রোহ নিয়ে আরও বিষদ লেখা প্রয়োজন। যেটা আমার তাকতে ঠিক কুলাবেনা বড় ভাই। সামরানোর সাহসটাই নাই আসলে।
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
গুরুত্বপূর্ণ লেখা। নজমুল আলবাবকে অনেক ধন্যবাদ। শহীদদের অনন্ত শ্রদ্ধা।...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
ধন্যবাদ বিপ্লব ভাই
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
গুরুত্বপুর্ন পোষ্ট । সহমত,অন্য সবার সাথে । সে উপলক্ষ্যে ৫ তারা দেয়া হলো ।
শৈশব ও কৈশোরে বাহাদুরপুর চৌধুরী বাড়ী যাওয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছিলো(আলবাব মামু,জানো আমাদের এক মেয়ের বিয়ে হয়েছে ওখানে)।ক্ষয়ে যাওয়া পরিবার গুলো যেমন হয় । অনেকগুলো ভগ্নাংশ । কেউ নিম্নবিত্ত,কেউ মধ্যবিত্ত হয়ে টিকে থাকার চেষ্টায় । কেউ কেউ সেই পুরনো জমিদারী ।শেষোক্তদের মধ্যে আছেন কয়েস সামী-শফি সামীদের পরিবার ।
এই জমিদাররা মুলতঃ কনভার্টেড মুসলমান ।কারন এদের এক ভগ্নাংশের নামের সাথে পুরকায়স্থ টাইটেল আছে এখনো ।
বাহাদুরপুরের ঠিক পাশের গ্রামে শহীদ জিসি দেবের ভিটা ।
একদা রায়ত ছিলো যারা,সামাজিক নেতৃত্বে এখন তারাই ।
এ অঞ্চলে শ্রেনী সংগ্রামের ইতিহাস নিয়ে শোমচৌ র সাথে একমত তবে এটাও অনস্বীকার্য সামাজিক পরিবর্তনের জন্য এই আন্দোলনগুলো খুব জরুরী ছিল ।
অত্যাচারী জমিদারদের নখদন্তহীন উত্তর পুরুষদের এখনো জাবর কাটতে দেখা যায়, তাদের বাড়ীর কয়শো গজের ভেতর কেউ জুতা পায়ে কিংবা ছাতা মাথায় যেতে পারতোনা ।
-----------------------------------
'আমি ও অনন্তকাল এইখানে পরস্পর বিস্ময়ে বিঁধে আছি'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ধন্যবাদ নজমুল আলবাব।
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
মোরশেদ মামা, সেই বাড়িটায় আমাদেরও কি জানি আছে। আমি জানিনা ঠিকমত। তবে গল্পগুলো ভাসা ভাসা শোনা।
জুতা সংক্রান্ত গল্পটাতো সবখানেই আছে। আমিও শুনেছি, এখনও শুনি সেইসব গল্প। একটা বাড়িতে আমি অনেক গিয়েছি, সেই বাড়ির লোকজন বলতেন, আমাদের বাড়ি ছাড়া এই গ্রাম চলবেনা। আমরা সরকারি রাস্তা পর্যন্ত নিজের জমি দিয়ে হেটে যাই। কাল সকালে উঠে যদি রাস্তাটা বন্ধ করে দিই, এই গ্রামের মানুষ বেরুতে পারবেনা!!! বালক বেলায় সেই গল্প শুনে বেশ পুলক অনুভব করতাম। এখন বুঝি কতটা অন্তসারশূন্য ছিল সেইসব বুলি। সেই বাড়িটাই এখন ফাঁকা! জনশূন্য প্রায়। যাদের রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার বাগাড়ম্বর দেখানো হত সেই তারাই এখন বাড়িটারে দেখে শুনে রাখে!!!
বদ্দারে কৃতজ্ঞতা পড়ার জন্য।
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
ধন্যবাদ , নজমুল ভাই , এই তথ্য গুলো তুলে আনার জন্য। আরো বিস্তারিত জানার পিয়াস জেগে উঠেছে । একটা দ্বিতীয় পর্ব কি আশা করতে পারি ?
আর অধিকার আন্দোলন , মুক্তি - রক্তপাতহীন কোন ইতিহাস আমি অন্তত খুঁজে পাইনি।
শান্তিপূর্ণ পথে আর যাই হোক " ক্ষমতাশালীদের " , "ভোগীদের" , "ধনীকদের " হটানো যায় না ।
জগতে কারো হাত বঞ্চিত না করে কেউ নিজের হাত ভরতে পারে নাই । তাই বঞ্চিতদের সব সময় কেড়েই নিতে হয় , তাদের প্রাপ্যটুকু ।
হয় মামু । এরকমই হয় ।
কালনীপাড়ের সেই বাড়ীর কথা মনে করিয়ে দিলে ।
সবই আজ হট্টমালার ওপারে ।
-----------------------------------
'আমি ও অনন্তকাল এইখানে পরস্পর বিস্ময়ে বিঁধে আছি'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ধন্যবাদ আলবাব ভাই। বিপুলা এই পৃথিবীর কতটুকুই বা জানি। সত্যিই কতো ইতিহাস অজানা রয়ে গেলো। মাঝে মাঝে ভাবি এসব পেট চালানোর গ্রন্থগত বিদ্যা, ক্যারিয়ার, অ্যাম্বিশন সবকিছু বাদ দিয়ে শুধু যদি ইতিহাস, সংস্কৃতি, সাহিত্য চর্চা করা যেত তবে বেশ হতো। একঘেয়ে হতো না জীবন।
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
ধন্যবাদ অচেনা মন্তব্যকারি। ২য় পর্ব নামানোর খুব ইচ্ছা ছিল। কিন্তু পরিস্থিতি সেটা করতে দিলনা। দেখি একটু সামলে নেই। ধন্যবাদ আপনাকে মনোযোগ দেয়ার জন্য।
এমন ইচ্ছা মনে হয় আমাদের মত অক্ষম মানুষদের নিয়মিতই জ্বালায়। কিন্তু কিছুই করার নেই। এইসব নিয়মের মাঝেই আমাদের থাকতে হবে। @ ঝরা
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
সত্যেন সেন এর লেখায় আছে
এরকম কিছু বিদ্রোহের
অসাধারন গল্প।
রংপুরের আধিয়ার
কিংবা সিলেটের চা শ্রমিকদের কাহিনি।
তার রচনা সমগ্র দিতীয় খন্ডটাই আছে শুধু
অনেক চেষ্টা করেও আর কিছু যোগাড় করতে পারিনি।
কেউ কি জানেন কোথায় পাওয়া যেতে পারে?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা রইল।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
নতুন মন্তব্য করুন