একছটাক কায়েস আহমেদ-১

অদ্রোহ এর ছবি
লিখেছেন অদ্রোহ [অতিথি] (তারিখ: রবি, ০৫/০৯/২০১০ - ২:৫৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তাঁর সাথে আমার পরিচয় কোন এক ঘোরতর দাবদাহের দিনে। আজিজের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম, ঢুঁ মারার লোভটা বরাবরের মত সংবরণ করতে পারলামনা। দোকানে থরে থরে সাজিয়ে রাখা বইগুলোকে আলগোছে চেখে নিচ্ছিলাম। পকেটের অবস্থা তখন গড়ের মাঠপ্রায়, তাই চাখতেও হচ্ছিল রয়েসয়ে, পৃথুল বইগুলোর লোলুপ প্রলোভন এড়িয়ে ক্ষীণবপুগুলোর দিকে। হঠাৎ করেই হলুদ মলাটের একটি বইয়ের ওপর নজর আটকে গেল। বলে রাখা ভাল, খানিকটা অবাকই হলাম ফ্ল্যাপ উলটে, মোটে ২৮৬ পৃষ্ঠার বইয়েই কীনা এই লেখক তার সব কথা বলে গেছেন। আরো কদ্দুর গিয়ে দেখি রচনাসমগ্রের ভূমিকা লিখেছেন খোদ আখতারুজ্জামান ইলিয়াস। নাহ! অবশিষ্ট দ্বিধাটুকুকে ঝেড়ে ফেলে চটজলদি বইটা বগলদাবা করে নিলাম। কায়েস আহমেদের সাথে আমার অযাচিত পরিচয়টা এভাবেই।

একজন লেখকের বলার খুব বেশি কিছু থাকতে পারেনা, একথা আমি কায়মনোবাক্যে মানি। তারপরেও বলতেই হবে, কায়েস আহমেদ একটু বেশিই স্বল্পপ্রসূ লেখক। সমকালীন বাংলা সাহিত্যের তিনি মোটেই কোনো দিকপাল নন, প্রচারের শীর্ষে থাকা দৈনিকের রগরগে সাহিত্য পাতায় তাঁকে নিয়ে আদিখ্যেতাও করা হয়না মোটেই, বইমেলার চটকদার সব বইয়ের মাঝে তাঁর দুই মলাটে আবদ্ধ সাহিত্যকীর্তিকে খুঁজে পাওয়াও ভার হবে। এতকিছুর পরেও কায়েস আহমেদকে অস্বীকার করা যায়না, তাঁকে বাংলা সাহিত্যে স্বতন্ত্র একটি ঠাঁই দিতেই হয়। কেন? এ সওয়ালের হদিস পেতে হলে আমাদের একটু সামনে যেতে হবে।

একটা কথা হলফ করে বলা যায়, বাজারি সাহিত্যের পলকা রোশনাই কায়েস আহমেদকে কখনো টলাতে পারেনি। তিনি লিখেছেন কম, কিন্তু যে চেতনাকে তিনি ধারণ করেছেন , যে বিশ্বাস তাকে রসদ যুগিয়েছে, তার দ্যুতি তাঁর রচনা থেকে হামেশাই ঠিকরে পড়েছে। ইলিয়াস "মরিবার হ'লো তার সাধ"; প্রবন্ধে তাঁকে নিয়ে বলতে পেরেছেন,


[i]প্রতিষ্ঠা ও খ্যাতি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেশিরভাগ লেখকের কাছে লেখাটা হল অভ্যাসমাত্র-চাকরিবাকরি আর ব্যবসাবাণিজ্য আর দেশপ্রেমের ঠেলা সামলাতে এনজিও বানিয়ে মালপানি কামাবার সঙ্গে তখন এর কোনো ফারাক থাকে না। তখন লেখায় নিজের সুখ আর বেদনা জানান দেওয়াটা হয়ে দাঁড়ায় তেল মারা আর পরচর্চার শামিল। লেখক হিসেবে সেই সামাজিক দাপট কায়েসের শেষ পর্যন্ত জোটেনি। তাই, কেবল মানুষের খুঁত ধরে আর দুর্বলতা চটকে সাহিত্যসৃষ্টির নামে পরচর্চা করার কাজটি তাঁর স্বভাবের বাইরেই রয়ে গেল। আবার "এই দুনিয়ায় সকল ভালো/ আসল ভালো নকল ভালো.."; এই ভেজাল সুখে গদগদ হয়ে ঘরবাড়ি, পাড়া ,গ্রাম, সমাজ ,দেশ, পৃথিবী, ইহকাল ও পরকাল সবকিছুতেই তৃপ্তির উদ্গার শুনিয়ে মধ্যবিত্ত পাঠকদের তেল মারার কাজেও তিনি নিয়োজিত হননি।
[/i]

ষাটের দশকের ছোটগল্পের ভরা জোয়ারের প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন কায়েস আহমেদ। তবে বাঁধাগতের জোয়ারে তিনি গা ভাসিয়ে দেননি, নিজের বিশিষ্টতাকে তিনি সযত্নে লালন করেছেন, লকলকিয়ে একে বেমক্কা বেড়ে উঠতে দেননি। তাঁর প্রথম ছোটগল্পগ্রন্থ "অন্ধ তীরন্দাজ" এই সাধনারই ইঙ্গিতবাহী। তবে লেখক হিসেবে তিনি এই গ্রন্থে যথেষ্ট পরিমিতিবোধের পরিচয় দিয়েছেন, এমন বলাটা ভুল হবে। তিনি প্রায়শই নিরীক্ষা করেছেন, কারণে বা অকারণে, কিন্তু মাঝে মাঝেই তিনি খেই হারিয়েছেন, গল্পগুলো যেন দিকভ্রষ্ট হয়ে পড়েছে, কদাচিত কোন কানা গলিতে গিয়ে গোত্তা খেয়েছে। কাহিনির প্রতি, ডিটেলসের প্রতি তার মোহগ্রস্ততার কারণে চরিত্রগুলোর সহজাত পরিবৃদ্ধি তাই অনেক ক্ষেত্রেই ঠোকর খেয়েছে। তার দুর্দান্ত কিছু প্লটও ঠিক একই কারণে হয়ে উঠেছে বক্তব্যপ্রধান। তবে ডিটেলসে তাঁর অত্যাগ্রহ যে অমূলক নয়, সেটা কিন্তু মাঝেমাঝেই বিমূর্ত হয়ে উঠেছে, ঝিলিক দিয়ে উঠেছে-

গাছপালার ফাঁকে ফাঁকে, জন্ডিস রোগীর মতো ফ্যাকাশে, ক্রমাগত নিঃশোষিত হয়ে আসতে থাকা বনতুলসী, চিচ্চিড়ে, আশ শ্যাওড়া বন আর পিঙ্গল ঘাসের গায়ে লেপ্টে থাকা প্রায় ফুরিয়ে আসা দুপুর যেন থমকে আছে, গাছের পাতা নড়ে না, তামাটে রং এর উপুড় হয়ে থাকা বিশাল সরার মতো আকাশের নীচে শেষ অক্টোবরের পৃথিবী যেন চুপ করে আছে।

কিছু কিছু গল্পে পরাবাস্তবতার ছাঁচে ঢেলে তিনি নিরীক্ষা করতে চেয়েছেন,
"যাত্রী" গল্পের মত। নিঃসঙ্গতার বীভৎস রুপ এই গল্পে প্রকট হয়ে উঠেছে, আর কেন জানি মনে হয়েছে, এই নিঃসঙ্গতাটুকু লেখক বোধকরি প্রশ্রয়ই দেন, একে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করেন, এর নির্যাসটুকু আহরণ করেন যতনভরে। বন্দী দুঃসময় ঠিক এই ধাঁচের আরেকটি গল্প, ক্লিশে প্রাত্যহিকতায় খাবি খেতে থাকা একজন মানুষ চেনা গন্ডিতে ঘুরপাক খেতে থাকে অবিরত, সে পালাতে চায় কিন্তু সে পথের দিশা তার মেলেনা। এদিক দিয়ে বরং অন্ধ তীরন্দাজ ও সম্পর্ক গল্পে এসে লেখক অনেকটাই থিতু হয়েছেন, ডানা মেলা ভাবনাগুলোর রাশ সময়মাফিক টেনে ধরেছেন। চরিত্রগুলো এই দুটি গল্পে ন্যায্য বিকাশ পেয়েছে, অনাবশ্যক ডিটেইলে গল্প ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েনি।"অন্ধ তীরন্দাজ" গল্পে একদল বেদিশা যুবকের ছাইচাপা হতাশা, "সম্পর্ক" গল্পে দুই বন্ধুর পুনর্মিলনীর পরবর্তী ধেয়ে আসা বাস্তবতা নির্মাণে লেখক অনেকটাই সংযত, বরং বলা ভাল অনেকটাই সফল। অথচ দৃশ্যকল্পের প্রতি স্বভাবজাত মুগ্ধতার আঁচ এখানেও পাওয়া যায়, কিন্তু কখনোই তা বেসুরো হয়ে উঠেনা, বরং কায়েস আহমেদকে ঘিরে মনোযোগী পাঠকের প্রত্যাশার পারদ ক্রমেই চড়তে থাকে।

তথ্যসূত্রঃ কায়েস আহমেদ সমগ্র,প্রকাশক-মাওলা ব্রাদার্স,ঢাকা।
রচনাসমগ্র ৩-আখতারুজ্জামান ইলিয়াস।


মন্তব্য

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমাদের অনার্য সঙ্গীতের বোনজামাই মুম রহমান ৯৯ সালে একটা চিকন সাইজের বই উপহার দিলেন [বইটা এখনো আছে বলে শুভেচ্ছা সাক্ষরের তারিখ দেখে নিলাম]। কায়েস আহমেদের "লাশকাটা ঘর"।

সেই থেকে কায়েস আহমেদ ঢুকে গেলেন প্রিয় লেখকের সারিতে। কিন্তু লিখেছেন খুবই সামান্য।

অগ্রন্থিত কায়েস আহমেদ পাওয়া যায়, সেটাও পড়ে ফেলতে পারেন।

আর লেখায় একটু প্যারা করে দিলে পড়তে আরাম হয়।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অদ্রোহ এর ছবি

অগ্রন্থিত কায়েস আহমেদ এখনো পাইনি, অচিরেই বাগিয়ে নেওয়ার আশা রাখি।
আর এই মওকায় আরেকবার জন্মদিনের শুভেচ্ছা দেঁতো হাসি.

-------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে, সুখের স্রোতে ভাসাও তরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

অদ্রোহ, এই উদ্যোগটার জন্য ধন্যবাদ।

কাজটা যেহেতু ধরেই ফেলেছেন তাই কায়েস আহমেদের একটা বা দুইটা ছোট গল্প করে ধরে আলোচনা করুন। তাতে পাঠক যেমন উপকৃত হবেন তেমন কায়েস আহমেদের প্রতিও সুবিচার করা হবে।

এই লেখককে যেহেতু খুব কম জন চেনেন তাই তাঁর জীবন নিয়েও একটা পর্ব লিখুন।

আমরা যারা এক-আধটু কায়েস আহমেদ পড়েছি তারা চেষ্টা করবো কানা পয়সা-ফুটো পয়সা যোগ করার।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অদ্রোহ এর ছবি

পান্ডবদা, কায়েস আহমেদকে নিয়ে লিখতে গেলে তার জীবন নিয়ে তো লিখতেই হয়। তবে সেটা শেষপাতের জন্যই তোলা থাকুক।

আর গল্পগুলোর স্বতন্ত্র আলোচনার ব্যাপারটা মাথায় রইল।আর অনুরোধ রইল, কোথাও অধমের জানার খামতি থাকলে পত্রপাঠ ধরিয়ে দেবেন।

-------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে, সুখের স্রোতে ভাসাও তরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

কায়েস আহমেদের সাথে পরিচয় আরেকজনের লাইব্রেরিতে বই দেখে। আমার সপ্রশ্ন দৃষ্টি দেখে তার অবাক হওয়া প্রশ্ন, তুমি এখনো পড়ো নাই? আমার নেতিবাচক উত্তরে এখন আমার রুমে অন্ধ তীরন্দাজ। কিন্তু, আলসি করে এখনো পড়া হয় নাই। মন খারাপ
পড়ে ফেলতে হবে।
লেখা পড়ে আরাম পাইলাম। হাসি

- মুক্ত বয়ান

অদ্রোহ এর ছবি

পইড়া ফ্যালেন, পস্তাবেননা কথা দিলাম হাসি

-------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে, সুখের স্রোতে ভাসাও তরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

একছটাক কায়েস আহমেদ- '১' উল্লেখ করাতে আশা করছি অদ্রোহ হয়তো এরপরে আলোচনা দীর্ঘ করবেন। এ লেখাটা একটু বেশিই ছোট হয়ে গেছে। পান্ডবদার দেয়া মতানুসারে গল্প বা গল্পগ্রন্থ ধরে আলাদা আলোচনা করা যেতে পারে...

কায়েস আহমেদকে ছেলেবেলায় দেখেছি। লেখক ব্যক্তিগত জীবনে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের শিক্ষক ছিলেন, সে স্কুলে স্বল্পসময় কাটানোর কালে উনি বিক্ষিপ্তভাবে দুয়েকটা প্রক্সি ক্লাস নিয়েছিলেন...

সম্পর্ক, লাশকাটা ঘর, মাণিক বন্দোপাধ্যয়ের পৈতৃক ভিটে ও মালপদিয়ার রমণী মুখুজ্জে- এই গল্পগুলো বেশ ভালো লেগেছিলো...

_________________________________________

সেরিওজা

অদ্রোহ এর ছবি

হুম, যেহেতু পরের কিস্তি অপেক্ষমাণ, তাই এ লেখাটা আর প্রলম্বিত করতে চাইনি। আর সামনের আলোচনায় অংশগ্রহণের উপরোধ রইল।

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে, সুখের স্রোতে ভাসাও তরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

কায়েস আহমেদ সম্পর্কে অনেক শুনেছি। এখনো পড়া হয় নাই। একদিন নিশ্চয় পড়ে ফেলবো।

অদ্রোহ এর ছবি

পড়ে ফেলেন, লাভ বৈ ক্ষতি হবেনা হাসি

আজি দুঃখের রাতে, সুখের স্রোতে ভাসাও তরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

পরের পর্বের অপেক্ষায়। ভালো কাজ ভালো লাগে।
_________________________________
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

অদ্রোহ এর ছবি

সাথে আছেন জেনে ভাল্লাগলো।

-----------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে, সুখের স্রোতে ভাসাও তরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আর মানুষটা মরে গেলো মন খারাপ
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

অদ্রোহ এর ছবি

মন খারাপ

---------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে, সুখের স্রোতে ভাসাও তরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

রানা মেহের এর ছবি

এতো ছোট লিখলে হয়?
পরের পর্বে আরো বিস্তারিত আসবে আশা করি
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

অদ্রোহ এর ছবি

পরের পর্বে আরেকটু সবিস্তারে বলব।

----------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে, সুখের স্রোতে ভাসাও তরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।